কতিপয় পণ্যের সরবরাহ ও বিতরণে কৃত্রিম মোড়কের ব্যবহারজনিত কারণে সৃষ্টি পরিবেশ দূষণরোধকল্পে বাধ্যতামূলকভাবে পাটজাত মোড়ক ব্যবহার নিশ্চিতকরণ এবং এতদ্সংক্রান্ত বিষয়ে বিধান প্রণয়নকল্পে প্রণীত আইন
যেহেতু কতিপয় পণ্যের সরবরাহ ও বিতরণে কৃত্রিম মোড়কের ব্যবহারজনিত কারণে সৃষ্টি পরিবেশ দূষণরোধকল্পে বাধ্যতামূলকভাবে পাটজাত মোড়ক ব্যবহার নিশ্চিতকরণ এবং এতদ্সংক্রান্ত বিষয়ে বিধান করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইলঃ-
১। (১) এই আইন পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন, ২০১০ নামে অভিহিত হইবে।(২) সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, যে তারিখ নির্ধারণ করিবে সেই তারিখে ইহা কার্যকর হইবে।*এস, আর, ও নং ৩২৮-আইন/২০১২, তারিখ: ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১২ ইং দ্বারা ০৫ আশ্বিন, ১৪১৯ বঙ্গাব্দ মোতাবেক ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১২ খ্রিস্টাব্দ উক্ত আইন কার্যকর হইয়াছে।
২। বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থী কোন কিছু না থাকিলে, এই আইনে-(১) ‘‘উপদেষ্টা কমিটি’’ অর্থ ধারা ৫ এর অধীন গঠিত উপদেষ্টা কমিটি;(২) ‘‘নির্ধারিত’’ অর্থ বিধি দ্বারা নির্ধারিত এবং বিধি প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত মহাপরিচালক কর্তৃক লিখিত আদেশ দ্বারা নির্ধারিত;(৩) ‘‘পণ্য’’ অর্থ বিধি দ্বারা নির্ধারিত যে কোন পণ্য, যে কোন অস্থাবর বাণিজ্যিক সামগ্রী যাহা কোন ক্রেতা অর্থ বা মূল্যের বিনিময়ে কোন বিক্রেতার নিকট হইতে ক্রয় করেন বা করিতে চুক্তিবদ্ধ হন অথবা বিক্রেতা বা ক্রেতার নিকট মূল্যের বিনিময়ে বিক্রয় করেন বা হস্তান্তর করেন অথবা করিতে চুক্তিবদ্ধ হন;(৪) ‘‘ফৌজদারী কার্যবিধি’’ অর্থ Code of Criminal Procedure, 1898 (Act No.V of 1898);(৫) ‘‘বিধি’’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি;(৬) ‘‘ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা’’ অর্থ এই আইনের উদ্দেশ্যপূরণকল্পে মহাপরিচালক কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তা;(৭) ‘‘পাটজাত মোড়ক’’ অর্থ এইরূপ মোড়ক যাহা অন্যূন ৭৫% পাট দ্বারা প্রস্তুতকৃত;(৮) ‘‘ব্যক্তি’’ অর্থ কোন ব্যক্তি, কোম্পানী, সমিতি, অংশীদারী কারবার, সংবিধিবদ্ধ বা অন্যবিধ সংস্থা বা উহাদের প্রতিনিধিও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে; এবং(৯) ‘‘মহাপরিচালক’’ অর্থ পাট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।
৪। এই আইন কার্যকর হইবার পর কোন ব্যক্তি, এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি দ্বারা নির্ধারিত পণ্য, পাটজাত মোড়ক দ্বারা মোড়কজাতকরণ ব্যতীত, বিক্রয়, বিতরণ বা সরবরাহ করিতে পারিবেন না বা করিবার অনুমতি প্রদান করিতে পারিবেন নাঃ তবে শর্ত থাকে যে, সরকার প্রয়োজনবোধে, বিধি দ্বারা নির্ধারিত কোন পণ্য বা পণ্য সামগ্রী পাটজাত মোড়ক দ্বারা মোড়কজাত করা সম্ভব না হইলে সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা উক্ত পণ্য বা পণ্য সামগ্রী পাটজাত মোড়ক দ্বারা মোড়কজাতকরণের ক্ষেত্রে অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবে।
৫। (১) সরকার, পাটজাত মোড়ক দ্বারা কোন পণ্য মোড়কজাতকরণ, এবং পাটজাত মোড়কের ব্যবহার, বিতরণ, উৎপাদন ও সরবরাহ ইত্যাদি বিষয়ে সুপারিশ প্রদানের উদ্দেশ্যে বিধি দ্বারা নির্ধারিত শর্তে নিম্নবর্ণিত ব্যক্তিগণের সমন্বয়ে একটি উপদেষ্টা কমিটি গঠন করিবে, যথাঃ.(ক) সচিব, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়, যিনি উহার চেয়ারম্যানও হইবেন;[1](কক) চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশন; যুগ্ম-সচিব, শিল্প মন্ত্রণালয়;(গ) যুগ্ম-সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়;(ঘ) যুগ্ম-সচিব, বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়;(ঙ) যুগ্ম-সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়;(চ) যুগ্ম-সচিব, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়;(ছ) মহাপরিচালক, বাংলাদেশ স্টান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউট;(জ) সরকার কর্তৃক মনোনীত পাট গবেষণা, ব্যবহার ও উহার উন্নয়ন বিষয়ে অভিজ্ঞ দুইজন ব্যক্তি;(ঝ) ফেডারেশন অফ বাংলাদেশ চেম্বার্স অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (FBCCI) এর মনোনীত দুইজন প্রতিনিধি;(ঞ) বাংলাদেশ চেম্বার অফ ইন্ডাস্ট্রিজ গ্রুপ কর্তৃক মনোনীত একজন প্রতিনিধি;[2](ঞঞ) চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ জুট মিলস এসোসিয়েশন;(ঞঞঞ) চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ জুট স্পিনার্স এসোসিয়েশন; বাংলাদেশ প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক এসোসিয়েশন কর্তৃক মনোনীত একজন প্রতিনিধি; এবং(ঠ) মহাপরিচালক, পাট অধিদপ্তর যিনি ইহার সদস্য-সচিবও হইবেন।(২) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত সরকার কর্তৃক মনোনীত সদস্য তাহার মনোনয়নের তারিখহইতে দুই বৎসরের জন্য সদস্য পদে বহাল থাকিবেন।(৩) উপ-ধারা (২) এর বিধান সত্ত্বেও সরকার যে কোন সময় তদকর্তৃক মনোনীত কোন ব্যক্তির মনোনয়ন বাতিল করিতে পারিবে।[3][(৪) উপদেষ্টা কমিটি উহার কার্যাবলি সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের নিমিত্ত, প্রয়োজনে, সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অভিজ্ঞ বা বিশেষজ্ঞ এক বা একাধিক ব্যক্তিকে উহার সদস্য হিসাবে কো-অপ্ট করিতে পারিবে।]
৬। (১) এই ধারার অন্যান্য বিধানাবলী সাপেক্ষে, উপদেষ্টা 4[কমিটি] উহার সভার কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে।(২) উপদেষ্টা কমিটির সভা চেয়ারম্যান কর্তৃক নির্ধারিত স্থানে ও সময়ে অনুষ্ঠিত হইবে।(৩) প্রতি ২ (দুই) মাসে উপদেষ্টা কমিটির অন্যূন একটি সভা অনুষ্ঠিত হইবে।(৪) উপদেষ্টা কমিটির সকল সভায় চেয়ারম্যান সভাপতিত্ব করিবেন।(৫) চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে সভায় উপস্থিত সদস্যগণের মধ্য হইতে সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যগণের সম্মতিক্রমে একজন সদস্য সভায় সভাপতিত্ব করিবেন।(৬) অন্যূন 5[৬ (ছয়) জন সদস্যের উপস্থিতিতে উপদেষ্টা কমিটির] সভার কোরাম গঠিত হইবে।(৭) উপস্থিত সদস্যগণের সংখ্যা গরিষ্ঠ ভোটে উপদেষ্টা কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হইবেএবং ভোটের সমতার ক্ষেত্রে সভায় সভাপতিত্বকারী ব্যক্তির একটি নির্ণায়ক ভোট প্রদানের ক্ষমতা থাকিবে।(৮) শুধুমাত্র কোন সদস্যপদে শূন্যতা বা উপদেষ্টা 6[কমিটি] গঠনে ত্রুটি থাকিবার কারণে কমিটির কোন কার্য বা কার্যধারা অবৈধ হইবে না এবং তৎসম্পর্কে এমনকি আদালতেও কোন প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না।
৭। (১) ধারা ৫ এর অধীন গঠিত উপদেষ্টা কমিটি পাটজাত মোড়ক দ্বারা পণ্য সামগ্রী মোড়কজাতকরণের লক্ষ্যে সরকারের নিকট সুপারিশ পেশ করিবে।(২) উপদেষ্টা কমিটি উপ-ধারা (১) এর অধীন সরকারের নিকট সুপারিশ প্রদানের ক্ষেত্রে নিম্নবর্ণিত বিষয়াদি বিবেচনা করিবে, যথাঃ.(ক) পাটজাত মোড়ক ব্যবহারের বর্তমান অবস্থা;(খ) সহজলভ্য কাঁচা পাটের পরিমাণ;(গ) সহজলভ্য পাটজাত মোড়কের পরিমাণ;(ঘ) পাট শিল্প এবং কাঁচা পাট উৎপাদনে নিয়োজিত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের স্বার্থ রক্ষা করা;(ঙ) পাট শিল্পের চলমান রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজনীয়তা;(চ) পাটজাত মোড়ক দ্বারা পণ্য মোড়কজাতকরণের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় পণ্যের পরিমাণ;(ছ) পরিবেশ ও স্বাস্থ্য সম্পর্কিত অন্যান্য বিষয়াদি;(জ) উপদেষ্টা কমিটি কর্তৃক যথোপযুক্ত বিবেচিত অন্য কোন বিষয়।(৩) সরকার উপদেষ্টা কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে বিভিন্ন পণ্যে মোড়ক ব্যবহার, বিতরণ, উৎপাদনের লক্ষ্যে সময় সময় সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা আদেশ জারী করিতে পারিবে।
৮। (১) এই ধারার বিধানাবলী সাপেক্ষে, মহাপরিচালক বা তাহার নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে সাধারণ বা বিশেষভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা যুক্তিসংগত সময়ে, তাহার বিবেচনায় প্রয়োজনীয় সহায়তা সহকারে, যে কোন ভবনে বা স্থানে নিম্নবর্ণিত উদ্দেশ্যে প্রবেশ করিবার অধিকারী হইবেন, যথাঃ.(ক) এই আইন বা বিধির অধীন তাহার উপর অর্পিত দায়িত্ব সম্পাদন;(খ) এই আইন বা বিধি বা তদধীন প্রদত্ত নোটিশ, আদেশ বা নির্দেশ মোতাবেক উক্ত ভবনে বা স্থানে কোন কার্য পরিদর্শন;(গ) এই আইন বা বিধি বা তদধীন প্রদত্ত কোন আদেশ বা নির্দেশ ভঙ্গ করিয়া কোন ভবনে বা স্থানে কোন অপরাধ সংঘটিত হইয়াছে বলিয়া উক্ত ব্যক্তির যুক্তিসংগতভাবে বিশ্বাস করিবার কারণ থাকিলে, উক্ত ভবনে বা স্থানে তল্লাশী পরিচালনা করা;(ঘ) এই আইন বা বিধির অধীন দণ্ডনীয় কোন অপরাধ সংঘটনের প্রমাণ হিসাবে ব্যবহার হইতে পারে এইরূপ কোন পণ্য, উপাদান, রেকর্ড, রেজিস্টার, দলিল ইত্যাদি আটক করা।(২) পাটজাত মোড়ক দ্বারা মোড়কীকরণ বাধ্যতামূলক এইরূপ পণ্য উৎপাদনের সহিত সংশ্লিষ্ট যে কোন ব্যক্তি এই ধারার অধীন দায়িত্ব সম্পাদনের জন্য ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে সকল প্রকার সহযোগিতা প্রদান করিতে বাধ্য থাকিবেন।
৯। (১) মহাপরিচালক বা তাহার নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিধি দ্বারা নির্ধারিত পণ্যের কোন মোড়ক পাটজাত মোড়ক কিনা তাহা যাচাই করিবার উদ্দেশ্যে যে কোন দোকান, গুদাম, কারখানা, প্রাঙ্গণ বা স্থান হইতে যে কোন মোড়ক বা মোড়ক প্রস্তুতে ব্যবহৃত উপাদানের নমুনা সংগ্রহ করিতে পারিবেন।(২) উপ-ধারা (৩) বা ক্ষেত্রমত, উপ-ধারা (৪) এর বিধান সাপেক্ষে, এই ধারার অধীন গৃহীত নমুনা সম্পর্কে উক্ত উপ-ধারায় উল্লিখিত নমুনা বা গবেষণাগারের রিপোর্ট বা উভয়ই সংশ্লিষ্ট কার্যধারায় সাক্ষ্য হিসাবে গ্রহণীয় হইবে।(৩) উপ-ধারা (৪) এর বিধানাবলী সাপেক্ষে, উপ-ধারা (১) এর অধীন নমুনা সংগ্রহকারী কর্মকর্তা-(ক) উক্ত স্থানের দখলদার বা প্রতিনিধিকে, অনুরূপ নমুনা সংগ্রহের বিষয়ে তাহার অভিপ্রায় সম্পর্কে লিখিতভাবে নোটিশ প্রদান করিবেন;(খ) উক্ত দখলদার বা দখলদারের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে নমুনা সংগ্রহ করিবেন;(গ) উক্ত নমুনা যথাযথভাবে সংরক্ষণ করিয়া নিজের ও উক্ত দখলদার বা এজেন্ট এর স্বাক্ষর দ্বারা চিহ্নিত করিয়া সীলমোহর করিবেন;(ঘ) সংগৃহীত নমুনার একটি রিপোর্ট প্রস্তুত করিয়া উহাতে নিজে স্বাক্ষর করিবেন এবং দখলদার বা এজেন্টের স্বাক্ষর গ্রহণ করিবেন; এবং(ঙ) মহাপরিচালক কর্তৃক নির্ধারিত গবেষণাগারে উক্ত দফা (ঘ) এর অধীন সংগৃহীত নমুনা অবিলম্বে প্রেরণ করিবেন।(৪) যেক্ষেত্রে উপ-ধারা (১) এর অধীন নমুনা সংগ্রহের উদ্দেশ্যে এবং সংগ্রহকারী কর্মকর্তা উপ-ধারা (৩) এর দফা (ক) এর অধীন নোটিশ প্রদান করেন, সেক্ষেত্রে যদি উক্ত স্থানের দখলদার বা প্রতিনিধি নমুনা সংগ্রহরে সময় ইচ্ছাকৃতভাবে অনুপস্থিত থাকেন, বা উপস্থিত থাকিয়াও রিপোর্টে স্বাক্ষর করিতে অস্বীকার করেন, তাহা হইলে নমুনা সংগ্রহকারী কর্মকর্তা দুই জন সাক্ষীর উপস্থিতিতে নিজেই উহাতে স্বাক্ষর প্রদান করিয়া উহা সীলমোহরকৃত করিবেন এবং সংশ্লিষ্ট দখলদার বা প্রতিনিধির অনুপস্থিতি বা, ক্ষেত্রমত, স্বাক্ষরদানে অস্বীকৃতির বিষয় উল্লেখপূর্বক মহাপরিচালক কর্তৃক নির্ধারিত গবেষণাগারে নমুনা পরীক্ষার জন্য অবিলম্বে প্রেরণ করিবেন।
১০। এই আইনের অন্যকোন বিধানে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, মহাপরিচালক এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, ধারা-৪ এর অধীন পাটজাত মোড়ক দ্বারা পণ্য মোড়কীকরণ আবশ্যক এইরূপ পণ্যের সহিত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি অথবা প্রতিষ্ঠানের নিকট লিখিত আদেশ প্রদানের মাধ্যমে নিম্নলিখিত তথ্য প্রদানের নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন, যথাঃ.(ক) নির্দিষ্ট সময়ে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নিকট মোড়ক প্রস্তুতের উপাদান বা উপাদান সমূহের শতকরা অংশ সম্পর্কিত তথ্য;(খ) ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কর্তৃক পরিদর্শনের জন্য পাটজাতপণ্য দ্বারা মোড়কজাতকরণ সামগ্রীর নমুনা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রদর্শন করা।
১১। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, উপদেষ্টা কমিটি লিখিত আদেশ দ্বারা প্রয়োজনীয় বিবেচনায়, উক্ত আদেশে উল্লিখিত পদ্ধতি ও সময়ে, কোন পাটজাত মোড়ক দ্বারা মোড়কীকরণযোগ্য কোন পণ্য উৎপাদনকারী, গুদামজাতকারী, ব্যবহারকারী বা সরবরাহকারীকে সংশ্লিষ্ট তথ্য বা দলিল সরবরাহের জন্য নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে।(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন কোন তথ্য বা দলিল সরবরাহের নির্দেশ প্রদান করা হইলে সংশ্লিষ্ট উৎপাদনকারী, গুদামজাতকারী, ব্যবহারকারী বা সরবরাহকারীর স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে উহা উপদেষ্টা কমিটিকে সরবরাহ করিতে বাধ্য থাকিবেন।
১২।(১) এই আইন ও তদধীন প্রণীত বিধি বিধান লংঘন করিয়া যদি কোন পণ্য মোড়কজাত করা হয় তাহা হইলে উহা বাজেয়াপ্তযোগ্য হইবে।(২) যদি কোন পণ্য উপ-ধারা (১) এর অধীন বাজেয়াপ্তযোগ্য হয়, তাহা হইলে কোন ব্যক্তির বিরূদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত হউক বা না হউক, ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উক্ত পণ্য বাজেয়াপ্ত করিবার উদ্দেশ্যে উহা জব্দ করিতে পারিবেন।(৩) উপ-ধারা (১) এর অধীন বাজেয়াপ্তযোগ্য কোন বস্তু জব্দ করিবার সময় উহার সহিত সংশ্লিষ্ট অভিযুক্ত ব্যক্তিকে পাওয়া না গেলে মহা-পরিচালক বা তাহার নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তা, যিনি পণ্য জব্দকারী কর্মকর্তার উর্ধ্বতন কর্মকর্তা হইবেন, লিখিত আদেশ দ্বারা উহা বাজেয়াপ্ত করিতে পারিবেন।(৪) উপ-ধারা (২) ও (৩) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, উক্তরূপ বাজেয়াপ্তকরণের আদেশ প্রদানের পূর্বে বাজেয়াপ্তকরণের বিরূদ্ধে আপত্তি উত্থাপনের সুযোগ প্রদানের জন্য নির্ধারিত পদ্ধতিতেনোটিশ জারী করিতে হইবে এবং নোটিশে উল্লিখিত সময়ের মধ্যে, আপত্তি উত্থাপনকারীকে শুনানীর যুক্তিসংগত সুযোগ প্রদান করিতে হইবে।(৫) কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (৩) এর অধীন প্রদত্ত কোন আদেশ দ্বারা সংক্ষূব্ধ হইলে তিনি আদেশ প্রাপ্তির তারিখ হইতে ত্রিশ দিনের মধ্যে.(ক) মহাপরিচালকের অধঃস্তন কোন কর্মকর্তা কর্তৃক প্রদত্ত কোন আদেশের বিরূদ্ধে মহাপরিচালকের নিকট; এবং(খ) মহাপরিচালক কর্তৃক প্রদত্ত আদেশের বিরূদ্ধে সরকারের নিকট আপীল করিতে পারিবেন।(৬) উপ-ধারা (৫) এ উল্লিখিত আপীল কর্তৃপক্ষের রায় চূড়ান্ত হইবে এবং উহার বিরুদ্ধে কোন আদালতে কোন মামলা দায়ের করা যাইবে না।
১৩। এই আইনের অধীন মহাপরিচালক কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তা, বাজেয়াপ্তকৃত কোন পণ্য বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে নিষ্পত্তি বা বিলিবন্দেজ করিতে পারিবেন এবং যদি পণ্যটি জব্দ করা সম্ভব না হয়, তাহা হইলে উক্ত ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তার অনুমতি ব্যতিরেকে উক্ত পণ্য বা পণ্য সামগ্রী হস্তান্তর না করিবার নির্দেশ প্রদান করিবেন।
১৪। কোন ব্যক্তি এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধি দ্বারা নির্ধারিত পণ্যে পাটজাত মোড়ক ব্যবহার না করিয়া কৃত্রিম মোড়ক দ্বারা কোন পণ্য বা পণ্য সামগ্রী মোড়কজাতকরণ, বিক্রয়, বিতরণ বা সরবরাহ করিলে বা করিবার অনুমতি প্রদান করিলে তিনি অনূর্ধ্ব এক বৎসর কারাদণ্ড বা অনধিক পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দন্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।
১৫।এই আইনে উল্লিখিত কোন অপরাধের জন্য দণ্ডিত ব্যক্তি যদি পুনরায় একই অপরাধ করেন তাহা হইলে তিনি উক্ত অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ যে দণ্ড রহিয়াছে উহার দ্বিগুণ দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।
১৬। এই আইনের অধীন আদালত যথাযথ মনে করিলে, ধারা ১৪ ও ১৫ তে বর্ণিত দণ্ডের অতিরিক্ত, অপরাধের সহিত সংশ্লিষ্ট পণ্য বা পণ্য প্রস্তুতের উপাদান, সামগ্রী, ইত্যাদি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের আদেশ প্রদান করিতে পারিবেন।
১৭। কোন কোম্পানী কর্তৃক এই আইনের অধীন কোন অপরাধ সংঘটিত হইলে উক্ত অপরাধের সহিত প্রত্যক্ষ সংশ্লিষ্টতা রহিয়াছে কোম্পানীর এইরূপ প্রত্যেক মালিক, প্রধান নির্বাহী, পরিচালক, ম্যানেজার, সচিব বা অন্য কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারী বা প্রতিনিধি উক্ত অপরাধ সংঘটন করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে, যদি না তিনি প্রমাণ করিতে পারেন যে, উক্ত অপরাধ তাহার অজ্ঞাতসারে হইয়াছে অথবা উক্ত অপরাধ বোধ করিবার জন্য তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করিয়াছেন।ব্যাখ্যা।.এই ধারায়.(ক) ‘কোম্পানী’ বলিতে কোন কোম্পানী, সংবিধিবদ্ধ সংস্থা, অংশীদারী কারবার, সমিতি বা একাধিক ব্যক্তি সমন্বয়ে গঠিত সংগঠনকে বুঝাইবে;(খ) ‘পরিচালক’ বলিতে কোন অংশীদার বা পরিচালনা বোর্ড, যে নামেই অভিহিত হউক, এর সদস্যকেও বুঝাইবে।
১৮। ফৌজদারী কার্যবিধি বা অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের অধীন অপরাধসমূহ প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট বা ক্ষেত্রমত, মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেট 7[বা এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট] কর্তৃক বিচার্য হইবে।
অর্থদণ্ড আরোপের ক্ষেত্রে ম্যাজিস্ট্রেটের বিশেষ ক্ষমতা
১৯। ফৌজদারী কার্যবিধিতে ভিন্নতর যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোন ব্যক্তির উপর ধারা ১৪ এবং ১৫ এর অধীন অর্থদণ্ড আরোপের ক্ষেত্রে একজন প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট বা, ক্ষেত্রমত, মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেট 8[অথবা এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ (২০০৯ সনের ৫৯ নং আইন) অনুযায়ী] উক্ত ধারায় উল্লিখিত অর্থদণ্ড আরোপ করিতে পারিবে।
২১ । ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক প্রদত্ত রায় বা আদেশ দ্বারা কোন পক্ষ সংক্ষুব্ধ হইলে তিনি উক্ত রায় বা আদেশ প্রদত্ত হইবার ষাট দিনের মধ্যে 9[ফৌজদারী কার্যবিধির আওতায়] আপীল দায়ের করিতে পারিবেন।
২৩। এ আইনের কোন বিধানের অস্পষ্টতার কারণে উহা কার্যকর করিবার ক্ষেত্রে কোন অসুবিধা দেখা দিলে, সরকার অন্যান্য বিধানের সহিত সামঞ্জস্য রাখিয়া উক্ত অসুবিধা দূরীকরণার্থে গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা প্রয়োজনীয় যে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে।
২৪। (১) এই আইন প্রবর্তনের পর সরকার, যথাশীঘ্র সম্ভব, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের মূল বাংলা পাঠের ইংরেজীতে অনূদিত একটি নির্ভরযোগ্য পাঠ প্রকাশ করিবে।(২) বাংলা ও ইংরেজী পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে বাংলা পাঠ প্রাধান্য পাইবে।