২৷ বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থী কোন কিছু না থাকিলে, এই আইনে,-(ক) “ইমারত” অর্থে কোন দোকান, বাড়ী-ঘর, কুঁড়ে ঘর, বহির্বাটি, আস্তাবল, অথবা ঘেরা বা আচ্ছাদন-সংযুক্ত যে কোন স্থানকেও বুঝাইবে;(খ) “ওয়ার্ড” অর্থ ধারা ২০ এবং ২৩ এর অধীনে বিভক্ত ওয়ার্ড;(গ) “কর্পোরেশন” অর্থ বরিশাল সিটি কর্পোরেশন;(ঘ) “কমিশনার” অর্থ কর্পোরেশনের কমিশনার;(ঙ) “জনপথ” অর্থে সর্বসাধারণের ব্যবহার্য পথ, রাস্তা ও সড়ককেও বুঝাইবে;(চ) “তফসিল” অর্থ এই আইনের সহিত সংযুক্ত কোন তফসিল;(ছ) “নির্ধারিত” অর্থ এই আইনের বিধি দ্বারা নির্ধারিত;(জ) “নির্বাচন আপীল ট্রাইব্যুনাল” অর্থ ধারা ৩১ এর অধীনে গঠিত নির্বাচন আপীল ট্রাইব্যুনাল;(ঝ) “নির্বাচন কমিশন” অর্থ সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদের অধীনে প্রতিষ্ঠিত নির্বাচন কমিশন;(ঞ) “নির্বাচন ট্রাইব্যুনাল” অর্থ ধারা ৩১ এর অধীন গঠিত নির্বাচন ট্রাইব্যুনাল;(ট) “প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা” অর্থ কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা;(ঠ) “প্রবিধান” অর্থ এই আইনের অধীনে প্রণীত প্রবিধান;[1]* * * “বিধি” অর্থ এই আইনের অধীনে প্রণীত বিধি;(ণ) “মেয়র” অর্থ কর্পোরেশনের মেয়র;(ত) “সংরক্ষিত আসন” অর্থ এই আইনের ধারা ৪ এর উপ-ধারা (৩) এ উল্লিখিত সংরক্ষিত আসন;(থ) “সাধারণ আসন” অর্থ সংরক্ষিত আসন ব্যতীত ধারা ৪ এর উপ-ধারা (১) এর দফা [2][(গ)] এ উল্লিখিত আসন;(দ) “বরিশাল মহানগর” বা “মহানগর” অর্থ প্রথম তফসিলে বর্ণিত এলাকা;(ধ) “স্থানীয় কর্তৃপক্ষ” অর্থে জেলা পরিষদ, পৌরসভা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদকেও বুঝাইবে৷
৩৷ (১) এই আইন বলবত্ হইবার পর এই আইনের বিধান মোতাবেক বরিশাল মহানগরে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নামে একটি সিটি কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠিত হইবে৷(২) বরিশাল সিটি কর্পোরেশন এলাকা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৫৯ এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে একটি স্থানীয় প্রশাসনিক ইউনিট হইবে৷(৩) কর্পোরেশন একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হইবে এবং ইহার স্থায়ী ধারাবাহিকতা ও একটি সাধারণ সীলমোহর থাকিবে, এবং এই আইন ও বিধি সাপেক্ষে, ইহার স্থাবর ও অস্থাবর উভয় প্রকার সম্পত্তি অর্জন করিবার, অধিকারে রাখিবার ও হস্তান্তর করিবার ক্ষমতা থাকিবে এবং ইহার নামে ইহা মামলা দায়ের করিতে পারিবে বা ইহার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা যাইবে৷
৪৷ (১) কর্পোরেশন নিনিম্নলিখিত ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে গঠিত হইবে, যথা:-(ক) মেয়র;3* * * সরকার কর্তৃক সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা নির্ধারিত সংখ্যক কমিশনার; এবং(ঘ) উপ-ধারা (৩) অনুযায়ী কেবল মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত নির্ধারিত সংখ্যক কমিশনার৷(২) মেয়র 4[* * *] এবং কমিশনারগণ প্রত্যক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে এই আইন ও বিধি অনুযায়ী প্রাপ্ত বয়স্ক ভোটাধিকারের ভিত্তিতে নির্বাচিত হইবেন৷(৩) উপ-ধারা (১) এর দফা 5[(গ)] এর অধীন নির্ধারিত সংখ্যক কমিশনারের এক-তৃতীয়াংশের সমসংখ্যক আসন, অতঃপর সংরক্ষিত আসন বলিয়া উল্লিখিত, মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত থাকিবে:তবে শর্ত থাকে যে, এই উপ-ধারার কোন কিছুই এই ধারার অধীন কোন আসনে কোন মহিলার নির্বাচন নিবৃত্ত করিবে না৷ব্যাখ্যা৷- এই উপ-ধারার অধীন সংরক্ষিত আসনের সংখ্যা নির্ধারণের ক্ষেত্রে, যদি উক্ত সংখ্যার ভগ্নাংশ থাকে এবং উক্ত ভগ্নাংশ অর্ধেক বা তদূর্ধ হয়, তবে উহাকে পূর্ণ সংখ্যা বলিয়া গণ্য করিতে হইবে এবং যদি উক্ত ভগ্নাংশ অর্ধেক এর কম হয়, তবে উহাকে উপেক্ষা করিতে হইবে৷(৪) মেয়র 6[* * *] কর্পোরেশনের কমিশনার বলিয়া গণ্য হইবেন৷
৫৷ (১) কর্পোরেশনের মেয়াদ উহা গঠিত হইবার পর উহার প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হইবার তারিখ হইতে পাঁচ বত্সর হইবে:তবে শর্ত থাকে যে, কর্পোরেশনের মেয়াদ শেষ হওয়া সত্ত্বেও, উহা পুনর্গঠিত কর্পোরেশনের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করিয়া যাইবে৷(২) এই আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কর্পোরেশনের সাধারণ আসনের শতকরা পঁচাত্তর ভাগের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইলে এবং নির্বাচিত কমিশনারগণের নাম সরকারী গেজেটে প্রকাশিত হইলে কর্পোরেশন, এই আইনের অন্যান্য বিধান সাপেক্ষে, যথাযথভাবে গঠিত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে৷ব্যাখ্যা৷-এই উপ-ধারার অধীন শতকরা পঁচাত্তর ভাগ গণনায় ভগ্নাংশের ক্ষেত্রে, শতকরা দশমিক পাঁচ শূন্যের কম ভগ্নাংশ হিসাবে নেওয়া হইবে না এবং শতকরা দশমিক পাঁচ শূন্য বা উহার বেশী ভগ্নাংশকে একক সংখ্যা ধরা হইবে৷(৩) মেয়র 7[* * *] ও অন্যান্য কমিশনারগণের শপথ গ্রহণের ত্রিশ দিনের মধ্যে, অথবা কর্পোরেশন পুনর্গঠনের ক্ষেত্রে বিদ্যমান কর্পোরেশনের মেয়াদ উত্তীর্ণের ত্রিশ দিনের মধ্যে যাহা পরে হয়, কর্পোরেশন উহার প্রথম সভা অনুষ্ঠান করিবে৷
৬৷ মেয়র 9[* * *] বা কোন কমিশনার পদে নির্বাচিত ব্যক্তি তাঁহার কার্যভার গ্রহণের পূর্বে নির্ধারিত পদ্ধতি ও সময়ের মধ্যে নিনিম্নলিখিত ফরমে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ব্যক্তির সম্মুখে শপথ গ্রহণ বা ঘোষণা করিবেন এবং শপথপত্র বা ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর দান করিবেন, যথা:-“ 10[আমি, … ,] বরিশাল সিটি কর্পোরেশনে মেয়র/ 11[* * *] কমিশনার নির্বাচিত হইয়া সশ্রদ্ধচিত্তে শপথ 12[* * *] করিতেছি যে, আমি আইন অনুযায়ী ও বিশ্বস্ততার সহিত আমার পদের কর্তব্য পালন করিব এবং আমি বাংলাদেশের প্রতি অকৃত্রিম বিশ্বাস ও আনুগত্য পোষণ করিব৷”
৭৷ মেয়র 13[* * *] এবং প্রত্যেক কমিশনার তাঁহার দায়িত্বভার গ্রহণের পূর্বে তাঁহার এবং তাঁহার পরিবারের কোন সদস্যের স্বত্ব, দখল বা স্বার্থ আছে এই প্রকার যাবতীয় স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির একটি লিখিত বিবরণ সরকার কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতিতে ও নির্ধারিত কর্তৃপক্ষের নিকট দাখিল করিবেন৷ব্যাখ্যা৷-এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে পরিবারের সদস্য বলিতে মেয়র 14[* * *] বা সংশ্লিষ্ট কমিশনারের স্বামী বা স্ত্রী, এবং তাঁহার সঙ্গে বসবাসকারী ও তাঁহার উপর সম্পূর্ণভাবে নির্ভরশীল তাঁহার ছেলেমেয়ে, পিতা-মাতা ও ভাইবোনকে বুঝাইবে৷
৮৷ (১) কোন ব্যক্তি বাংলাদেশের নাগরিক হইলে ও তাঁহার বয়স পঁচিশ বত্সর হইলে এবং তাঁহার নাম কর্পোরেশনের কোন ওয়ার্ডের ভোটার তালিকায় লিপিবদ্ধ থাকিলে উপ-ধারা (২) এর বিধান সাপেক্ষে মেয়র 16[* * *] বা কমিশনার নির্বাচিত হইবার এবং উক্তরূপ মেয়র 17[* * *] বা কমিশনার থাকিবার যোগ্য হইবেন৷(২) কোন ব্যক্তি মেয়র 18[* * *] বা কমিশনার নির্বাচিত হইবার এবং উক্তরূপ মেয়র 19[* * *] বা কমিশনার থাকিবার যোগ্য হইবেন না, যদি-(ক) তিনি বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পরিত্যাগ করেন বা হারান;(খ) তাঁহাকে কোন আদালত অপ্রকৃতিস্থ বলিয়া ঘোষণা করেন;(গ) তিনি দেউলিয়া ঘোষিত হইবার পর দায় হইতে অব্যাহতি লাভ না করিয়া থাকেন;(ঘ) তিনি দুর্নীতি বা নৈতিক স্খলনজনিত কোন ফৌজদারী অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হইয়া অন্যুন দুই বত্সর কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন এবং তাহার মুক্তিলাভের পর পাঁচ বত্সর অতিবাহিত না হইয়া থাকে; অথবা(ঙ) তিনি প্রজাতন্ত্রের বা কর্পোরেশনের অথবা অন্য কোন স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কর্মে লাভজনক সার্বক্ষণিক কোন পদে অধিষ্ঠিত থাকেন; অথবা(চ) তিনি কর্পোরেশনের কোন কাজ সম্পাদনের বা মালামাল সরবরাহের জন্য ঠিকাদার হন, অথবা কর্পোরেশনের কোন বিষয়ে তাঁহার কোনরূপ আর্থিক স্বার্থ থাকে অথবা, তিনি কর্পোরেশন এলাকায় সরকার কর্তৃক নিযুক্ত কোন অত্যাবশ্যকীয় দ্রব্যের দোকানদার হন; অথবা(ছ) তাহার নিকট এই আইনের অধীনে আরোপিত কর, রেট, সেস, টোল অথবা ফি কিংবা কোন ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান হইতে গৃহীত কোন ঋণ মেয়াদ উত্তীর্ণ অবস্থায় অনাদায়ী থাকে৷ব্যাখ্যা৷- এই উপ-ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে-(অ) “ব্যাংক” অর্থ ব্যাংক কোম্পানী আইন, ১৯৯১ (১৯৯১ সনের ১৪ নং আইন) এর ধারা ৫(ণ) তে সংজ্ঞায়িত ব্যাংক কোম্পানী;(আ) “আর্থিক প্রতিষ্ঠান” অর্থ আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন, ১৯৯৩ (১৯৯৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ধারা ২(খ) তে সংজ্ঞায়িত আর্থিক প্রতিষ্ঠান;20[* * *] অথবা(ঝ) তিনি প্রজাতন্ত্রের বা কোন স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কোন পদ হইতে নৈতিক স্খলনজনিত অসদাচরণের দায়ে বরখাস্ত হন এবং তাঁহার বরখাস্তের তারিখ হইতে যদি পাঁচ বত্সর অতিক্রান্ত না হইয়া থাকে৷
৯৷ (১) কোন ব্যক্তি একই সঙ্গে মেয়র 21[* * *] এবং কমিশনার পদের কিংবা একের অধিক কমিশনার পদের জন্য নির্বাচন প্রার্থী হইতে পারিবেন না এবং যদি কোন ব্যক্তি এইরূপ পদের জন্য নির্বাচন প্রার্থী হন, তাহা হইলে তাহার উভয় মনোনয়ন পত্র বাতিল হইয়া যাইবে৷(২) উপ-ধারা (১) এর বিধান সত্ত্বেও কর্পোরেশনের চলতি মেয়াদ অব্যাহত থাকার সময়ে মেয়র 22[* * *] এর পদ শূন্য হইলে কোন কমিশনার মেয়র23[* * *] নির্বাচনের জন্য প্রার্থী হইতে পারিবেন এবং তিনি মেয়র 24[* * *] নির্বাচিত হইলে মেয়র 25[* * *] হিসাবে তিনি যে তারিখ শপথ গ্রহণ করিবেন সেই তারিখে তাঁহার কমিশনারের পদ শূন্য হইয়া যাইবে৷
১০৷ (১) সরকারের উদ্দেশ্যে স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে মেয়র 27[* * *] স্বীয় পদ ত্যাগ করিতে পারিবেন৷(২) কোন কমিশনার মেয়রের উদ্দেশ্যে স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে স্বীয় পদ ত্যাগ করিতে পারিবেন৷(৩) প্রাপক যেই তারিখে পদত্যাগ পত্র পাইবেন সেই তারিখ হইতে পদ ত্যাগ কার্যকর হইবে৷
১১৷ (১) মেয়র 29[* * *] বা কোন কমিশনার তাঁহার স্বীয় পদ হইতে অপসারণযোগ্য হইবেন, যদি তিনি-(ক) যুক্তিসঙ্গত কারণ ব্যতিরেকে কর্পোরেশনের পর পর তিনটি সভায় অনুপস্থিত থাকেন; অথবা(খ) কর্পোরেশন বা রাষ্ট্রের স্বার্থ হানিকর কোন কাজে জড়িত থাকেন; অথবা(গ) অসদাচরণ বা নৈতিক স্খলনজনিত কোন ফৌজদারী অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হইয়া আদালত কর্তৃক দণ্ডপ্রাপ্ত হন; অথবা(ঘ) তাঁহার দায়িত্ব পালন করিতে অস্বীকার করেন; অথবা(ঙ) শারীরিক বা মানসিক অসামর্থের কারণে তাঁহার দায়িত্ব পালনে অক্ষম হন;(চ) অসদাচরণ অথবা কর্পোরেশনের কোন অর্থ বা সম্পত্তির কোন ক্ষতিসাধন বা উহা আত্মসাতের বা অপপ্রয়োগের জন্য দায়ী হন৷ব্যাখ্যা৷- (ক) এই উপ-ধারায়, “অসদাচরণ” বলিতে ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি এবং ইচ্ছাকৃত কু-শাসন বুঝাইবে৷(২) সরকার, সরকারী গেজেটে আদেশ দ্বারা, উপ-ধারা (১) এ বর্ণিত কারণে মেয়র 30[* * *] বা কোন কমিশনারকে অপসারণ করিতে পারিবেন৷(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন অপসারণের ক্ষেত্রে কারণ দর্শাইবার জন্য সুযোগ দান না করিয়া প্রয়োজনানুরূপ তদন্ত ব্যতিরেকে উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত কোন কারণে অপসারণ করা যাইবে না:তবে শর্ত থাকে যে, উপ-ধারা (১) এর দফা (গ) তে বর্ণিত কারণে অপসারণের ক্ষেত্রে কোনরূপ তদন্ত অনুষ্ঠানের প্রয়োজন হইবে না৷(৪) এই আইনের অন্যান্য বিধানে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই ধারা অনুযায়ী অপসারিত কোন ব্যক্তি কর্পোরেশনের কার্যকালের অবশিষ্ট মেয়াদের জন্য মেয়র 31[* * *] বা কমিশনার কোন পদে নির্বাচিত হইবার যোগ্য হইবেন না৷
১২৷ মেয়র 33[* * *] ও কমিশনারের পদ শূন্য হইবে, যদি-(ক) তিনি ধারা ৮(২) এর অধীন মেয়র 34[* * *] বা কমিশনার হইবার অযোগ্য হইয়া পড়েন;(খ) তিনি ধারা ৬ এর অধীন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শপথ গ্রহণ বা ঘোষণা করিতে ব্যর্থ হন এবং যদি যুক্তিসঙ্গত কারণে সরকার কর্তৃক উক্ত নির্ধারিত সময়-সীমা বর্ধিত করা না হয়;(গ) তিনি ধারা ১০ এর অধীনে পদত্যাগ করেন; অথবা(ঘ) তিনি ধারা ১১ এর অধীনে তাহার পদ হইতে অপসারিত হন; অথবা(ঙ) তিনি মৃত্যুবরণ করেন৷
১৩৷ কর্পোরেশনের মেয়াদ শেষ হইবার একশত আশি দিন পূর্বে মেয়র 35[* * *] বা কোন কমিশনারের পদ শূন্য হইলে পদটি শূন্য হইবার নব্বই দিনের মধ্যে ইহা পূরণ করিতে হইবে, এবং যিনি উক্ত পদে নির্বাচিত হইবেন তিনি কর্পোরেশনের অবশিষ্ট মেয়াদের জন্য উক্ত পদে বহাল থাকিবেন৷
১৫৷ প্রত্যেক কমিশনার কর্পোরেশন বা উহার স্থায়ী কমিটি বা অন্য কোন কমিটির সভায় যোগদানের জন্য কর্পোরেশন কর্তৃক সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে নির্ধারিত হারে মাসিক ভাতা পাইবার অধিকারী হইবেন৷
মেয়র 40[* * *] ও কমিশনারগণের রেকর্ডপত্র দেখিবার অধিকার
১৭৷ (১) মেয়র 41[* * *] কর্পোরেশনের রেকর্ডপত্র দেখিতে পারিবেন এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কিংবা কর্পোরেশনের অন্য কোন কর্মকর্তার নিকট হইতে কর্পোরেশন সম্পর্কিত যে কোন বিষয়ে রিপোর্ট চাহিতে পারিবেন৷(২) কোন কমিশনার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে যথাযথ নোটিশ প্রদান করিয়া অফিস চলাকালীন সময়ে কর্পোরেশনের রেকর্ডপত্র দেখিতে পারিবেন:তবে শর্ত থাকে যে, যদি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মত পোষণ করেন যে, কোন বিশেষ ক্ষেত্রে অনুরূপ অধিকার প্রয়োগ করিতে দেওয়া উচিত হইবে না, তাহা হইলে তিনি বিষয়টি মেয়রের নিকট পেশ করিবেন এবং তত্সম্পর্কে মেয়রের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হইবে৷
১৮৷ (১) অনুপস্থিতি কিংবা অসুস্থতাহেতু বা অন্য কোন কারণে মেয়র দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হইলে, তিনি পুনরায় স্বীয় দায়িত্ব পালনে সমর্থ না হওয়া পর্যন্ত, 43[তত্কর্তৃক] লিখিতভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কমিশনার মেয়রের দায়িত্ব পালন করিবেন৷(২) পদত্যাগ, অপসারণ অথবা মৃত্যুজনিত কারণে মেয়রের পদ শূন্য হইলে, শূন্য পদে নবনির্বাচিত মেয়র কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত 44[, সরকার কর্তৃক মনোনীত কোন কমিশনার] মেয়র হিসাবে দায়িত্ব পালন করিবেন৷
২০৷ ধারা ৪(১) এর দফা 47[(গ)] তে উল্লিখিত কমিশনার নির্বাচনের উদ্দেশ্যে সীমা নির্ধারণ কর্মকর্তা মহানগরকে উক্ত দফার অধীনে নির্ধারিত সংখ্যক কমিশনারের সমসংখ্যক ওয়ার্ডে বিভক্ত করিবেন৷
২২৷ ওয়ার্ডসমূহের সীমা নির্ধারণের ক্ষেত্রে এলাকার অখণ্ডতা এবং জনসংখ্যার যথাসম্ভব সম-বিভাজনের প্রতি লক্ষ্য রাখিতে হইবে৷(২) সীমা নির্ধারণ কর্মকর্তা ওয়ার্ডসমূহের সীমা নির্ধারণকল্পে প্রয়োজনীয় তদন্ত অনুষ্ঠান করিতে ও সংশ্লিষ্ট নথিপত্র পরীক্ষা করিতে পারিবেন এবং এতদসংক্রান্ত বিষয়ে প্রাপ্ত আপত্তি ও পরামর্শ বিবেচনা করিয়া মহানগরের কোন্ এলাকা কোন্ ওয়ার্ডের অন্তর্ভুক্ত হইবে তাহা উল্লেখ করিয়া বিধি অনুযায়ী একটি প্রাথমিক ওয়ার্ড তালিকা প্রকাশ করিবেন এবং উক্ত বিষয়ে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আপত্তি ও পরামর্শ দাখিল করিবার আহ্বান জানাইয়া একটি নোটিশ প্রকাশ করিবেন৷(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীনে প্রাপ্ত কোন আপত্তি বা পরামর্শ বা প্রাথমিক তালিকায় পরিলক্ষিত ত্রুটি-বিচ্যুতি বিধি অনুযায়ী নিষ্পত্তিপূর্বক ওয়ার্ডসমূহের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করিতে হইবে৷
২৩৷ সংরক্ষিত আসনের কমিশনার নির্বাচনের উদ্দেশ্যে, সীমা নির্ধারণ কর্মকর্তা-(ক) ধারা ২০ এর অধীনে মহানগরকে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ওয়ার্ডে বিভক্তিকরণের সঙ্গে সঙ্গে ঐ সকল ওয়ার্ডকে এইরূপ সমন্বিত ওয়ার্ডরূপে চিহ্নিত করিবেন যেন এইরূপ সমন্বিত ওয়ার্ডের সংখ্যা সংরক্ষিত আসন সংখ্যার সমান হয়; এবং(খ) সমন্বিত ওয়ার্ডের সীমা নির্ধারণের ক্ষেত্রে ধারা ২২ এ বর্ণিত পদ্ধতি যথাসম্ভব অনুসরণ করিবেন৷
২৪৷ (১) প্রত্যেক ওয়ার্ডের জন্য নির্বাচন কমিশন কর্তৃক প্রণীত একটি ভোটার তালিকা থাকিবে৷(২) কোন ব্যক্তি কোন ওয়ার্ডের ভোটার তালিকাভুক্ত হইবার অধিকারী হইবেন, যদি তিনি-(ক) বাংলাদেশের নাগরিক হন;(খ) আঠার বত্সরের কম বয়স্ক না হন;(গ) কোন যোগ্য আদালত কর্তৃক অপ্রকৃতিস্থ বলিয়া ঘোষিত না হন; এবং(ঘ) সেই ওয়ার্ডের বাসিন্দা হন বা বাসিন্দা বলিয়া গণ্য হন৷
২৬৷ (১) ধারা ২০ এর অধীনে বিভক্ত প্রত্যেক ওয়ার্ড হইতে একজন কমিশনার নির্বাচিত হইবেন৷(২) ধারা ২৩ এর দফা (ক) এর অধীনে সমন্বিত প্রত্যেক ওয়ার্ড হইতে একজন মহিলা কমিশনার নির্বাচিত হইবেন৷
২৭৷ (১) নিনিম্নবর্ণিত সময়ে কর্পোরেশনের মেয়র 48[* * *] ও কমিশনারগণের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবে, যথা:-(ক) কর্পোরেশন প্রথমবার গঠনের ক্ষেত্রে, এই আইন বলবত্ হইবার পর যথাশীঘ্র সম্ভব;(খ) কর্পোরেশনের মেয়াদ শেষ হইবার ক্ষেত্রে, উক্ত মেয়াদ শেষ হইবার পূর্ববর্তী একশত আশি দিনের মধ্যে;(গ) ধারা ১৫৫ এর অধীনে কর্পোরেশনের গঠন বাতিলের ক্ষেত্রে, বাতিলাদেশ জারীর পরবর্তী একশত আশি দিনের মধ্যে৷(২) উপ-ধারা (১) এবং দফা (খ) ও (গ) এর অধীনে নির্বাচিত মেয়র 49[* * *] অথবা কমিশনার, কর্পোরেশনের মেয়াদ অথবা ক্ষেত্রমত, কর্পোরেশনের গঠন বাতিলের মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত কর্পোরেশনের কার্যভার গ্রহণ করিতে পারিবেন না৷
২৮৷ (১) নির্বাচন কমিশন বিধি অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠান ও পরিচালনা করিবেন এবং অনুরূপ বিধিতে নিনিম্নবর্ণিত সকল অথবা যে কোন বিষয়ে বিধান করা যাইবে, যথা:-(ক) নির্বাচন পরিচালনার উদ্দেশ্যে রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার, প্রিজাইডিং অফিসার এবং পোলিং অফিসার নিয়োগ এবং তাঁহাদের ক্ষমতা ও দায়িত্ব;(খ) প্রার্থী মনোনয়ন, মনোনয়নের ক্ষেত্রে আপত্তি এবং মনোনয়ন বাছাই;(গ) প্রার্থীগণ কর্তৃক প্রদেয় জামানত এবং উক্ত জামানত ফেরত প্রদান বা বাজেয়াপ্তকরণ;(ঘ) প্রার্থীপদ প্রত্যাহার;(ঙ) প্রার্থীগণের এজন্টে নিয়োগ;(চ) প্রতিদ্বন্দ্বিতা এবং বিনা-প্রতিদ্বন্দ্বিতার ক্ষেত্রে নির্বাচন পদ্ধতি;(ছ) ভোট গ্রহণের তারিখ, সময় ও স্থান এবং নির্বাচন পরিচালনা সংক্রান্ত অন্যান্য বিষয়;(জ) ভোট দানের পদ্ধতি;(ঝ) ভোট বাছাই ও গণনা, ফলাফল ঘোষণা এবং সমসংখ্যক ভোটের ক্ষেত্রে অনুসরণীয় পদ্ধতি;(ঞ) ব্যালট পেপার এবং নির্বাচন সংক্রান্ত অন্যান্য কাগজপত্রের হেফাজত ও বিলিবন্টন;(ট) যে অবস্থায় ভোট গ্রহণ স্থগিত করা যায় এবং পুনরায় ভোট গ্রহণ করা যায়;(ঠ) নির্বাচনী ব্যয়;(ড) নির্বাচনের দুর্নীতিমূলক বা অবৈধ কার্যকলাপ ও অন্যান্য নির্বাচনী অপরাধ এবং উহার দণ্ড;(ঢ) নির্বাচনী বিরোধ এবং উহার বিচার ও নিষ্পত্তি; এবং(ণ) নির্বাচন সম্পর্কিত আনুষঙ্গিক অন্যান্য বিষয়৷(২) উপ-ধারা (১) এর দফা (ড) এর ক্ষেত্রে প্রণীত বিধিতে কারাদণ্ড, অর্থদণ্ড বা উভয়বিধ দণ্ডের বিধান করা যাইবে, তবে কারাদণ্ডের মেয়াদ সাত বত্সরের অধিক হইবে না৷
৩০৷ (১) এই আইনের অধীনে অনুষ্ঠিত কোন নির্বাচন বা গৃহীত নির্বাচনী কার্যক্রম বিষয়ে নির্বাচন ট্রাইব্যুনাল ব্যতীত কোন আদালত বা অন্য কোন কর্তৃপক্ষের নিকট আপত্তি উত্থাপন করা যাইবে না৷(২) কোন নির্বাচনের প্রার্থী ব্যতীত অন্য কোন ব্যক্তি উক্ত নির্বাচন বা নির্বাচনী কার্যক্রম বিষয়ে আপত্তি উত্থাপন ও প্রতিকার প্রার্থনা করিয়া নির্বাচন ট্রাইব্যুনালে আবেদন করিতে পারিবেন না৷
৩১ নির্বাচন ট্রাইব্যুনাল ও নির্বাচন আপীল ট্রাইব্যুনাল গঠন
৩১৷ এই আইনের অধীনে নির্বাচন সম্পর্কিত বিরোধ নিষ্পত্তির উদ্দেশ্যে নির্বাচন কমিশন একজন সাব-জজ পদমর্যাদার বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তার সমন্বয়ে প্রয়োজনীয় সংখ্যক নির্বাচন ট্রাইব্যুনাল এবং একজন জেলাজজ পদমর্যাদার বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তার সমন্বয়ে প্রয়োজনীয় সংখ্যক নির্বাচন আপীল ট্রাইব্যুনাল গঠন করিবে৷
৩২৷ নির্বাচন কমিশন নিজ উদ্যোগে অথবা এতদুদ্দেশ্যে কোন এক পক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে মামলার যে কোন পর্যায়ে কোন নির্বাচনী দরখাস্ত বা আপীল এক ট্রাইব্যুনাল হইতে অন্য ট্রাইব্যুনালে অথবা ক্ষেত্রমতে, এক আপীল ট্রাইব্যুনাল হইতে অন্য আপীল ট্রাইব্যুনালে বদলী করিতে পারিবে; এবং যে ট্রাইব্যুনালে বা আপীল ট্রাইব্যুনালে তাহা বদলী করা হয় সেই ট্রাইব্যুনাল বা আপীল ট্রাইব্যুনাল উক্ত দরখাস্ত বা আপীল যে পর্যায়ে বদলী করা হইয়াছে সেই পর্যায় হইতে উহার বিচার কার্য চলিতে থাকিবে:তবে শর্ত থাকে যে, নির্বাচনী দরখাস্ত বা আপীল যে ট্রাইব্যুনাল বা আপীল ট্রাইব্যুনালে বদলী করা হইয়াছে সেই ট্রাইব্যুনাল উপযুক্ত মনে করিলে ইতোপূর্বে পরীক্ষিত কোন সাক্ষীকে পুনরায় তলব বা পরীক্ষা করিতে পারিবে৷
৩৩৷ নির্বাচনী দরখাস্ত ও আপীল দায়েরের পদ্ধতি, ট্রাইব্যুনাল ও আপীল ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক নির্বাচন বিরোধ নিষ্পত্তির পদ্ধতি, ট্রাইব্যুনাল ও আপীল ট্রাইব্যুনালসমূহের এখতিয়ার ও ক্ষমতা, সংশ্লিষ্ট পক্ষকে প্রদেয় প্রতিকার এবং আনুষঙ্গিক সকল বিষয় বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে৷
৩৪৷ বিধি এবং সরকার কর্তৃক সময় সময় প্রদত্ত নির্দেশ সাপেক্ষে, কর্পোরেশন, উহার তহবিলের সঙ্গতি অনুযায়ী চতুর্থ ভাগে বর্ণিত কর্পোরেশন কর্তৃক অবশ্য সম্পাদনীয় কার্যাবলী সম্পাদন করিবে এবং উক্ত ভাগে বর্ণিত অন্যান্য কার্যাবলীও সম্পাদন করিতে পারিবে এবং কর্পোরেশন কর্তৃক সম্পাদন করা যথাযথ মর্মে সরকার কর্তৃক ঘোষিত হইলে অন্য যে কোন কাজও করিতে পারিবে৷
সরকারের নিকট কর্পোরেশনের কার্যাবলী হস্তান্তর, ইত্যাদি
৩৫৷ এই আইনে অথবা আপাততঃ বলবত্ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, সরকার প্রয়োজনবোধে তত্কর্তৃক নির্ধারিত শর্ত সাপেক্ষে,-(ক) কর্পোরেশন কর্তৃক পরিচালিত কোন প্রতিষ্ঠান বা কর্ম, সরকারের ব্যবস্থাপনায় বা নিয়ন্ত্রণে; এবং(খ) সরকার কর্তৃক পরিচালিত কোন প্রতিষ্ঠান বা কর্ম কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনায় বা নিয়ন্ত্রণে হস্তান্তর করার নির্দেশ দিতে পারিবে৷
৩৬৷ (১) এই আইনের অধীনে যাবতীয় কার্যাবলী যথাযথভাবে সম্পাদনের জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছু করিবার ক্ষমতা কর্পোরেশনের থাকিবে৷(২) এই আইন এবং বিধিতে ভিন্নরূপ বিধান না থাকিলে, কর্পোরেশনের নির্বাহী ক্ষমতা মেয়রের উপর ন্যস্ত থাকিবে এবং এই আইন ও বিধি অনুযায়ী উহা মেয়র কর্তৃক প্রত্যক্ষভাবে অথবা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বা মেয়রের নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত অন্য কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারীর মাধ্যমে প্রযুক্ত হইবে৷(৩) কর্পোরেশনের নির্বাহী বা অন্য কোন কার্য কর্পোরেশনের নামে গৃহীত হইয়াছে বলিয়া প্রকাশ করা হইবে এবং উহা নির্ধারিত পদ্ধতিতে প্রমাণীকৃত হইতে হইবে৷
৩৭৷ (১) কর্পোরেশনের সুষ্ঠু প্রশাসন ও কার্য পরিচালনার উদ্দেশ্যে সরকার মহানগরকে প্রয়োজনীয় সংখ্যক জোনে বিভক্ত করিতে পারিবে৷(২) প্রত্যেক জোনে একটি করিয়া জোনাল অফিস থাকিবে এবং উহা কর্পোরেশন কর্তৃক প্রদত্ত কার্যাবলী সম্পাদন করিবে৷
৩৮৷ কর্পোরেশনের সকল কার্য নির্ধারিত পদ্ধতিতে উহার বা উহার স্থায়ী কমিটিসমূহের সভায় অথবা মেয়র 51[* * *], প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারী কর্তৃক নিষ্পন্ন করিতে হইবে৷
৩৯৷ (১) কর্পোরেশন প্রতি মাসে অন্যুন একবার সভায় মিলিত হইবে৷(২) মেয়র অথবা তাঁহার অনুপস্থিতিতে তাঁহার দায়িত্ব পালনকারী ব্যক্তি, প্রয়োজন মনে করিলে যে কোন সময় কর্পোরেশনের সভা আহ্বান করিতে পারিবেন, তবে কমিশনারগণের মোট সদস্য সংখ্যার দুই-তৃতীয়াংশের লিখিত অনুরোধ প্রাপ্ত হইলে, তিনি কর্পোরেশনের সভা আহ্বান করিতে বাধ্য থাকিবেন৷(৩) কমিশনারগণের মোট সংখ্যার অন্যুন এক-তৃতীয়াংশের সার্বক্ষণিক উপস্থিতি না থাকিলে কর্পোরেশনের কোন সভায় কোন কার্য নিষ্পন্ন করা যাইবে না৷(৪) এই আইনে ভিন্নরূপ বিধান না থাকিলে, কর্পোরেশনের সভায় সকল সিদ্ধান্ত উপস্থিত কমিশনারগণের সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে গৃহীত হইবে৷(৫) প্রত্যেক কমিশনারের একটি করিয়া ভোট প্রদানের ক্ষমতা থাকিবে, এবং ভোটের সমতার ক্ষেত্রে সভাপতি একটি দ্বিতীয় বা নির্ণায়ক ভোট প্রদান করিতে পারিবে৷(৬) কর্পোরেশনের সভায় মেয়র, অথবা তাঁহার অনুপস্থিতিতে তাঁহার দায়িত্বপালনকারী ব্যক্তি অথবা উভয়ের অনুপস্থিতিতে, উপস্থিত কমিশনারগণ কর্তৃক নির্বাচিত কোন কমিশনার সভাপতিত্ব করিবেন৷(৭) সরকার কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে নির্ধারিত কর্মকর্তাগণ কর্পোরেশনের আমন্ত্রণে উহার সভায় যোগদান এবং সভার আলোচনায় অংশগ্রহণ করিতে পারিবেন, তবে তাহাদের ভোটাধিকার থাকিবে না৷
৪০৷ (১) কর্পোরেশন প্রত্যেক বত্সর উহার প্রথম সভায় অথবা যথাশীঘ্র সম্ভব, তত্পরবর্তী কোন সভায়, নিনিম্নবর্ণিত বিষয়াদির প্রত্যেকটি সম্পর্কে একটি করিয়া স্থায়ী কমিটি গঠন করিবে-(ক) অর্থ ও সংস্থাপন;(খ) শিক্ষা;(গ) স্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা এবং স্বাস্থ্যরক্ষা ব্যবস্থা;(ঘ) নগর পরিকল্পনা ও উন্নয়ন;(ঙ) হিসাব নিরীক্ষা ও রক্ষণ;(চ) পূর্ত ও ইমারত নির্মাণ;(ছ) পানি ও বিদ্যুত্;(জ) সমাজকল্যাণ ও কমিউনিটি সেন্টার৷(২) সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, কর্পোরেশন, প্রয়োজনবোধে অন্য কোন বিষয়ের জন্যও স্থায়ী কমিটি গঠন করিতে পারিবে৷(৩) প্রত্যেক স্থায়ী কমিটি অনধিক ছয়জন সদস্যের সমন্বয়ে গঠিত হইবে, এবং তাঁহারা কমিশনারগণ কর্তৃক তাহাদের মধ্য হইতে নির্বাচিত হইবেন, তবে কোন কমিশনার একই সময়ে দুইটির অধিক স্থায়ী কমিটির সদস্য হইবেন না৷(৪) মেয়র পদাধিকারবলে সকল স্থায়ী কমিটির সদস্য হইবেন৷(৫) প্রত্যেক স্থায়ী কমিটি উহার সদস্যদের মধ্য হইতে উহার একজন চেয়ারম্যান এবং একজন ভাইস-চেয়ারম্যান নির্বাচিত করিবে৷(৬) মেয়রের উদ্দেশ্যে স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে চেয়ারম্যান বা ভাইস-চেয়ারম্যান স্বীয় পদ ত্যাগ করিতে পারিবেন, এবং মেয়র কর্তৃক পদত্যাগপত্র প্রাপ্তির তারিখ হইতে পদত্যাগ কার্যকর হইবে৷(৭) কোন স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান বা ভাইস-চেয়ারম্যান অথবা অন্য কোন সদস্যের পদ আকস্মিকভাবে শূন্য হইলে, তাহা উপ-ধারা (৩) এ বর্ণিত পদ্ধতিতে নির্বাচনের মাধ্যমে পূরণ করা হইবে এবং নব নির্বাচিত ব্যক্তি তাহার পূর্বসূরীর অবশিষ্ট মেয়াদের জন্য তাঁহার পদে অধিষ্ঠিত থাকিবেন৷(৮) কোন স্থায়ী কমিটি উহার উত্তরাধিকারী স্থায়ী কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করিতে থাকিবে৷
৪১৷ (১) কর্পোরেশন প্রবিধান দ্বারা প্রত্যেক স্থায়ী কমিটির কার্যাবলী নির্ধারণ করিবে৷(২) স্থায়ী কমিটির সকল কার্যধারা কর্পোরেশনের অনুমোদন সাপেক্ষে চূড়ান্ত হইবে৷
৪৩৷ (১) কর্পোরেশন বা উহার কোন স্থায়ী কমিটি কিংবা অন্য কোন কমিটি উহার যে কোন দায়িত্ব পালনের জন্য কোন ব্যক্তির সাহায্য বা পরামর্শের প্রয়োজন বোধ করিলে উক্ত ব্যক্তিকে উহার কাজের সহিত সম্পৃক্ত করিতে পারিবে৷(২) উপ-ধারা (১) এর অধীনে কর্পোরেশন বা কোন কমিটির সহিত সম্পৃক্ত ব্যক্তি উহার সভায় আলোচনায় অংশগ্রহণ করিতে পারিবেন, তবে তাহার ভোটাধিকার থাকিবে না৷
৪৪৷ (১) সংখ্যাগরিষ্ঠ কমিশনারগণের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কর্পোরেশনের কোন সভা একান্তে অনুষ্ঠিত না হইলে, উহার প্রত্যেক সভা জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকিবে৷(২) কর্পোরেশন, প্রবিধান দ্বারা, উহার সভায় জনসাধারণের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করিতে পারিবে৷
৪৫৷ কর্পোরেশন বা উহার কোন কমিটির সভায়, কোন কমিশনারের আচরণ সম্পর্কিত কোন বিষয়ের আলোচনায় অথবা তাঁহার আর্থিক স্বার্থ এইরূপ কোন বিষয়ে অথবা তাঁহার ব্যবস্থাধীন বা নিয়ন্ত্রণাধীন আছে এইরূপ কোন সম্পত্তি বিষয়ক আলোচনায় উক্ত কমিশনার অংশগ্রহণ বা ভোট দান করিবেন না৷
৪৬৷ এই আইন সাপেক্ষে, কর্পোরেশন উহার সভা এবং উহার স্থায়ী কমিটি কিংবা অন্যান্য কমিটির সভার কার্যপদ্ধতি ও কার্য পরিচালনার জন্য প্রবিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে৷
৪৭৷ (১) কর্পোরেশন এবং উহার প্রত্যেক স্থায়ী কমিটি বা অন্য কোন কমিটির সভার কার্যবিবরণীতে অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে, উপস্থিত কমিশনার বা সদস্যগণের নাম উল্লেখ করিতে হইবে এবং উক্ত কার্যবিবরণী তদুদ্দেশ্যে রক্ষিত একটি বহিতে লিপিবদ্ধ করিতে হইবে এবং সভার সভাপতি কর্তৃক তাহা স্বাক্ষরিত হইতে হইবে এবং কর্পোরেশন বা সংশ্লিষ্ট কমিটির পরবর্তী সভায় অনুমোদনের জন্য উপস্থিত হইতে হইবে৷(২) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত কার্যবিবরণী কর্পোরেশন অফিসে পরিদর্শনের জন্য উন্মুক্ত রাখিতে হইবে, তবে কমিশনার ব্যতীত অন্য যে কোন ব্যক্তি উহা পরিদর্শন করিতে চাহিলে তাঁহাকে তজ্জন্য নির্ধারিত ফিস প্রদান করিতে হইবে৷(৩) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা প্রত্যেক সভার কার্যবিবরণীর একটি প্রতিলিপি উক্ত কার্যবিবরণী স্বাক্ষরিত হইবার তারিখ হইতে দশ দিনের মধ্যে সরকারের নিকট প্রেরণ করিবেন৷
৪৮৷ (১) এই আইনের অধীনে কৃত কোন কার্য, বা গৃহীত কোন কার্যধারা সম্পর্কে কেবলমাত্র-(ক) কর্পোরেশন বা উহার কোন কমিটিতে কোন পদ শূন্যতার কারণে কিংবা উহার গঠনে কোন ত্রুটি থাকার কারণে; অথবা(খ) কোন মামুলি ত্রুটি বা অনিয়মের কারণে-কোন প্রশ্ন উত্থাপন করা চলিবে না৷(২) কর্পোরেশন অথবা উহার কোন কমিটির সভার কার্যবিবরণী যথাযথভাবে লিপিবদ্ধ ও স্বাক্ষরিত হইলে উহার সভা যথাযথভাবে আহ্বান করা হইয়াছে এবং পরিচালিত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে৷
৪৯৷ (১) কর্পোরেশন কর্তৃক বা উহার পক্ষে সম্পাদিত সকল চুক্তি-(ক) লিখিত হইতে হইবে এবং কর্পোরেশনের নামে সম্পাদিত হইয়াছে বলিয়া প্রকাশিত হইতে হইবে; এবং(খ) বিধি অনুসারে সম্পাদিত হইতে হইবে৷(২) কোন চুক্তি সম্পাদনের অব্যবহিত পরে অনুষ্ঠিত কর্পোরেশনের সভায় প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা চুক্তিটি সম্পর্কে সভাকে অবহিত করিবেন৷(৩) বিধি প্রণয়ন না করা পর্যন্ত কর্পোরেশন প্রস্তাবের মাধ্যমে উহার বিভিন্ন ধরণের চুক্তি সম্পাদনের পদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা চুক্তি সম্পাদনের ব্যাপারে বিধি বা, ক্ষেত্রমত, প্রস্তাব অনুযায়ী কাজ করিবেন৷
৫০৷ সরকার বিধি দ্বারা-(ক) কর্পোরেশন কর্তৃক সম্পাদিতব্য সকল পূর্ত কাজের পরিকল্পনা এবং আনুমানিক ব্যয়ের হিসাব প্রণয়ন করার বিধান করিবে;(খ) উক্ত পরিকল্পনা ও ব্যয় কোন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক এবং কি শর্তে প্রযুক্তিগতভাবে এবং প্রশাসনিকভাবে অনুমোদিত হইবে, উহার বিধান করিবে;(গ) উক্ত পরিকল্পনা ও ব্যয়ের হিসাব কাহার দ্বারা প্রণয়ন করা হইবে এবং উক্ত পূর্ত কাজ কাহার দ্বারা সম্পাদিত হইবে উহার বিধান করিবে৷
৫১৷ কর্পোরেশন-(ক) উহার কার্যাবলীর নথি নির্ধারিত পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করিবে;(খ) বিধিতে উল্লিখিত বিষয়ের উপর সাময়িক প্রতিবেদন এবং বিবরণী প্রণয়ন ও প্রকাশ করিবে;(গ) উহার কার্যাবলী সম্পর্কে তথ্য প্রকাশের জন্য প্রয়োজনীয় বা সরকার কর্তৃক, সময় সময়, নির্দেশিত অন্যান্য ব্যবস্থাও গ্রহণ করিতে পারিবে৷
৫২৷ (১) কর্পোরেশনের একজন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা থাকিবেন এবং তিনি সরকার কর্তৃক নির্ধারিত শর্তে নিযুক্তি হইবেন৷(২) উপ-ধারা (১) এর অধীনে নিযুক্ত কর্মকর্তা কার্যভার গ্রহণের তারিখ হইতে তিন বত্সর মেয়াদের জন্য তাঁহার পদে অধিষ্ঠিত থাকিবেন; তবে সরকার উক্ত মেয়াদ অনধিক এক বত্সর করিয়া বৃদ্ধি করিতে পারিবে৷(৩) উপ-ধারা (২) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, সরকার যে কোন সময় কোন কারণ না দর্শাইয়া প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে তাঁহার পদ হইতে প্রত্যাহার করিতে পারিবে; এবং এতদুদ্দেশ্যে আহূত কর্পোরেশনের বিশেষ সভায় উপস্থিত কমিশনারগণের মোট সংখ্যার তিন-পঞ্চমাংশের ভোটে উক্ত কর্মকর্তাকে প্রত্যাহারের জন্য প্রস্তাব গৃহীত হইলে সরকার তাহাকে অবশ্যই তাহার পদ হইতে প্রত্যাহার করিবে:তবে শর্ত থাকে যে, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োজিত কোন ব্যক্তি হইলে, সরকারকে এক মাসের নোটিশ না দিয়া অনুরূপ কোন বিশেষ সভা আহ্বান করা এবং অনুরূপ কোন প্রস্তাব উত্থাপন করা যাইবে না৷(৪) এই আইন ও বিধিতে ভিন্নরূপ বিধান না থাকিলে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কর্পোরেশনের সকল সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য দায়ী থাকিবেন এবং মেয়র যে ক্ষমতা বা দায়িত্ব তাহাকে প্রদান করিবেন তিনি সেই ক্ষমতা প্রয়োগ বা দায়িত্ব পালন করিবেন৷(৫) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্বীয় ক্ষমতা প্রয়োগ এবং দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে মেয়রের নিকট দায়ী থাকিবেন৷(৬) অনুপস্থিতি, অসুস্থতা বা অন্য কোন কারণে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তাঁহার দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হইলে, সরকার কর্তৃক নিযুক্ত অন্য কোন ব্যক্তি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করিবেন৷
৫৩৷ কোন দুর্ঘটনাশতঃ বা দুর্ঘটনার সম্ভাবনার কারণে অথবা অদৃষ্টপূর্ব কোন ঘটনা বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে, কর্পোরেশনের সম্পত্তির ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হইলে বা হওয়ার সম্ভাবনা থাকিলে অথবা জনজীবন বিপন্ন হইলে বা হওয়ার সম্ভাবনা থাকিলে, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তাঁহার বিবেচনামতে উপযুক্ত ত্বরিত ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবেন এবং তত্সম্পর্কে তিনি অবিলম্বে কর্পোরেশন কিংবা সংশ্লিষ্ট স্থায়ী কমিটির নিকট প্রতিবেদন পেশ করিবেন এবং উক্ত প্রতিবেদনে অনুরূপ ব্যবস্থা গ্রহণের কারণ এবং তজ্জন্য যদি খরচ হইয়া থাকে বা হইতে পারে, তাহাও উল্লেখ করিবেন৷
৫৫৷ প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কর্পোরেশন বা উহার যে কোন কমিটির সভায় উপস্থিত থাকিবার এবং সভার আলোচনায় অংশগ্রহণের অধিকার থাকিবে এবং অনুরূপ কোন সভায় তিনি, সভাপতির অনুমতিক্রমে, কোন বিষয়ে বিবৃতি প্রদান বা ব্যাখ্যা দান করিতে পারিবেন; তবে উক্তরূপ সভায় তাঁহার ভোট দানের বা প্রস্তাব উত্থাপনের কোন অধিকার থাকিবে না৷
৫৬৷ (১) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, সময় সময়, কর্পোরেশনের যে সমস্ত পদ তাঁহার বিবেচনায় থাকা প্রয়োজন মনে করেন, উহার একটি তফসিল প্রস্তুত করিয়া কর্পোরেশনের নিকট পেশ করিবেন৷(২) কর্পোরেশন, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার মতামত গ্রহণ করিয়া উপ-ধারা (১) এর অধীনে প্রস্তুতকৃত তফসিল প্রয়োজনীয় সংশোধন করিতে এবং এইরূপে সংশোধিত তফসিল, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, চূড়ান্ত করিতে পারিবে৷
৫৯৷ কর্পোরেশন বিধি অনুসারে-(ক) উহার কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণের জন্য ভবিষ্য তহবিল গঠন করিতে পারিবে এবং নির্ধারিত হারে উক্ত তহবিলে চাঁদা প্রদান করিবার জন্য তাহাদিগকে নির্দেশ দিতে পারিবে;(খ) ভবিষ্য তহবিলে চাঁদা প্রদান করিতে পারিবে;(গ) উহার কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণের অবসর গ্রহণের পর আনুতোষিক প্রদানের ব্যবস্থা করিতে পারিবে;(ঘ) উহার কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারী তাহার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করার কারণে অসুস্থ বা আঘাতপ্রাপ্ত হইয়া মৃত্যুবরণ করিলে, তাঁহার পরিবারকে বিশেষ আনুতোষিক প্রদান করিতে পারিবে;(ঙ) উহার কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণের জন্য সামাজিক বীমা প্রবর্তন করিতে পারিবে এবং উহাতে চাঁদা প্রদানের জন্য তাহাদিগকে নির্দেশ দিতে পারিবে;(চ) কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণের জন্য কল্যাণ তহবিল প্রবর্তন করিতে পারিবে এবং উহা হইতে তাহাদিগকে সাহায্য করিতে পারিবে৷
৬০৷ (১) বিভাগীয় কোন আইন-কানুন লঙ্ঘন কিংবা শৃঙ্খলা ভঙ্গ অথবা দায়িত্ব পালনে অবহেলা বা অসতর্কতা বা দুর্নীতি বা অসদাচরণের দায়ে কর্পোরেশনের কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারীকে নির্ধারিত পদ্ধতিতে নিনিম্নলিখিত যে কোন শাস্তি প্রদান করা যাইবে:(ক) তিরস্কার;(খ) জরিমানা;(গ) বার্ষিক বেতন-বৃদ্ধি বন্ধ;(ঘ) পদোন্নতি বন্ধ;(ঙ) পদাবনতি;(চ) বাধ্যতামূলক অবসরদান;(ছ) অপসারণ;(জ) সাময়িক বরখাস্ত;(ঝ) বরখাস্ত:তবে শর্ত থাকে যে, অনুরূপ কর্মকর্তা বা কর্মচারীকে শাস্তিদানকারী কর্তৃপক্ষ, তাহার নিয়োগদানকারী কর্তৃপক্ষ অপেক্ষা অধঃস্তন হইবে না৷(২) উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, অনুরূপ কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারীকে কারণ দর্শাইবার যুক্তিসঙ্গত সুযোগ দান না করিয়া বরখাস্ত বা অপসারিত বা পদাবনত করা যাইবে না:তবে শর্ত থাকে যে, ফৌজদারী অপরাধে দণ্ডিত কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারীকে বরখাস্ত, অপসারিত বা পদাবনত করার ক্ষেত্রে উক্ত বিধান প্রযোজ্য হইবে না৷(৩) এই ধারা অনুযায়ী শাস্তিপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারী নির্ধারিত কর্তৃপক্ষের নিকট নির্ধারিত পদ্ধতিতে আপীল করিতে পারিবেন৷
৬১৷ এই আইনের বিধান সাপেক্ষে, সরকার বিধি দ্বারা-(ক) কর্পোরেশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণের চাকুরীর শর্তাবলী নির্ধারণ করিতে পারিবে;(খ) কর্পোরেশনের অধীনে বিভিন্ন পদে নিয়োগের যোগ্যতা নির্ধারণ করিতে পারিবে;(গ) কর্পোরেশনের অধীনে বিভিন্ন পদে নিয়োগদানের ক্ষেত্রে অনুসরণীয় নীতি নির্ধারণ করিতে পারিবে;(ঘ) কর্পোরেশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণকে কোন জামানত দিতে হইলে, তাহার পরিমাণ ও প্রকৃতি নির্ধারণ করিতে পারিবে;(ঙ) কর্পোরেশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণের ছুটি ও ছুটিকালীন ভাতা মঞ্জুরী নিয়ন্ত্রণ করিতে পারিবে;(চ) কর্পোরেশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণের আচরণ নিয়ন্ত্রণ করিতে পারিবে; এবং(ছ) কর্পোরেশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণকে দক্ষতার সহিত তাহাদের দায়িত্ব পালন করার প্রয়োজনে, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণসহ অন্য কোন সিটি কর্পোরেশন বা পৌরসভায় বদলীর ব্যবস্থা করিতে পারিবেন৷
৬২৷ (১) “কর্পোরেশন তহবিল” নামে কর্পোরেশনের একটি তহবিল থাকিবে৷(২) উপ-ধারা (১) এর অধীনে গঠিত কর্পোরেশন তহবিলে নিনিম্নলিখিত অর্থ জমা হইবে, যথা:(ক) কর্পোরেশন কর্তৃক ধার্যকৃত কর, রেইট, টোল, ফিস এবং অন্যান্য দাবী বাবদ প্রাপ্ত অর্থ;(খ) কর্পোরেশনের উপর ন্যস্ত এবং তত্কর্তৃক পরিচালিত সম্পত্তি হইতে প্রাপ্ত আয় বা মুনাফা;(গ) সরকার বা অন্যান্য কর্তৃপক্ষের নিকট হইতে প্রাপ্ত অনুদান;(ঘ) স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বা অন্য কোন প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তিবিশেষ কর্তৃক প্রদত্ত দান;(ঙ) কর্পোরেশনের উপর ন্যস্ত সকল ট্রাস্ট হইতে প্রাপ্ত আয়;(চ) কর্পোরেশনের অর্থ বিনিয়োগ হইতে প্রাপ্ত মুনাফা;(ছ) কর্পোরেশন কর্তৃক বৈধ উত্স হইতে প্রাপ্ত অন্য যে কোন অর্থ;(জ) সরকারী নির্দেশে কর্পোরেশনের উপর ন্যস্ত অন্যান্য আয়ের উত্স হইতে প্রাপ্ত অর্থ৷
৬৩৷ (১) কর্পোরেশন তহবিলে জমাকৃত টাকা সরকারী ট্রেজারীর কার্য পরিচালনাকারী কোন ব্যাংকে অথবা সরকার কর্তৃক নির্ধারিত অন্য কোন প্রকারে জমা রাখা হইবে৷(২) নির্ধারিত পদ্ধতিতে কর্পোরেশন উহার তহবিলের কোন অংশ বিনিয়োগ করিতে পারিবে৷(৩) কর্পোরেশন প্রয়োজনবোধে কোন বিশেষ উদ্দেশ্যে পৃথক তহবিল গঠন করিতে পারিবে, তবে সরকারের নির্দেশক্রমে, যদি থাকে, কর্পোরেশন অনুরূপ তহবিল গঠন করিবে এবং নির্ধারিত পদ্ধতিতে উহা পরিচালনা করিবে৷
৬৪৷ কর্পোরেশন তহবিলের অর্থ নিনিম্নলিখিত খাতে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে ব্যয় করা যাইবে, যথা:-প্রথমতঃ কর্পোরেশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন ও ভাতা প্রদান;দ্বিতীয়তঃ এই আইনের অধীনে কর্পোরেশন তহবিলের উপর দায়যুক্ত ব্যয়;তৃতীয়তঃ এই আইন বা আপাততঃ বলবত্ অন্য কোন আইন দ্বারা ন্যস্ত কর্পোরেশনের দায়িত্ব সম্পাদন এবং কর্তব্য পালনের জন্য ব্যয়;চতুর্থতঃ সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে কর্পোরেশন কর্তৃক ঘোষিত কর্পোরেশন তহবিলের উপর দায়যুক্ত ব্যয়৷
৬৫৷ (১) কর্পোরেশন তহবিলের উপর দায়যুক্ত ব্যয় নিম্নরূপ হইবে:(ক) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বা কর্পোরেশনের অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং কর্পোরেশনের চাকুরীতে নিয়োজিত সরকারী কর্মচারীদের জন্য প্রদেয় অর্থ;(খ) নির্বাচন পরিচালনার হিসাব-নিরীক্ষা বা এই সংক্রান্ত অন্য কোন বিষয়ের জন্য কর্পোরেশন কর্তৃক প্রদেয় অর্থ;(গ) কোন আদালত বা ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক কর্পোরেশনের বিরুদ্ধে প্রাপ্ত কোন রায়, ডিক্রি বা রোয়েদাদ কার্যকর করিবার জন্য প্রয়োজনীয় যে কোন অর্থ;(ঘ) সরকার কর্তৃক দায়যুক্ত বলিয়া ঘোষিত অন্য যে কোন ব্যয়৷(২) তহবিলের উপর দায়যুক্ত ব্যয়ের খাতে যদি কোন অর্থ অপরিশোধিত থাকে তাহা হইলে, যে ব্যক্তির হেফাজতে উক্ত তহবিল থাকিবে সেই ব্যক্তিকে সরকার, আদেশ দ্বারা, উক্ত তহবিল হইতে যতদূর সম্ভব ঐ অর্থ পরিশোধ করার নির্দেশ দিতে পারিবে৷
৬৬৷ কর্পোরেশনের চলতি বাজেটে কোন ব্যয় অনুমোদিত না থাকিলে এবং উহাতে পর্যাপ্ত উদ্বৃত্ত না থাকিলে, উহা হইতে কোন অর্থ ব্যয় করা যাইবে না:তবে শর্ত থাকে যে, ধারা ৬৪ অনুযায়ী ব্যয়িত অর্থের ক্ষেত্রে এই বিধান প্রযোজ্য হইবে না৷
৬৭৷ (১) সরকারের লিখিত নির্দেশে, মেয়র, জনস্বার্থে যে কোন সময়ে কর্পোরেশনের নিয়মিত কার্য ক্ষতিগ্রস্ত না করিয়া জরুরী কার্য সম্পাদনের জন্য তহবিল হইতে, অস্থায়ীভাবে, অর্থ প্রদান করিতে পারিবেন৷(২) উপ-ধারা (১) এর অধীনে সম্পাদিত কার্যের ব্যয় সরকার বহন করিবে এবং এতদুদ্দেশ্যে সরকার কর্তৃক প্রদত্ত অর্থ কর্পোরেশন-তহবিলে জমা হইবে৷(৩) এই ধারার অধীনে গৃহীত যাবতীয় ব্যবস্থা সম্পর্কে মেয়র কর্পোরেশনকে অবহিত করিবেন৷
৬৮৷ (১) কর্পোরেশন প্রতি বত্সর পহেলা জুনের পূর্বে উহার পরবর্তী আসন্ন অর্থ বত্সরের প্রাক্কলিত আয়-ব্যয়ের একটি বিবরণ নির্ধারিত পদ্ধতিতে প্রস্তুত ও অনুমোদন করিবে, অতঃপর বাজেট বলিয়া অভিহিত, এবং কর্পোরেশন উহার একটি অনুলিপি সরকারের নিকট প্রেরণ করিবে৷(২) উপ-ধারা (১) এর বর্ণিত পদ্ধতিতে কর্পোরেশন উহার বাজেট প্রস্তুত ও অনুমোদন না করিলে সরকার উক্ত বিষয়ে প্রয়োজনীয় বিবরণ প্রস্তুত ও প্রত্যয়ন করাইতে পারিবে, এবং অনুরূপভাবে প্রত্যায়িত বিবরণ কর্পোরেশনের অনুমোদিত বাজেট বলিয়া গণ্য হইবে৷(৩) সরকার উপ-ধারা (১) অনুযায়ী বাজেটের অনুলিপি প্রাপ্তির ত্রিশ দিনের মধ্যে আদেশ দ্বারা, উহা পরিবর্তন করিতে পারিবে এবং উক্ত পরিবর্তিত বাজেট কর্পোরেশনের অনুমোদিত বাজেট বলিয়া গণ্য হইবে৷(৪) কোন অর্থ বত্সর শেষ হওয়ার পূর্বে যে কোন সময়ে, প্রয়োজন হইলে, উক্ত অর্থ বত্সরের জন্য সংশোধিত বাজেট প্রস্তুত ও অনুমোদন করা যাইবে, এবং উক্ত সংশোধিত বাজেট যথাসম্ভব এই ধারার বিধান সাপেক্ষে হইবে৷(৫) যেইক্ষেত্রে এই আইন অনুযায়ী কর্পোরেশন প্রথম (অফিসের) দায়িত্ব গ্রহণ করে সেই ক্ষেত্রে উহা যেই অর্থ বত্সরে দায়িত্ব গ্রহণ করে সেই অর্থ বত্সরের অবিশষ্ট সময়ের জন্য বাজেট হইবে, এবং এই ধারার অন্যান্য বিধান প্রয়োজনীয় সংশোধনীসহ, প্রযোজ্য হইবে৷
৬৯৷ (১) কর্পোরেশনের আয় ও ব্যয়ের হিসাব নির্ধারিত প্রকার ও পদ্ধতিতে রক্ষিত হইবে৷(২) প্রতি অর্থ বত্সরের শেষে একটি বার্ষিক হিসাব-বিবরণী প্রস্তুত করিতে হইবে এবং উহা পরবর্তী অর্থ বত্সরের একত্রিশে ডিসেম্বরের মধ্যে সরকারের নিকট প্রেরণ করিতে হইবে৷(৩) কর্পোরেশন উপ-ধারা (২) এর অধীনে প্রস্তুতকৃত বার্ষিক হিসাব বিবরণীর একটি প্রতিলিপি সর্বসাধারণের পরিদর্শনের জন্য উহার কার্যালয়ের কোন প্রকাশ্য স্থানে টাংগাইয়া দিবে এবং উক্ত বিষয়ে জনসাধারণের নিকট হইতে প্রাপ্ত সকল আপত্তি ও পরামর্শ বিবেচনা করিবে এবং উহা ধারা ৭০ এ উল্লিখিত কর্তৃপক্ষের গোচরীভূত করিবে৷
৭০৷ (১) প্রত্যেক বত্সর কর্পোরেশনের আয়-ব্যয়ের হিসাব, বাংলাদেশের মহা-হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, অতঃপর মহা-হিসাব নিরীক্ষক নামে অভিহিত, কর্তৃক নিরীক্ষিত হইবে৷(২) উপ-ধারা (১) এর অধীনে নিরীক্ষার উদ্দেশ্যে, মহা-হিসাব নিরীক্ষক কিংবা তত্কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতা প্রদত্ত কোন ব্যক্তি, কর্পোরেশনের সকল নথিপত্র, বহি, ভাউচার, দলিল, নগদ অর্থ, জামানত, ভাণ্ডার ও কর্পোরেশনের অন্যান্য সম্পত্তি পরিদর্শন করিতে পারিবেন এবং মেয়র, কমিশনার, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কিংবা অন্য কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারীকে প্রয়োজনীয় জেরা করিতে পারিবেন৷(৩) উপ-ধারা (২) এর বর্ণিত নিরীক্ষা শেষে ত্রুটি-বিচ্যুতি উল্লেখ করিয়া (যদি থাকে), মহা-হিসাব নিরীক্ষক কর্পোরেশন বরাবরে একটি নিরীক্ষা প্রতিবেদন প্রেরণ করিবে৷(৪) কর্পোরেশন, অবিলম্বে, মহা-হিসাব নিরীক্ষক কর্তৃক উল্লিখিত ত্রুটি-বিচ্যুতির প্রতিকার করিবে এবং তত্কর্তৃক গৃহীত ব্যবস্থা সম্পর্কে সরকারকে অবহিত করিবে৷(৫) কর্পোরেশন, নিরীক্ষা-প্রতিবেদনের প্রতিলিপি পাইবার পর, তিনি মাস সময়ের মধ্যে, নিরীক্ষা প্রতিবেদনসহ উহার প্রত্যেক খাতওয়ারী জবাব প্রকাশ করিবে৷
৭১৷ (১) এই আইন, বিধি, Local Authorities Loans Act, 1914 (IX of 1914) এবং আপাততঃ বলবত্ অন্য কোন আইনের বিধান সাপেক্ষে, কর্পোরেশন, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, ঋণ সংগ্রহ করিতে পারিবে এবং সরকারের সন্তুষ্টি অনুযায়ী, নির্দিষ্ট কিস্তিতে উক্ত ঋণ পরিশোধের জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে৷(২) কর্পোরেশন উপ-ধারা (১) এর অধীনে সংগৃহীত ঋণ পরিশোধের জন্য নিজ উদ্যোগে বা সরকারের নির্দেশক্রমে পৃথক তহবিল গঠন ও সংরক্ষণ করিতে পারিবে, এবং সরকার প্রয়োজনে কর্পোরেশনের নির্দিষ্ট কোন খাতের আয় সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে কোন ঋণ পরিশোধের জন্য নির্দিষ্ট রাখিতে এবং প্রয়োগ করিতে পারিবে৷
৭২৷ (১) সরকার, বিধি দ্বারা-(ক) কর্পোরেশনের মালিকানাধীন বা উহার উপর ন্যস্ত সম্পত্তির ব্যবস্থাপনা, রক্ষণাবেক্ষণ ও উন্নয়নের জন্য বিধান করিতে পারিবে;(খ) উক্ত সম্পত্তির হস্তান্তর নিয়ন্ত্রণ করিতে পারিবে৷(২) কর্পোরেশন-(ক) উহার মালিকানাধীন বা উহার উপর বা উহার তত্ত্বাবধানে ন্যস্ত যে কোন সম্পত্তির রক্ষণাবেক্ষণ, পরিদর্শন ও উন্নয়ন করিতে পারিবে;(খ) এই আইন বা বিধির উদ্দেশ্য পূরণকল্পে উক্ত সম্পত্তি কাজে লাগাইতে পারিবে;(গ) সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, দান, বিক্রয়, বন্ধক, ইজারা বা বিনিময়ের মাধ্যমে বা অন্য কোন পন্থায় যে কোন সম্পত্তি অর্জন বা হস্তান্তর করিতে পারিবে৷
৭৩৷ মেয়র বা কমিশনার বা কর্পোরেশনের কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারী অথবা প্রশাসনের দায়িত্ব প্রাপ্ত বা কর্পোরেশনের পক্ষে কর্মরত কোন ব্যক্তির প্রত্যক্ষ গাফিলতি বা অসদাচরণের কারণে কর্পোরেশনের কোন অর্থ বা সম্পদের লোকসান, অপচয় বা অপপ্রয়োগ হইলে তিনি উহার জন্য দায়ী থাকিবেন এবং নির্ধারিত পদ্ধতিতে সরকার এই দায়-দায়িত্ব নিরূপণ করিবে এবং যে অর্থ বা সম্পদের জন্য তাহাকে দায়ী করা হইবে সেই পরিমাণ অর্থ সরকারী দাবী (Public Demand) হিসাবে তাহার নিকট হইতে আদায়যোগ্য হইবে৷
৭৫৷ (১) কর্পোরেশন কর্তৃক ধারা ৭৪ এর অধীনে আরোপিত সমুদয় কর, রেইট, টোল, সেস ও ফিস সরকারী গেজেটে প্রকাশ করিতে হইবে এবং সরকার ভিন্নরূপ নির্দেশ প্রদান না করিলে তাহা প্রাক-প্রকাশনা সাপেক্ষ হইবে৷(২) কোন কর, রেইট, টোল, সেস বা ফিস উহার অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক যেই তারিখ হইতে কার্যকর হইবে বলিয়া নির্দেশ দিবে সেই তারিখ হইতে কার্যকর হইবে৷
৭৭৷ (১) সরকার, কর্পোরেশনকে-(ক) ধারা ৭৪ এর অধীনে আরোপণীয় যে কোন কর, রেইট, টোল, সেস অথবা ফিস আরোপ করার নির্দেশ দিতে পারিবে;(খ) দফা (ক) এর অধীনে আরোপিত কোন কর ইত্যাদি হ্রাস বা বৃদ্ধি করার নির্দেশ দিতে পারিবে;(গ) দফা (ক) এর অধীনে আরোপিত কোন কর ইত্যাদি হইতে কোন ব্যক্তি বা সম্পত্তিকে অব্যাহতি দিতে অথবা উহা স্থগিত রাখিতে বা প্রত্যাহার করিতে নির্দেশ দিতে পারিবে৷(২) উপ-ধারা (১) এর অধীনে প্রদত্ত কোন নির্দেশ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পালন করা না হইলে, সরকার আদেশ দ্বারা উক্তরূপ নির্দেশ কার্যকর করিতে পারিবে৷
৭৮৷ (১) কোন ব্যক্তি বা জিনিসপত্রের উপর কর, রেইট, টোল বা ফিস আরোপ করা যাইবে কি না উহা নির্ধারণের প্রয়োজনে কর্পোরেশন, নোটিশের মাধ্যমে, যে কোন ব্যক্তিকে প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করিতে বা এতদ্সংক্রান্ত দলিলপত্র, হিসাব-বই বা জিনিসপত্র দাখিল করিবার জন্য নির্দেশ দিতে পারিবে৷(২) এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্পোরেশনের যে কোন কর্মকর্তা, যথাযথ নোটিশ প্রদানের পর কোন কর ইত্যাদি আরোপযোগ্য কি না উহা যাচাই করার জন্য যে কোন ইমারত বা স্থানে প্রবেশ করিতে এবং যে কোন জিনিসপত্র পরিদর্শন করিতে পারিবেন৷(৩) এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্পোরেশনের যে কোন কর্মকর্তা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, কোন জিনিসপত্রের উপর আরোপিত কোন কর, ইত্যাদি আদায়ের জন্য উহা বাজেয়াপ্ত ও হস্তান্তর করিতে পারিবেন৷
৭৯৷ (১) এই আইনের অধীনে আরোপিত কর, রেইট, টোল, সেস ও ফিস নির্ধারিত পদ্ধতিতে সংগ্রহ করা হইবে৷(২) এই আইনের অধীনে কর্পোরেশন কর্তৃক দাবীযোগ্য সকল কর, রেইট, টোল, সেস এবং ফিস ও অন্যান্য অর্থ সরকারী দাবী (Public Demand) হিসেবে আদায়যোগ্য হইবে৷(৩) উপ-ধারা (২) এর বিধান সত্ত্বেও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির মালিকানাধীন স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোক এবং বিক্রয় করিয়া কর্পোরেশন কর্তৃক দাবীযোগ্য বকেয়া সকল কর, রেইট, টোল, সেস এবং ফিস ও অন্যান্য অর্থ আদায় করার জন্য সরকার কর্পোরেশনকে ক্ষমতা প্রদান করিতে পারিবে৷(৪) কোন্ কোন্ কর্মকর্তা উপ-ধারা (৩) এর অধীনে ক্ষমতা প্রয়োগ করিবেন এবং উক্ত ক্ষমতা কি প্রকারে প্রয়োগ করিবেন তাহা সরকার কর্তৃক নির্ধারিত হইবে৷
৮০৷ এই আইনের অধীনে ধার্য কোন কর, রেইট, টোল, সেস বা ফিস বা এতদসংক্রান্ত কোন সম্পত্তির মূল্যায়ন অথবা কোন ব্যক্তি কর্তৃক উহা প্রদানের দায়িত্ব সম্পর্কে কোন আপত্তি নির্ধারিত কর্তৃপক্ষের নিকট এবং নির্ধারিত পন্থায় ও সময়ের মধ্যে লিখিত দরখাস্তমূলে উত্থাপন করিতে হইবে৷
৮১৷ কর্পোরেশন যদি কোন পেশা বা বৃত্তির উপর কর আরোপ করে তাহা হইলে যে ব্যক্তি কর প্রদানের জন্য দায়ী, সেই ব্যক্তির প্রাপ্য বেতন বা মঞ্জুরী হইতে উক্ত কর কর্তনের জন্য কর্পোরেশন তাঁহার নিয়োগকর্তাকে জানাইতে পারিবে এবং অনুরূপ অনুরোধ পাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট নিয়োগকর্তা কর্পোরেশনের প্রাপ্য কর উক্ত ব্যক্তির বেতন বা মঞ্জুরী হইতে কর্তন করিবেন এবং কর্পোরেশন তহবিলে জমা দিবেন:তবে শর্ত থাকে যে, এইরূপ কর্তনকৃত অর্থ কোনক্রমেই উক্ত ব্যক্তির বেতন বা মঞ্জুরীর পঁচিশ শতাংশের অধিক হইবে না৷
৮২৷ (১) কর্পোরেশন কর্তৃক আরোপিত সকল কর, রেইট, টোল, সেস, ফিস ইত্যাদি বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত হইবে৷(২) এই ধারার অধীনে প্রণীত বিধিতে, অন্যান্য বিষয় ছাড়াও, কর দাতাগণের বাধ্যবাধকতার ব্যবস্থা থাকিবে এবং কর নির্ধারণ ও আদায়ের জন্য দায়িত্বসম্পন্ন কর্মকর্তাগণের বা অন্যান্য এজেন্সীর কর্তব্য ও ক্ষমতা সম্পর্কে বিধান থাকিবে৷
৮৩৷ কর্পোরেশন নগরীর স্বাস্থ্য ব্যবস্থার জন্য দায়ী থাকিবে এবং এই আইন বা ইহার অধীনে এতদসম্পর্কে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করার থাকিলে, উহা সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে৷
৮৪৷ (১) কোন ইমারত বা জায়গা অস্বাস্থ্যকর বা ক্ষতিকর অবস্থায় থাকিলে কর্পোরেশন নোটিশ দ্বারা উহার মালিক বা দখলদারকে-(ক) উহা পরিষ্কার করিতে বা যথাযথ অবস্থায় রাখিতে;(খ) উহা স্বাস্থ্যকর অবস্থায় রাখিতে;(গ) উক্ত ইমারতে চুনকাম করিতে এবং নোটিশে উল্লেখিতরূপে উহার অপরিহার্য মেরামতের ব্যবস্থা করিতে; এবং(ঘ) উক্ত ইমারত বা জায়গা স্বাস্থ্যকর অবস্থায় রাখার জন্য অন্যান্য পদক্ষেপ গ্রহণ করিতে নির্দেশ দিতে পারিবে৷(২) উপ-ধারা (১) এর অধীনে প্রদত্ত নোটিশের নির্দেশ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কার্য সম্পন্ন করা না হইলে কর্পোরেশন উক্ত ইমারত বা জায়গার প্রয়োজনীয় কার্য সম্পন্ন করিতে পারিবে, এবং ইহাতে কর্পোরেশনের যে খরচ হইবে, তাহা এই আইনের অধীনে উক্ত মালিক বা দখলকারের উপর আরোপিত কর হিসাবে গণ্য হইবে৷
৮৫৷ (১) কর্পোরেশন উহার নিয়ন্ত্রণাধীন সকল জনপথ, সাধারণ পায়খানা, প্রস্রাবখানা, নর্দমা, ইমারত ও জায়গা হইতে আবর্জনা সংগ্রহ ও অপসারণ করার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে৷(২) কর্পোরেশনের সাধারণ নিয়ন্ত্রণ এবং তত্ত্বাবধানে, কর্পোরেশন এলাকায় অবস্থিত অন্যান্য ইমারত ও জায়গার দখলকারগণ উহা হইতে আবর্জনা অপসারণের জন্য দায়ী থাকিবেন৷(৩) কর্পোরেশন নগরীর বিভিন্ন স্থানে ময়লা ফেলার পাত্র বা অন্যবিধ আধারের ব্যবস্থা করিবে এবং যেখানে অনুরূপ ময়লা ফেলার পাত্র বা আধারের ব্যবস্থা করা হইবে, কর্পোরেশন সাধারণ নোটিশ দ্বারা পার্শ্ববর্তী বাড়ীঘর ও জায়গা-জমির দখলদারগণকে উহার ময়লা বা আবর্জনা উক্ত পাত্র বা আধারে ফেলার জন্য নির্দেশ দান করিতে পারিবে৷(৪) কর্পোরেশনের কর্মচারীগণ কর্তৃক অথবা তাহাদের তত্ত্বাবধানে অপসারিত বা সংগৃহীত আবর্জনা বা ময়লা এবং কর্পোরেশন কর্তৃক স্থাপিত পাত্র বা আধারে জমাকৃত ময়লা বা আবর্জনা কর্পোরেশনের সম্পত্তি বলিয়া গণ্য হইবে৷
৮৬৷ (১) কর্পোরেশন পুরুষ ও মহিলাদের জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক পৃথক পৃথক পায়খানা ও প্রস্রাবখানার ব্যবস্থা করিবে এবং তাহা যথাসম্ভব রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার ব্যবস্থা করিবে৷(২) যে সকল ঘরবাড়ীতে পায়খানা বা প্রস্রাবখানা আছে সেই সকল ঘরবাড়ীর মালিক তাহা কর্পোরেশনের সন্তুষ্টি অনুযায়ী সঠিক অবস্থায় রাখিবেন৷(৩) কোন ঘরবাড়ীতে পায়খানা বা প্রস্রাবখানার ব্যবস্থা না থাকিলে বা পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকিলে, কিংবা কোন আপত্তিকর স্থানে পায়খানা বা প্রস্রাবখানার ব্যবস্থা থাকিলে, কর্পোরেশন উক্ত ঘরবাড়ীর মালিককে নোটিশ দ্বারা-(ক) নোটিশে উল্লিখিতরূপে পায়খানা বা প্রস্রাবখানার ব্যবস্থা করা;(খ) নোটিশে উল্লিখিতরূপে পায়খানা বা প্রস্রাবখানার পরিবর্তন সাধন করা;(গ) নোটিশে উল্লিখিতরূপে পায়খানা বা প্রস্রাবখানা অপসারণ করা; এবং(ঘ) যেখানে ভূগর্ভস্থ কোন পয়ঃপ্রণালীর ব্যবস্থা আছে সেখানে, সাধারণভাবে পরিষ্কারযোগ্য পায়খানা বা প্রস্রাবখানাকে পয়ঃপ্রণালীর সহিত সংযুক্ত করার নির্দেশ দিতে পারিবে৷
৮৮৷ (১) কর্পোরেশন বিধি বা প্রবিধান অনুযায়ী নগরীতে সংক্রামক ব্যাধি প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে৷(২) কর্পোরেশন সংক্রামক ব্যাধিতে আক্রান্ত রোগীদের চিকিত্সার জন্য হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা ও রক্ষণাবেক্ষণ করিবে৷(৩) কর্পোরেশন সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণকল্পে প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করিতে পারিবে৷
৮৯৷ কর্পোরেশন, প্রয়োজন বিবেচনা করিলে বা সরকার নির্দেশ দিলে-(ক) স্বাস্থ্য কেন্দ্র, মাতৃসদন এবং মহিলা, শিশু ও বালক-বালিকাদের জন্য কল্যাণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা, পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ করিবে এবং অনুরূপ কোন স্বাস্থ্য কেন্দ্র, মাতৃসদন বা কল্যাণ কেন্দ্রে চাঁদা প্রদান করিতে পারিবে;(খ) ধাত্রী প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করিতে পারিবে;(গ) পরিবার পরিকল্পনা উন্নয়নের ব্যবস্থা করিতে পারিবে; এবং(ঘ) মহিলা, শিশু এবং বালক-বালিকাদের স্বাস্থ্যের উন্নতি ও কল্যাণের জন্য প্রয়োজনীয় অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে৷
৯১৷ (১) কর্পোরেশন নগরবাসীর চিকিত্সা সুবিধার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক হাসপাতাল ও ডিসপেনসারী প্রতিষ্ঠা ও রক্ষণাবেক্ষণ করিতে পারিবে৷(২) কর্পোরেশন কর্তৃক পরিচালিত প্রত্যেক হাসপাতাল ও ডিসপেনসারী নির্ধারিত পদ্ধতিতে পরিচালিত হইবে৷(৩) সরকার কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে প্রদত্ত নির্দেশ সাপেক্ষে, কর্পোরেশন উহার পরিচালিত প্রত্যেক হাসপাতাল ও ডিসপেনসারীর জন্য বিধি দ্বারা নির্ধারিত পরিমাণ ও মানের ঔষধপত্র, যন্ত্রপাতি, সাজ-সরঞ্জাম ও আসবাবপত্রের ব্যবস্থা করিবে৷
৯২৷ কর্পোরেশন, প্রয়োজনীয় বিবেচনা করিলে বা সরকার নির্দেশ দিলে, নিনিম্নবর্ণিত বিষয় সম্পর্কে ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে, যথা:(ক) প্রাথমিক চিকিত্সা কেন্দ্র স্থাপন ও পরিচালনা;(খ) ভ্রাম্যমান চিকিত্সা সাহায্য ইউনিটের স্থাপন ও পরিচালনা;(গ) চিকিত্সা সাহায্য প্রদানকল্পে সমিতি গঠনে উত্সাহদান;(ঘ) চিকিত্সা বিদ্যার উন্নয়ন;(ঙ) চিকিত্সা সাহায্যের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহকে অর্থ প্রদান; এবং(চ) স্কুল ছাত্রদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা৷
৯৩৷ (১) আপাততঃ বলবত্ অন্য কোন আইন সাপেক্ষে, কর্পোরেশন নগরীতে সাধারণ ও ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করিবে৷(২) কর্পোরেশন, প্রয়োজনীয় বিবেচনা করিলে অথবা সরকার নির্দেশ দিলে, পানি সরবরাহ, সঞ্চয় ও বিতরণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে বিধি অনুযায়ী পানি সরবরাহ প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করিতে পারিবে৷(৩) যে ক্ষেত্রে নলের সাহায্যে পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়, সেক্ষেত্রে কর্পোরেশন প্রবিধান অনুযায়ী সরকারী ও বেসরকারী ঘরবাড়িতে পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করিতে পারিবে এবং তজ্জন্য অর্থ আদায় করিতে পারিবে৷
৯৪৷ (১) নগরীর অভ্যন্তরে সকল বেসরকারী পানি সরবরাহের উত্স কর্পোরেশনের নিয়ন্ত্রণ ও পরিদর্শনাধীন থাকিবে৷(২) কর্পোরেশনের অনুমোদন ব্যতীত পানীয় জলের জন্য কোন নূতন কূপ খনন, নলকূপ স্থাপন অথবা পানি সরবরাহের জন্য অন্য কোন উত্সের ব্যবস্থা করা যাইবে না৷(৩) পানীয় জলের জন্য ব্যবহৃত কোন বেসরকারী পানি সরবরাহের উত্সের মালিক বা নিয়ন্ত্রণকারীকে কর্পোরেশন নোটিশ দ্বারা-(ক) উহা যথাযথ অবস্থায় রাখার এবং সময় সময় উহার পলি, আবর্জনা ও পঁচনশীল দ্রব্যাদি অপসারণ করার;(খ) উহা কর্পোরেশন কর্তৃক নির্দেশিত রোগ সংক্রমণ হইতে উহাকে রক্ষা করার;(গ) উহার পানি পানের অনুপযুক্ত বলিয়া কর্পোরেশন সাব্যস্ত করিলে, উহার পানি পানের উদ্দেশ্যে ব্যবহার নিবৃত্ত করার জন্য উক্ত নোটিশে উল্লেখিত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিতে পারিবে৷
৯৫৷ (১) আপাততঃ বলবত্ অন্য কোন আইন সাপেক্ষে, কর্পোরেশন নগরীতে পানি নিষ্কাশনের জন্য পর্যাপ্ত পানি নিষ্কাশন নর্দমার ব্যবস্থা করিবে এবং জনসাধারণের স্বাস্থ্য ও সুবিধার প্রতি লক্ষ্য রাখিয়া নর্দমাগুলি নির্মাণ, রক্ষণাবেক্ষণ ও সংরক্ষণ করিবে এবং পরিষ্কার রাখিবে৷(২) কর্পোরেশনের পূর্বানুমোদনক্রমে তত্কর্তৃক নির্ধারিত শর্তে এবং ফিস প্রদানে কোন বাড়ি বা জায়গার মালিক উহার নর্দমা কর্পোরেশনের নর্দমার সহিত সংযুক্ত করিতে পারিবে৷(৩) নগরীতে অবস্থিত সকল বেসরকারী নর্দমা কর্পোরেশনের নিয়ন্ত্রণ ও পরিদর্শনাধীনে থাকিবে এবং কর্পোরেশন প্রবিধান অনুযায়ী উহার সংস্কার করার, পরিষ্কার করার এবং বন্ধ রাখার নির্দেশ দিতে পারিবে৷
৯৬৷ (১) কর্পোরেশন, প্রয়োজনীয় বিবেচনা করিলে বা সরকার নির্দেশ দিলে, নির্ধারিত পদ্ধতিতে সুষ্ঠুভাবে পানি বা ময়লা নিষ্কাশনের জন্য সরকারী বা বেসরকারী খরচে নর্দমা নির্মাণ বা অন্যান্য পূর্ত কার্যের জন্য পানি নিষ্কাশন প্রকল্প প্রণয়ন করিতে পারিবে৷(২) উক্ত পানি নিষ্কাশন প্রকল্প অনুমোদনের জন্য সরকারের নিকট পেশ করিতে হইবে এবং সরকার উহা বিবেচনার পর, উহাতে সংশোধনসহ বা সংশোধন ছাড়া, উহা অনুমোদন করিতে পারিবে বা উহা প্রত্যাখ্যান করিতে পারিবে৷(৩) উক্তরূপ অনুমোদিত পানি নিষ্কাশন প্রকল্প সরকার কর্তৃক নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে ও মেয়াদের মধ্যে এবং তত্কর্তৃক নির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বাস্তবায়িত হইবে৷(৪) নগরীতে অবস্থিত কোন বাড়ীঘর বা জায়গার মালিককে কর্পোরেশন নোটিশ দ্বারা-(ক) উক্ত বাড়ীঘর বা জায়গায় বা তত্সংলগ্ন রাস্তায় নোটিশে উল্লিখিত নর্দমা নির্মাণ করার;(খ) অনুরূপ যে কোন নর্দমা অপসারণ, সংস্কার বা উহার উন্নয়ন করার; এবং(গ) উক্ত বাড়ীঘর বা জায়গা হইতে সুষ্ঠুভাবে পানি নিষ্কাশনের জন্য অন্য কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করার, নির্দেশ দিতে পারিবে৷
৯৭৷ (১) কর্পোরেশন সময় সময়-(ক) জনসাধারণের স্্নান করা, কাপড় ধৌত করা বা কাপড় শুকানোর জন্য উপযুক্ত স্থান নির্দিষ্ট করিয়া দিবে;(খ) অনুরূপ স্থানসমূহ কখন ব্যবহার করা হইবে এবং কাহারা ব্যবহার করিবেন তাহাও নির্দিষ্ট করিয়া দিবে;(গ) প্রকাশ্য নোটিশ দ্বারা উক্তরূপ নির্দিষ্ট নয় এইরূপ কোন জায়গাকে উপরিউক্ত উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা নিষিদ্ধ করিয়া দিতে পারিবে৷(২) কর্পোরেশন হইতে প্রাপ্ত লাইসেন্স ব্যতিরেকে এবং লাইসেন্সে উল্লেখিত শর্তাদি লংঘন করিয়া কোন ব্যক্তি সাধারণের ব্যবহার্য গোসলখানা প্রতিষ্ঠা বা পরিচালনা করিতে পারিবেন না৷
৯৮৷ (১) কর্পোরেশন ধোপীদের ব্যবহারের ধোপী-ঘাটের ব্যবস্থা করিবে এবং প্রবিধান দ্বারা উক্ত ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ এবং উহার ব্যবহারের জন্য ফিস ধার্য করিতে পারিবে৷(২) কর্পোরেশন প্রবিধান দ্বারা ধোপীদের লাইসেন্স এবং তাহাদের পেশা নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করিতে পারিবে৷
৯৯৷ (১) সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, কর্পোরেশন ব্যক্তি মালিকানাধীন নহে এবং নগরীর মধ্যে অবস্থিত এইরূপ সকল পানির উত্স, ঝর্ণা, নদী, দীঘি, পুকুর ও ধারা অথবা উহার কোন অংশকে সরকারী জলাধার হিসাবে ঘোষণা করিতে পারিবে৷(২) কর্পোরেশন প্রবিধান অনুযায়ী কোন সরকারী জলাধারে আমোদ-প্রমোদ এবং জীবন রক্ষার নিমিত্ত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে এবং পানি-সেচ, পানি-নিষ্কাশন ও নৌ-চলাচল সম্পর্কিত আপাততঃ বলবত্ অন্য কোন আইনের বিধান সাপেক্ষে উহার উন্নয়ন ও সংস্কার করিতে পারিবে৷
১০০৷ (১) কর্পোরেশন প্রবিধান দ্বারা সরকারী জলাধারে ভাড়ায় চলাচলকারী নৌকা বা অন্যান্য যানবাহনের জন্য লাইসেন্সের ব্যবস্থা করিতে, লাইসেন্সের শর্ত নির্ধারণ করিতে এবং তজ্জন্য প্রদেয় ফিস নির্দিষ্ট করিতে পারিবে৷(২) সরকার কোন জলাধারের অংশ বিশেষকে সাধারণ খেয়া পারাপার হিসাবে ঘোষণা করিয়া উহার ব্যবস্থাপনা কর্পোরেশনের উপর ন্যস্ত করিতে পারিবে এবং কর্পোরেশন বিধি অনুযায়ী উক্ত খেয়া পরিচালনা করিবে এবং উহা ব্যবহারের জন্য নির্ধারিত টোল আদায় করিবে৷
১০১৷ কর্পোরেশন, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, কোন জলাধারকে সাধারণ মত্স্যক্ষেত্র হিসাবে ঘোষণা করিতে পারিবে এবং উক্তরূপ মত্স্যক্ষেত্রে মত্স্য শিকারের অধিকার কর্পোরেশনের উপর ন্যস্ত থাকিবে, এবং কর্পোরেশন বিধি অনুসারে উক্ত অধিকার প্রয়োগ করিতে পারিবে৷
১০২৷ কর্পোরেশন প্রবিধান দ্বারা-(ক) লাইসেন্স ব্যতীত কোন স্থান বা ঘরবাড়ীতে কোন নির্দিষ্ট খাদ্য বা পানীয় দ্রব্য প্রস্তুত বা বিক্রয় নিষিদ্ধ করিতে পারিবে;(খ) লাইসেন্স প্রাপ্ত ব্যক্তি ছাড়া অন্য কোন ব্যক্তি কর্তৃক নির্দিষ্ট খাদ্য বা পানীয় দ্রব্য বিক্রয়ার্থে নগরীতে আমদানী কিংবা বিক্রয় বা বিক্রয়ের জন্য ফেরী করা নিষিদ্ধ করিতে পারিবে;(গ) প্রবিধানে উল্লিখিত নগরীর স্থানসমূহে নির্দিষ্ট খাদ্য ও পানীয় দ্রব্যাদি ফেরী করা নিষিদ্ধ করিতে পারিবে;(ঘ) নির্দিষ্ট খাদ্য ও পানীয় দ্রব্য পরিবহনের সময় ও পদ্ধতি নিয়ন্ত্রণ করিতে পারিবে;(ঙ) এই ধারার অধীনে লাইসেন্স প্রদান ও প্রত্যাহার এবং লাইসেন্সের জন্য প্রদেয় ফিস নিয়ন্ত্রণ করিতে পারিবে; এবং(চ) খাদ্যের জন্য আনীত বা নির্দিষ্ট কোন রোগাক্রান্ত পশু, হাঁস-মুরগী বা মাছ কিংবা কোন বিষাক্ত খাদ্য বা পানীয় দ্রব্য আটক ও ধ্বংসের ব্যবস্থা করিতে পারিবে৷
১০৩৷ (১) কর্পোরেশন কর্তৃক প্রদত্ত লাইসেন্স এবং উক্ত লাইসেন্সের শর্তানুসারে ব্যতীত কোন ব্যক্তি নগরীতে দুগ্ধ বিক্রয়ের জন্য দুগ্ধবতী গবাদি পশুপালন করিবেন না অথবা কোন দুগ্ধ আমদানী বা বিক্রয় করিবেন না, অথবা মাখন, ঘি বা দুগ্ধজাত অন্যান্য দ্রব্যাদি প্রস্তুত করিবেন না বা অনুরূপ কোন উদ্দেশ্যে ঘরবাড়ী ব্যবহার করিবেন না৷(২) কর্পোরেশন, সরকারের পূর্ব অনুমোদনক্রমে, বিধি অনুসারে দুগ্ধ সরবরাহ প্রকল্প প্রণয়ন বা বাস্তবায়ন করিতে পারিবে এবং অনুরূপ প্রকল্পে অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে গোয়ালা কলোনী স্থাপন এবং নগরীর কোন এলাকায় দুগ্ধবতী গবাদিপশু পালন নিষিদ্ধ করার এবং জনসাধারণের নিকট পর্যাপ্ত পরিমাণ খাঁটি দুগ্ধ সরবরাহ নিশ্চিতকরণের জন্য বিধান থাকিবে৷
১০৪৷ (১) আপাততঃ বলবত্ অন্য কোন আইন সাপেক্ষে, কর্পোরেশন খাদ্যদ্রব্য, পানীয় ও জীবজন্তু বিক্রয়ের জন্য সাধারণের বাজার প্রতিষ্ঠা ও রক্ষণাবেক্ষণ করিতে পারিবে৷(২) আপাততঃ বলবত্ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কর্পোরেশন সাধারণের বাজার নির্মাণের উদ্দেশ্যে তত্কর্তৃক স্থিরকৃত শর্তাবলী সাপেক্ষে, ইচ্ছুক দখলকারগণের নিকট হইতে নির্ধারিত সালামী বা আগাম ভাড়া আদায় করিতে পারিবে৷(৩) কর্পোরেশন সাধারণের বাজারের জন্য প্রবিধান দ্বারা-(ক) বাজার ব্যবহার অথবা বাজারে পণ্য বিক্রয়ের জন্য ফিস ধার্য করার;(খ) বিক্রয়ার্থ পণ্য বহনকারী যানবাহন বা পশুর উপর ফিস আরোপ করার;(গ) দোকান ও ষ্টল ব্যবহারের জন্য ফিস আদায় করার;(ঘ) বিক্রয়ের জন্য আনীত বা বিক্রিত পশুর উপর ফিস ধার্য করার; এবং(ঙ) বাজারের দালাল, কমিশন এজেন্ট, কয়াল এবং বাজারে জীবিকা অর্জনকারী অন্যান্য ব্যক্তির নিকট হইতে ফিস আদায়ের বিধান করিতে পারিবে৷
১০৫৷ (১) কর্পোরেশন কর্তৃক প্রদত্ত লাইসেন্স এবং উহার শর্তানুযায়ী ব্যতীত কর্পোরেশন এলাকার মধ্যে কোন বেসরকারী বাজার প্রতিষ্ঠা অথবা রক্ষণাবেক্ষণ করা যাইবে না৷(২) উপ-ধারা (১) এ যাহাই থাকুক না কেন, এই আইন বলবত্ হওয়ার পূর্বে নগরীতে কোন ব্যক্তির কোন বেসরকারী বাজার থাকিলে, তিনি এই আইন বলবত্ হওয়ার তিন মাসের মধ্যে কর্পোরেশনের নিকট লাইসেন্সের জন্য আবেদন করিবেন এবং যতদিন পর্যন্ত তাঁহাকে লাইসেন্স প্রদান করা না হয় ততদিন পর্যন্ত তিনি উক্ত বাজার রক্ষণাবেক্ষণ করিতে থাকিবেন৷(৩) কর্পোরেশন প্রবিধান অনুযায়ী বেসরকারী বাজার হইতে ফিস আদায় করিতে পারিবে৷(৪) কর্পোরেশন যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে কোন বেসরকারী বাজার জনস্বার্থে বন্ধ করিয়া দেওয়া অথবা উহার কর্তৃত্ব কর্পোরেশনের গ্রহণ করা উচিত, তাহা হইলে কর্পোরেশন বাজারটি বন্ধ করিবার জন্য নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন অথবা Acquisition and Requisition of Immovable Property Ordinance, 1982 (VI of 1982) এর অধীন উক্ত বাজার অধিগৃহীত হইলে উহার জন্য যে ক্ষতিপূরণ দেয়া হইবে সেই ক্ষতিপূরণ প্রদান সাপেক্ষে কর্পোরেশন উক্ত বাজারের কর্তৃত্বভার গ্রহণ করিবে৷(৫) কর্পোরেশন নোটিশ দ্বারা বেসরকারী বাজারের মালিককে উক্ত নোটিশে বর্ণিত সময়ের মধ্যে বাজারের প্রয়োজনীয় নির্মাণ কার্য সমাধা করার, বা উহাতে প্রয়োজনীয় সুবিধাদির ব্যবস্থা করার এবং উহা রক্ষণাবেক্ষণের জন্য নোটিশে উল্লেখিত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দিতে পারিবে৷
১০৬৷ কর্পোরেশন নগরীর সীমানার মধ্যে বা উহার বাহিরে সরকার কর্তৃক অনুমোদিত এক বা একাধিক স্থানে মাংস বিক্রির উদ্দেশ্যে পশু জবাই বা কসাইখানার ব্যবস্থা করিবে৷
১০৭৷ (১) কর্পোরেশন পশু হাসপাতাল ও ডিসপেনসারী প্রতিষ্ঠা ও রক্ষণাবেক্ষণ করিতে পারিবে এবং প্রবিধান দ্বারা উহাদের কার্য নিয়ন্ত্রণ ও উহার চিকিত্সা বাবত আদায়যোগ্য ফিস ধার্য করিতে পারিবে৷(২) কর্পোরেশন প্রবিধান দ্বারা পশুর মধ্যে সংক্রামক রোগের সংজ্ঞা নিরূপণ করিতে পারিবে এবং ঐ সকল রোগের বিস্তার রোধ করিয়া বাধ্যতামূলক টিকাদান ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের বিধান করিতে পারিবে; এবং অনুরূপ রোগ জীবাণু দ্বারা যে সকল পশু আক্রান্ত হইয়াছে বলিয়া সন্দেহ হয় সেই সকল পশুর চিকিত্সার ও ধ্বংসের ব্যবস্থা করিতে পারিবে৷
১০৮৷ (১) কর্পোরেশন প্রবিধান দ্বারা রাস্তায় বা জনসাধারণের ব্যবহৃত স্থান বা কর্ষিত ভূমিতে বন্ধনহীন অবস্থায় ইতস্ততঃ বিচরণরত পশু আটক করা ও খোয়াড়ে আবদ্ধ রাখার ব্যবস্থা করিতে পারিবে৷(২) কর্পোরেশন প্রবিধান দ্বারা গবাদিপশু আবদ্ধ করিবার জন্য খোয়াড়ের ব্যবস্থা করিতে পারিবে এবং আবদ্ধকৃত পশুর জন্য জরিমানা ও ফিস আদায়ের বিধান করিতে পারিবে৷(৩) কর্পোরেশন কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে নিষিদ্ধ কোন রাস্তায় বা স্থানে কোন পশু খোঁটায় বাঁধিয়া কিংবা আটকাইয়া রাখা যাইবে না, এবং যদি উক্তরূপ কোন রাস্তায় বা স্থানে কোন পশু বাঁধা বা আটক অবস্থায় পাওয়া যায় তবে উহাকে বন্ধ করা এবং খোয়াড়ে আবদ্ধ রাখা যাইবে৷
১০৯৷ (১) কর্পোরেশন, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, পশুশালা স্থাপন ও রক্ষণাবেক্ষণ করিতে পারিবে এবং উহাতে ব্যক্তিগত মালিকানাধীন রাখিবার ব্যবস্থা করিতে পারিবে৷(২) কর্পোরেশন, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, পশু ও হাঁস-মুরগীর খামার স্থাপন ও রক্ষণাবেক্ষণ করিতে পারিবে৷
১১০৷ কর্পোরেশন প্রবিধান দ্বারা উহাতে উল্লেখিত প্রত্যেক পশুর বিক্রয় রেজিষ্ট্রী করিবার এবং নির্দেশ দিতে পারিবে এবং অনুরূপ বিক্রয় প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতি এবং ফিস প্রদানে রেজিষ্ট্রী করার বিধান করিতে পারিবে৷
১১১৷ কর্পোরেশন, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, পশুপালন উন্নয়ন প্রকল্প প্রণয়ন অথবা বাস্তবায়নের ব্যবস্থা করিতে পারিবে, এবং অনুরূপ প্রকল্পে অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে কোন ব্যক্তি যাহাতে নির্দিষ্ট কোন বয়স অপেক্ষা অধিক বয়সী পশু নির্বীর্য না করিয়া অথবা কোন উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক, উহা প্রজননক্ষম এই মর্মে প্রত্যায়ন না করাইয়া রাখিতে না পারে তাহার বিধানও করা যাইবে৷
১১২৷ কর্পোরেশন প্রবিধান দ্বারা কোন্ পশু বিপজ্জনক পশু বলিয়া গণ্য হইবে এবং কোন্ পশু কি অবস্থায় সচরাচর বিপজ্জনক না হওয়া সত্ত্বেও কি অবস্থায় বিপজ্জনক বলিয়া গণ্য হইবে তাহার বিধান করিতে পারিবে, এবং অনুরূপ প্রবিধানে অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে অনুরূপ পশু আটক ও ধ্বংস করার ব্যবস্থা থাকিতে হইবে৷
১১৩৷ (১) কর্পোরেশন নগরীতে গবাদিপশু প্রদর্শনী ও মেলা অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করিতে পারিবে এবং উক্ত প্রদর্শনী ও মেলায় দর্শকদের নিকট হইতে প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত ফিস আদায় করিতে পারিবে৷(২) কর্পোরেশন, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, চিড়িয়াখানা স্থাপন ও রক্ষণাবেক্ষণ করিতে পারিবে এবং তদুদ্দেশ্যে চাঁদা প্রদান করিতে পারিবে৷
১১৪৷ যদি কোন ব্যক্তির তত্ত্বাবধানে রক্ষিত কোন পশু বিক্রয় করা বা খাওয়ার অথবা কোন ধর্মীয় উদ্দেশ্যে জবাই করা ছাড়া অন্য কোনভাবে মারা যায়, তাহা হইলে সেই ব্যক্তি-(ক) উক্ত পশুর মৃতদেহ চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে কর্পোরেশন কর্তৃক নির্ধারিত স্থানে (যদি থাকে) ফেলিয়া দিবেন কিংবা নগরীর সীমানার এক মাইল বাহিরে কোন স্থানে ফেলিয়া দিবেন; অথবা(খ) উক্ত পশুর মৃত সম্পর্কে কর্পোরেশনকে অবহিত করিবেন এবং কর্পোরেশন উক্ত পশুর মৃতদেহ অপসারণের ব্যবস্থা করিবে এবং প্রবিধান অনুযায়ী উক্ত ব্যক্তির নিকট হইতে ফিস আদায় করিতে পারিবে৷ব্যাখ্যা৷- এই ধারায় “পশু” বলিতে শিং বিশিষ্ট সকল প্রকার গবাদি পশু, হাতি, উট, ঘোড়া, টাট্টু-ঘোড়া, গাধা, খচ্চর, হরিণ, ভেড়া, ছাগল, শুকর, কুকুর, বিড়াল এবং অন্যান্য বৃহদাকার পশুকে বুঝাইবে৷
১১৫৷ কর্পোরেশন নগরীর জন্য একটি মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করিতে পারিবে এবং উহাতে অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে নিনিম্নবর্ণিত বিষয়াদির বিধান থাকিবে-(ক) নগরীর ইতিহাস, পরিসংখ্যান, জনকল্যাণমূলক এবং অন্যান্য নির্ধারিত বিষয়াদির বিবরণ সম্বলিত একটি জরিপ;(খ) নগরীর কোন এলাকার উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ; এবং(গ) নগরীর মধ্যে কোন এলাকায় জমির উন্নতিসাধন, ইমারত নির্মাণ বা পুনঃনির্মাণ সম্পর্কে বিধি-নিষেধ ও নিয়ন্ত্রণ৷
১১৬৷ (১) ধারা ১১৫ এর অধীনে প্রণীত কোন মহাপরিকল্পনা সরকার কর্তৃক অনুমোদিত হইলে, অনুমোদিত মহাপরিকল্পনার অন্তর্ভুক্ত কোন এলাকায় কোন জমির মালিক উক্ত এলাকার জন্য বিধি অনুযায়ী প্রণীত জমি উন্নয়ন প্রকল্পের সহিত অসামঞ্জস্য হয় এইভাবে মহাপরিকল্পনায় নির্ধারিত পরিমাণের অধিক কোন জমির উন্নয়ন সাধন বা উহাতে কোন ইমারত নির্মাণ বা পুনঃনির্মাণ করিতে পারিবে না৷(২) কোন জমি উন্নয়ন পরিকল্পনায় অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে নিনিম্নবর্ণিত বিষয়াদির বিধান থাকিবে, যথা-(ক) কোন এলাকাকে বিভিন্ন প্লটে বিভক্তকরণ;(খ) রাস্তা, নর্দমা ও খালি জায়গার ব্যবস্থাকরণ;(গ) জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য সংরক্ষিত এবং কর্পোরেশনকে হস্তান্তরিত হইবে এইরূপ জমি;(ঘ) কোন জমি কর্পোরেশন অধিগ্রহণ করিবে;(ঙ) প্লটসমূহের মূল্য;(চ) কোন স্থানের মালিকের খরচে সম্পাদনীয় কার্য; এবং(ছ) এলাকার উন্নতিসাধনের জন্য প্রয়োজনীয় সময়৷
১১৭৷ (১) জমি উন্নয়ন প্রকল্প কর্পোরেশনের পরিদর্শনাধীনে নিয়ন্ত্রণ ও বাস্তবায়িত করা হইবে, এবং ইহা বাস্তবায়নের ব্যাপারে কর্পোরেশন প্রয়োজনীয় নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে৷(২) যদি জমি উন্নয়ন প্রকল্পের বিধানের খেলাপ করিয়া কোন জায়গা উন্নয়ন করা হয়, তাহা হইলে কর্পোরেশন নোটিশ দ্বারা জমির মালিককে অথবা বিধান খেলাপকারী ব্যক্তিকে নোটিশে উল্লিখিতভাবে জায়গাটিতে পরিবর্তন সাধন করিবার জন্য নির্দেশ দিতে পারিবে; এবং যদি নির্দেশ মোতাবেক পরিবর্তন সাধন না করা হয় অথবা পরিবর্তন সাধন করা সম্ভব না হয়, তাহা হইলে কর্পোরেশন প্রবিধান অনুসারে আপত্তিকর নির্মাণ কার্য ভাংগিয়া ফেলিতে বা ভাংগিয়া ফেলিবার নির্দেশ দিতে পারিবে, এবং অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন উক্তরূপ ভাংগিয়া ফেলার জন্য কোন ক্ষতিপূরণ প্রদেয় হইবে না৷(৩) যদি জমি উন্নয়ন প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত কোন জমির, প্রকল্প নির্ধারিত সময়ের মধ্যে, উন্নয়ন সাধন করা না হয় এবং কর্পোরেশন তজ্জন্য সময় বর্ধন না করে অথবা জমিটির উন্নয়ন উক্ত প্রকল্পের সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ না হয়, তাহা হইলে কর্পোরেশন প্রবিধান অনুসারে জমিটি উন্নয়নের ভার স্বয়ং গ্রহণ করতঃ প্রয়োজনীয় নির্মাণ কাজ সমাধান করিতে পারিবে, এবং কর্পোরেশন কর্তৃক ব্যয়িত অর্থ জমির মালিকের নিকট হইতে তাহার উপর এই আইনের অধীন আরোপিত কর হিসাবে আদায়যোগ্য হইবে৷
১১৮৷ (১) যদি কর্পোরেশন কোন ইমারত বা উহার উপর স্থাপিত কোন কিছু ধ্বংসোন্মুখ অবস্থায় ধ্বসিয়া পড়ার সম্ভাবনাময় অবস্থায় রহিয়াছে বলিয়া মনে করে, কিংবা উহা কোন প্রকারে উহার বাসিন্দাদের অথবা উহার পার্শ্ববর্তী কোন ইমারত বা উহার বাসিন্দাদের বা পথচারীদের জন্য বিপজ্জনক বলিয়া মনে করে, তাহা হইলে কর্পোরেশন নোটিশ দ্বারা উহাতে উল্লিখিত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য উক্ত ইমারতের মালিককে বা দখলকারকে নির্দেশ দিতে পারিবে, এবং যদি এই নির্দেশ পালনে কোন ত্রুটি হয় তাহা হইলে কর্পোরেশন নিজেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করিতে পারিবে এবং এতদুদ্দেশ্যে ব্যয়িত অর্থ ইমারতের মালিকের নিকট হইতে তাহার উপর এই আইনের অধীনে আরোপিত কর হিসাবে আদায়যোগ্য হইবে৷(২) যদি কোন ইমারত বিপজ্জনক অবস্থায় থাকে, বা উহা মনুষ্য বসবাসের অযোগ্য হয় তাহা হইলে কর্পোরেশন উহার সন্তোষ মোতাবেক ইমারতটি মেরামত না করা পর্যন্ত উহাতে বসবাস নিষিদ্ধ করিতে পারিবে৷
১১৯৷ (১) কর্পোরেশন নগরীর অধিবাসী এবং নগরীতে আগন্তুকদের আরাম ও সুবিধার জন্য প্রয়োজনীয় রাস্তা এবং অন্যান্য যোগাযোগের ব্যবস্থা ও রক্ষণাবেক্ষণ করিবে৷(২) কর্পোরেশন বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে রাস্তা রক্ষণাবেক্ষণ ও রাস্তা উন্নয়ন কর্মসূচী প্রণয়ন ও কার্যকর করিবে এবং ইহা বাবদ যাবতীয় ব্যয় বাজেটের অংশ বলিয়া গণ্য হইবে; তবে সরকার প্রয়োজনবোধে উক্ত কর্মসূচী পরিবর্তন বা সংশোধন করিতে পারিবে৷
১২০৷ (১) কর্পোরেশনের পূর্বানুমোদন ব্যতিরেকে এবং উক্ত অনুমোদনের শর্তানুযায়ী ব্যতীত কোন নূতন রাস্তা তৈয়ার করা যাইবে না৷(২) সাধারণের রাস্তা ব্যতীত অন্যান্য সকল রাস্তা প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে সংরক্ষিত হইবে৷(৩) কর্পোরেশন নোটিশ দ্বারা, নোটিশে বর্ণিত পদ্ধতিতে কোন রাস্তা পাকা করা বা উহার পানি নিষ্কাশন বা উহার আলোর ব্যবস্থা করা বা অন্য কোন প্রকারে উহাকে উন্নত করার নির্দেশ দিতে পারিবে; এবং যদি উক্ত নির্দেশ অমান্য করা হয়, তাহা হইলে কর্পোরেশন স্বীয় এজেন্ট দ্বারা উক্ত কার্য সম্পাদন করাইতে পারিবে এবং ইহা বাবদ ব্যয়িত অর্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নিকট হইতে তাহাদের উপর এই আইনের অধীন আরোপিত কর হিসাবে আদায়যোগ্য হইবে৷(৪) কোন সাধারণ রাস্তা ছাড়া অন্য কোন রাস্তা কি পদ্ধতিতে সাধারণ রাস্তায় পরিবর্তিত করা যাইবে সরকার বিধি দ্বারা উহা নির্ধারণ করিতে পারিবে৷
১২১৷ (১) কর্পোরেশন, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, যে কোন রাস্তার নামকরণ করিতে পারিবে এবং রাস্তার নাম উহার উপর বা উহার কোন মোড়ে কিংবা উহার শেষ প্রান্তে বা প্রবেশ পথে পরিষ্কারভাবে ফলকে লিপিবদ্ধ করিতে হইবে৷(২) কোন ব্যক্তি কোন রাস্তা বা উহার নাম বা নাম ফলক বিনষ্ট বা ক্ষতিগ্রস্ত করিবে না কিংবা কর্পোরেশনের পূর্ব অনুমতি ব্যতীত উহার নাম ফলক অপসারণ করিবে না৷(৩) কর্পোরেশন প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে রাস্তা বা ইমারত নির্মাণের সীমারেখা অংকিত করিতে পারিবে এবং কোন রাস্তা বা ইমারত নির্মাণের ব্যাপারে এইরূপ সীমারেখা মানিয়া চলার নির্দেশ দিতে পারিবে৷(৪) কর্পোরেশন প্রবিধান দ্বারা রাস্তার উপদ্রব এবং রাস্তা সংক্রান্ত ব্যাপারে অপরাধের সংজ্ঞা নিরূপণ করিতে পারিবে এবং উহা প্রতিরোধ ও দূরীকরণের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে৷
১২২৷ (১) কর্পোরেশনের কোন রাস্তা, নর্দমা, ভূমি, বাড়ী, গলি বা পার্কে কর্পোরেশন কর্তৃক প্রদত্ত লাইসেন্স ব্যতিরেকে এবং উহার শর্তাবলী ব্যতীত, কোন ব্যক্তি কোন প্রকারে অবৈধভাবে পদার্পণ করিবেন না৷(২) উক্তরূপ অবৈধ পদার্পণ হইলে কর্পোরেশন নোটিশ দ্বারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অবৈধ পদার্পণকারী ব্যক্তিকে তাহার অবৈধ পদার্পণ বন্ধ করিবার জন্য নির্দেশ দিতে পারিবে এবং উক্ত সময়ের মধ্যে যদি তিনি এই নির্দেশ মান্য না করেন তাহা হইলে কর্পোরেশন অবৈধ পদার্পণ বন্ধ করিবার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে এবং এই বাবত যে ব্যয় হইবে তাহা উক্ত পদার্পণকারীর নিকট হইতে তাহার উপর এই আইনের অধীন আরোপিত কর হিসাবে আদায়যোগ্য হইবে৷(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীনে জারীকৃত নোটিশ দ্বারা সংক্ষুব্ধ কোন ব্যক্তি নোটিশ প্রাপ্তির পনের দিনের মধ্যে সরকারের নিকট আপীল করিতে পারিবে; এবং ইহার উপর সরকারের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হইবে৷
১২৩৷ (১) কর্পোরেশন সাধারণের রাস্তায় বা উহার উপর ন্যস্ত সর্বসাধারণের ব্যবহার্য অন্যান্য স্থান যথাযথভাবে আলোকিত করিবার ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে৷(২) কর্পোরেশন, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে রাস্তায় আলোকিতকরণ প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করিতে পারিবে৷
১২৫৷ পথচারীগণ যাহাতে পথ চলিতে বিপদগ্রস্ত না হন এবং তাহারা নিরাপদে ও অনায়াসে পথে চলাফেরা করিতে পারে তন্নিমিত্ত কর্পোরেশন প্রবিধান দ্বারা যানবাহনের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করিতে পারিবে৷
১২৬৷ (১) কোন ব্যক্তি কর্পোরেশন কর্তৃক প্রদত্ত লাইসেন্স ব্যতীত নগরীতে মটরগাড়ী ছাড়া অন্য কোন সাধারণ যানবাহন রাখিতে, ভাড়া দিতে বা চালাইতে পারিবেন না৷(২) কোন ব্যক্তি কর্পোরেশন কর্তৃক প্রদত্ত লাইসেন্স ব্যতিরেকে এবং উহার শর্তানুযায়ী ব্যতীত নগরীতে কোন সাধারণ যানবাহন টানিবার জন্য ঘোড়া বা অন্য পশু ব্যবহার করিতে পারিবে না৷(৩) কর্পোরেশন, সরকারের পূর্ব অনুমোদনক্রমে, এবং প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে সাধারণ যানবাহনের ভাড়া নির্ধারণ করিতে পারিবে এবং কোন ব্যক্তি এইরূপ নির্ধারিত ভাড়ার অধিক ভাড়া দাবি করিতে পারিবেন না৷
১২৭৷ (১) কর্পোরেশন অগ্নিনিরোধ ও অগ্নিনির্বাপণের জন্য দমকল বাহিনী গঠন করিতে পারিবে এবং উহার সদস্য সংখ্যা, যানবাহন, যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামাদি নির্ধারিত হইবে৷(২) নগরীতে কোন অগ্নিকাণ্ড ঘটিলে, কোন ম্যাজিষ্ট্রেট অথবা দমকল বাহিনীর কার্য পরিচালনাকারী কোন কর্মকর্তা কিংবা অন্যুন সাব-ইন্সপেক্টরের পদ মর্যাদা সম্পন্ন কোন পুলিশ কর্মকর্তা-(ক) কোন ব্যক্তি অগ্নিনির্বাপণ কার্যে অথবা যান-মাল রক্ষার ব্যাপারে বাধা প্রদান বা হস্তক্ষেপ করিলে তাহাকে অপসারণ করিতে বা অপসারণের আদেশ প্রদান করিতে পারিবেন;(খ) অগ্নিকাণ্ডের স্থানে বা উহার পার্শ্ববর্তী এলাকায় যে কোন রাস্তা বা পথ বন্ধ করিয়া দিতে পারিবেন;(গ) অগ্নিনির্বাপণের উদ্দেশ্যে যে কোন বাড়ীঘর সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে ভাংগিয়া দিতে পারিবেন অথবা উহার মধ্য দিয়ে অগ্নিনির্বাপণকারী পানির পাইপ ও যন্ত্রপাতি নেওয়ার জন্য পথের ব্যবস্থা করিতে পারিবেন;(ঘ) যে স্থানে অগ্নিকাণ্ড ঘটিয়াছে সে স্থানে পানির চাপ বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে উহার চতুর্পার্শ্বে অবস্থিত যে কোন পাইপ বন্ধ করিয়া দিতে পারিবেন;(ঙ) অগ্নিনির্বাপক গাড়ীর দায়িত্বে নিয়োজিত কোন ব্যক্তিকে অগ্নিনির্বাপণে সম্ভাব্য সকল সাহায্যদানের আহ্বান জানাইতে পারিবেন;(চ) যান-মাল রক্ষার্থে অন্য যে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবেন৷(৩) এই ধারার অধীনে কোন কিছু করা হইলে অথবা সরল বিশ্বাসে করার ইচ্ছা করা হইলে তজ্জন্য কোন ব্যক্তিকে কোন ক্ষতিপূরণ দিতে হইবে না৷(৪) উপ-ধারা (৩)-এ অথবা অন্য কোন আইনে বা কোন বীমা পলিসিতে যাহাই থাকুক না কেন, এই ধারার অধীনে প্রদত্ত ক্ষমতা প্রয়োগ করার ফলে কোন ক্ষতি হইলে সেই ক্ষতিকে কোন অগ্নি-বীমা পলিসীর প্রয়োজনে অগ্নিকাণ্ডজনিত স্ফীতি বলিয়া গণ্য হইবে৷
১২৯৷ বন্যা প্রতিরোধ করিবার, বন্যা দুর্গত এলাকা হইতে জনগণকে উদ্ধার করিবার এবং বন্যা কবলিত জনগণকে সাহায্য করিবার জন্য কর্পোরেশন প্রয়োজনীয় নৌকা, সাজসরঞ্জাম এবং যন্ত্রপাতির ব্যবস্থা করিবে৷
১৩১৷ (১) সরকার বিধিমালা দ্বারা কি কি দ্রব্য বা ব্যবসায় এই ধারার উদ্দেশ্যে বিপজ্জনক ও ক্ষতিকর তাহা নির্ধারণ করিবে৷(২) কর্পোরেশন কর্তৃক মঞ্জুরীকৃত কোন লাইসেন্স ব্যতিরেকে এবং উহার শর্তানুযায়ী ব্যতীত কোন ব্যক্তি-(ক) কোন বিপজ্জনক বা ক্ষতিকর ব্যবসায় চালাইতে পারিবেন না;(খ) কোন বাড়ীঘর বা স্থানকে কোন বিপজ্জনক বা ক্ষতিকর ব্যবসার জন্য ব্যবহার করিতে দিতে পারিবেন না; এবং(গ) গার্হস্থ্য কার্যে ব্যবহারের উদ্দেশ্য ছাড়া অন্য কোন উদ্দেশ্যে বা কোন আইন দ্বারা নির্ধারিত সীমার অধিক কোন বিপজ্জনক বা ক্ষতিকর বস্তু কোন বাড়ীঘরে রাখিতে পারিবেন না৷(৩) সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, কর্পোরেশন, নগরীর কোন এলাকাকে বিপজ্জনক ও ক্ষতিকর বস্তুর ব্যবসায়ের জন্য নিষিদ্ধ এলাকা বলিয়া নির্ধারিত করিতে পারিবে এবং উক্ত এলাকায় উক্তরূপ বস্তুর ব্যবসায় নিষিদ্ধ করিতে পারিবে৷
১৩২৷ (১) কর্পোরেশন মৃত ব্যক্তির দাফন বা দাহের জন্য গোরস্থান ও শ্মশানের ব্যবস্থা করিবে এবং উহার রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে৷(২) সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, সর্বসাধারণের ব্যবহার্য কোন গোরস্থান বা শ্মশানকে কর্পোরেশনের উপর ন্যস্ত বলিয়া ঘোষণা করিতে পারিবে এবং অনুরূপ ঘোষণার পর উহা কর্পোরেশনে ন্যস্ত হইবে এবং কর্পোরেশন উহার রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে৷(৩) যে সকল গোরস্থান বা শ্মশান কর্পোরেশন কর্তৃক পরিচালিত হয় না সেই সকল গোরস্থান বা শ্মশান কর্পোরেশনের নিকট রেজিষ্ট্রিভুক্ত করাইতে হইবে এবং উহা প্রবিধান অনুযায়ী কর্পোরেশনের নিয়ন্ত্রণ ও পরিদর্শনাধীন থাকিবে৷(৪) কর্পোরেশন কর্তৃক মঞ্জুরীকৃত কোন লাইসেন্স ব্যতিরেকে এবং উহার শর্তানুযায়ী ব্যতীত কোন নূতন গোরস্থান বা শ্মশান প্রতিষ্ঠা করা যাইবে না৷
১৩৩৷ (১) কর্পোরেশন নগরীর সাধারণ রাস্তা ও অন্যান্য সরকারী জায়গায় বৃক্ষ রোপণ করিবে এবং উহার সংরক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে৷(২) কর্পোরেশন সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে বৃক্ষ-গবেষণা পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করিতে পারিবে৷
১৩৪৷ (১) কর্পোরেশন নগরীর মধ্যে সর্বসাধারণের সুবিধা ও চিত্তবিনোদনের জন্য প্রয়োজনীয় সাধারণ উদ্যান নির্মাণ ও উহার রক্ষণাবেক্ষণ করিতে পারিবে, এবং প্রবিধান অনুযায়ী উক্ত উদ্যান পরিচালিত হইবে৷(২) প্রত্যেক সাধারণ উদ্যানের উন্নয়নের জন্য কর্পোরেশন উন্নয়ন প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করিবে৷
১৩৫৷ কর্পোরেশন নগরীর মধ্যে সর্বসাধারণের সুবিধার্থে খোলা জায়গার ব্যবস্থা করিবে এবং উহাকে তৃনাচ্ছাদিত করার, ঘেরা দেওয়া এবং মনোরম করার যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে৷
১৩৭৷ (১) কর্পোরেশন বৃক্ষ ও চারা গাছের ধ্বংস সাধনকারী কীট-পতংগ বিনাশের ব্যবস্থা করিতে পারিবে৷(২) যদি নগরীর কোন জমিতে বা অংগনে ক্ষতিকর গাছপালা বা লতাগুল্ম জন্মে তাহা হইলে কর্পোরেশন নোটিশ দ্বারা জমি বা অংগনের মালিক ও দখলকারকে উহা পরিষ্কার করার জন্য নির্দেশ দিতে পারিবে, এবং যদি তিনি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে উহা করিতে ব্যর্থ হন, তাহা কর্পোরেশন নিজেই উহা পরিষ্কার করিতে পারিবে এবং ইহা বাবত কর্পোরেশনের যাবতীয় ব্যয় উক্ত মালিক ও দখলদারের নিকট হইতে তাহাদের উপর এই আইনের অধীন আরোপিত কর হিসাব আদায়যোগ্য হইবে৷(৩) কর্পোরেশন, প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, বিপজ্জনক বৃক্ষ কর্তন করিবার অথবা রাস্তার উপর ঝুলন্ত এবং রাস্তায় চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টিকারী বা অন্য কোন অসুবিধা সৃষ্টিকারী উহার শাখা ছাটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিতে পারিবে৷(৪) কর্পোরেশন, নোটিশ দ্বারা, উহাতে উল্লেখিত কোন এলাকায় জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর কোন শস্য উত্পাদন নিষিদ্ধ করিতে পারিবে৷
১৩৯৷ (১) কর্পোরেশন সরকারের নির্দেশ মোতাবেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রক্ষণাবেক্ষণ করিবে এবং সরকারের পূর্ব অনুমোদনক্রমে নগরীতে শিক্ষার উন্নতির জন্য প্রয়োজনীয় যে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করিতে পারিবে৷(২) কর্পোরেশন যে সকল প্রতিষ্ঠান রক্ষণাবেক্ষণ করিবে সেই সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিধি দ্বারা নির্ধারিত মানসম্মত শিক্ষার ব্যবস্থা করিতে পারিবে৷(৩) কর্পোরেশন নির্ধারিত ফিস ধার্য করিতে পারিবে৷(৪) কর্পোরেশন সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে নগরীতে অবস্থিত বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহকে অর্থ সাহায্য প্রদান করিতে পারিবে৷
১৪০৷ আপাততঃ বলবত্ অন্য কোন আইন সাপেক্ষে, কর্পোরেশন নগরীতে বাধ্যতামূলক শিক্ষা প্রবর্তনের জন্য দায়ী থাকিবে এবং নগরীতে স্কুলে যাওয়ার বয়সী সকল ছেলেমেয়ে যাহাতে কর্পোরেশনের স্বীকৃতিপ্রাপ্ত বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করে তাহা নিশ্চিত করার জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে৷
১৪১৷ কর্পোরেশন-(ক) ছাত্রাবাসরূপে ব্যবহারের জন্য ভবন নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণ করিতে পারিবে;(খ) যোগ্যতাসম্পন্ন এবং মেধাবী ছাত্রদিগকে বৃত্তি প্রদান করিতে পারিবে;(গ) শিক্ষকদের প্রশিক্ষণদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে;(ঘ) প্রাপ্ত বয়স্কদের শিক্ষার উন্নয়নের ব্যবস্থা করিতে পারিবে;(ঙ) অনাথ ও গরীব ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বিনামূল্যে অথবা স্বল্প মূল্যে পাঠ্যপুস্তক প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে;(চ) বিদ্যালয়ের পুস্তকাদি ও ষ্টেশনারী দ্রব্যাদির বিক্রয় কেন্দ্র স্থাপন করিতে পারিবে;(ছ) সরকারের পূর্ব অনুমোদনক্রমে-(১) শিক্ষা সমিতির উন্নয়নের সহায়তা দান করিতে পারিবে;(২) শিক্ষা জরিপ ব্যবস্থা এবং শিক্ষা বিষয়ক প্রকল্প বাস্তবায়ন করিতে পারিবে;(৩) বিদ্যালয়ের ছেলে-মেয়েদের জন্য বিনামূল্যে বা স্বল্পমূল্য প্রদানে দুগ্ধ ও খাদ্য সরবরাহের ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে; এবং(জ) শিক্ষার উন্নয়নে সহায়ক অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে৷
১৪২৷ কর্পোরেশন-(ক) পৌরশিক্ষার প্রসারে এবং সমাজ উন্নয়ন ও জনস্বার্থে সম্পাদিত বিষয়ের প্রচারের জন্য তথ্য কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করিতে পারিবে;(খ) সর্বসাধারণের প্রতিষ্ঠান ও ব্যবহার্য জায়গায় রেডিও সেটের ব্যবস্থা ও রক্ষণাবেক্ষণ করিতে পারিবে;(গ) যাদুঘর ও আর্টগ্যালারী স্থাপন এবং উহার রক্ষিত জিনিসপত্রের প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করিতে পারিবে;(ঘ) পাবলিক হল ও সমাজ কেন্দ্র স্থাপন ও রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা করিতে পারিবে;(ঙ) স্বাধীনতা দিবস ও অন্যান্য জাতীয় ছুটির দিনগুলি উদযাপন করিবার ব্যবস্থা করিতে পারিবে;(চ) কর্পোরেশনের আগমনকারী বিশিষ্ট মেহমানদের সম্বর্ধনার ব্যবস্থা করিতে পারিবে;(ছ) জাতীয় ভাষার ব্যবহারে উত্সাহ দান করিতে পারিবে;(জ) জনসাধারণের মধ্যে শরীর চর্চা, ব্যায়াম ও খেলাধুলার উত্সাহ দান এবং ৠালী ও টুর্নামেন্ট পরিচালনা করিতে পারিবে;(ঝ) নগর ভ্রমণের ব্যবস্থা করিতে পারিবে;(ঞ) নগরীর ঐতিহাসিক বৈশিষ্ট্যপূর্ণ স্থানসমূহ সংরক্ষণের জন্য ব্যবস্থা করিতে পারিবে;(ট) সর্বসাধারণের চিত্তবিনোদনের জন্য সুবিধাদির ব্যবস্থা গ্রহণ ও উন্নতি বিধান করিতে পারিবে; এবং(ঠ) দেশীয় সাংস্কৃতিক অগ্রগতি ও উন্নয়নের সহায়ক সম্ভাব্য অন্যান্য সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে৷
১৪৪৷ কর্পোরেশন সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, নগরীতে কোন মেলা, প্রদর্শনী বা সাধারণ উত্সবের সময় জনস্বাস্থ্য ও জননিরাপত্তা প্রয়োজনে বা জন সুবিধার্থে প্রয়োজনীয় যে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে এবং উহার দর্শকদের উপর ফিস ধার্য করিতে পারিবে৷
১৪৫৷ কর্পোরেশন-(ক) দুঃস্থদের জন্য জনকল্যাণ কেন্দ্র, আশ্রয় কেন্দ্র, এতিমখানা, বিধবা নিবাস ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান স্থাপন ও রক্ষণাবেক্ষণ করিতে পারিবে;(খ) কর্পোরেশন নিজ খরচে নগরীতে মৃত নিঃস্ব ব্যক্তিদের মৃতদেহ দাফন ও দাহের ব্যবস্থা করিতে পারিবে;(গ) ভিক্ষাবৃত্তি, পতিতাবৃত্তি, জুয়া, মাদকদ্রব্য সেবন, মদ্যপান, কিশোর অপরাধ এবং অন্যান্য সামাজিক অনাচার প্রতিরোধের ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে;(ঘ) সমাজ সেবার জন্য স্বেচ্ছাসেবক গঠনে সংগঠিত করিতে পারিবে;(ঙ) নারী, শিশু ও পশ্চাদপদ শ্রেণীর কল্যাণসাধনের জন্য কার্যক্রম ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে;(চ) সমাজ কল্যাণ ও সমাজ উন্নয়নমূলক অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে৷
১৪৬৷ (১) কর্পোরেশন নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করিতে পারিবে তবে অনুরূপ পরিকল্পনা সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষে হইবে এবং উহাতে অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে নিনিম্নবর্ণিত বিষয়াদির বিধান থাকিবে, যথা:-(ক) কর্পোরেশনের কোন বিশেষ কার্যাবলীর উন্নয়ন;(খ) পরিকল্পনার জন্য অর্থ সংগ্রহ এবং বাস্তবায়ন ও তত্ত্বাবধান৷(২) সরকার কর্পোরেশন বা উহার কোন খাত হইতে প্রাপ্ত আয়ের সম্পূর্ণ বা কিয়দংশ কোন উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য ব্যয় করিবার নির্দেশ দিতে পারিবে৷
১৪৯৷ (১) প্রতি বত্সর পহেলা জুলাইয়ের পর এবং সরকার কর্তৃক নির্ধারিত তারিখের পূর্বে কর্পোরেশন সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ফরমে পূর্ববর্তী বত্সরে সম্পাদিত উহার কার্যাবলীর উপর একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন সরকারের নিকট পেশ করিবে৷(২) উপ-ধারা (১) এর অধীনে উল্লিখিত প্রতিবেদনের প্রতিলিপি কর্পোরেশনের কার্যালয়ে বিক্রয়ের জন্য রাখিতে হইবে৷
১৫০৷ সরকার, যে কোন সময়, ধারা ৫২ এর অধীনে নিযুক্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট হইতে কোন রেকর্ড, চিঠিপত্র, পরিকল্পনা, দলিলপত্র, বিবরণ, বিবৃতি, পরিসংখ্যান, হিসাব এবং অন্য কোন তথ্য তলব করিতে পারিবে এবং তিনি উহা সরবরাহ করিতে বাধ্য থাকিবেন৷
১৫১৷ সরকার, কর্পোরেশনের যে কোন কার্যালয় বা অফিস বা উহার যে কোন কার্য বা সম্পত্তি পরিদর্শন বা পরীক্ষার জন্য এবং তত্সম্পর্কে প্রতিবেদন পেশ করিবার জন্য যে কোন কর্মকর্তাকে বিশেষ ক্ষমতা প্রদানপূর্বক প্রেরণ করিতে পারিবে এবং কর্পোরেশন বা উহার সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী উক্ত কর্মকর্তার চাহিদা মাফিক যুক্তিসঙ্গত সময়ে কর্পোরেশনের যে কোন অঙ্গন বা সম্পত্তিতে প্রবেশ করিবার বা উহা পরিদর্শন করিবার এবং যে কোন রেকর্ড, হিসাব-নিকাশ, দলিল-দস্তাবেজ বা অন্যান্য কাগজপত্র পরীক্ষা করিবার সুযোগ প্রদান করিতে বাধ্য থাকিবেন৷
১৫২৷ (১) ধারা ১৫০ এর অধীনে প্রাপ্ত কোন কিছু এবং ধারা ১৫১ এর অধীনে প্রাপ্ত প্রতিবেদন অথবা অন্য কোন তথ্য বিবেচনার পর সরকার যদি মনে করেন যে-(ক) কর্পোরেশন কর্তৃক গৃহীত কোন কার্য বে-আইনী বা নিয়ম বহির্ভূত বা ত্রুটিপূর্ণভাবে, অদক্ষভাবে, অপর্যাপ্তভাবে বা অনুপযুক্তভাবে পালন করা হইয়াছে, বা উহার উপর অর্পিত কোন দায়িত্ব পালন করা হয় নাই; অথবা(খ) কর্পোরেশনের কোন দায়িত্ব পালনের জন্য পর্যাপ্ত অর্থের ব্যবস্থা করা হয় নাই,-তাহা হইলে সরকার, আদেশ দ্বারা, কর্পোরেশনকে উক্ত কার্য হইতে বিরত থাকিবার বা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সরকারের সন্তোষ মোতাবেক উক্ত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন বা উক্ত দায়িত্ব পালনের জন্য পর্যাপ্ত অর্থের ব্যবস্থা করিবার জন্য নির্দেশ দিতে পারিবে, এবং কর্পোরেশন উক্ত নির্দেশ পালন করিতে বাধ্য থাকিবে:তবে শর্ত থাকে যে, সরকারের বিবেচনায় যদি উক্তরূপ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর করা প্রয়োজন না হয় তাহা হইলে, সরকার উক্তরূপ আদেশ প্রদানের পূর্বে কর্পোরেশনকে কারণ দর্শাইবার সুযোগ দিবে৷
১৫৩৷ ধারা ১৫২ এর অধীনে প্রদত্ত আদেশ যথাযথভাবে সম্পাদন করা না হইলে, সরকার, উক্তরূপ সম্পাদনের ব্যবস্থা করিতে পারিবে এবং কর্পোরেশন তহবিল হইতে এই বাবদ সকল ব্যয় নির্বাহের নির্দেশ দিতে পারিবে৷
১৫৪৷ সরকার কর্পোরেশন কর্তৃক গৃহীত কোন কার্যক্রম এই আইন বা বিধি বা প্রবিধান বা অন্য কোন আইনের সহিত অসামঞ্জস্যপূর্ণ বিবেচনা করিলে আদেশ দ্বারা উক্ত কার্যক্রম বাতিল করিতে পারিবে এবং উক্ত কার্যক্রম উক্ত আইন, বিধি বা প্রবিধানের সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ করিবার জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছু করিতে পারিবে:তবে শর্ত থাকে যে, অনুরূপ আদেশ প্রদানের পূর্বে সরকার কর্পোরেশনকে কারণ দর্শাইবার সুযোগ দিবে৷
১৫৫৷ (১) যদি প্রয়োজনীয় তদন্তের পর সরকার এইরূপ অভিমত পোষণ করে যে, গঠিত কর্পোরেশন-(ক) উহার দায়িত্ব পালনে অসমর্থ অথবা ক্রমাগতভাবে উহার দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হইতেছে; অথবা(খ) উহার প্রশাসনিক ও আর্থিক দায়িত্ব পালনে অসমর্থ; অথবা(গ) সাধারণতঃ এমন কাজ করে যাহা জনস্বার্থ বিরোধী; অথবা(ঘ) উহার ক্ষমতার সীমা লঙ্ঘন বা ক্ষমতার অপব্যবহার করিয়াছে বা করিতেছে; অথবা(ঙ) তত্কর্তৃক আরোপিত বাত্সরিক কর, রেট, সেস, টোল, ফি এবং অন্যান্য চার্জ এর শতকরা পঁচাত্তর ভাগ, কোন যুক্তিসঙ্গত কারণ ব্যতিরেকে, আদায়ে ব্যর্থ হইয়াছে;তাহা হইলে সরকার, সরকারী গেজেটে প্রকাশিত আদেশ দ্বারা, গঠিত কর্পোরেশনকে উহার মেয়াদের অবশিষ্ট কার্যকালের জন্য বাতিল করিতে পারিবে:তবে শর্ত থাকে যে, অনুরূপ আদেশ প্রদানের পূর্বে সরকার কর্পোরেশনকে কারণ দর্শাইবার সুযোগ দিবে৷(২) উপ-ধারা (১) এর অধীনে কোন আদেশ প্রকাশিত হইলে-(ক) মেয়র এবং কমিশনারগণ তাঁহাদের পদে আর বহাল থাকিবেন না;(খ) বাতিল থাকাকালীন সময়ে কর্পোরেশনের যাবতীয় দায়িত্ব সরকার কর্তৃক নিযুক্ত কোন ব্যক্তি বা কর্তৃপক্ষ পালন করিবেন; এবং(গ) উক্ত সময়ে কর্পোরেশনের সকল তহবিল ও সম্পত্তি সরকারের উপর ন্যস্ত থাকিবে৷
কর্পোরেশনের কোন বিশেষ বিভাগ বা প্রতিষ্ঠানের কাজকর্ম সাময়িকভাবে স্থগিতকরণ
১৫৬৷ (১) যদি প্রয়োজনীয় তদন্তের পর, সরকার এইরূপ অভিমত পোষণ করে যে, কর্পোরেশন উহার কোন বিশেষ বিভাগ বা প্রতিষ্ঠানকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করিতে অক্ষম, তাহা হইলে সরকার, সরকারী গেজেটে প্রকাশিত আদেশ দ্বারা, উক্ত বিভাগ বা প্রতিষ্ঠানের উপর কর্পোরেশনের কর্তৃত্ব উক্ত আদেশে উল্লেখিত সময়ের জন্য স্থগিত রাখিতে পারিবে৷(২) উপ-ধারা (১) এর অধীনে স্থগিতকরণের পর সরকার, উক্ত বিভাগ বা প্রতিষ্ঠানের পরিচালনার ভার নিজেই গ্রহণ করিতে পারিবে অথবা, উপযুক্ত বিবেচনা করিলে, উহার পরিচালনার জন্য অন্য কোন ব্যবস্থাও গ্রহণ করিতে পারিবে; এবং কর্পোরেশনের ব্যর্থতার ক্ষেত্রে কর্পোরেশন তহবিলের হেফাজতকারী ব্যক্তিকে উক্ত বিভাগ বা প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা ব্যয় নির্বাহের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ সরকারের হস্তে ন্যস্ত করিবার জন্য নির্দেশ দিতে পারিবে৷
১৫৮৷ এই আইনের অধীনে কোন অপরাধ, যাহার জন্য কোন দণ্ডের উল্লেখ এই আইনে স্পষ্টভাবে নাই, করিলে অনধিক পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা যাইবে এবং এই অপরাধ যদি অনবরতভাবে ঘটিতে থাকে, তাহা হইলে, প্রথম দিনের অপরাধের পর পরবর্তী প্রত্যেক দিনের জন্য অপরাধীকে অতিরিক্ত অনধিক পাঁচশত টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা যাইবে৷
১৫৯৷ প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বা এতদুদ্দেশ্যে তাহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি, এই আইনের অধীনে অপরাধ সংক্রান্ত কোন অভিযোগ প্রত্যাহার করিতে পারিবেন৷
১৬০৷ প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, বা কর্পোরেশন হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তির লিখিত অভিযোগ ব্যতীত কোন আদালত, এই আইনের অধীনে কোন অপরাধ বিচারের জন্য গ্রহণ করিতে পারিবেন না৷
১৬১৷ (১) সরকার, নির্ধারিত পদ্ধতিতে, মহানগর সংলগ্ন কোন এলাকাকে মহানগরের অন্তর্ভুক্ত করিতে পারিবে বা মহানগরের কোন এলাকাকে উহা হইতে বহির্ভূত করিতে পারিবে৷(২) কোন এলাকা মহানগরের অন্তর্ভুক্ত করা হইলে, এই আইন, বিধি ও প্রবিধান এবং এই আইনের অধীনে প্রদত্ত সকল আদেশ, নির্দেশ ও ক্ষমতা উক্ত এলাকায় প্রযোজ্য হইবে৷(৩) কোন এলাকা মহানগর হইতে বহির্ভূত করা হইলে, এই আইন, বিধি, প্রবিধান এবং এই আইনের অধীন প্রদত্ত সকল আদেশ, নির্দেশ ও ক্ষমতা উক্ত এলাকায় আর প্রযোজ্য হইবে না৷(৪) সরকার উপ-ধারা (১) এর অধীনে কৃত সংকোচন ও সম্প্রসারণ কার্যকর করার প্রয়োজনে অথবা এতদ্সংক্রান্ত বিষয়ে যে কোন আদেশ প্রদান করিতে পারিবে৷
১৬২৷ এই আইন বা বিধি বা প্রবিধানের অধীনে প্রদত্ত কর্পোরেশন বা মেয়র বা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কোন আদেশ দ্বারা সংক্ষুব্ধ কোন ব্যক্তি নির্ধারিত পদ্ধতি এবং সময়ের মধ্যে নির্ধারিত কর্তৃপক্ষের নিকট উক্ত আদেশের বিরুদ্ধে আপীল করিতে পারিবেন; এবং এইক্ষেত্রে আপীল কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হইবে এবং ইহার বিরুদ্ধে কোন আদালতে কোন প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না৷
১৬৩৷ সময় সময় জারীকৃত স্থায়ী আদেশ দ্বারা, সরকার-(ক) কর্পোরেশনের সঙ্গে অন্যান্য স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সম্পর্ক নিরূপণ ও নিয়ন্ত্রণ করিতে পারিবে;(খ) কর্পোরেশন এবং সরকারী কর্তৃপক্ষের কার্যাবলীর মধ্যে কাজের সমন্বয় সাধন করিতে পারিবে;(গ) কর্পোরেশনকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করিতে পারিবে; এবং(ঘ) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, কর্পোরেশন কর্তৃক অনুসরণীয় সাধারণ পথ-নির্দেশনার বিধান করিতে পারিবে৷
১৬৪৷ (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে৷(২) বিশেষ করিয়া, এবং উপরোক্ত ক্ষমতার সামগ্রিকতাকে ক্ষুণ্ন না করিয়া, অনুরূপ বিধিতে চতুর্থ তফসিলে উল্লেখিত সকল বা যে কোন বিষয়ে বিধান করা যাইবে৷
১৬৫৷ (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, কর্পোরেশন, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে এবং সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা এই আইনের বা বিধির সহিত অসাঞ্জস্যপূর্ণ না হয়, এইরূপ প্রবিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে৷(২) বিশেষ করিয়া, এবং উপরোক্ত ক্ষমতার সামগ্রিকতাকে ক্ষুণ্ন না করিয়া, অনুরূপ প্রবিধানে পঞ্চম তফসিলে উল্লেখিত সকল বা যে কোন বিষয়ে বিধান প্রণয়ন করা যাইবে৷(৩) এই ধারায় যাহা কিছুই থাকুক না কেন, পঞ্চম তফসিলের ১০ হইতে ২৫ পর্যন্ত ক্রমিক নম্বরে (উভয় সমেত) উল্লিখিত বিষয়ের উপর প্রণীত কোন প্রবিধান পূর্ব প্রকাশনা ব্যতিরেকে কার্যকর হইবে না৷
১৬৬৷ (১) সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইন বা বিধির অধীনে উহার সমস্ত বা যে কোন ক্ষমতা বিভাগীয় কমিশনার বা উহার অধীনস্থ অন্য কোন কর্মকর্তাকে অর্পণ করিতে পারিবে৷(২) কর্পোরেশন, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে গৃহীত প্রস্তাব দ্বারা, উহার যে কোন কার্য উহার যে কোন স্থায়ী কমিটিকে বা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে অর্পণ করিতে পারিবে৷(৩) কোন স্থায়ী কমিটি, কর্পোরেশনের পূর্বানুমোদনক্রমে গৃহীত প্রস্তাব দ্বারা, উপ-ধারা (২) এর অধীনে উহার উপর অর্পিত কার্য ছাড়া তাহার যে কোন কার্য কর্পোরেশনের অন্য কোন কর্মকর্তাকে অর্পণ করিতে পারিবে৷
১৬৭৷ (১) এই আইন বা বিধি বা প্রবিধানের অধীন প্রদত্ত সকল লাইসেন্স, অনুমোদন বা অনুমতি লিখিতভাবে হইতে হইবে৷(২) কর্পোরেশন কর্তৃক প্রদত্ত সকল লাইসেন্স, অনুমোদন বা অনুমতি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বা বিধি বা প্রবিধান হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত অন্য কোন কর্মকর্তা কর্তৃক স্বাক্ষরিত হইবে৷
১৬৮৷ (১) কর্পোরেশনের বিরুদ্ধে বা কর্পোরেশন সংক্রান্ত কোন কাজের জন্য মেয়র বা কোন কমিশনার অথবা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অথবা উহার অন্য কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারীর বিরুদ্ধে কোন মামলা দায়ের করিতে ইচ্ছুক ব্যক্তিকে মামলার কারণ এবং বাদীর নাম ও ঠিকানা উল্লেখ করিয়া একটি নোটিশ:(ক) কর্পোরেশনের ক্ষেত্রে, কর্পোরেশনের কার্যালয়ে প্রদান করিতে হইবে বা পৌঁছাইয়া দিতে হইবে;(খ) অন্যান্য ক্ষেত্রে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির নিকট ব্যক্তিগতভাবে বা তাহার অফিস বা বাসস্থানে প্রদান করিতে হইবে বা পৌঁছাইয়া দিতে হইবে৷(২) উক্ত নোটিশ প্রদান বা পৌঁছানোর পর ত্রিশ দিন অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত কোন মামলা দায়ের করা যাইবে না; এবং মামলা আরজীতে উক্ত নোটিশ প্রদান করা বা পৌঁছানো হইয়াছে কিনা তাহারও উল্লেখ থাকিতে হইবে৷
১৬৯৷ (১) এই আইন, বিধি বা প্রবিধান অনুসারে কোন কাজ করা বা করা হইতে বিরত থাকা যদি কোন ব্যক্তির কর্তব্য হয়, তাহা হইলে কোন সময়ের মধ্যে ইহা করিতে হইবে বা ইহা করা হইতে বিরত থাকিতে হইবে তাহা উল্লেখ করিয়া তাহার উপর একটি নোটিশ জারী করিতে হইবে৷(২) এই আইনের অধীনে প্রদেয় কোন নোটিশ গঠনগত ত্রুটির কারণে অবৈধ হইবে না৷(৩) ভিন্নরূপ কোন বিধান না থাকিলে, এই আইনের অধীনে প্রদেয় সকল নোটিশ উহার প্রাপককে হাতে হাতে প্রদান করিয়া অথবা তাহার নিকট ডাকযোগে প্রেরণ করিয়া বা তাহার বাসস্থান বা কর্মস্থলের কোন বিশিষ্ট স্থানে লটকাইয়া জারী করিতে হইবে৷(৪) যে নোটিশ সর্বসাধারণের জন্য তাহা কর্পোরেশন কর্তৃক নির্ধারিত কোন প্রকাশ্য স্থানে লটকাইয়া জারী করা হইলে উহা যথাযথভাবে জারী হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে৷
১৭০৷ এই আইনের অধীনে প্রস্তুতকৃত এবং সংরক্ষিত যাবতীয় রেকর্ড এবং রেজিষ্টার Evidence Act, 1872 (I of 1872) তে যে অর্থে ব্যবহৃত হইয়াছে সেই অর্থে, প্রকাশ্য রেকর্ড (Public document) বলিয়া গণ্য হইবে৷
১৭১৷ মেয়র 53[* * *], প্রত্যেক কমিশনার, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কর্পোরেশনের অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং কর্পোরেশনের কার্য সম্পাদনের জন্য যথাযথভাবে ক্ষমতা প্রাপ্ত অন্যান্য ব্যক্তি, Penal Code (XLV of 1860 এর section 21) এ যে অর্থে ব্যবহৃত হইয়াছে সেই অর্থে, জনসেবক (Public servant) বলিয়া গণ্য হইবে৷
১৭২৷ এই আইন বা বিধি বা প্রবিধানের অধীনে সরল বিশ্বাসে কৃত কোন কার্যের ফলে কোন ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হইলে বা তাঁহার ক্ষতিগ্রস্ত হইবার সম্ভাবনা থাকিলে তজ্জন্য সরকার, কর্পোরেশন বা উহাদের নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোন দেওয়ানী বা ফৌজদারী মামলা বা অন্য কোন আইনগত কার্যক্রম গ্রহণ করা যাইবে না৷
১৭৩৷ (১) এই আইন বলবত্ হইবার সঙ্গে সঙ্গে Paurashava Ordinance, 1977 (XXVI of 1977), অতঃপর উক্ত Ordinance বলিয়া উল্লেখিত, এর বরিশাল মহানগরীর ক্ষেত্রে প্রয়োগ রহিত হইবে৷(২) উক্ত Ordinance এর প্রয়োগ উক্তরূপে রহিত হইবার পর,-54(ক) এই আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের অধীন কর্পোরেশন গঠিত না হওয়া পর্যন্ত Paurshava Ordinance, 1977 (Ord. No. XXVI of 1977) এর অধীন গঠিত বিদ্যমান বরিশাল পৌরসভার চেয়ারম্যান ও কমিশনারগণ কর্পোরেশনের মেয়র ও কমিশনার হিসাবে উহার দায়িত্ব পালন করিয়া যাইবেন; উক্ত Ordinance এর অধীন প্রণীত সকল বিধি, প্রবিধান ও বাই-ল, প্রদত্ত সকল আদেশ, জারীকৃত সকল প্রজ্ঞাপন বা নোটিশ এবং মঞ্জুরীকৃত সকল লাইসেন্স ও অনুমতি, এই আইনের বিধানাবলীর সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে, রহিত বা সংশোধিত না হওয়া পর্যন্ত বলবত্ থাকিবে এবং এই আইনের অধীনে প্রণীত, প্রদত্ত, জারীকৃত বা মঞ্জুরীকৃত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে এবং উক্ত সকল বাই-ল প্রবিধান হিসাবে গণ্য হইবে;(গ) বরিশাল পৌরসভার সকল সম্পদ, অধিকার, ক্ষমতা, কর্তৃত্ব ও সুবিধা, সকল স্থাবর, অস্থাবর সম্পত্তি, তহবিল, নগদ ও ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, বিনিয়োগ এবং উক্ত সম্পত্তি সম্পর্কিত উহার যাবতীয় অধিকার বা উহাতে উহার যাবতীয় স্বার্থ কর্পোরেশনের নিকট হস্তান্তরিত ও ন্যস্ত হইবে;(ঘ) বরিশাল পৌরসভার সকল ঋণ, দায় ও দায়িত্ব এবং উহার দ্বারা বা উহার সহিত সম্পাদিত সকল চুক্তি কর্পোরেশনের কর, দায় ও দায়িত্ব এবং উহার দ্বারা বা উহার সহিত সম্পাদিত চুক্তি বলিয়া গণ্য হইবে;(ঙ) বরিশাল পৌরসভা কর্তৃক প্রণীত সকল বাজেট, প্রকল্প ও পরিকল্পনা বা তত্কর্তৃক কৃত সকল মূল্যায়ন, এই আইনের বিধানাবলীর সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে, রহিত বা সংশোধিত না হওয়া পর্যন্ত বলবত্ থাকিবে, এবং কর্পোরেশন কর্তৃক এই আইনের অধীনে প্রণীত বা কৃত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে;(চ) বরিশাল পৌরসভার প্রাপ্য সকল কর, রেইট, টোল, সেস, ফিস ও ভাড়া এবং অন্যান্য অর্থ এই আইনের অধীনে কর্পোরেশনের প্রাপ্য বলিয়া গণ্য হইবে;(ছ) বরিশাল পৌরসভা কর্তৃক আরোপিত সকল কর, রেইট, টোল, সেস, ফিস ও ভাড়া এবং অন্যান্য দাবী কর্পোরেশন কর্তৃক পরিবর্তিত না হওয়া পর্যন্ত, একই হারে থাকিবে;(জ) বরিশাল পৌরসভার সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী কর্পোরেশনে বদলী হইবে ও কর্পোরেশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারী হইবেন, এবং তাঁহাদের পদবী প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কর্তৃক, মেয়রের অনুমোদনক্রমে, স্থির করা হইবে, তাঁহারা উক্তরূপ বদলীর পূর্বে যে শর্তে চাকুরীতে ছিলেন, কর্পোরেশন কর্তৃক পরিবর্তিত না হওয়া পর্যন্ত, সে শর্তেই উহার অধীনে চাকুরীতে থাকিবেন; এবং(ঝ) বরিশাল পৌরসভা কর্তৃক বা উহার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সকল মামলা-মোকদ্দমা কর্পোরেশন কর্তৃক বা উহার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা মোকদ্দমা বলিয়া গণ্য হইবে;55[(ঞ) বিদ্যমান বরিশাল পৌরসভার চেয়ারম্যান ও কমিশনারগণ দফা (ক) এর অধীন কর্পোরেশনের মেয়র ও কমিশনার হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গে বরিশাল পৌরসভা বিলুপ্ত হইবে৷]
১৭৪৷ এই আইনের কোন কিছু করিবার জন্য বিধান থাকা সত্ত্বেও যদি উহা কোন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বা, কি পদ্ধতিতে করা হইবে এই সম্পর্কে কোন বিধান না থাকে, তাহা হইলে, উক্ত কাজ নির্ধারিত পদ্ধতিতে এবং নির্ধারিত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সম্পাদিত হইবে৷
১৭৫৷ এই আইনের বিধানাবলী কার্যকর করিবার ক্ষেত্রে কোন অসুবিধা দেখা দিলে সরকার উক্ত অসুবিধা দূরীকরণার্থ, আদেশ দ্বারা, প্রয়োজনীয় যে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে:তবে শর্ত থাকে যে, এই আইনের বিধান অনুযায়ী কর্পোরেশন গঠিত হইবার তারিখ হইতে দুই বত্সর অতিক্রান্ত হইবার পর উক্তরূপ কোন আদেশ দেওয়া যাইবে না৷
দফা ( ড) বরিশাল সিটি কর্পোরেশন (সংশোধন) আইন, ২০০২ (২০০২ সনের ১৮নং আইন) এর ২ ধারা কর্তৃক বিলুপ্ত৷
2
“(গ)” বন্ধনী ও অক্ষরটি “(খ)” বন্ধনী ও অক্ষরটির পরিবর্তে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন (সংশোধন) আইন, ২০০২ (২০০২ সনের ১৮নং আইন) এর ২ ধারা কর্তৃক প্রতিস্থাপিত৷
3
দফা ( খ) বরিশাল সিটি কর্পোরেশন (সংশোধন) আইন, ২০০২ (২০০২ সনের ১৮নং আইন) এর ৩ ধারা কর্তৃক বিলুপ্ত৷
4
“,ডেপুটি মেয়র” কমা ও শব্দগুলি বরিশাল সিটি কর্পোরেশন (সংশোধন) আইন, ২০০২ (২০০২ সনের ১৮নং আইন) এর ৩ ধারা কর্তৃক বিলুপ্ত৷
5
“(গ)” বন্ধনী ও অক্ষরটি “(খ)” বন্ধনী ও অক্ষরটির পরিবর্তে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন (সংশোধন) আইন, ২০০২ (২০০২ সনের ১৮নং আইন) এর ৩ ধারা কর্তৃক প্রতিস্থাপিত৷
6
“ও ডেপুটি মেয়র” শব্দগুলি বরিশাল সিটি কর্পোরেশন (সংশোধন) আইন, ২০০২ (২০০২ সনের ১৮নং আইন) এর ৩ ধারা কর্তৃক বিলুপ্ত৷
7
“,ডেপুটি মেয়র” কমা ও শব্দগুলি বরিশাল সিটি কর্পোরেশন (সংশোধন) আইন, ২০০২ (২০০২ সনের ১৮নং আইন) এর ৪ ধারা কর্তৃক বিলুপ্ত৷
8
“,ডেপুটি মেয়র” কমা ও শব্দগুলি বরিশাল সিটি কর্পোরেশন (সংশোধন) আইন, ২০০২ (২০০২ সনের ১৮নং আইন) এর ৫ ধারা কর্তৃক বিলুপ্ত৷
9
“,ডেপুটি মেয়র” কমা ও শব্দগুলি বরিশাল সিটি কর্পোরেশন (সংশোধন) আইন, ২০০২ (২০০২ সনের ১৮নং আইন) এর ৫ ধারা কর্তৃক বিলুপ্ত৷
10
“আমি, … ,” শব্দ, কমাগুলি ও চিহ্নটি “আমি … পিতা ও মাতা বা স্বামী …” শব্দগুলি, কমা ও চিহ্নটির পরিবর্তে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন (সংশোধন) আইন, ২০০২ (২০০২ সনের ১৮নং আইন) এর ৫ ধারা কর্তৃক প্রতিস্থাপিত৷
11
“ডেপুটি মেয়র/” শব্দগুলি ও চিহ্নটি বরিশাল সিটি কর্পোরেশন (সংশোধন) আইন, ২০০২ (২০০২ সনের ১৮নং আইন) এর ৫ ধারা কর্তৃক বিলুপ্ত৷
12
“বা দৃঢ়ভাবে ঘোষণা ” শব্দগুলি সলেট সিটি কর্পোরেশন (সংশোধন) আইন, ২০০২ (২০০২ সনের ১৭নং আইন) এর ৫ ধারা কর্তৃক বিলুপ্ত৷
13
“,ডেপুটি মেয়র” কমা ও শব্দগুলি বরিশাল সিটি কর্পোরেশন (সংশোধন) আইন, ২০০২ (২০০২ সনের ১৮নং আইন) এর ৬ ধারা কর্তৃক বিলুপ্ত৷
14
“,ডেপুটি মেয়র” কমা ও শব্দগুলি বরিশাল সিটি কর্পোরেশন (সংশোধন) আইন, ২০০২ (২০০২ সনের ১৮নং আইন) এর ৬ ধারা কর্তৃক বিলুপ্ত৷
15
“,ডেপুটি মেয়র” কমা ও শব্দগুলি বরিশাল সিটি কর্পোরেশন (সংশোধন) আইন, ২০০২ (২০০২ সনের ১৮নং আইন) এর ৭ ধারা কর্তৃক বিলুপ্ত৷
16
“,ডেপুটি মেয়র” কমা ও শব্দগুলি বরিশাল সিটি কর্পোরেশন (সংশোধন) আইন, ২০০২ (২০০২ সনের ১৮নং আইন) এর ৭ ধারা কর্তৃক বিলুপ্ত৷
17
“,ডেপুটি মেয়র” কমা ও শব্দগুলি বরিশাল সিটি কর্পোরেশন (সংশোধন) আইন, ২০০২ (২০০২ সনের ১৮নং আইন) এর ৭ ধারা কর্তৃক বিলুপ্ত৷
18
“,ডেপুটি মেয়র” কমা ও শব্দগুলি বরিশাল সিটি কর্পোরেশন (সংশোধন) আইন, ২০০২ (২০০২ সনের ১৮নং আইন) এর ৭ ধারা কর্তৃক বিলুপ্ত৷
19
“,ডেপুটি মেয়র” কমা ও শব্দগুলি বরিশাল সিটি কর্পোরেশন (সংশোধন) আইন, ২০০২ (২০০২ সনের ১৮নং আইন) এর ৭ ধারা কর্তৃক বিলুপ্ত৷
20
(জ) প্যারাটি বরিশাল সিটি কর্পোরেশন (সংশোধন) আইন, ২০০২ (২০০২ সনের ১৮নং আইন) এর ৭ ধারা কর্তৃক বিলুপ্ত৷
21
“,ডেপুটি মেয়র” কমা ও শব্দগুলি বরিশাল সিটি কর্পোরেশন (সংশোধন) আইন, ২০০২ (২০০২ সনের ১৮নং আইন) এর ৮ ধারা কর্তৃক বিলুপ্ত৷
22
“বা ডেপুটি মেয়র” শব্দগুলি বরিশাল সিটি কর্পোরেশন (সংশোধন) আইন, ২০০২ (২০০২ সনের ১৮নং আইন) এর ৮ ধারা কর্তৃক বিলুপ্ত৷
23
“বা ডেপুটি মেয়র” শব্দগুলি বরিশাল সিটি কর্পোরেশন (সংশোধন) আইন, ২০০২ (২০০২ সনের ১৮নং আইন) এর ৮ ধারা কর্তৃক বিলুপ্ত৷
24
“বা ডেপুটি মেয়র” শব্দগুলি বরিশাল সিটি কর্পোরেশন (সংশোধন) আইন, ২০০২ (২০০২ সনের ১৮নং আইন) এর ৮ ধারা কর্তৃক বিলুপ্ত৷
25
“বা ডেপুটি মেয়র” শব্দগুলি বরিশাল সিটি কর্পোরেশন (সংশোধন) আইন, ২০০২ (২০০২ সনের ১৮নং আইন) এর ৮ ধারা কর্তৃক বিলুপ্ত৷
26
“,ডেপুটি মেয়র” কমা ও শব্দগুলি বরিশাল সিটি কর্পোরেশন (সংশোধন) আইন, ২০০২ (২০০২ সনের ১৮নং আইন) এর ৯ ধারা কর্তৃক বিলুপ্ত৷
27
“ও ডেপুটি মেয়র” শব্দগুলি বরিশাল সিটি কর্পোরেশন (সংশোধন) আইন, ২০০২ (২০০২ সনের ১৮নং আইন) এর ৯ ধারা কর্তৃক বিলুপ্ত৷
28
“,ডেপুটি মেয়র” কমা ও শব্দগুলি বরিশাল সিটি কর্পোরেশন (সংশোধন) আইন, ২০০২ (২০০২ সনের ১৮নং আইন) এর ১০ ধারা কর্তৃক বিলুপ্ত৷
29
“,ডেপুটি মেয়র” কমা ও শব্দগুলি বরিশাল সিটি কর্পোরেশন (সংশোধন) আইন, ২০০২ (২০০২ সনের ১৮নং আইন) এর ১০ ধারা কর্তৃক বিলুপ্ত৷
30
“,ডেপুটি মেয়র” কমা ও শব্দগুলি বরিশাল সিটি কর্পোরেশন (সংশোধন) আইন, ২০০২ (২০০২ সনের ১৮নং আইন) এর ১০ ধারা কর্তৃক বিলুপ্ত৷
31
“,ডেপুটি মেয়র” কমা ও শব্দগুলি বরিশাল সিটি কর্পোরেশন (সংশোধন) আইন, ২০০২ (২০০২ সনের ১৮নং আইন) এর ১০ ধারা কর্তৃক বিলুপ্ত৷
32
“,ডেপুটি মেয়র” কমা ও শব্দগুলি বরিশাল সিটি কর্পোরেশন (সংশোধন) আইন, ২০০২ (২০০২ সনের ১৮নং আইন) এর ১১ ধারা কর্তৃক বিলুপ্ত৷
33
“,ডেপুটি মেয়র” কমা ও শব্দগুলি বরিশাল সিটি কর্পোরেশন (সংশোধন) আইন, ২০০২ (২০০২ সনের ১৮নং আইন) এর ১১ ধারা কর্তৃক বিলুপ্ত৷
34
“,ডেপুটি মেয়র” কমা ও শব্দগুলি বরিশাল সিটি কর্পোরেশন (সংশোধন) আইন, ২০০২ (২০০২ সনের ১৮নং আইন) এর ১১ ধারা কর্তৃক বিলুপ্ত৷
35
“,ডেপুটি মেয়র” কমা ও শব্দগুলি বরিশাল সিটি কর্পোরেশন (সংশোধন) আইন, ২০০২ (২০০২ সনের ১৮নং আইন) এর ১২ ধারা কর্তৃক বিলুপ্ত৷
36
“মেয়র ও ডেপুটি” শব্দগুলি বরিশাল সিটি কর্পোরেশন (সংশোধন) আইন, ২০০২ (২০০২ সনের ১৮নং আইন) এর ১৩ ধারা কর্তৃক বিলুপ্ত৷
37
মেয়র ও ডেপুটি” শব্দগুলি বরিশাল সিটি কর্পোরেশন (সংশোধন) আইন, ২০০২ (২০০২ সনের ১৮নং আইন) এর ১৩ ধারা কর্তৃক বিলুপ্ত৷
38
মেয়র ও ডেপুটি” শব্দগুলি বরিশাল সিটি কর্পোরেশন (সংশোধন) আইন, ২০০২ (২০০২ সনের ১৮নং আইন) এর ১৪ ধারা কর্তৃক বিলুপ্ত৷
39
মেয়র ও ডেপুটি” শব্দগুলি বরিশাল সিটি কর্পোরেশন (সংশোধন) আইন, ২০০২ (২০০২ সনের ১৮নং আইন) এর ১৪ ধারা কর্তৃক বিলুপ্ত৷
40
“,ডেপুটি মেয়র” কমা ও শব্দগুলি বরিশাল সিটি কর্পোরেশন (সংশোধন) আইন, ২০০২ (২০০২ সনের ১৮নং আইন) এর ১৫ ধারা কর্তৃক বিলুপ্ত৷
41
“,ডেপুটি মেয়র” কমা ও শব্দগুলি বরিশাল সিটি কর্পোরেশন (সংশোধন) আইন, ২০০২ (২০০২ সনের ১৮নং আইন) এর ১৫ ধারা কর্তৃক বিলুপ্ত৷
42
“ডেপুটি মেয়র,” শব্দগুলি ও কমা বরিশাল সিটি কর্পোরেশন (সংশোধন) আইন, ২০০২ (২০০২ সনের ১৮নং আইন) এর ১৬ ধারা কর্তৃক বিলুপ্ত৷
43
“তত্কর্তৃক” শব্দটি “ডেপুটি মেয়র এবং কোন ক্ষেত্রে উভয়ই দায়িত্ব পালনে অপারগ হইলে মেয়র কর্তৃক” শব্দগুলির পরিবর্তে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন (সংশোধন) আইন, ২০০২ (২০০২ সনের ১৮নং আইন) এর ১৬ ধারা কর্তৃক প্রতিস্থাপিত৷
44
“, সরকার কর্তৃক মনোনীত কোন কমিশনার” কমা ও শব্দগুলি “ডেপুটি মেয়র,” শব্দগুলি ও কমার পরিবর্তে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন (সংশোধন) আইন, ২০০২ (২০০২ সনের ১৮নং আইন) এর ১৬ ধারা কর্তৃক প্রতিস্থাপিত৷
45
“,ডেপুটি মেয়র” কমা ও শব্দগুলি বরিশাল সিটি কর্পোরেশন (সংশোধন) আইন, ২০০২ (২০০২ সনের ১৮নং আইন) এর ১৭ ধারা কর্তৃক বিলুপ্ত৷
46
”, ডেপুটি মেয়র” কমা ও শব্দগুলি বরিশাল সিটি কর্পোরেশন (সংশোধন) আইন, ২০০২ (২০০২ সনের ১৮নং আইন) এর ১৮ ধারা কতর্ক বিলুপ্ত।
47
“(গ)” বন্ধনী ও অক্ষরটি “(খ)” বন্ধনী ও অক্ষরটির পরিবর্তে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন (সংশোধন) আইন, ২০০২ (২০০২ সনের ১৮নং আইন) এর ১৯ ধারা কর্তৃক প্রতিস্থাপিত৷
48
“,ডেপুটি মেয়র” কমা ও শব্দগুলি বরিশাল সিটি কর্পোরেশন (সংশোধন) আইন, ২০০২ (২০০২ সনের ১৮নং আইন) এর ২০ ধারা কর্তৃক বিলুপ্ত৷
49
“,ডেপুটি মেয়র” কমা ও শব্দগুলি বরিশাল সিটি কর্পোরেশন (সংশোধন) আইন, ২০০২ (২০০২ সনের ১৮নং আইন) এর ২০ ধারা কর্তৃক বিলুপ্ত৷
50
“,ডেপুটি মেয়র” কমা ও শব্দগুলি বরিশাল সিটি কর্পোরেশন (সংশোধন) আইন, ২০০২ (২০০২ সনের ১৮নং আইন) এর ২১ ধারা কর্তৃক বিলুপ্ত৷
51
“,ডেপুটি মেয়র” কমা ও শব্দগুলি বরিশাল সিটি কর্পোরেশন (সংশোধন) আইন, ২০০২ (২০০২ সনের ১৮নং আইন) এর ২২ ধারা কর্তৃক বিলুপ্ত৷
52
“,ডেপুটি মেয়র” কমা ও শব্দগুলি বরিশাল সিটি কর্পোরেশন (সংশোধন) আইন, ২০০২ (২০০২ সনের ১৮নং আইন) এর ২৩ ধারা কর্তৃক বিলুপ্ত৷
53
“,ডেপুটি মেয়র” কমা ও শব্দগুলি বরিশাল সিটি কর্পোরেশন (সংশোধন) আইন, ২০০২ (২০০২ সনের ১৮নং আইন) এর ২৩ ধারা কর্তৃক বিলুপ্ত৷
54
দফা (ক) বরিশাল সিটি কর্পোরেশন (সংশোধন) আইন, ২০০২ (২০০২ সনের ১৮নং আইন) এর ২৪ ধারা কর্তৃক প্রতিস্থাপিত৷
55
দফা (ঞ) বরিশাল সিটি কর্পোরেশন (সংশোধন) আইন, ২০০২ (২০০২ সনের ১৮নং আইন) এর ২৪ ধারা কর্তৃক প্রতিস্থাপিত৷
Click here to see the original act on the Bangladesh Legal Database.