২।বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থী কোন কিছু না থাকিলে, এই আইনে-(১) “অভ্যর্থনা কেন্দ্র” অর্থ ধারা ৩ এর দফা (ক) এর অধীন স্থাপিত সরকারি অভ্যর্থনা কেন্দ্র;(২) “আশ্রয় কেন্দ্র” অর্থ ধারা ৩ এর অধীন স্থাপিত সরকারি আশ্রয় কেন্দ্র এবং অনুমতিপ্রাপ্ত বেসরকারি আশ্রয় কেন্দ্র;(৩) “জেলা ম্যাজিস্ট্রেট” অর্থ ফৌজদারী কার্যবিধিতে উল্লিখিত District Magistrate এবংAdditional District Magistrate-ও উহার অন্তর্ভুক্ত হইবেন;(৪) “নির্ধারিত” অর্থ বিধি দ্বারা নির্ধারিত;(৫) “নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট” অর্থ ফৌজদারী কার্যবিধিতে উল্লিখিত Executive Magistrate;(৬) “নিরাশ্রয় ব্যক্তি” অর্থ এমন কোন ব্যক্তি যাহার বসবাসের বা রাত্রি যাপন করিবার মত সুনির্দিষ্ট স্থান বা জায়গা এবং ভরণ-পোষণের জন্য নিজস্ব কোন সংস্থান নাই এবং যিনি অসহায়ভাবে শহর বা গ্রামে ভাসমান অবস্থায় জীবন-যাপন করেন এবং সরকার কর্তৃক, সময় সময়, প্রদত্ত বিভিন্ন ভাতা, সাহায্য, ইত্যাদি লাভ করেন না;(৭) “প্রধান ব্যবস্থাপক” অর্থ অভ্যর্থনা কেন্দ্র এবং আশ্রয় কেন্দ্র পরিচালনা ও উহাদের কার্যক্রম তদারকির জন্য সরকার কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তা;(৮) “ফৌজদারী কার্যবিধি” অর্থCode of Criminal Procedure, 1898 (Act V of 1898);(৯) “বিধি” অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি;(১০) “বিশেষ ম্যাজিস্ট্রেট” অর্থ ধারা ৮ এর অধীন বিশেষ ম্যাজিস্ট্রেট হিসাবে কার্য সম্পাদনের জন্য, সরকার কর্তৃক, নিযুক্ত কোন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বা, ক্ষেত্রমত, ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তা;(১১) “বোর্ড” অর্থ ধারা ৪ এর অধীন গঠিত ভবঘুরে উপদেষ্টা বোর্ড;(১২) “ব্যবস্থাপক” অর্থ অভ্যর্থনা কেন্দ্র বা আশ্রয় কেন্দ্র তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে নিয়োজিত কেন্দ্র প্রধান;(১৩) “ব্যবস্থাপনা কমিটি” অর্থ ধারা ৭ এর বিধান অনুসারে গঠিত ব্যবস্থাপনা কমিটি;(১৪) “ভবঘুরে” অর্থ এমন কোন ব্যক্তি যাহার বসবাসের বা রাত্রি যাপন করিবার মত সুনির্দিষ্ট কোন স্থান বা জায়গা নাই অথবা যিনি কোন উদ্দেশ্য ব্যতীত অযথা রাস্তায় ঘোরাফিরা করিয়া জনসাধারণকে বিরক্ত করেন অথবা যিনি নিজে বা কাহারো প্ররোচনায় ভিক্ষাবৃত্তিতে লিপ্ত হন; তবে কোন ব্যক্তি দাতব্য, ধর্মীয় বা জনহিতকর, কোন কাজের উদ্দেশ্যে অর্থ, খাদ্য বা অন্য কোন প্রকার দান সংগ্রহ করিলে এবং উক্ত উদ্দেশ্যে বা কাজে তাহা ব্যবহার করিলে তিনি ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবেন না।
সরকারি অভ্যর্থনা কেন্দ্র এবং সরকারি বা বেসরকারি আশ্রয় কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা
৩। ভবঘুরে ও নিরাশ্রয় ব্যক্তিকে এই আইনে নির্দিষ্টকৃত সময় পর্যন্ত আশ্রয়দান, নিয়ন্ত্রণ, পুনর্বাসন, সামাজিকীকরণ, ইত্যাদির লক্ষ্যে সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা,-(ক) ঢাকা বা অন্য কোন জেলায় সরকারি অভ্যর্থনা কেন্দ্র এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে এক বা একাধিক সরকারি আশ্রয় কেন্দ্র স্থাপন করিতে পারিবে; এবং(খ) উহার নিয়ন্ত্রণ ও তত্ত্বাবধানে কোন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা সংস্থাকে, নির্ধারিত পদ্ধতিতে, বেসরকারি আশ্রয় কেন্দ্র স্থাপন ও পরিচালনা করিবার অনুমতি প্রদান করিতে পারিবে।
৪। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে নিম্নবর্ণিত সদস্য সমন্বয়ে “ভবঘুরে উপদেষ্টা বোর্ড” নামে একটি বোর্ড গঠিত হইবে, যথাঃ-(ক) সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব, যিনি ইহার সভাপতিও হইবেন;(খ) মহা-পুলিশ পরিদর্শক বা তদ্কর্তৃক মনোনীত একজন প্রতিনিধি;(গ) এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর মহা-পরিচালক;(ঘ) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক;(ঙ) আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ কর্তৃক মনোনীত উক্ত বিভাগের অন্যূন যুগ্ম-সচিব পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা;(চ) মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত উক্ত মন্ত্রণালয়ের অন্যূন যুগ্ম-সচিব পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা; এবং(ছ) সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, যিনি ইহার সদস্য সচিবও হইবেন।(২) সরকার, প্রয়োজনে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বোর্ডের সদস্য সংখ্যা হ্রাস বা বৃদ্ধি করিতে পারিবে।(৩) বোর্ডের কোন মনোনীত সদস্য, উপ-ধারা (৪) এর বিধান সাপেক্ষে, তাহার মনোনয়নের তারিখ হইতে ২ (দুই) বৎসর পর্যন্ত স্বীয় পদে বহাল থাকিবেন।(৪) উপ-ধারা (৩) এর বিধান সত্ত্বেও মনোনয়ন প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ যে কোন সময় তদ্কর্তৃক তাহার প্রদত্ত কোন মনোনয়ন বাতিল করিয়া উপযুক্ত নূতন কোন ব্যক্তিকে মনোনয়ন প্রদান করিতে পারিবে।(৫) শুধু কোন সদস্য পদে শূন্যতা বা বোর্ড গঠনে ত্রুটি থাকিবার কারণে বোর্ডের কোন কার্য বা কার্যধারা অবৈধ হইবে না এবং তৎসম্পর্কে কোন প্রশ্নও উত্থাপন করা যাইবে না।
৫। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে বোর্ডের দায়িত্ব, ক্ষমতা ও কার্যাবলী হইবে নিম্নরুপ, যথাঃ-(ক) অভ্যর্থনা কেন্দ্র ও আশ্রয় কেন্দ্র পরিচালনা সম্পর্কে সরকার কর্তৃক, সময় সময়, প্রেরিত যে কোন বিষয় বিবেচনা করা এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সরকারকে পরামর্শ প্রদান;(খ) ভবঘুরে ও নিরাশ্রয় ব্যক্তিদের সংখ্যা নিরুপণ, তাহাদের জীবন যাত্রার পদ্ধতি সম্বন্ধে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা এবং তাহাদের পুনর্বাসন ও কল্যাণার্থে পরিকল্পনা, স্কিম বা প্রকল্প গ্রহণে সরকারকে পরামর্শ প্রদান;(গ) অভ্যর্থনা কেন্দ্র ও আশ্রয় কেন্দ্র পরিচালনা ও উন্নয়নের জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ এবং এতদ্বিষয়ে সরকারকে পরামর্শ প্রদান;(ঘ) অভ্যর্থনা কেন্দ্র ও আশ্রয় কেন্দ্রের কার্যক্রম পরিদর্শন, তদারকি, পর্যবেক্ষণ, মনিটরিং এবং পর্যালোচনাকরণ;(ঙ) অভ্যর্থনা কেন্দ্র ও আশ্রয় কেন্দ্র পরিচালনা সংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়ন এবং উহা বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা প্রদান; এবং(চ) উপরি-উক্ত দায়িত্ব, ক্ষমতা ও কার্যাবলী সম্পাদনের জন্য প্রয়োজনীয় যে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ।
৬। (১) এই ধারার অন্যান্য বিধান সাপেক্ষে, বোর্ড উহার সভার কার্য-পদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে।(২) বোর্ডের সভা, উহার সভাপতি কর্তৃক নির্ধারিত স্থান ও সময়ে অনুষ্ঠিত হইবে।(৩) প্রতি ৬ (ছয়) মাসে বোর্ডের কমপক্ষে একটি সভা অনুষ্ঠিত হইতে হইবে।(৪) বোর্ডের সভাপতি উহার সকল সভায় সভাপতিত্ব করিবেন এবং তাহার অনুপস্থিতিতে, তদ্কর্তৃক নির্দেশিত কোন সদস্য বা এইরুপ কোন নির্দেশ না থাকিলে সভায় উপস্থিত সদস্যগণের দ্বারা নির্বাচিত অন্য কোন সদস্য সভায় সভাপতিত্ব করিবেন।(৫) অন্যূন এক-তৃতীয়াংশ সদস্যের উপস্থিতিতে বোর্ডের সভার কোরাম গঠিত হইবে।(৬) সভায় উপস্থিত সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যগণের সম্মতিতে বোর্ডের সিদ্ধান্ত গৃহীত হইবে।(৭) ভোটের সমতার ক্ষেত্রে সভায় সভাপতিত্বকারী ব্যক্তির দ্বিতীয় বা নির্ণায়ক ভোট প্রদানের ক্ষমতা থাকিবে।
৭। সরকার প্রত্যেক আশ্রয় কেন্দ্রের জন্য উহার কার্যক্রম পরিদর্শন, তদারকী এবং পর্যবেক্ষণের উদ্দেশ্যে, নির্ধারিত পদ্ধতিতে, ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন এবং উহার কার্যাবলী নির্ধারণ করিতে পারিবেঃতবে শর্ত থাকে যে, অনুমতিপ্রাপ্ত বেসরকারি আশ্রয় কেন্দ্রসমূহের ব্যবস্থাপনা কমিটিতে সরকার কর্তৃক মনোনীত এক তৃতীয়াংশ সদস্য অন্তর্ভুক্ত হইবে।
৮।(১) অন্য কোন আইনে যাহা কিছু থাকুক না কেন, এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার যেইরুপ এলাকা নির্ধারণ করিবে, সেইরুপ এলাকার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ বা অন্য কোন উপযুক্ত কর্মকর্তাকে ম্যাজিস্ট্রেট হিসাবে কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য ক্ষমতা অর্পণ করিতে পারিবে, যাহারা বিশেষ ম্যাজিস্ট্রেট নামে অভিহিত হইবেন।(২) মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ (২০০৯ সনের ৫৯ নং আইন) এর অধীন মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকারী ম্যাজিস্ট্রেটগণ এই আইনের উদ্দেশ্যপূরণকল্পে বিশেষ ম্যাজিস্ট্রেট হিসাবে গণ্য হইবেন।
৯। (১) পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর পদ-মর্যাদার নিম্নে নহে এমন কর্মকর্তা অথবা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বা বিশেষ ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তা, কোন ব্যক্তিকে ভবঘূরে বলিয়া গণ্য করিবার যুক্তিসঙ্গত কারণ রহিয়াছে মর্মে নিশ্চিত হইলে, তিনি উক্ত ব্যক্তিকে যে কোন স্থান হইতে যে কোন সময় আটক করিতে পারিবেন।(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন কোন ব্যক্তিকে আটক করা হইলে তাহাকে ২৪ (চব্বিশ) ঘন্টার মধ্যে সংশ্লিষ্ট এলাকার বিশেষ ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট হাজির করিতে হইবে।
১০। (১) ধারা ৯ এর অধীন আটককৃত ব্যক্তিকে বিশেষ ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট উপস্থিত করা হইলে, তিনি আটক করিবার কারণ, তারিখ, সময়, ঘটনার বিবরণ, বয়স, শারীরিক ও মানসিক অবস্থা সংক্রান্ত তথ্যাবলী নথিতে লিপিবদ্ধ করিয়া এতদ্বিষয়ক রেজিস্টারে সংশ্লিষ্ট তথ্যাদি সংরক্ষণ করিবেন।(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে বিশেষ ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট যদি যুক্তিসঙ্গত কারণে এইরুপ প্রতীয়মান হয় যে, আটক কোন ব্যক্তি সম্পর্কে অধিকতর অনুসন্ধান বা তথ্য প্রয়োজন, তাহা হইলে কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া, তিনি উক্ত ব্যক্তিকে, অন্য আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, প্রধান ব্যবস্থাপকের তত্ত্বাবধানে নিকটস্থ অভ্যর্থনা কেন্দ্রে সাময়িক হেফাজতে রাখিয়া তাহার সম্পর্কে অনধিক ৭ (সাত) দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় অনুসন্ধানপূর্বক তদ্কর্তৃক চাহিত বা নির্দিষ্টকৃত তথ্য সংগ্রহ করিয়া প্রতিবেদন প্রেরণের জন্য নিকটস্থ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, প্রবেশন কর্মকর্তা বা অন্য কোন উপযুক্ত ব্যক্তিকে নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন।(৩) উপ-ধারা (১) বা, ক্ষেত্রমত, উপ-ধারা (২) এর অধীন প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে বিশেষ ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট যদি সন্তোষজনকভাবে প্রতীয়মান হয় যে, ধারা ৯ এর অধীন আটককৃত ব্যক্তি-(ক) ভবঘুরে নহে, তাহা হইলে কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া তিনি উক্ত ব্যক্তিকে বিনাশর্তে বা, ক্ষেত্রমত, প্রয়োজনীয় মুচলেকা গ্রহণপূর্বক, তাৎক্ষণিকভাবে মুক্তিদানের আদেশ প্রদান করিবেন; অথবা(খ) একজন ভবঘুরে, তাহা হইলে তিনি, কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া উক্ত ব্যক্তিকে ভবঘুরে ঘোষণাপূর্বক এই আইনের অন্যান্য বিধান সাপেক্ষে, যে কোন আশ্রয় কেন্দ্রে অনধিক ২ (দুই) বৎসরের জন্য আটক রাখিবার নিমিত্ত অভ্যর্থনা কেন্দ্রে প্রেরণের আদেশ প্রদান করিবেন;তবে শর্ত থাকে যে, এই দফার অধীন ঘোষিত ভবঘুরে মহিলা হইলে এবং তাহার সহিত অনধিক ৭ (সাত) বৎসর বয়সের এক বা একাধিক সন্তান থাকিলে সন্তানসহ উক্ত মহিলাকে একইসাথে আশ্রয় কেন্দ্রে আটক রাখিতে হইবে;আরও শর্ত থাকে যে, উল্লিখিত সন্তানগণের বয়স ৭ (সাত) বৎসর উত্তীর্ণ হইবার সাথে সাথে, প্রধান ব্যবস্থাপককে অবহিত করিয়া এবং এতদসংশ্লিষ্ট নথিতে বিষয়টি লিপিবদ্ধ করতঃ, তাহাদিগকে সংশ্লিষ্ট আশ্রয় কেন্দ্রের শিশু ওয়ার্ডে বা উক্ত কেন্দ্রের নির্ধারিত অন্য কোন ওয়ার্ডে অথবা সরকার, অধিদপ্তর বা বোর্ড কর্তৃক নির্দিষ্টকৃত অন্য কোন সরকারী বা বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে স্থানান্তর করা যাইবে।ব্যাখ্যাঃ এই ধারার উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত “প্রবেশন কর্মকর্তা” বলিতেProbation of Offenders Ordinance, 1960 (Ord. No. XLV of 1960) এরsection 2এর clause (d)-তে সংজ্ঞায়িত “probation officer”-কে বুঝাইবে।
নিরাশ্রয় ব্যক্তির আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় গ্রহণ, ইত্যাদি
১১। (১) ধারা ৯ এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোন নিরাশ্রয় ব্যক্তি স্বেচ্ছায় বা তাহার পক্ষে কোন স্থানীয় সরকার কর্তৃপক্ষ, উপযুক্ত প্রতিষ্ঠান বা বিশিষ্ট কোন ব্যক্তি সরকারী আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় লাভের বা প্রদানের জন্য বিশেষ ম্যাজিস্ট্রেট বরাবরে সরাসরি আবেদন করিতে পারিবেন।(২) বিশেষ ম্যাজিস্ট্রেট, উপ-ধারা (১) এর অধীন, প্রাপ্ত আবেদন যথাযথ বলিয়া বিবেচনা করিলে, প্রয়োজনে ব্যক্তিগত শুনানি গ্রহণপূর্বক, তদ্কর্তৃক নির্দিষ্টকৃত সময়ের জন্য সংশ্লিষ্ট নিরাশ্রয় ব্যক্তিকে আশ্রয় কেন্দ্রে প্রেরণের আদেশ প্রদান করিতে পারিবেনঃতবে শর্ত থাকে যে, উক্ত নির্দিষ্ট সময় অতিক্রান্ত হইবার পর উক্ত ব্যক্তি আরও অধিক সময় সরকারী আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান করিবার অভিপ্রায় জানাইয়া বিশেষ ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট আবেদন করিতে পারিবেন এবং বিশেষ ম্যাজিস্ট্রেট পুনরায় সময় বর্ধিত করিয়া উক্ত বর্ধিতকালে পর্যন্ত সরকারী আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থানের জন্য আদেশ দান করিতে পারিবেনঃআরও শর্ত থাকে যে, উক্ত নির্দিষ্টকৃত এবং বর্ধিত সময়ের সর্বমোট মেয়াদ ২ (দুই) বৎসরের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকিতে হইবে।(৩) নিরাশ্রয় ব্যক্তি মহিলা হইলে এবং তাহার সহিত অনধিক ৭ (সাত) বৎসরের শিশু সন্তান থাকিলে তাহার ক্ষেত্রে ধারা ১০ এর উপ-ধারা (৩) এর দফা (খ) এর শর্তাংশ প্রযোজ্য হইবে।
১২।কোন মহিলা ভবঘুরে বা নিরাশ্রয় ব্যক্তিকে গর্ভবতী অবস্থায় আশ্রয় কেন্দ্রে পাঠানো হইলে, সন্তান জন্মলাভ করিবার পর তিনি অনধিক ২ (দুই) বৎসর পর্যন্ত তাহার সন্তানসহ আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান করিতে পারিবেন এবং উক্ত মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর সন্তানসহ সংশ্লিষ্ট মহিলাকে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাইতে পারে, অন্যথায় তাৎক্ষণিকভাবে সন্তানসহ মুক্তি প্রদান করিতে হইবে।
১৩। (১) বিশেষ ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক ধারা ১০ এর উপ-ধারা (৩) এর দফা (খ) এর অধীন কোন আদেশ প্রদত্ত হইলে সংশ্লিষ্ট ভবঘূরের সহিত উক্ত ধারার উপ-ধারা (১) অনুযায়ী প্রস্তুতকৃত রেজিস্টারের সংশ্লিষ্ট অংশসমূহের অনুলিপি অভ্যর্থনা কেন্দ্রে প্রেরণ করিতে হইবে।(২) আশ্রয় কেন্দ্রে আটকের উদ্দেশ্যে কোন ভবঘুরে বা নিরাশ্রয় ব্যক্তিকে ধারা ১০ এর উপ-ধারা (৩) এর দফা (খ) এর বিধান অনুসারে অভ্যর্থনা কেন্দ্রে প্রেরণ করা হইলে উক্ত ব্যক্তির যাবতীয় তথ্যাদি সম্বলিত একটি নথি সংরক্ষণ করতঃ সংশ্লিষ্ট তথ্যাদি কেন্দ্রের এতদ্বিষয়ক রেজিস্টারে সংরক্ষণ করিতে হইবে, যাহাতে বিশেষ ম্যাজিস্ট্রেটের ঘোষণা নম্বর, আগমনের তারিখসহ যাবতীয় তথ্যাবলী লিপিবদ্ধ করিতে হইবে এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিপরীতে একটি রেজিস্ট্রেশন নম্বর প্রদান করিতে হইবে।(৩) অভ্যর্থনা কেন্দ্রে আগমনের সাথে সাথে ভবঘূরে বা নিরাশ্রয় ব্যক্তিকে প্রয়োজনীয় ডাক্তারি পরীক্ষা করাইতে হইবে এবং তাহার স্বাস্থ্যগত ও শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন নিম্নবর্ণিত তথ্য অনুসারে প্রস্তুত করিতে হইবে, যথাঃ-ভবঘূরে বা নিরাশ্রয় ব্যক্তি-(ক) পুরুষ বা মহিলা এবং তাহার বয়স, জন্ম তারিখ এবং পরিচয়;(খ) কুষ্ঠ, এইডস বা কোন ছোঁয়াচে রোগে আক্রান্ত বা মাদকাসক্ত কি না;(গ) উন্মাদ বা মানসিক প্রতিবন্ধী কি না;(ঘ) সংক্রান্ত নির্ধারিত অন্য যে কোন বা সকল তথ্য।(৪) উপ-ধারা (৩) অনুসারে প্রস্তুতকৃত প্রতিবেদনে কোন ব্যক্তি উন্মাদ, মানসিক প্রতিবন্ধী, মাদকাসক্ত বা অন্য যে কোন ধরণের মারাত্মক ছোঁয়াচে রোগে আক্রান্ত বলিয়া উল্লেখ করা হইলে অভ্যর্থনা কেন্দ্র তাহাকে, যথাশীঘ্র সম্ভব, সরকারী হাসপাতালে বা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে প্রেরণ করিবার ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে এবং এতদ্সংশ্লিষ্ট রেজিস্টারে বিষয়টি লিপিবদ্ধ করিয়া প্রধান ব্যবস্থাপককে অবহিত করিবে।(৫) উপ-ধারা (৪) অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হইলে সংশ্লিষ্ট ভবঘুরে বা নিরাশ্রয় ব্যক্তির হাসপাতাল ত্যাগ, পরিচর্যা, নিরাপত্তাসহ আনুষঙ্গিক বিষয়াদি নির্ধারিত হইবে।(৬) প্রতিটি আশ্রয় কেন্দ্রে ভবঘুরে এবং নিরাশ্রয় ব্যক্তির কেন্দ্রে আগমন, কেন্দ্র হইতে স্থানান্তর, মুক্তি, প্রস্থানসহ আনুষঙ্গিক তথ্যাবলী সংক্রান্ত রেজিস্টার সংরক্ষণ করিবে।(৭) অভ্যর্থনা কেন্দ্র বা আশ্রয় কেন্দ্র এই ধারার অধীন নথি ও রেজিস্টার সংরক্ষণে ব্যর্থ হইলে বা সংশ্লিষ্ট নথি ও রেজিস্টারে কোন তথ্যগত গরমিল বা ত্রুটি পরিলক্ষিত হইলে ব্যবস্থাপক দায়ী হইবেন এবং উক্তরুপ দায়িত্বে অবহেলার জন্য তাহার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাইবে।
আশ্রয় কেন্দ্রের শ্রেণী এবং ওয়ার্ডের বিন্যাস, ইত্যাদি
১৪। (১) আশ্রয় কেন্দ্র নির্ধারিত পদ্ধতিতে শ্রেণী এবং ওয়ার্ডে বিন্যাসিত হইবে।(২) অভ্যর্থনা কেন্দ্রে আগত ভবঘুরে বা, ক্ষেত্রমত, নিরাশ্রয় ব্যক্তিকে আশ্রয়কেন্দ্রে প্রেরণ করিবার সাথে সাথে উপ-ধারা (১) এর বিধান অনুসারে উক্ত কেন্দ্রের বিন্যাসিত শ্রেণী বা ওয়ার্ডে তাহার অবস্থান নিশ্চিত করিতে হইবে।
ভবঘুরে এবং নিরাশ্রয় ব্যক্তির দেহ ও মালামাল তল্লাশি, ইত্যাদি
১৫।অভ্যর্থনা কেন্দ্র বা আশ্রয় কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক কেন্দ্রে প্রবেশের সময় এবং পরবর্তীতে, সময়ে সময়ে, যে কোন ভবঘুরে এবং নিরাশ্রয় ব্যক্তির দেহ বা তাহার নিকট রক্ষিত মালামাল নির্ধারিত পদ্ধতিতে তল্লাশি করিতে পারিবেন।
ভবঘুরে বা নিরাশ্রয় ব্যক্তির আশ্রয় কেন্দ্র পরিবর্তন
১৭। প্রধান ব্যবস্থাপক বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তা, ব্যবস্থাপকের সুপারিশ অনুসারে স্বীয় বিবেচনায় সরাসরি বা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, কোন ভবঘুরে বা নিরাশ্রয় ব্যক্তিকে, প্রয়োজনে, এক কেন্দ্র হইতে অন্য কেন্দ্রে স্থানান্তর করিতে পারিবেন।
১৮। (১) আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থানরত ভবঘুরে ব্যক্তির পুনর্বাসনের লক্ষ্যে সরকার, নির্ধারিত পদ্ধতিতে, পরিকল্পনা প্রণয়নপূর্বক উহা বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে।(২) সরকার উপ-ধারা (১) এর অধীন ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষেত্রে বেসরকারী আশ্রয় কেন্দ্রের কর্তৃপক্ষের নিকট হইতে, প্রয়োজনে সহায়তা চাহিতে পারিবে এবং উক্তরুপ চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে উক্ত কর্তৃপক্ষ সরকারকে সকল প্রকার সহায়তা প্রদান করিবে।(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন সহায়তা প্রদানের ক্ষেত্রে বেসরকারী আশ্রয় কেন্দ্রের কর্তৃপক্ষ ব্যর্থ হইলে সরকার উহার অনুমতি বাতিলসহ সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে।
১৯। ধারা ৯ এর উপ-ধারা (১) এর অধীন কোন ব্যক্তিকে আটক করা হইলে উক্ত আটক ব্যক্তির অভিপ্রায় অনুযায়ী বিশেষ ম্যাজিস্ট্রেট তাহার অভিভাবক, আইনজীবী বা কোন নিবন্ধিত মানবাধিকার সংস্থার প্রতিনিধির মাধ্যমে তাহাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ প্রদান করিবেন।
২০। (১) ব্যবস্থাপক আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থানরত ভবঘুরে বা নিরাশ্রয় ব্যক্তিকে নির্ধারিত পদ্ধতিতে নিম্নবর্ণিত বিষয়ে তাহার সন্তুষ্টি হওয়া সাপেক্ষে মুক্তি প্রদান করিতে পারিবেন, যথাঃ-(ক) উক্ত ব্যক্তির আটকের মেয়াদ শেষ হইয়া গিয়াছে;(খ) উক্ত ব্যক্তির জন্য সন্তোষজনক চাকুরীর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হইয়াছে;(গ) উক্ত ব্যক্তি তাহার দৈনন্দিন চাহিদা মিটাইবার মত বর্তমানে কর্মদক্ষতা অর্জন করিয়াছে বা নিজের খরচপত্র চালাইবার মত পর্যাপ্ত উপার্জনশীল হইয়াছে; বা(ঘ) উক্ত ব্যক্তির আত্মীয়-স্বজন বা সমাজের দায়িত্বশীল কোন ব্যক্তি বর্তমানে তাহার দায়িত্ব গ্রহণে আগ্রহী।(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন মুক্তি প্রদান করা হইলে উক্ত তথ্য অভ্যর্থনা কেন্দ্রে, প্রধান ব্যবস্থাপক এবং বিশেষ ম্যাজিস্ট্রেটের কার্যালয়ে সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে ভবঘুরে কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রেরণ করিবে।
২১। (১) সরকার প্রতিটি সরকারী আশ্রয় কেন্দ্রের জন্য একটি ভবঘুরে কল্যাণ তহবিল গঠন করিবে।(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন গঠিত তহবিলে সরকার, বেসরকারী সংস্থা বা ব্যক্তি কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান এবং আশ্রয় কেন্দ্রের কোন আয় ও আশ্রিত ভবঘুরে ও নিরাশ্রয় ব্যক্তিদের দ্বারা-পরিচালিত কোন লাভজনক কার্যের মাধ্যমে উপার্জিত অর্থ, যদি থাকে, জমা হইবে।(৩) তহবিলের অর্থ নির্ধারিত পদ্ধতিতে পরিচালিত ও ব্যয়িত হইবে এবং এতদ্সংক্রান্ত রেজিস্টারে উহা লিপিবদ্ধ করিতে হইবে।
২২। (১) যদি কোন ভবঘুরে বা নিরাশ্রয় ব্যক্তি-(ক) ব্যবস্থাপকের অনুমতি ব্যতীত অভ্যর্থনা বা আশ্রয় কেন্দ্র পরিত্যাগ করে বা কেন্দ্র হইতে পলায়ন করে;(খ) ব্যবস্থাপকের অনুমতি গ্রহণ করিয়া কেন্দ্র হইতে বাহির হইয়া নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রত্যাবর্তন না করে;তাহা হইলে তিনি এই আইনের অধীন অপরাধ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে এবং উক্তরুপ অপরাধের জন্য তিনি অনধিক ৩ (তিন) মাসের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।(২) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত দণ্ড ভোগের পর ব্যবস্থাপক সংশ্লিষ্ট ভবঘুরে বা নিরাশ্রয় ব্যক্তিকে কারাগার হইতে পুনরায় কেন্দ্রে আশ্রয় দেওয়ার উদ্দেশ্যে কেন্দ্রে ফিরাইয়া লইবার ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন এবং এই আইনে নির্দিষ্টকৃত সময় অতিক্রান্ত হইবার পর নির্ধারিত পদ্ধতিতে মুক্তি প্রদান করিবেন।
মানুষকে ভিক্ষাবৃত্তিতে নিয়োজিত করার ক্ষেত্রে কতিপয় আইনের প্রয়োগ
২৪। অন্য কোন ব্যক্তি দ্বারা প্রভাবিত বা প্ররোচিত হইয়া ভিক্ষাবৃত্তি কাজে নিয়োজিত এমন কোন ভবঘুরেকে এই আইনের অধীন আটক করা হইলে উহার পাশাপাশি যে ব্যক্তির প্ররোচনা বা প্রভাবে সে ভিক্ষাবৃত্তিতে নিয়োজিত আছে তাহা সন্দেহাতীতভাবে বিশেষ ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট উক্ত আটক ব্যক্তি প্রমাণ করিতে পারিলে প্ররোচনাকারী বা প্রভাববিস্তারকারী উক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে Penal Code, 1860 (Act XLV of 1860),নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ (২০০০ সনের ৮নং আইন) এবংDhaka Metropolitan Police Ordinance, 1976 (Ord. No. III of 1976)-সহ এতদ্সংক্রান্ত অন্যান্য আইনের বিধানাবলী প্রযোজ্য এবং প্রয়োগযোগ্য হইবে।
২৫। এই আইনের কোন কিছুই ইহার অধীন শাস্তিযোগ্য অপরাধের জন্য অন্য কোন আইনের অধীন কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ ব্যাহত করিবে নাঃতবে শর্ত থাকে যে, অনুরুপ যাবতীয় মামলা ফৌজদারী কার্যবিধির ধারা ৪০৩ এর বিধান সাপেক্ষে হইবে।
২৬। অভ্যর্থনা কেন্দ্র এবং আশ্রয় কেন্দ্রের কার্যাবলী সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য সরকার প্রধান ব্যবস্থাপক ও অনুমোদিত সাংগঠনিক কাঠামো অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সংখ্যক ব্যবস্থাপকসহ অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ করিতে পারিবে এবং তাহাদের চাকুরীর শর্তাবলী বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবেঃতবে শর্ত থাকে যে, উক্তরুপ বিধি প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত সরকার তাহার অধীনস্থ কোন সংস্থা বা অধিদপ্তরে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্য হইতে প্রেষণে নিয়োগের মাধ্যমে এই আইনের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কর্মকান্ড সম্পাদনের ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে।
২৭ । এই আইন বা তদ্ধীন প্রণীত বিধির অধীন সরল বিশ্বাসে কৃত কোন কাজের ফলে কোন ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্থ হইলে বা ক্ষতিগ্রস্থ হইবার সম্ভাবনা থাকিলে, তজ্জন্য সরকার বা সরকারের কোন কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে কোন দেওয়ানী বা ফৌজদারী বা অন্য কোন আইনগত কার্যধারা দায়ের করা যাইবে না।
২৯। এই আইন প্রবর্তনের পর সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের বাংলা পাঠের ইংরেজীতে অনূদিত একটি নির্ভরযোগ্য পাঠ(Authentic English Text) প্রকাশ করিতে পারিবেঃতবে শর্ত থাকে যে, বাংলা পাঠ ও ইংরেজী পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে বাংলা পাঠ প্রাধান্য পাইবে।
৩০।(১)Vagrancy Act 1943 (Bengal Act VII of 1943),অতঃপর উক্তActবলিয়া উল্লিখিত, এতদ্দ্বারা রহিত করা হইল।(২) উক্তরুপ রহিতকরণ সত্ত্বেও উক্তAct এর অধীন-(ক) প্রণীত কোন বিধি, প্রবিধান, স্কিম, পরিকল্পনা, অথবা জারীকৃত কোন আদেশ, বিজ্ঞপ্তি, প্রজ্ঞাপন বা কোন কার্যধারা, এই আইনের বিধানাবলীর সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে, রহিত বা সংশোধিত না হওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকিবে, এবং এই আইনের সংশ্লিষ্ট ধারার অধীন কৃত, প্রণীত, জারীকৃত বা গৃহীত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে;(খ) স্থাপিত ও পরিচালিত অভ্যর্থনা কেন্দ্র এবং আশ্রয় কেন্দ্রসমূহ এই আইনের ধারা ৩ এর অধীন অভ্যর্থনা কেন্দ্র ও আশ্রয় কেন্দ্র সংক্রান্ত সরকারি প্রজ্ঞাপন জারী না হওয়া পর্যন্ত অব্যাহত এবং কার্যকর থাকিবেঃতবে শর্ত থাকে যে, উক্ত ধারার অধীন অভ্যর্থনা কেন্দ্র ও সরকারি আশ্রয় কেন্দ্র স্থাপিত হইবার সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যমান অভ্যর্থনা কেন্দ্র ও আশ্রয় কেন্দ্রসমূহ বিলুপ্ত হইয়া যাইবে।(৩) উপ-ধারা (২) এর দফা (খ) এর অধীন বিলুপ্ত উভয় কেন্দ্রের সকল স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি এবং নগদ ও ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, এতদ্সংক্রান্ত সকল দাবী ও অধিকার এবং আশ্রিত ভবঘুরে নব স্থাপিত উভয় কেন্দ্রের নিকট হস্তান্তর এবং স্থানান্তরিত হইবে এবং কেন্দ্র উহার অধিকারী হইবেঃতবে শর্ত থাকে যে, উক্তরুপে স্থানান্তরিত সকল ভবঘূরে এই আইন কার্যকর হইবার পর পরবর্তী ১ (এক) বৎসরের জন্য নব স্থাপিত আশ্রয় কেন্দ্রে, পুনর্বাসন হওয়া সাপেক্ষে, অবস্থান করিবেঃআরও শর্ত থাকে যে, উক্ত ১ (এক) বৎসর সময়ের মধ্যে পুনর্বাসন করা সম্ভব না হইলে তাহারা পরবর্তী আরও ১ (এক) বৎসর সময় পর্যন্ত উক্ত কেন্দ্রে অবস্থান করিবার অধিকার লাভ করিবে।(৪) বিলুপ্ত উভয় কেন্দ্রের সকল ঋণ, দায় ও দায়িত্ব এবং তদ্কর্তৃক বা উহার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা মোকদ্দমা বা সূচীত আইনগত কার্যধারা এতদ্সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের ঋণ, দায় ও দায়িত্ব এবং উক্ত কেন্দ্র কর্তৃক বা উক্ত কেন্দ্রের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা মোকদ্দমা বা সূচীত কার্যধারা বলিয়া গণ্য হইবে।(৫) বিলুপ্ত উভয় কেন্দ্রের নথি, রেজিস্টার, ইত্যাদি নবস্থাপিত এতদ্সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের নথি, রেজিস্টার, ইত্যাদি বলিয়া গণ্য ও সংরক্ষিত হইবে।(৬) বিলুপ্ত উভয় কেন্দ্রের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী যথাক্রমে নবস্থাপিত অভ্যর্থনা কেন্দ্র ও সরকারি আশ্রয় কেন্দ্রের কর্মকর্তা ও কর্মচারী বলিয়া গণ্য হইবেঃতবে শর্ত থাকে যে, সরকার কর্তৃক উক্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের চাকুরীর শর্তাবলী ভিন্নরুপ নির্ধারিত না হওয়া পর্যন্ত বিলুপ্ত উভয় কেন্দ্রের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের চাকুরী এইরুপে নিয়ন্ত্রিত হইবে যেইরুপে উভয় কেন্দ্র বিলুপ্ত হইবার পূর্বে নিয়ন্ত্রিত হইত।(৭) বিলুপ্ত কেন্দ্রের দায়িত্বরত প্রধান নিয়ন্ত্রক, সরকার কর্তৃক ভিন্নরুপ আদেশ প্রদান না করা পর্যন্ত, এই আইনের অধীন প্রধান ব্যবস্থাপক হিসাবে দায়িত্ব পালন অব্যাহত রাখিবেন।ব্যাখ্যাঃ(ক) “বিলুপ্ত উভয় কেন্দ্র” বলিতে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক পরিচালিত সরকারি অভ্যর্থনা কেন্দ্র এবং সরকারি সকল আশ্রয় কেন্দ্রকে বুঝাইবে;(খ) কেন্দ্র বলিতে ধারা ৩ এর অধীন স্থাপিতব্য অভ্যর্থনা কেন্দ্র এবং সরকারি বা, ক্ষেত্রমত, বেসরকারি আশ্রয় কেন্দ্রকে বুঝাইবে।