যেহেতু [মানসম্মত শিক্ষাদান এবং ফাজিল ও কামিল মাদ্রাসাসমূহের অধিভুক্তকারী কর্তৃপক্ষ হিসাবে দায়িত্ব পালনের উদ্দেশ্যে একটি] আবাসিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন ও তৎসংক্রানত বিষয়াদি সমপর্কে বিধান করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;সেহেতু এতদ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইলঃ-
২। বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থী কিছু না থাকিলে এই আইনে,-(ক) ” 2[ একাডেমিক] কাউন্সিল” বলিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের 3[ একাডেমিক] কাউন্সিল বুঝাইবে;4 (কক) “মাদ্রাসা সংক্রান্ত একাডেমিক কমিটি” বলিতে ২২ক ধারায় বর্ণিত মাদ্রাসা সংক্রান্ত একাডেমিক কমিটি বুঝাইবে; “কর্তৃপক্ষ” বলিতে ১৮ ধারায় বর্ণিত বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ বুঝাইবে;(গ) “কমিশন” বলিতে ১৯৭৩ সালের বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন আদেশ দ্বারা গঠিত বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন বুঝাইবে;5 (গগ) “কারিকুলাম কমিটি” বলিতে ২৫ক ধারায় বর্ণিত কারিকুলাম কমিটি বুঝাইবে; “ডীন” বলিতে একটি ফ্যাকালটির 6[ একাডেমিক] প্রধান বুঝাইবে;(ঙ) “নির্ধারিত” বলিতে সংবিধি, অধ্যাদেশ বা প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত বুঝাইবে;(চ) “বিশ্ববিদ্যালয়” অর্থ ৩ ধারার অধীন প্রতিষ্ঠিত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়;(ছ) “শিক্ষক” বলিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক বা প্রভাষক বুঝাইবে, এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক শিক্ষক বলিয়া ঘোষিত অন্য যে কোন ব্যক্তি ইহার অন্তর্ভুক্ত;(জ) “সংবিধি”,“অধ্যাদেশ” ও “প্রবিধান” বলিতে এই আইনের অধীন প্রণীত সংবিধি, অধ্যাদেশ ও প্রবিধান বুঝাইবে;(ঝ) “সিন্ডিকেট” বলিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট বুঝাইবে;(ঞ) “ছাত্রাবাস” বলিতে, যে নামেই অভিহিত হউক না কেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের জন্য এমন একটি আবাসিক একাংশ বুঝাইবে, বিশ্ববিদ্যালয় যে একাংশের ব্যবস্থা ও রক্ষণাবেক্ষণ করিবেন, ছাত্রদের বিধিসংগত শিক্ষা-বহির্ভূত কার্যাবলীর উৎকর্ষসাধনের জন্য।
৩। (১) এই আইনের বিধান অনুযায়ী 7[ ***] একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হইবে, যাহা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় নামে অভিহিত হইবে।8 (১ক) সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, যে স্থান নির্ধারণ করিবে সে স্থানে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হইবে। প্রথম চ্যান্সেলর ও প্রথম ভাইস-চ্যান্সেলর এবং সিন্ডিকেট ও 9[ একাডেমিক] কাউন্সিলের প্রথম সদস্যবর্গ এবং ইহার পর যে সকল ব্যক্তি অনুরূপ অফিসার বা সদস্য হইবেন, তাঁহারা যতদিন অনুরূপ পদে অধিষ্ঠিত থাকিবেন কিংবা সদস্য থাকিবেন, ততদিন তাঁহাদের লইয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় নামে একটি সংবিধিবব্ধ সংস্থা গঠিত হইবে।(৩) বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ধারাবাহিকতা ও একটি সাধারণ সীলমোহর থাকিবে এবং উক্ত নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে বা বিপক্ষে মামলা দায়ের করা যাইবে।(৪) সরকার সরকারী গেজেটে বিজ্ঞপ্তি দ্বারা যেমন নির্ধারণ করিবেন, সেইরূপ এলাকা লইয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যামপাস গঠিত হইবে।
10[ ৪। (১) বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষাদান ও আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়রূপে এবং ফাজিল ও কামিল মাদ্রাসাসমূহের অধিভুক্তকরণ কর্তৃপক্ষ হিসাবে গণ্য হইবে।(২) বিশ্ববিদ্যালয় এই আইন দ্বারা বা আইনের অধীন প্রদত্ত ক্ষমতা প্রয়োগ করিবে।]
৫। এই আইন ও ১৯৭৩ সালের বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন আদেশের বিধানাবলী -সাপেক্ষে এবং যেরূপ নির্ধারিত হইবে, সেইরূপ শর্তাবলী-সাপেক্ষে, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিম্নরূপ ক্ষমতা ও কার্যাবলী থাকিবেঃ-11 (ক) ধর্মতত্ত্ব ও ইসলামী শিক্ষার অন্যান্য শিক্ষণ-শাখাসমূহ এবং তুলনামূলক আইনবিজ্ঞান ও অনুরূপ অন্যান্য শিক্ষণ-শাখাসমূহে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে শিক্ষা-চর্চার উদ্দেশ্যে বিশ্ববিদ্যালয় যেরূপ উপযুক্ত মনে করিবে সেরূপ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং গবেষণা ও উচ্চতর-গবেষণার ব্যবস্থা গ্রহণসহ জ্ঞানের অগ্রসরতা ও বিকিরণের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ; শিক্ষাক্রম নির্ধারণ;(গ) পরীক্ষা গ্রহণ এবং সেই সকল ব্যক্তিকে সার্টিফিকেট, ডিপ্লোমা, ডিগ্রী ও অন্যান্য 12[ একাডেমিক] সম্মান মঞ্জুর ও প্রদান করা, যে সকল ব্যক্তি-(কক) বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক বা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য প্রদত্ত নির্ধারিত শিক্ষাক্রম অনুসরণ করিয়াছেন, অথবা(খখ) সংবিধিতে বিধৃত শর্তাবলীর অধীন গবেষণা বা ব্যক্তিগত অধ্যয়ন পরিচালনা করিয়াছেন;(ঘ) সংবিধিতে বিধৃত আকারে সম্মানসূচক ডিগ্রী বা অন্যান্য সম্মান প্রদান;(ঙ) বিশ্ববিদ্যালয় যে সকল ব্যক্তিকে স্থির করিয়া দিবেন, সেই সকল ব্যক্তির জন্য বক্তৃতা ও শিক্ষা প্রদানের ব্যবস্থা করা এবং সংবিধিতে বিধৃত শর্তাবলীর অধীন তাঁহাদিগকে ডিপ্লোমা সার্টিফিকেট মঞ্জুর করা;(চ) বিশ্ববিদ্যালয় যে প্রকারে এবং যে উদ্দেশ্যে নির্ধারণ করিয়া দিবেন, সেই প্রকারে এবং সেই উদ্দেশ্যে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় ও কর্তৃপক্ষের সহিত সহযোগিতা করা;(ছ) অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, প্রভাষক এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক প্রয়োজনীয় অন্য যে কোন শিক্ষকের পদ প্রবর্তন এবং সংবিধি অনুযায়ী সেইগুলিতে লোক নিয়োগ করা;(জ) নির্ধারিত শর্তাবলী অনুযায়ী ফেলোশীপ, স্কলারশীপ, পুরস্কার ও মেডেল প্রবর্তন ও বিতরণ;(ঝ) অধ্যাদেশ দ্বারা যেরূপ ফিস নির্ধারণ করা হইবে, সেইরূপ ফিস দাবী ও আদায় করা;(ঞ) শিক্ষাদান ও গবেষণার উন্নয়নের জন্য 13[ একাডেমিক] যাদুঘর, পরীক্ষাগার, বিদ্যালয় ও প্রতিষ্ঠান স্থাপন ও সেইগুলি রক্ষণাবেক্ষণ করা এবং প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা;(ট) ছাত্রাবাসসমূহ স্থাপন ও রক্ষণাবেক্ষণ;(ঠ) বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের আবাস ও শৃঙখলা তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণ, তাঁহাদের পাঠ্যক্রমবহির্ভূত কার্যাবলীর উন্নতিবর্ধন এবং তাঁহাদের স্বাস্থ্য ও নৈতিক চরিত্রের উৎকর্ষসাধনের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ;(ড) ইহার কার্যাবলী সমপাদনে অথবা এই আইনের উদ্দেশ্য পালনে অন্যান্য যে সকল কাজ প্রয়োজন, প্রসঙ্গিক বা সহায়ক হইবে, সেই সকল কাজ করা।
৬। (১) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাক্রমের সঙ্গে সম্পর্কিত সকল অনুমোদিত শিক্ষাদান বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক পরিচালিত হইবে এবং অধ্যাদেশ দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ কর্তৃক পরিচালিত বক্তৃতা, পরীক্ষাগারে বা ওয়ার্কশপে অনুষ্ঠিত অনুপাঠ ও অন্যান্য শিক্ষাদান ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে।(২) এইরূপ শিক্ষাদানের ব্যবস্থা গ্রহণের দায়িত্ব কোন কর্তৃপক্ষের উপর থাকিবে, তাহা সংবিধিতে নির্ধারিত থাকিবে।(৩) শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যসূচী অধ্যাদেশ ও প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে।
৮। (১) গণপ্রজাতন্ত্রী 15[ বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি] বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর থাকিবেন এবং উপস্থিত থাকিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানসমূহে 16[ একাডেমিক] ও সম্মানসূচক ডিগ্রী প্রদানের জন্য সভাপতিত্ব করিবেন।(২) এই আইন বা সংবিধি দ্বারা চ্যান্সেলরকে যেইমতো ক্ষমতা প্রদান করা হইবে, তিনি সেইমতো ক্ষমতার অধিকারী থাকিবেন।(৩) কোন সম্মানসূচক ডিগ্রী প্রদানের প্রতিটি প্রস্তাবের ক্ষেত্রে চ্যান্সেলরের অনুমোদন লইতে হইবে।
৯। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিম্নরূপ অফিসারগণ থাকিবেনঃ-(ক) ভাইস-চ্যান্সেলর,17 (কক) প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর; কোষাধ্যক্ষ,(গ) রেজিস্ট্রার,(ঘ) ডীন,(ঙ) কন্ট্রোলার অফ একজামিনেশনস্,(চ) সংবিধি দ্বারা বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসার হিসাবে ঘোষিত অন্য যে কোন অফিসার।
১০। (১) চ্যান্সেলর যে শর্তাবলী নির্ধারণ করিয়া দিবেন, সেইমতো তিনি চার বৎসরের জন্য ভাইস-চ্যান্সেলর নিয়োগ করিবেন।(২) ভাইস-চ্যান্সেলর কোন সময় অনুপস্থিত থাকিলে অথবা অসুস্থতাবশতঃ বা অন্য কোন কারণে তাঁহার কার্যাবলী সম্পাদনে অসমর্থ হইলে, চ্যান্সেলর ভাইস-চ্যান্সেলরের কার্যাবলী সম্পাদনের জন্য সেইরূপ উপযুক্ত মনে করিবেন, সেইরূপ ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন।
১১। (১) ভাইস-চ্যান্সেলর বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ণকালীন নির্বাহী ও 18[ একাডেমিক] অফিসার থাকিবেন।(২) ভাইস-চ্যান্সেলর চ্যান্সেলরের অনুপস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে সভাপতিত্ব করিবেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কোন কর্তৃপক্ষ অথবা প্রতিষ্ঠানের কোন সভাতে উপস্থিত থাকিতে এবং কথা বলিতে পারিবেন, তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বা প্রতিষ্ঠানের সদস্য না হইলে তাহাতে তাহার ভোট প্রদানের অধিকার থাকিবে না।(৩) ভাইস-চ্যান্সেলর এই বিধানসমূহ, সংবিধি ও অধ্যাদেশসমূহ বিশ্বস্ততার সহিত পরিপালিত হইতেছে কিনা, সে সমপর্কে নিশ্চিয়তাবিধান করিবেন এবং এই উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় ক্ষমতা প্রয়োগ করিবেন।(৪) জরুরী পরিস্থিতির ক্ষেত্রে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রয়োজন মনে করিলে সেইমতো তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন এবং তৎপর সাধারণতঃ যে অফিসার, কর্তৃপক্ষ কিংবা অন্য যে প্রতিষ্ঠান বিষয়টি সম্পর্কে কাজ করেন, তাঁহাকে বা তাঁহাদিগকে যথাশীঘ্র তিনি যে ব্যবস্থা গ্রহণ করিয়াছেন, তাহার একটি রিপোর্ট প্রদান করিবেনঃতবে শর্ত থাকে যে, এই উপ-ধারায় ভাইস-চ্যান্সেলরকে এইরূপ কোন ক্ষমতা প্রদান করে না, যাহাতে তিনি নুতন পদ সৃষ্টি করিতে পারেন অথবা অনুমোদিত বার্ষিক বাজেটে প্রদর্শিত অর্থের পরিমাণ অপেক্ষা অধিক পরিমাণ অর্থ ব্যয় করিতে পারেন।(৫) ভাইস-চ্যান্সেলর অনধিক ছয় মাসের জন্য কোষাধ্যক্ষ ব্যতীত অফিসার, শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগ করিতে পারিবেন এবং এইরূপ নিয়োগের বিষয় সিন্ডিকেটের নিকট রিপোর্ট করিতে হইবেঃতবে শর্ত থাকে যে, কর্তৃপক্ষ কর্তৃক পূর্বেই অনুমোদিত নহে, এইরূপ কোন পদে লোক নিয়োগ করা যাইবে না।(৬) ভাইস-চ্যান্সেলর সিন্ডিকেটের অনুমোদন লইয়া, তিনি প্রয়োজন বিবেচনা করিলে তাঁহার এইরূপ ক্ষমতা ও কার্যাবলী বিশ্ববিদ্যালয়ের যে সকল অফিসারকে উপযুক্ত মনে করিবেন, সেই সকল অফিসারের নিকট অর্পণ করিতে পারিবেন।(৭) ভাইস-চ্যান্সেলর সিন্ডিকেট ও 19[ একাডেমিক] পরিষদের সভা আহবান করিবেন।(৮) বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন কর্তৃপক্ষ বা প্রতিষ্ঠানের কোন সিদ্ধান্ত-প্রস্তাবের সহিত ভাইস-চ্যান্সেলর একমত না হইলে, তিনি সেই সিদ্ধান্ত-প্রস্তাবের বাস্তবায়ন বন্ধ রাখিতে পারেন এবং রায়ের জন্য চ্যান্সেলরের নিকট তাহা পাঠাইতে পারেন এবং সেই ব্যাপারে চ্যান্সেলরের রায় চূড়ান্ত হইবে।(৯) ভাইস-চ্যান্সেলর বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসার ও শিক্ষকগণের নিযুক্তি, কর্মচ্যুতি ও সাময়িক বরখাস্ত এবং তাঁহাদের বিরুদ্ধে অন্যান্য শৃঙখলামুলক ব্যবস্থা গ্রহণ সম্পর্কে সিন্ডিকেটের রায়কে কার্যকর করিবেন।(১০) ভাইস-চ্যান্সেলর বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসার, শিক্ষক ও কর্মচারীগণের উপর সাধারণ নিয়ন্ত্রণ প্রয়োগ করিবেন।(১১) এই আইন, সংবিধি ও অধ্যাদেশ অনুসারে বিশ্ববিদ্যালয়ে শৃঙখলা রক্ষা করিবার দায়িত্ব ভাইস-চ্যান্সেলরের উপর থাকিবে।(১২) ভাইস-চ্যান্সেলর সংবিধি, অধ্যাদেশ ও প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত আর কোন ক্ষমতা থাকিলে তাহা প্রয়োগ করিবেন।
20[ ১১ ক। (১) চ্যান্সেলর, তদ্কর্তৃক নির্ধারিত শর্তে, চার বৎসর মেয়াদে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন অধ্যাপককে প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর নিয়োগ করিতে পারিবেন।(২) উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, চ্যান্সেলর, প্রয়োজন মনে করিলে, যে কোন সময় কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে, প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলরকে তাঁহার পদ হইতে অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবেন।(৩) প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর সংবিধি ও অধ্যাদেশ দ্বারা নির্ধারিত এবং ভাইস-চ্যান্সেলর কর্তৃক প্রদত্ত ক্ষমতা প্রয়োগ ও দায়িত্ব পালন করিবেন।]
১২। 21 (১) চ্যান্সেলর, তদ্কর্তৃক নির্ধারিত শর্ত ও মেয়াদে, একজন কোষাধ্যক্ষ নিয়োগ করিতে পারিবেন এবং এইরূপ নিয়োগপ্রাপ্ত কোষাধ্যক্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন পূর্ণকালীন (whole time) অফিসার হইবেন। কোষাধ্যক্ষ অসুস্থতাবশতঃ কিংবা অন্য কোন কারণে অনুপস্থিত থাকিলে অথবা দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হইলে, চ্যান্সেলর ভাইস-চ্যান্সেলরের নিকট হইতে রিপোর্ট পাইবার পর কোষাধ্যক্ষের দায়িত্ব সম্পাদনের জন্য তিনি যেরূপ উপযুক্ত মনে করিবেন, সেইরূপ ব্যবস্থা করিবেন।(৩) কোষাধ্যক্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক বিষয়াদির যথাযথ ব্যবস্থাপনার জন্য দায়ী থাকিবেন এবং সমস্ত অর্থ যে সকল উদ্দেশ্যে মঞ্জুর বা বরাদ্দ করা হয়, সেই সকল উদ্দেশ্যে তাহা ব্যয়িত হইয়াছে কিনা তাহার নিশ্চয়তা বিধান করিবেন।(৪) কোষাধ্যক্ষ, সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণ সাপেক্ষে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পত্তি ও বিনিয়োগের ব্যবস্থাপনা পরিচালনা করিবেন।(৫) কোষাধ্যক্ষ বার্ষিক বাজেট ও হিসাব-বিবরণ সিন্ডিকেটের সম্মুখে বিবেচনার জন্য পেশ করিবেন।(৬) কোষাধ্যক্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে সকল চুক্তিতে স্বাক্ষর করিবেন।(৭) কোষাধ্যক্ষ, সংবিধি ও অধ্যাদেশ দ্বারা নির্ধারিত আর কোন ক্ষমতা থাকিলে, তাহা প্রয়োগ করিবেন।
১৩। বিশ্ববিদ্যালয়ের যে সকল অফিসার নিয়োগের পদ্ধতি এই আইনের কোথায়ও বিশেষভাবে উল্লেখ নাই, সিন্ডিকেট সংবিধিতে নির্ধারিত পদ্ধতিতে সে সকল অফিসার নিয়োগ করিবেন।
১৪। রেজিস্ট্রার সিন্ডিকেট ও 22[ একাডেমিক] কাউন্সিলের সচিব হিসাবে কাজ করিবেন এবং সংবিধি অনুযায়ী গ্রাজুয়েটদের একটি নিবন্ধ চালু রাখিবেন এবং তিনি সংবিধি ও অধ্যাদেশ দ্বারা নির্ধারিত আর কোন কার্যাবলী থাকিলে তাহা সম্পাদন করিবেন।
১৫। কন্ট্রোলার অব একজামিনেশনস্ পরীক্ষা পরিচালনার সহিত সম্পর্কিত সকল বিষয়ের দায়িত্বে থাকিবেন এবং সংবিধি ও অধ্যাদেশ দ্বারা নির্ধারিত আর কোন কার্যাবলী থাকিলে তাহা সম্পাদন করিবেন।
১৬। (১) হিসাব পরিচালক কোষাধ্যাক্ষের তত্ত্বাবধানে বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিল পরিচালনার দায়িত্বে নিযুক্ত থাকিবেন এবং সংবিধি ও অধ্যাদেশ দ্বারা আর কোন কার্যাবলী নির্ধারিত থাকিলে এবং ভাইস-চ্যান্সেলর তাঁহাকে কোন কাজ দিলে, তিনি তাহা সম্পাদন করিবেন।(২) হিসাব পরিচালক অর্থ-কমিটির সচিব থাকিবেন।
১৮। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ নিম্নরূপ হইবেঃ-(ক) সিন্ডিকেট;(খ) 23[ একাডেমিক] কাউন্সিল;24 (খখ) মাদ্রাসা সংক্রান্ত একাডেমিক কমিটি; ফ্যাকালটিস;(ঘ) পাঠক্রমের কমিটিসমূহ;25 (ঘঘ) কারিকুলাম কমিটি; বোর্ডস্ অব এ্যাডভান্সড্ স্টাডিজ;(চ) অর্থ-কমিটি;(ছ) পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কমিটি;(জ) নির্বাচন বোর্ড;(ঝ) সংবিধি কর্তৃক বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ বলিয়া ঘোষিত অন্য যে কোন কর্তৃপক্ষ।
২০। (১) সিন্ডিকেট হইবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী সংস্থা, এবং এই আইন, সংবিধি, অধ্যাদেশ এবং প্রবিধানসমূহের বিধানাবলী সাপেক্ষে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যাবলী, প্রতিষ্ঠানাদি এবং সম্পত্তিসমূহের উপর সিন্ডিকেটের সাধারণ ব্যবস্থাপনা এবং তত্ত্বাবধানের ক্ষমতা থাকিবে।(২) বিশেষতঃ উপরে বর্ণিত ক্ষমতাবলীর ক্ষেত্রে এবং ইহাদের সাধারণত্বকে ক্ষুন্ন না করিয়া, সিন্ডিকেট-(ক) বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পদ ও তহবিলসমূহ সংগ্রহ, অধিকার বজায়, নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা করিবে;(খ) বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ সীলমোহর কি আকারের হইবে, কোন কর্তৃপক্ষের হেফাজতে ইহা থাকিবে এবং কি পদ্ধতিতে ইহা ব্যবহার করা হইবে তাহা স্থির করিবে;(গ) এই আইন কর্তৃক ভাইস-চ্যান্সেলরকে প্রদত্ত ক্ষমতাবলী সাপেক্ষে, এই আইন , সংবিধি এবং অধ্যাদেশসমূহ মোতাবেক বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট সকল বিষয় নিয়ন্ত্রণ ও নির্ধারণ করিবে;(ঘ) বার্ষিক বাজেট বিবেচনা করিবে এবং কমিশনের মাধ্যমে অনুমোদনের জন্য চ্যান্সেলরের নিকট ইহা পেশ করিবে;(ঙ) বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক গৃহীত সকল উইল এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক চাহিদার একটি পূর্ণ বিবরণী প্রতি বৎসর কমিশনের সমীপে পেশ করিবে;(চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের নিকট বিশেষ উদ্দেশ্যে প্রদত্ত যে কোন তহবিল পরিচালনা করিবে;(ছ) এই আইনে বা সংবিধিতে অন্যভাবে প্রদত্ত বিধান ব্যতীত, বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসার, শিক্ষক এবং কর্মচারী নিয়োগ এবং তাহাদের কর্তব্য ও চাকুরীর শর্তাবলী নির্ধারণ করিবে;(জ) চ্যান্সেলরের অনুমোদন সাপেক্ষে সংবিধি প্রণয়ন; সংশোধন বা বাতিল করিবে;(ঝ) অধ্যাদেশ প্রণয়ন, সংশোধন বা বাতিল করিবে;(ঞ) বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে উইল, দান এবং হস্তান্তরকৃত সম্পত্তি গ্রহণ করিবে;(ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষাসমূহ অনুষ্ঠান ও ইহাদের ফলাফল প্রকাশের ব্যবস্থা করিবে;(ঠ) সংবিধি মোতাবেক অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক বা প্রভাষক এবং অন্যান্য শিক্ষকের পদ সৃষ্টি করিতে পারিবে;(ড) এই আইন বা সংবিধি দ্বারা প্রদত্ত সকল ক্ষমতা প্রয়োগ ও অর্পিত অন্যান্য কার্যাবলী সম্পাদন করিবে;(ঢ) এই আইন বা সংবিধি দ্বারা অন্যভাবে প্রদত্ত নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের এইরূপ অন্যান্য সকল ক্ষমতা প্রয়োগ করিবে।(৩) প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত শর্তাবলী সাপেক্ষে সিন্ডিকেট যেরূপ নির্ধারণ করিবে, সেইরূপ ব্যক্তি বা কর্তৃপক্ষকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসার, শিক্ষক বা কর্মচারী নিয়োগ করিবার ক্ষমতা প্রদান করিতে পারিবে।
২১। (১) 28[ একাডেমিক] কাউন্সিল নিম্নরূপ সদস্য সমন্বয়ে গঠিত হইবে, যথাঃ-(ক) ভাইস-চ্যান্সেলর, যিনি ইহার চেয়ারম্যান হইবেন;29 (কক) প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর, অথবা একাধিক হইলে, সকল প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর; ফ্যাকালটিসমূহের ডীন;(গ) বিভাগসমূহের সকল প্রফেসার এবং চেয়ারম্যান;(ঘ) লাইব্রেরিয়ান;(ঙ) চ্যান্সেলর কর্তৃক মনোনীত আটজন সদস্য; এবং(চ) সকল ডীন এবং বিভাগসমূহের সকল চেয়ারম্যান ব্যতীত, সংবিধি কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতিতে শিক্ষকদের মধ্য হইতে নির্বাচিত দুইজন সহযোগী অধ্যাপক এবং সহযোগী অধ্যাপকের নিম্নের পদের দুইজন শিক্ষক।(২) 30[ একাডেমিক] কাউন্সিলের মনোনীত এবং নির্বাচিত সদস্যসমূহ দুই বৎসর সময়ের জন্য স্বীয় পদে নিযুক্ত হইবেন কিন্তু তাঁহাদের উত্তরাধিকারীগণ কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত তাঁহারা স্বীয় পদে বহাল থাকিবেন।
31[ ২২। একাডেমিক কাউন্সিল, এই আইন, সংবিধি ও অধ্যাদেশ সমূহের বিধান সাপেক্ষে, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ফাজিল ও কামিল মাদ্রাসাসমূহের শিক্ষা ব্যতীত,-(ক) বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষা বিষয়ক প্রধান সংস্থা হইবে;(খ) বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যকার সকল পঠন, শিক্ষা এবং পরীক্ষার মান বজায় রাখিবার জন্য দায়ী থাকিবে এবং উহা নিয়ন্ত্রণ ও সাধারণ তত্ত্বাবধান করিবে;(গ) বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষা সংক্রান্ত সকল বিষয়ে সিন্ডিকেটকে পরামর্শ দান করিবে; এবং(ঘ) সংবিধি দ্বারা প্রদত্ত অন্যান্য ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্যাবলী সম্পাদন করিবে।]
32[ ২২ক। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ফাজিল ও কামিল মাদ্রাসাসমূহের নিয়ন্ত্রণ ও সাধারণ তত্ত্বাবধানের উদ্দেশ্যে একটি মাদ্রাসা সংক্রান্ত একাডেমিক কমিটি থাকিবে, যাহা নিম্নরূপ সদস্য সমন্বয়ে গঠিত হইবে, যথা :-(ক) ভাইস-চ্যান্সেলর, যিনি ইহার চেয়ারম্যানও হইবেন;(খ) প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর অথবা, একাধিক হইলে, সকল প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর;(গ) কোষাধ্যক্ষ;(ঘ) মহাপরিচালক বা তাঁহার প্রতিনিধি, যিনি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত পরিচালক পদমর্যাদার নীচে নহেন;(ঙ) চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড;(চ) সরকার কর্তৃক মনোনীত যে কোন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগের বিভাগীয় প্রধান;(ছ) সরকার কতৃর্ক মনোনীত যে কোন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামী শিক্ষা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান;(জ) বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অনুষদের ডীন;(ঝ) সরকার কর্তৃক মনোনীত সরকারি ফাজিল বা কামিল মাদ্রাসার একজন অধ্যক্ষ;(ঞ) সরকার কতৃর্ক মনোনীত বেসরকারি ফাজিল ও কামিল মাদ্রাসার মুহাদ্দিসগণের মধ্য হইতে দুইজন মুহাদ্দিস;(ট) মাদ্রাসা সংক্রান্ত একাডেমিক কমিটি কর্তৃক মনোনীত একজন ফকিহ্;(ঠ) মাদ্রাসা সংক্রান্ত একাডেমিক কমিটি কর্তৃক মনোনীত একজন মুফাস্সির;(ড) মাদ্রাসা সংক্রান্ত একাডেমিক কমিটি কর্তৃক মনোনীত একজন আদিব;(ঢ) সরকার কর্তৃক মনোনীত বেসরকারি মাদ্রাসার অধ্যক্ষগণের মধ্য হইতে দুইজন অধ্যক্ষ;(ণ) পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক;(ত) মাদ্রাসা পরিদর্শক;(থ) মানবিক, বিজ্ঞান, সামাজিক বিজ্ঞান, বাণিজ্য ও আইন বিষয়ে সিন্ডিকেট কতৃর্ক মনোনীত একজন করিয়া শিক্ষক; এবং(দ) রেজিস্ট্রার, যিনি মাদ্রাসা সংক্রান্ত একাডেমিক কমিটির সদস্য-সচিবও হইবেন।(২) মাদ্রাসা সংক্রান্ত একাডেমিক কমিটির মনোনীত সদস্যগণ দুই বৎসরের জন্য স্বীয় পদে নিযুক্ত হইবেন।(৩) মাদ্রাসা সংক্রান্ত একাডেমিক কমিটির সভায় উহার চেয়ারম্যানসহ দশজন সদস্যের উপস্থিতিতে কোরাম গঠিত হইবে। ]
মাদ্রাসা সংক্রান্ত একাডেমিক কমিটির ক্ষমতা ও কার্যাবলী
33[ ২২খ। মাদ্রাসা সংক্রান্ত একাডেমিক কমিটি, এই আইন, সংবিধি ও অধ্যাদেশসমূহের বিধান সাপেক্ষে,-(ক) বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ফাজিল ও কামিল মাদ্রাসাসমূহের শিক্ষা বিষয়ক প্রধান সংস্থা হইবে;(খ) বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত মাদ্রাসা সংক্রান্ত সকল পঠন, শিক্ষা এবং পরীক্ষার মান বজায় রাখিবার জন্য দায়ী থাকিবে এবং উক্ত মাদ্রাসাসমূহ নিয়ন্ত্রণ ও সাধারণ তত্ত্বাবধান করিবে;(গ) ফাজিল ও কামিল মাদ্রাসা পরিদর্শন ও শিক্ষা সংক্রান্ত সকল বিষয়ে সিন্ডিকেটকে পরামর্শ দান করিবে;(ঘ) কারিকুলাম কমিটির সংখ্যা ও বিষয় নির্ধারণ করিবে এবং কারিকুলাম কমিটি কর্তৃক সুপারিশকৃত পাঠ্যসূচীসমূহ সিন্ডিকেট কর্তৃক অনুমোদনের জন্য সুপারিশ করিবে;(ঙ) সিন্ডিকেট কর্তৃক বিবেচনার উদ্দেশ্যে, ফাজিল ও কামিল মাদ্রাসা শিক্ষা সংক্রান্ত সংবিধি ও অধ্যাদেশের খসড়া প্রণয়ন করিবে; এবং(চ) সংবিধি কর্তৃক প্রদত্ত অন্যান্য ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্যাবলী সম্পাদন করিবে।]
২৩। (১) ইসলামী স্টাডিজ, মানবিক ও সমাজ বিজ্ঞান, ফলিত বিজ্ঞান ও কারিগরি বিদ্যার ফ্যাকালটিসমূহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত থাকিবে এবং সংবিধি কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতিতে বিশ্ববিদ্যালয় নূতন নূতন ফ্যাকালটি সৃষ্টি করিতে পারিবে।(২) 34[ একাডেমিক] কাউন্সিলের নিয়ন্ত্রণ সাপেক্ষে, অধ্যাদেশ কর্তৃক প্রতিটি ফ্যাকালটিতে যে সকল বিষয় নির্ধারণ করিয়া দিবে সেই ফ্যাকালটির উপরই সে সকল বিষয়ে শিক্ষা, পাঠক্রম এবং গবেষনার কার্যাবলীর দাযিত্ব থাকিবে।(৩) ফ্যাকালটিসমূহের সংগঠন এবং ক্ষমতাবলী সংবিধি কর্তৃক নির্ধারিত হইবে।35 (৪) প্রত্যেক ফ্যাকাল্টিতে একজন ডীন থাকিবেন, যিনি, সিন্ডিকেটের অনুমোদনক্রমে, ভাইস-চ্যান্সেলর কতৃর্ক পালাক্রমে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে দুই বৎসরের জন্য নিযুক্ত হইবেন। ডীন ভাইস-চ্যান্সেলরের নিয়ন্ত্রণ এবং সাধারণ তত্ত্বাবধানের অধীন থাকিবেন এবং ফ্যাকালটি সংক্রান্ত সকল সংবিধি, অধ্যাদেশ এবং প্রবিধি পরিচালনের দায়িত্বে নিয়োজিত থাকিবেন।
২৫। প্রত্যেক বিষয় বা কয়েকটি বিষয়ের জন্য একটি পাঠক্রম কমিটি থাকিবে। পাঠক্রম এবং পাঠ্যসূচী প্রণয়নের এবং সংবিধি ও অধ্যাদেশ কর্তৃক ইহার উপর অর্পিত অন্যান্য কার্যের জন্য এই কমিটি দায়ী থাকিবে।
36[ ২৫ক। (১) ফাজিল ও কামিল উভয় স্তরের এক বা একাধিক বিষয়ের জন্য অন্যূন একটি কারিকুলাম কমিটি থাকিবে এবং উহা নিম্নরূপ সদস্য সমন্বয়ে গঠিত হইবে, যথা :-(ক) সংশ্লিষ্ট বিষয়ের বিভাগীয় প্রধান, যিনি ইহার চেয়ারম্যানও হইবেন :তবে শর্ত থাকে যে, সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন বিভাগ না থাকিলে মাদ্রাসা সংক্রান্ত একাডেমিক কমিটি কর্তৃক মনোনীত বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন শিক্ষক উক্ত বিষয়ে কারিকুলাম কমিটির চেয়ারম্যান হইবেন;(খ) মাদ্রাসা সংক্রান্ত একাডেমিক কমিটি কর্তৃক মনোনীত কামিল মাদ্রাসার সংশ্লিষ্ট বিষয়সমূহের দুই জন শিক্ষক;(গ) মাদ্রাসা সংক্রান্ত একাডেমিক কমিটি কর্তৃক মনোনীত ফাজিল মাদ্রাসার সংশ্লিষ্ট বিষয়সমূহের দুই জন শিক্ষক;(ঘ) সিন্ডিকেট কর্তৃক মনোনীত বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিষয়ের দুই জন শিক্ষক।(২) কারিকুলাম কমিটি মাদ্রাসা সংক্রান্ত একাডেমিক কমিটির নিয়ন্ত্রণে থাকিয়া কার্য সম্পাদন করিবে।(৩) কারিকুলাম কমিটির মনোনীত সদস্যগণ দুই বৎসরের জন্য স্বীয় পদে নিযুক্ত হইবেন।(৪) কারিকুলাম কমিটির সভায় চার জন সদস্যের উপস্থিতিতে কোরাম গঠিত হইবে।(৫) কারিকুলাম কমিটি পাঠ্যসূচী প্রণয়ন এবং এই আইন, সংবিধি ও অধ্যাদেশ দ্বারা বা উহাদের অধীন অর্পিত অন্যান্য কার্যাবলী সম্পাদনের জন্য দায়ী থাকিবে।]
২৮। (১) নিম্নলিখিত সদস্যগণের সমন্বয়ে পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কমিটি গঠিত হইবে, যথাঃ-(ক) ভাইস-চ্যান্সেলর যিনি ইহার চেয়ারম্যানও হইবেন;38 (কক) প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর অথবা, একাধিক হইলে, চ্যান্সেলর কর্তৃক মনোনীত প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর; কোষাধ্যক্ষ;(গ) পালাক্রমে ভাইস-চ্যান্সেলর কর্তৃক মনোনীত একজন ডীন;(ঘ) বিশ্ববিদ্যালয়ের বাহির হইতে ভাইস-চ্যান্সেলর কর্তৃক মনোনীত একজন স্থপতি বা প্রকৌশলী;(ঙ) চ্যান্সেলর কর্তৃক মনোনীত অর্থ বিষয়ে একজন সুদক্ষ ব্যক্তি;(চ) সরকার কর্তৃক মনোনীত একজন অফিসার।(ছ) পরিকল্পনা ও উন্নয়ন অফিসার যিনি ইহার সচিব হইবেন।(২) মনোনীত সদস্যবৃন্দ তিন বৎসর সময় স্ব স্ব পদে অধিষ্ঠিত থাকিবেন এবং তাহাদের উত্তরাধিকারীগণ কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত তাঁহারা স্বীয় পদে বহাল থাকিবেন।(৩) সংবিধি দ্বারা নির্ধারিত কার্যাবলী পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কমিটি সম্পাদন করিবেন।
২৯। (১) বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিষয়ের অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক, প্রভাষক এবং অন্যান্য শিক্ষক পদে নিয়োগের উদ্দেশ্যেও সুপারিশ করার জন্য বাছাই বোর্ডসমূহ থাকিবে।(২) সংবিধি বাছাই বোর্ডসমূহের সংগঠন এবং কার্যাবলী নিরুপণ করিয়া দিবে।
৩১। এই আইনের বিধান সাপেক্ষে, সংবিধিসমূহ নিম্নলিখিত সকল বা যে কোন বিষয়ের, যথাঃ-(ক) সম্মানসূচক ডিগ্রী অর্পণ;(খ) ফেলোশীপ, বৃত্তি, প্রদর্শনী এবং পুরস্কার প্রবর্তন;(গ) অফিসার এবং শিক্ষকদের পদবী, ক্ষমতা ও কর্তব্য এবং চাকুরীর শর্তাবলী;(ঘ) কর্তৃপক্ষসমূহের সংগঠন, ক্ষমতা এবং কার্যাবলী;(ঙ) শিক্ষাবিষয়ক যাদুঘর, স্কুল এবং প্রতিষ্ঠানসমূহ স্থাপন এবং রক্ষণাবেক্ষণ, এবং শিক্ষা ও গবেষণার উৎকর্ষসাধনের জন্য প্রদর্শনীয় ব্যবস্থা এবং ইহাদের প্রশাস ও ব্যবস্থাপনা;(চ) ছাত্রাবাসসমূহ প্রতিষ্ঠা এবং রক্ষণাবেক্ষণ;(ছ) অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক, প্রভাষক এবং অন্যান্য শিক্ষকদের বাছাই ও নিয়োগের পদ্ধতি;(জ) বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসার, শিক্ষক ও কর্মচারীদের কল্যাণার্থে অবসরভাতা, গোষ্ঠী-বীমা, কল্যাণ ও ভবিষ্য তহবিলের সংগঠন;(ঝ) স্নাতকদের তালিকা সংরক্ষণ; এবং(ঞ) এই আইন মোতাবেক সংবিধি কর্তৃক নির্ধারিত অথবা নির্ধারিত হইতে পারে এইরূপ অন্যান্য সকল বিষয়ের জন্য বিধান করা হইবে।
৩২। (১) এই আইন বলবৎ হওয়ার দুই বৎসরের মধ্যে চ্যান্সেলর সংবিধি প্রণয়ন করিতে পারিবেন এবং যে কোন সময়ে তাহা সংশোধন বা বাতিল করিতে পারিবেন।(২) যে কোন সময়ে সিন্ডিকেট সংবিধি প্রণয়ন করিতে পারিবেন এবং তাহা সংশোধন বা বাতিল করিতে পারিবেন।(৩) সিন্ডিকেট কর্তৃক প্রণীত সকল সংবিধি এবং এতদসম্পর্কে সকল সংশোধনী এবং বাতিলকৃত বিষয় চ্যান্সেলরের নিকট তাঁহার অনুমোদনের জন্য পেশ করিতে হইবে।(৪) কোন সংবিধি বা এতদসম্পর্কে কোন সংশোধন বা কোন বাতিলকৃত বিষয় চ্যান্সেলর কর্তৃক অনুমোদিত না হওয়া পর্যন্ত বৈধ হইবে না।(৫) অন্যভাবে বিধান করা না থাকিলে, কোন কর্তৃপক্ষের সংগঠন, ক্ষমতা এবং কার্যাবলীর ক্ষতিকারক কোন সংবিধি সিন্ডিকেট ততক্ষণ প্রস্তাব করিতে পারিবেন না, যতক্ষণ পর্যন্ত উক্ত কর্তৃপক্ষকে এই প্রস্তাবের সম্পর্কে মতামত প্রকাশের সুযোগ প্রদান করা না হয়।(৬) প্রস্তাবিত সংবিধি সম্পর্কে কর্তৃপক্ষের মতামত লিখিত আকারে থাকিতে হইবে এবং সিন্ডিকেট তাহা বিবেচনা করিবেন এবং প্রস্তাবিত সংবিধিসহ খসড়া আকারে উক্ত মতামত চ্যান্সেলরের নিকট পেশ করিবেন।
৩৩। এই আইন ও সংবিধির বিধান সাপেক্ষে, অধ্যাদেশসমূহে নিম্নরূপ সকল বা যে কোন একটি বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকিতে পারিবে, যথাঃ-(ক) বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ডিগ্রী, সার্টিফিকেট এবং ডিপ্লোমার জন্য প্রণীত পাঠক্রম;(খ) শিক্ষাদানের পদ্ধতি;(গ) বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রী, সার্টিফিকেট বা ডিপ্লোমার পাঠক্রমে ভর্তি, পরীক্ষাসমূহে উপস্থিত এবং ডিগ্রী, সার্টিফিকেট ও ডিপ্লোমা পাওয়ার যোগ্যতার শর্তাবলী;(ঘ) 39[ বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইহার অধিভুক্ত ফাজিল ও কামিল মাদ্রাসায়] ছাত্রদের ভর্তি;(ঙ) বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের বসবাসের শর্তাবলী;(চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠক্রমে ও ছাত্রাবাসে ভর্তি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা, ডিগ্রী, সার্টিফিকেট এবং ডিপ্লোমার জন্য আদায়যোগ্য ফিস;(ছ) ফ্যাকালটিসমূহের অধীন শিক্ষা প্রদানের বিভাগগুলি গঠন;(জ) পরীক্ষাদি পরিচালনা; এবং(ঝ) এই আইন বা সংবিধি বা অধ্যাদেশ কর্তৃক প্রদত্ত বিধান মোতাবেক অন্য সকল বিষয়।
৩৪। (১) সিন্ডিকেট অধ্যাদেশ প্রণয়ন করিবেনঃতবে শর্ত থাকে যে, এমন কোন অধ্যাদেশ প্রণয়ন করা যাইবে না, যাহা-(ক) 40[ একাডেমিক] কাউন্সিল এতদসমপর্কে খসড়া প্রস্তাব পেশ না করা পর্যন্ত, ছাত্রদের ভর্তিকে ক্ষতিগ্রস্ত করিবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষাগুলির সমকক্ষ হিসাবে স্বীকৃত পরীক্ষার নির্ধারণ করিবে; অথবা(খ) সংশিষ্ট ফ্যাকালটির সুপারিশ মোতাবেক, 41[ একাডেমিক] কাউন্সিল এতদসম্পর্কে কোন খসড়া প্রস্তাব পেশ না করা পর্যন্ত, পরীক্ষা গ্রহণ অথবা পরীক্ষার মান বা শিক্ষাক্রমকে ক্ষতিগ্রস্ত করিবে;(২) (১) উপ-ধারা অনুসারে 42[ একাডেমিক] কাউন্সিলের প্রস্তাবিত কোন খসড়া প্রস্তাবকে সংশোধন করার কোন ক্ষমতা সিন্ডিকেটের এক্তিয়ারে থাকিবে না, তবে সিন্ডিকেট এইরূপ খসড়া প্রস্তাব প্রত্যাখান করিতে পারিবেন, অথবা সিন্ডিকেটের নিজের কোন সংশোধনী প্রস্তাব থাকিলে তাহা এবং খসড়া প্রস্তাব একত্রে পুনর্বিবেচনার জন্য 43[ একাডেমিক] কাউন্সিলের নিকট ফেরত পাঠাইতে পারিবেন।(৩) যেক্ষেত্রে সিন্ডিকেট 44[ একাডেমিক] কাউন্সিল কর্তৃক প্রস্তাবিত কোন অধ্যাদেশের খসড়াকে প্রত্যাখান করিবেন, সেক্ষেত্রে প্রস্তাবের তারিখ হইতে ছয় মাস সময় অতিরিক্ত হওয়ার পরে 45[ একাডেমিক] কাউন্সিল সিন্ডিকেটের নিকট ঐ একই খসড়া প্রস্তাব পেশ করিতে পারিবেন।
ফাজিল ও কামিল মাদ্রাসার সহিত সংশ্লিষ্ট অধ্যাদেশ প্রণয়ন
46[ ৩৪ক। (১) ফাজিল ও কামিল মাদ্রাসার সহিত সংশ্লিষ্ট অধ্যাদেশসমূহ সিন্ডিকেট কর্তৃক প্রণীত হইবে।(২) মাদ্রাসা সংক্রান্ত একাডেমিক কমিটি কর্তৃক প্রস্তুতকৃত অধ্যাদেশের খসড়া সিন্ডিকেটের নিকট প্রেরণ করিতে হইবে।(৩) উপ-ধারা (২) অনুসারে প্রেরিত অধ্যাদেশের খসড়া বাতিল করিবার কোন ক্ষমতা সিন্ডিকেটের এখতিয়ারে থাকিবে না, তবে সিন্ডিকেট উহা সংশোধন করিতে পারিবে এবং মাদ্রাসা সংক্রান্ত একাডেমিক কমিটিতে উহা ফেরত পাঠাইতেপারিবে।(৪) সিন্ডিকেট কতৃর্ক অধ্যাদেশের খসড়া ফেরত পাঠানো হইলে, মাদ্রাসা সংক্রান্ত একাডেমিক কমিটি সংশোধনীসমূহ বিবেচনা করিয়া সংশোধনীসহ পুনরায় উহা সিন্ডিকেটে প্রেরণ করিতে পারিবে, অথবা সংশোধনীসমূহ বিবেচনা না করিয়া ছয় মাস অতিক্রান্ত হইবার পর অধ্যাদেশের মূল খসড়া সিন্ডিকেটে প্রেরণ করিতে পারিবে।(৫) উপ-ধারা (৪) এ উল্লিখিত সময় অতিক্রান্ত হইবার পর অধ্যাদেশের মূল খসড়া প্রেরণ করা হইলে, অধ্যাদেশটি সিন্ডিকেট কতৃর্ক অনুমোদিত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে।]
৩৫। (১) কর্তৃপক্ষ এই আইন, সংবিধি এবং অধ্যাদেশসমূহের সংগে সঙ্গতিপূর্ণ প্রবিধিসমূহ প্রণয়ন করিতে পারিবেন, যাহা_(ক) বৈঠকের অনুসরণীয় নিয়মাবলী প্রণয়ন এবং কোরামের জন্য প্রয়োজনীয় সদস্য সংখ্যা নিরুপণ করিবে;(খ) এই আইন, সংবিধি বা অধ্যাদেশসমুহ মোতাবেক প্রবিধিসমুহ কর্তৃক নির্ধারিত সকল বিষয় সম্পর্কে বিধান করা যাইবে;(গ) এই আইন, সংবিধি বা অধ্যাদেশসমুহে বিধৃত নাই অথচ কর্তৃপক্ষের সংগে কেবল সংশ্লিষ্ট এমন অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে বিধান করা যাইবে;(২) প্রত্যেক কর্তৃপক্ষ বৈঠকের তারিখ এবং বৈঠকের আলোচ্য বিষয় সমপর্কে কর্তৃপক্ষের সদস্যদিগকে নোটিশদান এবং বৈঠকের কার্যবিবরণী রেকর্ড রাখার বিধান সম্বলিত প্রবিধিসমূহ প্রণয়ন করিতে পারিবেনঃতবে শর্ত থাকে যে, কোন কর্তৃপক্ষ যদি এইরূপ নির্দেশের সম্পর্কে অসন্তুষ্ট হন, তাহা হইলে তাঁহারা চ্যান্সেলরের নিকট আপীল করিতে পারিবেন এবং সেক্ষেত্রে চ্যান্সেলরের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলিয়া পরিগণিত হইবে।
৩৬। কোন বিশেষ কারণে ভাইস-চ্যান্সেলর কর্তৃক ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে অথবা বাহিরে থাকার জন্য বিশেষ অনুমতি না পাওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেক ছাত্রকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবাসে বসবাস করিতে হইবে।
৩৯। (১) অধ্যাদেশসমূহে যে পদ্ধতি নির্ধারণ করা হইবে সে পদ্ধতিতে সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলি পরীক্ষা পরিচালনা করার জন্য সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন এবং অধ্যাদেশসমূহে যে পদ্ধতি নির্ধারণ করা হইবে সে পদ্ধতিতে 47[ একাডেমিক] কাউন্সিল সকল পরীক্ষক নিয়োগ করিবেন।(২) কোন পরীক্ষা চলাকালে কোন পরীক্ষক যদি কোন কারণে পরীক্ষকের দায়িত্ব পালনে অপারগ হন, তাহা হইলে ভাইস-চ্যান্সেলর শুন্য পদে অন্য পরীক্ষক নিয়োগ করিবেন।(৩) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাদানকারী বিভাগের অন্তর্ভুক্ত প্রত্যেক বিষয়ে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন ডিগ্রীর জন্য প্রয়োজনীয় শিক্ষাক্রমের অংশ হিসাবে পরিগণিত প্রতিটি বিষয়ের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নন অনততঃ এমন একজন পরীক্ষক নিয়োগ করিতে হইবে।(৪) 48[ একাডেমিক] কাউন্সিল পরীক্ষা-কমিটিসমুহ নিয়োগ করিবেন যাহার সদস্য ইহার বিবেচনায় পরীক্ষার প্রশ্ন চূড়ান্তকরণ, পরীক্ষার ফলাফল প্রস্তুতকরণ এবং এইরূপ ফলাফলের প্রতিবেদন প্রকাশ করার জন্য সিন্ডিকেটের নিকট প্রেরণের উপযুক্ত এবং প্রয়োজনে এইরূপ অপর যে কোন ব্যক্তিদিগকে 349[ একাডেমিক] কাউন্সিল নিয়োগ দিতে পারিবেন।
৪০। (১) নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ যে যে শর্ত নির্ধারণ করিবেন, সে সে শর্ত অনুসারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেক অফিসার, অথবা বেতনভোগী শিক্ষক এবং কর্মচারী নিযুক্ত হইবেন এবং এই আইন ও সময়ে সময়ে যে সকল সংবিধি, অধ্যাদেশ এবং প্রবিধি বলবৎ হইবে তাহার দ্বারা তাঁহারা নিয়ন্ত্রিত হইবেন।(২) বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন অফিসার, বেতনভোগী শিক্ষক অথবা কর্মচারী যদি সংসদ-সদস্য হওয়ার জন্য নির্বাচনে প্রার্থী হন, তাহা হইলে তিনি মনোনয়নপত্র দাখিল করার তারিখের পূর্বেই বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকুরী হইতে পদত্যাগ করিবেন।৩) উচ্ছশৃখলতা, অযোগ্যতা, অসদাচরণ অথবা নৈতিক অধঃপতনের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন অফিসার, বেতনভোগী শিক্ষক অথবা কর্মচারীকে তাঁহার মর্যাদা অবনমিত করা যাইবে, অথবা চাকুরী হইতে অবসর গ্রহণ, অপসারণ অথবা বরখাস্ত করা যাইবে, কিন্তু(ক) ভিজিটরের পূর্ব-অনুমতি ব্যতীত ভাইস-চ্যান্সেলর, অথবা কোষাধ্যাক্ষ;(খ) ভাইস-চ্যান্সেলর পূর্ব-অনুমতি ব্যতীত বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য কোন অফিসার অথবা কোন শিক্ষক;(গ) ভাইস-চ্যান্সেলর পূর্ব-অনুমতি ব্যতীত বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য কোন কর্মচারীর বিরুদ্ধে এইরূপ কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাইবে না।
৪১। সিন্ডিকেটের নির্দেশ মোতাবেক বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক প্রতিবেদন প্রণয়ন করিতে হইবে এবং পরবর্তী অর্থ-বৎসরের অক্টোবর মাসের প্রথম তারিখে অথবা ইহার পূর্বেই তাহ ভাইস-চ্যান্সেলরের নিকট পেশ করিতে হইবে।
৪২। (১) সিন্ডিকেটের নির্দেশ মোতাবেক হিসাব পরিচালক বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক হিসাব এবং প্রাপ্তি ও ব্যয়ের ব্যালেন্স সিট তৈরী করিবেন এবং হিসাব-নিরীক্ষার জন্য কমিশনের নিকট তাহা পেশ করিবে।(২) হিসাব-নিরীক্ষার প্রতিবেদনসহ হিসাবসমূহ চ্যান্সেলরের নিকট পেশ করিতে হইবে।
৪৩। এই আইনে অথবা সংবিধিতে অথবা অধ্যাদেশসমূহে এমন কোন বিধান বিদ্যমান না থাকার কারণে যদি কোন কর্তৃপক্ষের বা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য কোন সংস্থার কোন ব্যক্তির সদস্য হওয়ার যোগ্যতা রহিয়াছে কিনা এইরূপ কোন প্রশ্ন দেখা দেয়, তাহা হইলে বিষয়টি চ্যান্সেলরের নিকট প্রেরণ করিতে হইবে এবং সেক্ষেত্রে তাঁহার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হইবে।
৪৪। যেক্ষেত্রে এই আইন অথবা সংবিধিসমূহ কোন কর্তৃপক্ষকে কমিটি নিয়োগের ক্ষমতা প্রদান করে অন্যভাবে কোন বিধান না থাকিলে, সেক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ যে সকল সদস্যকে অথবা অন্যান্য ব্যক্তিদিগকে উপযুক্ত বলিয়া বিবেচনা করিবেন তাঁহাদের সমন্বয়ে এইরূপ কমিটি গঠন করিতে পারিবেন।
৪৫। পদাধিকারবলে গৃহীত সদস্যগণ ব্যতীত বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন কর্তৃপক্ষ বা অন্য কোন সংস্থার সদস্যগণের মধ্যে সৃষ্ট সকল আকস্মিক শুন্যপদ যথাশীঘ্র সম্ভব ঐ ব্যক্তি বা ঐ সংস্থা পুরণ করিবেন, যিনি বা যাঁহারা যে সদস্যের কারণে পদটি শুন্য হইয়াছে তাঁহাকে মনোনীত বা নির্বাচিত করিয়াছেন এবং এইরুপ শুন্য পদে মনোনীত বা নির্বাচিত ব্যক্তি ঐ অসমাপ্ত সময় পর্যন্ত উক্ত কর্তৃপক্ষের সদস্য থাকিবেন যে সময়ে তিনি যাঁহার স্থলাভিষিক্ত হইয়াছেন তাঁহার সদস্য পদ বহাল থাকিত।
৪৭। (১) বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন অফিসার বা কর্তৃপক্ষের কোন আদেশের বিরুদ্ধে চ্যান্সেলরের নিকট দরখাস্তের মাধ্যমে আপীল করা যাইবে এবং চ্যান্সেলর সংশ্লিষ্ট অফিসার বা কর্তৃপক্ষের নিকট এই আপীলের একটি প্রতিলিপি প্রেরণ করিবেন এবং কোন আপীল গ্রহণ করা যাইবে না এই মর্মে তিনি উক্ত অফিসার বা কর্তৃপক্ষকে কারণ দর্শানোর সুযোগ দিবেন।(২) চ্যান্সেলর এইরূপ আপীল প্রত্যাখান করিতে পারিবেন অথবা প্রয়োজন মনে করিলে তিনি বিষয়টি তদন্ত করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসার নন অথবা কর্তৃপক্ষের সদস্য নন এমন সদস্যদের সমন্বয়ে একটি তদন্ত কমিশন নিয়োগ করিতে পারিবেন এবং কমিশন উক্ত বিষয়ে তাঁহার নিকট প্রতিবেদন পেশ করিবেন।(৩) তদন্ত কমিশনের প্রতিবেদন পাওয়ার পর চ্যান্সেলর যেরূপ উপযুক্ত মনে করিবেন সেইরূপ আদেশ দিতে পারিবেন।(৪) (২) উপ-ধারার অধীন নিযুক্ত কোন তদন্ত কমিশন কিছু কাগজপত্র বা তথ্যাবলীকে তদন্তাধীন বিষয়টির সংগে সংশ্লিষ্ট বলিয়া মনে করিলে, কোন অফিসার অথবা কোন কর্তৃপক্ষকে তাহা সরবরাহ করার জন্য কমিশন অনুরোধ করিতে পারিবেন এবং এইরূপ অনুরোধ উক্ত অফিসার বা কর্তৃপক্ষ রক্ষা করিতে বাধ্য থাকিবেন।
৪৮। সংবিধিসমূহে যে পদ্ধতি এবং যে সকল শর্ত নির্ধারণ করা হইবে তাহা সাপেক্ষে, বিশ্ববিদ্যালয় ইহার অফিসার, শিক্ষক এবং কর্মচারীগণের মঙ্গলের জন্য যেরূপ অবসরভাতা, গোষ্ঠী-বীমা, মঙ্গল এবং ভবিষ্য তহবিল গঠন করা উচিত মনে করিবেন তাহা গঠন করিতে পারিবেন এবং যেরূপ গ্রাচুইটি তাহাদের দেওয়া সমীচীন মনে করিবেন সেইরূপ প্রদান করিতে পারিবেন।
৪৯। যদি চ্যান্সেলর মনে করেন যে, কোন কর্তৃপক্ষের কোন সিদ্ধান্ত-প্রস্তাব বা কোন সিদ্ধান্ত এই আইন বা কোন সংবিধির কোন বিধানের পরিপন্থী, তাহা হইলে তিনি এইরূপ সিদ্ধান্ত-প্রস্তাব বা সিদ্ধান্তকে বাতিল বলিয়া ঘোষণা করিতে পারিবেন অথবা উক্ত বিধানের সংগে সামঞ্জস্যপূর্ণ করিয়া তিনি উক্ত সিদ্ধান্ত-প্রস্তাব বা সিদ্ধান্তকে সংশোধন করিতে পারিবেন।
50[ ৪৯ক। (১) ফাজিল ও কামিল মাদ্রাসা সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যাদি সম্পর্কিত ব্যয় নির্বাহের জন্য “মাদ্রাসা শিক্ষা তহবিল” নামে একটি তহবিল থাকিবে।(২) মাদ্রাসা শিক্ষা তহবিলে নিম্নবর্ণিত অর্থ জমা হইবে, যথা :-(ক) সরকার হইতে প্রাপ্ত বরাদ্দ;(খ) ফাজিল ও কামিল মাদ্রাসা হইতে সংগৃহীত ফি;(গ) অন্যান্য উৎস হইতে প্রাপ্ত অর্থ।(৩) মাদ্রাসা সম্পর্কিত ব্যয় নির্বাহের জন্য মাদ্রাসা শিক্ষা তহবিল কোষাধ্যক্ষের সার্বিক তত্ত্বাবধানে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক ব্যবহৃত হইবে।(৪) উপ-ধারা (৩) এ উল্লিখিত ব্যয় নির্বাহের জন্য বাজেট বরাদ্দ থাকিবে।(৫) সিন্ডিকেটের পূর্বানুমোদনক্রমে, উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত তহবিল যে কোন তফসিলি ব্যাংকে জমা রাখিতে হইবে।]
৫০। বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যাবলী সম্পাদনের ক্ষেত্রে অথবা কোন কর্তৃপক্ষের প্রথম বৈঠকের বিষয়ে অথবা অন্যভাবে এই আইনের বিধানাবলীকে প্রথম কার্যকরী করার ব্যাপারে কোন অসুবিধা দেখা দিলে, সকল কর্তৃপক্ষ গঠিত হওয়ার পূর্বে যে কোন সময়ে চ্যান্সেলর এই আইনের অথবা সংবিধির বিধানাবলীর সঙ্গে যথাসম্ভব সঙ্গতিপূর্ণভাবে যে কোন পদে নিয়োগদান করিতে পারিবেন অথবা এমন কাজ করিতে পারিবেন যাহা উক্ত অসুবিধা দূর করার জন্য প্রয়োজনীয় এবং বাস্তবসম্মত বলিয়া তাঁহার নিকট প্রতীয়মান হইবে, সেক্ষেত্রে এইরূপ নিয়োগ বা ব্যবস্থা এই আইনের বিধানাবলী অনুসারে করা হইয়াছে বা গৃহীত হইয়াছে মনে করিয়া এইরূপ প্রত্যেকটি আদেশ কার্যকরী করিতে হইবে।
51[ ৫১। (১) বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের আওতাধীন ২০০৫-২০০৬ শিক্ষাবর্ষে ফাজিল ও কামিল মাদ্রাসায়-(ক) যে সকল ছাত্র-ছাত্রী ২ (দুই) বৎসর মেয়াদী কোর্সে ভর্তি হইয়াছে এবং যাহাদের পরীক্ষা ২০০৭ সনে অনুষ্ঠিত হইবে, সে সকল ছাত্র-ছাত্রীদের পরীক্ষা বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক গৃহীত হইবে;(খ) যে সকল ছাত্র-ছাত্রী ৩(তিন) বৎসর মেয়াদী কোর্সে ভর্তি হইয়াছে সে সকল ছাত্র- ছাত্রীদের পরীক্ষা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক গৃহীত হইবে;(গ) অধ্যয়নরত যে সকল ছাত্র-ছাত্রী দফা (ক) এর অধীন অনুষ্ঠেয় পরীক্ষায় অকৃতকার্য হইবে, সে সকল ছাত্র-ছাত্রীদের রেজিস্ট্রেশনের মেয়াদ কার্যকর থাকা সাপেক্ষে, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক পরীক্ষা গৃহীত হইবে;(ঘ) দফা (গ) এর অধীনে যে সকল ছাত্র-ছাত্রী অকৃতকার্য হইয়া রেজিস্ট্রেশনের মেয়াদ কার্যকর থাকা সাপেক্ষে ২০০৮ সনে বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ফাজিল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করিয়া উত্তীর্ণ হইবে, তাহারা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ২০০৮-২০০৯ শিক্ষাবর্ষে কামিল প্রথম বর্ষে ভর্তির সুযোগ পাইবে; তবে ভর্তিকৃত ছাত্র-ছাত্রীদের স্নাতক ডিগ্রী মান প্রদানের জন্য মাদ্রাসা সংক্রান্ত একাডেমিক কমিটি কর্তৃক নির্ধারিত বিষয় ও পদ্ধতিতে ৩০০ (তিনশত) নম্বরের ফাজিল বি, এ (বিশেষ) পরীক্ষার ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে হইবে, এবং ২০০৬-২০০৭ ও ২০০৭-২০০৮ শিক্ষাবর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ে কামিল শ্রেণীতে ভর্তি হওয়ার পরও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক গৃহীত ফাজিল বি, এ (বিশেষ) পরীক্ষায় যে সকল ছাত্র-ছাত্রী কোন কারণে অংশগ্রহণ করিতে পারিবে না, বা অংশগ্রহণ করিবার পর অকৃতকার্য হইবে, তাহারাও ২০০৮-২০০৯ শিক্ষাবর্ষে কামিল শ্রেণীতে পুনরায় ভর্তির সুযোগ পাইবে ও ফাজিল বি, এ (বিশেষ) পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাইবে।(২) যে সকল ছাত্র-ছাত্রী বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের আওতাধীন ২০০৬-২০০৭ এবং ২০০৭-২০০৮ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হইয়াছে, সে সকল ছাত্র-ছাত্রীদের স্নাতক ডিগ্রী প্রদানের ক্ষেত্রে, বিশ্ববিদ্যালয় মাদ্রাসা সংক্রান্ত একাডেমিক কমিটি কর্তৃক নির্ধারিত বিষয় ও পদ্ধতিতে ৩০০(তিনশত) নম্বরের ফাজিল বি, এ (বিশেষ) পরীক্ষার ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে।]
“মানসম্মত শিক্ষাদানের উদ্দেশ্যে একটি আবাসিক ইসলামী” শব্দগুলি “শান্তিডাঙ্গা-দুলালপুরে শিক্ষাদান ও আবাসিক” শব্দগুলির পরিবর্তে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ১৫ নং আইন) এর ২ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত যাহা ২ নভেম্ভর, ১৯৮২ তারিখ হইতে কার্যকর।
2
“একাডেমিক” শব্দটি “অ্যাকাদেমী” শব্দটির পরিবর্তে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ১৫ নং আইন) এর ৪ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
3
“একাডেমিক” শব্দটি “অ্যাকাদেমী” শব্দটির পরিবর্তে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ১৫ নং আইন) এর ৪ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
4
দফা (কক) ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ১৫ নং আইন) এর ৫(ক) ধারাবলে সন্নিবেশিত যাহা ১১ অক্টোবর, ২০০৬ তারিখ হইতে কার্যকর। ।
5
দফা (গগ) ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ১৫ নং আইন) এর ৫(খ) ধারাবলে সন্নিবেশিত যাহা ১১ অক্টোবর, ২০০৬ তারিখ হইতে কার্যকর।
6
“একাডেমিক” শব্দটি “অ্যাকাদেমী” শব্দটির পরিবর্তে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ১৫ নং আইন) এর ৪ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
7
“কুষ্টিয়া ও যশোহর জেলার শান্তিডাঙ্গা-দুলালপুরে” শব্দগুলি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ১৫ নং আইন) এর ৬(ক) ধারাবলে বিলুপ্ত যাহা ২ নভেম্বর, ১৯৮২ হইতে কার্যকর হইবে।
8
উপ-ধারা (১ক) ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ১৫ নং আইন) এর ৬(খ) ধারাবলে সন্নিবেশিত যাহা ২ নভেম্ভর, ১৯৮২ হইতে কার্যকর।
9
“একাডেমিক” শব্দটি “অ্যাকাদেমী” শব্দটির পরিবর্তে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ১৫ নং আইন) এর ৪ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
10
ধারা ৪ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ১৫ নং আইন) এর ৭ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত যাহা ১১ অক্টোবর, ২০০৬ হইতে কার্যকর।
11
দফা (ক) ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ১৫ নং আইন) এর ৮ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত যাহা ২ নভেম্ভর, ১৯৮২ হইতে কার্যকর।
12
“একাডেমিক” শব্দটি “অ্যাকাদেমীয়” শব্দটির পরিবর্তে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ১৫ নং আইন) এর ৪ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
13
“একাডেমিক” শব্দটি “অ্যাকাদেমী” শব্দটির পরিবর্তে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ১৫ নং আইন) এর ৪ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
14
ধারা ৭ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ১৫ নং আইন) এর ৯ ধারাবলে বিলুপ্ত যাহা ২ নভেম্ভর, ১৯৮২ হইতে কার্যকর।
15
“বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি” শব্দগুলি “বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী” শব্দগুলির পরিবর্তে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (সংশোধন) আইন, ২০০৯ (২০০৯ সনের ৪৬ নং আইন) এর ২ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
16
“একাডেমিক” শব্দটি “অ্যাকাদেমী” শব্দটির পরিবর্তে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ১৫ নং আইন) এর ৪ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
17
দফা (কক) ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ১৫ নং আইন) এর ১০ ধারাবলে সন্নিবেশিত যাহা ১৩ এপ্রিল, ১৯৯৯ তারিখ হইতে কার্যকর।
18
“একাডেমিক” শব্দটি “অ্যাকাদেমী” শব্দটির পরিবর্তে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ১৫ নং আইন) এর ৪ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
19
“একাডেমিক” শব্দটি “অ্যাকাদেমী” শব্দটির পরিবর্তে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ১৫ নং আইন) এর ৪ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
20
ধারা ১১ক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ১৫ নং আইন) এর ১১ ধারাবলে সন্নিবেশিত যাহা ১৩ এপ্রিল, ১৯৯৯ তারিখ হইতে কার্যকর।
21
উপ-ধারা (১) ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ১৫ নং আইন) এর ১২ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত যাহা ২ নভেম্ভর, ১৯৮২ তারিখ হইতে কার্যকর।
22
“একাডেমিক” শব্দটি “অ্যাকাদেমী” শব্দটির পরিবর্তে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ১৫ নং আইন) এর ৪ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
23
“একাডেমিক” শব্দটি “অ্যাকাদেমী” শব্দটির পরিবর্তে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ১৫ নং আইন) এর ৪ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
24
দফা (খখ) ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ১৫ নং আইন) এর ১৩(ক) ধারাবলে সনি্নবেশিত যাহা ১১ অক্টোবর, ২০০৬ তারিখ হইতে কার্যকর।
25
দফা (ঘঘ) ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ১৫ নং আইন) এর ১৩(খ) ধারাবলে সন্নিবেশিত যাহা ১১ অক্টোবর, ২০০৬ তারিখ হইতে কার্যকর।
26
উপ-ধারা (১) এবং (১ক) ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ১৫ নং আইন) এর ১৪ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
27
“একাডেমিক” শব্দটি “অ্যাকাদেমী” শব্দটির পরিবর্তে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ১৫ নং আইন) এর ৪ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
28
“একাডেমিক” শব্দটি “অ্যাকাদেমী” শব্দটির পরিবর্তে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ১৫ নং আইন) এর ৪ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
29
দফা (কক) ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ১৫ নং আইন) এর ১৫ ধারাবলে সন্নিবেশিত যাহা ১৩ এপ্রিল, ১৯৯৯ তারিখ হইতে কার্যকর।
30
“একাডেমিক” শব্দটি “অ্যাকাদেমী” শব্দটির পরিবর্তে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ১৫ নং আইন) এর ৪ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
31
ধারা ২২ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ১৫ নং আইন) এর ১৬ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত যাহা ১১ অক্টোবর, ২০০৬ তারিখ হইতে কার্যকর ।
32
ধারা ২২ক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ১৫ নং আইন) এর ১৭ ধারাবলে সন্নিবেশিত।
33
ধারা ২২খ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ১৫ নং আইন) এর ১৭ ধারাবলে সন্নিবেশিত ।
34
“একাডেমিক” শব্দটি “অ্যাকাদেমী” শব্দটির পরিবর্তে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ১৫ নং আইন) এর ৪ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
35
উপ-ধারা (৪) ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ১৫ নং আইন) এর ১৮ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত যাহা ১১ অক্টোবর, ২০০৬ তারিখ হইতে কার্যকর ।
36
ধারা ২৫ক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ১৫ নং আইন) এর ১৯ ধারাবলে সন্নিবেশিত।
37
উপ-ধারা (১) ও (১ক) ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ১৫ নং আইন) এর ২০ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
38
দফা (কক) ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ১৫ নং আইন) এর ২১ ধারাবলে সন্নিবেশিত যাহা ১১ অক্টোবর, ২০০৬ তারিখ হইতে কার্যকর ।
39
“বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইহার অধিভুক্ত ফাজিল ও কামিল মাদ্রাসায়” শব্দসমূহ “বিশ্ববিদ্যালয়ে” শব্দটির পরিবর্তে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ১৫ নং আইন) এর ২২ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
40
“একাডেমিক” শব্দটি “অ্যাকাদেমী” শব্দটির পরিবর্তে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ১৫ নং আইন) এর ৪ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
41
“একাডেমিক” শব্দটি “অ্যাকাদেমী” শব্দটির পরিবর্তে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ১৫ নং আইন) এর ৪ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
42
“একাডেমিক” শব্দটি “অ্যাকাদেমী” শব্দটির পরিবর্তে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ১৫ নং আইন) এর ৪ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
43
“একাডেমিক” শব্দটি “অ্যাকাদেমী” শব্দটির পরিবর্তে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ১৫ নং আইন) এর ৪ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
44
“একাডেমিক” শব্দটি “অ্যাকাদেমী” শব্দটির পরিবর্তে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ১৫ নং আইন) এর ৪ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
45
“একাডেমিক” শব্দটি “অ্যাকাদেমী” শব্দটির পরিবর্তে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ১৫ নং আইন) এর ৪ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
46
ধারা ৩৪ক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ১৫ নং আইন) এর ২৩ ধারাবলে সনি্নবেশিত যাহা ১১ অক্টোবর, ২০০৬ তারিখ হইতে কার্যকর ।
47
“একাডেমিক” শব্দটি “অ্যাকাদেমী” শব্দটির পরিবর্তে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ১৫ নং আইন) এর ৪ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
48
“একাডেমিক” শব্দটি “অ্যাকাদেমী” শব্দটির পরিবর্তে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ১৫ নং আইন) এর ৪ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
49
“একাডেমিক” শব্দটি “অ্যাকাদেমী” শব্দটির পরিবর্তে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ১৫ নং আইন) এর ৪ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
50
ধারা ৪৯ক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ১৫ নং আইন) এর ২৪ ধারাবলে সন্নিবেশিত। যাহা ১১ অক্টোবর, ২০০৬ তারিখ হইতে কার্যকর ।
51
ধারা ৫১ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ১৫ নং আইন) এর ২৫ ধারাবলে সংযোজিত।
Click here to see the original act on the Bangladesh Legal Database.