২। বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থী কোন কিছু না থাকিলে , এই আইনে -(১) ” অধস্তন আদালত” অর্থ সুপ্রীমকোর্টের অধস্তন যে কোন আদালত বা ট্রাইব্যুনাল;(২) “আদালত” অর্থ সপ্রীমকোর্ট সহ অধস্তন যে কোন আদালত বা ট্রাইব্যুনাল;(৩) ” আদালত অবমাননা” অর্থ দেওয়ানী বা ফৌজদারী অবমাননা;(৪) ” আপীল বিভাগ” অর্থ সুপ্রীমকোর্টের আপীল বিভাগ;(৫) ” হাইকোর্ট বিভাগ” অর্থ সুপ্রীমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ;(৬) “দেওয়ানী অবমাননা ” অর্থ ইচ্ছাকৃতভাবে কোন আদালতের রায়, ডিক্রী, নির্দেশনা, আদেশ, রীট, বা কার্যক্রম অবমাননা অথবা আদালতের নিকট প্রদত্ত কোন অঙ্গীকারনামা ভঙ্গ করা;(৭) “প্রজাতন্ত্রের কর্ম ” অর্থ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ১৫২ অনুচ্ছেদে উল্লিখিত প্রজাতন্ত্রের কর্ম;(৮) ” ফৌজদারী অবমাননা” অর্থ মৌখিক বা লিখিত কোন শব্দ বা চিহ্ন দ্বারা, বা প্রদর্শনযোগ্য কোন কিছুর মাধ্যমে এমন কোন কিছু প্রকাশ করা অথবা এমন কোন কার্য করা যাহাতে -(ক) কোন আদালতের কর্তৃত্বকে হেয় প্রতিপন্ন করা হয় বা হেয় প্রতিপন্ন করিবার অভিপ্রায় থাকে অথবা উহার কর্তৃত্ব সম্পর্কে অপপ্রচার করা হয় বা অপপ্রচার করা হইয়াছে বা অপপ্রচারের অভিপ্রায় থাকে; বা(খ) কোন বিচারিক কার্যধারা ক্ষুণ্ন করা হয় অথবা উহাতে হস্তক্ষেপ করা হয় বা হস্তক্ষেপের অভিপ্রায় থাকে; বা(গ) অন্য কোনভাবে চলমান বিচারিক কার্যধারার স্বাভাবিক গতিধারাকে বাধাগ্রস্ত করে বা হস্তক্ষেপ করে বা বাধাগ্রস্ত করিবার বা হস্তক্ষেপ করিবার অভিপ্রায় থাকে;(৯) “বিচারিক কার্যধারা (Judicial proceeding) ” অর্থ আদালতে রুজুকৃত এমন কোন আইনগত কার্যধারা যাহা অনিষ্পন্ন রহিয়াছে বা যাহার বিরুদ্ধে কোন আইনের অধীন দায়েরকৃত আপীল, রিভিশন বা রিভিউ চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তি হয় নাই বা যাহার বিরুদ্ধে উক্তরূপ কার্যাধারা গ্রহণের জন্য কোন আইন দ্বারা নির্ধারিত সময়সীমা অতিক্রান্ত হয় নাই; এবং উহা হইতে উদ্ভূত জারী কার্যক্রমও অনুরূপ কার্যধারার অংশ বলিয়া গণ্য হইবে।
৪। (১) কোন ব্যক্তি আদালত অবমাননার দায়ে দোষী হইবেন না এই কারণে যে, তিনি মৌখিক বা লিখিত কোন শব্দ বা চিত্র দ্বারা বা প্রদর্শনযোগ্য কোন কিছুর মাধ্যমে, বা অন্যকোনভাবে এমন কোন কিছু প্রকাশ করিয়াছেন যাহা উক্তরূপ প্রকাশনার সময় আদালতে বিচারাধীন দেওয়ানী বা ফৌজদারী বিচার প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ বা বাধা প্রদান করে বা উহা দ্বারা উক্তরূপ বিচার প্রক্রিয়া হস্তক্ষেপ বা বাধা সৃষ্টির সম্ভাবনা থাকে, যদি না উক্ত সময় তাহার এই মর্মে বিশ্বাস করিবার যুক্তিসঙ্গত কারণ থাকে যে, বিষয়টি বিচারাধীন রহিয়াছে।(২) আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইনে যাহা বিছুই থাকুক না কেন, প্রকাশনার সময় নিষ্পন্নাধীন ছিল না এইরূপ কোন দেওয়ানী বা ফৌজদারী কার্যধারা সম্পর্কে উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত কোন বিষয়ের প্রকাশ আদালত অবমাননা হিসাবে গণ্য হইবে না।(৩) কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত কোন বিষয় সম্বলিত কোন প্রকাশনা বিতরণ করিবার কারণে আদালত অবমাননার দায়ে দোষী হইবেন না, যদি বিতরণ করিবার সময় উক্ত প্রকাশনায় অনুরূপ কোন বিষয় রহিয়াছে বা থাকিবার সম্ভাবনা রহিয়াছে মর্মে তাহার বিশ্বাস করিবার কোন যুক্তিসঙ্গত কারণ না থাকেঃতবে শর্ত থাকে যে, বই, প্রকাশনা বা মুদ্রণ সম্পর্কিত আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইনের বিধান লঙ্ঘন করিয়া বিতরণ করিবার ক্ষেত্রে এই উপ-ধারার বিধান প্রযোজ্য হইবে না।
পক্ষপাতহীন ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ আদালত অবমাননা নহে
৫। কোন ব্যক্তির নিম্নবর্ণিত কার্য আদালত অবমাননা হিসাবে গণ্য হইবে না, যদি তিনি -(ক) ধারা ৬ এর বিধান সাপেক্ষে, আদালতের কোন বিচারিক কার্যধারা বা উহার কোন অংশ বিশেষের পক্ষপাতহীন ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ করেন; বা(খ) শুনানীঅন্তে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হইয়াছে এইরূপ কোন মামলার গুণাগুণ সম্পর্কে পক্ষপাতহীন ও বস্তুনিষ্ঠ মন্তব্য প্রকাশ করেন।
অধস্তন আদালতের সভাপতিত্বকারী বিচারকের বিরুদ্ধে অভিযোগ যখন আদালত অবমাননা নয়
৬। কোন ব্যক্তি কোন অধস্তন আদালতের সভাপতিত্বকারী বিচারক সম্পর্কে সরল বিশ্বাসে যদি -(ক) অন্য কোন অধস্তন আদালতের নিকট, বা(খ) সুপ্রীম কোর্টের নিকট,কোন বিবৃতি বা মন্তব্য প্রদান করেন, তাহা হইলে তিনি আদালত অবমাননার দায়ে দোষী হইবেন না।
কতিপয় ক্ষেত্র ব্যতীত খাস কামরায় বা রুদ্ধদ্বার কক্ষে অনুষ্ঠিত প্রক্রিয়া সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ আদালত অবমাননা নহে
৭। (১) এই আইনের অন্যান্য বিধানে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, আদালতের খাস কামরায় বা রুদ্ধদ্বার কক্ষে অনুষ্ঠিত বিচারিক কার্যধারা সম্পর্কে কোন ব্যক্তির পক্ষপাতহীন ও বস্তুনিষ্ঠ আকারে তথ্য প্রকাশ আদালত অবমাননা হইবে না, যদি না -(ক) এইরূপ প্রকাশনা আপাতত বলবৎ অন্য কোন আইনের লঙ্ঘন হয়;(খ) আদালত, জনস্বার্থে বা উহার উপর অর্পিত ক্ষমতাবলে, উহার কার্যধারা বা উহার অংশ বিশেষের তথ্য প্রকাশের বিষয়ে সুস্পষ্টভাবে নিষেধাজ্ঞা জারী করে;(গ) জন-শৃঙ্খলা বা রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার কারণে আদালতের খাস কামরায় বা রুদ্ধদ্বার কক্ষে আদালতের কার্যধারা অনুষ্ঠিত হইলে উক্ত কার্যধারা সম্পর্কিত তথ্য প্রকাশ করে;(ঘ) উক্ত তথ্য উক্ত বিচারিক কার্যধারার গোপনীয় কোন বিষয় বা কোন আবিষ্কার বা উদ্ভাবন সংক্রান্ত হয়।(২) উপ-ধারা (১) এর বিধান ক্ষুণ্ন না করিয়া, খাস কামরায় বা রুদ্বদ্বার কক্ষে অনুষ্ঠিত কোন আদালতের কার্যক্রমের বা উহার আদেশের সকল বা কোন অংশের বিবরণ বা উহার পক্ষপাতহীন ও বস্তুনিষ্ঠ সার-সংক্ষেপ প্রকাশের জন্য কোন ব্যক্তি আদালত অবমাননার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হইবেন না, যদি না আদালত জনস্বার্থে বা জন-শৃঙ্খলা বা রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার কারণে, অথবা উক্ত তথ্য কোন গোপনীয় বিষয় সংক্রান্ত অথবা কোন আবিস্কার বা উদ্ভাবন সংক্রান্ত হইবার কারণে, অথবা আদালতের উপর অর্পিত ক্ষমতাবলে, উক্তরূপ তথ্য প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা জারী করে।
আত্মপক্ষ সমর্থনে অন্য কোন যু্ক্তি প্রদানের ক্ষেত্রে এই আইন বাধা হইবে না
৮। এই আইনের কোন কিছুই কোন আদালতে আদালত অবমাননা সংক্রান্ত মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য অন্য কোন আইন অনুসারে যে যুক্তি বা জবাব প্রদান করা যাইতো তাহা প্রদানের ক্ষেত্রে বাধা হইবে না।
১০। আপাতত বলবৎ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন -(১) প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োজিত কোন ব্যক্তি কর্তৃক রাষ্ট্রের প্রচলিত আইন, বিধিমালা, সরকারী নীতিমালা, যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক জারীকৃত পরিপত্র, প্রজ্ঞাপন, স্মারক ইত্যাদি যথাযথভাবে অনুসরণপূর্বক জনস্বার্থে ও সরল বিশ্বাসে কৃত বা সম্পাদিত কর্ম আদালত অবমাননা হিসাবে গণ্য হইবে না।(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন কৃত কর্মের বিষয়ে কোন ব্যক্তি আদালতে শরণাপন্ন হইলে এবং সেই ক্ষেত্রে আদালতের কোন রায় , আদেশ বা নির্দেশ প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োজিত কোন ব্যক্তির পক্ষে যথাযথ প্রচেষ্টা সত্ত্বেও বাস্তবায়ন বা প্রতিপালন করা অসম্ভব হইলে, অনুরূপ কারণে বাস্তবায়ন বা প্রতিপালন করিতে ব্যর্থতার কারণে তাহার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ উত্থাপন করা যাইবে না।
১১। (১) কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ উত্থাপিত বা কার্যধারা রুজু করা হইলে, অভিযোগের বিষয়ে তাহাকে কারণ দর্শাইবার সুযোগ প্রদান করিতে হইবে এবং আদালতের নিকট কারণ দর্শাইবার জবাব সন্তোষজনক হইলে, তাহাকে আদালত অবমাননার অভিযোগ হইতে অব্যাহতি প্রদান করিতে হইবে, এবং জবাব সন্তোষজনক না হইলে তাহাকে উক্ত ব্যক্তির নিয়োজিত আইনজীবীর মাধ্যমে উপস্থিত হইবার এবং বক্তব্য প্রদানের সুযোগ প্রদান করিতে হইবে, এবং কার্যধারার কোন পর্যায়ে যদি আদালত মনে করে যে, ন্যায় বিচারের স্বার্থে অবমাননাকারীর ব্যক্তিগত উপস্থিতি আবশ্যক, তাহা হইলে আদালত তাহাকে ব্যক্তিগতভাবে আদালতে হাজির হইয়া বক্তব্য প্রদানের জন্য নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে।(২) উপ-ধারা (১) এর বিধান সত্ত্বেও, যদি কোন ব্যক্তি আইনজীবী নিয়োগ না করিয়া স্বেচ্ছায় ব্যক্তিগতভাবে আদালতে উপস্থিত হইয়া বক্তব্য প্রদান করিতে বা মামলা পরিচালনা করিতে ইচ্ছা প্রকাশ করেন, তাহা হইলে আদালত তাহাকে অনুরূপ সুযোগ প্রদান করিবে।(৩) আদালত অভিযুক্ত ব্যক্তির উপস্থিতির অভিযোগের সমর্থনে সাক্ষ্য গ্রহণ করিবে এবং তাহাকে শুনানি ও সাক্ষ্যদানের সুযোগ প্রদান করিয়া আদালত অবমাননার অভিযোগের বিষয় নির্ধারণ করিবে এবং অভিযুক্ত ব্যক্তিকে যথাযথ শাস্তির আদেশ অথবা অভিযোগ হইতে অব্যাহতির আদেশ প্রদান করিবে।(৪) প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োজিত কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ উত্থাপিত বা কার্যধারা রুজু করা হইলে, উক্ত ব্যক্তি তাহার নিয়োজিত আইনজীবী দ্বারা মামলা পরিচালনা করিতে পারিবেন।(৫) প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োজিত আদালত অবমাননার অভিযোগে অভিযুক্ত কোন ব্যক্তি আইনজীবী নিয়োগসহ আদালত অবমাননা মামলা পরিচালনার জন্য বিধি দ্বারা নির্ধারিত পরিমাণ অর্থ সরকারী খাত হইতে অগ্রীম গ্রহণ করিত পারিবেন এবং উক্ত ব্যক্তি আদালত অবমাননার অভিযোগ হইতে অব্যহতি লাভ করিলে অগ্রীম হিসেবে গৃহীত অর্থ সরকারকে ফেরত প্রদান করিতে হইবে না:তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত ব্যক্তি আদালত অবমাননার দায়ে দোষী সাব্যস্ত ও দণ্ডপ্রাপ্ত হইলে তাহাকে অগ্রীম হিসেবে গৃহীত সমুদয় অর্থ ফেরত প্রদান করিতে হইবে এবং উক্ত ব্যক্তি অগ্রীম হিসেবে গৃহীত সমুদয় অর্থ ফেরত প্রদান না করিলে উহা তাহার প্রাপ্য গ্রাচ্যুইটি হইতে এককালীন আদায় করা হইবে এবং গ্রাচ্যুইটি হইতে আদায়ের পরও গ্রহীত অগ্রীম বকেয়া থাকিলে ইহা তাহার পেনশন বা পারিবারিক পেনশন হইতে সমম্বয়যোগ্য হইবে।(৬) প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োজিত কোন ব্যক্তি প্রজাতন্ত্রের কর্মের সহিত সংশ্লিষ্ট কোন কার্য বা দায়িত্ব পালন কালে আদালত অবমাননার মামলায় জড়িত থাকা অবস্থায় প্রজাতন্ত্রের কর্ম হইতে অপসারিত, অবসরপ্রাপ্ত বা অন্য কোনভাবে প্রজাতন্ত্রের কর্মে তাহার স্থায়ীভাবে কর্মাবসান হইলে, আদালত উক্ত ব্যক্তিকে আদালত অবমাননার দায় হইতে অব্যহতি প্রদান করিতে পারিবে।(৭) উপ-ধারা (৬) এ বর্ণিত পদে পরবর্তীতে স্থলাভিষিক্ত কোন ব্যক্তিকে (successor-in-office) পুনরায় কারণ দর্শানোর সুযোগ প্রদান না করিয়া তাহার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ উত্থাপন বা কার্যধারা রুজু করা যাইবে না অথবা পূর্বসুরীর (predecessor-in- office) বিরুদ্ধে চলমান আদালত অবমাননার কার্যধারা বা দায় সরাসরি আরোপ করা যাইবে না।
১২। (১) উপ-ধারা (২) এর বিধান সাপেক্ষে, কোন অধস্তন আদালতের অবমাননা সংক্রান্ত কোন অভিযোগের বিচার ও শাস্তি প্রদানের ক্ষমতা হাইকোর্ট বিভাগের থাকিবে।(২) Penal Code (XLV of 1860) এর অধীন শাস্তিযোগ্য আদালত অবমাননা কোন অধস্তন আদালত কর্তৃক বিচার্য হইলে হাইকোর্ট বিভাগ উক্ত আদালত অবমাননা বিচারার্থ আমলে গ্রহণ করিবে না।
১৩। (১) এই আইনের অধীন আদালত অবমাননার জন্য কোন ব্যক্তি দোষী সাব্যস্ত হইলে তিনি অনূর্ধ্ব ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড বা অনধিক দুই হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন:তবে শর্ত থাকে যে, আদালত অবমাননা সম্পর্কিত চলমান কার্যধারা যে কোন পর্যায়ে অভিযুক্ত আদালত অবমাননাকারী আদালতের নিকট নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করিলে এবং আদালত যদি এইমর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, উক্ত অভিযুক্ত আদালত অবমাননাকারী নিঃশর্তভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করিয়াছেন, তাহা হইলে আদালত উক্ত ব্যক্তিকে সংশ্লিষ্ট অভিযোগ হইতে অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবে।(২) আদালত অবমাননার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হইয়া শাস্তিপ্রাপ্ত হইবার পর কোন ব্যক্তি তৎকর্তৃক দায়েরকৃত আপীলে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করিলে, আদালত যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, তিনি অনুতপ্ত হইয়া আন্তরিকভাবে উক্তরুপ ক্ষমা প্রার্থনা করিয়াছেন, তাহা হইলে আদালত তাহাকে ক্ষমা করিয়া তাহার উপর আরোপিত দণ্ড মওকুফ বা হ্রাস করিতে পারিবে।(৩) আপাতত বলবৎ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন,(ক) কোন আদালত উহার নিজের বা উহার অধস্তন কোন আদালতের অবমাননার জন্য উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত শাস্তির অতিরিক্ত শাস্তি প্রদান করিতে পারিবে না।(খ) যেক্ষেত্রে কোন ব্যক্তি দেওয়ানী অবমাননার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়, সেইক্ষেত্রে আদালত যদি মনে করে যে, কেবল অর্থদণ্ড প্রদানের মাধ্যমে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা হইবে না বরং উহার সহিত কারাদণ্ড প্রদান করা আবশ্যক, তাহা হইলে আদালত বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদানের পরিবর্তে তাহাকে অনূর্ধ্ব ছয় মাস দেওয়ানী কারাগারে আটকের নির্দেশ প্রদান করিবে।
১৪। (১) কোন কোম্পানী কর্তৃক যদি আদালত অবমাননার অপরাধ সংঘটিত হয়, তাহা হইলে উক্ত কোম্পানীর সহিত সংশ্লিষ্ট যে ব্যক্তি বা ব্যক্তিগণ দ্বারা উক্ত অপরাধটি সংঘটিত হইয়াছে কেবল তিনি বা তাহারাই উক্ত অপরাধ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন।ব্যাখ্যা : এই ধারায় -(ক) “কোম্পানী ” বলিতে কোন সংবিধিবদ্ধ সরকারি কতৃপক্ষ, নিবন্ধিত কোম্পানী, অংশীদারী কারবার , বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান, সংঘ, সমিতি বা সংগঠনকে বুঝাইবে;(খ) বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে “পরিচালক” বলিতে কোন অংশীদারী বা পরিচালনা বোর্ডের সদস্যকেও বুঝাইবে।
সুপ্রীম কোর্টে সংঘটিত আদালত অবমাননার ক্ষেত্রে কার্যপদ্ধতি
১৫। (১) যেক্ষেত্রে আপীল বিভাগ বা হাইকোর্ট বিভাগের নিকট প্রতীয়মান হয় বা উহার নিকট অভিযোগ করা হয় যে, কোন ব্যক্তি আদালত কক্ষে কোন মামলার শুনানিকালে আদালত অবমাননা করিয়াছে, সেইক্ষেত্রে উক্ত আদালত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে আটক করিতে পারিবে, এবং আদালতের উক্ত দিনের বৈঠক শেষ হইবার পূর্বে বা যত শ্রীঘ্র সম্ভব তৎপরবর্তীতে -(ক) আদালত অবমাননার যে অভিযোগ তাহাকে অভিযুক্ত করা হইয়াছে তাহা লিখিতভাবে তাহাকে জানাইবে;(খ) তাহাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ প্রদান করিতে হইবে;(গ) উক্ত ক্ষেত্রে, যথাসম্ভব, ধারা ১১ এর উপ-ধারা (৩) এর বিধান অনুসরণ করিতে হইবে।(২) উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, উক্ত উপ-ধারার অধীন আদালত অবমাননার অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তি যদি, যে বিচারক বা বিচারকগণের সম্মুখে বা শুনানিকালে উক্ত আদালত অবমাননার অভিযোগে অভিযুক্ত হইয়াছেন তাঁহারা ব্যতীত, অন্য কোন বিচারক কর্তৃক বিচার কার্য পরিচালনার জন্য মৌখিক বা লিখিতভাবে আবেদন করে, তাহা হইলে উক্ত আদালত ঘটনার প্রকৃত বিবরণসহ সামগ্রিক বিষয়টি বিবেচনা এবং যথোপযুক্ত আদেশ প্রদানের জন্য প্রধান বিচারপতির নিকট লিখিত বিবৃতি আকারে উপস্থাপন করিবে।(৩) অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, উপ-ধারা (১) এর অধীন আদালত অবমাননার জন্য অভিযুক্ত ব্যক্তির বিচার চলাকালে, উপ-ধারা (২) এর অধীন প্রদত্ত নির্দেশনা অনুসারে, যে বিচারক বা বিচারকগণের সম্মুখে অপরাধ সংঘটিত হইয়াছে উক্ত বিচারক বা বিচারকগণ ব্যতীত, অন্য কোন বিচারকের আদালতে শুনানী অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে উপ-ধারা (২) এর অধীন প্রধান বিচারপতির নিকট প্রদত্ত বিবৃত্তি সাক্ষ্য হিসাবে গণ্য হইবে এবং উক্ত বিচারকের ব্যক্তিগতভাবে আদালতে উপস্থিত হইবার প্রয়োজন হইবে না।
বিচারক, ম্যাজিস্ট্রেট বা বিচারকার্য সম্পাদনকারী অন্য কোন ব্যক্তি কর্তৃক আদালত অবমাননা
১৬। (১) আপাতত বলবৎ অন্য কোন আইনের বিধানবলী সাপেক্ষে, কোন বিচারক, ম্যাজিস্ট্রেট বা বিচারকার্য সম্পাদনকারী অন্য কোন ব্যক্তি তাহার নিজ আদালত বা অন্য কোন আদালত অবমাননার জন্য সেইরূপে দায়ী হইবেন, সেইরূপে অন্য কোন ব্যক্তি আদালত অবমাননার জন্য দায়ী হইতে পারেন, এবং উক্তক্ষেত্রে এই আইনের বিধানাবলী যতদূর সম্ভব একইরূপে প্রযোজ্য হইবে।(২) এই ধারার কোন বিছুই কোন বিচারক, ম্যাজিস্ট্রেট বা বিচারকার্য সম্পাদনকারী অন্য কোন ব্যক্তি কর্তৃক তাহার নিকট বিচারাধীন অধস্তন আদালতের কোন আদেশ বা রায়ের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত আপীল বা রিভিশন নিষ্পত্তিকালে উক্ত অধস্তন আদালত সম্পর্কে কৃত কোন পর্যবেক্ষণ বা মন্তব্যের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না।
১৭। (১) এই আইনের অধীন আদালত অবমাননার কার্যধারায় হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক প্রদত্ত আদেশের বিরুদ্ধে আপীল বিভাগে আপীল করা যাইবে।(২) আপীল বিভাগ উক্ত আপীল নিষ্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত -(ক) তর্কিত আদেশের কার্যকারিতা স্থগিত করিতে পারিবে; এবং(খ) আপীলকারী আটক থাকিলে তাহাকে জামিনে বা তাহার নিজের মুচলেকায় মুক্ত করিবার আদেশ প্রদান করিতে পারিবে।(৩) যেইক্ষেত্রে কোন ব্যক্তি হাইকোট বিভাগ কর্তৃক প্রদত্ত কোন আদেশের বিরুদ্ধে আপীল করিতে ইচ্ছুক মর্মে যদি আদালতের সন্তুষ্টি বিধান করিতে পারেন, সেইক্ষেত্রে হাইকোর্ট বিভাগ উপযুক্ত মনে করিলে তৎকর্তৃক প্রদত্ত দণ্ড বা আদেশ স্থগিত করিতে এবং দণ্ডিত ব্যক্তিকে জামিনে মুক্তি প্রদান করিতে পারিবে।
১৮ । এই আইনের অধীন হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক প্রদত্ত কোন আদেশের বিরুদ্ধে সংক্ষুদ্ধ ব্যক্তি আদেশ প্রদানের তারিখ হইতে ষাট দিনের মধ্যে আপীল দায়ের করিতে পারিবে ।
২০ । (১) Contempt of Courts Act, 1926 (Act No. XII of 1926) এতদ্দ্বারা রহিত করা হইল ।(২) উক্তরূপ রহিত সত্ত্বেও, উহার অধীন দায়েরকৃত কোন অভিযোগ বা মামলা বা কোন কার্যধারা অনিষ্পন্ন থাকিলে উক্ত অনিষ্পন্ন অংশ, যতদূর সম্ভব, এই আইনের সংশ্লিষ্ট বিধানাবলী অনুসারে, এইরূপে নিষ্পন্ন করা হইবে যেন উক্ত অভিযোগ, মামলা বা কার্যধারা এই আইনের অধীনেই দায়ের করা হইয়াছিল ।