Preamble
2[যেহেতু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে তাঁহার সরকারের আমলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ফরেন ট্রেড ডিভিশনের ২৮ জুলাই ১৯৭৩ খ্রিস্টাব্দ তারিখের ADMN-১E-২০/৭৩/৬৩৬ নং রেজুল্যুশনবলে একটি সম্পূর্ণ সরকারি দপ্তর হিসাবে ট্যারিফ কমিশন প্রতিষ্ঠা লাভ করিয়াছে; এবং যেহেতু বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশন প্রতিষ্ঠাকল্পে একটি আইন প্রণয়ন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;] সেহেতু এতদ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল:-Sections/Articles
সংক্ষিপ্ত শিরোনামা
১৷ এই আইন বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশন আইন, ১৯৯২ নামে অভিহিত হইবে৷সংজ্ঞা
২৷ বিষয় বা প্রসংগের পরিপন্থী কোন কিছু না থাকিলে, এই আইনে,- (ক) “কমিশন” অর্থ এই আইনের অধীন গঠিত বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশন; (খ) “চেয়ারম্যান” অর্থ কমিশনের চেয়ারম্যান; (গ) “প্রবিধান” অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত প্রবিধান; (ঘ) “বিধি” অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি; (ঙ) “সদস্য” অর্থ কমিশনের সদস্য; (চ) 3[পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ)] অর্থ কমিশনের 4[পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ)] ৷কমিশন প্রতিষ্ঠা
৩৷ (১) এই আইন বলবত্ হইবার পর, যতশীঘ্র সম্ভব, সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশন নামে একটি কমিশন প্রতিষ্ঠা করিবে৷ (২) কমিশন একটি স্থায়ী ধারাবাহিকতা সম্পন্ন বিধিবদ্ধ সংস্থা হইবে এবং ইহার- (ক) একটি সীলমোহর থাকিবে; (খ) স্থাবর ও অস্থাবর উভয় প্রকার সম্পত্তি অর্জন করার, অধিকারে রাখার ও হস্তান্তর করার ক্ষমতা থাকিবে; (গ) বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা যাইবে এবং ইহা মামলা দায়ের করিতে পারিবে৷কমিশনের প্রধান কার্যালয়
৪৷ কমিশনের প্রধান কার্যালয় ঢাকায় থাকিবে এবং ইহা, প্রয়োজনবোধে, যে কোন স্থানে শাখা কার্যালয় স্থাপন করিতে পারিবে৷কমিশনের গঠন
৫৷ (১) একজন চেয়ারম্যান এবং অনূর্ধ তিনজন সদস্য সমন্বয়ে কমিশন গঠিত হইবে৷(২) চেয়ারম্যান ও সদস্যগণ সরকার কর্তৃক নিযুক্ত হইবেন এবং তাহাদের চাকুরীর শর্তাবলী সরকার কর্তৃক নির্ধারিত হইবে৷(৩) চেয়ারম্যান পদ শূন্য হইলে কিংবা অনুপস্থিতি, অসুস্থতা বা অন্য কোন কারনে তিনি তাহার দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হইলে, শূন্য পদে নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত কিংবা চেয়ারম্যান পুনরায় স্বীয় দায়িত্ব পালনে সমর্থ না হওয়া পর্যন্ত সরকার কর্তৃক মনোনীত কোন সদস্য চেয়ারম্যানরূপে কার্য করিবেন৷প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা
৬৷ চেয়ারম্যান কমিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হইবেন এবং তিনি কমিশনের অন্যান্য সদস্যদের দায়িত্ব বন্টন করিবেন৷কমিশনের কার্যাবলী
5[৭।(১) দেশিয় পণ্য ও সেবা রপ্তানি বৃদ্ধিকল্পে দেশিয় শিল্পের স্বার্থসংরক্ষণ ও বিকাশে শিল্পপণ্য উৎপাদন ও বিপণনে দক্ষতাবৃদ্ধি, প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ সৃষ্টি এবং আমদানি ও রপ্তানির ক্ষেত্রে তুলনামূলক সুবিধা (comparative advantage) নিরূপণকল্পে নিম্নবর্ণিত বিষয়ে কমিশন সরকারকে পরামর্শ প্রদান করিবে, যথা :- (ক) শুল্কনীতি পর্যালোচনাক্রমে শুল্কহার যৌক্তিকীকরণ; (খ) আন্তর্জাতিক, আঞ্চলিক ও বহু-পাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি; (গ) এন্টি ডাম্পিং, কাউন্টারভেইলিং ও সেইফগার্ড সংক্রান্ত আইন ও বিধি অনুযায়ী দেশিয় শিল্পের স্বার্থ সংরক্ষণ; (ঘ) ট্রানজিট ও ট্রান্সশিপমেন্ট ট্রেড, জিএসপি (Generalized System of Preference), রুলস অব অরিজিন (Rules of Origin) ও অন্যান্য অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য; (ঙ) শিল্প, বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও শুল্কনীতি প্রণয়ন; (চ) বৈদেশিক বাণিজ্য বিষয়ে উদ্ভূত যে কোনো সমস্যা সমাধানে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ; (ছ) Protective Duties Act, 1950 (Act No. LXI of 1950) এর আলোকে সুনির্দিষ্ট মেয়াদে সংরক্ষণমূলক আমদানি শুল্ক (Protective Duties of Customs) আরোপ; (জ) শিল্প সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিতকরণপূর্বক দেশিয় পণ্য ও সেবার রপ্তানি বৃদ্ধি; (ঝ) আমদানি ও রপ্তানিযোগ্য পণ্য বা সেবাসমূহের হারমোনাইজড সিস্টেম কোড; (ঞ) বৈদেশিক বাণিজ্য পরিবীক্ষণ; এবং (ট) আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক বাণিজ্য ব্যবস্থায় প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে প্রভাব বিস্তারকারী নীতিমালা ও রীতিনীতি। (২) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত বিষয়ে সরকারকে পরামর্শ প্রদান ছাড়াও কমিশন নিম্নোক্ত কার্যাবলি সম্পাদন করিবে, যথা:- (ক) এন্টি-সারকামভেনশন সংক্রান্ত তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা; (খ) বাংলাদেশ হইতে রপ্তানিকৃত পণ্য ও বাণিজ্যের উপর অন্য দেশ কর্তৃক গৃহীত বাণিজ্য প্রতিবিধান সংক্রান্ত পদক্ষেপ (এন্টি ডাম্পিং, কাউন্টারভেইলিং, সেইফগার্ড মেজার্স ও এন্টি সারকামভেনশন) এর পরিপ্রেক্ষিতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্ত দেশিয় রপ্তানিকারকগণকে সহায়তা প্রদান; (গ) নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ বাজারদর নিরীক্ষণ ও পর্যালোচনা; (ঘ) বিশ্ব-বাণিজ্য সংস্থার আওতায় বিভিন্ন বাণিজ্য চুক্তি সম্পর্কিত বিরোধ নিষ্পত্তিতে সরকারকে সহায়তা প্রদান; (ঙ) বৈদেশিক বাণিজ্য সম্পর্কে তথ্যাদি সংগ্রহ, ডাটাবেজ সংরক্ষণ, পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণ এবং জনস্বার্থে উক্ত তথ্যসমূহ সরকার ও স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে সরবরাহ; (চ) অন্যান্য দেশের সহিত বাংলাদেশের অগ্রাধিকারমূলক বা মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদনের সম্ভাব্যতা যাচাই এবং এতদসংক্রান্ত চুক্তির ফলে বৈদেশিক বাণিজ্যের উপর সম্ভাব্য প্রভাব মূল্যায়ন; (ছ) সম্ভাব্য ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প, ভোক্তা ও জনসাধারণের স্বার্থ বিবেচনার উদ্দশ্যে গণ শুনানির মাধ্যমে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপসমূহ চিহ্নিতকরণ; (জ) দেশিয় শিল্প ও বাণিজ্য সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অংশীজনদের দক্ষতা ও সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ; এবং (ঝ) দেশিয় শিল্প ও বাণিজ্যের স্বার্থ সংক্রান্ত বিষয়ে গবেষণা বা সমীক্ষা পরিচালনা। (৩) এই ধারার অধীন পেশকৃত সুপারিশ বাস্তবায়নের ফলে সম্ভাব্য ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প, ভোক্তা ও জনসাধারণের স্বার্থ বিবেচনা করিয়া কমিশন ক্ষতি লাঘবের জন্য, উহার মতে প্রয়োজনীয় সুপারিশ সরকারের নিকট পেশ করিবে; (৪) এই ধারার অধীন কমিশন কর্তৃক পেশকৃত সুপারিশকে সরকার স্বীকৃতি দিবে এবং যথাযথভাবে বিবেচনা করিবে।]তদন্ত অনুষ্ঠান
৮৷ 6[(১)]এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে কমিশন যে কোন শিল্প ও বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান অনুসন্ধান বা তদন্ত করিতে পারিবে এবং উক্তরূপ অনুষ্ঠান বা তদন্তের জন্য কমিশন কর্তৃক ক্ষমতা প্রদত্ত যে কোন ব্যক্তিকে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা প্রদান করিতে বাধ্য থাকিবে৷ 7[(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন তদন্তের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যের গোপনীয়তা নিশ্চিত করিতে হইবে : তবে শর্ত থাকে যে, প্রাপ্ত তথ্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বা কর্তৃপক্ষের লিখিত অনুমতি সাপেক্ষে প্রকাশ করা যাইবে।]কতিপয় ক্ষেত্রে কমিশনের দেওয়ানী আদালতের ক্ষমতা
৯৷ কমিশন কর্তৃক এই আইনের অধীন অনুসন্ধান বা তদন্ত কার্যধারায় উহা নিম্নবর্ণিত বিষয়সমূহে সেই সকল ক্ষমতা প্রয়োগ করিতে পারিবে যে সকল ক্ষমতা কোন দেওয়ানী আদালত Code of Civil Procedure, 1908 (Act V of 1908) এর অধীন উক্ত বিষয়সমূহে প্রয়োগ করিতে পারে, যথা:-(ক) আদালতে উপস্থিত হইবার জন্য কোন ব্যক্তির উপর সমন জারী এবং তাহাকে আদালতে উপস্থিত হইতে বাধ্য করা এবং শপথ গ্রহণ করাইয়া তাহাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা;(খ) কোন তথ্য সরবরাহ এবং কোন তদন্ত বা অনুসন্ধানে প্রয়োজনীয় কোন দলিল দাখিল৷সভা
১০৷ (১) এই ধারার অন্যান্য বিধানাবলী সাপেক্ষে, কমিশন উহার সভার কার্য পদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে৷ (২) কমিশনের সভা, উহার চেয়ারম্যানের সম্মতিক্রমে, উহার 8[পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ)] কর্তৃক আহূত হইবে এবং চেয়ারম্যান কর্তৃক নির্ধারিত স্থান ও সময়ে অনুষ্ঠিত হইবে৷ (৩) কমিশনের সভায় সভাপতিত্ব করিবেন উহার চেয়ারম্যান, এবং তাহার অনুপস্থিতিতে, চেয়ারম্যান কর্তৃক মনোনীত কমিশনের কোন সদস্য৷ (৪) শুধুমাত্র কোন সদস্য পদে শূন্যতা বা কমিশন গঠনে ত্রুটি থাকার কারণে কমিশনের কোন কার্য বা কার্যধারা অবৈধ হইবে না এবং তত্সম্পর্কে কোন প্রশ্নও উত্থাপন করা যাইবে না৷9[পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ)]
১১৷ (১) কমিশনের একজন 10[পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ)] থাকিবেন৷ (২) 11[পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ)] সরকার কর্তৃক নিযুক্ত হইবেন এবং তাহার চাকুরীর শর্তাদি সরকার কর্তৃক স্থিরকৃত হইবে৷ (৩) 12[পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ)]- (ক) কমিশনের বাজেট প্রস্তুত করিয়া অনুমোদনের জন্য উহা কমিশনের নিকট উপস্থাপন করিবেন; (খ) কমিশনের হিসাব সংরক্ষণ, হিসাবের বার্ষিক বিবরণী প্রণয়ন এবং হিসাব নিরীক্ষার ব্যবস্থা করিবেন; (গ) কমিশনের অর্থ ও সম্পত্তি সংরক্ষণ, হেফাজত, নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা করিবেন এবং দলিল ও কাগজপত্র সংরক্ষণ ও হেফাজত করিবেন; (ঘ) কমিশনের প্রশাসনিক কাজ তদারক করিবেন এবং যাহাতে তাহা সুষ্ঠুভাবে সম্পাদিত হয় সেই দিকে লক্ষ্য রাখিবেন; (ঙ) কমিশন বা চেয়ারম্যান কর্তৃক অর্পিত বা নির্দিষ্টকৃত অন্যান্য দায়িত্ব পালন করিবেন৷কমিশনের অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারী
১২৷ (১) কমিশন উহার কাজ সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার প্রয়োজনে অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিযুক্ত করিতে পারিবে এবং তাহাদের চাকুরীর শর্তাবলী বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে: তবে শর্ত থাকে যে, সরকারের পূর্বানুমোদন ব্যতিরেকে কমিশন কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারীর পদ সৃষ্টি করিতে পারিবে না৷ 13[(২) গবেষণা বা সমীক্ষা কাজে সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে কমিশন, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক পরামর্শক ও গবেষণা সহায়তাকারী নিয়োগ করিতে পারিবে।]কমিটি
১৩৷ কমিশন উহার দায়িত্ব পালনে উহাকে সহায়তাদানের জন্য এক বা একাধিক কমিটি নিয়োগ করিতে পারিবে৷কমিশনের তহবিল
১৪৷ (১) কমিশনের একটি তহবিল থাকিবে এবং উহাতে সরকারের অনুদান, অন্য কোন উত্স হইতে প্রাপ্ত দান ও অনুদান এবং কমিশন কর্তৃক প্রাপ্ত ফি এবং অন্য যে কোন অর্থ জমা হইবে৷(২) এই তহবিল কমিশনের নামে তত্কর্তৃক অনুমোদিত কোন তফসিলি ব্যাংকে জমা রাখা হইবে এবং বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে তহবিল হইতে অর্থ উঠানো যাইবে৷(৩) এই তহবিল হইতে কমিশনের প্রয়োজনীয় ব্যয় নির্বাহ করা হইবে৷বাজেট
১৫৷ কমিশন প্রতি বত্সর সরকার কর্তৃৃক নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পরবর্তী অর্থ বত্সরের বার্ষিক বাজেট বিবরণী সরকারের নিকট পেশ করিবে এবং উহাতে উক্ত অর্থ বত্সরে সরকারের নিকট হইতে কমিশনের কি পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন উহার উল্লেখ থাকিবে৷হিসাব রক্ষণ ও নিরীক্ষা
১৬৷ (১) কমিশন যথাযথভাবে উহার হিসাব রক্ষণ করিবে এবং হিসাবের বার্ষিক বিবরণী প্রস্তুত করিবে৷(২) বাংলাদেশের মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, অতঃপর মহাহিসাব নিরীক্ষক নামে অভিহিত প্রতি বত্সর কমিশনের হিসাব নিরীক্ষা করিবেন এবং নিরীক্ষা রিপোর্টের একটি করিয়া অনুলিপি সরকার ও কমিশনের নিকট পেশ করিবেন৷(৩) উপ-ধারা (২) মোতাবেক নিরীক্ষার উদ্দেশ্যে মহাহিসাব নিরীক্ষক কিংবা তাহার নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি কমিশনের সকল রেকর্ড, দলিল-দস্তাবেজ, নগদ বা ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, জামানত, ভান্ডার এবং অন্যবিধ সম্পত্তি পরীক্ষা করিয়া দেখিতে পারিবেন এবং কমিশনের কোন সদস্য, কর্মকর্তা বা কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করিতে পারিবেন৷নির্দেশ প্রদানে সরকারের ক্ষমতা
১৭৷ এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকার কমিশনকে যে কোন নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে এবং কমিশন উহা পালন করিতে বাধ্য থাকিবে৷প্রতিবেদন
১৮৷ (১) প্রতি বত্সর ৩০শে জুনের মধ্যে কমিশন তত্কর্তৃক পূর্ববর্তী বত্সরে সম্পাদিত কার্যাবলীর খতিয়ান সম্বলিত একটি প্রতিবেদন সরকারের নিকট পেশ করিবে৷(২) সরকার প্রয়োজনমত কমিশনের নিকট হইতে উহার যে কোন বিষয়ের উপর প্রতিবেদন এবং বিবরণী আহ্বান করিতে পারিবে এবং কমিশন উহা সরকারের নিকট সরবরাহ করিতে বাধ্য থাকিবে৷সরল বিশ্বাসে কৃত কাজকর্ম রক্ষণ
১৯৷ এই আইন বা কোন বিধি বা প্রবিধানের অধীন সরল বিশ্বাসে কৃত কোন কাজের ফলে কোন ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হইলে বা হওয়ার সম্ভাবনা থাকিলে তজ্জন্য কমিশনের চেয়ারম্যান, সদস্য বা কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারীর বিরুদ্ধে কোন দেওয়ানী বা ফৌজদারী মামলা বা অন্য কোন আইনগত কার্যধারা দায়ের করা যাইবে না৷জনসেবক
২০৷ কমিশনের চেয়ারম্যান, সদস্য, কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ Penal Code (Act XLV of 1860) এর section 21 এ “public servant” (জনসেবক) কথাটি যে অর্থে ব্যবহৃত হইয়াছে সেই অর্থে “Public servant” (জনসেবক) বলিয়া গণ্য হইবেন৷ক্ষমতা অর্পণ
২১৷ কমিশন উহার যে কোন ক্ষমতা বা দায়িত্ব সুনির্দিষ্ট শর্তে উহার চেয়ারম্যান, কোন সদস্য বা কোন কর্মকর্তাকে অর্পণ করিতে পারিবে৷বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা
২২৷ এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে৷প্রবিধান প্রণয়নের ক্ষমতা
২৩৷ এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে কমিশন, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে এবং সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইন বা কোন বিধির সহিত অসামঞ্জস্যপূর্ণ নয় এইরূপ প্রবিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে৷ট্যারিফ কমিশন বিলোপ, ইত্যাদি
২৪৷ (১) বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশন প্রতিষ্ঠার সংগে সংগে বাণিজ্য মন্ত্রনালয়ের ২৮শে জুলাই, ১৯৭৩ সনের রিজিলিউশন নং এডমিন-১ই-২০/৭৩/৬৩৬, অতঃপর উক্ত রিজিলিউশন বলিয়া উল্লিখিত, বাতিল হইয়া যাইবে৷ (২) উক্ত রিজিলিউশন বাতিল হইবার সংগে সংগে- (ক) উক্ত রিজিলিউশনের অধীন গঠিত ট্যারিফ কমিশন, অতঃপর বিলুপ্ত কমিশন বলিয়া উল্লিখিত, বিলুপ্ত হইবে; (খ) বিলুপ্ত কমিশনের স্থাবর ও অস্থাবর সকল সম্পত্তি, নগদ ও ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ কমিশনে হস্তান্তরিত হইবে এবং কমিশন উহার অধিকারী হইবে; (গ) বিলুপ্ত কমিশন এবং উহার প্রাতিষ্ঠানিক উন্নয়ন প্রকল্প (IDTC Project) এর সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী কমিশনে বদলী হইবেন এবং তাহারা কমিশন কর্তৃক নিযুক্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারী বলিয়া গণ্য হইবেন এবং এইরূপ বদলীর পূর্বে তাহারা যে শর্তে চাকুরীতে নিয়োজিত ছিলেন, কমিশন কর্তৃক পরিবর্তিত না হওয়া পর্যন্ত, সেই একই শর্তে তাহারা কমিশনে চাকুরীতে নিয়োজিত থাকিবেন৷Footnotes
-
1
সর্বত্র উল্লিখিত ‘‘বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশন’’ শব্দগুলি ‘‘বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশন’’ শব্দগুলির পরিবর্তে বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশন (সংশোধন) আইন, ২০২০ (২০২০ সনের ০১ নং আইন) এর ৩ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত। -
2
প্রস্তাবনা বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশন (সংশোধন) আইন, ২০২০ (২০২০ সনের ০১ নং আইন) এর ২ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত। -
3
“পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ)” শব্দগুলি ও বন্ধনী “সচিব” শব্দের পরিবর্তে বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশন (সংশোধন) আইন, ২০২৪ (২০২৪ সনের ৮ নং আইন) এর ২ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত। -
4
“পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ)” শব্দগুলি ও বন্ধনী “সচিব” শব্দের পরিবর্তে বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশন (সংশোধন) আইন, ২০২৪ (২০২৪ সনের ৮ নং আইন) এর ২ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত। -
5
ধারা ৭ বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশন (সংশোধন) আইন, ২০২০ (২০২০ সনের ০১ নং আইন) এর ৪ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত। -
6
বিদ্যমান বিধান উপ-ধারা (১) হিসাবে বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশন (সংশোধন) আইন, ২০২০ (২০২০ সনের ০১ নং আইন) এর ৫ ধারাবলে সংখ্যায়িত। -
7
উপ-ধারা (২) বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশন (সংশোধন) আইন, ২০২০ (২০২০ সনের ০১ নং আইন) এর ৫ ধারাবলে সংযোজিত। -
8
“পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ)” শব্দগুলি ও বন্ধনী “সচিব” শব্দের পরিবর্তে বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশন (সংশোধন) আইন, ২০২৪ (২০২৪ সনের ৮ নং আইন) এর ৩ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত। -
9
“পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ)” শব্দগুলি ও বন্ধনী “সচিব” শব্দের পরিবর্তে বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশন (সংশোধন) আইন, ২০২৪ (২০২৪ সনের ৮ নং আইন) এর ৪ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত। -
10
“পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ)” শব্দগুলি ও বন্ধনী “সচিব” শব্দের পরিবর্তে বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশন (সংশোধন) আইন, ২০২৪ (২০২৪ সনের ৮ নং আইন) এর ৪ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত। -
11
“পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ)” শব্দগুলি ও বন্ধনী “সচিব” শব্দের পরিবর্তে বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশন (সংশোধন) আইন, ২০২৪ (২০২৪ সনের ৮ নং আইন) এর ৪ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত। -
12
“পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ)” শব্দগুলি ও বন্ধনী “সচিব” শব্দের পরিবর্তে বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশন (সংশোধন) আইন, ২০২৪ (২০২৪ সনের ৮ নং আইন) এর ৪ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত। -
13
উপ-ধারা (২) বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশন (সংশোধন) আইন, ২০২০ (২০২০ সনের ০১ নং আইন) এর ৬ ধারাবলে সংযোজিত।
Click here to see the original act on the Bangladesh Legal Database.