Preamble
যেহেতু মানিলন্ডারিং প্রতিরোধের উদ্দেশ্যে বিধান প্রণয়ন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল:Sections/Articles
সংক্ষিপ্ত শিরোনামা ও প্রবর্তন
১৷ (১) এই আইন মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০০২ নামে অভিহিত হইবে৷(২) সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, যেই তারিখ নির্ধারণ করিবে সেই তারিখে এই আইন বলবত্ হইবে৷সংজ্ঞা
২৷ বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থী কোন কিছু না থাকিলে, এই আইনে,-(ক) “অবৈধ পন্থা” অর্থ কোন আইন, বিধি বা প্রবিধান দ্বারা স্বীকৃত নহে এমন কোন পন্থা;(খ) “অপরাধ” অর্থ এই আইনের অধীন কোন অপরাধ;(গ) “আদালত” অর্থ মানিলন্ডারিং আদালত;(ঘ) “আর্থিক প্রতিষ্ঠান” অর্থ আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন, ১৯৯৩ (১৯৯৩ সনের ২৭নং আইন) এর ধারা ২(খ)- েত সংজ্ঞায়িত আর্থিক প্রতিষ্ঠান;[1]* * * “দায়রা আদালত” অর্থ ফৌজদারী কার্যবিধির section 6-এ উল্লিখিত Courts of Session;(ছ) “নির্ধারিত” অর্থ বিধি দ্বারা নির্ধারিত;(জ) “ফৌজদারী কার্যবিধি” অর্থ Code of Criminal Procedure, 1898 (Act V of 1898);(ঝ) “বিধি” অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি;(ঞ) “বাংলাদেশ ব্যাংক” অর্থ The Bangladesh Bank Order, 1972 (P.O. No. 127 of 1972) এর অধীন স্থাপিত Bangladesh Bank.(ট) “ব্যাংক” অর্থ ব্যাংক কোম্পানী আইন, ১৯৯১ (১৯৯১ সনের ১৪নং আইন) এর ধারা ৫(ণ)- েত সংজ্ঞায়িত ব্যাংক কোম্পানী;(ঠ) “মানিলন্ডারিং” অর্থ-(অ) অবৈধ পন্থায় প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে আহরিত বা অর্জিত সম্পদ;(আ) বৈধ বা অবৈধ পন্থায় প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে আহরিত বা অর্জিত সম্পদের অবৈধ পন্থায় হস্তান্তর, রূপান্তর, অবস্থানের গোপনকরণ বা উক্ত কাজে সহায়তা করা;(ড) “সম্পদ” অর্থ যে কোন প্রকৃতির ও বর্ণনার স্থাবর বা অস্থাবর সম্পদ;(ঢ) “সুপ্রীম কোর্ট” অর্থ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৯৪ অনুচ্ছেদ দ্বারা গঠিত বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট;(ণ) “হাইকোর্ট বিভাগ” অর্থ সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ৷আইনের প্রাধান্য
৩৷ আপাততঃ বলবত্ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের বিধানাবলী কার্যকর থাকিবে৷মানিলন্ডারিং প্রতিরোধে বাংলাদেশ ব্যাংকের দায়িত্ব
৪৷ বাংলাদেশ ব্যাংকের দায়িত্ব হইবে মানিলন্ডারিং অপরাধ দমন ও প্রতিরোধ এবং উক্তরূপ অপরাধমূলক তত্পরতা রোধ করিবার উদ্দেশ্যে-(ক) মানিলন্ডারিং অপরাধ সম্পর্কে তদন্ত পরিচালনা;(খ) ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং আর্থিক কর্মকাণ্ডের সহিত জড়িত অন্যান্য সংস্থার কার্যতত্পরতা তদারক এবং পর্যবেক্ষণ;(গ) ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং আর্থিক কর্মকাণ্ডের সহিত জড়িত অন্যান্য সংস্থার নিকট হইতে মানিলন্ডারিং সম্পর্কিত কোন বিষয়ে প্রতিবেদন আহ্বান করা;(ঘ) দফা (গ) এর অধীন প্রাপ্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনা এবং তদ্নুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ;(ঙ) ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং আর্থিক কর্মকাণ্ডের সহিত জড়িত অন্যান্য সংস্থার কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ প্রদান;(চ) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে অন্যান্য কার্য সম্পাদন৷তদন্তের ক্ষমতা, ইত্যাদি
৫৷ (১) বাংলাদেশ ব্যাংক অথবা বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি এই আইনের অধীন কোন অপরাধ বা সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়ে তদন্ত করিতে পারিবে এবং তদন্তের উদ্দেশ্যে কোন স্থানে প্রবেশের প্রয়োজন হইলে তিনি নির্ধারিত পদ্ধতি অনুসরণ করিয়া উক্ত স্থানে প্রবেশ করিতে পারিবেন৷(২) কোন অপরাধ তদন্তের ক্ষেত্রে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফৌজদারী কার্যবিধির অধীনে যে ক্ষমতা প্রয়োগ করিতে পারেন, এই আইনের অধীন কোন অপরাধ তদন্তের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক অথবা বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি একইরূপ ক্ষমতা প্রয়োগ করিতে পারিবেন৷মানিলন্ডারিং আদালত প্রতিষ্ঠা
৬৷ (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সকল দায়রা আদালত মানিলন্ডারিং আদালত বলিয়া গণ্য হইবে এবং সকল দায়রা জজ মানিলন্ডারিং আদালতের বিচারক হইবেন৷(২) এই আইনের অধীন সকল মামলা দায়রা জজ নিজে নিষ্পত্তি করিবেন অথবা তাহার অধীনস্থ যে কোন অতিরিক্ত দায়রা জজের নিকট নিষ্পত্তির জন্য প্রেরণ করিতে পারিবেন৷আদালতের এখতিয়ার
৭৷ (১) আদালত এই আইনের অধীন অপরাধের জন্য নির্ধারিত দণ্ড আরোপ এবং উপযুক্ত ক্ষেত্রে তদন্তাদেশ, অবরুদ্ধকরণাদেশ, ক্রোকাদেশ, অর্থদণ্ড এবং ক্ষতিপূরণ আদেশসহ অন্যান্য আদেশ প্রদান করিতে পারিবে৷(২) যদি এই আইনের অধীন কোন অপরাধের সহিত অন্য কোন আইনের কোন অপরাধ এমনভাবে জড়িত থাকে যে, ন্যায়বিচারের স্বার্থে উভয় অপরাধের বিচার একই সংগে বা একই মামলায় করা প্রয়োজন, তাহা হইলে এই আইনের অধীন অপরাধের বিচার উক্ত অন্য আইনের অধীন অপরাধের সহিত একই সংগে উক্ত আদালতে করা যাইবে:তবে শর্ত থাকে যে, এই আইনের তফসিলে বর্ণিত কোন আইনের অধীন অনূর্ধ্ব তিন বত্সর কারাদণ্ডযোগ্য কোন অপরাধের সহিত মানিলন্ডারিং জড়িত থাকিলে উহা এই আইনের অধীন অপরাধ বলিয়া গণ্য হইবে না৷অপরাধ বিচারার্থ গ্রহণ, ইত্যাদি
৮৷ (১) অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের অধীন দণ্ডনীয় সকল অপরাধ বিচারার্থ গ্রহণীয় (cognizable) হইবে৷(২) বাংলাদেশ ব্যাংক অথবা বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তির লিখিত অভিযোগ ব্যতীত কোন আদালত এই আইনের অধীন কোন অপরাধ বিচারের জন্য গ্রহণ করিবে না৷(৩) এই আইনের অধীন সকল অপরাধ অ-জামিনযোগ্য (Non-bailable) হইবে৷(৪) এই আইনের অন্যান্য বিধান সাপেক্ষে, অভিযুক্ত বা শাস্তিযোগ্য কোন ব্যক্তিকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হইবে না, যদি-(ক) তাহাকে জামিনে মুক্তি দেওয়ার আবেদনের উপর অভিযোগকারী পক্ষকে শুনানীর সুযোগ দেওয়া না হয়; এবং(খ) তাহার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগে তিনি দোষী সাব্যস্ত হওয়ার যুক্তিসঙ্গত কারণ রহিয়াছে মর্মে আদালত সন্তুষ্ট হন; অথবা(গ) তাহাকে জামিনে মুক্তি দেওয়ার কারণে ন্যায় বিচার বিঘ্নিত হইবে না মর্মে আদালত সন্তুষ্ট না হন৷2[দেওয়ানী কার্যবিধি ও] ফৌজদারী কার্যবিধির প্রয়োগ, ইত্যাদি
৯৷ (১) এই আইনে ভিন্নতর কিছু না থাকিলে, এই আইনের অধীন কোন অপরাধের অভিযোগ দায়ের, তদন্ত, ক্রোক, সম্পদ অবরুদ্ধকরণ, বিচার ও নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে 3[* * *] ফৌজদারী কার্যবিধির বিধানাবলী প্রযোজ্য হইবে৷(২) আদালতে অভিযোগকারীর পক্ষে মামলা পরিচালনাকারী ব্যক্তি পাবলিক প্রসিকিউটর বলিয়া গণ্য হইবেন৷(৩) আদালত উহার বিচারাধীন কোন মামলা সংক্রান্ত অপরাধ সম্পর্কে অধিকতর তদন্তের জন্য তদন্তকারী ব্যক্তিকে নির্দেশ দিতে পারিবে এবং উক্ত নির্দেশে তদন্তের প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সময়সীমা নির্ধারণ করিয়া দিতে পারিবে৷সম্পত্তির ক্রোকাদেশ
১০৷ বাংলাদেশ ব্যাংক বা ইহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তির লিখিত আবেদনের ভিত্তিতে আদালত এই মর্মে ক্রোকাদেশ প্রদান করিতে পারিবে যে, অভিযুক্ত ব্যক্তির সম্পদ, যেখানে যে অবস্থায় থাকুক না কেন বিক্রয় বা হস্তান্তর নিষিদ্ধ থাকিবে৷সম্পদ অবরুদ্ধকরণ
১১৷ (১) এই আইনের অধীন অভিযুক্ত ব্যক্তির সম্পদের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক অথবা বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তির লিখিত আবেদনের ভিত্তিতে আদালত উক্ত সম্পদ অবরুদ্ধকরণের জন্য আদেশ (freezing order) প্রদান করিতে পারিবে৷(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন কোন অবরুদ্ধকরণ আদেশ প্রদান করা হইলে-(ক) আদালত বিষয়টি সর্বসাধারণের অবগতির জন্য বাংলাদেশ গেজেট এবং জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রচার করিবে;(খ) সংশ্লিষ্ট সম্পদ হস্তান্তর বা উক্ত সম্পদকে কোনভাবে দায়যুক্ত করা যাইবে না৷(৩) এই ধারার অধীন অবরুদ্ধকরণ আদেশে অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম, পদবী, পিতা-মাতার নাম, ঠিকানা, পেশা ইত্যাদি যতদূর সম্ভব উল্লেখ থাকিবে৷(৪) কোন ব্যক্তির ব্যাংক একাউন্ট অবরুদ্ধকরণের আদেশ কার্যকর থাকা অবস্থায়, উক্ত আদেশে ভিন্নরূপ উল্লেখ না থাকিলে, উক্ত ব্যক্তি প্রাপ্য হইয়াছে এইরূপ সমুদয় অর্থ তাহার অবরুদ্ধ ব্যাংক একাউন্টে জমা হইবে৷আপীল
4[১২৷ ফৌজদারী কার্যবিধিতে ভিন্নতর যাহা কিছুই থাকুক না কেন, আদালত কর্তৃক প্রদত্ত আদেশ, রায় বা আরোপিত দণ্ড দ্বারা সংক্ষুব্ধ পক্ষ উক্ত আদেশ, রায় বা দণ্ডাদেশ প্রদানের তারিখ হইতে ত্রিশ দিনের মধ্যে হাইকোর্ট বিভাগে আপীল করিতে পারিবেন৷]মানিলন্ডারিং এর শাস্তি
১৩৷ (১) কোন ব্যক্তি মানিলন্ডারিং এর সাথে কোনভাবে জড়িত থাকিলে তিনি অপরাধ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন৷(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন অপরাধের জন্য সংশ্লিষ্ট অপরাধী অন্যুন ছয় মাস এবং অনধিক সাত বত্সর কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং অপরাধের সহিত জড়িত অর্থের অনধিক দ্বিগুণ অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷ক্রোকাদেশ লংঘনের শাস্তি
১৪৷ 5[* * *] কোন ব্যক্তি ধারা ১০ এর অধীন ক্রোকাদেশ লংঘন করিলে তিনি 6[অনূর্ধ্ব] এক বত্সর কারাদণ্ড বা 7[অনূর্ধ্ব] দশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷অবরুদ্ধকরণ আদেশ লংঘনের শাস্তি
১৫৷ 8[* * *] কোন ব্যক্তি ধারা ১১ এর অধীন অবরুদ্ধকরণ আদেশ লংঘন করিলে তিনি 9[অনূর্ধ্ব] এক বত্সর কারাদণ্ড বা 10[অনূর্ধ্ব] পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷তথ্য ফাঁসকরণের শাস্তি
১৬৷ (১) কোন ব্যক্তি এই আইনের অধীন কোন তদন্ত কার্যক্রম ব্যহতকরণ বা উহাতে কোন বিরূপ প্রভাব বিস্তারের উদ্দেশ্যে তদন্ত সম্পর্কিত কোন তথ্য বা প্রাসংগিক অন্য কোন তথ্য অন্য কোন ব্যক্তির নিকট ফাঁস করিবেন না৷(২) কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর বিধান লংঘন করিলে তিনি 11[অনূর্ধ্ব] এক বত্সর কারাদণ্ড বা 12[অনূর্ধ্ব] দশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷তদন্তে বাধা দেওয়ার শাস্তি
১৭৷ (১) এই আইনের অধীন কোন তদন্ত কার্যক্রমে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে সহযোগিতা প্রদানে, কোন যুক্তিসংগত কারণ ব্যতিরেকে, কোন ব্যক্তি অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করিবেন না৷(২) কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর বিধান লংঘন করিলে তিনি 13[অনূর্ধ্ব] এক বত্সর কারাদণ্ড বা 14[অনূর্ধ্ব] দশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷বিদেশী রাষ্ট্রের সহিত চুক্তি
১৮৷ (১) আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার কোন বিদেশী রাষ্ট্রের সহিত চুক্তি সম্পাদন করিতে পারিবে৷(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন কোন বিদেশী রাষ্ট্রের সহিত চুক্তি সম্পাদন করা হইলে সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, উক্ত বিদেশী রাষ্ট্রকে এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে চুক্তিবদ্ধ রাষ্ট্র হিসাবে ঘোষণা করিবে৷মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ ও সনাক্তকরণে ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং আর্থিক কর্মকাণ্ডের সহিত জড়িত অন্যান্য সংস্থার দায়-দায়িত্ব
১৯৷ (১) মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ ও সনাক্তকরণে ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং আর্থিক কর্মকাণ্ডের সহিত জড়িত অন্যান্য সংস্থা-(ক) উহার গ্রাহকের হিসাব পরিচালনাকালে সকল গ্রাহকের পরিচিতির সঠিক ও পূর্ণাংগ তথ্য সংরক্ষণ করিবে এবং কোন গ্রাহকের হিসাবের লেনদেন বন্ধ হওয়ার ক্ষেত্রে উক্তরূপ বন্ধ হওয়ার দিন হইতে অন্যুন পাঁচ বত্সরকাল বিগত সময়ের লেনদেনের হিসাব সংরক্ষণ করিবে;(খ) দফা (ক) এর অধীন সংরক্ষিত তথ্যাদি সময় সময় বাংলাদেশ ব্যাংকে ইহার চাহিদা মোতাবেক সরবরাহ করিবে;(গ) অস্বাভাবিক লেনদেন এবং মানিলন্ডারিং এর সহিত সংশ্লিষ্ট থাকিতে পারে এইরূপ সন্দেহজনক লেনদেন সম্পর্কিত তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংককে সময় সময় অবহিত করিবে৷(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন সংরক্ষণযোগ্য তথ্যাদি নির্ধারণ করিয়া বাংলাদেশ ব্যাংক, সময় সময় পরিপত্র বা গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করিবে৷(৩) বাংলাদেশ ব্যাংক উপ-ধারা (১)-এ উল্লিখিত তথ্যাদি সংরক্ষণ ও সরবরাহে ব্যর্থতা বা অবহেলার জন্য দায়ী সংশ্লিষ্ট ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং আর্থিক কর্মকাণ্ডের সহিত জড়িত অন্যান্য সংস্থার ব্যবসায়িক কার্যক্রমের অনুমতি বা লাইসেন্স প্রদানকারী কর্তৃপক্ষকে অবহিত করিবে, যাহাতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ স্ব-স্ব আইন বা বিধি বিধান মোতাবেক সংশ্লিষ্ট ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং আর্থিক কর্মকাণ্ডের সহিত জড়িত অন্যান্য সংস্থার অবহেলা বা ব্যর্থতার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারে৷(৪) বাংলাদেশ ব্যাংক উপ-ধারা (৩) -এ যাহাই থাকুক না কেন, উপ-ধারা (১)-এ উল্লিখিত তথ্যাদি সংরক্ষণ ও সরবরাহে ব্যর্থতা বা অবহেলার জন্য দায়ী সংশ্লিষ্ট ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং আর্থিক কর্মকাণ্ডের সহিত জড়িত অন্যান্য সংস্থাকে অনূর্ধ্ব এক লক্ষ টাকা কিন্তু দশ হাজার টাকার কম নয় জরিমানা করিতে পারিবে৷কোম্পানী ইত্যাদি কর্তৃক অপরাধ সংঘটন
২০৷ (১) এই আইনের অধীন কোন বিধান লংঘনকারী ব্যক্তি যদি কোম্পানী হয়, তাহা হইলে উক্ত কোম্পানীর প্রত্যেক মালিক, পরিচালক, ম্যানেজার, সচিব বা অন্য কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারী বা প্রতিনিধি বিধানটি লংঘন করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন:তবে শর্ত থাকে যে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি যদি এইরূপ প্রমাণ করিতে সক্ষম হন যে, উক্ত লংঘন তাহার অজ্ঞাতসারে হইয়াছে অথবা উহার লংঘন রোধ করিবার জন্য তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করিয়া ব্যর্থ হইয়াছেন, তাহা হইলে উক্ত লংঘনের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি দায়ী হইবেন না৷ব্যাখ্যা৷-এ ধারায়-(ক) “কোম্পানী” বলিতে কোন কোম্পানী, সংবিধিবদ্ধ সংস্থা, অংশীদারী কারবার, সমিতি বা এক বা একাধিক ব্যক্তির সমন্বয়ে গঠিত সংগঠনকে বুঝাইবে;(খ) “পরিচালক” বলিতে কোন অংশীদার বা পরিচালনা বোর্ড, যে নামেই অভিহিত হউক, এর সদস্যকেও বুঝাইবে৷(২) কোন কোম্পানী প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে মানিলন্ডারিং এর সাথে জড়িত থাকিলে উক্ত কোম্পানীর নিবন্ধন বাতিলযোগ্য হইবে৷বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা
২১৷ সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে৷Footnotes
-
1
দফা (ঙ) মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ (সংশোধন) আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ৩ নং আইন) এর ২ ধারাবলে বিলুপ্ত -
2
“দেওয়ানী কার্যবিধি ও” শব্দগুলি মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ (সংশোধন) আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ৩ নং আইন) এর ৩ ধারাবলে বিলুপ্ত -
3
”, ক্ষেত্রমত দেওয়ানী কার্যবিধি ও” কমা ও শব্দগুলি মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ (সংশোধন) আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ৩ নং আইন) এর ৩ ধারাবলে বিলুপ্ত -
4
ধারা ১২ মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ (সংশোধন) আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ৩ নং আইন) এর ৪ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত -
5
“(১)” সংখ্যা ও বন্ধনী মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ (সংশোধন) আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ৩ নং আইন) এর ৫ ধারাবলে বিলুপ্ত -
6
“অনূধর্্ব” শব্দটি “অনূ্যন” শব্দটির পরিবর্তে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ (সংশোধন) আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ৩ নং আইন) এর ৫ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত -
7
“অনূধর্্ব” শব্দটি “অনূ্যন” শব্দটির পরিবর্তে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ (সংশোধন) আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ৩ নং আইন) এর ৫ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত -
8
“(১)” সংখ্যা ও বন্ধনী মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ (সংশোধন) আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ৩ নং আইন) এর ৬ ধারাবলে বিলুপ্ত -
9
“অনূধর্্ব” শব্দটি “অনূ্যন” শব্দটির পরিবর্তে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ (সংশোধন) আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ৩ নং আইন) এর ৬ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত -
10
“অনূধর্্ব” শব্দটি “অনূ্যন” শব্দটির পরিবর্তে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ (সংশোধন) আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ৩ নং আইন) এর ৬ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত -
11
“অনূধর্্ব” শব্দটি “অনূ্যন” শব্দটির পরিবর্তে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ (সংশোধন) আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ৩ নং আইন) এর ৭ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত -
12
“অনূধর্্ব” শব্দটি “অনূ্যন” শব্দটির পরিবর্তে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ (সংশোধন) আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ৩ নং আইন) এর ৭ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত -
13
“অনূধর্্ব” শব্দটি “অনূ্যন” শব্দটির পরিবর্তে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ (সংশোধন) আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ৩ নং আইন) এর ৮ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত -
14
“অনূধর্্ব” শব্দটি “অনূ্যন” শব্দটির পরিবর্তে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ (সংশোধন) আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ৩ নং আইন) এর ৮ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত
Click here to see the original act on the Bangladesh Legal Database.