জীবপ্রযুক্তি বিষয়ে গবেষণা ও উন্নয়ন কর্মকান্ড সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা ও দক্ষ জনশক্তি সৃষ্টিসহ জাতীয় পর্যায়ে জীবপ্রযুক্তির ইতিবাচক উন্নয়ন ও প্রয়োগের লক্ষ্যে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজি প্রতিষ্ঠার বিধানকল্পে প্রণীত আইন।
যেহেতু জীবপ্রযুক্তি বিষয়ে গবেষণা ও উন্নয়ন কর্মকান্ড সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা ও দৰ জনশক্তি সৃষ্টিসহ জাতীয় পর্যায়ে জীবপ্রযুক্তির ইতিবাচক উন্নয়ন ও প্রয়োগের লক্ষ্যে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজি প্রতিষ্ঠা করা সমীচীন ও প্রয়োজন ;সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল :-
১। (১) এই আইন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজি আইন, ২০১০ নামে অভিহিত হইবে।(২) ইহা সমগ্র বাংলাদেশের জন্য প্রযোজ্য হইবে।(৩) সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, যেই তারিখ নির্ধারণ করিবে সেই তারিখে এই আইন বলবৎ হইবে।*এস, আর, ও নং ২৭১-আইন/২০১০, তারিখ: ০৪ জুলাই, ২০১০ ইং দ্বারা ১৫ জুন, ২০১০ খ্রিস্টাব্দ উক্ত আইন কার্যকর হইয়াছে।
২। বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থী কোন কিছু না থাকিলে, এই আইনে-(১) “ইনস্টিটিউট” অর্থ এই আইনের অধীন স্থাপিত ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজি [NIB];(২) “জেনেটিক্যালী মডিফাইড অর্গানিজম (জিএমও)” অর্থ আধুনিক জীবপ্রযুক্তির কৌশল অবলম্বন করিয়া জীবের বংশানুক্রমিক উপাদান পরিবর্তনের মাধ্যমে প্রাপ্ত জীব যাহা নূতন উৎপাদ (Output) তৈরী বা নূতন কার্যাবলী সম্পাদনে সক্ষম;(৩) “জেনেটিক্যালী মডিফাইড (জিএম) ফুড” অর্থ জীন রূপানত্দরের মাধ্যমে পরিবর্তিত বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন জীব হইতে উৎপাদিত খাদ্য;(৪) “বোর্ড” অর্থ ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজি এর পরিচালনা বোর্ড;(৫) “প্রবিধান” অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত প্রবিধান;(৬) “বায়োএথিক্স” অর্থ যে শাখায় মূল্যবোধ, দর্শন ও জনমত এর আলোকে জীববিজ্ঞান, বিশেষত জীবপ্রযুক্তির উন্নয়ন ও সম্ভাব্য সামাজিক প্রভাব সম্পর্কে আলোচনা করা হয়;(৭) “বায়োটেকনোলজি” অর্থ যে প্রযুক্তি প্রয়োগে কোন জীবকোষ, অণুজীব বা তার অংশবিশেষ ব্যবহার করিয়া নূতন কোন বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন জীব (উদ্ভিদ বা প্রাণী বা অণুজীব) উদ্ভাবন বা উক্ত জীব হইতে প্রক্রিয়াজাত বা উপজাত দ্রব্য প্রস্তুত করা হয়;(৮) “বায়োসার্ভিলেন্স অর্থ জীবপ্রযুক্তির উন্নয়নে পরিবেশের উপর ক্ষতিকর প্রভাব নিরূপণ ও পর্যবেক্ষণ;(৯) “বায়োসেফটি” অর্থ পরিবেশবান্ধব জীবপ্রযুক্তি প্রয়োগের নীতিমালা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে কৌশল ও পদ্ধতি প্রণয়ন এবং প্রয়োগ;(১০) “বিধি” অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি;(১১) “মহাপরিচালক” অর্থ ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজি এর মহাপরিচালক;(১২) “সদস্য” অর্থ বোর্ডের সদস্য; এবং(১৩) “সভাপতি” অর্থ বোর্ডের সভাপতি।
৩। (১) সরকার এতদদ্বারা, এই আইনের অন্যান্য বিধানাবলী সাপেক্ষে, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজি নামে একটি ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করিল।(২) ইনস্টিটিউট একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হইবে এবং উহার স্থায়ী ধারাবাহিকতা ও একটি সাধারণ সীলমোহর থাকিবে এবং এই আইন ও বিধি সাপেক্ষে, ইহার স্থাবর ও অস্থাবর উভয় প্রকার সম্পত্তি অর্জন করিবার, অধিকারে রাখিবার এবং উহা হস্তান্তর করিবার ক্ষমতা থাকিবে এবং উহার নামে মামলা দায়ের করিতে পারিবে এবং উহার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা যাইবে।
৪। ইনস্টিটিউটের প্রধান কার্যালয় ঢাকায় থাকিবে এবং প্রয়োজনবোধে, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, দেশের যে কোন স্থানে ইনস্টিটিউটের শাখা কার্যালয় স্থাপন করা যাইবে।
৫।(১) ইনস্টিটিউট পরিচালনা ও প্রশাসনের দায়িত্ব একটি পরিচালনা বোর্ডের উপর ন্যস্ত থাকিবে এবং ইনস্টিটিউট যে সকল ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্য সম্পাদন করিতে পারিবে পরিচালনা বোর্ডও সেই সকল ক্ষমতা প্রয়োগ এবং কার্য সম্পাদন করিতে পারিবে।(২) ইনস্টিটিউট উহার কার্যাবলী সম্পাদনের ক্ষেত্রে সরকার কর্তৃক প্রদত্ত নীতি অনুসরণ করিবে।
৬। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে নিম্নবর্ণিত ১৮(আঠার) জন সদস্য সমন্বয়ে ইনস্টিটিউটের একটি পরিচালনা বোর্ড গঠিত হইবে, যথা :-(ক) বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব, যিনি উহার সভাপতিও হইবেন;(খ) অর্থ বিভাগ, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ, কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ, বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, পরিবেশ ও বন, সংস্থাপন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব;(গ) বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ-এর চেয়ারম্যান;(ঘ) বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান;(ঙ) সরকার কর্তৃক মনোনীত সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অভিজ্ঞ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপক;(চ) সরকার কর্তৃক মনোনীত বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অভিজ্ঞ একজন অধ্যাপক;(ছ) সরকার কর্তৃক মনোনীত বিজ্ঞান ও গবেষণা কাজে অবদান রহিয়াছে এইরূপ৩ (তিন) জন ব্যক্তি; এবং(জ) ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক, যিনি উহার সদস্য-সচিবও হইবেন।(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন মনোনীত সদস্যগণ তাহাদের মনোনয়নের তারিখ হইতে৩ (তিন) বৎসর মেয়াদের জন্য সদস্য পদে বহাল থাকিবেন: তবে শর্ত থাকে যে, সরকার, উক্ত মেয়াদ শেষ হইবার পূর্বে, যে কোন সময় কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে উক্তরূপ মনোনীত কোন সদস্যকে তাহার পদ হইতে অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবে : আরও শর্ত থাকে যে, কোন মনোনীত সদস্য সরকারের উদ্দেশ্যে স্বীয় স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে পদত্যাগ করিতে পারিবেন।
৭। (১) এই ধারার অন্যান্য বিধানাবলী সাপেক্ষে, বোর্ড উহার সভার কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে।(২) বোর্ড প্রতি বৎসর অন্যূন তিনবার সভায় মিলিত হইবে এবং সভার তারিখ, সময় ও স্থান সভাপতি কর্তৃক নির্ধারিত হইবে।(৩) বোর্ডের সভার কোরামের জন্য উহার মোট সদস্য-সংখ্যার অন্যূন এক তৃতীয়াংশ সদস্যের উপস্থিতির প্রয়োজন হইবে, তবে মুলতবী সভার ক্ষেত্রে কোন কোরামের প্রয়োজন হইবে না।(৪) সভাপতি বোর্ডের সভায় সভাপতিত্ব করিবেন এবং তাহার অনুপস্থিতিতে তদকর্তৃক মনোনীত কোন সদস্য সভায় সভাপতিত্ব করিবেন।(৫) প্রত্যেক সদস্যের একটি ভোট থাকিবে এবং ভোটের সমতার ক্ষেত্রে সভার সভাপতির দ্বিতীয় বা নির্ণায়ক ভোট প্রদানের ক্ষমতা থাকিবে।(৬) প্রত্যেক সভার কার্যবিবরণী সংরক্ষণ, সদস্যদের নিকট প্রেরণ এবং পরবর্তী বোর্ড সভায় উপস্থাপন করিতে হইবে।(৭) শুধুমাত্র কোন সদস্য পদে শূন্যতা বা বোর্ড গঠনে ত্রুটি থাকিবার কারণে বোর্ডের কার্য বা কার্যধারা অবৈধ হইবে না এবং তদ্সম্পর্কে কোন প্রশ্নও উত্থাপন করা যাইবে না।
৮। ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক, পরিচালক এবং গবেষণা বিভাগের প্রধানগণের সমন্বয়ে ইনস্টিটিউশনাল বায়োসেফটি কমিটি গঠিত হইবে এবং এই কমিটি পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের আওতায় গঠিত ন্যাশনাল কমিটি অব বায়োসেফটি এর সাথে সমন্বয় সাধন করিয়া কার্যক্রম পরিচালনা করিবে।
৯। ইনস্টিটিউটের কার্যাবলী হইবে নিম্নরূপ, যথা :-(ক) আধুনিক জীবপ্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষি, পরিবেশ, চিকিৎসা ও শিল্প ক্ষেত্রে পরিবেশবান্ধব ও টেকসই উন্নত প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনাসহ মানবকল্যাণে এর সুফল প্রয়োগ;(খ) জীবপ্রযুক্তি বিষয়ে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ জনবল তৈরি;(গ) উদ্ভাবিত জীবপ্রযুক্তি মাঠপর্যায়ে স্থানান্তরের ব্যবস্থা গ্রহণ ও সহায়তা প্রদান;(ঘ) জাতীয় প্রতিষ্ঠান হিসাবে জীবপ্রযুক্তি বিষয়ে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ;(ঙ) জেনেটিক্যালি মডিফাইড (জিএম) ফুড ও জেনেটিক্যালি মডিফাইড অর্গানিজম (জিএমও) এর মান নির্ণয়ন ও প্রত্যয়ন;(চ) বায়োসেফটি, বায়োএথিক্স ও বায়োসার্ভিলেন্স এর ক্ষেত্রে ন্যাশনাল কমিটি অব বায়োসেফটিকে নীতিমালা প্রণয়নে সহায়তা প্রদান;(ছ) স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের সহিত জীবপ্রযুক্তি বিষয়ে যোগসূত্র স্থাপনপূর্বক সমন্বিত কার্যক্রম গ্রহণ;(জ) জীবপ্রযুক্তিতে গবেষণারত বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সহিত গবেষণা কর্মকান্ডে সহযোগিতা প্রদান ও সমন্বয় সাধন;(ঝ) জীবপ্রযুক্তি গবেষণায় সামঞ্জস্যতা আনয়নের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের উন্নতি সাধন;(ঞ) নূতন গবেষকদের পেটেন্ট স্বত্ব প্রাপ্তিতে সহায়তা প্রদান;(ট) সরকার কর্তৃক প্রদত্ত সংশ্লিষ্ট অন্যান্য দায়িত্ব পালন; এবং(ঠ) উপরিউক্ত কার্যাবলী সম্পাদনের জন্য প্রয়োজনীয় যে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ।
১০। (১) ইনস্টিটিউটের একজন মহাপরিচালক থাকিবে।(২) মহাপরিচালক সরকার কর্তৃক নিযুক্ত হইবেন এবং তাহার চাকুরীর শর্তাদি সরকার কর্তৃক নির্ধারিত হইবে।(৩) মহাপরিচালক ইনস্টিটিউটের সার্বক্ষণিক মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা হইবেন এবং তিনি-(ক) ইনস্টিটিউটের চাকুরী প্রবিধানমালা ও তফসিল অনুযায়ী কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ, পদোন্নতি, সাধারণ আচরণ ও শৃঙ্খলা কার্যকর করিবেন;(খ) বোর্ড কর্তৃক প্রদত্ত ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্য সম্পাদন করিবেন;(গ) বোর্ডের যাবতীয় সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য দায়ী থাকিবেন;(ঘ) ইনস্টিটিউটের প্রশাসন পরিচালনা করিবেন; এবং(ঙ) বোর্ডের নির্দেশ মোতাবেক ইনস্টিটিউটের অন্যান্য কার্য সম্পাদন করিবেন।
১১। ইনস্টিটিউট উহার কার্যাবলী সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ করিতে পারিবে এবং তাহাদের নিয়োগ ও চাকুরীর শর্তাবলী প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে।
১৩। (১) ইনস্টিটিউটের একটি তহবিল থাকিবে এবং উহাতে নিম্নবর্ণিত উৎস হইতে অর্থ জমা হইবে, যথা :-(ক) সরকার কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান;(খ) সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে কোন বিদেশী সরকার, আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা, ব্যাংক বা এনজিও হইতে গৃহীত ঋণ বা প্রাপ্ত অনুদান;(গ) ইনস্টিটিউটের নিজস্ব উৎস হইতে আয়;(ঘ) ইনস্টিটিউটের অর্থ বিনিয়োগের মাধ্যমে অর্জিত অর্থ এবং উহার সম্পত্তি বিক্রয়লব্ধ অর্থ; এবং(ঙ) অন্য কোন বৈধ উৎস হইতে প্রাপ্ত অর্থ।(২) এই তহবিলের সকল অর্থ কোন তফসিলি ব্যাংকে ইনস্টিটিউটের নামে রাখা হইবে এবং নির্ধারিত পদ্ধতিতে তহবিল পরিচালনা করা হইবে।ব্যাখ্যা।-‘তফসিলি ব্যাংক’ বলিতেBangladesh Bank Order, 1972 (P.O. 127 of 1972) এর Article 2(J) তে সংজ্ঞায়িত Schedule Bank।(৩) এই তহবিলের অর্থ হইতে সরকারের নিয়ম-নীতি, বিধি-বিধান অনুসরণক্রমে ইনস্টিটিউটের প্রয়োজনীয় ব্যয় নির্বাহ করা যাইবে।(৪) তহবিলের অর্থ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত কোন খাতে বিনিয়োগ করিতে পারিবে।
১৪। ইনস্টিটিউট প্রতি বৎসর সরকার কর্তৃক নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্ভাব্যআয়-ব্যয়সহ পরবর্তী অর্থ বৎসরের বার্ষিক বাজেট বিবরণী সরকারের নিকট পেশ করিবে এবং উহাতে উক্ত বৎসরে সরকারের নিকট হইতে ইনস্টিটিউটের কি পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন হইবে উহারও উল্লেখ থাকিবে।
১৫।(১) ইনস্টিটিউট যথাযথভাবে উহার হিসাব রক্ষণ করিবে এবং হিসাবের বার্ষিক বিবরণী প্রস্তুত করিবে।(২) বাংলাদেশের মহা-হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, অতঃপর মহা-হিসাব নিরীক্ষক নামে অভিহিত, প্রতি বৎসর ইনস্টিটিউটের হিসাব নিরীক্ষা করিবেন এবং নিরীক্ষা রিপোর্টের একটি করিয়া অনুলিপি সরকার ও ইনস্টিটিউটের নিকট প্রেরণ করিবেন।(৩) উপ-ধারা (২) মোতাবেক হিসাব নিরীক্ষার উদ্দেশ্যে মহা-হিসাব নিরীক্ষক কিংবা তাহার নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি ইনস্টিটিউটের এতদসংক্রান্ত সকল রেকর্ড, দলিল-দস্তাবেজ, নগদ বা ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, জামানত, ভান্ডার এবং অন্যবিধ সম্পত্তি পরীক্ষা করিয়া দেখিতে পারিবেন এবং ইনস্টিটিউটের যে কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করিতে পারিবেন।
১৬। (১) প্রতি অর্থ বৎসর শেষ হইবার পরবর্তী ৩ (তিন) মাসের মধ্যে ইনস্টিটিউট তদকর্তৃক উক্ত অর্থ বৎসরে সম্পাদিত কার্যাবলীর বিবরণ সম্বলিত একটি বার্ষিক প্রতিবেদন সরকারের নিকট পেশ করিবে।(২) সরকার, প্রয়োজনবোধে, ইনস্টিটিউটের নিকট হইতে যে কোন সময় ইনস্টিটিউটের যে কোন বিষয়ের উপর প্রতিবেদন এবং বিবরণী আহবান করিতে পারিবে এবং ইনস্টিটিউট উহা সরকারের নিকট সরবরাহ করিতে বাধ্য থাকিবে।(৩) সরকার যে কোন সময় ইনস্টিটিউটের কর্মকান্ড অথবা যে কোন প্রকার অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত অনুষ্ঠানের নির্দেশ দিতে পারিবে।
১৭। মহাপরিচালক প্রয়োজনবোধে এবং তদকর্তৃক নির্ধারিত শর্তসাপেক্ষে, এই আইনের অধীন তাহার উপর অর্পিত যে কোন ক্ষমতা বা দায়িত্ব লিখিত আদেশ দ্বারা ইনস্টিটিউটের কোন কর্মকর্তাকে অর্পণ করিতে পারিবেন।
১৯। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, ইনস্টিটিউট সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে এবং সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইন বা বিধির সহিত অসামঞ্জস্য না হয় এইরূপ প্রবিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে।
২১। ইনস্টিটিউটের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ Penal Code (Act XLV of 1860)এর section 21 এ public servant (জনসেবক) কথাটি যে অর্থে ব্যবহৃত হইয়াছে সেই অর্থেpublic servant (জনসেবক) বলিয়া গণ্য হইবেন।
২২। এই আইন কার্যকর হইবার সঙ্গে সঙ্গে সমাপ্ত ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজি শীর্ষক প্রকল্পের-(ক) সকল অধিকার, ক্ষমতা, কর্তৃক ও সুযোগ-সুবিধা এবং সমস্ত স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ, নগদ অর্থ ও ব্যাংকের জমা, মঞ্জুরী ও তহবিল এবং তদ্সংশ্লিষ্ট বা উদ্ভূত অন্য সকল প্রকার অধিকার ও স্বার্থ এবং সমস্ত হিসাব বই, রেজিস্টার, রেকর্ড এবং তদ্সম্পর্কিত অন্য সকল প্রকার দলিলাদি ইনস্টিটিউট বরাবর হস্তান্তরিত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে;(খ) সকল প্রকার ঋণ, দায় ও দায়িত্ব সরকারের ভিন্নরূপ কোন নির্দেশ না থাকিলে ইনস্টিটিউটের ঋণ, দায় ও দায়িত্ব হিসাবে গণ্য হইবে।