যেহেতু বান্দরবান পার্বত্য জেলা বিভিন্ন অনগ্রসর উপজাতি অধ্যুষিত একটি বিশেষ এলাকা বিধায় উহার সর্বাংগীন উন্নয়নকল্পে উহার জন্য একটি পরিষদ স্থাপনের বিধান করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল :-
১৷ (১) এই আইন বান্দরবান পার্বত্য জেলা 2[* * *] পরিষদ আইন, ১৯৮৯ নামে অভিহিত হইবে।(২) সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, যে তারিখ নির্ধারণ করিবে সেই তারিখে এই আইন বলবৎ হইবে।* এস, আর, ও নং ১২১-আইন/৮৯, তারিখঃ ১৭ই এপ্রিল, ১৯৮৯ ইং দ্বারা ৪ঠা বৈশাখ, ১৩৯৬ মোতাবেক ১৭ই এপ্রিল, ১৯৮৯ তারিখ হতে উক্ত আইন কার্যকর ।
৩৷ (১) এই আইন বলবত্ হইবার পর, যতশীঘ্র সম্ভব, বান্দরবান পার্বত্য জেলায় এই আইনের বিধান অনুযায়ী বান্দরবান পার্বত্য জেলা 12[* * *] পরিষদ নামে একটি পরিষদ স্থাপিত হইবে৷(২) পরিষদ একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হইবে এবং ইহার স্থায়ী ধারাবাহিকতা ও একটি সাধারণ সীলমোহর থাকিবে এবং এই আইন ও বিধি সাপেক্ষে, ইহার স্থাবর ও অস্থাবর উভয় প্রকার সম্পত্তি অর্জন করার, অধিকারে রাখার ও হস্তান্তর করার ক্ষমতা থাকিবে এবং ইহার নামে ইহা মামলা দায়ের করিতে পারিবে বা ইহার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা যাইবে৷
৫৷ (১) কোন ব্যক্তি উপজাতীয় সদস্য নির্বাচিত হইবার যোগ্য হইলে তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হইবার যোগ্য হইবেন৷(২) কোন ব্যক্তি উপজাতীয় সদস্য নির্বাচিত হইবার বা থাকিবার যোগ্য না হইলে তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হইবার বা থাকিবার যোগ্য হইবেন না৷
৬৷ (১) কোন ব্যক্তি বাংলাদেশের নাগরিক হইলে, বান্দরবান পার্বত্য জেলার স্থায়ী বাসিন্দা হইলে, কোন উপজাতির অন্তর্ভুক্ত হইলে এবং তাঁহার বয়স পঁচিশ বত্সর পূর্ণ হইলে, উপ-ধারা (৩) এ বর্ণিত বিধান সাপেক্ষে, তিনি তাঁহার উপজাতির জন্য নির্ধারিত আসনে উপজাতীয় সদস্য নির্বাচিত হইবার যোগ্য হইবেন৷(২) কোন ব্যক্তি বাংলাদেশের নাগরিক হইলে, বান্দরবান পার্বত্য জেলার স্থায়ী বাসিন্দা হইলে, অ-উপজাতীয় হইলে এবং তাঁহার বয়স পঁচিশ বত্সর পূর্ণ হইলে, উপ-ধারা (৩) এ বর্ণিত বিধান সাপেক্ষে, তিনি অ-উপজাতীয়দের জন্য নির্ধারিত আসনে অ-উপজাতীয় সদস্য নির্বাচিত হইবার যোগ্য হইবেন৷(৩) কোন ব্যক্তি উপজাতীয় বা অ-উপজাতীয় সদস্য নির্বাচিত হইবার এবং থাকিবার যোগ্য হইবেন না, যদি-(ক) তিনি বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পরিত্যাগ করেন বা হারান;(খ) তাঁহাকে কোন আদালত অপ্রকৃতিস্থ বলিয়া ঘোষণা করেন;(গ) তিনি দেওলিয়া ঘোষিত হইবার পর দায় হইতে অব্যাহতি লাভ না করিয়া থাকেন;(ঘ) তিনি অন্যত্র স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য বান্দরবান পার্বত্য জেলা ত্যাগ করেন;(ঙ) তিনি নৈতিক স্খলনজনিত কোন ফৌজদারী অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হইয়া অন্যুন দুই বত্সরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন এবং তাঁহার মুক্তি লাভের পর পাঁচ বত্সর কাল অতিবাহিত না হইয়া থাকে;(চ) তিনি প্রজাতন্ত্রের বা পরিষদের বা অন্য কোন স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কোন কর্মে লাভজনক সার্বক্ষণিক পদে অধিষ্ঠিত থাকেন;(ছ) তিনি জাতীয় সংসদের সদস্য বা কোন স্থানীয় কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বা সদস্য হন বা থাকেন;(জ) তিনি পরিষদের কোন কাজ সম্পাদনের বা মালামাল সরবরাহের জন্য ঠিকাদার হন বা ইহার জন্য নিযুক্ত ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের অংশীদার হন বা পরিষদের কোন বিষয়ে তাঁহার কোন প্রকার আর্থিক স্বার্থ থাকে বা তিনি সরকার কর্তৃক নিযুক্ত অত্যাবশ্যক কোন দ্রব্যের দোকানদার হন; অথবা(ঝ) তাঁহার নিকট সোনালী ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক, শিল্প ব্যাংক, শিল্প ঋণ সংস্থা বা কৃষি ব্যাংক হইতে গৃহীত কোন ঋণ মেয়াদোত্তীর্ণ অবস্থায় অনাদায়ী থাকে৷
৭৷ চেয়ারম্যান বা কোন সদস্য পদে নির্বাচিত ব্যক্তি তাঁহার কার্যভার গ্রহণের পূর্বে নিম্নলিখিত ফরমে 23[রাষ্ট্রপতি কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে মনোনীত হাইকোর্ট বিভাগের কোন বিচারকের] সম্মুখে শপথ গ্রহণ বা ঘোষণা করিবেন এবং শপথপত্র বা ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর দান করিবেন, যথা:-“আমি, …, পিতা বা স্বামী…, বান্দরবান পার্বত্য 24[জেলা] পরিষদের চেয়ারম্যান বা সদস্য নির্বাচিত হইয়া সশ্রদ্ধচিত্তে শপথ বা দৃঢ়ভাবে ঘোষণা করিতেছি যে, আমি আইন অনুযায়ী ও বিশ্বস্ততার সহিত আমার পদের কর্তব্য পালন করিব এবং আমি বাংলাদেেশের প্রতি অকৃত্রিম বিশ্বাস ও আনুগত্য পোষণ করিব”৷
৮৷ চেয়ারম্যান ও প্রত্যেক সদস্য তাঁহার কার্যভার গ্রহণের পূর্বে তাঁহার এবং তাঁহার পরিবারের কোন সদস্যের স্বত্ব, দখল বা স্বার্থ আছে এই প্রকার যাবতীয় স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির একটি লিখিত বিবরণ 25[বিধি অনুসারে] দাখিল করিবেন৷ব্যাখ্যা৷- “পরিবারের সদস্য” বলিতে চেয়ারম্যান বা সংশ্লিষ্ট সদস্যের স্বামী বা স্ত্রী এবং তাঁহার সংগে বসবাসকারী এবং তাঁহার উপর সম্পূর্ণভাবে নির্ভরশীল তাঁহার ছেলেমেয়ে, পিতা-মাতা ও ভাইবোনকে বুঝাইবে৷
১০৷ পরিষদের মেয়াদ হইবে উহার প্রথম অধিবেশনের তারিখ হইতে 26[পাঁচ বত্সর] :তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত মেয়াদ শেষ হওয়া সত্ত্বেও নির্বাচিত নূতন পরিষদ উহার প্রথম অধিবেশনে না বসা পর্যন্ত পরিষদ কার্য চালাইয়া যাইবে৷
১১৷ (১) সরকারের উদ্দেশ্যে স্বাক্ষরযুক্ত পত্র যোগে চেয়ারম্যান এবং চেয়ারম্যানের উদ্দেশ্যে স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে যে কোন সদস্য স্বীয় পদ ত্যাগ করিতে পারিবেন৷(২) পদত্যাগ গৃহীত হইবার তারিখ হইতে পদত্যাগ কার্যকর হইবে এবং পদত্যাগকারীর পদ শূন্য হইবে৷
১২৷ (১) চেয়ারম্যান বা কোন সদস্য তাঁহার পদ হইতে অপসারণযোগ্য হইবেন, যদি তিনি-(ক) যুক্তিসংগত কারণ ব্যতিরেকে পরিষদের পর পর তিনটি সভায় অনুপস্থিত থাকেন;(খ) তাঁহার দায়িত্ব পালন করিতে অস্বীকার করেন অথবা শারীরিক বা মানসিক অসামর্থ্যের কারণে তাঁহার দায়িত্ব পালনে অক্ষম হন; অথবা(গ) অসদাচরণ বা ক্ষমতার অপব্যবহারের দোষে দোষী হন অথবা পরিষদের কোন অর্থ বা সম্পত্তির কোন ক্ষতি সাধন বা উহা আত্মসাতের জন্য দায়ী হন৷ব্যাখ্যা৷- এই উপ-ধারায় “অসদাচরণ” বলিতে ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও ইচ্ছাকৃত কুশাসনও বুঝাইবে৷(২) চেয়ারম্যান বা কোন সদস্যকে উপ-ধারা (১) এ বর্ণিত কোন কারণে তাঁহার পদ হইতে অপসারণ করা যাইবে না, যদি না বিধি অনুযায়ী তদুদ্দেশ্যে আহূত পরিষদের বিশেষ সভায় মোট সদস্য-সংখ্যার অন্যুন তিন-চতুর্থাংশ ভোটে তাঁহার অপসারণের পক্ষে প্রস্তাব গৃহীত হয় এবং প্রস্তাবটি সরকার কর্তৃক অনুমোদিত হয় :তবে শর্ত থাকে যে, উক্তরূপ সিদ্ধান্ত গ্রহণের পূর্বে চেয়ারম্যান বা উক্ত সদস্যকে প্রস্তাবিত সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কারণ দর্শাইবার জন্য যুক্তিসংগত সুযোগ দান করিতে হইবে৷(৩) উপ-ধারা (২) অনুযায়ী সিদ্ধান্ত অনুমোদিত হইলে চেয়ারম্যান বা উক্ত সদস্য তাঁহার পদ হইতে অপসারিত হইয়া যাইবেন৷(৪) এই আইনের অন্যান্য বিধানে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই ধারা অনুযায়ী অপসারিত কোন ব্যক্তি পরিষদের অবশিষ্ট মেয়াদের জন্য কোন পদে নির্বাচিত হইবার যোগ্য হইবে না৷
১৩৷ (১) চেয়ারম্যান বা কোন সদস্যের পদ শূন্য হইবে, যদি-(ক) তাঁহার নাম সরকারী গেজেটে প্রকাশিত হইবার তারিখ হইতে ত্রিশ দিনের মধ্যে তিনি ধারা ৭ এ নির্ধারিত শপথ গ্রহণ বা ঘোষণা করিতে ব্যর্থ হন :তবে শর্ত থাকে যে, অনুরূপ মেয়াদ অতিবাহিত হওয়ার পূর্বে সরকার যথার্থ কারণে ইহা বর্ধিত করিতে পারিবে;(খ) তিনি ধারা ৫ বা ৬ এর অধীনে তাঁহার পদে থাকার অযোগ্য হইয়া যান;(গ) তিনি ধারা ১১ এর অধীনে তাঁহার পদ ত্যাগ করেন;(ঘ) তিনি ধারা ১২ এর অধীনে তাঁহার পদ হইতে অপসারিত হন;(ঙ) তিনি মৃত্যুবরণ করেন৷(২) চেয়ারম্যান বা কোন সদস্য তাঁহার নির্বাচনের পর ধারা ৫ বা ৬ এর অধীনে অযোগ্য হইয়া গিয়াছেন কি না সে সম্পর্কে কোন বিতর্ক দেখা দিলে, নিষ্পত্তির জন্য প্রশ্নটি পরিষদের সচিব কর্তৃক বান্দরবান পার্বত্য জেলা জজের নিকট প্রেরিত হইবে, এবং জেলা জজ যদি এই অভিমত ব্যক্ত করেন যে, উক্ত চেয়ারম্যান বা সদস্য অনুরূপ অযোগ্য হইয়া গিয়াছেন, তাহা হইলে তিনি স্বীয় পদে বহাল থাকিবেন না এবং জেলা জজের উক্ত অভিমত ব্যক্ত করার তারিখ হইতে চেয়ারম্যান বা সদস্যের পদটি শূন্য হইবে৷(৩) চেয়ারম্যান বা কোন সদস্যের পদ শূন্য হইলে তাহা সরকারী গেজেটে প্রকাশ করা হইবে৷
১৪৷ চেয়ারম্যানের পদ কোন কারণে শূন্য হইলে বা অনুপস্থিতি বা অসুস্থতাহেতু বা অন্য কোন কারণে চেয়ারম্যান তাঁহার দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হইলে, নূতন নির্বাচিত চেয়ারম্যান তাঁহার পদে যোগদান না করা পর্যন্ত বা চেয়ারম্যান পুনরায় স্বীয় দায়িত্ব পালনে সমর্থ না হওয়া পর্যন্ত 27[পরিষদের অন্যান্য সদস্য কর্তৃক নির্বাচিত কোন উপজাতীয় সদস্য] চেয়ারম্যানরূপে কার্য করিবেন৷
১৫৷ পরিষদের মেয়াদ শেষ হইবার একশত আশি দিন পূর্বে চেয়ারম্যান বা কোন সদস্যের পদ শূন্য হইলে, পদটি শূন্য হইবার ষাট দিনের মধ্যে ইহা পূরণ করিতে হইবে, এবং যিনি উক্ত পদে নির্বাচিত হইবেন তিনি পরিষদের অবশিষ্ট মেয়াদের জন্য উক্ত পদে বহাল থাকিবেন৷
১৬৷ (১) পরিষদের মেয়াদ শেষ হইবার তারিখের পূর্ববর্তী ষাট দিনের মধ্যে পরিষদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবে 28[:তবে শর্ত থাকে যে, সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদের অধীন নিযুক্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনারের মতে, যদি কোন বিশেষ কারণে এই উপ-ধারায় নির্ধারিত মেয়াদের মধ্যে উক্ত নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব না হয়, তাহা হইলে উক্ত মেয়াদের শেষ দিনের পরবর্তী 29[১৮২০] দিনের মধ্যে উক্ত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবে৷](২) পরিষদ বাতিল হইয়া গেলে, বাতিল থাকার মেয়াদ শেষ হইবার তারিখের পূর্বে পরিষদ পূনর্গঠনের জন্য সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবে৷
33[১৭৷ 34[(১)] পরিষদের নির্বাচনের জন্য কোন ব্যক্তি ভোটার তালিকাভূক্ত হইবার যোগ্য হইবেন, যদি তিনি-(ক) বাংলাদেশের নাগরিক হন;(খ) অন্যুন আঠার বত্সর বয়স্ক হন;(গ) কোন উপযুক্ত আদালত কর্তৃক মানসিকভাবে অসুস্থ ঘোষিত না হন; এবং(ঘ) বান্দরবান পার্বত্য জেলার স্থায়ী বাসিন্দা হন৷]35[(২) নির্বাচন কমিশন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে ভোটার তালিকা প্রণয়ন করিবে৷]]
২০৷ (১) 37[নির্বাচন কমিশন] এই আইন ও বিধি অনুযায়ী চেয়ারম্যান ও সদস্যদের নির্বাচন অনুষ্ঠানও পরিচালনা করিবে৷(২) সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের নির্বাচনের জন্য বিধি প্রণয়ন করিবে এবং অনুরূপ বিধিতে নিম্নবর্ণিত সকল অথবা যে কোন বিষয়ে বিধান করা যাইবে, যথা :-38[(ক) নির্বাচন এলাকা নির্ধারণ;]39[(কক)] নির্বাচন পরিচালনার উদ্দেশ্যে রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার, প্রিজাইডিং অফিসার এবং পোলিং অফিসার নিয়োগ এবং তাঁহাদের ক্ষমতা ও দায়িত্ব;(খ) প্রার্থী মনোনয়ন, মনোনয়নের ক্ষেত্রে আপত্তি এবং মনোনয়ন বাছাই;(গ) প্রার্থীগণ কর্তৃক প্রদেয় জামানত এবং উক্ত জামানত ফেরত প্রদান বা বাজেয়াপ্তকরণ;(ঘ) প্রার্থী-পদ প্রত্যাহার;(ঙ) প্রার্থীগণের এজেন্ট নিয়োগ;(চ) প্রতিদ্বন্দ্বীতা এবং বিনা-প্রতিদ্বন্দ্বীতার ক্ষেত্রে নির্বাচন পদ্ধতি;(ছ) ভোট গ্রহণের তালিকা, সময় ও স্থান এবং নির্বাচন পরিচালনা সংক্রান্ত অন্যান্য বিষয়;(জ) ভোট দানের পদ্ধতি;(ঝ) ব্যালট পেপার এবং নির্বাচন সংক্রান্ত অন্যান্য কাগজপত্রের হেফাজত ও বিলিবন্টন;(ঞ) যে অবস্থায় ভোট গ্রহণ স্থগিত করা যায় এবং পুনরায় ভোট গ্রহণ করা যায়;(ট) নির্বাচনী ব্যয়;(ঠ) নির্বাচনে দুর্নীতিমূলক বা অবৈধ কার্যকলাপ ও অন্যান্য নির্বাচনী অপরাধ এবং উহার দণ্ড;(ড) নির্বাচনী বিরোধ এবং উহার বিচার ও নিষ্পত্তি; এবং(ঢ) নির্বাচন সম্পর্কিত আনুষংগিক অন্যান্য বিষয়৷(৩) উপ-ধারা (২)(ঠ) এর অধীন প্রণীত বিধিতে কারাদণ্ড, অর্থদণ্ড বা উভয়বিধ দণ্ডের বিধান করা যাইবে, তবে কারাদণ্ডের মেয়াদ দুই বত্সরের অধিক এবং অর্থদণ্ডের পরিমাণ পাঁচ হাজার টাকার অধিক হইবে না৷
২৩৷ এই আইন অথবা আপাততঃ বলবত্ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন সরকার পরিষদের সম্মতিক্রমে-(ক) পরিষদ কর্তৃক পরিচালিত কোন প্রতিষ্ঠান বা কর্ম সরকারের ব্যবস্থাপনায় ও নিয়ন্ত্রণে; এবং(খ) সরকার কর্তৃক পরিচালিত কোন প্রতিষ্ঠান বা কর্ম পরিষদের ব্যবস্থাপনায় ও নিয়ন্ত্রণে;হস্তান্তর করার নির্দেশ দিতে পারিবে৷
২৪৷ (১) এই আইনের অধীন যাবতীয় কার্যাবলী যথাযথভাবে সম্পাদনের জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছু করিবার ক্ষমতা পরিষদের থাকিবে৷(২) এই আইন বা বিধিতে ভিন্নরূপ বিধান না থাকিলে, পরিষদের নির্বাহী ক্ষমতা চেয়ারম্যানের উপর ন্যস্ত হইবে এবং এই আইন ও প্রবিধান অনুযায়ী চেয়ারম্যান কর্তৃক প্রত্যক্ষভাবে অথবা তাঁহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত অন্য কোন ব্যক্তির মাধ্যমে প্রযুক্ত হইবে৷(৩) পরিষদের নির্বাহী বা অন্য কোন কার্য পরিষদের নামে গৃহীত হইয়াছে বলিয়া প্রকাশ করা হইবে এবং উহা বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে প্রমাণিত হইতে হইবে৷
২৫৷ (১) পরিষদের কার্যাবলী প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত সীমার মধ্যে ও পদ্ধতিতে উহার বা উহার কমিটিসমূহের সভায় অথবা উহার চেয়ারম্যান, সদস্য, কর্মকর্তা বা কর্মচারী কর্তৃক নিষ্পন্ন করা হইবে৷(২) পরিষদের সকল সভায় চেয়ারম্যান, এবং তাঁহার অনুপস্থিতিতে সভায় উপস্থিত সদস্যগণ কর্তৃক উপজাতীয় সদস্যগণের মধ্য হইতে নির্বাচিত অন্য কোন সদস্য, সভাপতিত্ব করিবেন৷(৩) পরিষদের কোন সদস্যপদ শূন্য রহিয়াছে বা উহার গঠনে কোন ত্রুটি রহিয়াছে কেবল এই কারণে কিংবা পরিষদের বৈঠকে উপস্থিত হইবার বা ভোট দানের বা অন্য কোন উপায়ে উহার কার্যধারায় অংশ গ্রহণের অধিকার না থাকা সত্ত্বেও কোন ব্যক্তি অনুরূপ কার্য করিয়াছেন কেবল এই কারণে পরিষদের কোন কার্য বা কার্যধারা অবৈধ হইবে না৷(৪) পরিষদের প্রত্যেক সভার কার্য বিবরণীর একটি করিয়া অনুলিপি সভা অনুষ্ঠিত হইবার তারিখের চৌদ্দ দিনের মধ্যে সরকারের নিকট প্রেরণ করিতে হইবে৷
২৭৷ পরিষদ উহার কাজের সহায়তার জন্য প্রয়োজনবোধে কমিটি নিয়োগ করিতে পারিবে এবং উক্তরূপ কমিটির সদস্য সংখ্যা ও ইহার দায়িত্ব এবং কার্যধারা নির্ধারণ করিতে পারিবে৷
২৮৷ (১) পরিষদ কর্তৃক বা উহার পক্ষে সম্পাদিত সকল চুক্তি -(ক) লিখিত হইতে হইবে এবং পরিষদের নামে সম্পাদিত হইয়াছে বলিয়া প্রকাশিত হইতে হইবে;(খ) প্রবিধান অনুসারে সম্পাদিত হইতে হইবে৷(২) কোন চুক্তি সম্পাদনের অব্যবহিত পরে অনুষ্ঠিত পরিষদের সভায় চেয়ারম্যান চুক্তিটি সম্পর্কে উহাকে অবহিত করিবেন৷(৩) পরিষদ প্রস্তাবের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরণের চুক্তি সম্পাদনের জন্য পদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে এবং চেয়ারম্যান চুক্তি সম্পাদনের ব্যাপারে উক্ত প্রস্তাব অনুযায়ী কাজ করিবেন৷(৪) এই ধারার খেলাপ সম্পাদিত কোন চুক্তির দায়িত্ব পরিষদের উপর বর্তাইবে না৷
২৯৷ পরিষদ প্রবিধান দ্বারা-(ক) পরিষদ কর্তৃক সম্পাদিতব্য সকল নির্মাণ কাজের পরিকল্পনা এবং আনুমানিক ব্যয়ের হিসাব প্রণয়ন করার বিধান করিবে;(খ) উক্ত পরিকল্পনা ও ব্যয় কোন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক এবং কি শর্তে প্রযুক্তিগতভাবে এবং প্রশাসনিকভাবে অনুমোদিত হইবে উহার বিধান করিবে;(গ) উক্ত পরিকল্পনা ও ব্যয়ের হিসাব কাহার দ্বারা প্রণয়ন করা হইবে এবং উক্ত নির্মাণ কাজ কাহার দ্বারা সম্পাদন করা হইবে উহার বিধান করিবে৷
৩০৷ পরিষদ-(ক) উহার কার্যাবলীর নথিপত্র প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করিবে;(খ) প্রবিধানে উল্লিখিত বিষয়ের উপর সাময়িক প্রতিবেদন ও বিবরণী প্রণয়ন ও প্রকাশ করিবে;(গ) উহার কার্যাবলী সম্পর্কে তথ্য প্রকাশের জন্য প্রয়োজনীয় বা সরকার কর্তৃক সময় সময় নির্দেশিত অন্যান্য ব্যবস্থাও গ্রহণ করিতে পারিবে৷
40[৩১৷ সরকারের উপ-সচিব সমতুল্য একজন মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা পরিষদের সচিব হিসাবে থাকিবেন এবং এই পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে উপজাতীয় কর্মকর্তাদিগকে অগ্রাধিকার দেওয়া হইবে৷]
৩২৷ (১) পরিষদের কার্যাদি সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের নিমিত্ত পরিষদ, সরকারের 41[অনুমোদনক্রমে], বিভিন্ন শ্রেণীর কর্মকর্তা ও কর্মচারীর পদ সৃষ্টি করিতে পারিবে৷(২) পরিষদ প্রবিধান অনুযায়ী তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর পদে কর্মচারী নিয়োগ করিতে পারিবে এবং তাঁহাদিগকে বদলী ও সাময়িক বরখাস্ত, বরখাস্ত, অপসারণ বা অন্য কোন প্রকার শাস্তি প্রদান করিতে পারিবে :42[তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত নিয়োগের ক্ষেত্রে জেলার উপজাতীয় বাসিন্দাদের অগ্রাধিকার বজায় থকিবে৷ ]43[(৩) পরিষদের অন্যান্য পদে বিধি অনুযায়ী সরকার, পরিষদের সহিত পরামর্শক্রমে, কর্মকর্তা নিয়োগ করিতে পারিবে৷(৪) উপ-ধারা (৩) এ উল্লিখিত কর্মকর্তাগণকে সরকার অন্যত্র বদলী করিতে এবং বিধি অনুযায়ী সাময়িক বরখাস্ত, বরখাস্ত, অপসারণ বা অন্য কোন প্রকার শাস্তি প্রদান করিতে পারিবে৷]
৩৩৷ (১) পরিষদ উহার কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণের জন্য ভবিষ্য তহবিল গঠন করিতে পারিবে এবং প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হারে উক্ত তহবিলে চাঁদা প্রদান করিবার জন্য উহার কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণকে নির্দেশ দিতে পারিবে৷(২) পরিষদ ভবিষ্য তহবিলে চাঁদা প্রদান করিতে পারিবে৷(৩) পরিষদের কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারী তাঁহার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করার কারণে অসুস্থ হইয়া বা আঘাতপ্রাপ্ত হইয়া মৃত্যু বরণ করিলে পরিষদ, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, উক্ত কর্মকর্তা বা কর্মচারীর পরিবারবর্গকে 44[প্রবিধান অনুযায়ী] গ্র্যাচুইটি প্রদান করিতে পারিবে৷(৪) পরিষদ উহার কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য প্রবিধান অনুযায়ী সামাজিক বীমা প্রকল্প চালু করিতে পারিবে এবং উহাতে তাঁহাদিগকে চাঁদা প্রদানের নির্দেশ দিতে পারিবে৷(৫) পরিষদ উহার কর্মচারীদের জন্য প্রবিধান অনুযায়ী বদান্য তহবিল গঠন করিতে পারিবে এবং উহা হইতে উপ-ধারা (৩) এ উল্লিখিত গ্র্যাচুইটি এবং প্রবিধান অনুযায়ী অন্যান্য সাহায্য প্রদান করিতে পারিবে৷(৬) উপ-ধারা (৫) এর অধীন গঠিত তহবিলে পরিষদ চাঁদা প্রদান করিতে পারিবে৷
৩৪৷ পরিষদ প্রবিধান দ্বারা-(ক) পরিষদ কর্তৃক নিযুক্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের চাকুরীর শর্তাদি নির্ধারণ করিতে পরিবে;(খ) পরিষদ কর্তৃৃক নিয়োগ করা যাইবে এইরূপ সকল পদে নিয়োগের জন্য যোগ্যতা এবং নীতিমালা নির্ধারণ করিতে পারিবে;(গ) পরিষদ কর্তৃক নিযুক্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে শৃংখলামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তদন্তের পদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে এবং তাঁহাদের বিরুদ্ধে শাস্তির বিধান ও শাস্তির বিরুদ্ধে আপীলের বিধান করিতে পারিবে;(ঘ) পরিষদের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালনের জন্য প্রয়োজনীয় বিধান করিতে পারিবে৷
৩৫৷ (১) বান্দরবান পার্বত্য জেলা 45[* * *] পরিষদ তহবিল নামে পরিষদের একটি তহবিল থাকিবে৷(২) পরিষদের তহবিলে নিম্নলিখিত অর্থ জমা হইবে,যথা :-(ক) জেলা পরিষদের তহবিলের উদবৃত্ত অর্থ;(খ) পরিষদ কর্তৃক ধার্যকৃত কর, রেইট, টোল, ফিস এবং অন্যান্য দাবী বাবদ প্রাপ্ত অর্থ;(গ) পরিষদের উপর ন্যস্ত এবং তত্কর্তৃক পরিচালিত সকল সম্পত্তি হইতে প্রাপ্ত আয় বা মুনাফা;(ঘ) সরকার বা অন্যান্য কর্তৃপক্ষের অনুদান;(ঙ) কোন প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান;(চ) পরিষদের অর্থ বিনিয়োগ হইতে মুনাফা;(ছ) পরিষদ কর্তৃক প্রাপ্ত অন্য যে কোন অর্থ;(জ) সরকারের নির্দেশে পরিষদের উপর ন্যস্ত অন্যান্য আয়ের উত্স হইতে প্রাপ্ত অর্থ৷
৩৬৷ (১) পরিষদের তহবিলে জমাকৃত অর্থ কোন সরকারী ট্রেজারীতে বা সরকারী ট্রেজারীর কার্য পরিচালনাকারী কোন ব্যাংকে 46[* * *] রাখা হইবে৷(২) প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে পরিষদ উহার তহবিলের কিছু অংশ বিনিয়োগ করিতে পারিবে৷(৩) পরিষদ ইচ্ছা করিলে কোন বিশেষ উদ্দেশ্যে আলাদা তহবিল গঠন করিতে পারিবে এবং প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে উক্ত তহবিল পরিচালনা করিবে৷
৩৭৷ (১) পরিষদের তহবিলের অর্থ নিম্নলিখিত খাতে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে ব্যয় করা যাইবে , যথা :-প্রথমত : পরিষদের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন ও ভাতা প্রদান;দ্বিতীয়ত : এই আইনের অধীন পরিষদের তহবিলের উপর দায়যুক্ত ব্যয়;তৃতীয়ত : এই আইন বা আপাততঃ বলবত্ অন্য কোন আইন দ্বারা ন্যস্ত পরিষদের দায়িত্ব সম্পাদন এবং কর্তব্য পালনের জন্য ব্যয়;চতুর্থত : সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে পরিষদ কর্তৃক ঘোষিত পরিষদের তহবিলের উপর দায়যুক্ত ব্যয়;পঞ্চমত : সরকার কর্তৃক ঘোষিত পরিষদের তহবিলের উপর দায়যুক্ত ব্যয়৷(২) পরিষদের তহবিলের উপর দায়যুক্ত ব্যয় নিম্নরূপ হইবে, যথা :-(ক) পরিষদের চাকুরীতে নিয়োজিত কোন সরকারী কর্মচারীর জন্য দেয় অর্থ;(খ) সরকারের নির্দেশে পরিষদ সার্ভিসের রক্ষণাবেক্ষণ, হিসাব-নিরীক্ষণ বা অন্য কোন বিষয়ের জন্য দেয় অর্থ;(গ) কোন আদালত বা ট্রাইবুন্যাল কর্তৃক পরিষদের বিরুদ্ধে প্রদত্ত কোন রায়, ডিক্রি বা রোয়েদাদ কার্যকর করিবার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ;47(ঘ) বিধি দ্বারা দায়যুক্ত বলিয়া নির্ধারিত অন্য যে কোন ব্যয়৷ পরিষদের তহবিলের উপর দায়যুক্ত কোন ব্যয়ের খাতে যদি কোন অর্থ অপরিশোধিত থাকে, তাহা হইলে যে ব্যক্তির হেফাজতে উক্ত তহবিল থাকিবে সে ব্যক্তিকে সরকার, আদেশ দ্বারা উক্ত তহবিল হইতে, যতদূর সম্ভব, ঐ অর্থ পরিশোধ করিবার জন্য নির্দেশ দিতে পারিবে৷
৩৮৷ (১) প্রতি অর্থ-বত্সর শুরু হইবার পূর্বে পরিষদ উক্ত বত্সরের সম্ভাব্য আয় ও ব্যয় সম্বলিত বিবরণী, অতঃপর বাজেট বলিয়া উল্লিখিত, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে প্রণয়ন ও অনুমোদন করিবে এবং উহার একটি অনুলিপি সরকারের নিকট প্রেরণ করিবে৷(২) কোন অর্থ-বত্সর শুরু হইবার পূর্বে পরিষদ ইহার বাজেট অনুমোদন করিতে না পারিলে, সরকার উক্ত বত্সরের জন্য একটি আয়-ব্যয় বিবরণী প্রস্তুত করাইয়া উহা প্রত্যায়ন করিবে এবং এইরূপ প্রত্যায়নকৃত বিবরণী পরিষদের অনুমোদিত বাজেট বলিয়া গণ্য হইবে৷48[* * *]49(৪) কোন অর্থ-বত্সর শেষ হইবার পূর্বে যে কোন সময় পরিষদ, প্রয়োজন মনে করিলে, সেই অর্থ-বত্সরের জন্য প্রণীত বা অনুমোদিত বাজেট পুনঃপ্রণয়ন বা সংশোধন করিতে পারিবে এবং যথাশীঘ্র সম্ভব একটি অনুলিপি সরকারের নিকট প্রেরণ করিবে৷ এই আইন মোতাবেক গঠিত পরিষদ প্রথম বার যে অর্থ-বত্সরে দায়িত্বভার গ্রহণ করিবে সেই অর্থ-বত্সরের বাজেট উক্ত দায়িত্বভার গ্রহণের পর অর্থ-বত্সরটির বাকী সময়ের জন্য প্রণীত হইবে এবং উক্ত বাজেটের ক্ষেত্রেও এই ধারার বিধানাবলী, যতদূর সম্ভব, প্রযোজ্য হইবে৷
৩৯৷ (১) পরিষদের আয়-ব্যয়ের হিসাব বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে ও ফরমে রক্ষণ করা যাইবে৷(২) প্রতিটি অর্থ-বত্সর শেষ হইবার পর পরিষদ একটি বার্ষিক আয় ও ব্যয়ের হিসাব প্রস্তুত করিবে এবং পরবর্তী অর্থ-বত্সরের ৩১শে ডিসেম্বরের মধ্যে উহা সরকারের নিকট প্রেরণ করিবে৷(৩) উক্ত বার্ষিক আয়-ব্যয়ের হিসাবের একটি অনুলিপি জনসাধারণের পরিদর্শনের জন্য পরিষদ কার্যালয়ের কোন বিশিষ্ট স্থানে স্থাপন করিতে হইবে এবং উক্ত হিসাব সম্পর্কে জনসাধারণের আপত্তি বা পরামর্শ পরিষদ বিবেচনা করিবে৷
৪০৷ (১) পরিষদের আয়-ব্যয়ের হিসাব বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে ও বিধি দ্বারা নির্ধারিত কর্তৃপক্ষের দ্বারা নিরীক্ষিত হইবে৷(২) নিরীক্ষাকারী কর্তৃপক্ষ পরিষদের সকল হিসাব সংক্রান্ত যাবতীয় বহি ও অন্যান্য দলিল দেখিতে পারিবে এবং প্রয়োজনবোধে পরিষদের চেয়ারম্যান ও যে কোন সদস্য, কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করিতে পারিবে৷(৩) হিসাব-নিরীক্ষার পর নিরীক্ষাকারী কর্তৃপক্ষ সরকারের নিকট একটি নিরীক্ষা প্রতিবেদন পেশ করিবে এবং উহাতে, অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে, নিম্নবর্ণিত বিষয়াদির উল্লেখ থাকিবে, যথা :-(ক) অর্থ আত্মসাত্;(খ) পরিষদ তহবিলের লোকসান, অপচয় এবং অপপ্রয়োগ;(গ) হিসাব রক্ষণে অনিয়ম;(ঘ) নিরীক্ষাকারী কর্তৃপক্ষের মতে যাহারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে উক্ত আত্মসাত্, লোকসান, অপচয়, অপপ্রয়োগ ও অনিয়মের জন্য দায়ী তাহাদের নাম৷
৪১৷ (১) পরিষদ প্রবিধান দ্বারা-(ক) পরিষদের উপর ন্যস্ত বা উহার মালিকানাধীন সম্পত্তির ব্যবস্থাপনা, রক্ষণাবেক্ষণ ও উন্নয়নের জন্য বিধান করিতে পারিবে;(খ) উক্ত সম্পত্তির হস্তান্তর নিয়ন্ত্রণ করিতে পারিবে৷(২) পরিষদ-(ক) উহার মালিকানাধীন বা উহার উপর বা উহার তত্ত্বাবধানে ন্যস্ত যে কোন সম্পত্তির ব্যবস্থাপনা, রক্ষণাবেক্ষণ, পরিদর্শন ও উন্নয়ন সাধন করিতে পারিবে;(খ) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে উক্ত সম্পত্তি কাজে লাগাইতে পারিবে;(গ) দান, বিক্রয়, বন্ধক, ইজারা বা বিনিময়ের মাধ্যমে বা অন্য কোন পন্থায় যে কোন সম্পত্তি অর্জন বা হস্তান্তর করিতে পারিবে৷
৪২৷ (১) পরিষদ উহার এখতিয়ারভুক্ত যে কোন বিষয়ে উহার তহবিলের সংগতি অনুযায়ী উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রস্তুত ও বাস্তবায়ন করিতে পারিবে৷(২) উক্ত পরিকল্পনায় নিম্নলিখিত বিষয়ের বিধান থাকিবে, যথা :-(ক) কি পদ্ধতিতে পরিকল্পনার অর্থ যোগান হইবে এবং উহার তদারক ও বাস্তবায়ন হইবে;(খ) কাহার দ্বারা পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হইবে;(গ) পরিকল্পনা সম্পর্কিত অন্যান্য প্রয়োজনীয় বিষয়৷50(২ক) পরিষদ সরকার হইতে প্রাপ্য অর্থে স্থানান্তরিত বিষয়সমূহের উন্নয়ন প্রকল্প প্রণয়ন, গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করিতে পারিবে৷ পরিষদ উহার উন্নয়ন পরিকল্পনার একটি অনুলিপি উহার বাস্তবায়নের পূর্বে সরকারের নিকট প্রেরণ করিবে৷51[(৪) পরিষদের নিকট হস্তান্তরিত কোন বিষয়ে জাতীয় পর্যায়ে সরকার কর্তৃক গৃহীত সকল উন্নয়ন কার্যক্রম পরিষদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ বা প্রতিষ্ঠান বাস্তবায়ন করিবে৷]
৪৩৷ পরিষদের চেয়ারম্যান অথবা উহার কোন সদস্য, কর্মকর্তা বা কর্মচারী অথবা পরিষদ প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত বা পরিষদের পক্ষে কর্মরত কোন ব্যক্তির প্রত্যক্ষ গাফেলতি বা অসদাচরণের কারণে পরিষদের কোন অর্থ বা সম্পদের লোকসান, অপচয় বা অপপ্রয়োগ হইলে উহার জন্য তিনি দায়ী থাকিবেন, এবং বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে সরকার তাঁহার এই দায়-দায়িত্ব নির্ধারণ করিবে এবং যে টাকার জন্য তাঁহাকে দায়ী করা হইবে সে টাকা সরকারী দাবী (চঁনষরপ ফবসধহফ) হিসাবে তাঁহার নিকট হইতে আদায় করা হইবে৷
পরিষদ কর্তৃক আরোপনীয় কর এবং সরকারের অন্যান্য সূত্র হইতে প্রাপ্ত আয়
52[৪৪৷ পরিষদ, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে দ্বিতীয় তফসিলে উল্লেখিত সকল অথবা যে কোন কর, রেট, টোল এবং ফিস প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে আরোপ করিতে পারিবে এবং উক্ত তফসিলে নির্ধারিত সরকারের অন্যান্য সূত্র হইতে রয়্যালটির অংশ বিশেষ আহরণ করিতে পারিবে৷]
৪৫৷ (১) পরিষদ কর্তৃক আরোপিত সকল কর, রেইট, টোল এবং ফিস প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে প্রজ্ঞাপিত হইবে, এবং সরকার ভিন্নরূপে নির্দেশ না দিলে, উক্ত আরোপের বিষয়টি আরোপের পূর্বে প্রকাশ করিতে হইবে৷(২) কোন কর, রেইট, টোল বা ফিস আরোপের বা উহার পরিবর্তনের কোন প্রস্তাব অনুমোদিত হইলে 53[পরিষদ] যে তারিখ নির্ধারণ করিবে সেই তারিখে উহা কার্যকর হইবে৷
৪৬৷ কোন ব্যক্তি বা জিনিষপত্রের উপর কর, রেইট, টোল বা ফিস আরোপ করা যাইবে কি না উহা নির্ধারণের প্রয়োজনে পরিষদ, নোটিশের মাধ্যমে, যে কোন ব্যক্তিকে প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করিতে বা দলিলপত্র, হিসাব বহি বা জিনিষপত্র হাজির করিবার জন্য নির্দেশ দিতে পারিবে৷
৪৭৷ (১) এই আইনে ভিন্নরূপ বিধান না থাকিলে, পরিষদের সকল কর, রেইট, টোল এবং ফিস প্রবিধান দ্বারা, নির্ধারিত ব্যক্তির দ্বারা এবং পদ্ধতিতে আদায় করা হইবে৷(২) পরিষদের প্রাপ্য অনাদায়ী সকল প্রকার কর, রেইট, টোল, ফিস এবং অন্যান্য অর্থ সরকারী দাবী (public demand) হিসাবে আদায়যোগ্য হইবে৷
৪৮৷ প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত কর্তৃপক্ষের নিকট ও প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পন্থায় এবং সময়ের মধ্যে পেশকৃত লিখিত দরখাস্ত ছাড়া অন্য কোন পন্থায় এই আইনের অধীন ধার্য কোন কর, রেইট, টোল বা ফিস বা এতদসংক্রান্ত কোন সম্পত্তির মূল্যায়ন অথবা কোন ব্যক্তির উহা প্রদানের দায়িত্ব সম্পর্কে কোন আপত্তি উত্থাপন করা যাইবে না৷
৪৯৷ (১) পরিষদ কর্তৃক ধার্যকৃত সকল কর, রেইট, টোল বা ফিস এবং অন্যান্য দাবী প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে ধার্য, আরোপ এবং নিয়ন্ত্রণ করা যাইবে৷(২) এই ধারায় উল্লিখিত বিষয় সম্পর্কিত প্রবিধানে অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে, কর দাতাদের করণীয় এবং কর ধার্যকারী ও আদায়কারী কর্মকর্তা অন্যান্য কর্তৃপক্ষের ক্ষমতা ও দায়িত্ব সম্পর্কে বিধান থাকিবে৷
54[৫০৷ (১) এই আইনের উদ্দেশ্যের সহিত পরিষদের কার্যকলাপের সামঞ্জস্য নিশ্চয়তা বিধানকল্পে সরকার প্রয়োজনে পরিষদকে পরামর্শ বা অনুশাসন করিতে পারিবে৷(২) সরকার যদি এইরূপ প্রমাণ পায় যে, পরিষদের দ্বারা বা পক্ষে কৃত বা প্রস্তাবিত কোন কাজকর্ম এই আইনের সহিত সংগতিপূর্ণ নহে অথবা জনস্বার্থের পরিপন্থী, তাহা হইলে সরকার লিখিতভাবে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পরিষদের নিকট হইতে তথ্য ও ব্যাখ্যা চাহিতে পারিবে, এবং পরামর্শ বা নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে, এবং পরিষদ উক্ত তথ্য ও ব্যাখ্যা সরবরাহ এবং পরামর্শ বা নির্দেশ বাস্তবায়ন করিবে৷]
৫৩৷ (১) যদি প্রয়োজনীয় তদন্তের পর সরকার এইরূপ অভিমত পোষণ করে যে, পরিষদ-(ক) উহার দায়িত্ব পালনে অসমর্থ অথবা ক্রমাগতভাবে উহার দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হইয়াছে;(খ) উহার প্রশাসনিক ও আর্থিক দায়িত্ব পালনে অসমর্থ;(গ) সাধারণতঃ এমন কাজ করে যাহা জনস্বার্থ বিরোধী;(ঘ) অন্য কোনভাবে উহার ক্ষমতার সীমা লংঘন বা ক্ষমতার অপব্যবহার করিয়াছে বা করিতেছে;তাহা হইলে সরকার, সরকারী গেজেটে প্রকাশিত 55[আদেশ দ্বারা পরিষদকে] বাতিল করিতে পারিবে:তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত আদেশ প্রদানের পূর্বে পরিষদকে উহার বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর সুযোগ দিতে হইবে৷(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন কোন আদেশ প্রকাশিত হইলে-(ক) পরিষদের চেয়ারম্যান ও অন্যান্য সদস্যগণ তাঁহাদের পদে বহাল থাকিবেন না;(খ) বাতিল থাকাকালীন সময়ে পরিষদের যাবতীয় দায়িত্ব সরকার কর্তৃক নিয়োজিত কোন ব্যক্তি বা কর্তৃপক্ষ পালন করিবে৷(৩) 56[উক্ত বাতিলাদেশ সরকারী গেজেটে প্রকাশিত হওয়ার নব্বই দিনের মধ্যে] এই আইন ও বিধি মোতাবেক পরিষদ পুনর্গঠিত হইবে৷
৫৪৷ পরিষদ অন্য কোন স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সহিত একত্রে উহাদের সাধারণ স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট কোন বিষয়ের জন্য যুক্ত কমিটি গঠন করিতে পারিবে এবং অনুরূপ কমিটিকে উহার যে কোন ক্ষমতা প্রদান করিতে পারিবে৷
৫৫৷ পরিষদ এবং অন্য কোন স্থানীয় কর্তৃপক্ষের মধ্যে কোন বিরোধ দেখা দিলে বিরোধীয় বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য সরকারের নিকট প্রেরিত হইবে এবং এই ব্যাপারে সরকারের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হইবে৷
৫৭৷ এই আইনের অধীন কোন অপরাধের জন্য অনধিক পাঁচশত টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা যাইবে এবং এই অপরাধ যদি অনবরতভাবে ঘটিতে থাকে , তাহা হইলে প্রথম দিনের অপরাধের পর পরবর্তী প্রত্যেক দিনের জন্য অপরাধীকে অতিরিক্ত অনধিক পঁচিশ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা যাইবে ৷
৬০৷ (১) জনপথ ও সর্বসাধারণের ব্যবহার্য কোন স্থানে কোন ব্যক্তি কোন প্রকারে অবৈধভাবে পদার্পণ করিবেন না৷(২) উক্তরূপ অবৈধ পদার্পণ হইলে পরিষদ নোটিশ দ্বারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অবৈধভাবে পদার্পণকারী ব্যক্তিকে তাঁহার অবৈধ পদার্পণ বন্ধ করিবার জন্য নির্দেশ দিতে পারিবে এবং উক্ত সময়ের মধ্যে যদি তিনি এই নির্দেশ মান্য না করেন তাহা হইলে পরিষদ অবৈধ পদার্পণ বন্ধ করিবার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে এবং উক্তরূপ ব্যবস্থা গ্রহণের ফলে অবৈধ পদার্পণকারী কোন প্রকার ক্ষতিগ্রস্থ হইলে সেইজন্য তাহাকে কোন ক্ষতিপূরণ দেওয়া হইবে না৷(৩) অবৈধ পদার্পণ বন্ধ করার প্রয়োজনে গৃহীত ব্যবস্থার জন্য যে ব্যয় হইবে তাহা উক্ত পদার্পণকারীর উপর এই আইনের অধীন ধার্য কর বলিয়া গণ্য হইবে৷
৬১৷ এই আইন বা কোন বিধি বা প্রবিধান অনুসারে পরিষদ বা উহার চেয়ারম্যানের কোন আদেশ দ্বারা কোন ব্যক্তি সংক্ষুদ্ধ হইলে তিনি উক্ত আদেশ প্রদানের ত্রিশ দিনের মধ্যে 57[সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগের] নিকট উহার বিরুদ্ধে আপীল করিতে পারিবেন এবং এই আপীলের উপর সরকারের 58[সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগের] সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হইবে৷
৬২৷ (১) আপাততঃ বলবত্ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পুলিশের 59[* * *] সাব-ইন্সপেক্টর ও তন্নিম্নস্তরের সকল সদস্য প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে পরিষদ কর্তৃক নিযুক্ত হইবেন এবং পরিষদ তাঁহাদের বদলী ও প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে তাঁহাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে :60তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত নিয়োগের ক্ষেত্রে বান্দরবান পার্বত্য জেলার উপজাতীয় বাসিন্দাদের অগ্রাধিকার বজায় থাকিবে৷ পরিষদ কর্তৃক নিযুুক্ত জেলা পুলিশের সকল কর্মকর্তা ও সদস্যের চাকুরীর শর্তাবলী, তাঁহাদের প্রশিক্ষণ, সাজসজ্জা, দায়িত্ব ও কর্তব্য এবং তাঁহাদের পরিচালনা অন্যান্য জেলা পুলিশের অনুরূপ হইবে এবং এতদসংক্রান্ত বিষয়ে জেলা পুলিশের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য সকল আইন, উপ-ধারা (১) এর বিধান সাপেক্ষে, তাঁহাদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হইবে৷(৩) বান্দরবান পার্বত্য জেলা পুলিশের সকল স্তরের কর্মকর্তা ও সদস্যগণ তাঁহাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনের ব্যাপারে, 61[এতদ্সংশ্লিষ্ট অন্যান্য আইনের বিধান অনুযায়ী, প্রয়োজনীয় অভিযোজনসহ,] পরিষদের নিকট দায়ী থাকিবেন৷
৬৩৷ বান্দরবান পার্বত্য জেলায় কোন অপরাধ সংঘটিত হইলে ইহার তথ্য পরিষদের চেয়ারম্যানকে অবহিত করা এবং পরিষদের চেয়ারম্যান এবং ইহার কর্মকর্তাগণকে আইনানুগ কর্র্তৃত্ব প্রয়োগে সহায়তা দান করা সকল পুলিশ কর্মকর্তার দায়িত্ব হইবে৷
62[৬৪৷ (১) আপাততঃ বলবত্ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন-(ক) বান্দরবন পার্বত্য জেলার এলাকাধীন বন্দোবস্তযোগ্য খাস জমিসহ যে কোন জায়গা জমি, পরিষদের পূর্বানুমোদন ব্যতিরেকে, ইজারা প্রদান, বন্দোবস্ত, ক্রয়, বিক্রয় বা অন্যবিধভাবে হস্তান্তর করা যাইবে না :তবে শর্ত থাকে যে, সংরক্ষিত (Reserved) বনাঞ্চল, কাপ্তাই জলবিদ্যুত্ প্রকল্প এলাকা, বেতবুনিয়া ভূ-উপগ্রহ এলাকা, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন শিল্পকারখানা ও সরকার বা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের নামে রেকর্ডকৃত জমির ক্ষেত্রে এই বিধান প্রযোজ্য হইবে না৷(খ) পরিষদের নিয়ন্ত্রণ ও আওতাধীন কোন প্রকারের জমি, পাহাড় ও বনাঞ্চল পরিষদের সহিত আলোচনা ও উহার সম্মতি ব্যতিরেকে সরকার কর্তৃক অধিগ্রহণ ও হস্তান্তর করা যাইবে না৷(২) হেডম্যান, চেইনম্যান, আমিন, সার্ভেয়ার, কানুনগো ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর কার্যাদি পরিষদ তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণ করিতে পারিবে৷(৩) কাপ্তাই হ্রদের জলে ভাসা জমি (Fringe land) অগ্রাধিকার ভিত্তিতে জমির মূল মালিকদেরকে বন্দোবস্ত দেওয়া হইবে৷]
৬৬৷ (১) বান্দরবান পার্বত্য জেলার বাসিন্দা এমন উপজাতীয়গণের মধ্যে কোন সামাজিক, সাংস্কৃতিক বা উপজাতীয় বিষয়ে বিরোধ দেখা দিলে বিরোধটি নিষ্পত্তির জন্য স্থানীয় কারবারী বা হেডম্যানের নিকট উত্থাপন করিতে হইবে এবং তিনি সংশ্লিষ্ট উপজাতীয়গণের মধ্যে প্রচলিত রীতি-নীতি অনুযায়ী বিরোধের নিষ্পত্তি করিবেন৷(২) কারবারীর সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হেডম্যান, হেডম্যানের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বান্দরবান বোমং চীফ এবং বোমং চীফের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম বিভাগের কমিশনারের নিকট আপীল করা যাইবে এবং কমিশনারের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হইবে৷(৩) বোমং চীফ বা কমিশনার, কোন আপীল নিষ্পত্তির পূর্বে, সংশ্লিষ্ট উপজাতি হইতে তত্কর্তৃক মনোনীত অন্যুন তিনজন বিজ্ঞ ব্যক্তির সহিত পরামর্শ করিবেন৷(৪) পরিষদ প্রবিধান দ্বারা এই ধারায় উল্লিখিত বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য-(ক) বিচার পদ্ধতি,(খ) বিচার প্রার্থী ও আপীলকারী কর্তৃক প্রদেয় ফিস,নির্ধারণ করিতে পারিবে৷
64[৬৭৷ পরিষদ এবং সরকারের কার্যাবলীর মধ্যে সমন্বয়ের প্রয়োজন দেখা দিলে, এতদ্বিষয়ে সরকার বা পরিষদ পরস্পরের নিকট সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব উত্থাপন করিতে পারিবে এবং পারস্পরিক যোগাযোগ বা আলোচনার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় সমন্বয় সাধন করা হইবে৷]
৬৮৷ 65(১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার, পরিষদের সহিত পরামর্শক্রমে এবং সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে৷ বিশেষ করিয়া, এবং উপরি-উক্ত ক্ষমতার সামগ্রিকতাকে ক্ষুণ্ন না করিয়া, অনুরূপ বিধিতে নিম্নবর্ণিত সকল অথবা যে কোন বিষয়ে বিধান করা যাইবে, যথা :-(ক) পরিষদের চেয়ারম্যান এবং সদস্যদের ক্ষমতা ও দায়িত্ব;(খ) হিসাব রক্ষণাবেক্ষণ এবং নিরীক্ষণ;(গ) পরিষদের কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং অন্য কোন ব্যক্তির দায়-দায়িত্ব নির্ধারণ করার পদ্ধতি;(ঘ) পরিষদের আদেশের বিরুদ্ধে আপীলের পদ্ধতি;(ঙ) পরিষদ পরিদর্শনের পদ্ধতি এবং পরিদর্শকের ক্ষমতা;(চ) এই আইনের অধীন বিধি দ্বারা নির্ধারণ করিতে হইবে বা করা যাইবে এইরূপ যে কোন বিষয়৷66[(৩) কোন বিধি প্রণীত হওয়ার পর, পরিষদের বিবেচনায় যদি উক্ত বিধি বান্দরবান পার্বত্য জেলার জন্য কষ্টকর বা আপত্তিকর বলিয়া প্রতীয়মান হয় তাহা হইলে, পরিষদ সংশ্লিষ্ট কারণ উল্লেখপূর্বক সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবসহ উক্ত বিধি পুনর্বিবেচনা, সংশোধন, বাতিল বা উহার প্রয়োগ শিথিল করার জন্য সরকারের নিকট আবেদন করিতে পারিবে এবং সরকার এই আবেদন বিবেচনাক্রমে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিতে পারিবে৷]
৬৯৷ (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে পরিষদ, 67[* * *] এই আইনের বা কোন বিধির বিধানের সহিত অসামঞ্জস্য না হয় এইরূপ প্রবিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে 68 :তবে শর্ত থাকে যে, প্রণীত প্রবিধানের কোন অংশ সম্পর্কে সরকার যদি মতভিন্নতা পোষণ করে তাহা হইলে সরকার উক্ত প্রবিধান সংশোধনের জন্য পরিষদকে পরামর্শ দিতে বা অনুশাসন করিতে পারিবে৷ বিশেষ করিয়া, এবং উপরি-উক্ত ক্ষমতার সামগ্রিকতাকে ক্ষুণ্ন না করিয়া, অনুরূপ প্রবিধানে নিম্নরূপ সকল অথবা যে কোন বিষয়ে বিধান করা যাইবে, যথা :-(ক) পরিষদের কার্যাবলী পরিচালনা,(খ) পরিষদের সভায় ফোরাম নির্ধারণ,(গ) পরিষদের সভায় প্রশ্ন উত্থাপন,(ঘ) পরিষদের সভা আহবান ,(ঙ) পরিষদের সভার কার্যবিবরণী লিখন,(চ) পরিষদের সভায় গৃহীত প্রস্তাবের বাস্তবায়ন,(ছ) সাধারণ সীলমোহরের হেফাজত ও ব্যবহার,69* * * পরিষদের অফিসের বিভাগ ও শাখা গঠন এবং উহাদের কাজের পরিধি নির্ধারণ,(ঞ) কার্যনির্বাহ সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয়,(ট) পরিষদ কর্তৃক নিয়োগ করা যাইবে এমন সকল পদে কর্মকর্তা ও কর্মচারীর নিয়োগ ও তাহাদের শৃংখলা,(ঠ) কর, রেইট, টোল এবং ফিস ধার্য ও আদায় সম্পর্কিত যাবতীয় বিষয়,(ড) পরিষদের সম্পত্তিতে অবৈধ পদার্পণ নিয়ন্ত্রণ,(ঢ) গবাদি পশু ও অন্যান্য প্রাণীর বিক্রয় রেজিষ্ট্রীকরণ,(ণ) এতিমখানা, বিধবা সদন এবং দরিদ্রদের ত্রাণ সম্পর্কিত অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের রেজিষ্ট্রীকরণ, ব্যবস্থাপনা এবং নিয়ন্ত্রণ,(ত) জনসাধারণের ব্যবহার্য সম্পত্তির ব্যবস্থাপনা ও নিয়ন্ত্রণ,(থ) টীকাদান কর্মসূচী বাস্তবায়ন,(দ) সংক্রামক ব্যাধি প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ,(ধ) খাদ্যদ্রব্যে ভেজাল প্রতিরোধ,(ন) সমাজের বা ব্যক্তির জন্য ক্ষতিকর বা বিরক্তিকর কার্যকলাপ প্রতিরোধ,(প) বিপজ্জনক ও ক্ষতিকর ব্যবসায়-বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ,(ফ) জনসাধারণের ব্যবহার্য ফেরীর ব্যবস্থাপনা ও নিয়ন্ত্রণ,(ব) গবাদি পশুর খোয়াড়ের ব্যবস্থাপনা ও নিয়ন্ত্রণ,(ভ) ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ,(ম) মেলা, প্রদর্শনী, প্রতিযোগিতামূলক খেলাধুলা ও জনসমাবেশ অনুষ্ঠান ও নিয়ন্ত্রণ,(য) বাধ্যতামূলক শিক্ষাদান কর্মসূচী বাস্তবায়ন,(র) ভিক্ষাবৃত্তি, কিশোর অপরাধ, পতিতাবৃত্তি ও অন্যান্য অসামাজিক কার্যকলাপ প্রতিরোধ,(ল) কোন কোন ক্ষেত্রে লাইসেন্স প্রয়োজন হইবে এবং কি কি শর্তে উহা প্রদান করা হইবে তাহা নির্ধারণ,(শ) এই আইনের অধীন প্রবিধান দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করিতে হইবে বা করা যাইবে এইরূপ যে কোন বিষয়৷(৩) পরিষদের বিবেচনায় যে প্রকারে প্রকাশ করিলে কোন প্রবিধান সম্পর্কে জনসাধারণ ভালভাবে অবহিত হইতে পারিবে সেই প্রকারে প্রত্যেক প্রবিধান প্রকাশ করিতে হইবে৷
৭১৷ (১) পরিষদের বিরুদ্ধে বা পরিষদ সংক্রান্ত কোন কাজের জন্য উহার কোন সদস্য বা কর্মকর্তা বা কর্মচারীর বিরুদ্ধে কোন মামলা দায়ের করিতে হইলে মামলা দায়ের করিতে ইচ্ছুক ব্যক্তিকে মামলার কারণ এবং বাদীর নাম ও ঠিকানা উল্লেখ করিয়া একটি নোটিশ-(ক) পরিষদের ক্ষেত্রে, পরিষদের কার্যালয়ে প্রদান করিতে হইবে বা পৌঁছাইয়া দিতে হইবে;(খ) অন্যান্য ক্ষেত্রে, সংশ্লিষ্ট সদস্য, কর্মকর্তা বা কর্মচারীর নিকট ব্যক্তিগতভাবে বা তাঁহার অফিস বা বাসস্থানে প্রদান করিতে হইবে বা পৌঁছাইয়া দিতে হইবে৷(২) উক্ত নোটিশ প্রদান বা পৌঁছানোর পর ত্রিশ দিন অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত কোন মামলা দায়ের করা যাইবে না, এবং মামলার আরজীতে উক্ত নোটিশ প্রদান করা বা পৌঁছানো হইয়াছে কিনা তাহার উল্লেখ থাকিতে হইবে৷
৭২৷ (১) এই আইন, বিধি বা প্রবিধান পালনের জন্য কোন কাজ করা বা না করা হইতে বিরত থাকা যদি ব্যক্তির কর্তব্য হয় তাহা হইলে কোন সময়ের মধ্যে ইহা করিতে হইবে বা ইহা করা হইতে বিরত থাকিতে হইবে তাহা উল্লেখ করিয়া তাঁহার উপর একটি নোটিশ জারী করিতে হইবে৷(২) এই আইনের অধীন প্রদেয় কোন নোটিশ গঠনগত ত্রুটির কারণে অবৈধ হইবে না৷(৩) ভিন্নরূপ কোন বিধান না থাকিলে এই আইনের অধীন প্রদেয় সকল নোটিশ উহার প্রাপককে হাতে হাতে প্রদান করিয়া অথবা তাঁহার নিকট ডাকযোগে প্রেরণ করিয়া বা তাঁহার বাসস্থান বা কর্মস্থলের কোন বিশিষ্ট স্থানে অাঁটিয়া দিয়া জারী করিতে হইবে৷(৪) যে নোটিশ সর্বসাধারণের জন্য তাহা পরিষদ কর্তৃক নির্ধারিত কোন প্রকাশ্য স্থানে আঁটিয়া দিয়া জারী করা হইলে উহা যথাযথভাবে জারী হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে৷
৭৩৷ এই আইনের অধীন প্রস্তুতকৃত এবং সংরক্ষিত যাবতীয় রেকর্ড এবং রেজিস্টার Evidence Act, 1872 (I of 1872) তে যে অর্থে প্রকাশ্য রেকর্ড (public document) কথাটি ব্যবহৃত হইয়াছে সেই অর্থে, প্রকাশ্য রেকর্ড (public document) বলিয়া গণ্য হইবে এবং বিপরীত প্রমাণিত না হইলে, উহাকে বিশুদ্ধ রেকর্ড বা রেজিস্টার বলিয়া গণ্য করিতে হইবে৷
পরিষদের চেয়ারম্যান, সদস্য ইত্যাদি জনসেবক (Public servant) গণ্য হইবেন
৭৪৷ পরিষদের চেয়ারম্যান ও উহার অন্যান্য সদস্য এবং উহার কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ এবং পরিষদের পক্ষে কাজ করার জন্য যথাযথভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত অন্যান্য ব্যক্তি Penal Code (Act XLV of 1860) এর section 21 এ যে অর্থে জনসেবক (public servent) কথাটি ব্যবহৃত হইয়াছে সেই অর্থে জনসেবক (public servent) বলিয়া গণ্য হইবেন৷
৭৫৷ এই আইন, বিধি বা প্রবিধান এর অধীন সরল বিশ্বাসে কৃত কোন কাজের ফলে কোন ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হইলে বা তাঁহার ক্ষতিগ্রস্ত হইবার সম্ভাবনা থাকিলে তজ্জন্য সরকার, পরিষদ বা উহাদের নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোন দেওয়ানী বা ফৌজদারী মামলা বা অন্য কোন আইনগত কার্যক্রম গ্রহণ করা যাইবে না৷
৭৬৷ (১) এই আইনের বিধান অনুযায়ী বান্দরবান পার্বত্য জেলা স্থানীয় সরকার পরিষদ স্থাপিত হইবার সংগে সংগে স্থানীয় সরকার (জেলা পরিষদ) আইন, ১৯৮৮ (১৯৮৮ সনের ২৯ নং আইন), অতঃপর উক্ত আইন বলিয়া উল্লিখিত, বান্দরবান পার্বত্য জেলার ক্ষেত্রে রহিত হইবে৷(২) উক্ত আইন উক্তরূপে রহিত হইবার পর,-(ক) বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ, অতঃপর উক্ত জেলা পরিষদ বলিয়া উল্লিখিত, বিলুপ্ত হইবে;(খ) উক্ত আইনের অধীন প্রণীত বা প্রণীত হইয়াছে বলিয়া গণ্য সকল বিধি, প্রবিধান ও বাই-ল, প্রদত্ত বা প্রদত্ত হইয়াছে বলিয়া গণ্য সকল আদেশ, জারীকৃত বা জারীকৃত হইয়াছে বলিয়া গণ্য সকল বিজ্ঞপ্তি বা নোটিশ এবং মঞ্জুরীকৃত বা মঞ্জুরীকৃত হইয়াছে বলিয়া গন্য সকল লাইসেন্স ও অনুমতি, এই আইনের বিধানাবলীর সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে, রহিত বা সংশোধিত না হওয়া পর্যন্ত, বলবত্ থাকিবে এবং এই আইনের অধীন প্রণীত, প্রদত্ত, জারীকৃত বা মঞ্জুরীকৃত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে এবং উক্ত সকল বাই-ল প্রবিধান বলিয়া গণ্য হইবে;(গ) উক্ত জেলা পরিষদের সকল সম্পদ, ক্ষমতা, কর্তৃত্ব ও সুবিধা, সকল স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি, তহবিল, নগদ ও ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, বিনিয়োগ এবং উক্ত সম্পত্তি সম্পর্কীয়, উহার যাবতীয় অধিকার বা উহাতে ন্যস্ত যাবতীয় স্বার্থ পরিষদের নিকট হস্তান্তরিত ও ন্যস্ত হইবে;(ঘ) উক্ত জেলা পরিষদের যে সকল ঋণ, দায় ও দায়িত্ব ছিল এবং উহার দ্বারা বা উহার সহিত যে সকল চুক্তি সম্পাদিত হইয়াছিল তাহা পরিষদের ঋণ, দায় ও দায়িত্ব এবং উহার দ্বারা বা উহার সহিত সম্পাদিত চুক্তি বলিয়া গণ্য হইবে;(ঙ) উক্ত জেলা পরিষদ কর্তৃক প্রণীত সকল বাজেট, প্রকল্প ও পরিকল্পনা বা তত্কর্তৃক কৃত মূল্যায়ণ ও নির্ধারিত কর, এই আইনের বিধানাবলীর সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে, রহিত বা সংশোধিত না হওয়া পর্যন্ত, বলবত্ থাকিবে, এবং পরিষদ কর্তৃক এই আইনের অধীন প্রণীত, কৃত বা নির্ধারিত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে;(চ) উক্ত জেলা পরিষদের প্রাপ্য সকল কর , রেইট, টোল, ফিস এবং অন্যান্য অর্থ, এই আইনের অধীন পরিষদের প্রাপ্য বলিয়া গণ্য হইবে;(ছ) উক্ত আইন রহিত হইবার পূর্বে উক্ত জেলা পরিষদ কর্তৃক আরোপিত সকল কর, রেইট, টোল ও ফিস এবং অন্যান্য দাবী, পরিষদ কর্তৃক, পরিবর্তিত না হওয়া পর্যন্ত, একই হারে অব্যাহত থাকিবে;(জ) উক্ত জেলা পরিষদের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী পরিষদে বদলী হইবেন ও উহার কর্মকর্তা ও কর্মচারী হইবেন এবং তাঁহারা উক্তরূপ বদলীর পূর্বে যে শর্তে চাকুরীরত ছিলেন, পরিষদ কর্তৃক পরিবর্তিত না হইলে, সেই শর্তেই তাঁহারা উহার অধীনে চাকুরীরত থাকিবেন;(ঝ) উক্ত জেলা পরিষদ কর্তৃক বা উহার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত যে সকল মামলা-মোকদ্দমা চালু ছিল সেই সকল মামলা-মোকদ্দমা পরিষদ কর্তৃক বা উহার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত বলিয়া গণ্য হইবে৷
৭৭৷ এই আইনে কোন কিছু করিবার জন্য বিধান থাকা সত্ত্বেও যদি উহা কোন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বা কি পদ্ধতিতে করা হইবে তত্সম্পর্কে কোন বিধান না থাকে, তাহা হইলে উক্ত কাজ বিধি দ্বারা নির্ধারিত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক এবং বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে করা হইবে৷
৭৮৷ এই আইনের বিধানাবলী কার্যকর করিবার ক্ষেত্রে কোন অসুবিধা দেখা দিলে সরকার উক্ত অসুবিধা দূরীকরণার্থে, আদেশ দ্বারা, প্রয়োজনীয় যে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে৷
৭৯৷ বান্দরবান পার্বত্য জেলায় প্রযোজ্য জাতীয় সংসদ কর্তৃক গৃহীত কোন আইন পরিষদের বিবেচনায় উক্ত জেলার জন্য কষ্টকর হইলে বা উপজাতীয়দের জন্য আপত্তিকর হইলে, পরিষদ উহা কষ্টকর বা আপত্তিকর হওয়ার কারণ ব্যক্ত করিয়া আইনটির সংশোধন বা প্রয়োগ শিথিল করিবার জন্য সরকারের নিকট লিখিত আবেদন পেশ করিতে পারিবে এবং সরকার এই আবেদন 70[অনুযায়ী প্রতিকারমূলক] পদক্ষেপ গ্রহণ করিতে পারিবে৷
“স্থানীয় সরকার” শব্দগুলি বান্দরবন পার্বত্য জেলা স্থানীয় সরকার পরিষদ (সংশোধন) আইন, ১৯৯৮ (১৯৯৮ সনের ১১ নং আইন) এর ২ ধারাবলে বিলুপ্ত
2
“স্থানীয় সরকার” শব্দগুলি বান্দরবন পার্বত্য জেলা স্থানীয় সরকার পরিষদ (সংশোধন) আইন, ১৯৯৮ (১৯৯৮ সনের ১১ নং আইন) এর ৩ ধারাবলে বিলুপ্ত
3
দফা (কক) বান্দরবন পার্বত্য জেলা স্থানীয় সরকার পরিষদ (সংশোধন) আইন, ১৯৯৮ (১৯৯৮ সনের ১১ নং আইন) এর ৪ ধারাবলে সনি্নবেশিত
4
“তঞ্চঙ্গ্যাঁ” শব্দটি “তনচৈংগা” শব্দটির পরিবর্তে বান্দরবন পার্বত্য জেলা পরিষদ (সংশোধন) আইন, ২০১৪ (২০১৪ সনের ১৮ নং আইন) এর ২ (খ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
5
“বম” শব্দটি “বোম” শব্দটির পরিবর্তে বান্দরবন পার্বত্য জেলা পরিষদ (সংশোধন) আইন, ২০১৪ (২০১৪ সনের ১৮ নং আইন) এর ২ (খ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
6
“খুমী” শব্দটি “খুশী ” শব্দটির পরিবর্তে বান্দরবন পার্বত্য জেলা পরিষদ (সংশোধন) আইন, ২০১৪ (২০১৪ সনের ১৮ নং আইন) এর ২ (খ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
7
“পাংখোয়া” শব্দটি “পাংখু” শব্দটির পরিবর্তে বান্দরবন পার্বত্য জেলা পরিষদ (সংশোধন) আইন, ২০১৪ (২০১৪ সনের ১৮ নং আইন) এর ২ (খ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
8
দফা (ঘঘ) বান্দরবন পার্বত্য জেলা পরিষদ (দ্বিতীয় সংশোধন) আইন, ২০০০ (২০০০ সনের ৩৫ নং আইন) এর ২ ধারাবলে সনি্নবেশিত
9
“স্থানীয় সরকার” শব্দগুলি বান্দরবন পার্বত্য জেলা স্থানীয় সরকার পরিষদ (সংশোধন) আইন, ১৯৯৮ (১৯৯৮ সনের ১১ নং আইন) এর ৪ ধারাবলে বিলুপ্ত
10
সেমিকোলন (;) দাঁড়ির (।) পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত অতঃপর এবং দফা (ঞ) বান্দরবন পার্বত্য জেলা স্থানীয় সরকার পরিষদ (সংশোধন) আইন, ১৯৯৮ (১৯৯৮ সনের ১১ নং আইন) এর ৪ ধারাবলে সংযোজিত
11
“স্থানীয় সরকার” শব্দগুলি বান্দরবন পার্বত্য জেলা স্থানীয় সরকার পরিষদ (সংশোধন) আইন, ১৯৯৮ (১৯৯৮ সনের ১১ নং আইন) এর ৫ ধারাবলে বিলুপ্ত
12
“স্থানীয় সরকার” শব্দগুলি বান্দরবন পার্বত্য জেলা স্থানীয় সরকার পরিষদ (সংশোধন) আইন, ১৯৯৮ (১৯৯৮ সনের ১১ নং আইন) এর ৫ ধারাবলে বিলুপ্ত
13
দফা (ঘ) বান্দরবন পার্বত্য জেলা স্থানীয় সরকার পরিষদ (সংশোধন) আইন, ১৯৯৮ (১৯৯৮ সনের ১১ নং আইন) এর ৬ ধারাবলে সংযোজিত
14
“উপ-ধারা (১)(খ) তে উলি্লখিত” শব্দগুলি, বন্ধনীগুলি, সংখ্যা ও বর্ণ বান্দরবন পার্বত্য জেলা স্থানীয় সরকার পরিষদ (সংশোধন) আইন, ১৯৯৮ (১৯৯৮ সনের ১১ নং আইন) এর ৬ ধারাবলে সনি্নবেশিত
15
“তঞ্চঙ্গ্যাঁ ” শব্দটি “তনচৈংগা” শব্দটির পরিবর্তে বান্দরবন পার্বত্য জেলা পরিষদ (সংশোধন) আইন, ২০১৪ (২০১৪ সনের ১৮ নং আইন) এর ৩ (ক) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
16
“বম” শব্দটি “বোম” শব্দটির পরিবর্তে বান্দরবন পার্বত্য জেলা পরিষদ (সংশোধন) আইন, ২০১৪ (২০১৪ সনের ১৮ নং আইন) এর ৩ (খ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
17
“পাংখোয়া” শব্দটি “পাংখু”শব্দটির পরিবর্তে বান্দরবন পার্বত্য জেলা পরিষদ (সংশোধন) আইন, ২০১৪ (২০১৪ সনের ১৮ নং আইন) এর ২ (খ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
18
“খুমী ” শব্দটি “খুশী ”শব্দটির পরিবর্তে বান্দরবন পার্বত্য জেলা পরিষদ (সংশোধন) আইন, ২০১৪ (২০১৪ সনের ১৮ নং আইন) এর ৩ (গ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
19
উপ-ধারা (৪ক) বান্দরবন পার্বত্য জেলা স্থানীয় সরকার পরিষদ (সংশোধন) আইন, ১৯৯৮ (১৯৯৮ সনের ১১ নং আইন) এর ৬ ধারাবলে সনি্নবেশিত
20
“সার্কেল চীফ” শব্দগুলি “ডেপুটি কমিশনার” শব্দগুলির পরিবর্তে বান্দরবন পার্বত্য জেলা স্থানীয় সরকার পরিষদ (সংশোধন) আইন, ১৯৯৮ (১৯৯৮ সনের ১১ নং আইন) এর ৬ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত
21
“সার্কেল চীফের” শব্দগুলি “ডেপুটি কমিশনারের” শব্দগুলির পরিবর্তে বান্দরবন পার্বত্য জেলা স্থানীয় সরকার পরিষদ (সংশোধন) আইন, ১৯৯৮ (১৯৯৮ সনের ১১ নং আইন) এর ৬ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত
22
উপ-ধারা (৬) বান্দরবন পার্বত্য জেলা স্থানীয় সরকার পরিষদ (সংশোধন) আইন, ১৯৯৮ (১৯৯৮ সনের ১১ নং আইন) এর ৬ ধারাবলে সংযোজিত
23
“রাষ্ট্রপতি কতর্ৃক এতদুদ্দেশ্যে মনোনীত হাইকোর্ট বিভাগের কোন বিচারকের” শব্দগুলি “সরকার কতর্ৃক নির্ধারিত কোন ব্যক্তির” শব্দগুলির পরিবর্তে বান্দরবন পার্বত্য জেলা স্থানীয় সরকার পরিষদ (সংশোধন) আইন, ১৯৯৮ (১৯৯৮ সনের ১১ নং আইন) এর ৭ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত
24
“জেলা” শব্দটি “জেলার স্থানীয় সরকার” শব্দগুলির পরিবর্তে বান্দরবন পার্বত্য জেলা স্থানীয় সরকার পরিষদ (সংশোধন) আইন, ১৯৯৮ (১৯৯৮ সনের ১১ নং আইন) এর ৭ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত
25
“বিধি অনুসারে” শব্দগুলি “সরকার কতর্ৃক নির্ধারিত পদ্ধতিতে চট্রগ্রাম বিভাগের কমিশনারের নিকট” শব্দগুলির পরিবর্তে বান্দরবন পার্বত্য জেলা স্থানীয় সরকার পরিষদ (সংশোধন) আইন, ১৯৯৮ (১৯৯৮ সনের ১১ নং আইন) এর ৮ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত
26
“পাচঁ বৎসর” শব্দগুলি “তিন বৎসর” শব্দগুলির পরিবর্তে বান্দরবন পার্বত্য জেলা স্থানীয় সরকার পরিষদ (সংশোধন) আইন, ১৯৯৮ (১৯৯৮ সনের ১১ নং আইন) এর ৯ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত
27
“পরিষদের অন্যান্য সদস্য কর্তৃক নির্বাচিত কোন উপজাতীয় সদস্য” শব্দগুলি “সরকার কতর্ৃক উপজাতীয় সদস্যগণের মধ্যে হইতে মনোনীত কোন ব্যক্তি” শব্দগুলির পরিবর্তে বান্দরবন পার্বত্য জেলা স্থানীয় সরকার পরিষদ (সংশোধন) আইন, ১৯৯৮ (১৯৯৮ সনের ১১ নং আইন) এর ১০ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত
28
কোলন (:) দাঁড়ির (।) পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত এবং অতঃপর শর্তাংশটি বান্দরবন পার্বত্য জেলা স্থানীয় সরকার পরিষদ (সংশোধন) আইন, ১৯৯২ (১৯৯২ সনের ৩৩ নং আইন) এর ২ ধারাবলে সংযোজিত
29
“১৮২০” সংখ্যাটি “১৬৪০” সংখ্যাটির পরিবর্তে বান্দরবন পার্বত্য জেলা স্থানীয় সরকার পরিষদ (সংশোধন) আইন, ১৯৯৭ (১৯৯৭ সনের ৪ নং আইন) এর ২ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত
30
ধারা ১৬ক বান্দরবন পার্বত্য জেলা স্থানীয় সরকার পরিষদ (সংশোধন) আইন, ১৯৯৭ (১৯৯৭ সনের ৪ নং আইন) এর ৩ ধারাবলে সনি্নবেশিত
31
উপ-ধারা (২) বান্দরবন পার্বত্য জেলা পরিষদ (সংশোধন) আইন, ২০১৪ (২০১৪ সনের ১৮ নং আইন) এর ৪ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
32
“ও ভোটার তালিকা” শব্দগুলি বান্দরবন পার্বত্য জেলা পরিষদ (দ্বিতীয় সংশোধন) আইন, ২০০০ (২০০০ সনের ৩৫ নং আইন) এর ৩ ধারাবলে সংযোজিত
33
ধারা ১৭ বান্দরবন পার্বত্য জেলা স্থানীয় সরকার পরিষদ (সংশোধন) আইন, ১৯৯৮ (১৯৯৮ সনের ১১ নং আইন) এর ১১ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত
34
বিদ্যমান বিধান উপ-ধারা (১) রূপে বান্দরবন পার্বত্য জেলা পরিষদ (দ্বিতীয় সংশোধন) আইন, ২০০০ (২০০০ সনের ৩৫ নং আইন) এর ৩ ধারাবলে সংখ্যায়িত
35
উপ-ধারা (২) বান্দরবন পার্বত্য জেলা পরিষদ (দ্বিতীয় সংশোধন) আইন, ২০০০ (২০০০ সনের ৩৫ নং আইন) এর ৩ ধারাবলে সংযোজিত
36
“ধারা ১৭ এর অধীনে প্রণীত এবং আপাততঃ বলবত্ ভোটার তালিকায়” শব্দগুলি ও সংখ্যাটি “ধারা ১৭তে উলিখিত ভোটার তালিকায় আপাততঃ” শব্দগুলি ও সংখ্যাটির পরিবর্তে বান্দরবন পার্বত্য জেলা পরিষদ (দ্বিতীয় সংশোধন) আইন, ২০০০ (২০০০ সনের ৩৫ নং আইন) এর ৪ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত
37
“নির্বাচন কমিশন” শব্দগুলি “সংবিধান অনুযায়ী গঠিত নির্বাচন কমিশন, অতঃপর নির্বাচন কমিশন বলিয়া উলিখিত,” শব্দগুলি ও কমাগুলির পরিবর্তে বান্দরবন পার্বত্য জেলা পরিষদ (দ্বিতীয় সংশোধন) আইন, ২০০০ (২০০০ সনের ৩৫ নং আইন) এর ৫ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত
38
দফা (ক) বান্দরবন পার্বত্য জেলা স্থানীয় সরকার পরিষদ (সংশোধন) আইন, ১৯৯৮ (১৯৯৮ সনের ১১ নং আইন) এর ১২ ধারাবলে সন্নিবেশিত
39
বিদ্যমান দফা (ক) বান্দরবন পার্বত্য জেলা স্থানীয় সরকার পরিষদ (সংশোধন) আইন, ১৯৯৮ (১৯৯৮ সনের ১১ নং আইন) এর ১২ ধারাবলে দফা (কক) রূপে সংখ্যায়িত
40
ধারা ৩১ বান্দরবন পার্বত্য জেলা স্থানীয় সরকার পরিষদ (সংশোধন) আইন, ১৯৯৮ (১৯৯৮ সনের ১১ নং আইন) এর ১৩ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত
41
“অনুমোদনক্রমে” শব্দটি “পূর্বানুমোদনক্রমে” শব্দটির পরিবর্তে বান্দরবন পার্বত্য জেলা স্থানীয় সরকার পরিষদ (সংশোধন) আইন, ১৯৯৮ (১৯৯৮ সনের ১১ নং আইন) এর ১৪ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত
42
শর্তাংশটি বান্দরবন পার্বত্য জেলা স্থানীয় সরকার পরিষদ (সংশোধন) আইন, ১৯৯৮ (১৯৯৮ সনের ১১ নং আইন) এর ১৪ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত
43
উপ-ধারা (৩) ও (৪) পূর্ববর্তী উপ-ধারা (৩) এর পরিবর্তে বান্দরবন পার্বত্য জেলা স্থানীয় সরকার পরিষদ (সংশোধন) আইন, ১৯৯৮ (১৯৯৮ সনের ১১ নং আইন) এর ১৪ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত
44
“প্রবিধান অনুযায়ী” শব্দগুলি বান্দরবন পার্বত্য জেলা স্থানীয় সরকার পরিষদ (সংশোধন) আইন, ১৯৯৮ (১৯৯৮ সনের ১১ নং আইন) এর ১৫ ধারাবলে সন্নিবেশিত
45
“স্থানীয় সরকার” শব্দগুলি বান্দরবন পার্বত্য জেলা স্থানীয় সরকার পরিষদ (সংশোধন) আইন, ১৯৯৮ (১৯৯৮ সনের ১১ নং আইন) এর ১৬ ধারাবলে বিলুপ্ত
46
“অথবা সরকার কর্তৃক নির্ধারিত অন্য কোন প্রকারে” শব্দগুলি বান্দরবন পার্বত্য জেলা স্থানীয় সরকার পরিষদ (সংশোধন) আইন, ১৯৯৮ (১৯৯৮ সনের ১১ নং আইন) এর ১৭ ধারাবলে বিলুপ্ত
47
দফা (ঘ) বান্দরবন পার্বত্য জেলা স্থানীয় সরকার পরিষদ (সংশোধন) আইন, ১৯৯৮ (১৯৯৮ সনের ১১ নং আইন) এর ১৮ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত
48
উপ-ধারা (৩) বান্দরবন পার্বত্য জেলা স্থানীয় সরকার পরিষদ (সংশোধন) আইন, ১৯৯৮ (১৯৯৮ সনের ১১ নং আইন) এর ১৯ ধারাবলে বিলুপ্ত
49
উপ-ধারা (৪) বান্দরবন পার্বত্য জেলা স্থানীয় সরকার পরিষদ (সংশোধন) আইন, ১৯৯৮ (১৯৯৮ সনের ১১ নং আইন) এর ২০ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত
50
উপ-ধারা (২ক) বান্দরবন পার্বত্য জেলা পরিষদ (সংশোধন) আইন, ২০০০ (২০০০ সনের ৩১ নং আইন) এর ৩ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত
51
উপ-ধারা (৪) বান্দরবন পার্বত্য জেলা স্থানীয় সরকার পরিষদ (সংশোধন) আইন, ১৯৯৮ (১৯৯৮ সনের ১১ নং আইন) এর ২০ ধারাবলে সংযোজিত
52
ধারা ৪৪ বান্দরবন পার্বত্য জেলা স্থানীয় সরকার পরিষদ (সংশোধন) আইন, ১৯৯৮ (১৯৯৮ সনের ১১ নং আইন) এর ২১ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত
53
“পরিষদ” শব্দটি “সরকার” শব্দটির পরিবর্তে বান্দরবন পার্বত্য জেলা স্থানীয় সরকার পরিষদ (সংশোধন) আইন, ১৯৯৮ (১৯৯৮ সনের ১১ নং আইন) এর ২৩ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত
54
ধারা ৫০ বান্দরবন পার্বত্য জেলা স্থানীয় সরকার পরিষদ (সংশোধন) আইন, ১৯৯৮ (১৯৯৮ সনের ১১ নং আইন) এর ২৩ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত
55
“আদেশ দ্বারা পরিষদকে” শব্দগুলি “আদেশ দ্বারা, পরিষদকে, উহার মেয়াদের অবশিষ্ট কার্যকালের অনধিক কোন নিদ্দির্ষ্ট সময়ের জন্য” শব্দগুলি ও কমাগুলির পরিবর্তে বান্দরবন পার্বত্য জেলা স্থানীয় সরকার পরিষদ (সংশোধন) আইন, ১৯৯৮ (১৯৯৮ সনের ১১ নং আইন) এর ২৫ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত
56
“উক্ত বাতিলাদেশ সরকারী গেজেটে প্রকাশিত হওয়ার নব্বই দিনের মধ্যে” শব্দগুলি “বাতিল থাকার মেয়াদ শেষ হইলে” শব্দগুলির পরিবর্তে বান্দরবন পার্বত্য জেলা স্থানীয় সরকার পরিষদ (সংশোধন) আইন, ১৯৯৮ (১৯৯৮ সনের ১১ নং আইন) এর ২৫ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত
57
“সংশিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগের” শব্দগুলি বান্দরবন পার্বত্য জেলা স্থানীয় সরকার পরিষদ (সংশোধন) আইন, ১৯৯৮ (১৯৯৮ সনের ১১ নং আইন) এর ২৬ ধারাবলে সন্নিবেশিত
58
“সংশিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগের” শব্দগুলি বান্দরবন পার্বত্য জেলা স্থানীয় সরকার পরিষদ (সংশোধন) আইন, ১৯৯৮ (১৯৯৮ সনের ১১ নং আইন) এর ২৬ ধারাবলে সন্নিবেশিত
59
“সহকারী” শব্দটি বান্দরবন পার্বত্য জেলা স্থানীয় সরকার পরিষদ (সংশোধন) আইন, ১৯৯৮ (১৯৯৮ সনের ১১ নং আইন) এর ২৭ ধারাবলে বিলুপ্ত
60
শর্তাংশটি বান্দরবন পার্বত্য জেলা স্থানীয় সরকার পরিষদ (সংশোধন) আইন, ১৯৯৮ (১৯৯৮ সনের ১১ নং আইন) এর ২৭ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত
61
“এতদ্সংশিষ্ট অন্যান্য আইনের বিধান অনুযায়ী, প্রয়োজনীয় অভিযোজনসহ,” শব্দগুলি ও কমাগুলি “আপাততঃ বলবত্ অন্য সকল আইনের বিধান সাপে¶ে” শব্দগুলির পরিবর্তে বান্দরবন পার্বত্য জেলা স্থানীয় সরকার পরিষদ (সংশোধন) আইন, ১৯৯৮ (১৯৯৮ সনের ১১ নং আইন) এর ২৭ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত
62
ধারা ৬৪ বান্দরবন পার্বত্য জেলা স্থানীয় সরকার পরিষদ (সংশোধন) আইন, ১৯৯৮ (১৯৯৮ সনের ১১ নং আইন) এর ২৮ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত
63
ধারা ৬৫ বান্দরবন পার্বত্য জেলা স্থানীয় সরকার পরিষদ (সংশোধন) আইন, ১৯৯৮ (১৯৯৮ সনের ১১ নং আইন) এর ২৯ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত
64
ধারা ৬৭ বান্দরবন পার্বত্য জেলা স্থানীয় সরকার পরিষদ (সংশোধন) আইন, ১৯৯৮ (১৯৯৮ সনের ১১ নং আইন) এর ৩০ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত
65
উপ-ধারা (১) বান্দরবন পার্বত্য জেলা স্থানীয় সরকার পরিষদ (সংশোধন) আইন, ১৯৯৮ (১৯৯৮ সনের ১১ নং আইন) এর ৩১ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত
66
উপ-ধারা (৩) বান্দরবন পার্বত্য জেলা স্থানীয় সরকার পরিষদ (সংশোধন) আইন, ১৯৯৮ (১৯৯৮ সনের ১১ নং আইন) এর ৩১ ধারাবলে সংযোজিত
67
“সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে,” শব্দগুলি ও কমা বান্দরবন পার্বত্য জেলা স্থানীয় সরকার পরিষদ (সংশোধন) আইন, ১৯৯৮ (১৯৯৮ সনের ১১ নং আইন) এর ৩২ ধারাবলে বিলুপ্ত
68
কোলন (:) দাঁড়ির (৷) পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত এবং অতঃপর শর্তাংশটি বান্দরবন পার্বত্য জেলা স্থানীয় সরকার পরিষদ (সংশোধন) আইন, ১৯৯৮ (১৯৯৮ সনের ১১ নং আইন) এর ৩২ ধারাবলে সংযোজিত
69
দফা (জ) বান্দরবন পার্বত্য জেলা স্থানীয় সরকার পরিষদ (সংশোধন) আইন, ১৯৯৮ (১৯৯৮ সনের ১১ নং আইন) এর ৩২ ধারাবলে বিলুপ্ত
70
“অনুযায়ী প্রতিকারমূলক” শব্দগুলি “বিবেচনা করিয়া যুক্তিসংগত মনে করিলে আবেদনের প্রে¶িZে প্রতিকারমূলক যথাযথ” শব্দগুলির পরিবর্তে বান্দরবন পার্বত্য জেলা স্থানীয় সরকার পরিষদ (সংশোধন) আইন, ১৯৯৮ (১৯৯৮ সনের ১১ নং আইন) এর ৩৪ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত
Click here to see the original act on the Bangladesh Legal Database.