যেহেতু দেশের উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য দক্ষ জনশক্তি গড়িয়া তুলিবার লক্ষ্যে যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;সেহেতু এতদ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল :-
২। বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থি কোনো কিছু না থাকিলে, এই আইনে-(ক) ‘‘একাডেমি’’ অর্থ ধারা ৩ এর অধীন প্রতিষ্ঠিত জাতীয় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একাডেমি;(খ) ‘‘কর্মচারী’’ বলিতে কর্মকর্তাও বুঝাইবে;(গ) ‘‘চেয়ারম্যান’’ অর্থ বোর্ডের চেয়ারম্যান;(ঘ) ‘‘প্রবিধান’’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত প্রবিধান;(ঙ) ‘‘বোর্ড’’ অর্থ একাডেমির পরিচালনা বোর্ড;(চ) ‘‘ভাইস চেয়ারম্যান’’ অর্থ বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান;(ছ) ‘‘মহাপরিচালক’’ অর্থ একাডেমির মহাপরিচালক; এবং(জ) ‘‘সদস্য’’ অর্থ বোর্ডের কোনো সদস্য এবং, ক্ষেত্রমত, চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানও উহার অন্তর্ভুক্ত হইবে।
৩। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে Government Educational and Training Institutions Ordinance, 1961 (E.P. Ordinance No. XXVI of 1961)-এর অধীন পরিচালিত জাতীয় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একাডেমির কার্যক্রম এমনভাবে অব্যাহত থাকিবে যেন উহা এই আইনের অধীন প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে।(২) একাডেমি একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হইবে এবং উহার স্থায়ী ধারাবাহিকতা ও একটি সাধারণ সিলমোহর থাকিবে এবং এই আইনের বিধানাবলি সাপেক্ষে উহার স্থাবর ও অস্থাবর উভয় প্রকার সম্পত্তি অর্জন করিবার, অধিকারে রাখিবার ও হস্তান্তর করিবার ক্ষমতা থাকিবে এবং উহা স্বীয় নামে মামলা দায়ের করিতে পারিবে এবং উক্ত নামে উহার বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা যাইবে।
৪। একাডেমির প্রধান কার্যালয় থাকিবে ঢাকায় এবং একাডেমি, প্রয়োজনে, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, দেশের যে কোনো স্থানে উহার শাখা কার্যালয় স্থাপন করিতে পারিবে।
৬। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, এই ধারার বিধানাবলি সাপেক্ষে, চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানসহ অনধিক ১৫ (পনের) সদস্যবিশিষ্ট একাডেমির একটি পরিচালনা বোর্ড থাকিবে।(২) মন্ত্রী বা, ক্ষেত্রমত, প্রতিমন্ত্রী, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়, বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং সচিব, পরিকল্পনা বিভাগ, ভাইস চেয়ারম্যান হইবেন :তবে শর্ত থাকে যে, মন্ত্রী এবং প্রতিমন্ত্রী একইসঙ্গে উক্ত মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত থাকিলে, মন্ত্রী চেয়ারম্যান এবং প্রতিমন্ত্রী ভাইস চেয়ারম্যান হইবেন। সেইক্ষেত্রে ‘সচিব, পরিকল্পনা বিভাগ’ বোর্ডের সদস্য হইবেন।(৩) বোর্ড, সরকার কর্তৃক, সরকারি কর্মচারী ও বেসরকারি প্রতিনিধিগণের সমন্বয়ে গঠিত হইবে।(৪) সরকারি কর্মচারীগণ পদাধিকারবলে এবং বেসরকারি প্রতিনিধিগণ ৩ (তিন) বৎসরের জন্য বোর্ডের সদস্য থাকিবেন :তবে শর্ত থাকে যে, মেয়াদ উত্তীর্ণের পর, কোনো বেসরকারি প্রতিনিধিকে অনধিক ২(দুই) বার পুনরায় নিযুক্তির ক্ষেত্রে কোনো বাধা থাকিবে না।(৫) মহাপরিচালক বোর্ডের সদস্য-সচিব হইবেন।(৬) সরকার, কোনো কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে, যে কোনো সময়, যে কোনো সদস্যকে তাহার পদ হইতে অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবে।
৭। (১) বোর্ডের সদস্য-সচিব, চেয়ারম্যানের পরামর্শ মোতাবেক, সভার সময়, স্থান, আলোচ্যসূচি ও কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করিবেন।(২) বোর্ডের সভার কোরামের জন্য উহার মোট সদস্য-সংখ্যার অন্যূন এক তৃতীয়াংশ সদস্যের উপস্থিতির প্রয়োজন হইবে, তবে মুলতবি সভার ক্ষেত্রে কোনো কোরামের প্রয়োজন হইবে না।(৩) চেয়ারম্যান, বোর্ডের সকল সভায় সভাপতিত্ব করিবেন এবং তাহার অনুপস্থিতিতে ভাইস চেয়ারম্যান এবং ভাইস চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে সচিব, পরিকল্পনা বিভাগ জরুরি সভা আহবান করিবেন।(৪) বোর্ডের সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে প্রত্যেক সদস্যের একটি করিয়া ভোটাধিকার থাকিবে এবং সভায় উপস্থিত সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের ভোটের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গৃহীত হইবে, তবে ভোটের সমতার ক্ষেত্রে সভায় সভাপতিত্বকারীর দ্বিতীয় বা নির্ণায়ক ভোট প্রদানের অধিকার থাকিবে।(৫) বোর্ডের সদস্য-সচিব সভার কার্যবিবরণী সংরক্ষণ ও সদস্যবৃন্দের নিকট প্রেরণ করিবেন এবং পরবর্তী বোর্ড সভায় উপস্থাপন করিবেন।(৬) শুধু কোনো সদস্য পদে শূন্যতা বা বোর্ড গঠনে ত্রুটি থাকিবার কারণে বোর্ডের কোনো কার্য বা কার্যধারা অবৈধ হইবে না এবং তৎসম্পর্কে কোনো প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না।(৭) প্রতি তিন মাসে ন্যূনতম বোর্ডের একটি সভা অনুষ্ঠিত হইবে।
৮। একাডেমির কার্যাবলি হইবে নিম্নরূপ, যথা :-(ক) সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের পরিকল্পনা ও প্রকল্প বাস্তবায়ন, ক্রয়কার্য ব্যবস্থাপনা, কৌশলগত পরিকল্পনা ও নেতৃত্ব, আর্থিক ব্যবস্থাপনা, প্রকল্প মূল্যায়ন ও পরিবীক্ষণ, ই-গভর্ন্যান্স ও ই-কমার্স, মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা, অফিস ব্যবস্থাপনা, ভাষা শিক্ষা ও তথ্য প্রযুক্তি ইত্যাদি বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা;(খ) অনুরোধের ভিত্তিতে বিভিন্ন সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের যে কোনো বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা;(গ) বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থার উন্নয়ন প্রকল্পের প্রাক-বিনিয়োগ সম্ভাব্যতা যাচাইসহ প্রকল্প তৈরি এবং উহা পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়নের পরামর্শ প্রদান করা;(ঘ) বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থার পরিকল্পনা ও নীতি প্রণয়নে এবং উহার বাস্তবায়নে সহায়তা প্রদানের উদ্দেশ্যে গবেষণা পরিচালনা ও মূল্যায়নে সহায়তা করা;(ঙ) পরিকল্পনা প্রণয়ন, প্রকল্প বাস্তবায়ন ও মূল্যায়ন বিষয়ে এবং প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উৎকর্ষতার লক্ষ্যে দেশি ও বিদেশি সংস্থার সহিত যোগাযোগ স্থাপন করা;(চ) ওয়ার্কশপ, সেমিনার ও সিম্পোজিয়াম আয়োজনের মাধ্যমে পরিকল্পনা প্রণয়ন, প্রকল্প ব্যবস্থাপনা, উন্নয়ন অর্থনীতি এবং অন্যান্য জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে অভিজ্ঞতা ও তথ্য বিনিময় করা;(ছ) গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদনা ও প্রকাশ করা; এবং(জ) সরকার কর্তৃক নির্দেশিত অন্যান্য বিষয়ে কার্যক্রম গ্রহণ করা।
৯। (১) একাডেমির একজন মহাপরিচালক থাকিবেন।(২) মহাপরিচালক সরকার কর্তৃক নিযুক্ত হইবেন এবং তাহার চাকরির শর্তাদি সরকার কর্তৃক স্থিরকৃত হইবে।(৩) মহাপরিচালক একাডেমির সার্বক্ষণিক মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা হইবেন এবং তিনি-(ক) বোর্ড কর্তৃক প্রদত্ত ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্য সম্পাদন করিবেন;(খ) বোর্ডের যাবতীয় সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য দায়ী থাকিবেন;(গ) প্রবিধানমালার বিধান ও সরকারের পূর্বানুমোদন সাপেক্ষে, একাডেমির কর্মচারীদের নিয়োগ, পদোন্নতি এবং সাধারণ আচরণ ও শৃঙ্খলা কার্যকর করিবেন;(ঘ) একাডেমির প্রশাসন পরিচালনা করিবেন; এবং(ঙ) বোর্ডের নির্দেশ মোতাবেক একাডেমির অন্যান্য কার্য সম্পাদন করিবেন।(৪) মহাপরিচালকের পদ শূন্য হইলে কিংবা অনুপস্থিতি, অসুস্থতা বা অন্য কোনো কারণে মহাপরিচালক তাহার দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হইলে শূন্যপদে নবনিযুক্ত মহাপরিচালক কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত, কিংবা মহাপরিচালক পুনরায় স্বীয় দায়িত্ব পালনে সমর্থ না হওয়া পর্যন্ত সরকার কর্তৃক মনোনীত কোনো কর্মকর্তা মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করিবেন।
১০। একাডেমি উহার কার্যাবলি সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের উদ্দেশ্যে, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মচারী নিয়োগ করিতে পারিবে এবং তাহাদের নিয়োগ ও চাকরির শর্তাবলি প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে।
১২। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, ‘জাতীয় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একাডেমি তহবিল’ নামে একাডেমির একটি তহবিল থাকিবে।(২) তহবিলে নিম্নবর্ণিত অর্থ জমা হইবে, যথা :-(ক) সরকার কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান;(খ) সরকারের নিকট হইতে প্রাপ্ত সাধারণ ও বিশেষ ঋণ;(গ) সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে কোনো বিদেশি সরকার, আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান বা সংস্থার নিকট হইতে প্রাপ্ত অনুদান ও ঋণ;(ঘ) একাডেমি কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন ফি বাবদ প্রাপ্ত অর্থ;(ঙ) একাডেমির নিজস্ব উৎস হইতে প্রাপ্ত আয়;(চ) সরকার কর্তৃক অনুমোদিত কোনো তপশিলি ব্যাংক বা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে তহবিলের গচ্ছিত বা জমাকৃত অর্থ হইতে প্রাপ্ত সুদ বা আয়; এবং(ছ) সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে অন্য কোনো বৈধ উৎস হইতে প্রাপ্ত অর্থ।(৩) তহবিলের অর্থ, বোর্ডের অনুমোদনক্রমে, কোনো তপশিলি ব্যাংকে একাডেমির নামে জমা রাখিতে হইবে এবং বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে তহবিল পরিচালনা করিতে হইবে।(৪) সরকারের প্রচলিত নিয়ম-নীতি বা বিধি-বিধান অনুসরণক্রমে একাডেমির কার্যাবলি সম্পাদন এবং মহাপরিচালক ও একাডেমির কর্মচারীদের বেতন, ভাতা ও সম্মানীসহ আনুষঙ্গিক সকল ব্যয় তহবিল হইতে নির্বাহ করিতে হইবে।ব্যাখ্যা- এই ধারায় উল্লিখিত ‘‘তপশিলি ব্যাংক’’ অর্থ Bangladesh Bank Order, 1972 (P.O. 127 of 1972) এর Article (2)(j)-তে সংজ্ঞায়িত Scheduled Bank।
১৩। একাডেমি, প্রত্যেক বৎসর, সরকার কর্তৃক নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে, সম্ভাব্য আয়-ব্যয়সহ পরবর্তী অর্থ বৎসরের বার্ষিক বাজেট বিবরণী সরকারের নিকট পেশ করিবে এবং উহাতে উক্ত অর্থ-বৎসরে সরকারের নিকট হইতে একাডেমির কী পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন হইবে উহার উল্লেখ থাকিবে।
১৪। (১) একাডেমি যথাযথভাবে উহার হিসাবরক্ষণ করিবে এবং হিসাবের বার্ষিক বিবরণী প্রস্তুত করিবে।(২) বাংলাদেশের মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, অতঃপর মহা হিসাব-নিরীক্ষক নামে অভিহিত, প্রত্যেক বৎসর একাডেমির হিসাব নিরীক্ষা করিবেন এবং নিরীক্ষা রিপোর্টের একটি করিয়া অনুলিপি সরকার ও একাডেমির নিকট পেশ করিবেন।(৩) উপ-ধারা (২) এর বিধান অনুযায়ী হিসাব নিরীক্ষার উদ্দেশ্যে মহা নিরীক্ষক কিংবা তাহার নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি একাডেমির সকল রেকর্ড, দলিল দস্তাবেজ, নগদ বা ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, জামানত, ভাণ্ডার এবং অন্যবিধ সম্পত্তি পরীক্ষা করিয়া দেখিতে পারিবেন এবং কোনো সদস্য, মহাপরিচালক বা একাডেমির যে কোনো কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করিতে পারিবেন।(৪) উপ-ধারা (২) এর অধীন হিসাব নিরীক্ষা ছাড়াও Bangladesh Chartered Accountants Order, 1973 (P. O. Order NO. 2 of 1973) এর Article 2(1)(b) তে সংজ্ঞায়িত চার্টার্ড অ্যাকাউনটেন্ট দ্বারা ট্রাস্টের হিসাব নিরীক্ষা করা যাইবে এবং এতদুদ্দেশ্যে ট্রাস্ট এক বা একাধিক চার্টার্ড অ্যাকাউনটেন্ট নিয়োগ করিতে পারিবে।
১৫। (১) প্রত্যেক অর্থ-বৎসর শেষ হইবার পরবর্তী ৩(তিন) মাসের মধ্যে একাডেমি তৎকর্তৃক উক্ত অর্থ-বৎসরের সম্পাদিত কার্যাবলির বিবরণ সম্বলিত একটি বার্ষিক প্রতিবেদন সরকারের নিকট পেশ করিবে।(২) সরকার, প্রয়োজনবোধে, একাডেমির নিকট হইতে, যে কোনো সময়, একাডেমির যে কোনো বিষয়ের উপর রিটার্ন, বিবরণী, প্রাক্কলন, পরিসংখ্যান, তথ্য, প্রতিবেদন বা দলিল সরবরাহের জন্য নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে এবং একাডেমি উহা সরকারের নিকট সরবরাহ করিতে বাধ্য থাকিবে।
১৬। (১) বোর্ড, বিশেষ বা সাধারণ আদেশ দ্বারা নির্ধারিত শর্তাধীনে, কোনো সদস্য মহাপরিচালক, কমিটি বা একাডেমির যে কোনো কর্মচারীকে উহার যে কোনো ক্ষমতা অর্পণ করিতে পারিবে।(২) মহাপরিচালক, উপ-ধারা (১) এর অধীন তাহার উপর অর্পিত ক্ষমতা ব্যতীত, প্রয়োজনবোধে এবং তৎকর্তৃক নির্ধারিত শর্তসাপেক্ষে, এই আইনের অধীন তাহার উপর অর্পিত যে কোনো ক্ষমতা বা দায়িত্ব, লিখিত আদেশ দ্বারা, একাডেমির যে কোনো কর্মচারীকে অর্পণ করিতে পারিবেন।
১৭। মহাপরিচালক এবং একাডেমির কর্মচারীগণ Penal Code, 1860 (Act XLV of 1860) এর section 21 এ ‘‘public servant’’ (জনসেবক) অভিব্যক্তিটি যে অর্থে ব্যবহৃত হইয়াছে সেই অর্থে ‘‘Public Servant’’ (জনসেবক) বলিয়া গণ্য হইবেন।
১৯। বোর্ড, এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, এই আইন ও তদধীন প্রণীত বিধির সহিত অসামঞ্জস্য না হয় এইরূপ প্রবিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে।
২০। (১) এই আইন কার্যকর হইবার সঙ্গে সঙ্গে,-(ক) ৬ জানুয়ারি ১৯৮৫ তারিখে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একাডেমির বোর্ড অব গভর্নরসকে বডি কর্পোরেটে রূপান্তরকরণ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত, এবং(খ) পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা বিভাগ কর্তৃক ৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৫ তারিখে APD/Admn.55/84/118 এবং PD/Admn.55/84/119 সংখ্যক স্মারকমূলে জারিকৃত প্রজ্ঞাপনদ্বয়-রহিত হইবে।(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন রহিতকরণ সত্ত্বেও Government Educational and Training Institutions Ordinance, ১৯৬১ (E.P. Ordinance No. XXVI of ১৯৬১)-এর অধীন পরিচালিত জাতীয় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একাডেমি-(ক) বোর্ড অব গভর্নরস বা তৎকর্তৃক কৃত সকল কাজ-কর্ম বা গৃহীত ব্যবস্থা এই আইনের অধীন কৃত বা গৃহীত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে;(খ) সকল সম্পদ, ক্ষমতা, কর্তৃত্ব, সুবিধা এবং স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি, নগদ ও ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ এবং অন্য সকল প্রকার দাবি ও অধিকার একাডেমির সম্পদ, ক্ষমতা, কর্তৃত্ব, সুবিধা, সম্পত্তি, অর্থ এবং দাবি ও অধিকার হিসাবে গণ্য হইবে;(গ) সকল ঋণ ও দায়-দায়িত্ব এবং উহার দ্বারা বা উহার পক্ষে বা উহার সহিত সম্পাদিত সকল চুক্তি একাডেমির ঋণ ও দায়-দায়িত্ব এবং উহার দ্বারা বা উহার পক্ষে বা উহার সহিত সম্পাদিত চুক্তি বলিয়া গণ্য হইবে;(ঘ) বিরুদ্ধে বা তৎকর্তৃক দায়েরকৃত কোনো মামলা, গৃহীত কার্যধারা বা সূচিত যে কোনো কার্যক্রম অনিষ্পন্ন থাকিলে, উহা এমনভাবে নিষ্পন্ন হইবে যেন উহা এই আইনের অধীন একাডেমির বিরুদ্ধে বা তৎকর্তৃক দায়েরকৃত, গৃহীত বা সূচিত হইয়াছে;(ঙ) ক্ষেত্রে প্রযোজ্য সকল বিধিমালা, প্রবিধানমালা, আদেশ, নির্দেশ, নীতিমালা বা অন্য কোনো ইনস্ট্রুমেন্ট, এই আইনের সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে, এই আইনের অধীন নতুনভাবে প্রণীত বা জারি না হওয়া পর্যন্ত অথবা বিলুপ্ত না করা পর্যন্ত, প্রয়োজনীয় অভিযোজনসহ, পূর্বের ন্যায় চলমান, অব্যাহত ও কার্যকর থাকিবে;(চ) বোর্ড অব গভর্নরস বা কমিটি, যদি থাকে, এর কার্যক্রম, বিদ্যমান মেয়াদ অবসানের পূর্বে বিলুপ্ত না হইলে অথবা এই আইনের অধীন বোর্ড বা কমিটি গঠিত না হওয়া পর্যন্ত অব্যাহত থাকিবে; এবং(ছ) কর্মচারীগণ এই আইন প্রবর্তনের অব্যবহিত পূর্বে যে শর্তাধীনে চাকরিতে নিয়োজিত ছিলেন, এই আইনের বিধান অনুযায়ী পরিবর্তিত না হওয়া পর্যন্ত, সেই একই শর্তে একাডেমির চাকরিতে নিয়োজিত থাকিবেন এবং পূর্বের নিয়মে বেতন, ভাতা ও অন্যান্য সুবিধাদি প্রাপ্ত হইবেন।