Preamble
যেহেতু স্থলপথে পণ্য আমদানী ও রপ্তানী সহজতর ও উন্নততর করার জন্য স্থলবন্দর প্রতিষ্ঠা এবং উহার পরিচালনা, ব্যবস্থাপনা, উন্নয়ন, সম্প্রসারণ ও সংরক্ষণ ও আনুষঙ্গকি বিষয়াদির জন্য স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠাকল্পে বিধান করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্্নরূপ আইন করা হইল:-Sections/Articles
সংক্ষিপ্ত শিরোনামা ও প্রবর্তন
১৷ (১) এই আইন বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ আইন, ২০০১ নামে অভিহিত হইবে৷(২) সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, যে তারিখ নির্ধারণ করিবে সেই তারিখে এই আইন বলবত্ হইবে৷সংজ্ঞা
২৷ বিষয় বা প্রসংগের পরিপন্থী কোন কিছু না থাকিলে, এই আইনে,-(ক) “কর্তৃপক্ষ” অর্থ এই আইনের ধারা ৪ এর অধীন প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষ;(খ) “চেয়ারম্যান” অর্থ বোর্ডের চেয়ারম্যান;(গ) “নির্ধারিত” অর্থ এই আইনের অধীনে প্রণীত বিধি দ্বারা নির্ধারিত;(ঘ) “প্রবিধান” অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত প্রবিধান;(ঙ) “বিধি” অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি;(চ) “অপারেটর” অর্থ ধারা ৯(১) এর অধীন নিযুক্ত অপারেটর;(ছ) “বোর্ড” অর্থ এই আইনের ধারা ৬ এর অধীন গঠিত বোর্ড;(জ) “সদস্য” অর্থ বোর্ডের সদস্য;(ঝ) “স্থল বন্দর” অর্থ এই আইনের ধারা ৩ এর অধীন ঘোষিত কোন স্থল বন্দর৷স্থল বন্দর ঘোষণা ও উহার সীমা নির্ধারণ
৩৷ Customs Act, 1969 (IV of 1969) এর section 9 এর clause (b) এর অধীন ঘোষিত কোন স্থল শুল্ক ষ্টেশন (land customs-station) কে সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, স্থলবন্দর বলিয়া ঘোষণা করিতে পারিবে:তবে শর্ত থাকে যে, সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, কোন স্থল বন্দরের সীমা পরিবর্তন ও পরিবর্ধন করিতে পারিবে৷কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা
৪৷ (১) এই আইন বলবত্ হইবার পর সরকার, যতশীঘ্র সম্ভব, এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ নামে একটি কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা করিবে৷(২) কর্তৃপক্ষ একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হইবে এবং উহার স্থায়ী ধারাবাহিকতা ও একটি সাধারণ সীলমোহর থাকিবে এবং এই আইনের বিধানাবলী সাপেক্ষে, উহার স্থাবর ও অস্থাবর উভয় প্রকার সম্পত্তি অর্জন করার, অধিকারে রাখার ও হস্তান্তর করার ক্ষমতা থাকিবে এবং উহার নামে উহার পক্ষে বা বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা যাইবে৷পরিচালনা ও প্রশাসন
৫৷ (১) কর্তৃপক্ষের পরিচালনা ও প্রশাসন একটি বোর্ডের উপর ন্যস্ত থাকিবে এবং কর্তৃপক্ষ যে সকল ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্য সম্পাদন করিতে পারিবে বোর্ডও সেই সকল ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্য সম্পাদন করিতে পারিবে৷(২) বোর্ড উহার কার্যাবলী সম্পাদনের ক্ষেত্রে সরকার কর্তৃক সময় সময় প্রদত্ত নির্দেশনা অনুসরণ করিবে৷বোর্ড গঠন
৬৷ (১) বোর্ড নিম্্নবর্ণিত সদস্য সমন্বয়ে গঠিত হইবে, যথা:-(ক) একজন চেয়ারম্যান;(খ) তিনজন সার্বক্ষণিক সদস্য; এবং(গ) তিনজন খণ্ডকালীন সদস্য, যাহাদের মধ্যে একজন আভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা এবং অন্য একজন শিল্প ও বাণিজ্যে নিয়োজিত বেসরকারী ব্যক্তি হইবেন৷(২) চেয়ারম্যান ও সার্বক্ষণিক সদস্যগণ সরকার কর্তৃক নিযুক্ত হইবেন ও কর্তৃপক্ষের সার্বক্ষণিক কর্মকর্তা হইবেন এবং সরকার কর্তৃক নির্ধারিত মেয়াদে ও শর্তাধীনে কর্মরত থাকিবেন৷(৩) খণ্ডকালীন সদস্যগণ সরকার কর্তৃক নিযুক্ত হইবেন এবং নিয়োগের তারিখ হইতে দুই বত্সরের মেয়াদে স্বীয় পদে বহাল থাকিবেন এবং পুনরায় নিয়োগের যোগ্য হইবেন৷(৪) চেয়ারম্যান কর্তৃপক্ষের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হইবেন৷(৫) চেয়ারম্যানের পদ শূন্য হইলে কিংবা অনুপস্থিতি বা অসুস্থতা হেতু বা অন্য কোন কারণে চেয়ারম্যান দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হইলে, শূন্য পদে নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত কিংবা চেয়ারম্যান পুনরায় স্বীয় দায়িত্ব পালনে সমর্থ না হওয়া পর্যন্ত সরকার কর্তৃক মনোনীত কোন সার্বক্ষণিক সদস্য চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করিবেন৷বোর্ডের সভা
৭৷ (১) এই ধারার অন্যান্য বিধানাবলী সাপেক্ষে, বোর্ড উহার সভার কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে৷(২) বোর্ডের সভা চেয়ারম্যান কর্তৃক নির্ধারিত স্থান ও সময়ে অনুষ্ঠিত হইবে:তবে শর্ত থাকে যে, প্রতি দুই মাসে বোর্ডের কমপক্ষে একটি সভা অনুষ্ঠিত হইবে৷(৩) বোর্ডের সভায় কোরামের জন্য একজন সার্বক্ষণিক সদস্যসহ অন্যুন দুইজন সদস্যের উপস্থিতির প্রয়োজন হইবে৷(৪) বোর্ডের সভায় প্রত্যেক সদস্যের একটি করিয়া ভোট থাকিবে এবং ভোটের সমতার ক্ষেত্রে সভায় সভাপতিত্বকারী ব্যক্তির একটি দ্বিতীয় বা নির্ণায়ক ভোট প্রদানের ক্ষমতা থাকিবে৷(৫) বোর্ডের সকল সভায় চেয়ারম্যান সভাপতিত্ব করিবেন এবং তাঁহার অনুপস্থিতিতে চেয়ারম্যান হইতে এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন সার্বক্ষণিক সদস্য উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করিবেন৷(৬) বোর্ডের কোন কার্য বা কার্যধারা কেবলমাত্র বোর্ডের কোন সদস্যপদে শূন্যতা বা বোর্ড গঠনে ত্রুটি থাকার কারণে অবৈধ হইবে না এবং তত্সম্পর্কে কোন প্রশ্নও উত্থাপন করা যাইবে না৷কর্তৃপক্ষের ক্ষমতা ও কার্যাবলী
৮৷ (১) এই আইনের অন্যান্য বিধান সাপেক্ষে, কর্তৃপক্ষ এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে প্রয়োজনীয় ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্য সম্পাদন করিতে পারিবে৷(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন ক্ষমতা ও কার্যাবলীর সামগ্রিকতা ক্ষুণ্ন না করিয়া, কর্তৃপক্ষ বিশেষ করিয়া নিম্্নরূপ ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্য সম্পাদন করিতে পারিবে, যথা:-(ক) স্থল বন্দর পরিচালনা, ব্যবস্থাপনা, উন্নয়ন, সম্প্রসারণ ও সংরক্ষণের নীতি প্রণয়ন;(খ) স্থল বন্দরে পণ্য গ্রহণ, সংরক্ষণ ও প্রদানের জন্য অপারেটর নিয়োগ;(গ) সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে স্থল বন্দর ব্যবহারকারীদের নিকট হইতে আদায়যোগ্য কর, টোল, রেইট ও ফিসের তফসিল প্রণয়ন;(ঘ) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে কাহারও সহিত কোন চুক্তি সম্পাদন৷(৩) কর্তৃপক্ষের দায়িত্বাধীন পণ্যের ক্ষতি, ধ্বংস বা বিনষ্টের জন্য কর্তৃপক্ষ এইরূপ দায়ী থাকিবে যেরূপ Contract Act, 1872 (IX of 1872) এর sections 151, 152, 161 এবং 164 এর অধীন একজন বেইলী (bailee) দায়ী থাকিবেন:তবে শর্ত থাকে যে, কর্তৃপক্ষ কর্তৃক কোন পণ্যের দায়িত্ব গ্রহণের তারিখ হইতে দশদিন অতিক্রান্ত হওয়ার পর এই উপ-ধারার অধীন কর্তৃপক্ষকে দায়ী করা যাইবে না৷অপারেটর
৯৷ (১) কর্তৃপক্ষ কোন স্থল বন্দরে পণ্য গ্রহণ, সংরক্ষণ ও প্রদানের জন্য, প্রয়োজন মনে করিলে, নির্ধারিত পদ্ধতি ও শর্তে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে অপারেটর হিসাবে নিয়োগ করিতে পারিবে৷(২) অপারেটরের দায়িত্বাধীন পণ্যের ক্ষেত্রে ধারা ৮ এর উপ-ধারা (৩) এর বিধান প্রয়োজনীয় সংশোধন সাপেক্ষে, প্রযোজ্য হইবে৷কর ইত্যাদির তফসিল
১০৷ কর্তৃপক্ষ, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে এবং সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, স্থলবন্দর ব্যবহারকারীদের নিকট হইতে আদায়যোগ্য কর, টোল, রেইট ও ফিসের তফসিল প্রণয়ন করিবে৷টোল ইত্যাদি মওকুফ ও আদায়
১১৷ (১) কর্তৃপক্ষ বিশেষ ক্ষেত্রে, সরকারের অনুমোদনক্রমে, ধারা ১০ এর অধীন প্রণীত তফসিল অন্যায় আদায়যোগ্য কর, টোল, রেইট ও ফিস সম্পূর্ণ বা আংশিক মওকুফ করিতে পারিবে৷(২) কোন স্থল বন্দর ব্যবহারকারী ধারা ১০ এর অধীন প্রণীত তফসিল অনুযায়ী আদায়যোগ্য কোন কর, টোল, রেইট, ফিস বা অন্য কোন পাওনা পরিশোধ করিতে ব্যর্থ হইলে উহা Public Demands Recovery Act, 1913 (Ben. Act III of 1913) এর অধীন সরকারী দাবী (Public Demand) হিসাবে আদায়যোগ্য হইবে৷(৩) স্থল বন্দরে রক্ষিত কোন পণ্য সময় মত খালাস করা না হইলে অথবা উক্ত পণ্যের কোন দাবীদার পাওয়া না গেলে কর্তৃপক্ষ Customs Act, 1969 (IV of 1969) এর বিধান অনুযায়ী উহার বিলিবন্দেজ (disposal) করিবে৷কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ ইত্যাদি
১২৷ (১) কর্তৃপক্ষ উহার কার্যাবলী সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ করিতে পারিবে:তবে শর্ত থাকে যে, সরকারের পূর্বানুমোদন ব্যতিরেকে কর্তৃপক্ষ কোন কর্মকর্তা ও কর্মচারীর পদ সৃষ্টি করিতে পারিবে না৷(২) কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়োগ পদ্ধতি ও চাকুরীর শর্তাবলী প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে৷(৩) সরকার, সংশ্লিষ্ট পক্ষগণের সম্মতিক্রমে, কর্তৃপক্ষের কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারীকে নিম্্নবর্ণিত যে কোন সংস্থায় এবং উক্ত সংস্থাসমূহের কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারীকে কর্তৃপক্ষে প্রেষণে নিয়োগ করিতে পারিবে, যথা:-(ক) মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ (Mongla Port Authority);(খ) চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ (Chittagong Port Authority);(গ) বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (Bangladesh Inland Water Transport Authority);(ঘ) বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্পোরেশন (Bangladesh Inland Water Transport Corporation);(ঙ) বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন (Bangladesh Shipping Corporation)৷ক্ষমতা অর্পণ
১৩৷ কর্তৃপক্ষ, সাধারণ অথবা কোন বিশেষ আদেশ দ্বারা, উহার যে কোন ক্ষমতা বা দায়িত্ব সুনির্দিষ্ট শর্তে চেয়ারম্যান, অন্য কোন সদস্য বা উহার কোন কর্মকর্তাকে অর্পণ করিতে পারিবে৷কর্তৃপক্ষের তহবিল
১৪৷ (১) কর্তৃপক্ষের একটি তহবিল থাকিবে এবং উহাতে নিম্্নবর্ণিত অর্থ জমা হইবে, যথা:-(ক) সরকার কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান;(খ) কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গৃহীত ঋণ;(গ) কোন স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বা অন্য কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান;(ঘ) কর্তৃপক্ষের সম্পত্তি বিক্রয়লব্ধ অর্থ;(ঙ) কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আদায়কৃত কর, টোল, রেইট ও ফিস;(চ) অন্য কোন উত্স হইতে প্রাপ্ত অর্থ৷(২) কর্তৃপক্ষের তহবিলে জমাকৃত অর্থ কোন তফসিলি ব্যাংকে জমা রাখা হইবে এবং নির্ধারিত পদ্ধতিতে উক্ত অর্থ উঠানো যাইবে৷(৩) কর্তৃপক্ষের তহবিল হইতে উহার প্রয়োজনীয় ব্যয় নির্বাহ করা হইবে৷(৪) কর্তৃপক্ষের তহবিল বা উহার অংশবিশেষ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত খাতে বিনিয়োগ করা যাইবে৷তহবিলের উদ্বৃত্ত অর্থ সরকারী তহবিলে জমা প্রদান
১৫৷ প্রতি অর্থ বত্সর শেষে কর্তৃপক্ষ উহার তহবিলের উদ্বৃত্ত অর্থ এতদুদ্দেশ্যে সরকারের নির্দেশনা, যদি থাকে, সাপেক্ষে, সরকারী তহবিলে জমা প্রদান করিবে৷বাজেট
১৬৷ কর্তৃপক্ষ প্রতি বত্সর সরকার কর্তৃক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরবর্তী অর্থ বত্সরের বার্ষিক বাজেট বিবরণী সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ফরমে অনুমোদনের জন্য সরকারের নিকট পেশ করিবে এবং উহাতে উক্ত অর্থ বত্সরে সরকারের নিকট হইতে কর্তৃপক্ষের কি পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন, উহার উল্লেখ থাকিবে৷হিসাব রক্ষণ ও নিরীক্ষা
১৭৷ (১) কর্তৃপক্ষ নির্ধারিত পদ্ধতিতে ও ফরমে উহার হিসাব রক্ষণ করিবে এবং হিসাবের বার্ষিক বিবরণী প্রস্তুত করিবে৷(২) বাংলাদেশ মহা-হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, অতঃপর মহা-হিসাব নিরীক্ষক নামে অভিহিত, প্রতি বত্সর কর্তৃপক্ষের হিসাব নিরীক্ষা করিবেন এবং নিরীক্ষা প্রতিবেদনের একটি করিয়া অনুলিপি সরকার ও কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করিবেন৷(৩) উপ-ধারা (২) মোতাবেক হিসাব নিরীক্ষার উদ্দেশ্যে মহা-হিসাব নিরীক্ষক কিংবা তাহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি কর্তৃপক্ষের সকল রেকর্ড, দলিল-দস্তাবেজ, নগদ বা ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, জামানত, ভাণ্ডার এবং অন্যবিধ সম্পত্তি পরীক্ষা করিয়া দেখিতে পারিবেন এবং কর্তৃপক্ষের যে কোন সদস্য, কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করিতে পারিবেন৷(৪) কর্তৃপক্ষের হিসাব প্রত্যেক অর্থ বত্সরে একবার বোর্ড কর্তৃক নিযুক্ত কোন নিরীক্ষক দ্বারা পরীক্ষিত ও নিরীক্ষিত হইবে৷(৫) কর্তৃপক্ষ উক্ত নিরীক্ষককে বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত হারে পারিতোষিক দিবেন৷(৬) প্রত্যেক অর্থ বত্সর সমাপ্তির দুই মাসের মধ্যে কর্তৃপক্ষের হিসাব নিরীক্ষা প্রতিবেদন অনুমোদিত হইতে হইবে৷প্রতিবেদন
১৮৷ (১) প্রতি অর্থ বত্সর শেষ হইবার পরবর্তী তিন মাসের মধ্যে কর্তৃপক্ষ তত্কর্তৃক উক্ত অর্থ বত্সরে সম্পাদিত কার্যাবলীর বিবরণ সম্বলিত বার্ষিক প্রতিবেদন সরকারের নিকট পেশ করিবে৷(২) সরকার প্রয়োজনমত কর্তৃপক্ষের নিকট হইতে যে কোন সময় উহার যে কোন কাজের প্রতিবেদন বা বিবরণী আহ্বান করিতে পারিবে এবং কর্তৃপক্ষ উহা সরকারের নিকট প্রেরণ করিতে বাধ্য থাকিবে৷কর্তৃপক্ষের জন্য জমি হুকুমদখল বা অধিগ্রহণ
১৯৷ কর্তৃপক্ষের কার্যাবলী সম্পাদনের জন্য কোন জমি প্রয়োজন হইলে উহা জনস্বার্থে প্রয়োজনীয় বলিয়া বিবেচিত হইবে এবং এতদুদ্দেশ্যে উহা The Acquisition and Requisition of Immovable Property Ordinance, 1982 (II of 1982) এর বিধান মোতাবেক হুকুমদখল বা অধিগ্রহণ করা যাইবে৷জনসেবক
২০৷ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, অন্যান্য সদস্য, কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ Penal Code (Act XLV of 1860) এর section 21 এ public servant (জনসেবক) কথাটি যে অর্থে ব্যবহৃত হইয়াছে সেই অর্থে public servant (জনসেবক) বলিয়া গণ্য হইবেন৷বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা
২১৷ সরকার এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে৷প্রবিধান প্রণয়নের ক্ষমতা
২২৷ কর্তৃপক্ষ, এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে এবং সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইন বা বিধির সহিত অসংগতিপূর্ণ নহে এইরূপ প্রবিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে৷অসুবিধা দূরীকরণ
২৩৷ এই আইনের বিধানাবলী কার্যকর করিবার ক্ষেত্রে কোন অসুবিধা দেখা দিলে সরকার উক্ত অসুবিধা দূরীকরণার্থ লিখিত আদেশ দ্বারা, প্রয়োজনীয় যে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে৷Footnotes
Click here to see the original act on the Bangladesh Legal Database.