যেহেতু বিভিন্ন পরীক্ষাগার, সনদ প্রদানকারী সংস্থা, পরিদর্শন সংস্থা, প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তিকে এ্যাক্রেডিটেশন সনদ প্রদানের ব্যবস্থা রাখা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইলঃ-
১৷ (১) এই আইন বাংলাদেশ এ্যাক্রেডিটেশন আইন, ২০০৬ নামে অভিহিত হইবে৷(২) সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, যেই তারিখ নির্ধারণ করিবে সেই তারিখে এই আইন কার্যকর হইবে৷
২৷ বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থী কোন কিছু না থাকিলে, এই আইনে-(ক) “অ্যাসেসর” অর্থ সাদৃশ্য নিরুপণের জন্য বোর্ড কর্তৃক নিয়োগকৃত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান;(খ) “এ্যাক্রেডিটেশন” অর্থ পরীক্ষাগার, সনদ প্রদানকারী সংস্থা, পরিদর্শন সংস্থা, প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান ;(গ) “এ্যাক্রেডিটেশন সনদ” অর্থ ধারা ১৪ এর অধীন বোর্ড কতৃক প্রদত্ত এ্যাক্রেডিটেশন সনদ;(ঘ) “এ্যাক্রেডিটেশন মার্ক” অর্থ বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত নিবন্ধন চিহ্ন;(ঙ) “চেয়ারম্যান” অর্থ বোর্ডের চেয়ারম্যান;(চ) “পরীক্ষা” অর্থ পরিমাপের পদ্ধতি বা শর্ত বা রীতি, কিংবা এই আইনের অধিনে পরীক্ষিত অথবা পরিদর্শিত কোন উপাদান, বস্তু অথবা পদার্থের পরিমাপ;(ছ) “পরীক্ষাগার” অর্থ বিশেষজ্ঞ কিংবা সংশ্লিষ্ট পেশায় দক্ষ ব্যক্তি দ্বারা বিভিন্ন পদার্থ, বস্তু, উপাদান ইত্যাদির পরীক্ষণ বা ক্যালিব্রেইশন করার প্রতিষ্ঠান;(জ) “পরিদর্শন সংস্থা” অর্থ বিশেষজ্ঞ বা বিশেষ পেশায় দক্ষ ব্যক্তি দ্বারা সম্পাদিত পরিদর্শনকারী সংস্থা;(ঝ) “প্রবিধান” অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত প্রবিধান;(ঞ) “প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান” অর্থ বোর্ড কর্তৃক ঘোষিত কোন শিক্ষাক্রম বা কার্যক্রমের আওতায় কোন দক্ষতা উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান অথবা শিক্ষাদানকর্মে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠান অথবা সমপর্যায়ের অন্য কোন প্রতিষ্ঠান;(ট) “ফৌজদারী কার্যবিধি” অর্থ Code of Criminal Procedure, 1898 (Act No.V of 1898);(ঠ) “ব্যক্তি” অর্থ যে কোন ব্যক্তি এবং কোন প্রতিষ্ঠান, কোম্পানী অংশীদারী কারবার, ফার্ম বা অন্য কোন সংস্থাও উহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;(ড) “বোর্ড” অর্থ ধারা ৩ এর অধীন প্রতিষ্ঠিত এ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড;(ঢ) “বিধি” অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি;(ণ) “ভাইস চেয়ারম্যান” অর্থ বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান;(ত) “মহাপরিচালক” অর্থ বোর্ডের মহাপরিচালক;(থ) “সনদ প্রদানকারী সংস্থা” অর্থ বিভিন্ন পণ্য অথবা সেবার উপর অথবা বিশেষ পেশায় দক্ষ ব্যক্তি কর্তৃক সনদ প্রদানকারী সংস্থা৷
৩৷ (১) এই আইন কার্যকর হইবার পর সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বাংলাদেশ এ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড নামে একটি বোর্ড প্রতিষ্ঠা করিবে৷(২) বোর্ড, একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হইবে এবং ইহার স্থায়ী ধারাবাহিকতা ও একটি সাধারণ সীলমোহর থাকিবে এবং এই আইনের বিধানাবলী সাপেক্ষে,ইহার স্থাবর ও অস্থাবর উভয় প্রকার সম্পত্তি অর্জন করিবার, অধিকারে রাখিবার ও হস্তান্তর করিবার ক্ষমতা থাকিবে, এবং বোর্ড, ইহার নামে মামলা দায়ের করিতে পারিবে এবং উক্ত নামে ইহার বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা যাইবে৷
৫৷ (১) নিম্নবর্ণিত সদস্য সমন্বয়ে বোর্ড গঠিত হইবে, যথাঃ-(ক) সচিব, শিল্প মন্ত্রণালয়, পদাধিকারবলে;(খ) সচিব, খাদ্য, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়, পদাধিকারবলে;(গ) সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, পদাধিকারবলে;(ঘ) সচিব, বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, পদাধিকারবলে;(ঙ) সচিব, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, পদাধিকারবলে;(চ) সচিব, বিষয়-সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগ;(ছ) বিজ্ঞান, বাণিজ্য, শিল্প এবং প্রশাসনের ক্ষেত্রে বিশেষ বুত্পত্তিসম্পন্ন ব্যক্তিবর্গের মধ্য হইতে শিল্প মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত দুইজন প্রতিনিধি যাঁহাদের মধ্যে একজন বিশিষ্ট বিজ্ঞানী এবং অন্যজন বাণিজ্য, শিল্প অথবা প্রশাসনে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন উচ্চতর শিক্ষাগত যোগ্যতার অধিকারী হইবেন;(জ) প্রেসিডেন্ট, ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ;(ঝ) বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এর ভাইস-চ্যান্সেলর কর্তৃক মনোনীত অধ্যাপক পদ মর্যাদার একজন প্রতিনিধি;(ঞ) এসোসিয়েশন অব সার্টিফিকেশন প্রতিষ্ঠান কর্তৃক মনোনীত কোন সাটিফিকেশন প্রতিষ্ঠানের প্রধান;(ট) এসোসিয়েশন অব টেস্টিং ল্যাবরেটরীজ কর্তৃক মনোনীত কোন টেস্টিং ল্যাবরেটরীর প্রধান; এবং(ঠ) মহাপরিচালক, যিনি ইহার সদস্য-সচিবও হইবে৷(২) শুধুমাত্র সদস্যপদে শূন্যতা থাকার কারণে বোর্ডের কোন কার্য বা কার্যধারা অবৈধ হইবে না এবং তত্সম্পর্কে কোন প্রশ্নও উত্থাপন করা যাইবে না৷
৬৷ (১) বোর্ডের একজন চেয়ারম্যান থাকিবেন, তিনি সরকার কর্তৃক নিযুক্ত হইবে এবং তাঁহার নিয়োগের শর্তাদি সরকার কর্তৃক স্থিরীকৃত হইবে এবং তিনি বোর্ডের সভায় সভাপতিত্ব করিবেন৷(২) চেয়ারম্যান তাঁহার নিয়োগের তারিখ হইতে পরবর্তী তিন বত্সর মেয়াদে স্বীয় পদে বহাল থাকিবেন৷(৩) বোর্ডের প্রথম সভায় সদস্যগণ তাহাদের মধ্য হইতে তিন বত্সর মেয়াদের জন্য একজন ভাইস চেয়ারম্যান নিযুক্ত করিবেন এবং তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি চেয়ারম্যান প্যানেল মনোনয়ন করিবেন৷(৪) চেয়ারম্যানের পদ শূন্য হইলে কিংবা অনুপস্থিতি, অসুস্থতা বা অন্য কোন কারণে চেয়ারম্যান তাঁহার দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হইলে শূন্য পদে নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত কিংবা চেয়ারম্যান পুনরায় স্বীয় দায়িত্ব পালনে সমর্থ না হওয়া পর্যন্ত ভাইস চেয়ারম্যান চেয়ারম্যানের দায়িত্্ব পালন করিবেন৷(৫) চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান উভয়ের অনুপস্থিতিতে এতদুদ্দেশ্যে বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত প্যানেলভুক্ত সদস্যদের মধ্য হইতে প্যানেলের ক্রমানুসারে কোন সদস্য বোর্ডের অস্থায়ী চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করিবেন৷
৭৷ (১) ধারা ৫(১) এর দফা (ছ) - (ট) এর অধীন মনোনীত সদস্যগণের পদের মেয়াদ হইবে তাঁহাদের মনোনয়নের তারিখ হইতে পরবর্তী তিন বত্সর৷(২) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত যে কোন মনোনীত সদস্য চেয়ারম্যানের উদ্দেশ্যে স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে স্বীয় পদ ত্যাগ করিতে পারিবেন এবং বোর্ড কর্তৃক উহা গৃহীত হইবার তারিখ হইতে উক্ত পদটি শূন্য বলিয়া গণ্য হইবে৷(৩) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত যে কোন মনোনীত সদস্যের পদ কোন কারণে শূন্য হইলে উক্ত সদস্যপদের নির্ধারিত মেয়াদের অবশিষ্ট সময়ের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নূতন মনোনয়ন দ্বারা পূর্ণ করা যাইবে৷
৮৷ (১) এই ধারার অন্যান্য বিধানাবলী সাপেক্ষে, বোর্ড উহার সভার কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে৷(২) চেয়ারম্যান বোর্ডের সভা আহ্বান করিবেন এবং তদকর্তৃক নির্ধারিত স্থান ও সময়ে উক্ত সভা অনুষ্ঠিত হইবেঃতবে শর্ত থাকে যে, প্রতি তিন মাসে বোর্ডের কমপক্ষে একটি সভা অনুষ্ঠিত হইবে৷(৩) চেয়ারম্যান বোর্ডের সভায় সভাপতিত্ব করিবেন, তাহার অনুপস্থিতিতে ভাইস চেয়ারম্যান সভায় সভাপতিত্ব করিবেন এবং চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান উভয়ের অনুপস্থিতিতে এতদুদ্দেশ্যে বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত প্যানেলভুক্ত সদস্যদের মধ্য হইতে প্যানেলের ক্রমানুসারে সভায় উপস্থিত কোন সদস্য সভায় সভাপতিত্ব করিবেন৷(৪) বোর্ডের সভার কোরামের জন্য বোর্ডের “৫০ শতাংশ” সদস্যের উপস্থিতি প্রয়োজন হইবে৷(৫) বোর্ডের কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে বোর্ডের সভায় উপস্থিত সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের সম্মতি প্রয়োজন হইবে৷(৬) বোর্ডের সভায় প্রত্যেক সদস্যের একটি করিয়া ভোট থাকিবে এবং ভোটের সমতার ক্ষেত্রে সভায় সভাতিত্বকারীর নির্ণায়ক ভোট প্রদানের ক্ষমতা থাকিবে৷(৭) সভায় উপস্থিত সদস্যদেরকে প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হারে সম্মানী প্রদান করা হইবে৷
৯৷ বোর্ড উহার কাজে সহায়তার জন্য, এক বা একাধিক কমিটি গঠন করিতে পারিবে এবং উক্তরূপ কমিটির সদস্য সংখ্যা, দায়িত্ব এবং কার্যপরিধি বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত হইবে৷
১০৷ বোর্ডের কার্যাবলী হইবে নিম্নরূপ, যথাঃ-(ক) পরীক্ষাগার, সনদ প্রদানকারী সংস্থা, পরিদর্শন সংস্থা, প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তিকে এই আইনের অধীনে এ্যাক্রেডিটেশন সনদ প্রদান, নবায়ন, প্রত্যাখ্যান, স্থগিতকরণ ও বাতিলকরণ;(খ) পরীক্ষাগার, সনদ প্রদানকারী সংস্থা, পরিদর্শন সংস্থা, প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তিকে এ্যাক্রেডিটেশন সনদ প্রদানে নির্ণায়ন ও শর্তসমূহ নির্ধারণ এবং উক্ত নির্ণায়ক ও শর্তসমূহের মান উন্নয়ন করা;(গ) International Organization for standardization (ISO) ও International Electro Technical Commission (IEC) এবং অনুরূপ কোন জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নির্ধারিত ও প্রদত্ত দিক নির্দেশনা ও মানে বর্ণিত নির্দেশাবালী অনুযায়ী এ্যাক্রেডিটেশন পরিচালনা করা;(ঘ) এ্যাক্রেডিটেশন কার্যক্রমে জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত দক্ষতা নিশ্চিত করা;(ঙ) এ্যাক্রেডিটেশনের ক্ষেত্রে জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা প্রদান করা;(চ) এ্যাক্রেডিটেশন বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে উৎসাহ সৃষ্টি ও এ্যাক্রেডিটেশন কর্মকান্ডের উন্নয়ন, প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, সেমিনার ও সিম্পোজিয়াম, ইত্যাদির আয়োজন এবং এ্যাক্রোডিটেশন বিষয়ক তথ্যাদির বিস্তারকল্পে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করা;(ছ) আন্তঃরাষ্ট্র, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সাথে পারস্ঙ্রিক স্বীকৃতির ভিত্তিতে বহুমাত্রিক স্বীকৃতির ব্যবস্থা করা;(জ) এ্যাক্রেডিটেশন সনদ প্রদানকারী দেশীয় বা বিদেশী সমশ্রেণীর প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি হিসাবে কার্য সম্পাদনের উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা;(ঝ) চুক্তিভিত্তিক অ্যাসেসর নিয়োগ করা; এবং(ঞ) উপরে বর্ণিত কার্যাবলীর সাথে প্রাসঙ্গিক বা আনুষঙ্গিক অন্য সকল কর্মকান্ড সম্পাদন করা৷
১১৷ এই আইনের ধারা ১৪ এর অধীন এ্যাক্রেডিটেশন সনদ গ্রহণ করিয়া পরীক্ষাগার, সনদ প্রদানকারী সংস্থা, পরিদর্শন সংস্থা, প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান, ইত্যাদি স্থাপন ও পরিচালনা করা যাইবে৷
১৩৷ (১) পরীক্ষাগার, সনদ প্রদানকারী সংস্থা, পরিদর্শন সংস্থা, প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান, ইত্যাদি স্থাপন ও পরিচালনায় ইচ্ছুক কোন ব্যক্তি এ্যাক্রেডিটেশনের জন্য বোর্ডের নিকট প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে ও ফরমে আবেদন করিতে পারিবেন৷(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রাপ্ত আবেদনে উল্লিখিত তথ্যাবলীর সত্যতা যাচাইয়ের জন্য বোর্ড আবেদন প্রাপ্তির সাত দিনের মধ্যে উহা বাছাই কমিটির নিকট প্রেরণ করিবে৷(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন আবেদন প্রাপ্তির অনধিক নব্বই দিনের মধ্যে বাছাই কমিটি আবেদনে উল্লিখিত স্থান সরেজমিনে পরিদর্শন করিবে এবং প্রাপ্ত তথ্যাবলী পরীক্ষা ও যাবতীয় বিষয় অনুসদ্ধান করিবার পর তদবিষয়ে একটি পূর্ণাংগ প্রতিবেদন বোর্ডের নিকট দাখিল করিবে৷
১৪৷ ধারা ১৩ এর উপ-ধারা (৩) এর অধীন প্রতিবেদন প্রাপ্তির পর বোর্ড-(ক) যদি এই মর্মে সন্তষ্ট হয় যে, আবেদনকারী পরীক্ষাগার, সনদ প্রদানকারী সংস্থা, পরিদর্শন সংস্থা, প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান, ইত্যাদি স্থাপন ও পরিচালনার জন্য প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত শর্ত পূরণে সক্ষম, তাহা হইলে বোর্ড ধারা ১৮ এর অধীন নির্ধারিত এ্যাক্রেডিটেশন ফিস আদায় করিয়া ত্রিশ দিনের মধ্যে আবেদনকারীকে এ্যাক্রেডিটেশন সনদ প্রদান করিবে; অথবা(খ) যদি এইরূপ অভিমত পোষণ করে যে, প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত শর্তাবলী পূরণ করিবার জন্য আবেদনকারীকে সুযোগ প্রদান করা সমীচীন, তাহা হইলে উক্ত শর্তাবলী পূরণ করিবার জন্য বোর্ড আবেদনকারীকে ত্রিশ দিন সময় প্রদান করিবে, এবং(অ) উক্ত সময়ের মধ্যে উল্লিখিত সকল শর্তাবলী প্রতিপালন করিতে আবেদনকারী সক্ষম হইয়াছে মর্মে সন্তুষ্ট হইবার পরবর্তী পনের দিনের মধ্যে আবেদন মঞ্জুর করিয়া এ্যাক্রেডিটেশন সনদ প্রদান করিবে; বা(আ) উক্ত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় শর্তাবলী পূরণ করিতে আবেদনকারী ব্যর্থ হইলে আবেদন নামঞ্জুর করিয়া আবেদনকারীকে অবহিত করিবে; অথবা(গ) যদি এইরূপ অভিমত পোষণ করে যে আবেদনকারী প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত শর্তাবলীর মধ্যে অধিকাংশ শর্ত পূরণ করিতে সক্ষম হয় নাই এবং আবেদনকারীকে দফা (খ) তে উল্লিখিত সুযোগ প্রদান করা হইলে উক্ত সময়ের মধ্যে অবশিষ্ট শর্তাবলী পূরণ করিতে সক্ষম হইবার সম্ভাবনা নাই, তাহা হইলে আবেদনকারীর আবেদন সরাসরি নামঞ্জুর করিয়া পনের দিনের মধ্যে আবেদনকারীকে অবহিত করিবে৷
বিদ্যমান পরীক্ষাগার, ইত্যাদির সনদ গ্রহণ সংক্রান্ত বিধান
১৫৷ এই আইন কার্যকর হইবার অব্যবহিত পূর্বে কোন ব্যক্তি কোন পরীক্ষাগার, সনদ প্রদানকারী সংস্থা, পরিদর্শন সংস্থা, প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান, ইত্যাদি স্থাপন ও পরিচালনা করিয়া থাকিলে তিনি এই আইন কার্যকর হইবার ত্রিশ দিনের মধ্যে ধারা ১৩ এর উপ-ধারা (১) এ নির্ধারিত পদ্ধতিতে ও ফরমে বোর্ডের নিকট আবেদন করিতে পারিবে এবং উক্তরূপ আবেদন প্রাপ্তির পর বোর্ড ধারা ১৩ এর উপ-ধারা (২), (৩) এবং ধারা ১৪ তে বর্ণিত পদ্ধতি অনুসরণ করিবে৷
১৬৷ এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে বোর্ড, ভাইস চেয়ারম্যান, ধারা ৫(১) এর দফা (ঙ)-(ছ) এর অধীন মনোনীত সদস্যের মধ্য হইতে একজন সদস্য ও মহাপরিচালকের সমন্বয়ে একটি বাছাই কমিটি গঠন করিবে৷
১৭৷ (১) ধারা ১৪ এর অধীন প্রদত্ত এ্যাক্রেডিটেশন সনদের মেয়াদ হইবে তিন বত্সর৷(২) উপ-ধারা (১) এ বর্ণিত এ্যাক্রেডিটেশন সনদের মেয়াদ শেষ হইবার নব্বই দিন পূর্বে এ্যাক্রেডিটেশন সনদ নবায়নের নির্ধারিত ফিসসহ নবায়নের জন্য বোর্ডের নিকট প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত ফরমে আবেদন করিতে হইবে এবং উক্তরূপ আবেদন প্রাপ্তির পর বোর্ড ধারা ১৩ এর উপ-ধারা (২), (৩) এবং ধারা ১৪ তে বর্ণিত পদ্ধতি অনুসরণ করিবে৷
১৯৷ ধারা ১৪ এর অধীন প্রদত্ত প্রতিটি এ্যাক্রেডিটেশন সনদ সংরক্ষণ করিতে হইবে এবং এ্যাক্রেডিটেশন প্রাপ্ত সকল পরীক্ষাগার, সনদ প্রদানকারী সংস্থা, পরিদর্শন সংস্থা, প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি কর্তৃক উক্ত সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের একটি দৃষ্টিগ্রাহ্য স্থানে উহা প্রদর্শনের ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে হইবে৷
২০৷ (১) ধারা ১৪ এর অধীনে এ্যাক্রেডিটেশন সনদপ্রাপ্ত পরীক্ষাগার, সনদ প্রদানকারী সংস্থা, পরিদর্শন সংস্থা, প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি কর্তৃক এ্যাক্রেডিটেশন মার্ক ব্যবহার করিতে হইবে৷(২) কোন পরীক্ষণ অথবা অন্যবিধ কর্মকান্ড পরিচালনার জন্য কোন পরীক্ষাগার, সনদ প্রদানকারী সংস্থা, পরিদর্শন সংস্থা, প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি যতদিনের জন্য এ্যাক্রেডিটেশন সনদপ্রাপ্ত হইবে, এ্যাক্রেডিটেশন মার্কটিও ততদিন বৈধ থাকিবে৷
এ্যাক্রেডিটেশন মার্ক ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিধি-নিষেধ
২১৷ (১) ধারা ১৪ এর অধীনে এ্যাক্রেডিটেশন সনদপ্রাপ্তি ব্যতিরেকে কোন ব্যক্তি, পরীক্ষাগার, সনদ প্রদানকারী সংস্থা, পরিদর্শন সংস্থা, প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির পক্ষে, কোন পেটেন্ট, ট্রেডমার্কে বা ডিজাইনে কিংবা বিজ্ঞাপনে অথবা অন্যকোন প্রক্রিয়ায় এ্যাক্রেডিটেশন মার্ক অথবা উহার সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ কোন মার্কের প্রতিচ্ছবি ব্যবহার করা যাইবে না৷(২) বোর্ড কর্তৃক প্রদত্ত সনদের শর্তাবলী প্রতিপালন ব্যতীত কোন পরীক্ষাগার, সনদ প্রদানকারী সংস্থা, পরিদর্শন সংস্থা, প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি সংশ্লিষ্ট এ্যাক্রেডিটেশন মার্ক বা উহার সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ কোন মার্কের প্রতিচ্ছবি ব্যবহার করিতে পারিবে না৷
২২৷ (১) উপ-ধারা (২) এ বর্ণিত শর্ত সাপেক্ষে কোন ব্যক্তি এই আইনের অধীন বোর্ডের জন্য প্রদত্ত কোন নাম বা উহার এক্রোনিম ব্যবহার করিয়া কোন কার্যক্রম, ব্যবসা, বাণিজ্য বা পেশা পরিচালনা করিতে পারিবেন৷(২) বোর্ডের লিখিত অনুমোদন ব্যতিরেকে-(ক) Trade Marks Act, 1940 (Act No. V of 1940) এর অধীনে ইতিমধ্যে নিবন্ধিত না হইয়া থাকিলে বোর্ড কর্তৃক গৃহীত কোন ট্রেড মার্ক, ডিভাইস, ব্র্যান্ড, হেডিং, লেবেল, টিকেট, সচিত্র উপস্থাপনা, নাম, স্বাক্ষর, অক্ষর, সংখ্যা অথবা নাম বা নামের এক্রোনিমের শব্দ সমন্বয়ে গঠিত কোন স্বাক্ষর, অক্ষর, সংখ্যা অথবা এইসবের যুক্ততা Trade Marks Act, 1940 (Act No. V of 1940) এর অধীনে নিবন্ধন করা যাইবে না, এবং(খ) ধারা ১৪ এর অধীন এ্যাক্রেডিটেশন প্রাপ্তি ব্যতিরেকে কোন ব্যক্তি “বাংলাদেশ এ্যাক্রেডিটেশন” শব্দসম্বলিত মার্কের অথবা ধারা ১৪ এর অধীনে এ্যাক্রেডিটেশন প্রাপ্ত হইয়াছে এমন ধারণা সৃষ্টিকারী শব্দের বর্ণনার আওতায় কোন সেবা বা সুযোগ (facility) প্রদান করিতে পারিবে না৷(৩) কোন ব্যক্তি এই আইন কার্যকর হইবার তারিখে কোন কার্যক্রম, ব্যবসা, বাণিজ্য বা পেশা অথবা উপ-ধারা (২) (ক) তে উল্লিখিত কোন নামে নিবন্ধিত থাকিলে উক্ত উপ-ধারা (২) এর শর্তাদি নির্বিশেষে কার্যক্রম, ব্যবসা, বাণিজ্য বা পেশা চালাইয়া যাইতে কিংবা উক্ত নামে নিবন্ধিত থাকিতে পারিবে৷
২৪৷ (১) বোর্ডের প্রয়োজন অনুযায়ী প্রত্যেক আবেদনকারী সনদ প্রাপ্তির জন্য প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে ব্যবহৃত বস্তু বা বিষয়ের নমুনা এবং তথ্যাবলী বোর্ডকে প্রদান করিবে৷(২) প্রত্যেক আবেদনকারী বোর্ডের কর্মকর্তাকে নিবন্ধনকৃত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে প্রবেশাধিকার দিতে বাধ্য থাকিবে৷
২৫৷ ধারা ১৪ এর অধীনে এ্যাক্রেডিটেশন সনদপ্রাপ্ত কোন পরীক্ষাগার, সনদ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান, পরিদর্শন সংস্থা, প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধি বা প্রবিধানমালায় উল্লিখিত শর্তাবলী বা নির্ণায়কসমূহ লঙ্ঘন করিলে বা প্রতিপালন করিতেছে না মর্মে বোর্ডের নিকট প্রতীয়মান হইলে, যথাযথ তদন্ত সাপেক্ষে, বোর্ড প্রবিধানমালার বিধান অনুযায়ী, এ্যাক্রেডিটেশন সনদ বাতিল করিত পারিবে৷
২৬৷ (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, মহাপরিচালক বা তদকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তা কর্তৃক প্রদত্ত কোন আদেশ বা নির্দেশের দ্বারা যদি কোন ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত বা সংক্ষুব্ধ হয়, তাহা হইলে উক্ত ক্ষতিগ্রস্ত বা সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি অনুরূপ আদেশ বা নির্দেশ প্রদানের তারিখের নব্বই দিনের মধ্যে প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত ফিস পরিশোধ সাপেক্ষে প্রতিকার লাভের উদ্দেশ্যে-(ক) আদেশটি যদি মহাপরিচালক কর্তৃক প্রদান করা হইয়া থাকে, তাহা হইলে সরকারের নিকট; এবং(খ) আদেশটি যদি কোন কর্মকর্তা কর্তৃক প্রদান করা হইয়া থাকে, তাহা হইলে চেয়ারম্যানের নিকট, আপীল করিতে পারিবেন৷(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন কোন আপীলের ক্ষেত্রে অনধিক নব্বই দিনের মধ্যে উহা নিষ্পত্তি করিতে হইবে৷(৩) উপ-ধারা (১) এর অধীন আপীলের ক্ষেত্রে সরকারের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে৷
২৭৷ বোর্ডের কোন সদস্য বা কর্মকর্তা বা কর্মচারী বা অ্যাসেসর কর্তৃক এই আইনের অধীনে প্রদত্ত কোন বিবরণ বা সরবরাহকৃত তথ্যাবলী বা সাক্ষ্য-প্রমাণ বা পরিদর্শন রিপোর্ট হইতে প্রাপ্ত যে কোন তথ্য গোপনীয় বলিয়া বিবেচিত হইবেঃতবে শর্ত থাকে যে, এই আইনের অধীনে কোন মামলার কারণে কোন তথ্য প্রকাশের ক্ষেত্রে এই ধারার বিধান কার্যকর হইবে না৷
২৮৷ (১) বোর্ডে একজন মহাপরিচালক থাকিবেন৷(২) সরকার, শিল্প, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত জ্ঞানসম্পন্ন একজন ব্যক্তিকে মহাপরিচালক নিযুক্ত করিবেন এবং তাহার চাকুরীর শর্তাদি সরকার কর্তৃক স্থিরীকৃত হইবে৷(৩) মহাপরিচালকের পদ শূন্য ইহলে, কিংবা অনুপস্থিতি, অসুস্থতা বা অন্য কোন কারণে মহাপরিচালক তাহার দায়িত্্ব পালনে অসমর্থ হইলে শূন্য পদে নবনিযুক্ত মহাপরিচালক কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত বিংবা মহাপরিচালক পুনরায় স্বীয় দায়িত্ব পালনে সমর্থ না হওয়া পর্যন্ত সরকার কর্তৃক মনোনীত কোন ব্যক্তি মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করিবেন৷(৪) মহাপরিচালক বোর্ডের সার্বক্ষণিক মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা হইবেন, এবং তিনি-(ক) বোর্ডের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য দায়ী থাকিবেন;(খ) বোর্ড কর্তৃক প্রদত্ত দায়িত্ব ও কার্যসম্পাদন করিবেন;(গ) বোর্ডের প্রশাসন পরিচালনা করিবেন; এবং(ঘ) তাহার সামগ্রীক কর্মকান্ডের জন্য বোর্ডের নিকট দায়ী থাকিবেন৷
২৯৷ বোর্ড উহার কার্যাবলী সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের উদ্দেশ্যে, সরকার কর্তৃক অনুমোদিত সাংগঠনিক কাঠামো অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ করিবে এবং তাহাদের চাকুরীর শর্তাবলী প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে৷
৩০৷ (১) বোর্ড উহার কার্যাবলী সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের উদ্দেশ্যে, চুক্তির ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক অ্যাসেসর নিয়োগ করিতে পারিবে এবং তাহাদের যোগ্যতা, সম্মানী ও অন্যান্য শর্তাদি বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত হইবে৷(২) অ্যাসেসরদের কার্যাবলী হইবে নিম্নরূপ, যথাঃ-(ক) কোন পরীক্ষাগার, সনদ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান, পরিদর্শন সংস্থা, প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তিকে এ্যাক্রেডিটেশন সনদ প্রদানের লক্ষ্যে উহার কর্মকান্ড পরিদর্শন ও বোর্ডের নিকট উহার প্রতিবেদন উপস্থাপন;(খ) এ্যাক্রেডিটেশন সনদ প্রদানের লক্ষ্যে কোন পরীক্ষাগার, সনদ প্রদানকারী সংস্থা, পরিদর্শন সংস্থা কর্তৃক ব্যবহৃত দ্রব্য, জিনিষ বা পদার্থ অথবা কোন প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি কর্তৃক ব্যবহৃত যন্ত্র, পদ্ধতি বা কার্যক্রমের নমুনা সংগ্রহকরণ ও বোর্ডের নিকট উহার প্রতিবেদন উপস্থাপন; এবং(গ) বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত অন্য কোন দায়িত্ব পালন৷
৩১৷ (১) বোর্ডের কার্য পরিচালনার জন্য উহার একটি তহবিল থাকিবে৷(২) নিম্নবর্ণিত উত্সসমূহ হইতে প্রাপ্ত অর্থ তহবিলে জমা হইবে, যথাঃ-(ক) সরকার কর্তৃক প্রদত্ত বার্ষিক মঞ্জুরী;(খ) কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান;(গ) বোর্ড কর্তৃক গৃহীত ঋণ;(ঘ) তহবিলের অর্থ বিনিয়োগ হইতে প্রাপ্ত মুনাফা; এবং(ঙ) বোর্ড কর্তৃক প্রদত্ত সেবা ও বোর্ডের বিনিয়োগ হইতে প্রাপ্ত আয়৷(৩) তহবিলের অর্থ বোর্ডের অনুমোদনক্রমে, কোন তফসিলী ব্যাংকে জমা রাখিতে হইবে এবং ব্যাংক হইতে উক্ত অর্থ উত্তোলনের পদ্ধতি প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে৷(৪) তহবিলের অর্থ বা উহার অংশবিশেষ বোর্ড প্রয়োজন অনুযায়ী বিনিয়োগ করিবে৷(৫) তহবিল হইতে বোর্ডের প্রয়োজনীয় ব্যয় নির্বাহ করা হইবে৷
৩২৷ (১) বোর্ড প্রতি বত্সর সরকার কতৃক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরবর্তী অর্থ বত্সরের বার্ষিক বাজেট বিবরণী সরকারের নিকট পেশ করিবে এবং উহাতে উক্ত অর্থ বত্সরে সরকারের নিকট হইতে বোর্ডের কি পিরামণ অর্থের প্রয়োজন হইবে উহার উল্লেখ থাকিবে৷(২) উক্তরূপ বাজেট প্রণয়নের ক্ষেত্রে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতি অনুসরণ করিতে হইবে৷
৩৩৷ (১) বোর্ড যথাযথভাবে উহার হিসাবরক্ষণ করিবে এবং হিসাবের বার্ষিক বিবরণী প্রস্তুত করিবে৷(২) মহা-হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, বোর্ডের প্রতি বত্সরের হিসাব নিরীক্ষা করিবেন এবং নিরীক্ষা প্রতিবেদনের একটি করিয়া অনুলিপি সরকার ও বোর্ডের নিকট প্রেরণ করিবেন৷(৩) উপ-ধারা (২) মোতাবেক হিসাব নিরীক্ষার উদ্দেশ্যে মহা-হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক কিংবা তাহার নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি বোর্ডের সকল রেকর্ড, দলিল দস্তাবেজ, নগদ বা ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, জামানত এবং অন্যবিধ সম্পত্তি পরীক্ষা করিয়া দেখিতে পারিবেন এবং বোর্ডের কোন সদস্য বা যে কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করিতে পারিবেন৷
৩৪৷ (১) প্রতি আর্থিক বত্সর শেষ হইবার পরবর্তী একমাসের মধ্যে মহাপরিচালক বোর্ডের পূর্ববর্তী বত্সরের কার্যাবলী সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন বোর্ডের নিকট পেশ করিবে এবং বোর্ড উহা সরকারের নিকট দাখিল করিবে এবং প্রকাশের ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে৷(২) সরকার প্রয়োজনমত বোর্ডের নিকট হইতে যে কোন সময় উহার যে কোন কাজের প্রতিবেদন বা বিবরণী চাহিতে পারিবে এবং বোর্ড উহা সরকারের নিকট প্রেরণ করিতে বাধ্য থাকিবে৷
৩৫৷ এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে বোর্ড, বাণিজ্যিক ব্যাংক বা সরকার কর্তৃক অনুমোদিত যে কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা বিদেশী সংস্থা হইতে ঋণ গ্রহণ করিতে পারিবে৷ব্যাখ্যাঃ আর্থিক প্রতিষ্ঠান বলিতে আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন, ১৯৯৩ (১৯৯৩ সনের ২৭নং আইন) এর ধারা ২(খ) তে সংজ্ঞায়িত প্রতিষ্ঠানকে বুঝাইবে৷
৩৬৷ বোর্ড উহার কার্যাবলী সম্পাদনের প্রয়োজনে চুক্তি সম্পাদন করিতে পারিবেঃতবে শর্ত থাকে যে, কোন বিদেশী সরকার বা আন্তর্জাতিক সংস্থার সহিত চুক্তির ক্ষেত্রে সরকারের পূর্বানুমোদন গ্রহণ করিতে হইবে৷
৩৭৷ কোন কোম্পানী কর্তৃক এই আইনের অধীন কোন অপরাধ সংঘটিত হইলে উক্ত অপরাধের সহিত প্রত্যক্ষ সংশ্লিষ্টতা রহিয়াছে কোম্পানীর এমন প্রত্যেক পরিচালক, ম্যানেজার, সচিব, অংশীদার, কর্মকর্তা এবং কর্মচারী উক্ত অপরাধ সংঘটন করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন, যদি না তিনি প্রমাণ করিতে পারেন যে, উক্ত অপরাধ তাহার অজ্ঞাতসারে সংঘটিত হইয়াছে অথবা উক্ত অপরাধ রোধ করিবার জন্য তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করিয়াছেন৷ব্যাখ্যাঃ এই ধারায়-(ক) “কোম্পানী” বলিতে কোন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, অংশীদারী কারবার, সমিতি, সংঘ এবং সংগঠনও অন্তর্ভুক্ত;(খ) বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে “পরিচালক” বলিতে উহার কোন অংশীদার বা পরিচালনা বোর্ডের সদস্যকেও বুঝাইবে৷
৩৮৷ সরকার কিংবা বোর্ড কর্তৃক অথবা তদকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তা কর্তৃক আনীত অভিযোগ ব্যতীত কোন আদালত এই আইনের অধীন কোন মামলা বিচারার্থ গ্রহণ করিবেনা৷
৪০৷ যদি কোন ব্যক্তি এই আইনের ধারা ১৯, ধারা ২০, ধারা ২১ ও ধারা ২২ এর কোন বিধান লঙ্ঘন করেন তাহা হইলে তিনি অনুরূপ লংঘনের জন্য অনূর্ধ্ব তিন মাস কারাদন্ড বা অন্যুন বিশ হাজার টাকা এবং অনূর্ধ্ব পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডণীয় হইবেন৷
৪১৷ এই আইনের অধীন প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট বা ক্ষেত্রমত, মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক প্রদত্ত কোন রায় বা আদেশের বিরুদ্ধে এখতিয়ারসম্পন্ন দায়রা আদালতে আপীল করা যাইবে৷
৪২৷ এই আইনের বিধানাবলীর সহিত অসংগতিপূর্ণ না হওয়া সাপেক্ষে, এই আইনের অধীন অপরাধের তদন্ত, বিচার, আপীল ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ফৌজদারী কার্যবিধি প্রযোজ্য হইবে৷
৪৪৷ (১) কোন ব্যক্তি এই আইনের অধীন দোষী সাব্যস্ত এবং দন্ডপ্রাপ্ত হইলে আদালত যেই পণ্য এবং যন্ত্রপাতির সম্পৃক্ততায় অপরাধটি সংগঠিত হইয়াছে তাহার সমুদয় বা কোন অংশ বাজেয়াপ্ত করিবার আদেশ প্রদান করিতে পারিবে৷(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন বাজেয়াপ্তকৃত সমুদয় পণ্য এবং যন্ত্রপাতি বা উহার অংশবিশেষ আদালতের নির্দেশিত পন্থায় নিষ্পত্তি করিতে হইবে৷
৪৬৷ এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধি বা প্রবিধানের অধীন সরল বিশ্বাসেকৃত কোন কাজের ফলে কোন ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হইলে বা ক্ষতিগ্রস্ত হইবার সম্ভাবনা থাকিলে, তজ্জন্য সরকার, বোর্ডের কোন সদস্য, মহাপরিচালক বা অন্যান্য কর্মকর্তা বা কর্মচারী, অথবা সরকারের কোন কর্মকর্তা বা সরকার বা বোর্ডের কর্তৃত্বাধীন কোন প্রকাশনা, রিপোর্ট অথবা সরকারের বা বোর্ডের কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারীর কর্তৃত্বাধীন কোন প্রকাশনা, রিপোর্ট বা কার্যধারার বিরুদ্ধে দেওয়ানী বা ফৌজদারী মামলা বা অন্য কোন আইনগত কার্যধারা দায়ের বা রুজু করা যাইবে না৷
৪৯৷ এই আইন কার্যকরী হইবার পর সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের ইংরেজীতে অনূদিত একটি পাঠ প্রকাশ করিবে, যাহা এই আইনের অনুমোদিত ইংরেজী পাঠ (Authentic English Text) নামে অভিহিত হইবেঃতবে শর্ত থাকে যে, বাংলা পাঠ ও ইংরেজী পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে বাংলা পাঠ প্রাধান্য পাইবে৷