যেহেতু পরিবেশ দূষণ সংক্রান্ত [অপরাধের বিচারকারী আদালত প্রতিষ্ঠা ও আনুষঙ্গিক বিষয়ে বিধান করা] সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;সেহেতু এতদ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল :-
৪৷ (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, প্রত্যেকটি বিভাগে এক বা একাধিক পরিবেশ আদালত প্রতিষ্ঠা করিবে৷4[(২) একজন বিচারক সমন্বয়ে পরিবেশ আদালত গঠিত হইবে এবং সরকার, সুপ্রীম কোর্টের সহিত পরামর্শক্রমে,-(ক) যুগ্ম জেলা জজ পর্যায়ের একজন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাকে উক্ত আদালতের বিচারক নিযুক্ত করিবে, এবং উক্ত বিচারক 5[* * *] পরিবেশ আদালতের এখ্তিয়ারাধীন মামলার বিচার করিবেন; এবং(খ) প্রয়োজনবোধে, কোন বিভাগ বা উহার কোন নির্দিষ্ট এলাকার জন্য যুগ্ম জেলা জজ পর্যায়ের একজন বিচারককে তাহার সাধারণ দায়িত্বের অতিরিক্ত হিসাবে পরিবেশ আদালতের বিচারক নিযুক্ত করিবে, এবং উক্ত বিচারক তাহার সাধারণ এখ্তিয়ারভূক্ত মামলা ছাড়াও পরিবেশ আদালতের এখ্তিয়ারভূক্ত মামলাসমূহের বিচার করিবেন৷](৩) প্রত্যেক পরিবেশ আদালত বিভাগীয় সদরে অবস্থিত থাকিবে, তবে সরকার প্রয়োজন মনে করিলে সরকারী গেজেটে সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দ্বারা, উক্ত আদালতের বিচারকার্যের স্থান বা স্থানসমূহ বিভাগীয় সদরের বাইরেও নির্ধারণ করিতে পারিবে৷(৪) কোন বিভাগে একাধিক পরিবেশ আদালত স্থাপিত হইলে সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা প্রত্যেক পরিবেশ আদালতের জন্য এলাকা নির্ধারণ করিয়া দিবে৷
7[৫ক৷ কোন ব্যক্তি ধারা ৫(২) এর-(ক) দফা (ক) এর অধীনে আদালত প্রদত্ত নির্দেশ অমান্য করিয়া যে অপরাধের পুনরাবৃত্তি করেন বা যে অপরাধটি অব্যাহত রাখেন, উহার জন্য নির্ধারিত দণ্ডে তিনি দণ্ডণীয় হইবেন, তবে এইরূপ দণ্ড উক্ত নির্দেশ প্রদানের সময় আরোপিত দণ্ড অপেক্ষা কম হইবে না;(খ) দফা (খ) বা (গ) এর অধীন আদালত কর্তৃক প্রদত্ত নির্দেশ ভঙ্গ করিলে, ইহা হইবে একটি স্বতন্ত্র অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ৩ (তিন) বত্সর কারাদণ্ডে বা অনধিক ৩ (তিন) লতগ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডণীয় হইবেন৷ব্যাখ্যা৷- এই ধারার অধীন অপরাধ তদন্ত ও বিচারের ক্ষেত্রে এই আইনের অন্যান্য বিধান প্রযোজ্য হইবে৷
৫খ৷ পরিবেশ আইনে বর্ণিত যে সকল অপরাধের জন্য অনধিক ২ (দুই) বত্সর কারাদণ্ড বা, অনধিক ১০ (দশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড বা কোন কিছু বাজেয়াপ্তির বিধান আছে, সেই সকল অপরাধের বিচারের জন্য সরকারের নির্দেশ অনুসারে কোন ১ম শ্রেণীর ম্যাজিষ্ট্রেট বা মেট্রোপলিটান ম্যাজিষ্ট্রেট কোন নির্দিষ্ট এলাকার জন্য এককভাবে বা তাহার সাধারণ দায়িত্বের অতিরিক্ত হিসাবে স্পেশাল ম্যাজিষ্ট্রেটরূপে দায়িত্ব পালন করিবেন:তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত অপরাধের সহিত পরিবেশ আইনের অধীন অন্য কোন অপরাধ জড়িত থাকিলে এবং উভয় অপরাধ একই মামলায় বিচারের প্রয়োজন থাকিলে উহা পরিবেশ আদালতে বিচার্য হইবে৷
৫গ৷ (১) পরিদর্শকের লিখিত রিপোর্ট ব্যতীত কোন স্পেশাল ম্যাজিষ্ট্রেট কোন অপরাধ বিচারার্থ গ্রহণ করিবেন না:তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত ম্যাজিষ্ট্রেট কর্তৃক বিচার্য কোন নির্দিষ্ট শ্রেণীর মামলা দায়েরের ক্ষেত্রে, মহা-পরিচালকের অনুমোদন থাকিলে, ধারা ৭ এর বিধানাবলী অনুসরণ ব্যতিরেকেই পরিদর্শক এই উপ-ধারার অধীনে তাহার রিপোর্ট সরাসরি উক্ত ম্যাজিষ্ট্রেটের নিকট পেশ করিতে পারিবেন৷(২) এই ধারার অধীন নিযুক্ত স্পেশাল ম্যাজিষ্ট্রেট ফৌজদারী কার্যবিধিতে বর্ণিত সংতিগপ্ত বিচার (summary trial) পদ্ধতি অনুসরণ করিবেন৷(৩) স্পেশাল ম্যাজিষ্ট্রেটের আদালতে বিচার্য মামলা রাষ্ট্রের পক্ষে একজন সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর বা সরকার কর্তৃক নির্দেশিত কোন পুলিশ কর্মকর্তা বা পরিবেশ অধিদপ্তরের একজন পরিদর্শক পরিচালনা করিবেন; এবং এইরূপ মামলা উক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর বা পুলিশ কর্মকর্তা কর্তৃক পরিচালিত হওয়ার ক্ষেত্রে তাহাকে একজন পরিদর্শক সহায়তা করিতে এবং প্রয়োজনবোধে আদালতে তাহার বক্তব্য উপস্থাপন করিতে পারিবেন৷]
8[৬৷ (১) পরিবেশ আইনে বর্ণিত কোন বিষয়ে পরিদর্শন বা কোন অপরাধ তদন্তর উদ্দেশ্যে, মহা-পরিচালক বা পরিবেশ আদালত কর্তৃক নির্দেশিত হইলে এই আইনের অধীন প্রদেয় ক্ষতিপূরণ নিরূপণের উদ্দেশ্যে, পরিদর্শক যে কোন যুক্তিসঙ্গত সময়ে যে কোন স্থানে প্রবেশ, তলনাশী বা কোন কিছু আটক বা কোন কিছুর নমুনা সংগ্রহ বা কোন স্থান পরিদর্শন করিতে পারিবেন৷(২) উপ-ধারা (১) এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে উক্ত পরিদর্শক প্রয়োজনবোধে ফৌজদারী কার্যবিধির ৯৬ ধারা অনুসারে পরিবেশ আদালত বা যে কোন ম্যাজিষ্ট্রেটের নিকট তলস্্নাশী পরওয়ানার ইস্যুর জন্য আবেদন করিতে পারিবেন৷(৩) এই ধারার অধীন তলস্্নাশী, আটক বা পরিদর্শনের ক্ষেত্রে পরিদর্শক যথাসম্ভব ফৌজদারী কার্যবিধি এবং সংশ্লিষ্ট পরিবেশ আইনের বিধান অনুসরণ করিবেন৷
৭৷ (১) পরিবেশ আইনে বর্ণিত কোন অপরাধ সাধারণভাবে একজন পরিদর্শক তদন্ত করিবেন, তবে কোন বিশেষ ধরণের অপরাধ বা কোন নির্দিষ্ট অপরাধ তদন্তর উদ্দেশ্যে মহা-পরিচালক, সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দ্বারা, তাহার অধীনস্থ অন্য কোন কর্মকর্তাকেও ক্ষমতা প্রদান করিতে পারিবেন৷(২) উক্ত পরিদর্শক বা কর্মকর্তা, অতঃপর তদন্তকারী কর্মকর্তা বলিয়া উল্লেখিত, কোন ব্যক্তির লিখিত অভিযোগ বা অন্য যে কোন তথ্যের পরিপ্রেক্ষিতে, মহা-পরিচালকের নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তার অনুমোদন গ্রহণক্রমে, এই ধারার অধীন কার্যক্রম শুরম্্ন করিতে পারিবেন৷(৩) কোন অপরাধের আনুষ্ঠানিক তদন্ত্ম শুরম্্ন করার পূর্বে তদন্তকারী কর্মকর্তা উক্ত অপরাধ সম্পর্কে অনুসন্ধান ও প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করতঃ একটি প্রাথমিক রিপোর্ট এতদুদ্দেশ্যে মহা-পরিচালক কর্তৃক ক্ষমতা প্রদত্ত তাহার উর্ধ্বতন কর্মকর্তার নিকট পেশ করিবেন এবং দ্বিতীয়োক্ত কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট ঘটনা ও পরিস্থিতি বিবেচনাক্রমে, ৭ (সাত) দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত প্রদান করিবেন যে, বিষয়টি সম্পর্কে আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরম্্ন করা অথবা সংশিষ্ট পরিবেশ আইন বা এই আইন বা প্রবিধান অনুসারে অন্য কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা বা আদৌ কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করা সমীচীন কি না এবং তদনুসারে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করা হইবে৷(৪) উপ-ধারা (৩) অনুসারে আনুষ্ঠানিক তদন্তর সিদ্ধান্ত গৃহীত হইলে তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রাথমিক রিপোর্টের একটি অনুলিপি সংশ্লিষ্ট থানায় পেশ করিবেন এবং উহা অপরাধ সম্পর্কিত একটি তথ্য বা এজাহার হিসাবে থানায় লিপিবদ্ধ করা হইবে, এবং অতঃপর উক্ত তদন্তকারী কর্মকর্তা বা ক্ষেত্রবিশেষে মহা-পরিচালক কর্তৃক ক্ষমতা প্রদত্ত অন্য কোন কর্মকর্তা তদন্ত করিবেন৷(৫) কোন অপরাধ তদন্তর ব্যাপারে তদন্তকারী কর্মকর্তা ফৌজদারী কার্যবিধির অধীন থানার একজন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার ন্যায় একই ক্ষমতা প্রয়োগ করিতে পারিবেন এবং তিনি, এই আইন ও বিধি সাপেক্ষে, ফৌজদারী কার্যবিধি অনুসরণ করিবেন৷(৬) আনুষ্ঠানিক তদন্তর পূর্বে অনুসন্ধান পর্যায়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা কর্তৃক রেকর্ডকৃত জবানবন্দী, আটককৃত বস্তু, সংগৃহীত নমুনা বা অন্যান্য তথ্য আনুষ্ঠানিক তদন্তর প্রয়োজনে বিবেচনা ও ব্যবহার করা যাইবে৷(৭) তদন্ত্ম সমাপ্তির পর তদন্তকারী কর্মকর্তা, মহা-পরিচালকের নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তার অনুমোদন গ্রহণক্রমে, তাহার তদন্ত রিপোর্টের একটি কপি এবং উক্ত রিপোর্টের সমর্থনে সংশিষ্ট মূল কাগজপত্র বা উহার সত্যায়িত অনুলিপি সরাসরি পরিবেশ আদালতে বা, তেগত্রমত, কোন মামলা স্পেশাল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে বিচার্য হইলে উক্ত আদালতে দাখিল করিবেন এবং একটি অনুলিপি তাহার দপ্তরে এবং আরেকটি অনুলিপি সংশিষ্ট থানায় জমা করিবেন; এবং এইরূপ রিপোর্ট ফৌজদারী কার্যবিধির ১৭৩ ধারার অধীন প্রদত্ত পুলিশ রিপোর্ট বলিয়া গণ্য হইবে৷(৮) উপ-ধারা (৩) এর বিধান সত্ত্বেও, তদন্তকারী কর্মকর্তা সংশিষ্ট অপরাধ ও পরিস্থিতির প্রয়োজনে, উক্ত উপ-ধারার অধীন আনুষ্ঠানিক তদন্তর সিদ্ধান্ত প্রাপ্তির পূর্বেই অপরাধের সহিত সংশিষ্ট দলিল, বস্তু বা যন্ত্রপাতি আটক করিতে পারিবেন যদি যুক্তিসঙ্গত কারণে তিনি মনে করেন যে, উহা সরাইয়া ফেলা বা নষ্ট করা হইতে পারে এবং উক্ত অপরাধ সংঘটনের জন্য দায়ী ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারী পরওয়ানা ব্যতিরেকেই গ্রেফতার করিতে পারিবেন যদি যুক্তিসঙ্গত কারণে তিনি মনে করেন যে, তাহার পলাতক হওয়ার সম্ভাবনা আছে৷
আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও অন্যান্য কর্তৃপতেগর সহায়তা গ্রহণ
৭ক৷ ধারা ৬ ও ৭ এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে তদন্ত্মকারী কর্মকর্তা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা বা অন্য কোন সরকারী কর্তৃপতগ বা সংবিধিবদ্ধ সংস্থার সহায়তার জন্য অনুরোধ করিতে পারিবেন এবং তদনুসারে উক্ত কর্তৃপতগ বা সংস্থা সহায়তা করিবে৷]
৮৷ (১) এই আইনে ভিন্নরূপ কিছু না থাকিলে, এই আইনের অধীন কোন অপরাধের অভিযোগ দায়ের, 9[* * *] বিচার ও নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে, ফৌজদারী কার্যবিধির বিধানাবলি প্রযোজ্য হইবে এবং পরিবেশ আদালত একটি ফৌজদারী আদালত বলিয়া গণ্য হইবে এবং ফৌজদারী কার্যবিধিতে সেশনস আদালত কর্তৃক কোন মামলার নিষ্পত্তির জন্য যে পদ্ধতি নির্ধারিত আছে পরিবেশ আদালত সে পদ্ধতি অনুসরণ করিয়া মামলার বিচার ও নিষ্পত্তি করিবে৷(২) পরিবেশ আদালত (সংশোধন) আইন, ২০০২ (২০০২ সনের ১০ নং আইন) এর ৮ ধারাবলে বিলুপ্ত৷ পরিবেশ আদালত উহার নিকট বিচারাধীন কোন মামলা সংক্রান্ত অপরাধ সম্পর্কে অধিকতর তদন্তর জন্য তদন্তকারী কর্মকর্তাকে বা ব্যক্তিকে নির্দেশ দিতে পারিবে এবং উক্ত নির্দেশে তদন্তর প্রতিবেদন প্রদানের জন্য সময়সীমাও নির্ধারণ করিয়া দিতে পারিবে৷(৪) এই আইন বা পরিবেশ আইন দ্বারা ন্যস্ত যে কোন ক্ষমতা পরিবেশ আদালত প্রয়োগ করিতে পারিবে৷10(৫) পরিবেশ আদালতে বিচার্য সকল মামলা রাষ্ট্রের পক্ষে একজন পাবলিক প্রসিকিউটর বা অতিরিক্ত বা সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর বা সরকার কর্তৃক নির্দেশিত স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর পরিচালনা করিবেন:তবে শর্ত থাকে যে, পরিদর্শক বা মহা-পরিচালকের নিকট হইতে কোন ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামলা পরিচালনায় উক্ত প্রসিকিউটরকে সহায়তা করিতে এবং প্রয়োজনবোধে আদালতে তাহার বক্তব্য উপস্থাপন করিতে পারিবেন৷ তগতিপূরণ সংক্রান্ত্ম মামলা বিচার ও নিষ্পত্তির তেগত্রে এই আইনের বিধান সাপেতেগ, দেওয়ানী কার্যবিধির বিধানাবলী প্রযোজ্য হইবে এবং সেই তেগত্রে পরিবেশ আদালত একটি দেওয়ানী আদালত বলিয়া গণ্য হইবে এবং এই আইনের অধীন কোন তগতিপূরণের মামলা বিচারের ক্ষেত্রে দেওয়ানী আদালতের সকল ক্ষমতা প্রয়োগ করিতে পারিবে৷(৭) বিচারের জন্য মামলার শুনানী তিনবারের অধিক মুলতবী করা যাইবে না এবং একশত আশি দিনের মধ্যে পরিবেশ আদালত উক্ত মামলার বিচার কার্য সমাপ্ত করিবে:তবে শর্ত থাকে যে, যদি এই সময়সীমার মধ্যে কোন মামলার বিচারকার্য সমাপ্ত না হয়, তাহা হইলে পরিবেশ আদালত, বিচারকার্য সমাপ্ত না হওয়ার কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া উল্লিখিত একশত আশি দিনের পরবর্তী পনের দিনের মধ্যে বিষয়টি পরিবেশ আপীল আদালতকে অবহিত করিবে এবং উক্ত একশত আশি দিনের পরবর্তী নব্বই দিনের মধ্যে মামলার বিচারকার্য সমাপ্ত করিবে৷
৯৷ (১) আপাততঃ বলবত্ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, পরিবেশ আদালত কর্তৃক আরোপিত অর্থদণ্ডকে, প্রয়োজনবোধে, উক্ত আদালত পরিবেশ আইনের অধীন অপরাধের কারণে তগতিগ্রস্ত ব্যক্তির জন্য তগতিপূরণ হিসাবে গণ্য করিতে পারিবে এবং অর্থদণ্ড বা ক্ষতিপূরণের অর্থ দণ্ডিত ব্যক্তির নিকট হইতে আদায়যোগ্য হইবে৷(২) পরিবেশ আইনের অধীন কোন অপরাধের সহিত ক্ষতিপূরণের দাবী যদি এমনভাবে জড়িত থাকে যে, অপরাধ ও ক্ষতিপূরণের দাবী একই মামলায় বিচার করা প্রয়োজন, তাহা হইলে পরিবেশ আদালত অপরাধটির বিচার পূর্বে করিবে এবং অপরাধের দণ্ড হিসাবে ক্ষতিপূরণ প্রদান যথাযথ না হইলে পৃথকভাবে ক্ষতিপূরণের আবেদন বিবেচনা করা যাইবে৷
১০৷ (১) মামলার যে কোন পর্যায়ে কোন সম্পত্তি, বস্তু বা অপরাধ সংঘটনের স্থান সম্পর্কে কোন প্রশ্নের উদ্ভব হইলে পরিবেশ আদালত, পক্ষগণকে বা তাহাদের নিযুক্ত আইনজীবীগণকে, পরিদর্শনের সময় ও স্থান নির্ধারণপূর্বক যথাযথ নোটিশ প্রদান করিয়া তাহা পরিদর্শন করিতে পারিবে৷(২) পরিদর্শনের সময় বা অব্যবহিত পরে, বিচারক পরিদর্শনের ফলাফল একটি স্মারকলিপি আকারে প্রস্তত করিবেন এবং উক্ত স্মারকলিপি মামলার শুনানীর সময় সাতগ্য হিসাবে গণ্য হইবে এবং এইরূপ সাতেগ্যর ব্যাপারে কোন পতগ প্রশ্ন উত্থাপন করিতে পারিবে না৷
১২৷ (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এক বা একাধিক পরিবেশ আপীল আদালত স্থাপন করিবে৷14[(২) একজন বিচারক সমন্বয়ে পরিবেশ আপীল আদালত গঠিত হইবে এবং সরকার, সুপ্রিম কোর্টের সহিত পরামর্শক্রমে,-(ক) জেলা জজ পর্যায়ের একজন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাকে 15[* * *] উক্ত আদালতের বিচারকার্য পরিচালনার জন্য নিয়োগ করিতে পারিবে; অথবা(খ) প্রয়োজনবোধে কোন নির্দিষ্ট এলাকার জন্য কোন জেলার জেলা ও দায়রা জজকে তাহার দায়িত্বের অতিরিক্ত হিসাবে উক্ত আদালতের দায়িত্ব অর্পণ করিতে পারিবে৷](৩) পরিবেশ আপীল আদালত ঢাকায় বা সরকার কর্তৃক নির্ধারিত অন্য কোন স্থানে অবস্থিত থাকিবে৷(৪) অপরাধ সংক্রান্ত মামলার আপীল নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে, ফৌজদারী কার্যবিধির অধীনে সেশনস আদালত যে আপীল আদালত হিসাবে ক্ষমতা প্রয়োগ করিতে পারে পরিবেশ আপীল আদালত সেই ক্ষমতা প্রয়োগ করিতে পারিবে৷(৫) তগতিপূরণ সংক্রান্ত মামলার আপীল নিষ্পত্তির তেগত্রে, দেওয়ানী কার্যবিধির অধীনে দেওয়ানী আদালত যে আপীল আদালত হিসাবে ক্ষমতা প্রয়োগ করিতে পারে পরিবেশ আপীল আদালত সেই ক্ষমতা প্রয়োগ করিতে পারিবে৷
16[১২ক৷ কোন আবেদন বা অন্য কোন তথ্যের পরিপ্রেতিগতে পরিবেশ আপীল আদালত-(ক) উহার অধীনস্থ কোন পরিবেশ আদালতে বিচারধীন মামলা উহার অধীনস্থ অপর কোন পরিবেশ আদালতে স্থানান্তর বা পুনঃস্থানান্তর করিত পারিবে; বা(খ) উহার অধীনস্থ কোন স্পেশাল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে বিচারাধীন মামলা উহার অধীনস্থ অপর কোন স্পেশাল ম্যাজিষ্ট্রেট বা পরিবেশ আদালতে স্থানান্ত্মর বা পুনঃস্থানান্তর করিতে পারিবে৷]
১৩৷ এই আইন প্রবর্তনের অব্যবহিত পূর্বে কোন পরিবেশ আইনের অধীন কোন মামলা কোন আদালতে বিচারাধীন থাকিলে উহা উক্ত আদালতেই এমনভাবে চলিতে থাকিবে যেন এই আইন প্রণীত হয় নাই৷
পূর্বে সংঘটিত কতিপয় অপরাধ ইত্যাদি সম্পর্কে পরিবেশ আদালতের এখ্তিয়ার
17[১৩ক৷ (১) পরিবেশ আদালত (সংশোধন) আইন, ২০০২ এর প্রবর্তন তারিখের পূর্বে সংঘটিত কোন অপরাধ সম্পর্কে কোন মামলা দায়ের হইয়া না থাকিলে পরিদর্শক বা তত্সম্পর্কে মহা-পরিচালক কর্তৃক ক্ষমতাপ্রদত্ত অন্য কোন ব্যক্তির লিখিত অভিযোগ বা লিখিত রিপোর্টের ভিত্তিতে পরিবেশ আদালত বা, তেগত্রমত, স্পেশাল ম্যাজিষ্ট্রেট পরিবেশ আইনের অধীন অপরাধ আমলে গ্রহণ এবং এই আইন অনুসারে উহার বিচারকার্য সম্পন্ন করিতে পারিবেন৷(২) এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, কোন লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে রম্্নজুকৃত মামলায় শুধুমাত্র অভিযোগকারীর অনুপস্থিতির কারণে ফৌজদারী কার্যবিধির ২৪৭ ধারার অধীনে মামলাটি খারিজ করা হইবে না৷]
“অপরাধের বিচারকারী আদালত প্রতিষ্ঠা ও আনুষঙ্গিক বিষয়ে বিধানকল্পে” শব্দগুলি “অপরাধ ও আনুষঙ্গিক বিষয়াদির বিচারকারী আদালত প্রতিষ্ঠাকল্পে” শব্দগুলির পরিবর্তে পরিবেশ আদালত (সংশোধন) আইন, ২০০২ (২০০২ সনের ১০ নং আইন) এর ২ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত
2
দফা (খ) এবং (খখ) পূর্ববর্তী দফা (খ) এর পরিবর্তে পরিবেশ আদালত (সংশোধন) আইন, ২০০২ (২০০২ সনের ১০ নং আইন) এর ৩ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত
3
দাঁড়ির (৷) পরিবর্তে সেমিকোলনটি (;) প্রতিস্থাপিত এবং দফা (ছ) পরিবেশ আদালত (সংশোধন) আইন, ২০০২ (২০০২ সনের ১০ নং আইন) এর ৩ ধারাবলে সন্নিবেশিত
4
উপধারা (২) পরিবেশ আদালত (সংশোধন) আইন, ২০০২ (২০০২ সনের ১০ নং আইন) এর ৪ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত
5
“শুধুমাত্র” শব্দটি পরিবেশ আদালত (সংশোধন) আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ৩৬ নং আইন) এর ২ ধারাবলে বিলুপ্ত
6
উপধারা (২) ও (৩) পরিবেশ আদালত (সংশোধন) আইন, ২০০২ (২০০২ সনের ১০ নং আইন) এর ৫ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত
7
ধারা ৫ক, ৫খ এবং ৫গ পরিবেশ আদালত (সংশোধন) আইন, ২০০২ (২০০২ সনের ১০ নং আইন) এর ৬ ধারাবলে সন্নিবেশিত
8
ধারা ৬, ৭ এবং ৭ক পূর্ববর্তী ধারা ৬ ও ৭ এর পরিবর্তে পরিবেশ আদালত (সংশোধন) আইন, ২০০২ (২০০২ সনের ১০ নং আইন) এর ৭ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত
9
“তদন্ত,” শব্দটি ও কমাটি পরিবেশ আদালত (সংশোধন) আইন, ২০০২ (২০০২ সনের ১০ নং আইন) এর ৮ ধারাবলে বিলুপ্ত
10
উপ-ধারা (৫) পরিবেশ আদালত (সংশোধন) আইন, ২০০২ (২০০২ সনের ১০ নং আইন) এর ৮ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত
11
“ব্যতীত” শব্দটি পরিবেশ আদালত (সংশোধন) আইন, ২০০২ (২০০২ সনের ১০ নং আইন) এর ৯ ধারাবলে সন্নিবেশিত
12
“খালাস আদেশ বা কোন দেওয়ানী মামলা খারিজের আদেশ বা উপ-ধারা (৩) এ উলিখিত আদেশ” শব্দগুলি, সংখ্যা ও বন্ধনীগুলি পরিবেশ আদালত (সংশোধন) আইন, ২০০২ (২০০২ সনের ১০ নং আইন) এর ৯ ধারাবলে সন্নিবেশিত
13
উপ-ধারা (৩) এবং (৩ক) পূর্ববর্তী উপ-ধারা (৩) এর পরিবর্তে পরিবেশ আদালত (সংশোধন) আইন, ২০০২ (২০০২ সনের ১০ নং আইন) এর ৯ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত
14
উপ-ধারা ২ পরিবেশ আদালত (সংশোধন) আইন, ২০০২ (২০০২ সনের ১০ নং আইন) এর ১০ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত
15
“শুধুমাত্র” শব্দটি পরিবেশ আদালত (সংশোধন) আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ৩৬ নং আইন) এর ৩ ধারাবলে বিলুপ্ত
16
ধারা ১২ক পরিবেশ আদালত (সংশোধন) আইন, ২০০২ (২০০২ সনের ১০ নং আইন) এর ১১ ধারাবলে সন্নিবেশিত
17
ধারা ১৩ক পরিবেশ আদালত (সংশোধন) আইন, ২০০২ (২০০২ সনের ১০ নং আইন) এর ১২ ধারাবলে সন্নিবেশিত
Click here to see the original act on the Bangladesh Legal Database.