যেহেতু দেশে উচ্চ শিক্ষারক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণ ও ব্যাপক সম্প্রসারণ, সর্বসাধারণের জন্য উচ্চ শি—গা সুলভকরণ এবং উহার মাধ্যমে দাতা জনগোষ্ঠী সৃষ্টির উদ্দেশ্যে বেসরকারী পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাকরণ অত্যাবশ্যক;এবং যেহেতু দেশের কতিপয় জনকল্যাণকামী ব্যক্তি, ব্যক্তি-গোষ্ঠী, দাতব্য ট্রাষ্ট ও প্রতিষ্ঠান বেসরকারী পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা করিতে আগ্রহী;এবং যেহেতু বেসরকারী পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাকরণকল্পে বিধান করা প্রয়োজনীয় ও সমীচীন;সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল :-
৩৷ (১) এই আইনের বিধান অনুযায়ী এক বা একাধিক বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা যাইবে৷(২) এই আইনের বিধান সাপেক্ষে, কোন বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাবর ও অস্থাবর উভয় প্রকার সম্পত্তি অর্জন করার, অধিকারে রাখার এবং হস্তান্তর করার ক্ষমতা থাকিবে এবং উহার নামে উহার পক্ষে বা বিপক্ষে মামলা দায়ের করা যাইবে৷
2[৩ক৷ কোন বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় এমন নামে স্থাপন করা যাইবে না, যে নামে একটি বিদ্যমান সরকারী অথবা বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় ইতিপূর্বে স্থাপিত হইয়া উক্ত নামেই বহাল আছে অথবা যে নামের সহিত প্রস্তাবিত নামের সাদৃশ্য থাকে৷]
৪৷ সরকারের অনুমোদনক্রমে এবং এই আইনের বিধান সাপেক্ষে কোন বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের যে কোন স্থানে অবস্থিত হইতে পারিবে:তবে শর্ত থাকে যে, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, কোন বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় প্রারম্ভিকভাবে কোন স্থানে অস্থায়ীভাবে স্থাপন করা যাইবে, কিন্তু অস্থায়ীভাবে স্থাপনের তারিখ হইতে পাঁচ বত্সরের মধ্যে উহা, সরকার কর্তৃক অনুমোদিত, উহার নিজস্ব অন্যুন পাঁচ একর পরিমাণ ভূমি ও পর্যাপ্ত অবকাঠামোর মধ্যে স্থায়ীভাবে স্থাপন করিতে হইবে 3[:আরো শর্ত থাকে যে, বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থায়ীভাবে স্থাপনের পূর্বে দায়মুক্ত অবস্থায় দলিল রেজিষ্ট্রীকরণের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে উক্ত জমি হস্তান্তর করিয়া সরকারের নিকট দলিল দাখিল করিতে হইবে৷]
৬৷ 4(১) এই আইনের অধীনে সরকারের নিকট হইতে প্রয়োজনীয় সনদপত্র অর্জন না করিয়া কোন বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন বা পরিচালনা করা যাইবে না, কিংবা কোন বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বাংলাদেশে স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রী, ডিপ্লোমা বা সার্টিফিকেট কোর্স পরিচালনা করা কিংবা ডিগ্রী, ডিপ্লোমা বা সার্টিফিকেট প্রদান করা যাইবে না৷ কোন বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে বা পরিচালনায় আগ্রহী কোন ব্যক্তি, ব্যক্তি-গোষ্ঠী, দাতব্য ট্রাষ্ট বা অন্য কোন প্রতিষ্ঠানকে উপ-ধারা (১) এর অধীন একটি সনদপত্র অর্জনের উদ্দেশ্যে সরকারের নিকট নির্ধারিত ফরমে আবেদন করিতে হইবে৷(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন কোন আবেদন পাওয়ার পর সরকার আবেদনকারীর নিকট হইতে বিষয়টি সম্পর্কে উহার বিবেচনায় প্রয়োজনীয় আরও তথ্য তলব করিতে পারিবে এবং আবেদনটি বিবেচনার পর যদি সরকার এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে আবেদনকারী কোন বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য ধারা ৭ এর অধীন শর্তাবলী পূরণ করিয়াছেন তাহা হইলে একটি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য বিধি দ্বারা নির্ধারিত ফরমে আবেদনকারীর অনুকূলে উপ-ধারা (১) এর অধীন একটি সনদপত্র প্রদান করিবে৷(৪) যদি সরকার এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, আবেদনকারী একটি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য ধারা ৭ এর অধীন শর্তাবলী পূরণ করিতে ব্যর্থ হইয়াছে, তাহা হইলে সরকার আদেশ দ্বারা আবেদনকারী কর্তৃক উপ-ধারা (২) এর অধীন দাখিলকৃত আবেদনটি নাকচ করিতে পারিবে:তবে শর্ত থাকে যে, আবেদনকারীকে যুক্তিসংগত শুনানীর সুযোগ প্রদান না করিয়া অনুরূপ কোন আবেদন নাকচ করা যাইবে না৷(৫) উপ-ধারা (৪) এর অধীন কোন আবেদন নাকচ আদেশ দ্বারা সংক্ষুদ্ধ কোন ব্যক্তি, ব্যক্তি-গোষ্ঠী, দাতব্য ট্রাষ্ট বা প্রতিষ্ঠান উক্ত আদেশের তারিখ হইতে ত্রিশ দিনের মধ্যে চ্যান্সেলরের নিকট উক্ত আদেশের বিরুদ্ধে আপীল করিতে পারিবেন এবং উক্ত আপীলের উপর চ্যান্সেলরের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে৷
৭৷ ধারা ৬ এর অধীন সনদপত্র অর্জনের জন্য কোন বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়কে, অন্যান্যের মধ্যে, নিম্নবর্ণিত শর্তাবলী পূরণ করিতে হইবে, যথা:-(ক) উহার শিক্ষা কার্যক্রম সম্পর্কিত একটি পরিকল্পনা মঞ্জুরী কমিশন কর্তৃক পূর্বানুমোদিত হইতে হইবে;(খ) প্রারম্ভিক অবস্থায় উহার অন্যুন দুইটি অনুষদ থাকিতে হইবে;(গ) প্রত্যেকটি অনুষদের জন্য মঞ্জুরী কমিশন কর্তৃক অনুমোদিত সংখ্যক বৈশিষ্ট্যপূর্ণ শিক্ষাগত যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষক থাকিতে হইবে;5(ঘ) উহার অন্যুন পাঁচ কোটি টাকার সংরক্ষিত তহবিল (reserved fund) কোন তফসিলী ব্যাংকে জমা থাকিতে হইবে; উহার মঞ্জুরী কমিশন কর্তৃক অনুমোদিত একটি সুুষম নিবিড় শিক্ষা ও পাঠ্যক্রম থাকিতে হইবে;(চ) উহাতে ছাত্র ভর্তির জন্য নির্ধারিত মোট আসন (Seat) এর শতকরা পাঁচ ভাগ দরিদ্র অথচ প্রতিভাবান ছাত্র ভর্তির জন্য সংরক্ষিত থাকিতে হইবে এবং এই সকল ছাত্রের বিনা বেতনে অধ্যয়নের সুযোগ থাকিতে হইবে;(ছ) শিক্ষকগণের বেতনক্রম ও ছাত্রগণ কর্তৃক প্রদেয় বেতনের হার স্পষ্টরূপে বর্ণিত হইতে হইবে৷
6[৮৷ কোন বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের নিম্নবর্ণিত কর্মকর্তাগণ থাকিবেন, যথা:-(ক) চ্যান্সেলর,(খ) ভাইস-চ্যান্সেলর বা রেক্টর,(গ) প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর বা ভাইস-রেক্টর,(ঘ) কোষাধ্যক্ষ,(ঙ) রেজিষ্ট্রার,(চ) ডীন,(ছ) বিভাগীয় প্রধান,(জ) পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক,(ঝ) ধারা ১৭ এর অধীন প্রণীত ষ্ট্যাটিউট্স দ্বারা বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা হিসাবে ঘোষিত অন্যান্য কর্মকর্তা৷]
৯৷ (১) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি সকল বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর থাকিবেন এবং তিনি বা তাঁহার মনোনীত কোন ব্যক্তি একাডেমিক ডিগ্রী ও সম্মানসূচক ডিগ্রী প্রদানের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করিবেন৷(২) সম্মানসূচক ডিগ্রী প্রদানের প্রতিটি প্রস্তাবে চ্যান্সেলরের সম্মতি থাকিতে হইবে৷(৩) চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে প্রতি বত্সর অথবা তিনি আদেশ দ্বারা যেরূপ নির্ধারণ করিতে পারেন সেরূপ সময়ের ব্যবধানে একাডেমিক ডিগ্রী প্রদানের সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হইবে৷
১০৷ (১) কোন বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের 7[ভাইস-চ্যান্সেলর বা রেক্টর] চ্যান্সেলর কর্তৃক নির্ধারিত শর্তে চার বত্সর মেয়াদে, প্রতিষ্ঠাতার সুপারিশক্রমে, চ্যান্সেলর কর্তৃক নিযুক্ত হইবেন এবং উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী হইবেন৷(২) ছুটি, অসুস্থতা বা অন্য কোন কারণে 8[ভাইস-চ্যান্সেলর বা রেক্টর] তাঁহার পদের দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হইলে 9[ভাইস-চ্যান্সেলর বা ভাইস-রেক্টর] অনুরূপ অসমর্থতার মেয়াদে 10[ভাইস-চ্যান্সেলর বা রেক্টর] পদের দায়িত্ব পালন করিবেন৷
11[১০ক৷ (১) প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর বা ভাইস-রেক্টর চ্যান্সেলর কর্তৃক নির্ধারিত শর্তে চার বত্সর মেয়াদে, প্রতিষ্ঠাতার সুপারিশক্রমে, চ্যান্সেলর কর্তৃক নিযুক্ত হইবেন৷(২) প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর বা ভাইস-রেক্টর ধারা ১৭ এর অধীন প্রণীত ষ্ট্যাটিউট্স দ্বারা নির্ধারিত অথবা ভাইস-চ্যান্সেলর বা রেক্টর কর্তৃক অর্পিত দায়িত্ব পালন করিবেন৷]
১১৷ (১) কোষাধ্যক্ষ চ্যান্সেলর কর্তৃক নির্ধারিত শর্তে চার বত্সর মেয়াদে, প্রতিষ্ঠাতার সুপারিশক্রমে, চ্যান্সেলর কর্তৃক নিযুক্ত হইবেন৷(২) কোন বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাবের জন্য কোষাধ্যক্ষ দায়ী থাকিবেন৷
১২৷ (১) কোন বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্ট্রার, বিভাগীয় প্রধান এবং পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক চ্যান্সেলর কর্তৃক নির্ধারিত শর্তে, সিন্ডিকেট, পরিচালনা পর্ষদ, রিজেন্সী কাউন্সিল বা ক্ষেত্রমত ট্রাষ্টি বোর্ড কর্তৃক নিযুক্ত হইবেন৷(২) কোন অনুষদের ডীন, প্রতিষ্ঠাতার সুপারিশক্রমে, চ্যান্সেলর কর্তৃক নির্ধারিত মেয়াদের জন্য, সংশ্লিষ্ট অনুষদের অধীন বিভাগসমূহের প্রধানগণ কর্তৃক নির্বাচিত হইবেন৷
১৩৷ ধারা ৮ এ উল্লিখিত কর্মকর্তাগণ ছাড়াও যদি অন্য কোন কর্মকর্তার প্রয়োজন হয় তাহা হইলে প্রতিষ্ঠাতাকে উক্ত অন্য কোন কর্মকর্তা নিয়োগের জন্য সরকারের পূর্বানুমোদন গ্রহণ করিতে হইবে, এবং অনুরূপ অনুমোদনের আবেদনের তারিখ হইতে ত্রিশ দিনের মধ্যে অনুমোদন না পাওয়া গেলে, অনুমোদন না পাওয়ার ত্রিশ দিনের মধ্যে চ্যান্সেলরের নিকট আপীল করা যাইবে এবং চ্যান্সেলর আপীল প্রাপ্তির ষাট দিনের মধ্যে উহা নিষ্পত্তি না করিলে আপীলটি মঞ্জুর হইয়াছে বলিয়া ধরিয়া লওয়া হইবে৷
১৪৷ (১) কোন বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের নিম্নবর্ণিত কর্তৃপক্ষ সমূহ থাকিবে, যথা :-(ক) অন্যুন নয় সদস্য-বিশিষ্ট একটি সিন্ডিকেট, পরিচালনা পর্ষদ, রিজেন্সী কাউন্সিল বা ট্রাষ্টি বোর্ড,(খ) অন্যুন নয় সদস্য বিশিষ্ট একাডেমিক কাউন্সিল,(গ) অনুষদ বা স্কুল অব ষ্টাডিজ,(ঘ) পাঠ্যক্রম কমিটি,(ঙ) অন্যুন পাঁচ সদস্য-বিশিষ্ট অর্থ কমিটি,(চ) অন্যুন পাঁচ সদস্য-বিশিষ্ট নির্বাচন কমিটি৷(২) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত কর্তৃপক্ষসমূহ ছাড়াও কোন বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যাবলী সুচারুরূপে ও দক্ষতার সহিত সম্পাদনের উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠাতা, চ্যান্সেলরের পূর্বানুমোদনক্রমে, প্রয়োজনীয় অন্য যে কোন কর্তৃপক্ষ গঠন করিতে পারিবেন৷(৩) সিন্ডিকেট, পরিচালনা পর্ষদ, রিজেন্সী কাউন্সিল বা ট্রাষ্টি বোর্ড এমন ব্যক্তিগণের সমন্বয়ে গঠিত হইবে যাঁহাদের শিক্ষা, সংস্কৃতি, শিল্প, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও প্রশাসনের ক্ষেত্রে দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা রহিয়াছে৷
১৬৷ (১) কোন বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন সার্টিফিকেট, ডিপ্লোমা বা ডিগ্রী প্রদানের ক্ষেত্রে কোন জালিয়াতি বা কারচুপির অথবা ধারা ১৫ এর অধীন অনুমোদিত উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান বজায় রাখিতে ব্যর্থতার অভিযোগ পাওয়া গেলে চ্যান্সেলর সুপ্রীম কোর্টের বিচারপতি পদে অধিষ্ঠিত আছেন অথবা ছিলেন এমন কোন ব্যক্তির দ্বারা উক্ত অভিযোগের তদন্ত করাইতে পারিবেন এবং যদি উক্ত তদন্তে অভিযোগটি সত্য বলিয়া প্রমাণিত হয় তাহা হইলে সরকার উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদপত্র বাতিল করিতে পারিবে:তবে শর্ত থাকে যে, প্রতিষ্ঠাতাকে শুনানীর যুক্তিসংগত সুযোগ প্রদান না করিয়া এই উপ-ধারার অধীন কোন বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদপত্র বাতিল করা যাইবে না৷(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন কোন সনদপত্র বাতিল আদেশ দ্বারা সংক্ষুদ্ধ কোন ব্যক্তি, ব্যক্তি-গোষ্ঠী, দাতব্য ট্রাষ্ট বা প্রতিষ্ঠান উক্ত আদেশের তারিখ হইতে ত্রিশ দিনের মধ্যে উক্ত আদেশের বিরুদ্ধে চ্যান্সেলরের নিকট আপীল করিতে পারিবেন এবং অনুরূপ আপীলের উপর চ্যান্সেলরের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে৷(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন আপীল উহা প্রাপ্তি তারিখ হইতে ষাট দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করিতে হইবে এবং উক্ত মেয়াদের মধ্যে আপীলটি নিষ্পত্তি করা না হইলে উহা মঞ্জুর হইয়াছে বলিয়া ধরিয়া লওয়া হইবে৷
১৭৷ (১) সিন্ডিকেট, পরিচালনা পর্ষদ, রিজেন্সী কাউন্সিল বা ট্রাষ্টি বোর্ড, চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে, কোন বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রম, শিক্ষাক্রম, পাঠ্যনির্ঘন্ট এবং প্রশাসনিক ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় কার্যাদি সম্পাদন সম্পর্কিত বিধান সম্বলিত ষ্ট্যাটিউট্স প্রণয়ন করিবে৷(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রণীত ষ্ট্যাটিউট্স সরকারী গেজেটে প্রকাশের তারিখ হইতে কার্যকর হইবে৷
বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেট, ডিপ্লোমা ইত্যাদি
১৮৷ কোন বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক প্রদত্ত সকল শিক্ষাগত সার্টিফিকেট, ডিগ্রী ও ডিপ্লোমা 13[ভাইস-চ্যান্সেলর বা রেক্টর] কর্তৃক স্বাক্ষরিত হইবে এবং উহাতে উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সীলমোহর থাকিতে হইবে৷
১৯৷ (১) বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি তহবিল থাকিবে৷(২) এই তহবিল উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে, সিন্ডিকেট, পরিচালনা পর্ষদ, রিজেন্সী কাউন্সিল বা ক্ষেত্রমত ট্রাষ্টি বোর্ডের অনুমোদনক্রমে, কোন 14[তফসিলী] ব্যাংকে জমা রাখিতে হইবে এবং বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে তহবিল হইতে অর্থ উঠানো যাইবে৷(৩) চ্যান্সেলরের অজ্ঞাতসারে বা পূর্বানুমোদন ব্যতিরেকে কোন বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় বা উহার পক্ষে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান দেশের 15[* * *] বাহিরে উহার জন্য কোন তহবিল সংগ্রহ করিতে পারিবে না৷
16[২০ক৷ (১) সরকার বা মঞ্জুরী কমিশন তদ্কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতা প্রদত্ত ব্যক্তি দ্বারা বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় সময় সময় পরিদর্শন করাইতে পারিবে৷(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন পরিদর্শিত কোন বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়কে সরকার, বা ক্ষেত্রমত, মঞ্জুরী কমিশন নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে প্রয়োজনীয় যে কোন ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দান করিতে পারিবে৷(৩) সরকার বা মঞ্জুরী কমিশনের চাহিদা অনুযায়ী প্রত্যেক বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় যে কোন প্রতিবেদন, বিবরণ ও তথ্য সরবরাহ করিবে৷
২০খ৷ (১) কোন ব্যক্তি ধারা ৬ এর উপ-ধারা (১) এর বিধান লংঘন করিলে তিনি অপরাধ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন এবং উক্ত অপরাধের জন্য অনূর্ধ্ব তিন বত্সরের কারাদণ্ড অথবা পাঁচ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড কিংবা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷(২) সরকার বা সরকারের নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তার লিখিত অভিযোগ ব্যতীত এই আইনের অধীনে দায়েরকৃত কোন মামলা কোন আদালতে আমলযোগ্য হইবে না৷]
দফা (ছ) বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ১৯৯৮ (১৯৯৮ সনের ৩ নং আইন) এর ২ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত
2
৩ক ধারা বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ১৯৯৮ (১৯৯৮ সনের ৩ নং আইন) এর ৩ ধারাবলে সন্নিবেশিত
3
কোলনটি (:) দাঁড়ির (৷) পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত এবং অতঃপর শর্তাংশটি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ১৯৯৮ (১৯৯৮ সনের ৩ নং আইন) এর ৪ ধারাবলে সংযোজিত
4
উপ-ধারা (১) বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ১৯৯৮ (১৯৯৮ সনের ৩ নং আইন) এর ৫ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত
5
দফা (ঘ) বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ১৯৯৮ (১৯৯৮ সনের ৩ নং আইন) এর ৬ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত
6
ধারা ৮ বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ১৯৯৮ (১৯৯৮ সনের ৩ নং আইন) এর ৭ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত
7
“ভাইস-চ্যান্সেলর বা রেক্টর” শব্দগুলি “ভাইস-চ্যান্সেলার, রেক্টর বা প্রিন্সিপাল” শব্দগুলি ও কমার পরিবর্তে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ১৯৯৮ (১৯৯৮ সনের ৩ নং আইন) এর ৮ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত
8
“ভাইস-চ্যান্সেলর বা রেক্টর” শব্দগুলি “ভাইস-চ্যান্সেলার, রেক্টর বা প্রিন্সিপাল” শব্দগুলি ও কমার পরিবর্তে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ১৯৯৮ (১৯৯৮ সনের ৩ নং আইন) এর ৮ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত
9
“ভাইস-চ্যান্সেলর বা ভাইস-রেক্টর” শব্দগুলি “কোষাধ্যক্ষ” শব্দটির পরিবর্তে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ১৯৯৮ (১৯৯৮ সনের ৩ নং আইন) এর ৮ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত
10
“ভাইস-চ্যান্সেলর বা রেক্টর” শব্দগুলি “ভাইস-চ্যান্সেলার, রেক্টর বা ক্ষেত্রমত প্রিন্সিপাল” শব্দগুলি ও কমার পরিবর্তে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ১৯৯৮ (১৯৯৮ সনের ৩ নং আইন) এর ৮ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত
11
ধারা ১০ক বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ১৯৯৮ (১৯৯৮ সনের ৩ নং আইন) এর ৯ ধারাবলে সন্নিবেশিত
12
উপ-ধারা (১) বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ১৯৯৮ (১৯৯৮ সনের ৩ নং আইন) এর ১০ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত
13
“ভাইস-চ্যান্সেলর বা রেক্টর” শব্দগুলি “ভাইস-চ্যান্সেলার, রেক্টর বা ক্ষেত্রমত প্রিন্সিপাল” শব্দগুলি ও কমার পরিবর্তে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ১৯৯৮ (১৯৯৮ সনের ৩ নং আইন) এর ১১ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত
14
“তফসিলী” শব্দটি “রাষ্ট্রায়ত্ত” শব্দের পরিবর্তে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ১৯৯৮ (১৯৯৮ সনের ৩ নং আইন) এর ১২ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত
15
“অভ্যন্তরে বা” শব্দগুলি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ১৯৯৮ (১৯৯৮ সনের ৩ নং আইন) এর ১২ ধারাবলে বিলুপ্ত
16
ধারা ২০ক এবং ২০খ বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ১৯৯৮ (১৯৯৮ সনের ৩ নং আইন) এর ১৩ ধারাবলে সন্নিবেশিত
Click here to see the original act on the Bangladesh Legal Database.