যেহেতু সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নির্বাচন-কর্মকর্তাগণের শৃঙ্খলা ও নিয়ন্ত্রণের জন্য বিধান করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;সেহেতু এতদ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল :-
২৷ বিষয় বা প্রসংগের পরিপন্থী কোন কিছু না থাকিলে, এই আইনে-(ক) “কমিশন” অর্থ সংবিধান অনুযায়ী গঠিত নির্বাচন কমিশন;(খ) “চাকুরী বিধি” বলিতে চাকুরী সংক্রান্ত যে কোন আইন, বিধি, বিধান, প্রবিধান, চুক্তি, দলিল, নিয়োগপত্র ও শর্ত অন্তর্ভুক্ত হইবে;(গ) “নির্বাচন” অর্থ কমিশন কর্তৃক বা উহার তত্ত্বাবধানে পরিচালিত বা অনুষ্ঠিত যে কোন নির্বাচন;(ঘ) “নির্বাচন-কর্মকর্তা” অর্থ নির্বাচন সংক্রান্ত কোন দায়িত্ব বা কর্মে নিযুক্ত কোন ব্যক্তি এবং পোলিং ষ্টেশনে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার দায়িত্বে নিয়োজিত কোন ব্যক্তিও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;(ঙ) “নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ” অর্থ কোন ব্যক্তিকে চাকুরীতে নিয়োগকারী কোন ব্যক্তি বা কর্তৃপক্ষ;(চ) “রিটার্নিং অফিসার” অর্থ নির্বাচন সংক্রান্ত কোন আইনের অধীন কমিশন কর্তৃক নিযুক্ত কোন রিটার্নিং অফিসার এবং রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব পালনরত কোন নির্বাচন-কর্মকর্তাও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে৷
৪৷ (১) কোন ব্যক্তি নির্বাচন-কর্মকর্তা নিযুক্ত হইলে, তিনি, কমিশন বা ক্ষেত্রমত রিটার্নিং অফিসারের নিকট গ্রহণযোগ্য কোন কারণ ব্যতীত, তাঁহার দায়িত্ব গ্রহণে বা পালনে অপারগতা বা অস্বীকৃতি প্রকাশ করিতে পারিবেন না৷(২) কোন ব্যক্তি নির্বাচন-কর্মকর্তা নিযুক্ত হইলে তাঁহার নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ তাঁহাকে নির্বাচন-কর্মকর্তা হিসাবে কোন দায়িত্ব পালনের ব্যাপারে বাধা দিতে পারিবেন না বা বিরত রাখিতে পারিবেন না৷(৩) কোন ব্যক্তি নির্বাচন-কর্মকর্তা নিযুক্ত হইলে তিনি তাঁহার উক্তরূপ নিয়োগের তারিখ হইতে নির্বাচনী দায়িত্ব হইতে অব্যাহতি না পাওয়া পর্যন্ত তাঁহার চাকুরীর অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসাবে কমিশনের অধীনে প্রেষণে চাকুরীরত আছেন বলিয়া গণ্য হইবেন৷(৪) উক্তরূপ প্রেষণে চাকুরীরত থাকাকালে নির্বাচন-কর্মকর্তা নির্বাচন সংক্রান্ত দায়িত্ব পালনের ব্যাপারে কমিশন এবং ক্ষেত্রমত রিটার্নিং অফিসারের নিয়ন্ত্রণে থাকিবেন এবং তিনি তাঁহাদের যাবতীয় আইনানুগ আদেশ বা নির্দেশ পালনে বাধ্য থাকিবেন৷(৫) উক্তরূপ প্রেষণে চাকুরীরত থাকাকালে নির্বাচন-কর্মকর্তার নিকট নির্বাচন সংক্রান্ত দায়িত্ব প্রাধান্য পাইবে এবং এই দায়িত্বের সহিত সাংঘর্ষিক বা অসামঞ্জস্যপূর্ণ না হইলে তিনি তাহার অন্যান্য দায়িত্ব পালন করিতে পারিবেন৷
৫৷ (১) কোন নির্বাচন-কর্মকর্তা নির্বাচন সংক্রান্ত কোন ব্যাপারে প্রদত্ত কমিশন বা ক্ষেত্রমত রিটার্নিং অফিসারের কোন আদেশ বা নির্দেশ পালনে ইচ্ছাকৃতভাবে ব্যর্থ হইলে বা অস্বীকৃতি প্রকাশ করিলে বা নির্বাচন সংক্রান্ত কোন আইনের বিধান ইচ্ছাকৃতভাবে লঙ্ঘন করিলে বা উহার অধীন কোন অপরাধ করিলে তিনি অসদাচরণ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন এবং উক্তরূপ অসদাচরণ তাহার চাকুরী বিধি অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলিয়া বিবেচিত হইবে৷(২) কোন নির্বাচন-কর্মকর্তা উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত অসদাচরণ করিলে তাহার নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ তাহাকে চাকুরী হইতে অপসারণ বা বরখাস্ত করিতে পারিবে বা বাধ্যতামূলক অবসর দিতে পারিবে বা তাহার পদাবনতি করিতে পারিবে বা তাহার পদোন্নতি বা বেতন বৃদ্ধি অনধিক দুই বত্সরের জন্য স্থগিত রাখিতে পারিবে :তবে শর্ত থাকে যে, উক্তরূপ কোন শাস্তি উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত ব্যর্থতা, অস্বীকৃতি, লঙ্ঘন বা অপরাধের জন্য অন্য কোন আইনে নির্ধারিত কোন দণ্ড প্রদান বা উহার জন্য কোন আইনগত কার্যধারা গ্রহণ ব্যাহত বা বারিত করিবে না৷(৩) কোন নির্বাচন-কর্মকর্তা উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত অসদাচরণ করিলে কমিশন বা ক্ষেত্রমত কমিশনের সম্মতিক্রমে রিটার্নিং অফিসার তাহাকে, তাহার বিরুদ্ধে তজ্জন্য তাহার চাকুরীবিধি অনুযায়ী শৃঙ্খলামূলক কার্যধারা গ্রহণ সাপেক্ষে, অনধিক দুই মাসের জন্য সাময়িকভাবে চাকুরী হইতে বরখাস্তের আদেশ দিতে পারিবেন এবং উক্তরূপ বরখাস্তের আদেশ তাহার নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক তাহার চাকুরী বিধি অনুযায়ী প্রদত্ত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে এবং তদনুযায়ী ইহা কার্যকর হইবে৷(৪) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত অসদাচরণের জন্য কোন নির্বাচন-কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শৃঙ্খলামূলক কার্যধারা গ্রহণের জন্য কোন নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষকে কমিশন বা ক্ষেত্রমত রিটার্নিং অফিসার অনুরোধ করিলে উক্ত কর্তৃপক্ষ উক্তরূপ অনুরোধ প্রাপ্তির এক মাসের মধ্যে উক্তরূপ কার্যধারা গ্রহণ করিবে এবং তত্সম্পর্কে কমিশনকে অবহিত করিবে৷
৬৷ (১) কোন ব্যক্তি ধারা ৪(১) বা ৪(২) এর বিধান লঙ্ঘন করিলে তিনি অনধিক এক বত্সর কারাদণ্ডে, বা অনধিক পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয়বিধ দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷(২) কোন ব্যক্তি ধারা ৫(৩) এর অধীন প্রদত্ত কোন আদেশ পালন বা কার্যকর না করিলে বা ধারা ৫(৪) এর বিধান লঙ্ঘন করিলে তিনি অনধিক ছয় মাস কারাদণ্ডে, বা অনধিক দুই হাজার টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয়বিধ দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷
৭৷ কমিশন বা উহার নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে সাধারণ বা বিশেষভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তির লিখিত অভিযোগ ছাড়া কোন আদালত এই আইনের অধীন কোন অপরাধ বিচারের জন্য গ্রহণ করিতে পারিবেন না৷