Date of Publication: [ ১লা আগস্ট, ২০১০ ]

Preamble

যেহেতু, দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়ন তথা শিল্পায়ন, কর্মসংস্থান, উৎপাদন এবং রপ্তানী বৃদ্ধি ও বহুমুখীকরণে উৎসাহ প্রদানের জন্য পশ্চাৎপদ ও অনগ্রসর এলাকাসহ সম্ভাবনাময় সকল এলাকায় অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা এবং উহার উন্নয়ন, পরিচালনা, ব্যবস্থাপনা ও নিয়ন্ত্রণসহ আনুষঙ্গিক অন্যান্য বিষয়ে বিধান করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়; সেহেতু, এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল :-

Sections/Articles

সংক্ষিপ্ত শিরোনাম, প্রয়োগ এবং প্রবর্তন

১। (১) এই আইন বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল আইন, ২০১০ নামে অভিহিত হইবে।(২) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।

সংজ্ঞা

২। বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থী কোন কিছু না থাকিলে, এই আইনে-(১) “অর্থনৈতিক অঞ্চল” অর্থ ধারা ৫ এর অধীন সরকার কর্তৃক ঘোষিত কোন অর্থনৈতিক অঞ্চল;(২) “অর্থনৈতিক অঞ্চল ডেভেলপার” অর্থ ধারা ৮ এর অধীন নিযুক্ত অর্থনৈতিক অঞ্চল ডেভেলপার;(৩) “কর্তৃপক্ষ” অর্থ ধারা ১৭ এর অধীন প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ(৪) “গভর্ণিং বোর্ড” অর্থ কর্তৃপক্ষের গভর্ণিং বোর্ড;(৫) “চেয়ারম্যান” অর্থ গভর্ণিং বোর্ডের চেয়ারম্যান;(৬) “নির্বাহী বোর্ড” অর্থ কর্তৃপক্ষের নির্বাহী বোর্ড;(৭) “নির্বাহী চেয়ারম্যান” অর্থ নির্বাহী বোর্ডের চেয়ারম্যান;(৮) “নির্ধারিত” অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি দ্বারা নির্ধারিত এবং অনুরূপ বিধি প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত সরকার কর্তৃক, সরকারি গেজেটে আদেশ দ্বারা নির্ধারিত;(৯) “প্রবিধান” অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত প্রবিধান;[1](৯ক) ‘‘বাংলাদেশ সরকার ও অন্য কোন দেশের সরকারের মধ্যে অংশীদারিত্ব বা উদ্যোগ’’ অর্থ বাংলাদেশ সরকার বা তৎকর্তৃক মনোনীত কোন সংস্থা বা কর্তৃপক্ষ বা প্রতিষ্ঠান এবং অন্য কোন দেশের সরকার বা তৎকর্তৃক মনোনীত অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা, পরিচালনা ও প্রসারে যোগ্য কোন শিল্প উদ্যোক্তা, কনসোর্টিয়াম, জয়েন্ট ভেঞ্চার কোম্পানী বা শিল্প গোষ্ঠি এর মধ্যে অংশীদারিত্ব বা উদ্যোগ; “বিধি” অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি;(১১) “সচিব” অর্থ কর্তৃপক্ষের সচিব।

আইনের প্রাধান্য

৩। আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের বিধানাবলী প্রাধান্য পাইবে।

অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা

৪। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, দেশের পশ্চাৎপদ ও অনগ্রসর এলাকাসহ সম্ভাবনাময় সকল এলাকায় দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়ন তথা শিল্পায়ন, কর্মসংস্থান, উৎপাদন এবং রপ্তানী বৃদ্ধি ও বহুমুখীকরণে উৎসাহ প্রদান এবং রাষ্ট্রের সামাজিক ও অর্থনৈতিক অঙ্গীকারসমূহ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সরকার নিম্নবর্ণিত যে কোন শ্রেণীর অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করিতে পারিবে, যথাঃ-(ক) দেশী বা বিদেশী ব্যক্তি, গোষ্ঠি বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক সরকারি ও বেসরকারি অংশীদারিত্বে প্রতিষ্ঠিত অর্থনৈতিক অঞ্চল;(খ) দেশী বা প্রবাসী বাংলাদেশী বা বিদেশী বিনিয়োগকারী, গোষ্ঠি, ব্যবসায়িক সংগঠন বা গ্রুপ কর্তৃক, একক বা যৌথভাবে, প্রতিষ্ঠিত বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চল;(গ) সরকারি উদ্যোগ ও মালিকানায় প্রতিষ্ঠিত সরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চল;(ঘ) একই ধরনের বিশেষায়িত কোন শিল্প বা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার জন্য, বেসরকারি বা সরকারি ও বেসরকারি অংশীদারিত্বে বা সরকারি উদ্যোগে, প্রতিষ্ঠিত বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল2[;(ঙ) বাংলাদেশ সরকার বা তৎকর্তৃক মনোনীত কোন সংস্থা বা কর্তৃপক্ষ বা প্রতিষ্ঠান এবং অন্য কোন দেশের সরকার বা তৎকর্তৃক মনোনীত অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা, পরিচালনা ও প্রসারে যোগ্য কোন শিল্প উদ্যোক্তা, কনসোর্টিয়াম, জয়েন্ট ভেঞ্চার কোম্পানী বা শিল্প গোষ্ঠি এর মধ্যে অংশীদারিত্ব বা উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত অর্থনৈতিক অঞ্চল;(চ) এক বা একাধিক সরকারি সংস্থা বা কর্তৃপক্ষ বা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতায় বা অংশীদারিত্বে প্রতিষ্ঠিত অর্থনৈতিক অঞ্চল।]

অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য ভূমি নির্বাচন এবং অর্থনৈতিক অঞ্চল ঘোষণা

৫। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, কোন নির্দিষ্ট ভূমি এলাকাকে অর্থনেতিক অঞ্চল হিসাবে নির্বাচনক্রমে অর্থনৈতিক অঞ্চল ঘোষণা করিতে পারিবে3:তবে শর্ত থাকে যে, কেবলমাত্র তথ্য প্রযুক্তি-সংশ্লিষ্ট অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের উদ্দেশ্যে সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা এবং ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের আওতাভুক্ত কোন ভূমি এলাকাকে জনস্বার্থে অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসাবে ঘোষণা করা যাইবে। উপ-ধারা (১) এর অধীন জারীকৃত প্রজ্ঞাপনের তফসিলে অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসাবে ঘোষিত ভূমির সুনির্দিষ্ট বিবরণ থাকিতে হইবে।4[***]

অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ

৬। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, কোন অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য অথবা উক্ত অঞ্চলে অবকাঠামো যেমন-সড়ক, ব্রীজ ইত্যাদি নির্মাণের জন্য কোন ভূমি প্রয়োজন হইলে, সরকার উক্ত ভূমি 5[স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ ও হুকুমদখল আইন, ২০১৭ (২০১৭ সনের ২১ নং আইন)] এর অধীন অধিগ্রহণ করিতে পারিবে। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন অধিগ্রহণকৃত ভূমির ক্ষতিপূরণসহ অন্য যে কোন বিষয় নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে উপ-ধারা(১) এ উল্লিখিত 6[আইনের] এর বিধানাবলী প্রযোজ্য হইবে। (৩) এই ধারার অধীন অধিগ্রহণকৃত ভূমি, জনস্বার্থে, প্রয়োজনীয় বলিয়া গণ্য হইবে।

অর্থনৈতিক অঞ্চলকে বিভিন্ন এলাকায় বিভাজন

৭।(১) কর্তৃপক্ষ কোন অর্থনৈতিক অঞ্চল সংশ্লিষ্ট ভূমি এলাকাকে নিম্নবর্ণিত এলাকায় বিভাজন করিয়া মাস্টার প্ল্যান প্রণয়ন করিবার জন্য প্রয়োজনীয় আদেশ জারী করিতে পারিবে, যথাঃ-(ক) রপ্তানী প্রক্রিয়াকরণ এলাকা (Export Processing Area) : রপ্তানীমুখী শিল্পের জন্য নির্ধারিত;(খ) অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়াকরণ এলাকা (Domestic Processing Area) : দেশীয় বাজার চাহিদা মেটানোর লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত শিল্পের জন্য নির্ধারিত;(গ) বাণিজ্যিক এলাকা (Commercial Area) : ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, ওয়্যার হাউজ, অফিস বা অন্য কোন প্রতিষ্ঠানের জন্য নির্ধারিত;(ঘ) প্রক্রিয়াকরণমুক্ত এলাকা (Non Processing Area) : আবাসন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বিনোদন ইত্যাদির জন্য নির্ধারিত।(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন জারীকৃত আদেশের ভিত্তিতে কোন অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য মাস্টার প্ল্যান প্রস্তুত করা হইলে উহা অনুমোদনের জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট উপস্থাপন করিতে হইবে এবং কর্তৃপক্ষ কর্তৃক উহা অনুমোদিত হইলে উক্ত প্ল্যান অনুযায়ী বিভাজিত এলাকা উক্ত অঞ্চলের নির্ধারিত অংশ হইবে।

বাংলাদেশ সরকার ও অন্য কোন দেশের সরকারের মধ্যে অংশীদারিত্ব বা উদ্যোগে অথবা এক বা একাধিক সরকারি সংস্থা বা কর্তৃপক্ষ বা কোন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা গ্রহণ

7[৭ক। বাংলাদেশ সরকার ও অন্য কোন দেশের সরকারের মধ্যে অংশীদারিত্ব বা উদ্যোগে অথবা এক বা একাধিক সরকারি সংস্থা বা কর্তৃপক্ষ বা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বা অংশীদারিত্বে অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের লক্ষ্যে সরকার যে কোন পরিকল্পনা গ্রহণ করিতে পারিবে।

প্রক্রিয়াকরণ কমিটি গঠন, ইত্যাদি

৭খ। (১) ধারা ৭ক এর অধীন গৃহীত পরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে, সরকার, উক্ত পরিকল্পনার টেকনিক্যাল ও অন্যান্য বিষয়ের উপর অভিজ্ঞতাসম্পন্ন প্রয়োজনীয় সংখ্যক সদস্য সমন্বয়ে প্রক্রিয়াকরণ কমিটি গঠন করিতে পারিবে।(২) প্রক্রিয়াকরণ কমিটি উক্ত পরিকল্পনার প্রাথমিক পর্যায় হইতে প্রস্তাব প্রণয়ন এবং ক্ষেত্র অনুযায়ী অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত বা সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে উপস্থাপনের পর্যায় না আসা পর্যন্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা সংরক্ষণ করিবে।(৩) প্রক্রিয়াকরণ কমিটি পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পরিকল্পনা সংশ্লিষ্ট যে কোন প্রতিষ্ঠানের সহিত যোগাযোগ, আলোচনা ও দর কষাকষির মাধ্যমে উক্ত প্রতিষ্ঠানের যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা ও আর্থিক সক্ষমতা বিবেচনায় সর্বোচ্চ জনস্বার্থ সংরক্ষণ হয় এইরূপ সুপারিশ সম্বলিত প্রস্তাব প্রণয়ন করিবে।(৪) প্রক্রিয়াকরণ কমিটির অন্যান্য দায়িত্ব ও কার্যাবলি বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।]

অর্থনৈতিক অঞ্চলে স্থাপিতব্য শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের শ্রেণী, ইত্যাদি

৯। অর্থনৈতিক অঞ্চলসমূহে সুবিধাদি প্রদানের লক্ষ্যে কর্তৃপক্ষ সময় সময়, কোন অর্থনৈতিক অঞ্চলে স্থাপিত শিল্প এবং বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের শ্রেণী নির্ধারণ করিতে পারিবে।

অর্থনৈতিক অঞ্চল ডেভেলপার নিয়োগ

৮।8[(১)] এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে কর্তৃপক্ষ নির্ধারিত পদ্ধতিতে, অর্থনৈতিক অঞ্চল ডেভেলপার নিয়োগ করিতে পারিবে।9[(২) উপ-ধারা (১) এবং ধারা ১৯ এর দফা (৩) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, সরকার, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, বাংলাদেশ সরকার ও অন্য কোন দেশের সরকারের মধ্যে অংশীদারিত্ব বা উদ্যোগে অথবা এক বা একাধিক সরকারি সংস্থা বা কর্তৃপক্ষ বা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতায় বা অংশীদারিত্বে অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ডেভেলপার নিয়োগ করিতে পারিবে।]

অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য বিশেষ শুল্ক সুবিধা

১০। আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য অর্থনৈতিক অঞ্চল বা উহার কোন এলাকাকে বিশেষ শুল্ক সুবিধা প্রদান করিতে পারিবে এবং Customs Act, 1969 (Act No. IV of 1969) এর বিধান অনুযায়ী অর্থনৈতিক অঞ্চলে স্থাপিত প্রতিষ্ঠানসমূহের আমদানী ও রপ্তানী কার্যক্রম পরিচালনার সুবিধার্থে বিশেষ ব্যবস্থা প্রবর্তন করিতে পারিবে।

আর্থিক সুবিধা, ইত্যাদি

১১। (১) সরকার Bangladesh Export Processing Zones Authority Act, 1980 (Act No. XXXVI of 1980) এবং বাংলাদেশ বেসরকারি রপ্তানী প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল আইন, ১৯৯৬ (১৯৯৬ সনের ২০ নং আইন) তে প্রদত্ত একই ধরণের আর্থিক বিশেষ প্রণোদনা ও সুবিধাদি অর্থনৈতিক অঞ্চলের শিল্প ইউনিটসমূহের জন্য প্রদান করিবে।(২) সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, অর্থনৈতিক অঞ্চলের বাহিরে রপ্তানীকারকদের জন্য বিশেষ প্রণোদনার ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে।

অন্যান্য সুবিধাদি

১২। কর্তৃপক্ষ-(ক) অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিচালনার জন্য অর্থনৈতিক অঞ্চল ডেভেলপার ও শিল্প ইউনিটসমূহের প্রয়োজনীয় সেবা যেমন-অর্থনৈতিক অঞ্চলের ভূমি নির্বাচনের অনুমতি, অর্থনৈতিক অঞ্চল ঘোষণা, ক্লিয়ারেন্সসমূহ, সার্টিফিকেটসমূহ, সার্টিফিকেট অব অরিজিন, পারমিট ফর রিপ্যাট্রিয়েশন অব ক্যাপিটাল এন্ড ডেভিডেন্ডস, রেসিডেন্ট ও নন রেসিডেন্ট ভিসা, ওয়ার্ক পারমিট, নির্মাণ পারমিটসহ যে কোন প্রকারের আইনগত দলিল, ইত্যাদি ওয়ান স্টপ সার্ভিসের মাধ্যমে প্রদানের ব্যবস্থা করিবে; এবং(খ) শিল্প কারখানা স্থাপনের জন্য উপযুক্ত প্লটসমূহ, ধারা ১৬ এর বিধান সাপেক্ষে সম্পূর্ণ বাণিজ্যিক ভিত্তিতে বরাদ্দ বা ইজারা প্রদানের ব্যবস্থা করিবে।

কতিপয় আইনের প্রয়োগ হইতে অব্যাহতি প্রদানের ক্ষমতা

১৩। 10[***] সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, কোন অঞ্চল বা অঞ্চলের কোন প্রতিষ্ঠানকে নিম্নবর্ণিত সকল বা যে কোন আইনের সকল বা যে কোন বিধান হইতে অব্যাহতি দিতে পারিবে, অথবা এই মর্মে নির্দেশ দিতে পারিবে যে, উক্ত সকল বা যে কোন আইনের বিধানাবলী, উক্ত প্রজ্ঞাপনে বিধৃত পরিবর্তন বা সংশোধন সাপেক্ষে কোন অঞ্চলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে, যথা :- (ক) Municipal Taxation Act, 1881 (Act No. XI of 1881) ; (খ) Explosives Act, 1884 (Act No. IV of 1884) ; (গ) Stamp Act, 1899 (Act No. II of 1809) ; (ঘ) 11[বিদ্যুৎ আইন, ২০১৮ (২০১৮ সনের ৭ নং আইন)] ; (ঙ) 12[বয়লার আইন, ২০২২ (২০২২ সনের ৬ নং আইন)] ; (চ) Foreign Exchange Regulation Act, 1947 (Act No. VII of 1947) ; (ছ) 13[আয়কর আইন, ২০২৩ (২০২৩ সনের ১২ নং আইন)] ; (জ) Building Construction Act, 1952 (E. B. Act No. II of 1953) ; (ঝ) 14[ভূমি উন্নয়ন কর আইন, ২০২৩] ; (ঞ) স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯ (২০০৯ সনের ৬১ নং আইন); (ট) অগ্নি প্রতিরোধ ও নির্বাপণ আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ৭ নং আইন); (ঠ) 15[মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ (২০১২ সনের ৪৭নং আইন)]; 16[***] (ঢ) স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইন, ২০০৯ (২০০৯ সনের ৬০ নং আইন); (ণ) স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন, ২০০৯ (২০০৯ সনের ৫৮ নং আইন); (ত) সরকার কর্তৃক, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, নির্ধারিত অন্য কোন আইন।

অর্থনৈতিক অঞ্চলের মধ্যে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি প্রদান

১৪। বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন সাপেক্ষে কোন অর্থনৈতিক অঞ্চলে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কোন ব্যাংককে অনুমতি প্রদান করিতে পারিবে।

অর্থনৈতিক অঞ্চলে শিল্প স্থাপন

১৫। এই আইনের অধীন প্রতিষ্ঠিত অর্থনৈতিক অঞ্চলে সরকারের বিদ্যমান শিল্পনীতিতে সংরক্ষিত শিল্প হিসাবে চিহ্নিত খাতসমূহ ব্যতীত ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পসহ অন্য যে কোন খাতের স্থাপনা যেমন কৃষি খামার, সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি স্থাপন করা যাইবে।

ভূমি বরাদ্দ, ইত্যাদি

১৬। ধারা ১৫ এর অধীন কোন অর্থনৈতিক অঞ্চলে কোন ব্যক্তি শিল্প বা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান স্থাপনের অনুমতিপ্রাপ্ত হইলে কর্তৃপক্ষ তৎকর্তৃক নির্ধারিত শর্তে, উক্ত ব্যক্তিকে ভূমি, ভবন বা স্থান বরাদ্দ প্রদান করিবে অথবা ভাড়ার ভিত্তিতে বা অন্য কোনভাবে ইজারা প্রদান করিবে।

কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা

১৭। (১) এই আইন কার্যকর হইবার পর, যতশীঘ্র সম্ভব, সরকার, এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ নামে একটি কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা করিবে।(২) কর্তৃপক্ষ একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হইবে এবং ইহার স্থায়ী ধারাবাহিকতা ও একটি সাধারণ সীল মোহর থাকিবে এবং ইহার স্থাবর ও অস্থাবর উভয় প্রকার সম্পত্তি অর্জন করিবার, অধিকারে রাখিবার এবং হস্তান্তর করিবার ক্ষমতা থাকিবে এবং ইহার নামে মামলা দায়ের করা যাইবে এবং ইহার বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা যাইবে।(৩) উপ-ধারা (১) এর অধীন কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত সরকার উহার নিয়ন্ত্রণাধীন কোন সংস্থাকে কর্তৃপক্ষ হিসাবে, সাময়িকভাবে, উহার কার্য-সম্পাদন করিবার দায়িত্ব অর্পণ করিতে পারিবে।

কর্তৃপক্ষের প্রধান কার্যালয়, ইত্যাদি

১৮। কর্তৃপক্ষের প্রধান কার্যালয় ঢাকায় থাকিবে এবং কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনবোধে, সরকারের পূর্বানুমতিক্রমে, বাংলাদেশের যে কোন স্থানে ইহার শাখা কার্যালয় স্থাপন করিতে পারিবে।

কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব ও কার্যাবলী

১৯। কর্তৃপক্ষের সাধারণ দায়িত্ব ও কার্যাবলী হইবে নিম্নরূপ, যথাঃ-(১) অবকাঠামোসহ স্থানীয় সম্পদের প্রাপ্যতা, সড়ক ও যোগাযোগ সুবিধা, ভ্রমণ ও ব্যাংকিং সুবিধা এবং দক্ষ জনবলের প্রাপ্যতার ভিত্তিতে গুচ্ছনীতির আলোকে ভূমির অধিকতর দক্ষ ব্যবহার নিশ্চিত করার নিমিত্তে শিল্প এলাকার বা অন্য খাতের তদ্রুপ এলাকার জন্য ভূমি নির্বাচন ও চিহ্নিতকরণ;(২) নিজস্ব উদ্যোগে বা সরকারি ও বেসরকারি অংশীদারিত্বমূলক উদ্যোগে চিহ্নিত, অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ করা ও সরকারের পক্ষ হইতে অধিগ্রহণকৃত ভূমির দখল গ্রহণ;(৩) অধিগ্রহণকৃত ভূমি ও উহার বিভিন্ন প্রকার অবকাঠামো উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনার জন্য প্রতিযোগিতার ভিত্তিতে অর্থনৈতিক অঞ্চল ডেভেলপার নিয়োগ;(৪) নিজস্ব উদ্যোগ বাস্তবায়ন ও ব্যবস্থাপনার জন্য অর্থনৈতিক অঞ্চলের অবকাঠামো উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন ও অনুমোদনের জন্য গভর্ণিং বোর্ড সমীপে উপস্থাপন;(৫) নিজস্ব উদ্যোগ বাস্তবায়ন ও ব্যবস্থাপনার জন্য চিহ্নিত ও অর্থনৈতিক অঞ্চলে শিল্প ইউনিট, ব্যবসায়িক ও সেবামূলক প্রতিষ্ঠান স্থাপনের লক্ষ্যে, নির্ধারিত পদ্ধতিতে, আবেদনপ্রার্থী বিনিয়োগকারীগণের নিকট প্রতিযোগিতামূলক ব্যবসায়িক ভিত্তিতে ভূমি, ভবন বা স্থান বরাদ্দ, ইজারা বা ভাড়া প্রদান;(৬) অর্থনৈতিক অঞ্চলের অবকাঠামো উন্নয়নে নিজস্ব ও অর্থনৈতিক অঞ্চল ডেভেলপারের কার্যক্রম পরিবী্ক্ষণের মাধ্যমে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে উন্নয়ন নিশ্চিতকরণ;(৭) দক্ষ শ্রমশক্তি তৈরীর মাধ্যমে শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহে কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ দেশী বা বিদেশী বিনিয়োগ উৎসাহিত করিবার মাধ্যমে অর্থনৈতিক অঞ্চলের অভ্যন্তরে বা অর্থনৈতিক অঞ্চল বহির্ভূত স্থানে পশ্চাৎ সংযোগ শিল্প স্থাপনের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি;(৮) অর্থনৈতিক অঞ্চলের অভ্যন্তরে ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আকর্ষণীয় পরিবেশ ও সুযোগ-সুবিধা প্রদানের লক্ষ্যে গুচ্ছনীতির আলোকে এলাকা বিভাজনের মাধ্যমে অবকাঠামোসহ স্থানীয় সম্পদের প্রাপ্যতার ভিত্তিতে ভূমির অধিকতর দক্ষ ব্যবহার নিশ্চিতকরণ;(৯) পরিবেশসহ অন্যান্য ক্ষেত্রের অঙ্গীকারসমূহ রক্ষায় অধিকতর দক্ষ ব্যবস্থাপনা ও পরিবীক্ষণ কার্যক্রমকে উৎসাহিতকরণ;(১০) স্থানীয় অর্থনীতির চাহিদা মিটানোর জন্য অর্থনৈতিক অঞ্চলসমূহে পশ্চাৎ সংযোগ শিল্প স্থাপনের ব্যবস্থা গ্রহণ;(১১) শ্রেণী ভিত্তিক শিল্পের জন্য পৃথক অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করিয়া মেট্রোপলিটন শহরে বা অন্যত্র স্থাপিত দূষণপ্রবণ শিল্পসহ অপরিকল্পিতভাবে স্থাপিত অন্যান্য শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহ অর্থনৈতিক অঞ্চলে স্থানান্তরের জন্য ব্যবসায়ী সংগঠনসমূহকে উৎসাহিতকরণ;(১২) অর্থনৈতিক অঞ্চলের উন্নয়ন ও পরিচালনায় সরকারি ও বেসরকারি যৌথ অংশীদারিত্বকে উৎসাহিতকরণ;(১৩) সামাজিক ও অর্থনৈতিক অঙ্গিকারসমূহ বাস্তবায়নে উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ;(১৪) শ্রমিক-কর্মচারীদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা করা, তাহাদের কল্যাণ নিশ্চিত করা; এবং মালিক ও শ্রমিক কর্মচারীদের মধ্যে সুষ্ঠু সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা;(১৫) দারিদ্রহ্রাসকরণে গৃহীত কর্মসূচী বাস্তবায়নে উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ;(১৬) অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত উৎপাদন ও সেবা খাতের পরিকল্পিত শিল্পায়নের মাধ্যমে দেশের শিল্পনীতির বাস্তবায়ন ত্বরান্বিতকরণ; এবং(১৭) অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসাবে ঘোষিত এলাকাসমূহকে শিল্পনগরী, কৃষিভিত্তিক শিল্পাঞ্চল, বাণিজ্যিক এলাকা, পর্যটন এলাকা হিসাবে উন্নয়নক্রমে ব্যাংকিং খাতের বিনিয়োগের মাধ্যমে অর্থনৈতিক কেন্দ্রে রূপান্তর করিয়া প্রশিক্ষিত শ্রমিক ও দক্ষ সেবা প্রদান সহজলভ্যকরণ।

কর্তৃপক্ষের পরিচালনা, ইত্যাদি

২০। (১) কর্তৃপক্ষের পরিচালনা ও ইহার প্রশাসন একটি নির্বাহী বোর্ডের উপর ন্যস্ত থাকিবে এবং উপ-ধারা (২) এর বিধান সাপেক্ষে কর্তৃপক্ষ যে সকল ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্য-সম্পাদন করিতে পারিবে নির্বাহী বোর্ডও সেই সকল ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্য-সম্পাদন করিতে পারিবে।(২) দায়িত্ব পালন বা কার্য-সম্পাদনের ক্ষেত্রে, নির্বাহী বোর্ড গভর্ণিং বোর্ড কর্তৃক, সময় সময় প্রদত্ত আদেশ, নির্দেশ ও নীতিমালা অনুসরণ করিবে এবং নির্বাহী বোর্ড উহার ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্যাবলী সম্পাদনের ক্ষেত্রে গভর্ণিং বোর্ডের নিকট দায়ী থাকিবে।

গভর্ণিং বোর্ড

২১। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, এবং উপ-ধারা (২) এর বিধান সাপেক্ষে নিম্নবর্ণিত সদস্য সমন্বয়ে গঠিত গভর্নিং বোর্ড নামে একটি বোর্ড থাকিবে, যথাঃ-(ক) প্রধানমন্ত্রী বা তৎকর্তৃক মনোনীত কোন সদস্য, যিনি একজন মন্ত্রী, যিনি গভর্ণিং বোর্ডের চেয়্যারম্যানও হইবেন;(খ) শিল্প, বাণিজ্য, অর্থ, পরিকল্পনা, বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ, যোগাযোগ, শ্রম ও কর্মসংস্থান, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় বা বিভাগের দায়িত্বে নিয়োজিত মন্ত্রী/প্রতিমন্ত্রীগণ, পদাধিকারবলে;(গ) প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, পদাধিকারবলে;(ঘ) বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণর, পদাধিকারবলে;(ঙ) বিনিয়োগ বোর্ডের নির্বাহী চেয়ারম্যান, পদাধিকারবলে;(চ) শিল্প, বাণিজ্য, অর্থ, পরিকল্পনা, কৃষি, শ্রম ও কর্মসংস্থান, ডাক ও টেলিযোগাযোগ, বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, পররাষ্ট্র, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ, বিদ্যুৎ, স্বরাষ্ট্র, নৌ-পরিবহন, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় বা বিভাগ ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব এবং চেয়ারম্যান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, পদাধিকারবলে;(ছ) সভাপতি, ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এফবিসিসিআই), পদাধিকারবলে;(জ) অর্থনৈতিক অঞ্চল সংশ্লিষ্ট জেলার চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এর সরকার কর্তৃক মনোনীত প্রতিনিধি;(ঝ) সরকার কর্তৃক মনোনীত ২(দুই) জন মহিলা উদ্যোক্তা;(ঞ) বিশেষায়িত চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ-এর সভাপতি;(ট) নির্বাহী চেয়ারম্যান, পদাধিকারবলে, যিনি উহার সচিবও হইবেন।(২) উপ-ধারা (১) এর দফা (ঞ) তে উল্লিখিত ব্যক্তিগণ নির্ধারিত পদ্ধতিতে পালাক্রমের (by-rotation) ভিত্তিতে গভর্ণিং বোর্ডের সদস্য হইবেন।(৩) সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, যে কোন ব্যক্তিকে, প্রজ্ঞাপনে উল্লিখিত উদ্দেশ্য ও মেয়াদের জন্য, গভর্নিং বোর্ডের সদস্য হিসাবে যে কোন সময় কো-অপ্ট করিতে পারিবে।

গভর্ণিং বোর্ডের কার্যাবলী, নীতি বাস্তবায়ন, ইত্যাদি

২২। (১) গভর্ণিং বোর্ড নিম্নবর্ণিত কার্যাবলী সম্পাদন করিবে-(ক) অর্থনৈতিক অঞ্চলের উন্নয়ন, পরিচালনা, ব্যবস্থাপনা এবং নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক নীতি প্রণয়ন;(খ) অর্থনৈতিক অঞ্চলের পরিচালনা, প্রশাসন, ব্যবস্থাপনা ও নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কিত উদ্যোক্তা কোম্পানীর কর্মকর্তা পর্যালোচনা;(গ) অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব অনুমোদন;(ঘ) সময় সময় নির্বাহী বোর্ড এবং অর্থনৈতিক অঞ্চলের সামগ্রিক কর্মকান্ড পর্যালোচনা; এবং(ঙ) কর্তৃপক্ষকে এবং অর্থনৈতিক অঞ্চল সম্পর্কিত বিষয়াদির দক্ষ ব্যবস্থাপনার উদ্দেশ্যে তৎবিবেচনায় কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় আদেশ বা নির্দেশ প্রদান।(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন গভর্ণিং বোর্ড কর্তৃক গৃহীত কোন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কোন মন্ত্রণালয় বা বিভাগের সম্পৃক্ততা থাকিলে উক্ত মন্ত্রণালয় বা বিভাগের অনুমোদন গ্রহণ সাপেক্ষে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ উহা বাস্তবায়ন করিবে।(৩) কর্তৃপক্ষ উপ-ধারা (১) এর অধীন গভর্ণিং বোর্ড কর্তৃক প্রণীত নীতি, প্রদত্ত অনুমতিপত্র,মঞ্জুরীকৃত লাইসেন্স বা জারীকৃত আদেশ বা নির্দেশ সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা প্রকাশ করিবে।(৪) উপ-ধারা (৩) এর অধীন কোন প্রজ্ঞাপন জারী করা হইলে, উহাতে উল্লিখিত নীতি, অনুমতিপত্র, লাইসেন্স এবং আদেশ বা নির্দেশ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগ বা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বাস্তবায়ন করিতে হইবে।

গভর্ণিং বোর্ডের সভা

২৩। (১) এই ধারার অন্যান্য বিধানাবলী সাপেক্ষে গভর্ণিং বোর্ড উহার সভার কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করিবে।(২) নির্বাহী চেয়ারম্যান, চেয়ারম্যানের সহিত পরামর্শক্রমে, গভর্ণিং বোর্ডের সভা আহ্বান করিবেন এবং এইরূপ সভা গভর্ণিং বোর্ডের চেয়ারম্যান কর্তৃক নির্ধারিত স্থান ও সময়ে অনুষ্ঠিত হইবে।(৩) গভর্নিং বোর্ডের সকল সভায় উহার চেয়ারম্যান সভাপতিত্ব করিবেন এবং তাহার অনুপস্থিতিতে, তৎকর্তৃক ক্ষমতা প্রদত্ত কোন সদস্য, যিনি একজন মন্ত্রী, সভায় সভাপতিত্ব করিবেন।(৪) গভর্ণিং বোর্ড উহার সভায় কোন আলোচ্য বিষয়ে বিশেষ অবদান রাখিতে সক্ষম এইরূপ যে কোন ব্যক্তিকে আমন্ত্রণ করিতে পারিবে এবং উক্তরূপে আমন্ত্রিত কোন ব্যক্তি সভায় আলোচনায় অংশগ্রহণ করিতে পারিবেন।

নির্বাহী বোর্ড

২৪। (১) কর্তৃপক্ষের একটি নির্বাহী বোর্ড থাকিবে এবং উক্ত বোর্ড একজন চেয়ারম্যান ও তিন জন সদস্য সমন্বয়ে গঠিত হইবে।(২) নির্বাহী বোর্ডের চেয়ারম্যান নির্বাহী চেয়ারম্যান নামে অভিহিত হইবেন এবং তিনি কর্তৃপক্ষের প্রধান নির্বাহী হইবেন।(৩) নির্বাহী চেয়ারম্যান ও নির্বাহী বোর্ডের সদস্যগণ সরকার কর্তৃক নিযুক্ত হইবেন এবং তাহারা সরকার কর্তৃক নির্ধারিত শর্তে দায়িত্বে নিয়োজিত থাকিবেন।(৪) নির্বাহী চেয়ারম্যানের পদ শূন্য হইলে বা অনুপস্থিতি, অসুস্থতা বা অন্য কোন কারণে তিনি তাহার দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হইলে, নির্বাহী চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের বিষয়ে সরকারের নিকট সমীচীন বলিয়া বিবেচিত যে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে।(৫) নির্বাহী চেয়ারম্যান বা নির্বাহী বোর্ডের সদস্য পদে শূন্যতা বা নির্বাহী বোর্ড গঠনে ত্রুটি থাকিবার কারণে উহার কোন কার্য বা কার্যধারা অবৈধ হইবে না এবং তৎসম্পর্কে কোন বৈধতার প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না।

নির্বাহী বোর্ডের সভা

২৫। (১) এই ধারার অন্যান্য বিধানাবলী সাপেক্ষে নির্বাহী বোর্ড উহার সভার কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করিবে।(২) সচিব, নির্বাহী চেয়ারম্যানের পরামর্শক্রমে, নির্বাহী বোর্ডের সভা আহ্বান করিবেন।(৩) নির্বাহী বোর্ডের সকল সভা কর্তৃপক্ষের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হইবে।(৪) নির্বাহী বোর্ডের সকল সভায় নির্বাহী চেয়ারম্যান সভাপতিত্ব করিবেন এবং তাহার অনুপস্থিতিতে, সদস্যগণের মধ্যে যিনি জ্যেষ্ঠ তিনি সভাপতিত্ব করিবেন।

সচিব, কর্মকর্তা, কর্মচারী নিয়োগ, ইত্যাদি

২৬। (১) কর্তৃপক্ষ ইহার কার্যাবলী সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের উদ্দেশ্যে, সরকার কর্তৃক সাংগঠনিক কাঠামো অনুমোদন সাপেক্ষে, সচিবসহ কর্তৃপক্ষের প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মকর্তা ও কর্মচারী, পরামর্শক, বিশেষজ্ঞ ও নিরীক্ষক নিয়োগ করিতে পারিবে।(২) কর্তৃপক্ষের সচিব, কর্মকর্তা ও কর্মচারী, পরামর্শক, বিশেষজ্ঞ ও নিরীক্ষকদের নিয়োগ ও চাকুরীর শর্তাবলী প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে।(৩) এই আইন, ইহার অধীন প্রণীত বিধি ও প্রবিধানের বিধানাবলী সাপেক্ষে কর্তৃপক্ষের সচিবসহ সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী নির্বাহী চেয়ারম্যানের সার্বিক নিয়ন্ত্রণ ও তত্ত্বাবধানে তাহাদের দায়িত্ব পালন করিবেন।

কমিটিসমূহ

২৭। কর্তৃপক্ষ উহার কার্যাবলী সম্পাদনে সহায়তা করিবার জন্য নির্বাহী বোর্ডের চেয়ারম্যান বা সদস্য বা উহার কোন কর্মকর্তা বা অন্য কোন ব্যক্তি সমন্বয়ে প্রয়োজনীয় সংখ্যক কমিটি গঠন করিতে পারিবে এবং এইরূপ কমিটির দায়িত্ব ও কার্যাবলী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত হইবে।

কতিপয় ক্ষেত্রে অনুমতিপত্র স্থগিত বা বাতিলকরণ

২৮। (১) কর্তৃপক্ষ যে কোন সময়, অর্থনৈতিক অঞ্চল ডেভেলপারকে প্রদত্ত অনুমতিপত্র স্থগিত বা বাতিল করিতে পারিবে, যদি অর্থনৈতিক অঞ্চল ডেভেলপার(ক) এই আইন বা বিধিতে বর্ণিতমতে তাহার উপর অর্পিত দায়িত্ব ও কার্যাবলী সম্পাদনে অসমর্থ হন; অথবা(খ) এই আইনের অধীন গভর্ণিং বোর্ড কর্তৃক প্রদত্ত নির্দেশনা সঠিকভাবে প্রতিপালন করিতে ব্যর্থ হন; অথবা(গ) অনুমতিপত্রের শর্তাবলী ভঙ্গ করেন; অথবা(ঘ) অনুমতিপত্রে আরোপিত তাহার উপর অর্পিত দায়িত্ব ও বাধ্যবাধকতা আর্থিক কারণে দক্ষতার সাথে প্রতিপালন করিতে ব্যর্থ হন।(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের জন্য অর্থনৈতিক অঞ্চল ডেভেলপারকে প্রদত্ত অনুমতিপত্র স্থগিত বা বাতিলকরণ পদ্ধতি বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।

ঋণ গ্রহণের ক্ষমতা

২৯। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে কর্তৃপক্ষ কোন ব্যাংক বা ঋণপ্রদানকারী সংস্থা বা অন্য কোন উৎস হইতে সরকারের অনুমোদন গ্রহণক্রমে ঋণ গ্রহণ করিতে পারিবে।

কর্তৃপক্ষের তহবিল

৩০।(১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ তহবিল নামে কর্তৃপক্ষের একটি তহবিল থাকিবে, যাহাতে নিম্নবর্ণিত অর্থ জমা হইবে, যথাঃ-(ক) সরকারের নিকট হইতে প্রাপ্ত অনুদান এবং ঋণ;(খ) সরকার কর্তৃক অনুমোদিত অন্য কোন উৎস হইতে প্রাপ্ত ঋণ;(গ) অর্থনৈতিক অঞ্চলসমূহে শিল্প এবং বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান স্থাপনের জন্য বরাদ্দকৃত ভূমি হইতে প্রাপ্ত আয়;(ঘ) অর্থনৈতিক অঞ্চলসমূহে স্থাপিত শিল্প এবং বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানকে ইজারা প্রদত্ত ভবনসমূহের ভাড়া;(ঙ) বিভিন্ন ফি এবং কোন সেবা প্রদান করা হইলে উহার সার্ভিস চার্জ;(চ) সরকারি ও বেসরকারি অংশীদারিত্ব হইতে প্রাপ্ত মুনাফা;(ছ) বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহ হইতে প্রাপ্ত ফি এবং সার্ভিস চার্জ; এবং(জ) অন্য কোন উৎস হইতে প্রাপ্ত অর্থ।(২) কর্তৃপক্ষের তহবিল কোন তফসিলি ব্যাংকে জমা রাখা হইবে এবং প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে উক্ত তহবিল পরিচালনা করা হইবে।(৩) এই আইনের অধীন অর্থনৈতিক অঞ্চল সংক্রান্ত কর্তৃপক্ষের কার্যাবলী সম্পাদনের ব্যয় নির্বাহের জন্য কর্তৃপক্ষের তহবিল ব্যবহার করা হইবে।(৪) সংশ্লিষ্ট অর্থ বৎসরে কর্তৃপক্ষের ব্যয় নির্বাহের পর উহার তহবিলে কোন অর্থ উদ্বৃত্ত থাকিলে, উক্ত অর্থ কর্তৃপক্ষের তহবিলে জমা প্রদান করিতে হইবে।

বাজেট

৩১। কর্তৃপক্ষ প্রতি বৎসর, সরকার কর্তৃক নির্দেশিত সময়ে ও নিয়মে, পরবর্তী অর্থ বৎসরের বার্ষিক বাজেট প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য সরকারের নিকট পেশ করিবে এবং উহাতে কর্তৃপক্ষের সম্ভাব্য আয় ও ব্যয় প্রদর্শনপূর্বক উক্ত অর্থ বৎসরে সরকারের নিকট হইতে কর্তৃপক্ষের কি পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন হইতে পারে উহার উল্লেখ থাকিবে।

হিসাব ও নিরীক্ষা

৩২। (১) কর্তৃপক্ষের হিসাব সরকার কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতিতে পরিচালিত হইবে।(২) Comptroller and Auditor-General (Additional Functions) Act,1974 (Act No. XXIV of 1974) এর কোন বিধানকে ক্ষুন্ন না করিয়া, কর্তৃপক্ষের হিসাব এমন একজন নিরীক্ষক কর্তৃক নিরীক্ষিত হইবে, যিনি Bangladesh Chartered Accountants Order, 1973 (President”s Order No. 2 of 1973) মোতাবেক একজন চাটার্ড একাউন্ট্যান্ট এবং গভর্ণিং বোর্ডের পূর্বানুমোদন সাপেক্ষে কর্তৃপক্ষ উক্ত নিরীক্ষককে নিয়োগ প্রদানসহ তাহাকে নির্ধারিত পারিশ্রমিক প্রদান করিবে।(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন নিযুক্ত নিরীক্ষক, কর্তৃপক্ষের হিসাবসমূহ এবং তৎসংশ্লিষ্ট ভাউচারসহ বাৎসরিক ব্যালেন্স শীট পরীক্ষা করিবেন, কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সরবরাহকৃত বিভিন্ন হিসাব বহির তালিকা পরীক্ষা করিবেন।(৪) এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে নিরীক্ষক যুক্তিসঙ্গত সময়ে কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন বহি, হিসাব ও অন্যান্য দলিলপত্র পরীক্ষার অবাধ সুযোগ পাইবেন এবং হিসাব সম্পর্কিত বিষয়ে গভর্ণিং বোর্ড বা নির্বাহী বোর্ডের যে কোন সদস্য বা সচিবসহ যে কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করিতে পারিবেন।(৫) নিরীক্ষক তৎকর্তৃক নিরীক্ষিত হিসাব সম্পর্কে সরকারের নিকট লিখিত প্রতিবেদন দাখিল করিবেন এবং উক্ত প্রতিবেদনে নিম্নবর্ণিত বিষয়াদির উল্লেখ থাকিবে-(ক) নিরীক্ষকের বিবেচনায় বিভিন্ন হিসাব বহি যথাযথভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা হইয়াছিল কি না;(খ) উহাতে কর্তৃপক্ষের কার্যক্রমের যথার্থ প্রতিফলন ঘটিয়াছিল কি না;(গ) যদি কোন ক্ষেত্রে নিরীক্ষক কর্তৃপক্ষের নিকট হইতে কোন তথ্য বা ব্যাখ্যা চাহিয়া থাকেন, তাহা হইলে উহা সরবরাহ করা হইয়াছিল কি না; এবং(ঘ) উহা সন্তোষজনক ছিল কি না।(৬) এই ধারার অন্যান্য বিধানে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, সরকার-(ক) সরকার এবং গ্রাহকদের স্বার্থ সংরক্ষণে কর্তৃপক্ষ কি কার্যক্রম গ্রহণ করিয়াছিল তৎসম্পর্কে অথবা কর্তৃপক্ষের হিসাব নিরীক্ষা পদ্ধতির যথার্থতা সম্পর্কে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য নিরীক্ষকদেরকে নির্দেশনা প্রদান করিতে পারিবে;(খ) যে কোন সময় নিরীক্ষার পরিধি বর্ধিত করিতে পারিবে;(গ) নিরীক্ষার ভিন্ন ভিন্ন পদ্ধতি অনুসরণের জন্য অথবা নিরীক্ষকের বিবেচনায় জনস্বার্থে অন্য কোন বিষয় পরীক্ষা করা প্রয়োজন হইলে উক্তরূপ পরীক্ষা করিবার জন্য নির্দেশনা দিতে পারিবে।

পরিবেশ সংক্রান্ত আইন, ইত্যাদির প্রতিপালন

৩৩। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, কর্তৃপক্ষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ডেভেলপার, অর্থনৈতিক অঞ্চলে প্রতিষ্ঠিত শিল্প ইউনিটসমূহ, অন্যান্য আর্থিক ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে বিদ্যমান পরিবেশ ও পরিবেশ রক্ষা সংক্রান্ত সকল আইনের প্রতিপালনসহ বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক স্বীকৃত আন্তর্জাতিক অঙ্গীকারসমূহ রক্ষা করিতে বাধ্য থাকিবে।

বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ এর প্রযোজ্যতা

17[৩৪।  বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ (২০০৬ সনের ৪২নং আইন) এর বিধানাবলী, এই আইনের অধীন প্রতিষ্ঠিত অর্থনৈতিক অঞ্চলের ক্ষেত্রে, প্রয়োজনীয় অভিযোজন সহকারে, প্রযোজ্য হইবে।]

বার্ষিক প্রতিবেদন, ইত্যাদি

৩৫। (১) কর্তৃপক্ষ প্রতি অর্থ বৎসর সমাপ্ত হইবার পর, যথাসম্ভব শীঘ্র, ইহার কার্যক্রম সম্পর্কে সরকারের নিকট প্রতিবেদন দাখিল করিবে।(২) সরকার কর্তৃক নির্ধারিত সময়ে কর্তৃপক্ষ সরকারের নিকট, নিম্নবর্ণিত বিষয়াদি উপস্থাপন করিবে, যথাঃ-(ক) সরকার কর্তৃক যাচিত রিটার্ণস, হিসাবসমূহ, বিবরণী, প্রাক্কলন এবং পরিসংখ্যান;(খ) সরকার কর্তৃক কোন সুনির্দিষ্ট বিষয়ে যাচিত তথ্য এবং মন্তব্য;(গ) পরীক্ষা বা অন্য কোন প্রয়োজনে সরকার কর্তৃক যাচিত বিভিন্ন কাগজ ও দলিলাদি।

দেওয়ানী মামলা বিচারের ক্ষেত্রে আদালত নির্দিষ্টকরণ, ইত্যাদি

৩৬। (১) সরকার, সুপ্রীম কোর্টের সহিত পরামর্শক্রমে এবং সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, অর্থনৈতিক অঞ্চল হইতে উদ্ভূত দেওয়ানী মামলা বিচারের জন্য এক বা একাধিক আদালত নির্দিষ্ট করিতে পারিবে।(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন নির্দিষ্টকৃত আদালত ব্যতীত অন্য কোন আদালতে এই আইনের অধীন কোন মামলা বিচার্য হইবে না।(৩) উপ-ধারা (১) এ নির্দিষ্টকৃত কোন আদালত কর্তৃক প্রদত্ত সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কোন পক্ষ সংক্ষুব্ধ হইলে, তিনি রায় প্রদানের তারিখ হইতে ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে হাইকোর্ট বিভাগে আপিল করিতে পারিবেন।

কর্তৃপক্ষের বিশেষ অধিকার

৩৭। কর্তৃপক্ষের নিম্নোক্ত বিশেষ অধিকারসমূহ থাকিবে, যথা :-(ক) অর্থনৈতিক অঞ্চলে কোন কোম্পানী, শিল্প বা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের নিকট কর্তৃপক্ষের কোন পাওনা অপরিশোধিত থাকিলে, উক্ত কোম্পানি বা শিল্প বা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের মালিক, পরিচালনা বা পরিচালক পর্ষদ চুক্তি অনুযায়ী তাহার বা তাহাদেও ব্যক্তিগত সম্পদ হইতে উক্তরূপ দেনা পরিশোধের জন্য দায়ী হইবেন; এবং উক্তরূপ দেনা পরিশোধে ব্যর্থতার ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ উহার পাওনা আদায়ের জন্য উক্ত কোম্পানী বা শিল্প বা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের মালিক, পরিচালক বা পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে কার্যধারা গ্রহণের অধিকার সংরক্ষণ করিবে;(খ) কোন অঞ্চলে কোন কোম্পানী বা শিল্প বা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের কোন শ্রমিক, কর্মচারী, নির্বাহী বা ব্যবস্থাপনা কর্মচারী যদি এমন কোন কার্যের সহিত জড়িত থাকে বা এমন কোন কার্যে প্ররোচনা প্রদান করে, যাহার ফলে কোন শিল্প বা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে কোন শ্রমিক অসন্তোষ, ধর্মঘট বা লক-আউট এর উদ্ভব হয়, তাহা হইলে কর্তৃপক্ষ উক্তরূপ শিল্প প্রতিষ্ঠানকে উহার সংশ্লিষ্ট শ্রমিক, কর্মচারী, নির্বাহী বা ব্যবস্থাপনা কর্মচারীকে বরখাস্ত করাসহ নির্ধারিত সময়ের জন্য উক্ত শিল্প বা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ রাখিবার জন্য নির্দেশ দিতে পারিবে এবং তজ্জন্য কর্তৃপক্ষ কোন ক্ষতিপূরণ প্রদানের জন্য দায়ী হইবে না;(গ) যদি অর্থনৈতিক অঞ্চলে অবস্থিত কোন শিল্প বা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের বকেয়া পাওনা, অন্যান্য পাওনা এবং দায়-দেনা পরিশোধ করিতে ব্যর্থ হয়, তাহা হইলে কর্তৃপক্ষ এককভাবে উক্ত প্রতিষ্ঠানের মেশিনপত্র, যন্ত্রপাতি, কাঁচামাল অথবা অন্য কোন পণ্য অপসারণক্রমে উহা, গণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্ধারিত হারে মূল্যায়নপূর্বক, অন্য কোন শিল্প বা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানকে বরাদ্দ প্রদান করিতে পারিবে।

বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা

৩৮। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে।

প্রবিধান প্রণয়নের ক্ষমতা

৩৯। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে কর্তৃপক্ষ সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইন এবং তদধীন প্রণীত কোন বিধির সহিত অসামঞ্জস্যপূর্ণ না হওয়া সাপেক্ষে প্রবিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে।

অসুবিধা দূরীকরণ

৪০। এই আইনের বিধানাবলী কার্যকর করিবার ক্ষেত্রে কোন অসুবিধা দেখা দিলে সরকার উক্তরূপ অসুবিধা দুরীকরণার্থ, সরকারি গেজেটে প্রকাশিত আদেশ দ্বারা, প্রয়োজনীয় যে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে।

মূল পাঠ এবং ইংরেজী পাঠ

৪১। এই আইনের মূল পাঠ বাংলাতে হইবে এবং সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, ইংরেজীতে অনূদিত উহার একটি নির্ভরযোগ্য (Authentic English Text) পাঠ প্রকাশ করিবে :তবে শর্ত থাকে যে, বাংলা ও ইংরেজী পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে বাংলা পাঠ প্রাধান্য পাইবে।

Footnotes

Click here to see the original act on the Bangladesh Legal Database.