যেহেতু বালাইনাশক আমদানি, উৎপাদন, পুনঃউৎপাদন, বিক্রয়, বিতরণ ও ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ এবং এতদ্সংক্রান্ত আনুষঙ্গিক বিষয়ে বিধান প্রণয়নকল্পে Pesticides Ordinance, 1971 (Ordinance No. II of 1971) রহিতক্রমে পরিমার্জনপূর্বক সময়োপযোগী করিয়া উহা পুনঃপ্রণয়ন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল :-
২। বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থি কোনো কিছু না থাকিলে, এই আইনে-(১) ‘‘আগাছা’’ অর্থ কাঙ্ক্ষিত স্থানে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে জন্মানো উদ্ভিদ;(২) ‘‘উপাদান’’ অর্থ বালাইনাশক তৈরিতে ব্যবহৃত কোনো বস্তু বা উপাদান বা পদার্থ;(৩) ‘‘কারিগরি উপদেষ্টা কমিটি’’ অর্থ ধারা ১৯ এর অধীন গঠিত বালাইনাশক কারিগরি উপদেষ্টা কমিটি;(৪) ‘‘কীটপতঙ্গ’’ অর্থ সাধারণত পোকামাকড় হিসাবে পরিচিত যে কোনো ছোট অমেরুদণ্ডী প্রাণী এবং বিধি দ্বারা নির্ধারিত প্রাণী জীবনের অন্তর্ভুক্ত কোনো শ্রেণিও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;(৫) ‘‘গ্যারান্টি’’ অর্থ আমদানিকারক, প্রস্তুতকারক, পুনঃউৎপাদনকারী, বিক্রেতা বা বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে গুদামজাতকারী ব্যক্তি কর্তৃক বালাইনাশকের নিবন্ধনের আবেদন করিবার সময় প্রদত্ত প্রয়োজনীয় নিশ্চয়তা, যাহা ব্রান্ডকৃত বালাইনাশকের গুণাবলী, কার্যকারিতা এবং অন্যান্য দিক নির্দেশ করে;(৬) ‘‘নিবন্ধন’’ অর্থ ধারা ৫ এর অধীন প্রদত্ত নিবন্ধন;(৭) ‘‘নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ’’ অর্থ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সংরক্ষণ উইং এর পরিচালক বা তদ্কর্তৃক লিখিত আদেশ দ্বারা ক্ষমতাপ্রদত্ত উক্ত উইং এর অন্য কোনো কর্মচারী;(৮) ‘‘নিবন্ধিত’’ অর্থ এই আইনের অধীন নিবন্ধনকৃত;(৯) ‘‘পরিদর্শক’’অর্থ ধারা ২৪ এর অধীন নিযুক্ত পরিদর্শক;(১০) ‘‘প্যাকেজ’’ অর্থে ব্যবহৃত সকল কন্টেইনার অন্তর্ভুক্ত হইবে;(১১) ‘‘পুনঃউৎপাদন’’ অর্থ এইরূপ প্রক্রিয়া যাহার মাধ্যমে ব্যবহারের উপযোগী করিবার উদ্দেশ্যে অন্যন্য পদার্থের সাথে বালাইনাশকের উপাদান কার্যকরভাবে মিশ্রণের মাধ্যমে উক্ত বালাইনাশকের রূপান্তর বা পরিবর্তন করা হয়;(১২) ‘‘বালাইনাশক (পেস্টিসাইডস)’’ অর্থ এমন কোনো দ্রব্য বা দ্রব্যের মিশ্রণ যাহা কোনো পোকা, ছত্রাক, ব্যাকটেরিয়া, কৃমি (নেমাটোড), ভাইরাস, আগাছা, ইঁদুরজাতীয় প্রাণী বা অন্যান্য উদ্ভিদ বা কীটপতঙ্গের বিরুদ্ধে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে প্রতিরোধ, ধ্বংস, প্রশমন, বিতাড়ন বা নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যবহৃত হয়; তবে Drugs Act, 1940 অনুযায়ী যে পদার্থ (substance) একটি ‘ড্রাগ’ তাহা ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে না;(১৩) ‘‘ব্রান্ড’’অর্থ আমদানিকারক, প্রস্তুতকারক, পুনঃউৎপাদনকারী বা বিক্রেতা কর্তৃক আমদানিকৃত, উৎপাদিত ও বিক্রীত পণ্যের জন্য ব্যবহৃত বাণিজ্যিক নাম;(১৪) ‘‘বিজ্ঞাপন’’ অর্থ কোনো বিজ্ঞাপন, পরিপত্র বা অন্য কোনো বিজ্ঞপ্তির প্রচারণা দ্বারা পরিচিতকরণ;(১৫) ‘‘বিধি’’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি;(১৬) ‘‘বিশ্লেষক’’ অর্থ ধারা ২১ এর উপ-ধারা (১) এর অধীন নিয়োগকৃত বিশ্লেষক;(১৭) ‘‘ব্যক্তি’’ অর্থ বালাইনাশক আমদানিকারক, উৎপাদনকারী, পুনঃউৎপাদনকারী, মোড়কজাতকারী, পুনঃমোড়কজাতকারী, গুদামজাতকারী, পাইকারী এবং খুচরা বিক্রেতা, তবে কৃষক অথবা ভোক্তা ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে না;(১৮) ‘‘ভেজাল বালাইনাশক’’ অর্থ এইরূপ বালাইনাশক-(ক) যাহা উহার লেবেলে উল্লিখিত স্বীকৃত মানের চেয়ে নিম্নমান সম্পন্ন; অথবা(খ) যাহার গুরুত্বপূর্ণ কোনো উপাদান আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে নিষ্কাশন বা অপসারণ করা হইয়াছে;(১৯) ‘‘লাইসেন্স’’ অর্থ ধারা ১০ এর অধীন প্রদত্ত লাইসেন্স;(২০) ‘‘লাইসেন্সি’’ অর্থ বালাইনাশক আমদানি, উৎপাদন, মোড়কজাতকরণ, পুনঃমোড়ক-জাতকরণ, মজুত, বিক্রয় ও বিজ্ঞাপন প্রদানের উদ্দেশ্যে এই আইনের অধীন লাইসেন্সপ্রাপ্ত ব্যক্তি;(২১) ‘‘লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষ’’ অর্থ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সংরক্ষণ উইং এর পরিচালক বা তদ্কর্তৃক লিখিত আদেশ দ্বারা ক্ষমতাপ্রদত্ত উক্ত উইং এর অন্য কোনো কর্মচারী; এবং(২২) ‘‘লেবেল’’ অর্থ বালাইনাশক বা উহার কন্টেইনারে বা কন্টেইনারের বাহিরে ও খুচরা বিক্রয়ের প্যাকেজের মোড়কে সংশ্লিষ্ট বালাইনাশকের পরিচয় সম্পর্কিত লিখিত, মুদ্রিত, চিত্রিত বা সংযুক্ত বিবরণ সংবলিত ছাপ।
৩। এই আইনের বিধানাবলী Poisons Act, 1919 (Act No.XII of 1919) এবং এতদ্সম্পর্কিত আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনের বিধানের ব্যত্যয় না ঘটাইয়া উহার অতিরিক্ত হইবে।
৪। কোনো ব্যক্তি এই আইনের অধীন বালাইনাশকের কোনো ব্রান্ডের নিবন্ধন ব্যতীত কোনো বালাইনাশক আমদানি, উৎপাদন, পুনঃউৎপাদন, মোড়কজাতকরণ ও পুনঃমোড়কজাতকরণ, বিক্রয় অথবা বিক্রয়ের জন্য প্রস্তাব ও মজুত অথবা কোনো প্রকার বিজ্ঞাপন প্রচার করিতে পারিবেন না।
৫। (১) বালাইনাশক আমদানি, উৎপাদন, পুনঃউৎপাদন, মোড়কজাত ও পুনঃমোড়কজাতকরণ, বিক্রয় অথবা বিক্রয়ের জন্য প্রস্তাব ও মজুত অথবা বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য ইচ্ছুক কোনো ব্যক্তি বালাইনাশকের কোনো ব্রান্ড নিবন্ধন করিবার উদ্দেশ্যে বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করিতে পারিবেন।(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন আবেদন প্রাপ্তির পর নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ নিম্নবর্ণিত বিষয়ে সন্তুষ্ট হইলে বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে আবেদনে উল্লিখিত নামে বালাইনাশকের ব্রান্ড নিবন্ধকপূর্বক নিবন্ধন সনদ প্রদান করিবে, যথা :-(ক) আবেদনকৃত ব্রান্ড বালাইনাশকের গ্যারান্টি বা উপাদান বা উহা তৈরির প্রক্রিয়া সম্পর্কে ক্রেতাকে ভুল তথ্য দিতে পারে বা ক্রেতা প্রতারিত হইতে পারে এইরূপ কোনো ব্রান্ড নহে;(খ) আবেদনকৃত ব্রান্ড বালাইনাশকের গ্যারান্টি বা উপাদান অন্য কোনো নিবন্ধিত বালাইনাশকের অনুরূপ বা নিকটবর্তী নহে যাহার দ্বারা ক্রেতা বা ব্যহারকারীর প্রতারিত হইবার সম্ভাবনা থাকিতে পারে;(গ) আবেদনকৃত ব্রান্ডের বালাইনাশকটি যে উদ্দেশ্যে বিক্রয় বা ব্যবহার করা হইবে, উক্ত উদ্দেশ্য পূরণে ব্যর্থ বা অকার্যকর হিসাবে বিবেচিত না হয়;(ঘ) আবেদনকৃত ব্রান্ডের বালাইনাশকটি উহার লেবেলে নির্দেশিত উপায়ে ব্যবহার করিলে উহা আগাছা ব্যতীত উদ্ভিদ, মানুষ বা প্রাণিকুলের জন্য ক্ষতিকর বা ঝুঁকিপূর্ণ নহে।
৭। (১) বালাইনাশক ব্রান্ডের নিবন্ধনের মেয়াদ উত্তীর্ণের ৩০ (ত্রিশ) দিন পূর্বে উক্ত ব্রান্ডের গ্যারান্টি বা উপাদানের মধ্যে কোনো পরিবর্তন না হইলে, ধারা ৫ এর উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত ব্যক্তি বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের নিকট উহা নবায়নের জন্য আবেদন করিতে পারিবেন।(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন আবেদনের প্রেক্ষিতে নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে নিবন্ধন নবায়ন করিতে পারিবে।(৩) বালাইনাশক ব্রান্ডের নিবন্ধন নবায়নের মেয়াদ হইবে উহার নবায়নের তারিখ হইতে ৩ (তিন) বৎসর।
৮। (১) বালাইনাশকের ব্রান্ড নিবন্ধিত হইবার পর নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ নিম্নবর্ণিত যে কোনো কারণে উহার নিবন্ধন বাতিল করিতে পারিবে, যথা :-(ক) এই আইন ও বিধির কোনো বিধান লঙ্ঘনপূর্বক নিবন্ধন গ্রহণ করা হইলে;(খ) নিবন্ধনের সময় মিথ্যা তথ্য প্রদান করা হইলে;(গ) বালাইনাশকটি বালাই নিবারণে অকার্যকর হইলে; এবং(ঘ) বালাইনাশকটি আগাছা ব্যতীত অন্যান্য উদ্ভিদ, মানুষ বা প্রাণীর স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হইলে।(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন বালাইনাশকের ব্রান্ডের নিবন্ধন বাতিলের পূর্বে যে ব্যক্তির আবেদনের প্রেক্ষিতে উক্ত ব্রান্ডটি নিবন্ধিত হইয়াছিল তাহাকে শুনানির সুযোগ প্রদান করিতে হইবে।(৩) নিবন্ধন বাতিলের দ্বারা সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি উক্তরূপ বাতিল আদেশের ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের নিকট আপিল করিতে পারিবেন এবং উক্ত বিষয়ে মহাপরিচালকের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হইবে।
৯। ধারা ৫ এর অধীন বালাইনাশক ব্রান্ডের নিবন্ধনপ্রাপ্ত ব্যক্তি লাইসেন্স গ্রহণ ব্যতীত নিবন্ধিত ব্রান্ডের বালাইনাশক আমদানি, উৎপাদন, তৈরি, মোড়কজাত, পুনঃমোড়কজাত, বিক্রয়, বাণিজ্যিক ভিত্তিতে কীটপতঙ্গ নিয়ন্ত্রণ করিবার পদ্ধতি পরিচালনা এবং বিজ্ঞাপন প্রচার করিতে পারিবেন না।
১০। (১) ধারা ৫ এর অধীন বালাইনাশক ব্রান্ডের নিবন্ধনপ্রাপ্ত ব্যক্তি নিবন্ধিত ব্রান্ডের বালাইনাশক আমদানি, উৎপাদন, তৈরি, মোড়কজাত, পুনঃমোড়কজাত, বিক্রয়, বাণিজ্যিক ভিত্তিতে কীটপতঙ্গ নিয়ন্ত্রণ এবং বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য লাইসেন্স গ্রহণের উদ্দেশ্যে বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতি, ফি ও তথ্যসহ লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করিতে পারিবেন।(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন আবেদন প্রাপ্তির পর লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষ বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতি ও শর্ত সাপেক্ষে লাইসেন্স প্রদান করিবে।
১৩। (১) লাইসেন্সি মৃত্যুজনিত কারণে বা অন্য কোনো কারণে ব্যবসা পরিচালনায় অক্ষম হইলে, তাহার আইনানুগ উত্তরাধিকারী বা অন্য কোনো ব্যক্তির নিকট লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে লাইসেন্স হস্তান্তর করা যাইবে।(২) লাইসেন্স হস্তান্তর পদ্ধতি বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।
১৪। (১) কোনো লাইসেন্সি লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গ করিলে লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষ তাহার লাইসেন্স স্থগিত বা বাতিল করিতে পারিবে:তবে শর্ত থাকে যে, লাইসেন্সিকে শুনানির সুযোগ প্রদান না করিয়া কোনো লাইসেন্স স্থগিত বা বাতিল করা যাইবে না।(২) কোনো লাইসেন্সি উপ-ধারা (১) এর অধীন লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত লাইসেন্স বাতিলের আদেশে সংক্ষুব্ধ হইলে উক্তরূপ আদেশের ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের নিকট আপিল করিতে পারিবেন এবং উক্ত বিষয়ে মহাপরিচালকের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হইবে।
১৫। (১) বালাইনাশক আমদানির ক্ষেত্রে আমদানি নীতি আদেশের বিধানাবলী প্রযোজ্য হইবে।(২) কোনো বালাইনাশক আমদানির পর লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষের নিকট যদি প্রতীয়মান হয় যে, উহা ভেজাল বালাইনাশক অথবা উহাতে ভুল বা বিভ্রান্তিকরভাবে ট্যাগ, লেবেল বা নাম ব্যবহার করা হইয়াছে বা এই আইনের বিধান লঙ্ঘন করিয়া বালাইনাশক বিক্রি করা হইতেছে তাহা হইলে লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষের সুপারিশের ভিত্তিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় উক্ত বালাইনাশকের পরবর্তী আমদানি নিয়ন্ত্রণ ও নিষিদ্ধ করিতে পারিবে।
১৬। লেবেল ব্যবহারে বাধ্যবাধকতা।- (১) কোনো ব্যক্তি বালাইনাশকের প্রতিটি কন্টেইনারের গায়ে টেকসই ট্যাগ বা লেবেল সংযুক্তকরণ ব্যতীত বালাইনাশক বিক্রয় বা বিক্রয়ের জন্য প্রস্তাব, উন্মুক্তকরণ, বিজ্ঞাপন প্রদান বা বিক্রয়ের জন্য মজুত করিতে পারিবেন না।(২) প্রতিটি ট্যাগ বা লেবেলে বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে বালাইনাশকের ব্রান্ড ও অন্যান্য তথ্যাদি সুস্পষ্ট বাংলা অক্ষরে মুদ্রিত থাকিতে হইবে।
বালাইনাশকের সর্বোচ্চ বিক্রয় মূল্য নির্ধারণ করিবার ক্ষমতা, ইত্যাদি
১৭। (১) সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা নিম্নবর্ণিত বিষয়সমূহ নির্ধারণ করিতে পারিবে, যথা :-(ক) বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত কোনো বালাইনাশকের সর্বোচ্চ বিক্রয় মূল্য;(খ) বালাইনাশক বিতরণ বা বিক্রয়ের জন্য পাইকারি বা খুচরা বিক্রেতাকে প্রদত্ত কমিশনের সর্বোচ্চ হার।(২) উপ-ধারা (১) এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার তদবিবেচনায় প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহের উদ্দেশ্যে কোনো লাইসেন্সিকে নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে।
১৯। (১) এই আইনের বিধান বাস্তবায়নকালে উদ্ভূত কোনো কারিগরি বিষয়ে সরকারকে পরামর্শ প্রদান এবং এই আইন ও বিধির অধীন অর্পিত অন্যান্য দায়িত্ব পালনের উদ্দেশ্যে সরকার কর্তৃক গঠিত বালাইনাশক কারিগরি উপদেষ্টা কমিটি নামে একটি কমিটি থাকিবে।(২) বালাইনাশক কারিগরি উপদেষ্টা কমিটি নিম্নবর্ণিত সদস্য সমন্বয়ে গঠিত হইবে, যথা :-(১) নির্বাহী চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল, যিনি উহার চেয়ারম্যানও হইবেন;(২) মহাপরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, যিনি উহার ভাইস চেয়ারম্যানও হইবেন;(৩) যুগ্ম সচিব (সম্প্রসারণ), কৃষি মন্ত্রণালয়;(৪) যুগ্ম সচিব (উপকরণ), কৃষি মন্ত্রণালয়;(৫) বিভাগীয় প্রধান, কীটতত্ত্ব বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়;(৬) বিভাগীয় প্রধান, কীটতত্ত্ব বিভাগ, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়;(৭) বিভাগীয় প্রধান, প্রাণিবিদ্যা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়;(৮) বিভাগীয় প্রধান, কীটতত্ত্ব বিভাগ, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়;(৯) মহাপরিচালক, পরিবেশ অধিদপ্তর;(১০) মহাপরিচালক, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট;(১১) মহাপরিচালক, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট;(১২) মহাপরিচালক, বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট;(১৩) মহাপরিচালক, বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট;(১৪) মহাপরিচালক, বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট;(১৫) মহাপরিচালক, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর;(১৬) পরিচালক, বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউট;(১৭) পরিচালক, রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর);(১৮) পরিচালক, মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট;(১৯) উপসচিব (পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ), পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়;(২০) উপসচিব (আমদানি), বাণিজ্য মন্ত্রণালয়;(২১) প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন;(২২) প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন;(২৩) অতিরিক্ত পরিচালক (বালাইনাশক প্রশাসন ও মান নিয়ন্ত্রণ), উদ্ভিদ সংরক্ষণ উইং, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর;(২৪) সদস্য পরিচালক (শস্য), বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল;(২৫) সভাপতি, বাংলাদেশ ক্রপ প্রটেকশন এসোসিয়েশন;(২৬) পরিচালক, উদ্ভিদ সংরক্ষণ উইং, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, যিনি উহার সদস্য-সচিবও হইবেন।(৩) বালাইনাশক কারিগরি উপদেষ্টা কমিটি প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে কারিগরি উপ-কমিটি গঠন করিতে পারিবে।(৪) বালাইনাশক কারিগরি উপদেষ্টা কমিটি ও বালাইনাশক কারিগরি উপ-কমিটির কার্যপদ্ধতি বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।
২০। (১) Pesticide Ordinance, 1971 এর section 13(1) এর অধীন প্রতিষ্ঠিত বালাইনাশক গবেষণাগার এমনভাবে বহাল থাকিবে যেন উহা এই আইনের অধীন প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে।(২) বালাইনাশক গবেষণাগারের কার্যাবলী এবং পরীক্ষা বা বিশ্লেষণের জন্য নমুনা প্রদান পদ্ধতি বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।(৩) বালাইনাশক গবেষণাগারে পরীক্ষা ও বিশ্লেষণের জন্য জমাকৃত বালাইনাশকের নমুনার ব্রান্ডের ফর্মুলা বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে গোপনীয়তার সঙ্গে সংরক্ষণ করা হইবে।
২১। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার বালাইনাশকের নমুনা পরীক্ষা বা বিশ্লেষণের উদ্দেশ্যে উদ্ভিদ সংরক্ষণের দায়িত্বে নিয়োজিত সরকারি কর্মচারীগণের মধ্য হইতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিশ্লেষক নিয়োগ করিতে পারিবে।(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন একাধিক বিশ্লেষক নিয়োগ করা হইলে তাহাদের কাজের অধিক্ষেত্র সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা নির্ধারণ করিতে হইবে।(৩) বিশ্লেষকের দায়িত্ব ও কর্তব্য বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।
২২। (১) বিশ্লেষক ধারা ২৬ এর উপ-ধারা (২) এর অধীন প্রাপ্ত নমুনা পরীক্ষা ও বিশ্লেষণপূর্বক উহার ফলাফল সংবলিত প্রতিবেদন প্রস্তুতক্রমে উহাতে স্বাক্ষরপূর্বক ৩ (তিন)টি কপি পরিদর্শকের নিকট প্রেরণ করিবেন।(২) পরিদর্শক উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রদত্ত প্রতিবেদনের ১ (এক)টি কপি যাহার নিকট হইতে বালাইনাশকের নমুনা সংগ্রহ করা হইয়াছে তাহার নিকট এবং ১ (এক)টি কপি সরকারের নিকট প্রেরণ করিবেন।(৩) উপ-ধারা (৪) এর অধীন কোনো আপত্তি উত্থাপিত না হইলে বিশ্লেষক কর্তৃক স্বাক্ষরিত প্রতিবেদন চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে।(৪) উপ-ধারা (২) এর অধীন বিশ্লেষণ প্রতিবেদন প্রাপ্তির তারিখ হইতে ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে, যে ব্যক্তির নিকট হইতে বালাইনাশকের নমুনা সংগ্রহ করা হইয়াছে সেই ব্যক্তি কর্তৃক সরকারের নিকট উহার উপর আপত্তি উত্থাপন করা যাইবে।(৫) উপ-ধারা (৪) এর অধীনে কোনো আপত্তি উত্থাপিত হইলে সরকার প্রয়োজন মনে করিলে একই নমুনার দ্বিতীয় অংশ, যাহা গবেষণাগারে প্রেরণ করা হইয়াছিল তাহা, পুনরায় পরীক্ষা ও বিশ্লেষণের জন্য নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে।(৬) উপ-ধারা (৫) এর নির্দেশনা অনুযায়ী গবেষণাগারে প্রেরিত বালাইনাশকের নমুনার পরীক্ষা ও বিশ্লেষণকৃত ফলাফলের প্রতিবেদন গবেষণাগারে সংরক্ষণপূর্বক সরকারের নিকট প্রেরণ করিতে হইবে।(৭) উপ-ধারা (৬) এর অধীনে প্রস্তুতকৃত প্রতিবেদন চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে।
২৩। গবেষণাগার অথবা বিশ্লেষক কর্তৃক পরীক্ষা ও বিশ্লেষণের ফলাফল এবং এতদ্সংশ্লিষ্ট অন্যান্য তথ্য, যদি থাকে, প্রয়োজনীয় বলিয়া প্রতীয়মান হইলে সরকার তদ্কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতিতে উক্ত ফলাফল প্রকাশ করিবে।
২৪। সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, উদ্ভিদ সংরক্ষণের দায়িত্বে নিয়োজিত সরকারি কর্মচারীগণের মধ্য হইতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মচারীকে, প্রজ্ঞাপনে উল্লিখিত স্থানীয় অধিক্ষেত্রের জন্য, পরিদর্শক হিসাবে নিয়োগ প্রদান করিতে পারিবে।
২৫। (১) পরিদর্শক তাহার স্থানীয় অধিক্ষেত্রের মধ্যে মালিক বা তাহার পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি কর্তৃক পাত্রে বা স্তুপাকারে বালাইনাশক সংরক্ষণ বা গুদামজাত করা হইয়াছে এইরূপ যে কোনো স্থানে, যাহার মধ্যে রেলওয়ে, জাহাজ কোম্পানি ও বালাইনাশক গচ্ছিত রাখা হইয়াছে এইরূপ ব্যক্তির আঙ্গিনাও অন্তর্ভুক্ত হইবে, প্রবেশ করিতে এবং পরীক্ষার জন্য উহার নমুনা সংগ্রহ করিতে পারিবে।(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন বালাইনাশকের নমুনা সংগ্রহের জন্য পরিদর্শকের চাহিদা অনুযায়ী যাহার নিকট বালাইনাশক গচ্ছিত রহিয়াছে এইরূপ ব্যক্তি নমুনা সরবরাহ করিতে বাধ্য থাকিবে এবং নমুনা হিসাবে যুক্তিসংগত পরিমাণ বালাইনাশক সংগ্রহের জন্য কোনো ক্ষতিপূরণ প্রদান করিতে হইবে না।(৩) পরিদর্শকের কার্যপদ্ধতি বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।
২৬। (১) পরিদর্শক ধারা ২৫ এর অধীন কোনো বালাইনাশক ব্রান্ডের নমুনা পরীক্ষা বা বিশ্লেষণের উদ্দেশ্যে সংগ্রহ করিবার ক্ষেত্রে -(ক) যে ব্যক্তির নিকট হইতে বালাইনাশক ব্রান্ডের নমুনা সংগ্রহ করা হইয়াছে সেই ব্যক্তিকে বিধি দ্বারা নির্ধারিত ফরমে লিখিতভাবে নমুনা সংগ্রহের উদ্দেশ্য জানাইবেন; এবং(খ) উক্ত ব্যক্তির উপস্থিতিতে (যদি না তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে অনুপস্থিত থাকেন) সংগৃহীত নমুনাকে দুইটি অংশে বিভক্ত করিবেন এবং যথাযথভাবে উহাতে সীলমোহর ও চিহ্নিত করিবেন এবং নমুনার সকল অংশে অথবা নির্দিষ্ট অংশে উক্ত ব্যক্তিকে তাহার নিজস্ব সীলমোহর এবং চিহ্নিত করিবার অনুমতি প্রদান করিবেন।(২) পরিদর্শক সংগৃহীত বালাইনাশকের নমুনার একটি অংশ বিশ্লেষকের নিকট এবং একটি অংশ গবেষণাগারে পরীক্ষা বা বিশ্লেষণের জন্য প্রেরণ করিবেন।
২৭। যদি পরিদর্শকের নিকট এই মর্মে বিশ্বাস করিবার মত যথেষ্ট কারণ থাকে যে, কোনো সময়ে কোনো স্থানে এই আইনের অধীন শাস্তিযোগ্য অপরাধ সংঘটিত হইতেছে বা হইবার সম্ভাবনা রহিয়াছে বা এই আইনের অধীন প্রণীত কোনো বিধির বিধান লঙ্ঘিত হইতেছে বা হইবার সম্ভাবনা রহিয়াছে তাহা হইলে তিনি সেখানে প্রবেশ করিয়া তল্লাশী করিতে পারিবেন এবং যে কোনো বালাইনাশক বা উহার সাথে সম্পর্কিত কোনো দ্রব্যাদি অথবা সংশ্লিষ্ট অপরাধ সম্পর্কিত যে কোনো বস্তু জব্দ করিতে পারিবেন।
২৮। (১) বালাইনাশক ক্রয়কারী ব্যক্তি তদ্কর্তৃক ক্রয়কৃত বালাইনাশক পরীক্ষা বা বিশ্লেষণের জন্য বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতি ও ফরমে এবং ফিসহ বিশ্লেষকের নিকট আবেদন করিতে পারিবেন।(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন আবেদন প্রাপ্তির পর বিশ্লেষক সংশ্লিষ্ট বালাইনাশকের নমুনা পরীক্ষা বা বিশ্লেষণপূর্বক একটি স্বাক্ষরিত প্রতিবেদন আবেদনকারীর নিকট প্রেরণ করিবেন।
প্যাকেজে চিহ্নিত গুণাগুণবিহীন বালাইনাশক বিক্রয়, ইত্যাদির দণ্ড
২৯। (১) কোনো ব্যক্তি যদি-(ক) নিবন্ধিত ব্রান্ডের এইরূপ কোনো বালাইনাশক বিক্রয়, বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে প্রস্তাব, উন্মুক্ত ও মজুত করেন অথবা বিজ্ঞাপন প্রদান করেন, যাহা ট্যাগ, লেবেল বা প্যাকেজে চিহ্নিত ব্রান্ডের প্রকৃতি, উপাদান বা গুণাগুণযুক্ত নহে; অথবা(খ) বিজ্ঞাপনে বালাইনাশককে মিথ্যাভাবে উপস্থাপন করেন;তাহা হইলে তাহার উক্ত কাজ হইবে একটি অপরাধ।(২) কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এ বর্ণিত কোনো অপরাধ সংঘটন করিলে অনূর্ধ্ব ১ (এক) লক্ষ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে অনূর্ধ্ব ১ (এক) বৎসর কারাদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।(৩) কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এ বর্ণিত কোনো অপরাধ পুনঃসংঘটন করিলে পরবর্তী প্রতিবার অপরাধ সংঘটনের জন্য ২ (দুই) লক্ষ টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে অনূর্ধ্ব ২ (দুই) বৎসর কারাদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
উৎপাদনকারী কর্তৃক ডিলারকে মিথ্যা নিশ্চয়তা (wঅর্রন্ট্য্) প্রদানের দণ্ড
৩০। (১) কোনো উৎপাদনকারী যদি তদ্কর্তৃক উৎপাদনকৃত বালাইনাশক এই আইনের বিধানাবলি প্রতিপালন করিয়া উৎপাদন করা হইয়াছে মর্মে ডিলার বা ক্রেতাকে মিথ্যা নিশ্চয়তা প্রদান করেন, তাহা হইলে তাহার উক্ত কাজ হইবে একটি অপরাধ (যদি না তিনি প্রমাণ করিতে পারেন যে, উক্তরূপ নিশ্চয়তা প্রদানের সময় উহার সত্যতা সম্পর্কে বিশ্বাস করিবার পর্যাপ্ত কারণ ছিল)।(২) কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এ বর্ণিত কোনো অপরাধ সংঘটন করিলে তজ্জন্য তিনি অনূর্ধ্ব ১(এক) লক্ষ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে অনূর্ধ্ব ১(এক) বৎসর কারাদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
নিবন্ধন নম্বরের অননুমোদিত ব্যবহার, বালাইনাশকের মান কমানো, পরিদর্শককে কর্তব্য পালনে বাধা প্রদান এবং নিবন্ধনের সময় মিথ্যা তথ্য প্রদানের দণ্ড
৩১। (১) কোন ব্যক্তি যদি-(ক) এই আইনের অধীন প্রদত্ত কোনো নিবন্ধন নম্বর অননুমোদিতভাবে অন্য কোনো বালাইনাশকের ব্রান্ডে ব্যবহার করেন; অথবা(খ) উৎপাদনকারী, আমদানিকারক বা বিক্রেতা কর্তৃক বালাইনাশক বাজারজাত করিবার পূর্বে ইচ্ছাকৃতভাবে অন্য কোনো পদার্থ মিশাইয়া উক্ত বালাইনাশকের উপাদানের পরিবর্তন করেন; অথবা(গ) পরিদর্শককে তাহার কাজে অসহযোগিতা, ইচ্ছাকৃতভাবে বাধা প্রদান, প্রতিরোধ অথবা অন্য কোনোভাবে বিরোধিতা করেন; অথবা(ঘ) নিবন্ধনের সময় মিথ্যা তথ্য প্রদান করেন;তাহা হইলে তাহার উক্ত কাজ হইবে একটি অপরাধ।(২) কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এ বর্ণিত কোনো অপরাধ সংঘটন করিলে তজ্জন্য তিনি অন্যূন ৭৫(পঁচাত্তর) হাজার টাকা এবং অনধিক ১(এক) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে অথবা অন্যূন ১(এক) বৎসর এবং অনধিক ২(দুই) বৎসর কারাদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।ব্যাখ্যা: এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে নিবন্ধন নম্বর অর্থ কোনো নিবন্ধনকৃত বালাইনাশকের অনুকূলে নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত সুনির্দিষ্ট একটি সংখ্যা।
৩২। যদি কোনো ব্যক্তি বালাইনাশক, তদসংশ্লিষ্ট বস্তু, পদার্থ বা দ্রব্যাদির কারণে এই আইনের অধীনে দণ্ডিত হয় তাহা হইলে সংশ্লিষ্ট আদালত সরকারের বরাবরে উক্ত ব্যক্তির নিকট হইতে জব্দকৃত বালাইনাশক, তদ্সংশ্লিষ্ট বস্তু, পদার্থ বা দ্রব্যাদি বাজেয়াপ্তকরণের নির্দেশ দিতে পারিবে।
৩৩। (১) ফৌজদারি কার্যবিধিতে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, পরিদর্শক বা উদ্ভিদ সংরক্ষণের দায়িত্বে নিয়োজিত সরকারি কর্মচারীর লিখিত অভিযোগ ব্যতীত কোনো আদালত এই আইনের অধীন কোনো অপরাধ বা মামলা বিচারার্থ গ্রহণ করিবে না।(২) এই আইনের অধীন অপরাধসমূহ প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট বা, ক্ষেত্রমত, মেট্রোপলিটন ম্যজিস্ট্রেট কর্তৃক বিচার্য হইবে।
৩৬। (১) Pesticides Ordinance, 1971(Ordinance No. II of 1971), অতঃপর রহিত Ordinance বলিয়া উল্লিখিত, এতদ্দ্বারা রহিত করা হইল।(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন রহিতকরণ সত্ত্বেও, রহিত Ordinance এর অধীন-(ক) কৃত কোনো কাজ-কর্ম, গৃহীত কোনো ব্যবস্থা বা সূচিত কোনো কার্যধারা এই আইনের অধীন কৃত, গৃহীত বা সূচিত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে;(খ) প্রণীত কোনো বিধি, জারীকৃত কোনো প্রজ্ঞাপন, প্রদত্ত কোনো আদেশ, নির্দেশ, নিবন্ধন, ইস্যুকৃত কোনো লাইসেন্স এবং গঠিত কোনো কমিটি এই আইনের কোনো বিধানের সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ না হওয়া সাপেক্ষে, এই আইনের অধীন রহিত বা সংশোধিত না হওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকিবে; এবং(গ) গৃহীত কোনো ব্যবস্থা বা সূচিত কোনো কার্যধারা বা দায়েরকৃত কোনো মামলা অনিষ্পন্ন বা চলমান থাকিলে এমনভাবে নিষ্পন্ন করিতে হইবে যেন উহা এই আইনের অধীন গৃহীত, সূচিত বা দায়ের করা হইয়াছে।