২৷ বিষয় বা প্রসংগের পরিপন্থী কোন কিছু না থাকিলে, এই অধ্যাদেশে,-(ক) “একাডেমী” অর্থ এই আইনের অধীন প্রতিষ্ঠিত বগুড়া পল্লীউন্নয়ন একাডেমী;(খ) “প্রবিধান” অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত প্রবিধান;(গ) “বিধি” অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি;(ঘ) “বোর্ড” অর্থ একাডেমীর পরিচালনা বোর্ড;(ঙ) “মহা-পরিচালক” অর্থ একাডেমীর মহা-পরিচালক;(চ) “সদস্য” অর্থ বোর্ডের সদস্য;(ছ) “সভাপতি” অর্থ বোর্ডের সভাপতি৷
৩৷ (১) এই আইনের বলবত্ হইবার সংগে সংগে এই আইনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য পূরণকল্পে বগুড়া পল্লীউন্নয়ন একাডেমী নামে একটি একাডেমী প্রতিষ্ঠিত হইবে৷(২) একাডেমী একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হইবে এবং ইহার স্থায়ী ধারাবাহিকতা ও একটি সাধারণ সীলমোহর থাকিবে এবং ইহার স্থাবর ও অস্থাবর উভয় প্রকার সম্পত্তি অর্জন করার, অধিকারে রাখার এবং হস্তান্তর করার ক্ষমতা থাকিবে এবং উক্ত নামে ইহা মামলা দায়ের করিতে পারিবে বা ইহার বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা যাইবে৷(৩) বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলাধীন গাড়ীদহ নামক স্থানে একাডেমীর প্রধান কার্যালয় থাকিবে৷
৪৷ একাডেমীর পরিচালনা ও প্রশাসন একটি পরিচালনা বোর্ডের উপর ন্যস্ত থাকিবে এবং একাডেমী যে সকল ক্ষমতা প্রয়োগ এবং কার্য সম্পাদন করিতে পারিবে বোর্ড সেই সকল ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্য সম্পাদন করিতে পারিবে৷
৫৷ (১) বোর্ড নিম্নরূপ সদস্য-সমন্বয়ে গঠিত হইবে, যথা:-(ক) পল্লীউন্নয়ন ও সমবায় বিষয়ক মন্ত্রণালয় বা বিভাগের দায়িত্বে নিয়োজিত মন্ত্রী;(খ) পল্লীউন্নয়ন ও সমবায় বিষয়ক মন্ত্রণালয় বা বিভাগের প্রতি-মন্ত্রী, উপ-মন্ত্রী যদি থাকে;(গ) পল্লীউন্নয়ন ও সমবায় বিষয়ক মন্ত্রণালয় বা বিভাগের সচিব বা উক্ত মন্ত্রণালয় বা বিভাগের সচিবের দায়িত্ব পালনরত কোন কর্মকর্তা;(ঘ) কৃষি মন্ত্রণালয় বা বিভাগের সচিব বা তত্কর্তৃক মনোনীত অন্যুন যুগ্ম-সচিব এর পদমর্যাদা সম্পন্ন একজন কর্মকর্তা;(ঙ) অর্থ বিষয়ক মন্ত্রণালয় বা বিভাগের সচিব বা তত্কর্তৃক মনোনীত অন্যুন যুগ্ম-সচিব এর পদমর্যাদা সম্পন্ন একজন কর্মকর্তা;(চ) স্থানীয় সরকার বিষয়ক মন্ত্রণালয় বা বিভাগের সচিব বা তত্কর্তৃক মনোনীত অন্যুন যুগ্ম-সচিবের পদমর্যাদা সম্পন্ন একজন কর্মকর্তা;(ছ) সংস্থাপন বিষয়ক মন্ত্রণালয় বা বিভাগের সচিব বা তত্কর্তৃক মনোনীত অন্যুন যুগ্ম-সচিব এর পদমর্যাদা সম্পন্ন একজন কর্মকর্তা;(জ) পরিকল্পনা কমিশনের পল্লীী প্রতিষ্ঠান উইং এর দায়িত্বে নিয়োজিত সদস্য;(ঝ) রেক্টর, বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র;(ঞ) মহা পরিচালক, বাংলাদেশ পল্লীউন্নয়ন বোর্ড;(ট) মহা-পরিচালক, বাংলাদেশ পল্লীউন্নয়ন একাডেমী, কুমিল্লা;(ঠ) কমিশনার, রাজশাহী বিভাগ;(ড) নিবন্ধক, সমবায় সমিতিসমূহ;(ঢ) পরিচালক, ইনষ্টিটিউট অব বাংলাদেশ স্টাডিজ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়;(ণ) উপাচার্য, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ বা তত্কর্তৃক মনোনীত উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন অনুষদের অধ্যাপক এর পদমর্যাদা সম্পন্ন একজন সভাপতি;(ত) পরিচালক, জাতীয় স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান;(থ) সরকার কর্তৃক মনোনীত চারজন ব্যক্তি;(দ) একাডেমীর মহা-পরিচালক৷(২) পল্লীউন্নয়ন ও সমবায় বিষয়ক মন্ত্রণালয় বা বিভাগের দায়িত্বে নিয়োজিত মন্ত্রী বা কোন মন্ত্রী না থাকিলে উহার প্রতি-মন্ত্রী বা, ক্ষেত্রমত, উপ-মন্ত্রী বোর্ডের সভাপতি হইবেন৷(৩) পল্লীউন্নয়ন ও সমবায় বিষয়ক মন্ত্রণালয় বা বিভাগের প্রতি-মন্ত্রী বা উপ-মন্ত্রী, এবং প্রতি-মন্ত্রী বা উপ-মন্ত্রী কেহ না থাকিলে উক্ত মন্ত্রণালয় বা বিভাগের সচিব বা সচিব পদে নিয়োজিত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বোর্ডের সহ-সভাপতি হইবেন৷(৪) উপ-ধারা (১)(খ) এর অধীন সরকার কর্তৃক মনোনীত কোন সদস্য তাঁহার মনোনয়নের তারিখ হইতে তিন বত্সর মেয়াদে স্বীয় পদে অধিষ্ঠিত থাকিবেন:তবে শর্ত থাকে যে, সরকার যে কোন সময় তাঁহার মনোনয়ন বাতিল করিতে পারিবে৷(৫) সভাপতির উদ্দেশ্যে স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে সরকার কর্তৃক মনোনীত কোন সদস্য স্বীয় পদ ত্যাগ করিতে পারিবেন৷
৬৷ একাডেমী খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের অন্তর্ভুক্ত যে কোন এলাকা এবং সরকারের অনুমতি সাপেক্ষে, উহাদের এলাকা বহির্ভূত যে কোন এলাকাকে পল্লীউন্নয়ন গবেষণার জন্য ব্যবহার করিতে পারিবে৷
৭৷ একাডেমীর নিম্নরূপ দায়িত্ব থাকিবে, যথা :-(ক) পল্লীউন্নয়ন সম্পর্কিত যে কোন বিষয়ে গবেষণা পরিচালনা করা;(খ) পল্লীউন্নয়ন কাজে নিয়োজিত সরকারী কর্মচারী ও অন্যান্যদের প্রশিক্ষণ প্রদান;(গ) পল্লীী উন্নয়নের কৌশল ও ক্রিয়াপদ্ধতির উপর পরীক্ষা ও তথ্যানুসন্ধান করা;(ঘ) পল্লীউন্নয়ন সম্পর্কিত কর্মসূচী ও কার্যাবলীর মূল্যায়ন করা;(ঙ) সরকার ও অন্যান্য সংস্থাকে পল্লীউন্নয়ন সম্পর্কে উপদেশ ও পরামর্শ দেওয়া;(চ) পল্লীউন্নয়ন ক্ষেত্রে উচ্চতর গবেষণায় নিয়োজিত দেশী ও বিদেশী ব্যক্তিগণের কার্যাবলী পরিচালনা ও তত্ত্বাবধান করা বা কার্যাবলী সম্পাদনের ক্ষেত্রে সহযোগীতা করা;(ছ) জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সেমিনার, সম্মেলন ও কর্মশালার আয়োজন ও পরিচালনা করা;(জ) পল্লীউন্নয়ন ক্ষেত্রে নীতি নির্ধারণে সাহায্য করা;(ঝ) সরকারের অনুমোদনক্রমে বিদেশী বা আন্তর্জাতিক গবেষণা, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের সাথে পল্লীউন্নয়ন বিষয়ক যৌথ কর্মসূচী গ্রহণ করা;(ঞ) সরকারের অনুমোদনক্রমে পল্লীউন্নয়ন সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে ডিপ্লোমা সার্টিফিকেট কোর্স প্রবর্তন করা৷
৯৷ (১) বোর্ড প্রতি ছয় মাসে কমপক্ষে একবার সভায় মিলিত হইবে এবং সভার তারিখ, সময় ও স্থান সভাপতি কর্তৃক স্থিরীকৃত হইবে৷(২) এই ধারার বিধান সাপেক্ষে, বোর্ডের সভার কার্যধারা প্রবিধান দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হইবে৷(৩) বোর্ডের সভার কোরামের জন্য উহার মোট সদস্য-সংখ্যার অন্যুন এক-তৃতীয়াংশ সদস্যের উপস্থিতির প্রয়োজন হইবে, তবে মূলতবী সভার ক্ষেত্রে কোন কোরামের প্রয়োজন হইবে না৷(৪) সভাপতি বোর্ডের সকল সভায় সভাপতিত্ব করিবেন, এবং তাঁহার অনুপস্থিতিতে বোর্ডের সহ-সভাপতি সভাপতিত্ব করিবেন৷(৫) প্রত্যেক সদস্যের একটি করিয়া ভোট থাকিবে এবং ভোটের সমতার ক্ষেত্রে সভায় সভাপতিত্বকারী ব্যক্তির দ্বিতীয় বা নির্ণায়ক ভোট প্রদানের ক্ষমতা থাকিবে৷(৬) শুধুমাত্র কোন সদস্য পদে শূন্যতা বা বোর্ড গঠনে ত্রুটি থাকার কারণে একাডেমীর কোন কার্য বা কার্যধারা অবৈধ হইবে না এবং তত্সম্পর্কে কোন প্রশ্নও উত্থাপন করা যাইবেনা৷
১০৷ একাডেমীর স্বার্থে তাত্ক্ষণিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিলে সভাপতি যে কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিতে পারিবেন এবং তত্সম্পর্কে বোর্ডকে অবিলম্বে অবহিত করিবেন৷
১১৷ (১) একাডেমীর একজন মহা-পরিচালক থাকিবেন৷(২) মহা-পরিচালক বোর্ডের সচিবও হইবেন৷(৩) মহা-পরিচালক সরকার কর্তৃক নিযুক্ত হইবেন এবং তাঁহার চাকুরীর শর্তাদি সরকার কর্তৃক স্থিরীকৃত হইবে৷(৪) মহা-পরিচালকের পদ শূন্য হইলে কিংবা অনুপস্থিতি বা অসুস্থতাহেতু বা অন্য কোন কারণে মহা-পরিচালক দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হইলে শূন্যপদে নব নিযুক্ত মহা-পরিচালক কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত কিংবা মহা-পরিচালক পুনরায় স্বীয় দায়িত্ব পালনে সমর্থ না হওয়া পর্যন্ত সরকার কর্তৃক মনোনীত কোন ব্যক্তি মহা-পরিচালকরূপে দায়িত্ব পালন করিবেন৷(৫) মহা-পরিচালক একাডেমীর সার্বক্ষণিক মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা হইবেন এবং তিনি-(ক) বোর্ডের যাবতীয় সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য দায়ী থাকিবেন;(খ) বোর্ডের নির্দেশ মোতাবেক একাডেমীর অন্যান্য কার্য সম্পাদন করিবেন৷
১২৷ (১) সরকার কর্তৃক সময় সময় প্রদত্ত নির্দেশাবলী সাপেক্ষে, একাডেমী উহার দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালনের জন্য কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ করিতে পারিবে৷(২) একাডেমীর কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়োগ ও চাকুরীর শর্তাবলী প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে৷
১৪৷ (১) একাডেমীর একটি তহবিল থাকিবে এবং উহাতে-(ক) সরকারের অনুদান,(খ) স্থানীয় কর্তৃপক্ষের অনুদান,(গ) একাডেমীর সম্পত্তি বিক্রয়লব্ধ অর্থ,(ঘ) সরকারের অনুমতিক্রমে কোন বিদেশী সরকার বা প্রতিষ্ঠান হইতে গৃহীত দান, সাহায্য বা মঞ্জুরী,(ঙ) একাডেমী কর্তৃক প্রাপ্ত অন্য যে কোন অর্থ জমা হইবে৷(২) একাডেমীর তহবিল বোর্ডের অনুমোদনক্রমে যে কোন তফসিলভুক্ত ব্যাংকে জমা রাখা হইবে৷(৩) একাডেমী উহার দায়িত্ব পালনের প্রয়োজনে উহার তহবিল ব্যবহার করিতে পারিবে৷
১৫৷ একাডেমী প্রতি বত্সর সরকার কর্তৃক নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পরবর্তী অর্থ বত্সরের বার্ষিক বাজেট বিবরণী সরকারের নিকট পেশ করিবে এবং উহাতে উক্ত অর্থ বত্সরে সরকারের নিকট হইতে একাডেমীর কি পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন উহার উল্লেখ থাকিবে৷
১৬৷ (১) একাডেমী যথাযথভাবে উহার হিসাব রক্ষণ করিবে এবং হিসাবের বার্ষিক বিবরণী প্রস্তুত করিবে৷(২) বাংলাদেশের মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, অতঃপর মহা হিসাব-নিরীক্ষক বলিয়া উল্লিখিত, প্রতি বত্সরে একাডেমীর হিসাব নিরীক্ষা করিবেন এবং নিরীক্ষা রিপোর্টের একটি করিয়া অনুলিপি সরকার ও একাডেমীর নিকট পেশ করিবেন৷(৩) উপ-ধারা (২) মোতাবেক হিসাব নিরীক্ষার উদ্দেশ্যে মহা হিসাব-নিরীক্ষক কিংবা তাঁহার নিকট হইতে ক্ষমতা প্রাপ্ত কোন ব্যক্তি একাডেমীর সকল রেকর্ড, দলিল, দলিল-দস্তাবেজ, নগদ বা ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, জামানত, ভান্ডার এবং অন্যবিধ সম্পত্তি পরীক্ষা করিয়া দেখিতে পারিবেন এবং একাডেমীর মহা-পরিচালক, অতিরিক্ত মহা-পরিচালক, পরিচালক এবং একাডেমীর অন্য যে কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করিতে পারিবেন৷
১৭৷ সরকার প্রয়োজন মত একাডেমীর নিকট হইতে একাডেমীর যে কোন বিষয়ের উপর প্রতিবেদন বা বিবরণী আহ্বান করিতে পারিবে এবং একাডেমী উহা সরকারের নিকট প্রেরণ করিতে বাধ্য থাকিবে৷
১৯৷ এই আইন, কোন বিধি বা প্রবিধানের অধীন সরল বিশ্বাসে কৃত কোন কাজের ফলে কোন ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হইলে বা তাঁহার ক্ষতিগ্রস্ত হইবার সম্ভাবনা থাকিলে তজ্জন্য বোর্ড, সভাপতি, সদস্য, মহা-পরিচালক বা একাডেমীর অন্য কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারীর বিরুদ্ধে কোন দেওয়ানী বা ফৌজদারী মামলা বা অন্য কোন আইনগত কার্যক্রম গ্রহণ করা যাইবে না৷
২১৷ এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে একাডেমী সরকারের পূর্ব অনুমোদনক্রমে, এবং সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইন বা কোন বিধির সহিত অসমঞ্জস না হয় এইরূপ প্রবিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে৷
২২৷ (১) একাডেমী প্রতিষ্ঠার সংগে সংগে পল্লীউন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের ১৯শে জুন, ১৯৭৩ তারিখের স্মারক নং শাখা-১১/১এ-১/৭৩/২২৪, অতঃপর উক্ত স্মারক বলিয়া উল্লেখিত, বাতিল হইয়া যাইবে৷(২) উক্ত স্মারক বাতিল হইবার সংগে সংগে-(ক) উক্ত স্মারকের অধীন গঠিত পল্লীউন্নয়ন একাডেমী, বগুড়া, অতঃপর উক্ত প্রতিষ্ঠান বলিয়া উল্লেখিত, বিলুপ্ত হইবে,(খ) উক্ত প্রতিষ্ঠানের সকল সম্পদ, অধিকার, ক্ষমতা, কর্তৃত্ব ও সুবিধাদি এবং স্থাবর ও অস্থাবর সকল সম্পত্তি, নগদ ও ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ এবং অন্য সকল দাবী ও অধিকার একাডেমীতে হস্তান্তরিত হইবে এবং একাডেমী উহার অধিকারী হইবে,(গ) বিলুপ্ত হইবার পূর্বে উক্ত প্রতিষ্ঠানের যে সকল ঋণ, দায় এবং দায়িত্ব ছিল তাহা একাডেমীর ঋণ, দায় এবং দায়িত্ব হইবে,(ঘ) উক্ত প্রতিষ্ঠানের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী একাডেমীতে বদলী হইবেন এবং তাঁহারা একাডেমী কর্তৃক নিযুক্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারী বলিয়া গণ্য হইবেন এবং এইরূপ বদলীর পূর্বে তাঁহারা যে শর্তে চাকুরীতে নিয়োজিত ছিলেন, একাডেমী কর্তৃক পরিবর্তিত না হওয়া পর্যন্ত, সেই একই শর্তে তাঁহারা একাডেমীর চাকুরীতে নিয়োজিত থাকিবেন৷