যেহেতু বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী কল্যাণ ট্রাষ্ট নামে একটি ট্রাষ্ট স্থাপন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;সেহেতু এতদ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল :-
৩৷ (১) এই আইন বলবত্ হইবার পর, যতশীঘ্র সম্ভব, সরকার এই আইনের বিধান অনুযায়ী বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী কল্যাণ ট্রাষ্ট নামে একটি ট্রাষ্ট স্থাপন করিবে৷(২) ট্রাষ্ট একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হইবে এবং ইহার স্থায়ী ধারাবাহিকতা ও একটি সাধারণ সীলমোহর থাকিবে এবং ইহার স্থাবর ও অস্থাবর উভয় প্রকার সম্পত্তি অর্জন করার, অধিকারে রাখার ও হস্তান্তর করার ক্ষমতা থাকিবে এবং ইহার নামে ইহা মামলা দায়ের করিতে পারিবে এবং ইহার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা যাইবে৷
৫৷ ট্রাষ্টের পরিচালনা ও প্রশাসন একটি ট্রাষ্টী বোর্ডের উপর ন্যস্ত থাকিবে এবং ট্রাষ্ট যে সকল ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্য সম্পাদন করিতে পারিবে বোর্ড সেই সকল ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্য সম্পাদন করিতে পারিবে৷
৭৷ ট্রাষ্টের কার্যাবলী হইবে-5* * * বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও কর্মচারীগণ চাকুরীকালীন সময়ে কোন কারণে অক্ষম হইয়া পড়িলে তাঁহাদেরকে আর্থিক সাহায্য প্রদান;(গ) বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও কর্মচারীগণ চাকুরীকালীন সময়ে দুর্ঘটনায় তাঁহাদের মৃত্যু ঘটিলে তাঁহাদের পরিবারবর্গকে সাহায্য প্রদান;(ঘ) বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও কর্মচারীগণ চাকুরীকালীন সময়ে গুরুতর এবং দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকিলে তাঁহাদেরকে আর্থিক সাহায্য প্রদান;(ঙ) সাধারণভাবে বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও কর্মচারীগণের কল্যাণ সাধন;(চ) উপরি-উক্ত কার্যাবলী সম্পাদনের জন্য প্রয়োজনীয় যে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ৷
৮৷ (১) এই ধারার অন্যান্য বিধানাবলী সাপেক্ষে, বোর্ড উহার সভার কার্য পদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে৷(২) বোর্ডের সভা, উহার চেয়ারম্যানের সম্মতিক্রমে, উহার সচিব কর্তৃক আহূত হইবে এবং চেয়ারম্যান কর্তৃক নির্ধারিত স্থান ও সময়ে অনুষ্ঠিত হইবে৷(৩) বোর্ডের সভায় সভাপতিত্ব করিবেন উহার চেয়ারম্যান এবং তাঁহার অনুপস্থিতিতে উহার ভাইস-চেয়ারম্যান এবং তাঁহাদের উভয়ের অনুপস্থিতিতে সভায় উপস্থিত সদস্যগণ কর্তৃক তাঁহাদের মধ্য হইতে মনোনীত কোন সদস্য৷(৪) বোর্ডের সভায় কোরামের জন্য উহার মোট সদস্য-সংখ্যার অন্যুন এক-তৃতীয়াংশ 6[বা উহার নিকটবর্তী সংখ্যক] সদস্যের উপস্থিতি প্রয়োজন হইবে, তবে মূলতবী সভার ক্ষেত্রে কোন কোরামের প্রয়োজন হইবে না৷(৫) প্রত্যেক সদস্যের একটি করিয়া ভোট থাকিবে এবং ভোটের সমতার ক্ষেত্রে সভায় সভাপতিত্বকারী ব্যক্তির দ্বিতীয় বা নির্ণায়ক ভোট প্রদানের ক্ষমতা থাকিবে৷(৬) শুধুমাত্র সদস্য পদে শূন্যতা বা বোর্ড গঠনে ত্রুটি থাকার কারণে বোর্ডের কোন কার্য বা কার্যধারা অবৈধ হইবে না এবং তত্সম্পর্কে কোন প্রশ্নও উত্থাপন করা যাইবে না৷
৯৷ (১) ট্রাষ্টের একটি তহবিল থাকিবে এবং এই তহবিল হইতে ট্রাষ্ট উহার কার্যাবলী সম্পাদনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যয় নির্বাহ করিবে৷(২) এই আইনের অধীন ট্রাষ্ট গঠিত হওয়ার পর, যতশীঘ্র সম্ভব, সরকার ট্রাষ্টের কল্যাণার্থ কোন তফসিলি ব্যাংকে এককালীন এক কোটি টাকা জমা রাখিবে এবং উক্ত জমাকৃত অর্থ হইতে প্রাপ্য সুদ বা মুনাফা ট্রাষ্টের তহবিলে সরকারের অনুদান হিসাবে জমা হইবে৷(৩) ট্রাষ্টের তহবিলে-(ক) উপ-ধারা (২) এর অধীন প্রাপ্ত সুদ বা মুনাফা;(খ) সরকার কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান;(গ) বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও কর্মচারীগণ কর্তৃক প্রদত্ত চাঁদা;7* * * স্থানীয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান;(চ) ট্রাষ্ট কর্তৃক অন্য কোন উত্স হইতে প্রাপ্ত অর্থ জমা হইবে৷(৪) ট্রাষ্টের তহবিল, বোর্ডের অনুমোদনক্রমে, যে কোন 8[জাতীয়করণকৃত] ব্যাংকে জমা রাখা হইবে এবং প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে উহা পরিচালিত হইবে৷(৫) ট্রাষ্টের অর্থ প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত খাতে বিনিয়োগ করা যাইবে৷
১১৷ [ছাত্র-ছাত্রীগণ কর্তৃক চাঁদা প্রদান- বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী কল্যাণ ট্রাষ্ট (সংশোধন) আইন, ২০০২ (২০০২ সনের ২৬ নং আইন) এর ৮ ধারা বলে বিলুপ্ত৷]
১২৷ (১) ট্রাষ্ট যথাযথভাবে উহার হিসাব রক্ষণ করিবে এবং হিসাবের বার্ষিক বিবরণী প্রস্তুত করিবে৷(২) বাংলাদেশের মহা-হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, অতঃপর মহা-হিসাব নিরীক্ষক বলিয়া উল্লিখিত, প্রতি বত্সর ট্রাষ্টের হিসাব নিরীক্ষা করিবেন এবং নিরীক্ষা রিপোর্টের একটি অনুলিপি সরকার ও বোর্ডের নিকট পেশ করিবেন৷(৩) উপ-ধারা (২) মোতাবেক হিসাব নিরীক্ষার উদ্দেশ্যে মহা-হিসাব নিরীক্ষক কিংবা তাঁহার নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতা প্রাপ্ত কোন ব্যক্তি ট্রাষ্টের সকল রেকর্ড, দলিল-দস্তাবেজ, নগদ বা ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, জামানত, ভান্ডার এবং অন্যবিধ সম্পত্তি পরীক্ষা করিয়া দেখিতে পারিবেন এবং ট্রাষ্টের যে কোন সদস্য, কর্মকর্তা বা কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করিতে পারিবেন৷
১৩৷ ট্রাষ্টের কার্যাবলী সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের উদ্দেশ্যে ট্রাষ্ট প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ করিতে পারিবে এবং তাঁহাদের চাকুরীর শর্তাবলী প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে৷
১৪৷ (১) প্রতি বত্সর ৩০শে জুনের মধ্যে ট্রাষ্ট তত্কর্তৃক পূর্ববর্তী বত্সরে সম্পাদিত কার্যাবলীর খতিয়ান সম্বলিত একটি প্রতিবেদন সরকারের নিকট পেশ করিবে৷(২) সরকার প্রয়োজনমত ট্রাষ্টের নিকট হইতে যে কোন সময় উহার যে কোন বিষয়ের উপর প্রতিবেদন এবং বিবরণী তলব করিতে পারিবে এবং ট্রাষ্ট সরকারের নিকট উহা সরবরাহ করিতে বাধ্য থাকিবে৷
১৫৷ এই আইন বা কোন প্রবিধানের অধীন সরল বিশ্বাসে কৃত কোন কাজের ফলে কোন ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হইলে বা হওয়ার সম্ভাবনা থাকিলে তজ্জন্য ট্রাষ্টের কোন সদস্য, কর্মকর্তা বা কর্মচারীর বিরুদ্ধে কোন দেওয়ানী বা ফৌজদারী মামলা বা অন্য কোন আইনগত কার্যধারা দায়ের করা যাইবে না৷
১৬৷ এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, ট্রাষ্ট সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে এবং সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের সহিত অসামঞ্জস্যপূর্ণ নহে এইরূপ প্রবিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে৷
দফা (ঘ) বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী কল্যাণ ট্রাষ্ট (সংশোধন) আইন, ২০০২ (২০০২ সনের ২৬ নং আইন) এর ২ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত
2
দফা (খখ) বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী কল্যাণ ট্রাষ্ট (সংশোধন) আইন, ২০০২ (২০০২ সনের ২৬ নং আইন) এর ৩ ধারাবলে সন্নিবেশিত
3
দফা (ঘ), (ঙ), (চ), (ছ) এবং (জ) পূর্ববর্তী দফা (ঘ), (ঙ), (চ), (ছ) এবং (জ) এর পরিবর্তে বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী কল্যাণ ট্রাষ্ট (সংশোধন) আইন, ২০০২ (২০০২ সনের ২৬ নং আইন) এর ৩ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত
4
“যে কোন সময় উক্তরূপ যে কোন সদস্যের মনোনয়ন বাতিল” শব্দগুলি “উক্তরূপ যে কোন সদস্যকে যে কোন সময় তাহার পদ হইতে অপসারণ” শব্দগুলির পরিবর্তে বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী কল্যাণ ট্রাষ্ট (সংশোধন) আইন, ২০০২ (২০০২ সনের ২৬ নং আইন) এর ৩ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত
5
দফা (ক) বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী কল্যাণ ট্রাষ্ট (সংশোধন) আইন, ২০০২ (২০০২ সনের ২৬ নং আইন) এর ৩ ধারাবলে বিলুপ্ত
6
“বা উহার নিকটবর্তী সংখ্যক” শব্দগুলি বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী কল্যাণ ট্রাষ্ট (সংশোধন) আইন, ২০০২ (২০০২ সনের ২৬ নং আইন) এর ৫ ধারাবলে সন্নিবেশিত
7
দফা (ঘ) বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী কল্যাণ ট্রাষ্ট (সংশোধন) আইন, ২০০২ (২০০২ সনের ২৬ নং আইন) এর ৬ ধারাবলে বিলুপ্ত
8
“জাতীয়করণকৃত” শব্দটি “তফসিলি” শব্দটির পরিবর্তে বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী কল্যাণ ট্রাষ্ট (সংশোধন) আইন, ২০০২ (২০০২ সনের ২৬ নং আইন) এর ৬ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত
9
উপধারা (১) বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী কল্যাণ ট্রাষ্ট (সংশোধন) আইন, ২০০২ (২০০২ সনের ২৬ নং আইন) এর ৭ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত
10
“না” শব্দটি “করিতে অস্বীকৃতি প্রকাশ” শব্দগুলির পরিবর্তে বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী কল্যাণ ট্রাষ্ট (সংশোধন) আইন, ২০০২ (২০০২ সনের ২৬ নং আইন) এর ৭ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত
Click here to see the original act on the Bangladesh Legal Database.