Preamble
যেহেতু 2[বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভ্রমণ অথবা বাংলাদেশ হইতে] আকাশ, স্থল কিংবা জল পথে অন্য কোন দেশে যে কোন যাত্রীর গমনের ক্ষেত্রে ভ্রমণ কর আরোপ ও আদায় করিবার লক্ষ্যে বিধান করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়; সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল:-Sections/Articles
সংক্ষিপ্ত শিরোনামা
১৷ এই আইন ভ্রমণ কর আইন, ২০০৩ নামে অভিহিত হইবে৷সংজ্ঞা
২৷ বিষয় বা প্রসংগের পরিপন্থী কোন কিছু না থাকিলে, এই আইনে,- 3[(ক) “ভ্রমণ কর” অর্থ ধারা ৩ এর অধীন আরোপ ও আদায়যোগ্য ভ্রমণ কর ও জরিমানা;] (খ) “জাতীয় রাজস্ব বোর্ড” অর্থ The National Board of Revenue Order, 1972 (P.O. No. 76 of 1972) এর section 3 এর অধীন গঠিত National Board of Revenue; (গ) “নির্ধারিত” অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত প্রবিধান বা বিধি দ্বারা নির্ধারিত; 4[* * *] (ঘ) “সার্ক” অর্থ South Asian Association for Regional Co-operation (SAARC); এবং (ঙ) “যাত্রী” অর্থ বাংলাদেশ হইতে অন্য কোন দেশে গমনকারী যে কোন ব্যক্তি; 5[(চ) “ভ্রমণ কর কর্তৃপক্ষ” অর্থ আয়কর আইন, ২০২৩ (২০২৩ সনের ১২ নং আইন) এর ধারা ৪ এ বর্ণিত আয়কর কর্তৃপক্ষ।]ভ্রমণ কর আরোপ ও আদায়
6[৩। (১) বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভ্রমণ এবং বাংলাদেশ হইতে আকাশ, স্থল কিংবা জল পথে অন্য কোনো দেশে গমনের ক্ষেত্রে যাত্রী প্রতি নিম্নবর্ণিত টেবিলে উল্লিখিত হারে ভ্রমণ কর আরোপ ও আদায় করা যাইবে, যথাঃ- টেবিলক্রমিক নং | ভ্রমণের ধরণ | করের পরিমাণ |
(১) | (২) | (৩) |
১। | আকাশ পথে উত্তর আমেরিকা, দক্ষিণ আমেরিকা, ইউরোপ, আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, চীন, জাপান, হংকং, উত্তর কোরিয়া, ভিয়েতনাম, লাওস, কম্বোডিয়া ও তাইওয়ান গমনের ক্ষেত্রে | ৬,০০০ (ছয় হাজার) টাকা |
২। | আকাশ পথে সার্কভুক্ত কোনো দেশে গমনের ক্ষেত্রে | ২,০০০ (দুই হাজার) টাকা |
৩। | আকাশ পথে অন্য কোনো দেশে গমনের ক্ষেত্রে | ৪,০০০ (চার হাজার) টাকা |
৪। | আকাশ পথে দেশের অভ্যন্তরে গমনের ক্ষেত্রে | ২০০ (দুই শত) টাকা |
৫। | স্থল পথে যেকোনো দেশে গমনের ক্ষেত্রে | ১,০০০ (এক হাজার) টাকা |
৬। | জল পথে যেকোনো দেশে গমনের ক্ষেত্রে | ১,০০০ (এক হাজার) টাকা |
আদায়
7[৩ক৷ আদায়কৃত ভ্রমণ কর ধারা ৩ এর 8[উপ-ধারা (৩)] এর অধীন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সরকারী কোষাগারে জমা প্রদান করিতে ব্যর্থ হইলে ভ্রমণ কর কর্তৃপক্ষ- (ক) সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা সংস্থার ব্যাংক হিসাব জব্দ করিতে পারিবেন; (খ) বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট বিমান সংস্থার বিমান বাংলাদেশ হইতে উড্ডয়ন কার্যক্রম বন্ধ করিবার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবেন; (গ) সংশ্লিষ্ট বিমান সংস্থার যে কোন অর্থ বাংলাদেশের বাহিরে প্রত্যর্পণ বন্ধ করিবার বিষয়ে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করিতে পারিবেন 9[; 10[(ঘ) আয়কর আইন, ২০২৩ (২০২৩ সনের ১২ নং আইন) এর ধারা ২২১ ও ২৭৫ এ উল্লিখিত বিধান অনুসারে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করিতে পারিবে।]]অব্যাহতি
11[৪। (১) ধারা ৩ এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, নিম্নবর্ণিত যাত্রীগণ এই আইনের অধীন প্রদেয় ভ্রমণ কর হইতে অব্যাহতি পাইবেন, যথা:- (ক) ৫ (পাঁচ) বৎসর বা তাহার চেয়ে কম বয়সের কোনো যাত্রী; (খ) হজ্ব পালনের জন্য সৌদি আরবে গমনকারী ব্যক্তি; (গ) অন্ধ ব্যক্তি বা ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগী বা স্ট্র্যাচার ব্যবহারকারী পঙ্গু ব্যক্তি; (ঘ) জাতিসংঘের কর্মকর্তা ও তাঁহাদের পরিবারের সদস্যগণ; (ঙ) বাংলাদেশে অবস্থিত কূটনীতিক মিশনের কূটনৈতিক মর্যাদাসম্পন্ন সদস্য ও তাঁহাদের পরিবারের সদস্যগণ; (চ) বাংলাদেশে কর্মরত বিশ্বব্যাংক, জার্মান কারিগরি সংস্থা এবং জাপান আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা এর স্টাফ ও তাঁহাদের পরিবারের সদস্যগণ; (ছ) বিমানে কর্তব্যরত ক্রু এর সদস্য; (জ) বাংলাদেশের ভিসাবিহীন ট্রানজিট যাত্রী যাহারা ৭২ (বাহাত্তর) ঘন্টার অধিক সময় বাংলাদেশে অবস্থান করিবেন না; (ঝ) যে কোনো বিমান সংস্থায় কর্মরত বাংলাদেশি নাগরিক যিনি বিনা ভাড়ায় অথবা হাসকৃত ভাড়ায় বিদেশ গমন করিবেন 12[; (ঞ) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, যেইরূপ উপযুক্ত বিবেচনা করিবে সেইরূপ আদেশ দ্বারা, কোনো ব্যক্তিকে অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবে।] (২) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, যে কোনো ব্যক্তি বা ব্যক্তি শ্রেণিকে এই আইনের অধীন প্রদেয় ভ্রমণ কর হইতে অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবে।]বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা
৫৷ সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের বিধানাবলীর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে৷প্রবিধান প্রণয়নের ক্ষমতা
৬৷ জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইন বা কোন বিধির বিধানের সহিত অসমঞ্জস না হয় এইরূপ প্রবিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে৷Act No. XXIII of 1980 এর section 12 এর বিলুপ্তি ও হেফাজত
৭৷ (১) Finance Act, 1980 (Act No. XXIII of 1980) এর section 12 বিলুপ্ত হইবে৷(২) উক্ত section বিলুপ্তির অব্যবহিত পূর্বে উক্ত section এর অধীন প্রণীত বিধি এইরূপে বলবত্ থাকিবে যেন উহা এই আইনের অধীন প্রণীত হইয়াছে৷ইংরেজীতে অনূদিত পাঠ প্রকাশ
৮৷ এই আইন প্রবর্তনের পর সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের ইংরেজীতে অনূদিত একটি নির্ভরযোগ্য পাঠ প্রকাশ করিবে, যাহা এই আইনের অনুমোদিত ইংরেজী পাঠ (Authentic English Text) নামে অভিহিত হইবে:তবে শর্ত থাকে যে, এই আইন ও উক্ত ইংরেজী পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে এই আইন প্রাধান্য পাইবে৷Footnotes
-
1
“বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভ্রমণ অথবা বাংলাদেশ হইতে” শব্দগুলি “বাংলাদেশ হইতে” শব্দগুলির পরিবর্তে অর্থ আইন, ২০২৩ (২০২৩ সনের ১৪ নং আইন) এর ১০ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত যাহা ২০২৩ সনের ১ জুলাই হইতে কার্যকর। -
2
“বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভ্রমণ অথবা বাংলাদেশ হইতে” শব্দগুলি “বাংলাদেশ হইতে” শব্দগুলির পরিবর্তে অর্থ আইন, ২০২৩ (২০২৩ সনের ১৪ নং আইন) এর ১০ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত যাহা ২০২৩ সনের ১ জুলাই হইতে কার্যকর। -
3
দফা (ক) অর্থ আইন, ২০০৫ (২০০৫ সনের ১৬ নং আইন) এর ৪১ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত -
4
দফা (গগ) অর্থ আইন, ২০০৪ (২০০৪ সনের ১৬ নং আইন) এর ৬৪ ধারাবলে বিলুপ্ত -
5
দফা (চ) অর্থ আইন, ২০২৩ (২০২৩ সনের ১৪ নং আইন) এর ১১ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত যাহা ২০২৩ সনের ১ জুলাই হইতে কার্যকর। -
6
ধারা ৩ অর্থ আইন, ২০২৩ (২০২৩ সনের ১৪ নং আইন) এর ১২ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত যাহা ২০২৩ সনের ১ জুলাই হইতে কার্যকর। -
7
ধারা ৩ক অর্থ আইন, ২০০৫ (২০০৫ সনের ১৬ নং আইন) এর ৪৩ ধারাবলে সংযোজিত -
8
“উপ-ধারা (৩)” শব্দ, চিহ্ন, সংখ্যা ও বন্ধনী “উপ-ধারা (৫)” শব্দ, চিহ্ন, সংখ্যা ও বন্ধনীর পরিবর্তে অর্থ আইন, ২০২৩ (২০২৩ সনের ১৪ নং আইন) এর ১৩ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত যাহা ২০২৩ সনের ১ জুলাই হইতে কার্যকর। -
9
সেমিকোলন (;) দাঁড়ির (।) পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত এবং অতঃপর দফা (ঘ) অর্থ আইন, ২০০৬ (২০০৬ সনের ২২ নং আইন) এর ৪৬ ধারাবলে সংযোজিত -
10
দফা (ঘ) অর্থ আইন, ২০২৪ (২০২৪ সনের ৫ নং আইন) এর ২ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত যাহা ২০২৪ সনের ১ জুলাই হইতে কার্যকর। -
11
ধারা ৪ অর্থ আইন, ২০২৩ (২০২৩ সনের ১৪ নং আইন) এর ১৪ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত যাহা ২০২৩ সনের ১ জুলাই হইতে কার্যকর। -
12
”;” সেমিকোলন ”।” দাঁড়ি এর পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত হইবে অতঃপর দফা (ঞ) অর্থ আইন, ২০২৪ (২০২৪ সনের ৫ নং আইন) এর ৩ ধারাবলে সংযোজিত যাহা ২০২৪ সনের ১ জুলাই হইতে কার্যকর।
Click here to see the original act on the Bangladesh Legal Database.