২৷ বিষয় বা প্রসংগের পরিপন্থী কোন কিছু না থাকিলে, এই আইনে,-(ক) “আনসার বাহিনী” অর্থ আনসার বাহিনী আইন, ১৯৯৫ (১৯৯৫ সনের ৩ নং আইন) এর অধীন গঠিত আনসার বাহিনী;(খ) “প্রবিধান” অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত প্রবিধান;(গ) “বিধি” অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি;(ঘ) “মহাপরিচালক” অর্থ আনসার বাহিনীর মহাপরিচালক;(ঙ) “সংগঠন” অর্থ এই আইনের অধীন গঠিত আনসার ব্যাটালিয়ন৷
৩৷ (১) এই আইনের বিধান অনুযায়ী ব্যাটালিয়ন আনসার গঠন করা হইবে৷(২) ব্যাটালিয়ন আনসার গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৫২ এ প্রদত্ত “শৃংখলা বাহিনী” এর সংজ্ঞার অর্থে একটি “শৃংখলা বাহিনী” হইবে৷
৪৷ ব্যাটালিয়ন আনসার সরকারের সার্বিক তত্ত্বাবধানে থাকিবে এবং এই আইন ও বিধি এবং উহাদের সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে সরকার কর্তৃক সময় সময় প্রদত্ত আদেশ ও নির্দেশ অনুযায়ী আনসার বাহিনীর মহাপরিচালকের পরিচালনাধীন থাকিবে৷
2[ ৬ক৷ ব্যাটালিয়ন আনসার বাহিনীতে ধারা ৬ এর অধীন অংগীভূত আনসার সদস্যদের মধ্যে 3[ যাহাদের চাকুরীর মেয়াদ 4[ ৬ (ছয়)] বৎসর] বা তদূর্ধ্ব, তাহাদেরকে বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে স্বপদে স্থায়ীভাবে নিয়োগ করা যাইবে এবং তাহাদের বেতন, ভাতা ও চাকুরীর অন্যান্য শর্তাবলী বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে৷]
৭৷ (১) ব্যাটালিয়ন আনসারের নিম্নবর্ণিত সকল বা যে কোন পদ থাকিবে, যথা :-(ক) ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক;(খ) ব্যাটালিয়ন উপ-অধিনায়ক;(গ) কোম্পানী অধিনায়ক;(ঘ) ব্যাটালিয়ন কোয়ার্টার মাষ্টার;(ঙ) কোম্পানী উপ-অধিনায়ক;(চ) প্লাটুন কমান্ডার;(ছ) সহকারী প্লাটুন কমান্ডার;(জ) হাবিলদার;(ঝ) নায়েক;(ঞ) ল্যান্স নায়েক;(ট) ব্যাটালিয়ন আনসার৷(২) ব্যাটালিয়ন আনসারের এক বা একাধিক ব্যাটালিয়ন থাকিবে এবং উহাদের গঠন, পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে৷
৮৷ (১) ব্যাটালিয়ন আনসারের দায়িত্ব হইবে-(ক) জননিরাপত্তামূলক কোন কাজে সরকার বা সরকারের অধীন কোন কর্তৃপক্ষকে সহায়তা প্রদান করা;(খ) দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকার কর্তৃক নির্দেশিত যে কোন জনকল্যাণমূলক কাজে অংশ গ্রহণ করা;(গ) দেশের যে কোন দুর্যোগ মোকাবেলায় সরকার কর্তৃক নির্দেশিত কাজে অংশগ্রহণ করা; এবং(ঘ) প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত অন্যান্য কাজ করা৷(২) বিশেষ করিয়া এবং উপরোক্ত বিধানের সামগ্রিকতাকে ক্ষুণ্ন না করিয়া ব্যাটালিয়ন আনসার সরকারের নির্দেশে িনুবর্ণিত বাহিনীসমূহকে সহায়তা ও সাহায্য প্রদান করিবে, যথা:-(ক) স্থল বাহিনী;(খ) নৌ-বাহিনী;(গ) বিমান বাহিনী;(ঘ) বাংলাদেশ রাইফেলস্;(ঙ) পুলিশ বাহিনী৷
৯৷ সরকার কর্তৃক প্রণীত নীতিমালা এবং তত্কর্তৃক সময় সময় প্রদত্ত নির্দেশ ও আরোপিত শর্ত সাপেক্ষে ব্যাটালিয়ন আনসারের সদস্যগণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ বহন এবং ব্যবহার করিতে পারিবে৷
১১৷ (১) ধারা ৭ এর উপ-ধারা (১) এ উল্লেখিত পদধারী কোন ব্যক্তি যদি-(ক) সংগঠনের প্রতি আনুগত্যহীন হন বা সংগঠনের প্রতি আনুগত্যহীন হওয়ার কোন চক্রান্তে অংশগ্রহণ করেন বা অংশগ্রহণের প্ররোচনা দেন;(খ) সংগঠনের প্রতি উহার কোন সদস্যের আনুগত্যহীনতার কথা জানিতে পারিয়াও উহা দমনে তাহার পক্ষে সম্ভব সকল ব্যবস্থা গ্রহণ না করেন;তাহা হইলে তিনি অনূর্ধ ছয় মাসের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন৷(২) ধারা ৭ এর উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত পদধারী কোন ব্যক্তি যদি-(ক) তাহার কোন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার অবাধ্য হন বা তাহার প্রতি ঔদ্ধত্য প্রকাশ করেন;(খ) তাহার কোন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা কর্তৃক আদিষ্ট হওয়া সত্ত্বেও ইচ্ছাকৃতভাবে কোন কাজ করিতে অস্বীকার করেন বা গাফিলতি করেন;(গ) তাহার িনুপদস্থ কোন সদস্যকে সংগঠনের শৃংখলা ক্ষুণ্নকারী কোন আচরণে প্রশ্রয় দেন;(ঘ) ইচ্ছাকৃতভাবে বা অবহেলাবশতঃ তাহার দায়িত্বে রক্ষিত পোশাক, সাজসরঞ্জাম, যন্ত্রপাতি বা অন্য কোন জিনিসপত্রের ক্ষতি সাধন করেন বা হারাইয়া ফেলেন বা অন্যায়ভাবে হস্তক্ষেপ করেন;(ঙ) সংগঠনের জন্য অনুপযুক্ত করার উদ্দেশ্যে ইচ্ছাকৃতভাবে নিজেকে বা সংগঠনের অন্য কোন সদস্যকে আহত করেন;(চ) সংগঠন হইতে পালাইয়া যান বা পালাইয়া যাইতে চেষ্টা করেন;(ছ) উদ্দেশ্যমূলকভাবে মিথ্যা বিপদের আশংকা প্রচার করেন;তাহা হইলে, তিনি অনূর্ধ ৩ মাস কারাদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন৷(৩) এই ধারার অধীন দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে দণ্ড ভোগ করার জন্য কোন কারাগারে প্রেরণ করা হইবে এবং প্রেরণের সময় দণ্ড প্রদানকারী আদালতের সভাপতি কর্তৃক স্বাক্ষরিত এই আইনের সহিত সংযোজিত তফসিলে দেওয়া ওয়ারেন্টও প্রেরণ করিতে হইবে৷(৪) এই ধারার অধীন কোন ব্যক্তি দণ্ডপ্রাপ্ত হইলে দণ্ড প্রদানের তারিখ হইতে তিনি সংগঠন হইতে অপসারিত হইয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন৷(৫) এই ধারায় যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই ধারার অধীন কৃত অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তি যদি সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৫২ এ প্রদত্ত “শৃংখলা বাহিনী” এর অর্থে অন্য কোন শৃংখলা বাহিনীর সদস্য হিসাবে প্রেষণে সংগঠনে নিয়োজিত থাকেন, তাহা হইলে তিনি তাহার নিজস্ব বাহিনীর আইনের ব্যবস্থা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য হইবেন৷
১২৷ (১) অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন-(ক) ধারা ১১(১) এর অধীন কোন অপরাধের বিচার কেবলমাত্র এই আইনের অধীন গঠিত কোন বিশেষ আদালতে অনুষ্ঠিত হইবে;(খ) ধারা ১১(২) এর অধীন কোন অপরাধের বিচার এই আইনের অধীন গঠিত কোন বিশেষ আদালতে বা সংক্ষিপ্ত আদালতে অনুষ্ঠিত হইবে৷(২) অভিযুক্ত ব্যক্তির অন্যুন এক ধাপ ঊর্ধ্বতন পদধারী কোন ব্যক্তির অভিযোগ ব্যতীত কোন বিশেষ আদালত বা সংক্ষিপ্ত আদালত এই আইনের অধীন কোন অপরাধ বিচারার্থে গ্রহণ করিবে না৷
১৩৷ (১) মহাপরিচালক, প্রয়োজনে, বাংলাদেশের যে কোন স্থানে বিশেষ বা সংক্ষিপ্ত আদালত গঠন করিতে পারিবেন৷(২) বিশেষ আদালত একজন সভাপতি, যিনি আনসার অধিদপ্তরের একজন পরিচালক হইবেন, এবং অন্যুন দুইজন সদস্য, যাহারা একই অধিদপ্তরের অন্য কর্মকর্তা হইবেন, সমন্বয়ে গঠিত হইবে৷(৩) সংক্ষিপ্ত আদালত একজন সভাপতি, যিনি আনসার অধিদপ্তরের একজন উপ-পরিচালক হইবেন, এবং অন্যুন দুইজন সদস্য, যাহারা একই অধিদপ্তরের অন্য কর্মকর্তা হইবেন, সমন্বয়ে গঠিত হইবে৷
১৫৷ (১) এই আইনে বা অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, ধারা ৭ এর উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত কোন পদধারী ব্যক্তি যদি-(অ) তাহার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে অনীহা প্রকাশ করেন বা অবহেলা করেন;(আ) শৃংখলা ভংগের কোন কাজ করেন বা অসদাচরণ করেন; বা(ই) দূর্নীতিপরায়ণ হন;তাহা হইলে তাহাকে িনুবর্ণিত এক বা একাধিক শাস্তি প্রদান করা যাইবে:(ক) বরখাস্ত;(খ) অপসারণ;(গ) পদাবনতি;(ঘ) অনূর্ধ দুই বত্সরের জন্য পদোন্নতি বন্ধ;(ঙ) অনূর্ধ এক বত্সরের জন্য জ্যেষ্ঠতা বাজেয়াপ্ত;(চ) অনূর্ধ একুশ দিনের বেতন বা ভাতা বাজেয়াপ্ত;(ছ) অনূর্ধ পনের দিনের বেতনের সমপরিমাণ অর্থ জরিমানা;(জ) অনূর্ধ একুশ দিনের জন্য কোয়ার্টার গার্ডে প্রেরণ;(ঝ) অনূর্ধ তিন দিনের জন্য অতিরিক্ত শ্রম;(ঞ) কঠোর তিরস্কার;(ট) তিরস্কার৷(২) উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, মহাপরিচালক অথবা মহাপরিচালক কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (কিন্তু ব্যাটালিয়ন অধিনায়কের নীচে নহে) তাহার অধীনস্থ যে কোন ব্যাটালিয়ন আনসার সদস্যকে উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত যে কোন এক বা একাধিক শাস্তি প্রদান করিতে পারিবেন৷(৩) আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়া কোন ব্যাটালিয়ন আনসার সদস্যকে এই ধারার অধীনে কোন শাস্তি প্রদান করা যাইবে না৷
১৬৷ ধারা ১৫ এর অধীন কোন ব্যাটালিয়ন আনসার সদস্যের উপর প্রদত্ত কোন শাস্তির আদেশের বিরুদ্ধে, আদেশ প্রদানের তারিখ হইতে ত্রিশ দিনের মধ্যে, মহাপরিচালকের নিকট আপীল করা যাইবে এবং এই আপীলের সিদ্ধান্ত সাপেক্ষে শাস্তির আদেশ চূড়ান্ত হইবে৷
১৭৷ কোন ব্যাটালিয়ন আনসার সদস্য ব্যাটালিয়ন হইতে পলাতক হইলে তাহাকে গ্রেপ্তার করিয়া ব্যাটালিয়নে সোপর্দ করার জন্য ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পলাতক আনসারের স্থায়ী অথবা বর্তমান বাসস্থান যে থানায় অবস্থিত সেই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে লিখিতভাবে অনুরোধ করিবেন এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উক্ত অনুরোধকে কোন ম্যাজিষ্ট্রেট কর্তৃক জারীকৃত ওয়ারেন্ট গণ্য করিয়া পলাতক ব্যাটালিয়ন আনসারকে ব্যাটালিয়নে সোপর্দ করিবেন৷
২০৷ এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, মহাপরিচালক, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে এবং সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইন বা কোন বিধির সহিত অসামঞ্জস্য না হয় এইরূপ প্রবিধান প্রণয়ন করিতে পারিবেন৷
২১৷ (১) ব্যাটালিয়ন আনসার গঠন সম্পর্কিত বিদ্যমান সরকারের যাবতীয় আদেশ, অতঃপর উক্ত আদেশ বলিয়া উল্লেখিত, এতদ্বারা বাতিল করা হইল৷(২) উক্ত আদেশ দ্বারা গঠিত ব্যাটালিয়ন আনসারের সকল স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি, তহবিল, দায় এবং দলিল-দস্তাবেজ এই আইন এর অধীন গঠিত ব্যাটালিয়ন আনসারের সম্পত্তি, তহবিল, দায় এবং দলিল-দস্তাবেজ হইবে৷(৩) এই আইন প্রবর্তনের অব্যবহিত পূর্বে উক্ত আদেশ এর অধীন ব্যাটালিয়ন আনসার হিসাবে অংগীভূত সকল ব্যাটালিয়ন আনসার এই আইনের অধীন অংগীভূত ব্যাটালিয়ন আনসার বলিয়া গণ্য হইবেন৷(৪) উক্ত আদেশের অধীন প্রণীত সকল ব্যবস্থা এই আইনের বিধানাবলীর সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে, রহিত বা সংশোধিত না হওয়া পর্যন্ত, বলবত্ থাকিবে৷(৫) এই আইন প্রবর্তনের অব্যবহিত পূর্বে মহাপরিচালক কর্তৃক ব্যাটালিয়ন আনসার সম্পর্কে প্রদত্ত সকল আদেশ বা নির্দেশ, এই আইনের বিধানাবলীর সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে, রহিত বা সংশোধন না হওয়া পর্যন্ত, বলবত্ থাকিবে৷
“(১)” বন্ধনীগুলি এবং সংখ্যাটি ব্যাটালিয়ন আনসার (সংশোধন) আইন, ২০০৫ (২০০৫ সনের ১০ নং আইন) এর ২ ধারাবলে বিলুপ্ত
2
ধারা ৬ক ব্যাটালিয়ন আনসার (সংশোধন) আইন, ২০০০ (২০০০ সনের ৩২ নং আইন) এর ২ ধারাবলে সন্নিবেশিত
3
“যাহাদের চাকুরীর মেয়াদ ৯ (নয়) বৎসর” শব্দগুলি, সংখ্যা ও বন্ধনী “যাহাদের চাকুরীর মেয়াদ ১২ (বার) বৎসর” শব্দগুলি, সংখ্যা ও বন্ধনীর পরিবর্তে ব্যাটালিয়ন আনসার (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৪৬ নং আইন) এর ২ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
4
“৬ (ছয়)” সংখ্যা, শব্দ ও বন্ধনী “৯ (নয়)” সংখ্যা, শব্দ ও বন্ধনীর পরিবর্তে ব্যাটালিয়ন আনসার (সংশোধন) আইন, ২০১৭ (২০১৭ সনের ০৭ নং আইন) এর ২ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
Click here to see the original act on the Bangladesh Legal Database.