যেহেতু Bankers’ Books Evidence Act, 1891(Act No. XVIII of 1891) রহিতক্রমে উহা পরিমার্জনপূর্বক সময়োপযোগী করিয়া নূতনভাবে প্রণয়ন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল:-
২। (১) বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থি কোনো কিছু না থাকিলে, এই আইনে-(ক) ‘আইনি কার্যক্রম (legal proceedings)’ অর্থ এই আইন বা অন্য কোনো আইন বা আইনগত দলিলের অধীন গৃহীত কোনো কার্যক্রম বা তদন্তকার্য যেখানে সাক্ষ্য প্রদান করা হয় বা প্রদান করা যাইতে পারে এবং কোনো মধ্যস্থতা বা সালিশ কার্যও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;(খ) ‘আদালত’ অর্থ সুপ্রীম কোর্টসহ যে কোনো আদালত;(গ) ‘ইলেক্ট্রনিক স্বাক্ষর’ অর্থ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন, ২০০৬ (২০০৬ সনের ৩৯ নং আইন) এর ধারা ২ এর দফা (১) এ সংজ্ঞায়িত ইলেক্ট্রনিক স্বাক্ষর;(ঘ) ‘উপাত্ত’ অর্থ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন, ২০০৬ (২০০৬ সনের ৩৯ নং আইন) এর ধারা ২ এর দফা (১০) এ সংজ্ঞায়িত উপাত্ত;(ঙ) ‘কম্পিউটার সিস্টেম’ অর্থ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮ (২০১৮ সনের ৪৬ নং আইন) এর ধারা ২ এর উপ-ধারা (১) এর দফা এ সংজ্ঞায়িত কম্পিউটার সিস্টেম;(চ) ‘কোম্পানী’ অর্থ কোম্পানী আইন, ১৯৯৪ (১৯৯৪ সনের ১৮ নং আইন) এর ধারা ২ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (ঘ) এ সংজ্ঞায়িত কোনো কোম্পানী;(ছ) ‘গ্রাহক’ অর্থ এইরূপ কোনো ব্যক্তি যাহার ব্যাংকে কোনো হিসাব রহিয়াছে বা প্রকৃত সুবিধাভোগী (beneficial owner) হিসাবে যাহার পক্ষ হইতে ব্যাংকে কোনো হিসাব পরিচালনা করা হইয়াছে এবং বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক, সময় সময়, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা সংজ্ঞায়িত অন্য কোনো ব্যক্তিও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;(জ) ‘গ্রাহকতথ্য’ অর্থ ব্যাংকার বহিতে লিপিবদ্ধ বা সংরক্ষিত গ্রাহক সম্পর্কিত তথ্য;(ঝ) ‘প্রত্যয়িত অনুলিপি’ অর্থ ধারা ৩ এর অধীন প্রদত্ত কোনো অনুলিপি;(ঞ) ‘ব্যক্তি’ অর্থে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান, কোম্পানী, কর্পোরেশন, সমবায় সমিতি, সংঘ, অংশীদারি কারবার, সমিতি, ফার্ম বা অন্য কোনো সংস্থা বা উহাদের প্রতিনিধি বা কোনো পেশাদার আর্থিক মধ্যস্থতাকারীও (যেমন-এজেন্ট, ট্রাস্টি, হিসাবরক্ষক, আইনজীবী বা এতদ্সংশ্লিষ্ট অন্য কোনো পেশাজীবী) অন্তর্ভুক্ত হইবে;(ট) ‘ব্যাংক’ এবং ‘ব্যাংকার’ অর্থ-(অ) ব্যাংক-কোম্পানী আইন, ১৯৯১ (১৯৯১ সনের ১৪ নং আইন) এর ধারা ৫(ণ) এ সংজ্ঞায়িত কোনো ব্যাংক-কোম্পানী এবং অন্য কোনো আইন দ্বারা বা আইনের অধীন ব্যাংক হিসাবে প্রতিষ্ঠিত যে কোনো প্রতিষ্ঠানও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে; এবং (আ) আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন, ১৯৯৩ (১৯৯৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ধারা ২(খ) এ সংজ্ঞায়িত কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠান;(ঠ) ‘ব্যাংকার বহি’ অর্থ কোনো ব্যাংকের-(অ) খতিয়ান বহি (ledger), দৈনিক বহি (day-book), নগদান বহি (cash-book), হিসাব বহি (account-book) এবং ব্যাংকের দৈনন্দিন কার্যে ব্যবহৃত অন্য সকল প্রকার বহি ও নথি, যাহা লিখিত আকারে, অথবা মাইক্রোফিল্ম বা ইলেকট্রনিক স্বাক্ষরযুক্ত বা তথ্য প্রযুক্তির অন্য কোনো মাধ্যমে সংরক্ষিত হয়;(আ) যে কোনো দলিল যাহা সাধারণভাবে ব্যাংকের ব্যবসায় ব্যবহৃত হয় অথবা ব্যাংকের লেনদেন দপ্তরে নিদর্শনপত্রের নিবন্ধনবহি (register) হিসাবে ব্যবহৃত হয়, যাহা বাঁধাইকৃত বইয়ের ভলিউমরূপে অথবা লুজ শিট, পৃষ্ঠা, ফর্দ (folio) বা কার্ড আকারে সংরক্ষিত হয়;(ই) হিসাব খোলার ফর্ম, গ্রাহকের পরিচিতিমূলক রেকড র্বা নথি; এবং(ঈ) জামানতি দলিলাদির হস্তলিখিত পাণ্ডলিপি, টাইপকৃত বা মুদ্রিত স্টেনসিল্ড দস্তাবেজ অথবা সময় সময় ব্যবহৃত অন্য যে কোনো যান্ত্রিক বা অর্ধ-যান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সৃষ্ট দলিল এবং আলোকচিত্র বা ছায়ালিপি হিসাবে প্রস্তুতকৃত কোনো দলিল;(ড) ‘তপশিল’ অর্থ এই আইনের তপশিল।(২) এই আইনে ব্যবহৃত যে সকল শব্দ বা অভিব্যক্তির সংজ্ঞা প্রদান করা হয় নাই, সেই সকল শব্দ বা অভিব্যক্তি, ক্ষেত্রমত, Evidence Act, 1872 (Act No. I of 1972), Bangladesh Bank Order, 1972 (President’s Order No. 127 of 1972), ব্যাংক-কোম্পানী আইন, ১৯৯১ (১৯৯১ সনের ১৪ নং আইন), আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন, ১৯৯৩ (১৯৯৩ সনের ২৭ নং আইন), কোম্পানী আইন, ১৯৯৪ (১৯৯৪ সনের ১৮ নং আইন), ব্যাংক আমানত বীমা আইন, ২০০০ (২০০০ সনের ১৮ নং আইন), তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন, ২০০৬ (২০০৬ সনের ৩৯ নং আইন), ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮ (২০১৮ সনের ৪৬ নং আইন), সমবায় সমিতি আইন, ২০০১ (২০০১ সনের ৪৭ নং আইন) এবং ‘অর্থ ঋণ আদালত আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ৮ নং আইন) এ যে অর্থে ব্যবহৃত হইয়াছে সেই অর্থে প্রযোজ্য হইবে।
৩। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, এই ধারার অন্যান্য বিধান সাপেক্ষে, ব্যাংকের প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা, ব্যবস্থাপক, বিভাগীয় প্রধান বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ব্যাংকার বহির কোনো এন্ট্রির প্রত্যয়িত অনুলিপি প্রদান করিতে পারিবে।(২) ব্যাংকার বহি লিখিত আকারে সংরক্ষিত থাকিলে, উহার কোনো এন্ট্রির প্রত্যয়িত অনুলিপি প্রদানের ক্ষেত্রে উক্ত অনুলিপির সহিত নিম্নলিখিত বিষয়সমূহ উল্লেখপূর্বক একটি প্রত্যয়নপত্র থাকিতে হইবে, যথা:-(ক) ইহা একটি অবিকল অনুলিপি;(খ) ইহা নিত্যনৈমিত্তিক ও সাধারণ কার্যকালে প্রস্তুত করা হইয়াছে;(গ) ইহা ব্যাংকারের কোনো একটি সাধারণ বহিতে লিপিবদ্ধ এবং অদ্যাবধি ব্যাংকারের হেফাজতে রক্ষিত আছে;(ঘ) ইহা এইরূপ যান্ত্রিক বা ইলেকট্রনিক স্বাক্ষরযুক্ত বা অন্য কোনো প্রক্রিয়ায় সংগৃহীত হইয়াছে যাহা স্বয়ংক্রিয়ভাবে উক্ত অনুলিপির যথার্থতার নিশ্চয়তা প্রদান করে; এবং(ঙ) ইহা যে বহি হইতে প্রস্তুতের করা হইয়াছে উক্ত বহি ব্যাংকের প্রথাগত স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় উক্ত অনুলিপি প্রস্তুতের পরবর্তী কোনো তারিখে ধ্বংস করা হইয়াছে বা হয় নাই।(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন প্রদত্ত প্রত্যয়নপত্রে তারিখ সহকারে ব্যাংকের প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা, ব্যবস্থাপক, বিভাগীয় প্রধান বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নাম ও দাপ্তরিক পদবি উল্লেখসহ স্বাক্ষর থাকিতে হইবে।(৪) ব্যাংকার বহি উপাত্ত আকারে মাইক্রোফিল্ম, চৌম্বকীয় টেপ, ইলেকট্রনিক স্বাক্ষরযুক্ত তথ্য প্রযুক্তি বা তথ্য প্রযুক্তির অন্য কোনো মাধ্যমে সংরক্ষিত থাকিলে, উহার কোনো এন্ট্রির প্রত্যয়িত অনুলিপি প্রদানের ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত শর্তসমূহ পূরণ করিতে হইবে, যথা:-(ক) ইহা যে উৎস হইতে মুদ্রিত উহার বর্ণনা;(খ) ইহা এইরূপ যান্ত্রিক বা ইলেকট্রনিক স্বাক্ষরযুক্ত বা অন্য কোনো প্রক্রিয়ায় সংগৃহীত যাহা স্বয়ংক্রিয়ভাবে উক্ত অনুলিপির যথার্থতার নিশ্চয়তা প্রদান করে; এবং(গ) ইহা যে উক্ত এন্ট্রির, তৎমর্মে ব্যাংকের প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা, ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, ব্যবস্থাপক, বিভাগীয় প্রধান এবং সংশ্লিষ্ট কম্পিউটার সিস্টেম পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তি কর্তৃক একটি প্রত্যয়নপত্র প্রদান করিতে হইবে।(৫) উপ-ধারা (৪) এর অধীন প্রদত্ত প্রত্যয়নপত্রে নিম্নলিখিত বিষয়াদি সংক্ষিপ্তরূপে অন্তর্ভুক্ত থাকিবে, যথা:-(ক) এমন কম্পিউটার সিস্টেম যাহাতে কেবল অনুমোদিত ব্যক্তির তথ্য লিপিবদ্ধকরণ ও পরিচালনার প্রবেশাধিকার ছিল মর্মে গৃহীত নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থাদি;(খ) তথ্যে অননুমোদিত পরিবর্তন চিহ্নিতকরণ ও প্রতিরোধের লক্ষ্যে গৃহীত নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থাদি;(গ) কম্পিউটার সিস্টেমে যান্ত্রিক ত্রুটি বা অন্যবিধ কারণে হারানো তথ্য পুনরুদ্ধারের জন্য গৃহীত ব্যবস্থাদি;(ঘ) কম্পিউটার সিস্টেম হইতে তথ্য বহনযোগ্য মাধ্যম হিসাবে ফ্লপি ডিস্ক, চৌম্বকীয় টেপ, পেনড্রাইভ, ডিভিডি ডিস্ক বা অন্য কোনো ডিজিটাল ডিভাইসে যে প্রক্রিয়ায় তথ্য স্থানান্তর করা হইয়াছে উহার বিবরণ;(ঙ) তথ্য বহনযোগ্য মাধ্যমে সঠিকভাবে তথ্য স্থানান্তর হইয়াছে কিনা তাহা যাচাইয়ের পদ্ধতি;(চ) উক্তরূপ ডিজিটাল ডিভাইস শনাক্তকরণের পদ্ধতি;(ছ) উক্তরূপ ডিজিটাল ডিভাইস সংরক্ষণ ও হেফাজতের জন্য গৃহীত ব্যবস্থাদি;(জ) কম্পিউটার সিস্টেমে যে কোনো প্রকারের অনধিকার প্রবেশ চিহ্নিতকরণ ও উহা প্রতিরোধে গৃহীত নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থাদি; এবং(ঝ) অন্য কোনো বিষয় যাহা উক্ত কম্পিউটার সিস্টেমের যথার্থতা ও শুদ্ধতার সমর্থনের প্রমাণ বহন করে।
৪। এই আইনের অন্যান্য বিধান সাপেক্ষে, ব্যাংকার বহির যে কোনো এন্ট্রির প্রত্যয়িত অনুলিপি সকল প্রকার আইনি কার্যক্রমের ক্ষেত্রে উক্ত এন্ট্রির অস্তিত্বের আপাত গ্রহণযোগ্য সাক্ষ্য (prima facie evidence) হিসাবে গণ্য হইবে।
৫। ধারা ৭ এর অধীন গ্রাহকতথ্য প্রকাশে বাধ্য না হইলে, কোনো ব্যাংকের কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারীকে কোনো আইনি কার্যক্রমে, যদি উক্ত ব্যাংক উক্ত আইনি কার্যক্রমে পক্ষ না হয়, কোনো ব্যাংকার বহি উপস্থাপনা করিতে অথবা আদালতের নির্দেশ বা বিশেষ আদেশ ব্যতীত উক্ত ব্যাংকার বহিতে লিপিবদ্ধ কোনো বিষয়বস্তু, লেনদেন ও হিসাব প্রমাণের জন্য সাক্ষীরূপে হাজির হইতে বাধ্য করা যাইবে না।
৬। (১) কোনো আইনি কার্যক্রমে কোনো পক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত এই মর্মে আদেশ প্রদান করিতে পারিবে যে-(ক) উক্ত আইনি কার্যক্রম সংশ্লিষ্ট কোনো উদ্দেশ্য সাধনের লক্ষ্যে উক্ত আবেদনকারীর কোনো ব্যাংকার বহির সংশ্লিষ্ট এন্ট্রি পরিদর্শন এবং উহার অনুলিপি সংগ্রহ করিতে পারিবে; বা(খ) ব্যাংক সংশ্লিষ্ট এন্ট্রির প্রত্যয়িত অনুলিপি, আদেশে উল্লিখিত সময়ের মধ্যে, প্রস্তুত করিয়া উপস্থাপন করিবে, যাহার সহিত এই মর্মে একটি প্রত্যয়নপত্র থাকিবে যে, উক্ত কার্যক্রম সংশ্লিষ্ট অন্য কোনো প্রাসঙ্গিক এন্ট্রি ব্যাংকার বহিতে পাওয়া যায় নাই এবং উক্ত প্রত্যয়নপত্র ধারা ৩ অনুসরণে প্রদান করা হইয়াছে।(২) আদালত ব্যাংকের প্রতি সমন জারি করিয়া বা না করিয়া এই ধারার অধীন কোনো আদেশ প্রদান করিতে পারিবে এবং আদালতের ভিন্নরূপ কোনো নির্দেশনা না থাকিলে, উক্ত আদেশ কার্যকর করিবার জন্য ৭ (সাত) কার্যদিবস পূর্বে উহা সংশ্লিষ্ট ব্যাংক বরাবর জারি করিতে হইবে।(৩) এই ধারার অধীন কোনো আদেশ প্রতিপালনের জন্য প্রদত্ত সময় সমাপ্ত হইবার পূর্বে যে কোনো সময় ব্যাংক উহার ব্যাংকার বহি আদালতে উপস্থাপনের জন্য প্রদান করিতে পারিবে অথবা এইরূপ আদেশ কার্যকর না করিবার বা প্রযোজ্য ক্ষেত্রে আদেশ পরিপালনে যৌক্তিক প্রতিবন্ধকতার বিষয়ে কারণ দর্শানোর অভিপ্রায় ব্যক্ত করিয়া আবেদন করিতে পারিবে এবং উক্ত ক্ষেত্রে আদালত কর্তৃক পরবর্তী আদেশ প্রদান না করা পর্যন্ত পূর্বের আদেশ অকার্যকর থাকিবে।
৭। (১) আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনে উল্লিখিত ক্ষেত্র ব্যতীত, ব্যাংকের কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী অন্য কোনো ব্যক্তির নিকট কোনো গ্রাহকতথ্য প্রকাশ করিবে না :তবে শর্ত থাকে যে, তপশিলে উল্লিখিত গ্রাহকতথ্য প্রকাশের অনুমোদিত ক্ষেত্রে, গ্রাহকতথ্য প্রকাশের শর্তাবলি প্রতিপালন সাপেক্ষে, সংশ্লিষ্ট অনুমোদিত ব্যক্তি বা সংস্থার নিকট গ্রাহকতথ্য প্রকাশ করা যাইবে :তবে আরও শর্ত থাকে যে, তপশিলে উল্লিখিত গ্রাহকতথ্য প্রাপ্তির জন্য অনুমোদিত ব্যক্তি বা সংস্থা বা সংস্থার কোনো কর্মকর্তা, তপশিলে উল্লিখিত অনুমোদিত ক্ষেত্র অথবা আদালতের সুনির্দিষ্ট আদেশ ব্যতীত, কোনো গ্রাহকতথ্য বা উহার কোনো অংশ কোনোভাবে অন্য কাহারও নিকট প্রকাশ করিবে না।(২) উপ-ধারা (১) এর বিধান অনুযায়ী কোনো সংস্থার নিকট তপশিলে উল্লিখিত গ্রাহকতথ্য প্রকাশ করিবার ক্ষেত্রে উক্ত সংস্থার এতদুদ্দেশ্যে অনুমোদিত দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট গ্রাহকতথ্য প্রকাশ করা যাইবে এবং গ্রাহক তথ্য গ্রহণকারী অনুমোদিত দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়বদ্ধতা, নিয়োগকারী সংস্থাতে তাহার নিয়োগ বা কর্ম অবসান পরবর্তীকালেও বহাল থাকিবে।(৩) ব্যাংক-কোম্পানী আইন, ১৯৯১ (১৯৯১ সনের ১৪ নং আইন) এর ধারা ৪৪ এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন, ১৯৯৩ (১৯৯৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ধারা ২০ এর অধীন বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক ব্যাংক পরিদর্শনকালে সংগৃহীত গ্রাহকতথ্য উক্ত ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ বা তত্ত্বাবধানের জন্য প্রয়োজনীয় না হইলেও উহা গোপনীয় হিসাবে গণ্য হইবে।
৮। এই আইনের ধারা ৭ এর বিধান লঙ্ঘন করিলে উহা এই আইনের অধীন একটি অপরাধ হিসাবে গণ্য হইবে এবং উক্ত অপরাধের জন্য দায়ী ব্যাংকের কর্মকর্তা বা কর্মচারী অনধিক ৩ (তিন) বৎসরের কারাদণ্ড বা অনধিক ১০ (দশ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
১০। (১) Code of Criminal Procedure, 1898 (Act No. V of 1898) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, অপরাধ সংঘটকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার লিখিত প্রতিবেদন ব্যতীত কোনো আদালত এই আইনের অধীন কোনো অপরাধ বিচারার্থে গ্রহণ করিবে না।(২) এই আইনের অধীন সংঘটিত অপরাধের তদন্ত, বিচার, আপিল এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়ে Code of Criminal Procedure, 1898 (Act No. V of 1898) এর বিধানাবলি প্রযোজ্য হইবে।
১১। এই আইনের অধীন সরল বিশ্বাসে কৃত কোনো কাজের ফলে কোনো ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হইলে বা ক্ষতিগ্রস্ত হইবার সম্ভাবনা থাকিলে, তজ্জন্য ব্যাংকের কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারীর বিরুদ্ধে কোনো দেওয়ানি বা ফৌজদারি মামলা বা অন্য কোনো আইনগত কার্যক্রম গ্রহণ করা যাইবে না।
১২। (১) এই আইনের অধীন বা উহার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, আদালতের নিকট দাখিলকৃত কোনো আবেদনের খরচ এবং আদালত কর্তৃক প্রদত্ত আদেশের অধীন সম্পাদিত বা সম্পাদিতব্য কোনো কার্য বাবদ খরচ আদালতের স্বেচ্ছাধীন ক্ষমতার আওতায় থাকিবে, এবং আদালত এই মর্মে আরও আদেশ প্রদান করিতে পারিবে যে, কোনো খরচ বা খরচের অংশবিশেষ ব্যাংক কর্তৃক কোনো পক্ষের অনুকূলে পরিশোধ করিতে হইবে যদি এইরূপ খরচ ব্যাংকের ত্রুটি বা ইচ্ছাকৃত বিলম্বের কারণে হইয়া থাকে।(২) এই ধারার অধীন ব্যাংকের অনুকূলে বা ব্যাংক কর্তৃক কোনো খরচ প্রদানের ক্ষেত্রে প্রদত্ত কোনো আদেশ এমনভাবে কার্যকর করা হইবে যেন উক্ত আইনি কার্যক্রমে ব্যাংক একটি পক্ষ।(৩) এই ধারার অধীন খরচ প্রদানের আদেশ কার্যকর করিবার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কোনো দেওয়ানি আদালতে অর্থ ডিক্রি জারির মামলা দায়ের করা যাইবে:তবে শর্ত থাকে যে, এই উপ-ধারার কোনো কিছুই এইরূপ খরচ পরিশোধের আদেশ কার্যকর করিবার ক্ষেত্রে উক্ত আদেশ প্রদানকারী আদালতের স্বেচ্ছাধীন ক্ষমতাকে খর্ব করিবে না।
১৫। এই আইন কার্যকর হইবার পর সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের মূল বাংলা পাঠের ইংরেজিতে অনূদিত একটি নির্ভরযোগ্য পাঠ (Authentic English Text) প্রকাশ করিবে:তবে শর্ত থাকে যে, মূল বাংলা ও ইংরেজি পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে মূল বাংলা পাঠ প্রাধান্য পাইবে।