রাসায়নিক অস্ত্রের উন্নয়ন, উত্পাদন, মজুদকরণ ও উহার ব্যবহার নিষিদ্ধকরণ এবং উহাদের ধ্বংসকরণ সংক্রান্ত কনভেনশনের বিধানাবলী বাংলাদেশে কার্যকর করার লক্ষ্যে প্রণীত আইন
যেহেতু রাসায়নিক অস্ত্রের উন্নয়ন, উত্পাদন, মজুদকরণ ও উহার ব্যবহার নিষিদ্ধকরণ এবং উহাদের ধ্বংসকরণ সংক্রান্ত কনভেনশনে বাংলাদেশ পক্ষভুক্ত হইয়াছে; এবংযেহেতু উক্ত কনভেনশনের বিধানাবলী বাংলাদেশে কার্যকর করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইলঃ-
২৷ বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থী না হইলে, এই আইনে-(ক) “অনুমোদিত উদ্দেশ্য” অর্থ-(অ) শিল্প, কৃষি, গবেষণা, চিকিত্সা, ঔষধশিল্প বা অন্য কোন শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে ব্যবহার;(আ) বিষাক্ত রাসায়নিক দ্রব্য ও রাসায়নিক অস্ত্রের ক্ষতিকর প্রভাবের মোকাবেলায় প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্দেশ্যে ব্যবহার;(ই) রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের সহিত সম্পর্কযুক্ত নহে এবং যুদ্ধে বিষাক্ত রাসায়নিক উপাদান হিসাবে ব্যবহারের উপর নির্ভরশীল নহে এমন সামরিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার;(ঈ) অভ্যন্তরীণ দাঙ্গা নিয়ন্ত্রণসহ আইন প্রয়োগের কাজে ব্যবহার;(খ) “কনভেনশন” অর্থ ১৩ জানুয়ারী, ১৯৯৩ইং তারিখে প্যারিসে স্বাক্ষরিত রাসায়নিক অস্ত্রের উন্নয়ন, উত্পাদন, মজুদ ও উহার ব্যবহার নিষিদ্ধকরণ এবং উহাদের ধ্বংসকরণ সম্পর্কিত কনভেনশন;(গ) “চেয়ারম্যান” অর্থ জাতীয় কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান;(ঘ) “চ্যালেঞ্জ পরিদর্শন” অর্থ কনভেনশনের পক্ষভূক্ত অন্য কোন রাষ্ট্রের অনুরোধে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় সীমানার মধ্যে, বা রাষ্ট্রীয় সীমানার বাহিরে বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রণাধীন, কোন স্থাপনা, স্থান ও যানবাহনে প্রতিপাদন পরিশিষ্টের নবম ভাগে বিধৃত পদ্ধতিতে পরিচালিত পরিদর্শন;(ঙ) “জাতীয় কর্তৃপক্ষ” অর্থ ধারা ২৩ এর অধীন গঠিত জাতীয় কর্তৃপক্ষ;(চ) “তফসিল” অর্থ এই আইনের তফসিল;(ছ) “তফসিলভুক্ত রাসায়নিক দ্রব্য” অর্থ তফসিল ১, ২ বা ৩ এ বিধৃত যে কোন রাসায়নিক দ্রব্য;(জ) “দাঙ্গা নিয়ন্ত্রণ পদার্থ” অর্থ তফসিলভুক্ত রাসায়নিক দ্রব্য নহে এমন রাসায়নিক দ্রব্য যাহার সংস্পর্শে মানুষের ইন্দ্রিয়দাহ্যতা বা শারীরিক অক্ষমতার সৃষ্টি করে এবং উক্ত সংস্পর্শের সমাপ্তিতে স্বল্প সময়ের মধ্যেই যাহা দূরীভূত হয়;(ঝ) “নির্বাহী সেল” অর্থ ধারা ২৮ এর অধীন গঠিত রাসায়নিক অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ ও নিরস্ত্রীকরণ সেল;(ঞ) “নৈমিত্তিক পরিদর্শন” অর্থ প্রতিপাদন পরিশিষ্টের দ্বিতীয় হইতে নবম ভাগে বিধৃত পদ্ধতিতে পরিচালিত পরিদর্শন;(ট) “পরিচালক” অর্থ ধারা ২৮(৩) এর অধীন সরকার কর্তৃক নিযুক্ত পরিচালক;(ঠ) “প্রতিপাদন পরিশিষ্ট (Verification Annex)” অর্থ কনভেনশনের প্রতিপাদন পরিশিষ্ট;(ড) “ফৌজদারী কার্যবিধি” অর্থ the Code of Criminal Procedurem 1898 (V of 1898);(ঢ) “বিধি” অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি;(ণ) “বিষাক্ত রাসায়নিক দ্রব্য” অর্থ জীবন প্রক্রিয়ার উপর রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফলে মানুষ বা প্রাণীর মৃত্যু ঘটানো, সাময়িক অক্ষমতা বা স্থায়ী ক্ষতির কারণ হইতে পারে এমন কোন রাসায়নিক দ্রব্য এবং উত্স ও প্রস্তুত প্রণালী নির্বিশেষে, যুদ্ধোপকরণ প্রস্তুতকারী কারখানা বা অন্য কোন স্থানে উত্পাদিত হউক না কেন, এইরূপ সকল রাসায়নিক দ্রব্যও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;(ত) “ব্যক্তি” অর্থে কোম্পানী, সমিতি বা ব্যক্তি সমষ্টি, সংবিধিবদ্ধ হউক বা না হউক, অন্তর্ভূক্ত হইবে;(থ) “রাসায়নিক অস্ত্র” অর্থ-(অ) কনভেনশনের অধীনে নিষিদ্ধ করা হয় নাই এমন উদ্দেশ্যে বা অনুমোদিত উদ্দেশ্যে যতটুকু পরিমাণের ও শ্রেণীর বিষাক্ত রাসায়নিক দ্রব্য ও উহার সৃজন উপাদান ব্যবহার করা যাইবে, সে পরিমাণ ও শ্রেণীর অতিরিক্ত বিষাক্ত রাসায়নিক দ্রব্য ও উহার সৃজন উপাদানসমুহ;(আ) দফা (অ) তে উল্লিখিত বিষাক্ত রাসায়নিক দ্রব্যের বিষাক্ত উপাদানের মাধ্যমে মৃত্যু বা অন্য কোন ক্ষতির কারণ ঘটাইবার জন্য বিশেষভাবে প্রস্তুতকৃত যুদ্ধোপকরণ ও কৌশল যাহা প্রয়োগের ফলে বিষাক্ত উপাদান নির্গত (released) হইতে পারে;(ই) দফা (আ) তে উল্লিখিত যুদ্ধোপকরণ বা কৌশল প্রয়োগের সহিত সরাসরি সম্পর্কিত বিশেষভাবে প্রস্তুতকৃত কোন সরঞ্জাম;(দ) “সদস্য” অর্থ জাতীয় কর্তৃপক্ষের সদস্য;(ধ) “সহায়তা পরিদর্শন” অর্থ প্রতিপাদন পরিশিষ্টের দ্বিতীয় ও একাদশ ভাবে বিধৃত পদ্ধতিতে পরিচালিত পরিদর্শন;(ন) ”সৃজন-উপাদন (Precursor)” অর্থ যে কোন রাসায়নিক বিক্রিয়ক যাহা যে কোন পদ্ধতিতে বা বিষাক্ত রাসায়নিক দ্রব্য উত্পাদনের যে কোন পর্যায়ে অংশগ্রহণ করে এবং দ্বিযোগ বা বহুযোগ উপাদানবিশিষ্ট রাসায়নিক প্রক্রিয়ার মূল উপাদানও ইহার অন্তর্ভূক্ত;(প) “সংস্থা” অর্থ কনভেনশনের অধীন স্থাপিত Organization for the Prohibition of Chemical Weapons৷
৩৷ বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় সীমানার বাহিরে নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্রে এই আইনের বিধানাবলী প্রযোজ্য হইবে-(ক) বাংলাদেশের কোন নাগরিক বা বাংলাদেশের পক্ষে চাকুরীতে কর্মরত কোন ব্যক্তি কর্তৃক কোন অপরাধ সংঘটিত হইয়া থাকিলে; এবং(খ) বাংলাদেশের কোন জাহাজ বা বিমানে আরোহণরত বা অবস্থানরত কোন ব্যক্তি কর্তৃক অপরাধ সংঘঠিত হইয়া থাকিলে৷
৫৷ (১) কোন ব্যাক্তি-(ক) রাসায়নিক অস্ত্র উন্নয়ন, উত্পাদন, অন্য কোনভাবে অর্জন করিবেন না বা রাসায়নিক অস্ত্র মজুদ করিবেন না;(খ) কাহারো নিকট, প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে, রাসায়নিক অস্ত্র হস্তান্তর করিবেন না;(গ) রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করিবেন না;(ঘ) রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের উদ্দেশ্যে নিজেকে সামরিক প্রস্তুতিমূলক কর্মকান্ডে নিয়োজিত করিবেন না;(ঙ) কনভেনশনে পক্ষভূক্ত কোন রাষ্ট্রের জন্য কনভেনশনের অধীন নিষিদ্ধ কোন কর্মকান্ডে কোনভাবেই সহায়তা প্রদান, উত্সাহদান বা প্রভাবিত করিবেন না; এবং(চ) ইচ্ছাকৃত বা অসংগতভাবে, দাঙ্গা নিয়ন্ত্রণ পদার্থ যুদ্ধে (warfare) ব্যবহার করিবেন না৷(২) উপ-ধারা (১) এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, যদি কোন ব্যক্তি অনুমোদিত উদ্দেশ্যে রাসায়নিক অস্ত্র তৈরীর কাজে ব্যবহৃত হয় এমন কোন রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করেন, তাহা হইলে উহা রাসায়নিক অস্ত্র বলিয়া গণ্য হইবে না, তবে অনুমোদিত উদ্দেশ্যের ভিত্তিতে উহা ব্যবহৃত হইয়াছে কিনা উহা নির্ধারণের জন্য উক্ত রাসায়নিক দ্রব্যের ধরন এবং পরিমাণ বিবেচনায় রাখিতে হইবে৷
রাসায়নিক অস্ত্রের উত্পাদন স্থল (premises) বা সরঞ্জাম সম্পর্কিত বিধান
৬৷ (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, রাসায়নিক অস্ত্র উত্পাদনের বা ব্যবহারের অভিপ্রায়ে-(ক) কোন উত্পাদন স্থল স্থাপন করা যাইবে না;(খ) কোন উত্পাদন স্থলের স্থাপনাগত পরিবর্তন করা যাইবে না;(গ) কোন সরঞ্জাম স্থাপন বা নির্মাণ করা যাইবে না; এবং(ঘ) কোন সরঞ্জামাদির পরিবর্তন করা যাইবে না।(২) উপ-ধারা (১) এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, যদি কোন বিষয়বস্তু অনুমোদিত উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়, তাহা হইলে উহা রাসায়নিক অস্ত্র উত্পাদন বা ব্যবহারের উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে না এবং অনুমোদিত উদ্দেশ্যের ভিত্তিতে উহা উত্পাদিত ও ব্যবহৃত হইয়াছে কিনা উহা নিধারণের জন্য উক্ত রাসায়নিক দ্রব্যের ধরণ এবং পরিমাণ বিবেচনায় রাখিতে হইবে।
তফলিস ১ এর অন্তর্ভুক্ত রাসায়নিক দ্রব্য উত্পাদন, ইত্যাদি সম্পর্কিত বিধান
৭৷ (১) কোন ব্যক্তি তফসিল ১ এর অন্তর্ভূক্ত রাসায়নিক দ্রব্য উত্পাদন, অর্জন, ব্যবহার, সংরক্ষণ বা স্থানান্তর করিতে পারিবেন না, যদি না-(ক) উহা গবেষণা, চিকিত্সা, ঔষধ প্রস্তুত বা নিরাপত্তার (protective) উদ্দেশ্যে হয়;(খ) উক্ত রাসায়নিক দ্রব্যের ধরন ও পরিমাণ দফা (ক) এর উদ্দেশ্যে যতটুকু যথাযথ হইবে ততটুকুর মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে;(গ) সমগ্র দেশে উহার সামগ্রিক পরিমাণ বাত্সরিক সর্বোচ্চ এক টন হয়; এবং(ঘ) উহা জাতীয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক তালিকাভুক্ত হয়৷(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন তফসিল ১ এর অর্ন্তভুক্ত রাসায়নিক দ্রব্য উত্পাদনের ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত শর্তাদি প্রযোজ্য হইবে, যথা-(ক) উক্ত উত্পাদন গবেষণা, চিকিত্সা, ঔষধ প্রস্তুত বা নিরাপত্তার উদ্দেশ্যে হইতে হইবে;(খ) প্রতিপাদন পরিশিষ্টের ষষ্ঠ ভাগে উল্লিখিত উত্পাদন সম্পর্কীয় বিধানসমূহ অনুসরণ করিতে হইবে;(গ) উত্পাদনকারীকে জাতীয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক তালিকাভুক্ত হইতে হইবে৷(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন তফসিল ১ এর অন্তর্ভুক্ত কোন রাসায়নিক দ্রব্য হস্তান্তরের ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত শর্তাদি প্রযোজ্য হইবে, যথাঃ-(ক) উপ-ধারা (১) এর দফা (ক) হইতে (ঘ) এ বিধৃত শর্তাদি অনুসরণ করিতে হইবে;(খ) এই ধারার শর্তাদি অনুসরণে অর্জিত বা স্থানান্তরিত উক্ত রাসায়নিক দ্রব্য অন্য কোন তৃতীয় রাষ্ট্রে স্থানান্তর করা যাইবে না৷
তফসিল ২ ও ৩ এর অন্তর্ভুক্ত রাসায়নিক দ্রব্য স্থানান্তর, ইত্যাদিতে বাধা-নিষেধ
৮৷ কোন ব্যক্তি কনভেনশনের পক্ষভুক্ত নয় এমন কোন রাষ্ট্রের কাহারো নিকট-(ক) তফসিল ২ এর অন্তর্ভূক্ত রাসায়নিক দ্রব্য স্থানান্তর বা তাহার নিকট হইতে গ্রহণ করিতে পারিবেন না;(খ) তফসিল ৩ এর অন্তর্ভূক্ত রাসায়নিক দ্রব্য স্থানান্তর করিতে পারিবেন না, যদি না-(অ) কনভেনশনের অধীন উহা অনুমোদিত হয়; এবং(আ) গ্রহীতা রাষ্ট্র কর্তৃক নিম্নবর্ণিত বিষয়ে সার্টিফিকেট প্রদান করা হয় যে,-(১) উহা কেবল কনভেনশনের অনুমোদিত উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হইবে;(২) উহা পুনঃস্থানান্তর করা হইবে না;(৩) উহার ধরণ ও পরিমাণ;(৪) উহার প্রান্ত ব্যবহার;(৫) উহার প্রান্ত ব্যবহারকারীর নাম ও ঠিকানা; এবং(ই) উহা জাতীয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক তালিকাভুক্ত হয়৷
তফসিলভূক্ত রাসায়নিক দ্রব্য আমদানি ও রপ্তানী সংক্রান্ত বিধান
৯৷ Import and Exports (Control) Act, 1950 (Act No. XXXIX of 1950) এর অধীন সরকার কর্তৃক, সময় সময়, প্রণীত আমদানি বা রপ্তানী নীতি আদেশের বিধান অনুসরণ ও জাতীয় কর্তৃপক্ষের নিকট তালিকাভূক্ত ব্যতীত কোন ব্যক্তি তফসিলভূক্ত কোন রাসায়নিক দ্রব্য বাংলাদেশে আমদানি, বা বাংলাদেশ হইতে রপ্তানী করিতে পারিবেন না৷
১১৷ (১) এই আইনের অধীন ইস্যুকৃত তালিকাভুক্তি সনদ, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, ও রাজস্ব টিকিট ব্যবহার সাপেক্ষে, নবায়নযোগ্য হইবে৷(২) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, জাতীয় কর্তৃপক্ষ তদধীনে ইস্যুকৃত কোন তািলাকভুক্তি সনদের যে কোন শর্ত এই আইন বা বিধি অনুসারে সংশোধন করিতে পারিবে, তবে তালিকাভুক্ত ব্যক্তিকে অন্যুন ৩০ (ত্রিশ) দিনের নোটিশ না দিয়ে এই ধারার অধীনে শর্ত সংশোধন করা যাইবে না৷
১২৷ (১) যদি কনভেনশনের অধীন বাংলাদেশে কোন নৈমিত্তিক পরিদর্শন, চ্যালেঞ্জ পরিদর্শন বা সহায়তা পরিদর্শন কার্য পরিচালনার প্রস্তাব করা হয়, তাহা হইলে জাতীয় কর্তৃপক্ষ, উপ-ধারা (২) এর বিধান সাপেক্ষে, এই ধারার অধীন পরিদর্শনের বিষয়ে প্রাধিকারপত্র জারী করিতে পারিবে৷(২) প্রাধিকারপত্র জারীর ক্ষেত্রে, জাতীয় কর্তৃপক্ষ-(ক) কনভেনশনের সহিত সম্পর্কযুক্ত নয় এইরূপ স্পর্শকাতর স্থাপনা সুরক্ষার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে; এবং(খ) কনভেনশনের বিধানাবলী অপব্যবহারের মাধ্যমে বাংলাদেশের নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক স্বার্থ যাহাতে বিঘ্নিত বা ক্ষতিগ্রস্ত না হয় তাহা নিশ্চিত করিবে৷
১৩৷ (১) ধারা ১২ এর অধীন পরিদর্শন কার্য পরিচালনার উদ্দেশ্যে কোন পরিদর্শন দল বাংলাদেশে আগমন করিলে, উক্ত পরিদর্শন দলকে জাতীয় কর্তৃপক্ষ বা উহা হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান সার্বিক সহায়তা প্রদান করিবে৷(২) উপ-ধারা (১) এর সামগ্রিকতার আওতায় সহায়তা দানের ক্ষেত্রে, সহায়তা প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ, ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান নিম্নবর্ণিত সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব পালন করিতে পারিবে, যথাঃ-(ক) পরিদর্শন কার্যে ব্যবহারের জন্য পরিদর্শন দল কর্তৃক আনীত যন্ত্রপাতি গ্রহণপূর্বক উহার নিরাপদ সংরক্ষণের ব্যবস্থাকরণ;(খ) অনুচ্ছেদ (ক) এর অধীন আনীত যন্ত্রপাতিতে পূর্ব হইতেই কোন রাসায়নিক দ্রব্যের অস্তিত্ব রহিয়াছে কি না উহার নিশ্চয়তা বিধানকল্পে উক্ত যন্ত্রপাতি নিরীক্ষাকরণ;(গ) এই আইনের অধীন যে সকল স্থানে পরিদর্শন দল কর্তৃক পরিদর্শন কার্য পরিচালনা করা হইবে সেই সকল স্থানে উক্ত পরিদর্শন দলকে লইয়া যাওয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ; এবং(ঘ) পরিদর্শন দলের চাহিদা মাফিক প্রয়োজনীয় কারিগরী সহযোগীতা প্রদান৷(৩) এই ধারার অধীন পরিদর্শন দলকে সহযোগীতা দানের ক্ষেত্রে, প্রদানযোগ্য সহযোগিতার ধরণ বা, ক্ষেত্রমত, সহযোগিতার কার্যপরিধি জাতীয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত হইবে৷(৪) এই ধারার অধীন প্রদত্ত সহযোগীতা জাতীয় কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের তত্ত্ববধানে অনুষ্ঠিত হইবে৷(৫) এই ধারার অধীন পরিদর্শন কার্য পরিচালনার উদ্দেশ্যে নির্ধারিত পরিদর্শন দলের সদস্যগণকে জাতীয় কর্তৃপক্ষ পরিচয়পত্র প্রদান করিবে৷
১৪৷ ধারা ১২ এর অধীন জারীকৃত প্রাধিকারপত্রে নিম্নবর্ণিত বিবরণাদি থাকিবে, যথাঃ-(ক) পরিদর্শন কার্য পরিচালনকারী দলের সদস্যগণের সংস্থা কর্তৃক সত্যায়িত নাম ও ঠিকানা;(খ) দেশের আভ্যন্তরীণ পরিরক্ষী (in country escort) দলের দলনেতার নাম;(গ) চ্যালেঞ্জ পরিদর্শনের ক্ষেত্রে, পরিদর্শন দলের সহগামী পর্যবেক্ষকের নাম;(ঘ) যে সকল স্থানে পরিদর্শন কার্য পরিচালিত হইবে সেই সকল স্থানের নাম ও বিশদ বিবরণ; এবং(ঙ) কোন ধরণের পরিদর্শন কার্য পরিচালনা করা হইবে উহার সুস্পষ্ট বিবরণ৷
১৫৷ (১) ধারা ১২ এর অধীন পরিদর্শন কার্য পরিচালনার জন্য কোন প্রাধিকারপত্র জারী করা হইলে সংশ্লিষ্ট পরিদর্শন দলের নিম্নবর্ণিত ক্ষমতা থাকিবে, যথাঃ-(ক) প্রতিপাদন পরিশিষ্ট অনুযায়ী পরিদর্শন কার্য পরিচালনাকারী দলের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালনের উদ্দেশ্য নির্দিষ্টকৃত পরিদর্শন স্থাপনা, স্থান ও যে কোন ধরণের যানবাহনে প্রবেশের, চলাচলের এবং বাধা-বিঘ্ন ব্যতিরেকে পরিদর্শন কার্য পরিচালনা করিতে পারিবে;(খ) প্রতিপাদন পরিশিষ্টে প্রদত্ত অধিকারবলে পরিদর্শন কার্যের সহিত সম্পর্কিত যে কোন কার্য পরিচালনাসহ অনুমোদিত যন্ত্রপাতি বা পরিদর্শন স্থাপনা, স্থান ও যে কোন ধরণের যানবাহনে ব্যবহৃত উন্মুক্ত যন্ত্রপাতি রক্ষণাবেক্ষণ, প্রতিস্থাপন বা সমন্বয় করিতে প্রয়োজনীয় অন্যান্য কার্য পরিচালনা করিতে পারিবে;(গ) প্রতিপাদন পরিশিষ্ট অনুযায়ী অভ্যন্তরীণ পরিরক্ষী দলের সহগামী হইতে পারিবে; এবং(ঘ) প্রতিপাদন পরিশিষ্ট অনুযায়ী, পরিদর্শন কার্য পরিচালনার উদ্দেশ্যে, অভ্যন্তরীণ পরিরক্ষী দলের অনুরোধে, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রয়োজনীয় সহায়তা গ্রহণ করিতে পারিবে৷(২) চ্যালেঞ্জ পরিদর্শনের ক্ষেত্রে, কোন পর্যবেক্ষকের, ধারা ১২ এর অধীন প্রদত্ত প্রাধিকারপত্রে উল্লিখিত ক্ষমতার অতিরিক্ত, প্রতিপাদন পরিশিষ্টের অধীন প্রদত্ত উক্ত পরিদর্শনের জন্য নির্দিষ্টকৃত যে কোন স্থাপনা, স্থান ও যে কোন ধরণের যানবাহনে প্রবেশের সকল ক্ষমতা থাকিবে৷(৩) উপ-ধারা (১) এর দফা (ঘ) এর অধীন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কোন কর্মকর্তাকে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানের দায়িত্ব অর্পণ করা হইলে, তিনি পরিদর্শন কার্য সুষ্ঠুভাবে ও দ্রুততার সহিত নিষ্পত্তির স্বার্থে তাহার বিবেচনায় যুক্তিসঙ্গত বলিয়া প্রয়োজনীয় এইরূপ সকল আইনানুগ ক্ষমতা প্রয়োগ করিতে পারিবেন৷
পরিদর্শন এবং পর্যবেক্ষক দলের সদস্যদের অধিকার ও সুযোগ-সুবিধা
১৬৷ (১) উপ-ধারা (২) এর বিধান সাপেক্ষে, পরিদর্শন ও পর্যবেক্ষক দলের সদস্যগণ প্রতিপাদন পরিশিষ্টের দ্বিতীয় ভাগের অনুচ্ছেদ ১২ এ বিধৃত নিরাপত্তা ও অধিকারসমূহ ভোক করিতে পারিবে৷(২) উক্ত দলের সদস্যগণ, বাংলাদেশে অবস্থানকালে, প্রদত্ত অধিকার ও সুযোগ-সুবিধা নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্রে ভোগ করিতে পারিবে, যথাঃ-(ক) নৈমিত্তিক পরিদর্শন, চ্যালেঞ্জ পরিদর্শন বা সহায়তা পরিদর্শন কার্য পরিচালনাকালে; এবং(খ) উক্ত পরিদর্শন কার্য পরিচালনার ক্ষেত্রে কনভেনশনের পক্ষভূক্ত অন্য রাষ্ট্রের রাষ্ট্রীয় সীমানা হইতে ট্রানজিট সুবিধা গ্রহণকালে৷(৩) যতি প্রতিপাদন পরিশিষ্ট অনুসারে পরিদর্শন দলের কোন সদস্যের প্রাপ্ত কোন অধিকার বাংলাদেশে প্রচলিত কোন আইনের সহিত অসংগতিপূর্ণ হইবার কারণে পরিত্যক্ত হয় এবং জাতীয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক জারীকৃত নোটিশের মাধ্যমে উক্ত পরিত্যক্ত হইবার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট পরিদর্শন বা পর্যবেক্ষক দলের সদস্যকে ব্যক্তিগতভাবে অবহিত করা হয়, তাহা হইলে উক্ত নোটিশ জারীর সময় হইতেই এই ধারার বিধান অনুযায়ী তাহাকে প্রদত্ত অধিকার বলবত্ থাকিবে না৷
পরিদর্শন দলের কোন সদস্যের মর্যাদা সম্পর্কে উত্থাপিত প্রশ্ন নিরসন
১৭৷ কোন ব্যক্তি কোন নৈমিত্তিক পরিদর্শন, চ্যালেঞ্জ পরিদর্শন বা সহায়তা পরিদর্শন কার্য পরিচালনায় নিয়োজিত ছিলেন কি না বা পরিদর্শন দলের সদস্য বা দেশের অভ্যন্তরীণ পরিরক্ষী দলের সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করিয়াছিলেন কি না মর্মে যদি কোন প্রশ্ন উত্থাপিত হয়, তাহা হইলে জাতীয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে জারীকৃত প্রাধিকারপত্র উক্ত প্রশ্নের সমাধানের ব্যাপারে চূড়ান্ত প্রমাণ হিসাবে বিবেচিত হইবে৷
১৯৷ (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, জাতীয় কর্তৃপক্ষ, প্রয়োজনবোধে, সময় সময়, ধারা ১২ এর অধীন জারীকৃত প্রাধিকারপত্রের নির্দ্দিষ্টকৃত কোন পরিদর্শন স্থান পরিবর্তন করিতে পারিবে৷(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন কোন প্রাধিকারপত্র সংশোধন করা হইল-(ক) যে নির্দিষ্ট স্থানের জন্য সংশোধনী আনা হইয়াছে সেই স্থানের ক্ষেত্রে ধারা ১৫ এর বিধান প্রযোজ্য হইবে; এবং(খ) ধারা ১৮ এর বিধান মূল প্রাধিকারপত্রের ক্ষেত্রে যেইভাবে প্রযোজ্য হইত, সংশোধিত প্রাধিকারপত্রের ক্ষেত্রেও উহা একইভাবে প্রযোজ্য হইবে৷
২০৷ (১) যদি কোন ব্যক্তি তফসিলভুক্ত রাসায়নিক দ্রব্য বা উহার সৃজন উপাদান বা তফসিল বহির্ভূত স্বতন্ত্র জৈব রাসায়নিক দ্রব্যসহ ফসফরাস, সালফার বা ফ্লোরিনযুক্ত বিষাক্ত জৈব রাসায়নিক দ্রব্যের উত্পাদন, ধারণ, ব্যবহার, স্থানান্তর, আমদানি বা রপ্তানী করেন, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তি এতদ্সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় তথ্য ও দলিলাদি বিধি দ্বারা নির্ধারিত ফরম ও সময়ে জাতীয় কর্তৃপক্ষকে সরবরাহ করিবেন৷(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন সরবরাহকৃত বা, ক্ষেত্রমত, সংরক্ষিত তথ্য বা দলিলাদি সম্পর্কে জাতীয় কর্তৃপক্ষ এই মর্মে নিশ্চিত হইবে যেন উহা কনভেনশন এবং এই আইন ও তদধীনে প্রণীত বিধির বিধান অনুসারে প্রতিফলিত হইয়াছে৷
২১৷ (১) এই আইন বা কনভেনশনের অধীন প্রাপ্ত কোন তথ্য বা দলিল গোপনীয় হিসাবে গণ্য হইবে৷(২) উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার জরুরী প্রয়োজনে কোন তথ্য বা দলিল প্রকাশ করা সমীচীন বলিয়া জাতীয় কর্তৃপক্ষের নিকট বিবেচিত হইলে উক্ত তথ্য বা দলিল গোপনীয় বলিয়া গণ্য হইবে না৷(৩) এই আইন ও কনভেনশন কার্যকর করিবার প্রয়োজন ব্যতীত, গোপনীয় তথ্য বা দলিল সংরক্ষণকারী কোন ব্যক্তি, জাতীয় কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ব্যতীত, উহা প্রকাশ করিবেন না, প্রকাশ হইতে দিবেন না বা কাউকে উহা প্রকাশের অনুমতি প্রদান করিবেন না৷
২২৷ (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, জাতীয় কর্তৃপক্ষ, লিখিত আদেশ দ্বারা, প্রয়োজনীয় বিবেচনায়, উক্ত আদেশে উল্লিখিত পদ্ধতি ও সময়ে, কোন তথ্য বা দলিল সরবরাহের জন্য কোন ব্যক্তিকে নিদের্শ প্রদান করিতে পারিবে৷(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন কোন তথ্য বা দলিল সরবরাহের নির্দেশ জারী করা হইলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, যদি স্বাভাবিক ব্যক্তি (natural person) হন, তাহা হইলে তিনি স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে; এবং যদি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হয়, তাহা হইলে উক্ত সংস্থা কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তার স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে উহা জাতীয় কর্তৃপক্ষকে সরবরাহ করিতে বাধ্য থাকিবেন৷(৩) এই ধারার অধীন প্রয়োগযোগ্য ক্ষমতা ধারা ২০ এ বিধৃত বিধানের অতিরিক্ত হইবে৷
২৩৷ (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, এই আইনের অধীন বাংলাদেশ জাতীয় কর্তপক্ষ, রাসায়নিক অস্ত্র কনভেনশন নামে একটি জাতীয় কর্তৃপক্ষ থাকিবে৷(২) জাতীয় কর্তৃপক্ষ নিম্নবর্ণিত সদস্য সমন্বয়ে গঠিত হইবে, যথাঃ-(ক) সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপ্যাল স্টাফ অফিসার, যিনি ইহার চেয়ারম্যানও হইবেন;(খ) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক মনোনীত অন্যুন সদস্য পদমর্যাদার একজন প্রতিনিধি;(গ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত অন্যুন যুগ্ম-সচিব পদমর্যাদার একজন প্রতিনিধি;(ঘ) আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত অন্যুন যুগ্ম-সচিব পদমর্যাদার একজন প্রতিনিধি;(ঙ) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত অন্যুন যুগ্ম-সচিব পদমর্যাদার একজন প্রতিনিধি;(চ) প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত অন্যুন যুগ্ম-সচিব পদমর্যাদার একজন প্রতিনিধি;(ছ) শিল্প মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত অন্যুন যুগ্ম-সচিব পদমর্যাদার একজন প্রতিনিধি;(জ) বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত অন্যুন যুগ্ম-সচিব পদমর্যাদার একজন প্রতিনিধি;(ঝ) বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত অন্যুন যুগ্ম-সচিব পদমর্যাদার একজন প্রতিনিধি;(ঞ) কৃষি মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত অন্যুন যুগ্ম-সচিব পদমর্যাদার একজন প্রতিনিধি;(ট) বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান বা তদ্কর্তৃক মনোনীত একজন উপযুক্ত প্রতিনিধি;(ঠ) বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের চেয়ারম্যান বা তদ্কর্তৃক মনোনীত একজন উপযুক্ত প্রতিনিধি;(ড) বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান বা তদ্কর্তৃক মনোনীত একজন উপযুক্ত প্রতিনিধি;(ঢ) বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক মনোনীত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পদমর্যাদার একজন প্রতিনিধি;(ণ) বাংলাদেশ নৌবাহিনী কর্তৃক মনোনীত কমোডর পদমর্যাদার একজন প্রতিনিধি;(ত) বাংলাদেশ বিমান বাহিনী কর্তৃক মনোনীত এয়ার কমোডর পদমর্যাদার একজন প্রতিনিধি;(থ) ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কর্মাস এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এর পরিচালক পদমর্যাদার একজন প্রতিনিধি; এবং(দ) নির্বাহী সেলের পরিচালক, যিনি উহার সচিবও হইবেন৷
২৪৷ এই আইনের অধীন জাতীয় কর্তৃপক্ষের কার্যাবলী হইবে নিম্নরূপ, যথাঃ-(ক) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, কনভেনশনের আওতায় যাবতীয় যোগযোগ রক্ষাকরণ;(খ) এই আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিতকরণ;(গ) কনভেনশনের অধীন বাংলাদেশের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য দায়-দায়িত্ব পালন;(ঘ) প্রতিপাদন পরিশিষ্ট অনুযায়ী বাংলাদেশের যে কোন স্থাপনা ও স্থান পরিদর্শনের ব্যবস্থা গ্রহণ;(ঙ) কর্তৃপক্ষের কার্যাবলী সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের প্রয়োজনে নির্বাহী সেলের কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ;(চ) রাসায়নিক অস্ত্র সংক্রান্ত বিষয়ে গণসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, সম্মেলন ও কর্মশালা আয়োজন ও পরিচালনা করা;(ছ) কনভেনশনের সাথে সম্পর্কিত নয় এমন স্পর্শকাতর স্থাপনাসমূহ রক্ষায় যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ;(জ) কনভেনশনের অধীন অন্যান্য দায়-দায়িত্ব পালন;(ঝ) বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধির কার্যালয়ে বিশেষজ্ঞ নিয়োগের বিষয়ে সরকারকে পরামর্শ প্রদান;(ঞ) উপরি-উক্ত কার্যাবলী এবং এই আইনের অধীন অন্যান্য বিধানের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, প্রয়োজনীয় আনুষঙ্গিক কার্যাবলী সম্পাদন৷
২৫৷ (১) প্রতি ছয় মাসে জাতীয় কর্তৃপক্ষের কমপক্ষে একটি সভা অনুষ্ঠিত হইেবঃতবে শর্ত থাকে যে, জরুরী প্রয়োজনে চেয়ারম্যানের সম্মতিক্রমে ৭ (সাত) দিনের নোটিশে সভা আহবান করা যাইবে৷(২) জাতীয় কর্তৃপক্ষের সকল সভা উহার চেয়ারম্যান কর্তৃক নির্ধারিত স্থান ও সময়ে অনুষ্ঠিত হইবে৷(৩) এই ধারার অন্যান্য বিধানাবলী সাপেক্ষে, জাতীয় কর্তৃপক্ষ উহার সভার কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে৷(৪) চেয়ারম্যান জাতীয় কর্তৃপক্ষের সকল সভায় সভাপতিত্ব করিবেন এবং তাহার অনুপস্থিতিতে সভায় উপস্থিত সদস্যগণের মধ্য হইতে জ্যেষ্ঠতম সদস্য সভাপতিত্ব করিবেন৷(৫) জাতীয় কর্তৃপক্ষের মোট সদস্যের এক-তৃতীয়াংশের উপস্থিতিতে উহার সভায় কোরাম গঠিত হইবে৷
২৬৷ (১) জাতীয় কর্তৃপক্ষ উহার দায়িত্ব পালনে সহায়তা প্রদানের জন্য প্রয়োজনবোধে, এক বা একাধিক কমিটি গঠন করিতে পারিবে৷(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন গঠিত কমিটি কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত সংখ্যক সদস্য সমন্বয়ে গঠিত হইবে এবং উক্তরূপ প্রত্যেক কমিটির দায়-দায়িত্ব জাতীয় কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ করিতে পারিবে৷
২৭৷ জাতীয় কর্তৃপক্ষ, প্রয়োজনবোধে, এই আইন বা তদ্ধীন প্রণীত বিধির অধীন উহার কোন ক্ষমতা, লিখিত আদেশ দ্বারা, উহার কোন সদস্য বা কোন কর্মকর্তাকে অর্পণ করিতে পরিবে৷
২৮৷ (১) জাতীয় কর্তৃপক্ষের কার্যাবলী সম্পাদনের উদ্দেশ্যে রাসায়নিক অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ ও নিরস্ত্রীকরণ সেল নামে একটি নির্বাহী সেল থাকিবে, যাহার প্রধান হইবেন একজন পরিচালক৷(২) নির্বাহী সেল জাতীয় কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য দায়ী থাকিবে৷(৩) পরিচালক নির্বাহী সেলের প্রধান নির্বাহী হইবেন এবং তিনি সরকার কর্তৃক নিযুক্ত হইবেন৷(৪) পরিচালকের চাকুরীর শর্তাদি সরকার কর্তৃক স্থিরীকৃত হইবে৷(৫) জাতীয় কর্তৃপক্ষের কার্যাবলী সুষ্ঠুভাবে পালনের উদ্দেশ্যে নির্বাহী সেল, বিধি-দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে বিশেষজ্ঞ, পরামর্শদাতা, প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মকর্তা ও অন্যান্য কর্মচারী নিয়োগ করিতে পারিবে৷(৬) উপ-ধারা (৩) এর অধীন পরিচালক নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের পরিচালক পদমর্যাদায় কর্মকর্তাগণের মধ্য হইতে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপ্যাল স্টাফ অফিসার কর্তৃক মনোনীত কোন কর্মকর্তা পরিচালকরূপে কাজ করিবেন৷(৭) উপ-ধারা (৫) এর অধীন কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের বিদ্যমান কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্য হইতে সরকার কর্তৃক মনোনীত প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মকর্তা ও কর্মচারী জাতীয় কর্তৃপক্ষের কার্য সম্পাদন করিবেন এবং উক্ত কর্মকর্তা, কর্মচারীগণ পরিচালকের অধঃস্তন হইবেন৷(৮) উপ-ধারা (৩) এর অধীন পরিচালক এবং কর্মকর্তা, কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে, প্রয়োজনে, চেয়ারম্যানের পরামর্শ গ্রহণ করা যাইবে৷
৩০৷ (১) এই আইন ও তদধীনে প্রণীত বিধির বিধানাবলী সাপেক্ষে, জাতীয় কর্তৃপক্ষ এই আইনের অধীন উহার দায়িত্ব সম্পাদনের উদ্দেশ্যে যে কোন ব্যক্তিকে প্রয়োজনীয় লিখিত নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে৷(২) এই ধারার অধীন নির্দেশপ্রাপ্ত ব্যক্তি অনুরূপ নির্দেশ পালন করিতে বাধ্য থাকিবেন৷(৩) জাতীয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক এই ধারার অধীনে জারীকৃত নির্দেশে সংশ্লিষ্ট কার্য সম্পাদনের সময়সীমা নির্দিষ্ট করিয়া দেওয়া যাইবে৷
৩১৷ যদি কোন ব্যক্তি ধারা ৫ এর বিধান লঙ্ঘন করেন, তাহা হইলে উক্ত লঙ্ঘন হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ১৪ (চৌদ্দ) বত্সর কারাদন্ডে এবং ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদন্ডে দন্ডিত হইবেন৷
৩২৷ কোন ব্যক্তি যদি ধারা ৬ এর বিধান লঙ্ঘন করেন, তাহা হইলে উক্ত লঙ্ঘন হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ১০ (দশ) বত্সর কারাদন্ডে এবং ৩০ (ত্রিশ) হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদন্ডে দন্ডিত হইবেন৷
৩৩৷ কোন ব্যক্তি যদি ধারা ৭ এর বিধান লঙ্ঘন করেন, তাহা হইলে উক্ত লঙ্ঘন হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ৫ (পাঁচ) বত্সর কারাদন্ডে এবং ১৫ (পনের) হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদন্ডে দন্ডিত হইবেন৷
৩৪৷ কোন ব্যক্তি যদি ধারা ৮ এর বিধান লঙ্ঘন করেন, তাহা হইলে উক্ত লঙ্ঘন হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ৪ (চার) বত্সর কারাদন্ডে এবং ১২(বার) হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদন্ডে দন্ডিত হইবেন৷
৩৫৷ কোন ব্যক্তি যদি ধারা ৯ এর বিধান লঙ্ঘন করেন, তাহা হইলে উক্ত লঙ্ঘন হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ৩ (তিন) বত্সর কারাদন্ডে এবং ১০(দশ) হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদন্ডে দন্ডিত হইবেন৷
৩৬৷ (১) ধারা ১২ এর অধীন প্রাধিকার পত্র প্রদান করা হইলে, কোন ব্যক্তির নিম্নবর্ণিত যে কোন কাজ হইবে একটি অপরাধ, যথাঃ-(ক) প্রতিপাদন পরিশিষ্ট অনুসারে উক্ত পরিদর্শন কার্য পরিচালনায়, যুক্তিসঙ্গত কারণ ব্যতীত, সহায়তা করিতে ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অথবা দেশের অভ্যন্তরীণ পরিরক্ষী দলের কোন সদস্যের অনুরোধ মানিয়া চলিতে অস্বীকার করেন;(খ) প্রতিপাদন পরিশিষ্ট অনুসারে উক্ত পরিদর্শন কার্যে ব্যবহৃত কোন ধারক, যন্ত্রপাতি বা অন্য কোন বস্তু স্থাপনে বা হেফাজতে রাখার সময়ে, যুক্তিসঙ্গত কারণ ব্যতীত, হস্তক্ষেপ করেন; এবং(গ) প্রতিপাদন পরিশিষ্ট অনুসারে উক্ত পরিদর্শন কার্য পরিচালনায় পরিদর্শন দলের বা দেশের অভ্যন্তরীণ পরিরক্ষী দলের কোন সদস্য বা পরিদর্শন কার্যে সংশ্লিষ্ট কোন ব্যক্তিকে ইচ্ছাকৃতভাবে বাধা প্রদান করেন৷(২) কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত যে কোন অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হইলে তিনি ২ (দুই) বত্সর কারাদন্ড বা অনধিক ১০ (দশ) হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদন্ডে বা উভয় দন্ডে দন্ডনীয় হইবেন৷
৩৭৷ কোন ব্যক্তি যদি ধারা ২০ এর বিধান লঙ্ঘন করে, তাহা হইলে উক্ত লঙ্ঘন হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ১ (এক) বত্সর কারাদন্ডে বা ৩ (তিন) হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদন্ডে বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হইবেন৷
৩৮৷ কোন ব্যক্তি যদি ধারা ২১ এর বিধান লঙ্ঘন করে, তাহা হইলে উক্ত লঙ্ঘন হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ১ (এক) বত্সর কারাদন্ডে বা ৫ (পাঁচ) হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদন্ডে বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হইবেন৷
৩৯৷ ফৌজদারী কার্যবিধিতে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, সরকারের নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তার লিখিত অভিযোগ ব্যতীত কোন আদালত এই আইনের অধীন কোন মামলা বিচারার্থ গ্রহণ করিবে না৷
৪১৷ কোন কোম্পানী কর্তৃক এই আইনের অধীন কোন অপরাধ সংঘটিত হইলে উক্ত অপরাধের সহিত প্রত্যক্ষ সংশ্লিষ্টতা রহিয়াছে কোম্পানীর এমন প্রত্যেক পরিচালক, ম্যানেজার, সচিব, অংশীদার, কর্মকর্তা এবং কর্মচারী উক্ত অপরাধ সংঘটন করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে, যদি না তিনি প্রমাণ করিতে পারেন যে, উক্ত অপরাধ তাহার অজ্ঞাতসারে সংঘটিত হইয়াছে অথবা উক্ত অপরাধ রোধ করিবার জন্য তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করিয়াছেন৷ব্যাখ্যাঃ এই ধারায়-(ক) “কোম্পানী” বলিতে কোন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, অংশীদারী কারবার, সমিতি, সংঘ এবং সংগঠনও অন্তভূর্ক্ত;(খ) বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে “পরিচালক” বলিতে উহার কোন অংশীদার বা পরিচালনা বোর্ডের সদস্যকেও বুঝাইবে৷
৪২৷ এই আইনের অধীন অপরাধের তদন্ত, বিচার, আপীল ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট বিষয়ে, এই আইনের বিধানাবলীর সহিত অসঙ্গতিপূর্ণ না হওয়া সাপেক্ষে, ফৌজদারী কার্যবিধি প্রযোজ্য হইবে৷
৪৩৷ (১) এই আইনে বর্ণিত কোন বিষয়ে পরিদর্শন বা কোন অপরাধ তদন্তের উদ্দেশ্যে, জাতীয় কর্তৃপক্ষ বা এখতিয়ারসম্পন্ন্ন আদালত কর্তৃক নির্দেশিত হইলে, জাতীয় কর্তৃপক্ষ হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি বা ধারা ১২ এর অধীন কোন পরিদর্শন কার্য পরিচালনার জন্য প্রাধিকারপ্রাপ্ত ব্যক্তি বা পরিদর্শন দল, যে কোন যুক্তিসঙ্গত কারণে, যে কোন সময়ে যে কোন স্থাপনা, স্থান বা যে কোন ধরণের যানবাহনে প্রবেশ, তল্লাশি বা কোন কিছু আটক বা কোন কিছুর নমুনা সংগ্রহ বা উক্ত স্থাপনা বা স্থান পরিদর্শন করিতে পারিবেনঃতবে শর্ত থাকে যে, এই ধারার অধীন কোন স্থাপনা, স্থান বা যে কোন ধরণের যানবাহনের প্রবেশের ক্ষেত্রে মালিক বা, ক্ষেত্রমত, দখলকারের চাহিদার ভিত্তিতে জাতীয় কর্তৃপক্ষ বা আদালতের নির্দেশপত্র প্রদর্শন করিতে হইবে৷(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন কোন ব্যক্তি বা পরিদর্শন দল কোন স্থাপনা, স্থান বা যে কোন ধরণের যানবাহনে প্রবেশের সময় প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও আনুষাঙ্গিক সরঞ্জামাদি সঙ্গে নিতে পারিবে৷(৩) উপ-ধারা (১) এর উদ্দেশ্যে পূরণকল্পে, উক্ত ব্যক্তি বা পরিদর্শন দল প্রয়োজনবোধে ফৌজদারী কার্যবিধির ধারা ৯৬ অনুসারে যে কোন ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট তল্লাশি পরোয়ানা ইস্যুর জন্য আবেদন করিতে পারিবেন৷(৪) এই ধারার অধীন তল্লাশি, আটক বা পরিদর্শনের ক্ষেত্রে উক্ত ব্যক্তি বা পরিদর্শন দল যথাসম্ভব ফৌজদারী কার্যবিধি এবং এই আইনের অধীন এতদ্দুদ্দেশ্যে প্রণীত বিধির বিধান অনুসরণ করিবেন৷(৫) উপ-ধারা (১) ও (২) এর অধীন প্রবেশের পর কোন স্থাপনা, স্থান বা যে কোন ধরণের যানবাহনে রাসায়নিক অস্ত্র বা সন্দেহজনক দ্রব্য পাওয়া গেলে পরিদর্শক দল বা ব্যক্তি উহা হেফাজতে লইবে, এবং-(ক) সঙ্গত মনে করিলে উহা আটক ও অপসারণ করিবে; বা(খ) যদি রাসায়নিক অস্ত্র বা ক্ষতিকর দ্রব্যের আকার ও প্রকৃতি এইরূপ হয় যে, এই মুহূর্তে উহা অপসারণ সম্ভব নয়, তাহা হইলে উহা দ্রুত অপসারণের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করিবে এবং অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত অপসারণ বিষয়ে প্রয়োজনীয় লিখিত সতর্কবাণী দৃশ্যমান স্থানে টাঙ্গাইয়া দিবে৷
৪৪৷ (১) যদি জাতীয় কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে যে, ধারা ৪৩ এর উপ-ধারা (৫) এর অধীন আটক বা অপসারিত কোন রাসায়নিক অস্ত্র বা সন্দেহজনক দ্রব্য ধ্বংস করা প্রয়োজন, তাহা হইলে উক্ত কর্তৃপক্ষ উহা ধ্বংস করিবার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে৷(২) এই ধারার অধীন ধ্বংসকরণ পদ্ধতি কনভেনশনের ধ্বংসকরণ পদ্ধতি সম্পর্কিত বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে৷(৩) ধারা ৪৩ এর উপ-ধারা (৫) এর অধীন আটক বা অপসারিত এবং এই ধারার অধীন ধ্বংসকৃত রাসায়নিক অস্ত্র বা সন্দেহজনক দ্রব্য আটকের, অপসারণের বা ধ্বংসকরণের জন্য যে ব্যয় হইবে উহা সংশ্লিষ্ট দায়ী ব্যক্তি বা যাহার দখল হইতে উক্ত অস্ত্র বা দ্রব্য অপসারণ করা হইয়াছে সেই ব্যক্তির নিকট হইতে, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, আদায় করা যাইবে৷
অপরাধের সহিত সংশ্লিষ্ট বস্তু, যন্ত্রপাতি বাজেয়াপ্তি, ইত্যাদি
৪৫৷ (১) এই আইনের অধীন কোন ব্যক্তি কোন অপরাধ সংঘটনের জন্য দোষী সাব্যস্ত ও দন্ডিত হইলে, উক্ত অপরাধ সংঘটনে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি বা উহার অংশ বিশেষ, যানবাহন বা অপরাধ সংশ্লিষ্ট রাসায়নিক অস্ত্র বা দ্রব্যাদি বাজেয়াপ্তযোগ্য হইবে৷(২) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত কোন যন্ত্রপাতি বা উহার অংশ বিশেষ, যানবাহন বা রাসায়নিক অস্ত্র বা দ্রব্যাদি বাজেয়াপ্ত করা হইলে, উহা জাতীয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, ধ্বংস বা, ক্ষেত্রমত, বিলিবন্দেজ করা যাইবে৷
৪৬৷ (১) প্রতি খ্রিস্টাব্দ পঞ্জিকা বত্সর সমাপ্তির দুই মাসের মধ্যে জাতীয় কর্তৃপক্ষ উক্ত বত্সর সম্পর্কিত কার্যাবলীর খতিয়ান সম্বলিত একটি বার্ষিক প্রতিবেদন সরকারের নিকট পেশ করিবে৷(২) সরকার, প্রয়োজনে, জাতীয় কর্তৃপক্ষের নিকট হইতে যে কোন সময় যে কোন বিষয়ের উপর প্রতিবেদন বা বিবরণী তলব করিতে পারিবে৷
৪৭৷ এই আইন বা তদধীনে প্রণীত বিধির অধীন সরল বিশ্বাসে কৃত বা কৃত বলিয়া আপাততঃদৃষ্টে বিবেচনা করা যায় এমন কোন কাজকর্মের ফলে কোন ব্যক্তি ক্ষতিগস্ত হইলে বা ক্ষতিগ্রস্ত হইবার সম্ভাবনা থাকিলে তজ্জন্য চেয়ারম্যান বা অন্য কোন সদস্য বা পরিচালক বা অন্য কোন কর্মকর্তা ও কর্মচারী বা পরিদর্শন দলের কোন সদস্যের বিরুদ্ধে কোন দেওয়ানী বা ফৌজদারী মামলা দায়ের বা অন্য কোন কার্যধারা গ্রহণ করা যাইবে না৷
৪৯৷ এই আইন প্রবর্তনের পর সরকার যথাশীঘ্র সম্ভব, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের ইংরেজী অনুবাদ প্রকাশ করিবে, যাহা অনুমোদিত ইংরেজী পাঠরূপে গণ্য হইবেঃতবে শর্ত থাকে যে, এই আইন ও ইংরেজী পাঠের মধ্যে কোন বিরোধ দেখা দিলে এই আইন কার্যকর হইবে৷