Date of Publication: [ ৫ মার্চ, ২০১৫ ]

Preamble

যেহেতু সমুদ্র বিষয়ক গবেষণা কার্যক্রম গ্রহণ, গবেষণালব্ধ ফলাফলের প্রয়োগ এবং এতদসংশ্লিষ্ট সকল কার্যক্রম পরিচালনা, ব্যবস্থাপনা ও নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;সেহেতু, এতদ্‌দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল:-

Sections/Articles

সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন

১। (১) এই আইন বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট আইন, ২০১৫ নামে অভিহিত হইবে।(২) সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, যেই তারিখ নির্ধারণ করিবে সেই তারিখে এই আইন কার্যকর হইবে।*এস, আর, ও নং ২৫৭-আইন/২০১৫, তারিখ: ১৬ আগস্ট, ২০১৫ ইং দ্বারা ২৬ শ্রাবণ ১৪২২ বঙ্গাব্দ মোতাবেক ১০ আগস্ট ২০১৫ খ্রিস্টাব্দ উক্ত আইন কার্যকর হইয়াছে।

সংজ্ঞা

২। বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থী কোন কিছু না থাকিলে, এই আইনে-(১) ‘‘ইনস্টিটিউট’’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট;(২) ‘‘প্রবিধান’’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত প্রবিধান;(৩) ‘‘বোর্ড’’ অর্থ ইনস্টিটিউট এর পরিচালনা বোর্ড;(৪) ‘‘বিধি’’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি;(৫) ‘‘মহাপরিচালক’’ অর্থ ইনস্টিটিউট এর মহাপরিচালক;(৬) ‘‘সদস্য’’ অর্থ বোর্ডের সদস্য; এবং(৭) ‘‘সভাপতি’’ অর্থ বোর্ডের সভাপতি।

ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা

৩। (১) এই আইন বলবৎ হইবার পর, সরকার, যথাশীঘ্র সম্ভব, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট (Bangladesh Oceanographic Research Institute) নামে একটি ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করিবে।(২) ইনস্টিটিউট একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হইবে এবং উহার স্থায়ী ধারাবাহিকতা ও একটি সাধারণ সীলমোহর থাকিবে এবং এই আইনের বিধানাবলী সাপেক্ষে, ইহার স্থাবর ও অস্থাবর উভয় প্রকার সম্পত্তি অর্জন করিবার, অধিকারে রাখিবার এবং হস্তান্তর করিবার ক্ষমতা থাকিবে এবং ইহার নামে মামলা দায়ের করা যাইবে বা ইহার বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা যাইবে।

ইনস্টিটিউটের কার্যালয়

৪। ইনস্টিটিউটের প্রধান কার্যালয় কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলায় হইবে এবং ইনস্টিটিউট প্রয়োজনে, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, দেশের যে কোন স্থানে উহার শাখা স্থাপন করিতে পারিবে।

পরিচালনা ও প্রশাসন

৫। ইনস্টিটিউটের পরিচালনা ও প্রশাসনের দায়িত্ব একটি পরিচালনা বোর্ডের উপর ন্যস্ত থাকিবে এবং ইনস্টিটিউট যে সকল ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্যসম্পাদন করিতে পারিবে পরিচালনা বোর্ডও সেই সকল ক্ষমতা প্রয়োগ এবং কার্য সম্পাদন করিতে পারিবে।

পরিচালনা বোর্ড

৬। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে নিম্নবর্ণিত সদস্য সমন্বয়ে ইনস্টিটিউটের একটি পরিচালনা বোর্ড গঠিত হইবে, যথা:-(ক) বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব, যিনি উহার সভাপতিও হইবেন;(খ) অর্থ বিভাগের অন্যূন যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা;(গ) মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অন্যূন যুগ্মসচিব পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা;(ঘ) পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের অন্যূন যুগ্মসচিব পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা;(ঙ) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অন্যূন যুগ্মসচিব পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা;(চ) বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান;(ছ) বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের চেয়ারম্যান;(জ) ন্যাশনাল হাইড্রোগ্রাফিক কমিটির চেয়ারম্যান;(ঝ) বাংলাদেশ নৌ-বাহিনীর হাইড্রোগ্রাফিক বিভাগের পরিচালক;(ঞ) বাংলাদেশ নৌ-বাহিনী কর্তৃক মনোনীত একজন কর্মকর্তা;(ট) ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক;(ঠ) স্পারসো কর্তৃক মনোনীত একজন কর্মকর্তা;(ড) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক মনোনীত একজন প্রতিনিধি;(ঢ) জেলা প্রশাসক, কক্সবাজার;(ণ) সরকার কর্তৃক মনোনীত সমুদ্র বিজ্ঞান বিষয়ে অভিজ্ঞ যে কোন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপক;(ত) সরকার কর্তৃক মনোনীত সমুদ্র বিজ্ঞান ও গবেষণা কাজে অবদান রহিয়াছে এবং এই বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরিয়া কাজ করিয়াছেন এইরূপ ০২(দুই) জন ব্যক্তি; এবং(থ) ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক, যিনি উহার সদস্য-সচিবও হইবেন।(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন সরকার কর্তৃক মনোনীত সদস্যগণ তাহাদের মনোনয়নের তারিখ হইতে ৩ (তিন) বৎসর মেয়াদের জন্য সদস্য পদে বহাল থাকিবেন :তবে শর্ত থাকে যে, সরকার, উক্ত মেয়াদ শেষ হইবার পূর্বে, যে কোন সময় কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে উক্তরূপ মনোনীত কোন সদস্যকে তাহার পদ হইতে অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবে :আরও শর্ত থাকে যে, কোন মনোনীত সদস্য সরকারের উদ্দেশ্যে স্বীয় স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে পদত্যাগ করিতে পারিবেন।

বোর্ডের সভা

৭। (১) এই ধারার অন্যান্য বিধানাবলী সাপেক্ষে, বোর্ড উহার সভার কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে।(২) প্রতি ০৩ (তিন) মাসে বোর্ডের অন্যূন একটি সভা করিতে হইবে এবং সভার তারিখ, সময় ও স্থান সভাপতি কর্তৃক নির্ধারিত হইবে।(৩) বোর্ডের সভার কোরামের জন্য উহার মোট সদস্য-সংখ্যার অন্যূন এক তৃতীয়াংশ সদস্যের উপস্থিতির প্রয়োজন হইবে, তবে মুলতবি সভার ক্ষেত্রে কোন কোরামের প্রয়োজন হইবে না।(৪) সভাপতি, ইনস্টিটিউটের সকল সভায় সভাপতিত্ব করিবেন এবং তাহার অনুপস্থিতিতে তদকর্তৃক মনোনীত কোন সদস্য সভায় সভাপতিত্ব করিবেন।(৫) বোর্ডের সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহণে প্রত্যেক সদস্যের একটি ভোট থাকিবে এবং সভায় উপস্থিত সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের ভোটের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গৃহীত হইবে, তবে ভোটে সমতার ক্ষেত্রে সভায় সভাপতিত্বকারী ব্যক্তির দ্বিতীয় বা নির্ণায়ক ভোট প্রদানের অধিকার থাকিবে।(৬) প্রত্যেক সভার কার্যবিবরণী সংরক্ষণ, সদস্যদের নিকট প্রেরণ এবং পরবর্তী বোর্ড সভায় উপস্থাপন করিতে হইবে।(৭) শুধুমাত্র কোন সদস্য পদে শূন্যতা বা বোর্ড গঠনে ক্রটি থাকিবার কারণে বোর্ডের কার্য বা কার্যধারা অবৈধ হইবে না এবং তদ্‌সম্পর্কে কোন প্রশ্নও উত্থাপন করা যাইবে না।

ইনস্টিটিউটের কার্যাবলী

৮। ইনস্টিটিউটের কার্যাবলী হইবে নিম্নরূপ, যথা:-(ক) সমুদ্রবিদ্যার (Oceanography) নিম্নরূপ বিষয়ে গবেষণা করা, যথা:-(১) ভৌত সমুদ্রবিদ্যা (Physical Oceanography);(২) ভূতাত্ত্বিক সমুদ্রবিদ্যা (Geological Oceanography);(৩) রাসায়নিক সমুদ্রবিদ্যা (Chemical Oceanography);(৪) জৈব সমুদ্রবিদ্যা (Biological Oceanography);(৫) জলবায়ু পরিবর্তন ও সমুদ্র (Climate Change and the Ocean);(৬) সমুদ্রবিদ্যা বিষয়ক অন্য যে কোন বিষয়।(খ) সমুদ্রবিদ্যা সংশ্লিষ্ট মৌলিক ও প্রায়োগিক গবেষণা কার্যক্রম গ্রহণ, পরিচালনা, গবেষণালব্ধ ফলাফলের প্রয়োগ এবং এতদসংশ্লিষ্ট সকল কার্যক্রমের ব্যবস্থাপনা, সমন্বয় ও নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব পালন করা;(গ) গবেষণালব্ধ ফলাফলের বাস্তবিক প্রয়োগের লক্ষ্যে ইনস্টিটিউট কর্তৃক নিম্নরূপ সেবাসমূহ প্রদান করা, যথা:-(১) সমুদ্র তীরবর্তী এলাকায় সরকারি অথবা বেসরকারি যে কোন প্রকল্প গ্রহণের পূর্বে উক্ত প্রকল্পের পরিবেশগত প্রভাব (Environment Impact Assessment) বিষয়ক রিপোর্ট প্রদান এবং উপকূলবর্তী পরিবেশ পর্যবেক্ষণ;(২) একটি আধুনিক Oceanographic Data Centre প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে গবেষণালব্ধ তথ্য ও ফলাফল সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও বিতরণ;(৩) তৈল দূষণ ঝুঁকি নিরূপণ (Oil Spil risk Assessment) বিষয়ক রিপোর্ট প্রদান;(ঘ) সামুদ্রিক সম্পদের ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রজন্মভিত্তিক ন্যায়নীতি প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে জলজ এবং অজলজ, নবায়নযোগ্য এবং অনবায়নযোগ্য সামুদ্রিক সম্পদ আহরণের পরিমাণ নির্ধারণের ও উহা সংরক্ষণ করিবার লক্ষ্যে যথোপযুক্ত সুপারিশ প্রদান;(ঙ) প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ জনবল তৈরীসহ সমুদ্র বিষয়ে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ;(চ) দেশীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের সহিত সমুদ্র বিষয়ে যোগসূত্র স্থাপনপূর্বক সমন্বিত কার্যক্রম গ্রহণ;(ছ) সমুদ্র বিষয়ে গবেষণারত দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সহিত ক্ষেত্রমত যৌথ গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা, সহযোগিতা প্রদান ও গ্রহণ এবং সমন্বয় সাধন;(জ) উপর্যুক্ত কার্যাবলী সম্পাদনের জন্য প্রয়োজনীয় বিজ্ঞানী, গবেষণা জাহাজ (Research Vessel) এবং অন্যান্য উপযোগী যন্ত্রপাতি সংগ্রহ, রক্ষণাবেক্ষণসহ গবেষণার কার্যক্রমের পরিকল্পনা গ্রহণ; এবং(ঝ) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকার কর্তৃক নির্দেশিত যে কোন দায়িত্ব ও কার্যাবলী সম্পাদন।

মহাপরিচালক

৯। (১) ইনস্টিটিউটের একজন মহাপরিচালক থাকিবেন।(২) মহাপরিচালক সরকার কর্তৃক নিযুক্ত হইবেন এবং তাহার চাকুরীর শর্তাদি সরকার কর্তৃক নির্ধারিত হইবে।(৩) মহাপরিচালক ইনস্টিটিউটের সার্বক্ষণিক মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা হইবেন, এবং তিনি-(ক) বোর্ড কর্তৃক প্রদত্ত ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্য সম্পাদন করিবেন;(খ) বোর্ডের যাবতীয় সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য দায়ী থাকিবেন;(গ) ইনস্টিটিউটের চাকুরী প্রবিধানমালা ও তফসিল অনুযায়ী সরকারের পূর্ব অনুমোদন সাপেক্ষে কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ, পদোন্নতি, সাধারণ আচরণ ও শৃঙ্খলা কার্যকর করিবেন;(ঘ) ইনস্টিটিউটের প্রশাসন পরিচালনা করিবেন; এবং(ঙ) বোর্ডের নির্দেশ মোতাবেক ইনস্টিটিউটের অন্যান্য কার্য সম্পাদন করিবেন।

কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ

১০। ইনস্টিটিউট উহার কার্যাবলী সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ করিতে পারিবে এবং তাহাদের নিয়োগ ও চাকুরীর শর্তাবলী প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে।

কমিটি গঠন

১১। ইনস্টিটিউট উহার দায়িত্ব পালনে উহাকে সহায়তা প্রদানের জন্য প্রয়োজনে এক বা একাধিক কমিটি গঠন করিতে পারিবে।

তহবিল

১২। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট তহবিল নামে একটি তহবিল গঠিত হইবে।(২) তহবিলে নিম্নবর্ণিত অর্থ জমা হইবে, যথা :-(ক) সরকার কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান;(খ) সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে কোন বিদেশী সরকার, আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা, ব্যাংক বা এনজিও হইতে গৃহীত ঋণ বা প্রাপ্ত অনুদান;(গ) ইনস্টিটিউটের নিজস্ব উৎস হইতে আয়;(ঘ) ইনস্টিটিউটের অর্থ বিনিয়োগের মাধ্যমে অর্জিত অর্থ এবং উহার সম্পত্তি বিক্রয়লব্ধ অর্থ; এবং(ঙ) অন্য কোন বৈধ উৎস হইতে প্রাপ্ত অর্থ।(৩) তহবিলের সকল অর্থ বোর্ডের অনুমোদনক্রমে কোন তফসিলি ব্যাংকে ইনস্টিটিউটের নামে রাখা হইবে এবং বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে তহবিল পরিচালনা করা হইবে।ব্যাখ্যা।- ‘তফসিলি ব্যাংক’ অর্থ Bangladesh Bank Order, 1972 (P.O. 127 of 1972) এর Article (2) (J) তে সংজ্ঞায়িত Schedule Bank ।(৪) এই তহবিলের অর্থ হইতে সরকারের নিয়ম-নীতি বা বিধি-বিধান অনুসরণক্রমে ইনস্টিটিউটের প্রয়োজনীয় ব্যয় নির্বাহ করা যাইবে।(৫) তহবিলের অর্থ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত কোন খাতে বিনিয়োগ করিতে পারিবে।

বাজেট

১৩। ইনস্টিটিউট প্রতি বৎসর সরকার কর্তৃক নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্ভাব্য আয়-ব্যয়সহ পরবর্তী অর্থ বৎসরের বার্ষিক বাজেট বিবরণী সরকারের নিকট পেশ করিবে এবং উহাতে উক্ত বৎসরে সরকারের নিকট হইতে ইনস্টিটিউটের কী পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন হইবে উহারও উল্লেখ থাকিবে।

ক্ষমতা অর্পণ

১৪। মহাপরিচালক, প্রয়োজনবোধে এবং তদ্‌কর্তৃক নির্ধারিত শর্তসাপেক্ষে, এই আইনের অধীন তাহার উপর অর্পিত যে কোন ক্ষমতা বা দায়িত্ব লিখিত আদেশ দ্বারা ইনস্টিটিউটের কোন কর্মকর্তাকে অর্পণ করিতে পারিবেন।

ঋণ গ্রহণের ক্ষমতা

১৫। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে ইনস্টিটিউট, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, ঋণ গ্রহণ করিতে পারিবে।

হিসাবরক্ষণ ও নিরীক্ষা

১৬। (১) ইনস্টিটিউট যথাযথভাবে হিসাবরক্ষণ করিবে এবং হিসাবের বার্ষিক বিবরণী প্রস্তুত করিবে।(২) বাংলাদেশের মহা-হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, অতঃপর মহা-হিসাব নিরীক্ষক নামে অভিহিত, প্রতি বৎসর ইনস্টিটিউটের হিসাব নিরীক্ষা করিবেন এবং নিরীক্ষা রিপোর্টের একটি করিয়া অনুলিপি সরকার ও ইনস্টিটিউটের নিকট পেশ করিবেন।(৩) উপ-ধারা (২) অনুযায়ী হিসাব নিরীক্ষার উদ্দেশ্যে মহা-হিসাব নিরীক্ষক কিংবা তাহার নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি ইনস্টিটিউটের সকল রেকর্ড, দলিল দস্তাবেজ, নগদ বা ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, জামানত, ভাণ্ডার এবং অন্যবিধ সম্পত্তি পরীক্ষা করিয়া দেখিতে পারিবেন এবং ইনস্টিটিউটের কোন সদস্য বা যে কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করিতে পারিবেন।

প্রতিবেদন

১৭। (১) প্রতি অর্থ বৎসর শেষ হইবার পরবর্তী ৩ (তিন) মাসের মধ্যে ইনস্টিটিউট তদ্‌কর্তৃক উক্ত অর্থ বৎসরে সম্পাদিত কার্যাবলীর বিবরণ সম্বলিত একটি বার্ষিক প্রতিবেদন সরকারের নিকট পেশ করিবে।(২) সরকার, প্রয়োজনবোধে, ইনস্টিটিউটের নিকট হইতে যে কোন সময় ইনস্টিটিউটের যে কোন বিষয়ের উপর প্রতিবেদন এবং বিবরণী আহবান করিতে পারিবে এবং ইনস্টিটিউট উহা সরকারের নিকট সরবরাহ করিতে বাধ্য থাকিবে।(৩) সরকার যে কোন সময় ইনস্টিটিউটের কর্মকাণ্ড অথবা যে কোন প্রকার অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত অনুষ্ঠানের নির্দেশ দিতে পারিবে।

বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা

১৮। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে।

প্রবিধান প্রণয়নের ক্ষমতা

১৯। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে ইনস্টিটিউট, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, প্রবিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে।

হেফাজত

২০। এই আইন কার্যকর হইবার সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউট শীর্ষক প্রকল্পের-(ক) সকল অধিকার, ক্ষমতা, কর্তৃত্ব ও সুযোগ-সুবিধা এবং সমস্ত স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ, নগদ অর্থ ও ব্যাংকের জমা, মঞ্জুরী ও তহবিল এবং তদ্‌সংশ্লিষ্ট বা উদ্ভূত অন্য সকল প্রকার অধিকার ও স্বার্থ এবং সমস্ত হিসাব বই, রেজিস্টার, রেকর্ড এবং তদ্‌সম্পর্কিত অন্য সকল প্রকার দলিলাদি ইনস্টিটিউট বরাবর হস্তান্তরিত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে;(খ) সকল প্রকার ঋণ, দায় ও দায়িত্ব সরকারের ভিন্নরূপ কোন নির্দেশ না থাকিলে ইনস্টিটিউটের ঋণ, দায় ও দায়িত্ব হিসাবে গণ্য হইবে।

Footnotes

Click here to see the original act on the Bangladesh Legal Database.