যেহেতু আর্থিকভাবে অসচ্ছল, সহায়-সম্বলহীন এবং নানাবিধ আর্থ-সামাজিক কারণে বিচার প্রাপ্তিতে অসমর্থ বিচারপ্রার্থী জনগণকে আইনগত সহায়তা প্রদান সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল:-
১৷ (১) এই আইন আইনগত সহায়তা প্রদান আইন, ২০০০ নামে অভিহিত হইবে৷(২) সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, যে তারিখ নির্ধারণ করিবে সেই তারিখে এই আইন কার্যকর হইবে৷
[1][২। বিষয় বা প্রসংগের পরিপন্থী কোন কিছু না থাকিলে, এই আইনে,-(ক) “আইনগত সহায়তা” অর্থ-(অ) আর্থিকভাবে অসচ্ছল, সহায়-সম্বলহীন এবং নানাবিধ আর্থ-সামাজিক কারণে বিচারপ্রাপ্তিতে অসমর্থ বিচারপ্রার্থীকে-(১) কোন আদালতে দায়েরযোগ্য, দায়েরকৃত বা বিচারাধীন মামলায় আইনি পরামর্শ ও সহায়তা প্রদান;(২) Code of Civil Procedure, 1908 (Act No. V of 1908) এবং প্রচলিত অন্যান্য আইনের বিধান অনুসারে মধ্যস্থতার মাধ্যমে কোন বিরোধ বা মামলা নিষ্পত্তির উদ্দেশ্যে নিযুক্ত মধ্যস্থতাকারী বা এই আইনের অধীন নিযুক্ত স্পেশাল মেডিয়েটরকে সম্মানি প্রদান;(৩) মামলার আনুষঙ্গিক খরচ প্রদানসহ অন্য যে কোন সহায়তা প্রদান;(আ) যে কোন আবেদনকারীকে আইনি তথ্য ও পরামর্শসেবা প্রদান;(ই) মামলাপূর্ব যেকোন বিরোধ মধ্যস্থতার মাধ্যমে নিষ্পত্তি;(ঈ) যেকোন আদালত বা ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক প্রেরিত মামলা মধ্যস্থতার মাধ্যমে নিষ্পত্তি;(খ) “আদালত” অর্থ বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের উভয় বিভাগসহ বাংলাদেশের যেকোন আদালত;(গ) “আবেদন” বা ‘দরখাস্ত’ অর্থ আইনগত সহায়তা প্রাপ্তির কোন আবেদন বা দরখাস্ত;(ঘ) “চেয়ারম্যান” অর্থ বোর্ডের চেয়ারম্যান;(ঙ) “চীফ লিগ্যাল এইড অফিসার”, “লিগ্যাল এইড অফিসার” অর্থ ধারা ২১ক এর অধীন নিয়োগকৃত চীফ লিগ্যাল এইড অফিসার ও লিগ্যাল এইড অফিসার;(চ) “জেলা কমিটি” অর্থ এই আইনের অধীন গঠিত জেলা কমিটি;(ছ) “নির্বাহী পরিচালক” অর্থ সংস্থার নির্বাহী পরিচালক;(জ) “প্রবিধান” অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত প্রবিধান;(ঝ) “বিচারপ্রার্থী” অর্থ কোন আদালতে দায়েরযোগ্য বা দায়েরকৃত দেওয়ানী, পারিবারিক বা ফৌজদারী বা অন্য কোন মামলার সম্ভাব্য বা প্রকৃত বাদী, বিবাদী, ফরিয়াদী বা আসামী;(ঞ) “বিধি” অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি;ট) “বিশেষ কমিটি” অর্থ এই আইনের অধীন গঠিত বিশেষ কমিটি;ঠ) “বোর্ড” অর্থ ধারা ৬ এর অধীন গঠিত জাতীয় পরিচালনা বোর্ড;(ড) “মধ্যস্থতা” অর্থ এমন একটি আইনি প্রক্রিয়া যাহা এই আইনের অধীন নিয়োজিত চীফ লিগ্যাল এইড অফিসার, লিগ্যাল এইড অফিসার বা স্পেশাল মেডিয়েটর কর্তৃক বিবদমান পক্ষগণের মধ্যকার দ্বন্দ্ব নিরসনে পক্ষদের বা তাহাদের প্রতিনিধিদের শারীরিক বা ভার্চুয়াল উপস্থিতিতে পারস্পরিক সমঝোতার মাধ্যমে বিরোধ নিষ্পত্তিতে সহায়তা করা, যাহা মামলাপূর্ব মধ্যস্থতা (Pre-case Mediation) এবং আদালত বা ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক প্রেরিত মামলা দায়ের-পরবর্তী মধ্যস্থতা (Post-case Mediation)-কে অন্তর্ভুক্ত করিবে;(ঢ) “মধ্যস্থতাকারী” অর্থ চীফ লিগ্যাল এইড অফিসার, লিগ্যাল এইড অফিসার বা, ক্ষেত্রমত, স্পেশাল মেডিয়েটর;(ণ) “মধ্যস্থতা-চুক্তি (Mediation Agreement)” অর্থ মধ্যস্থতার মাধ্যমে পক্ষগণ কর্তৃক সম্পাদিত এবং চীফ লিগ্যাল এইড অফিসার কর্তৃক প্রত্যায়িত চুক্তিপত্র;(ত) “সদস্য” অর্থ বোর্ড বা, ক্ষেত্রমত, সুপ্রীম কোর্ট কমিটি, জেলা কমিটি, বিশেষ কমিটি, উপজেলা কমিটি বা ইউনিয়ন কমিটির কোন সদস্য;(থ) “সংস্থা” অর্থ এই আইনের অধীন প্রতিষ্ঠিত জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা;(দ) “সুপ্রীম কোর্ট কমিটি” অর্থ এই আইনের অধীন গঠিত সুপ্রীম কোর্ট কমিটি;(ধ) “স্পেশাল মেডিয়েটর” অর্থ ধারা ১৫ক এর উপ-ধারা (১) এর অধীন তালিকাভুক্ত স্পেশাল মেডিয়েটর।]
৩৷ (১) এই আইন বলবত্ হইবার পর সরকার, যথাশীঘ্র সম্ভব, এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা নামে একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠা করিবে৷(২) সংস্থা একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হইবে এবং উহার স্থায়ী ধারাবাহিকতা ও একটি সাধারণ সীলমোহর থাকিবে এবং উহার স্থাবর ও অস্থাবর উভয় প্রকার সম্পত্তি অর্জন করার, অধিকারে রাখার ও হস্ত্মান্ত্মর করার তগমতা থাকিবে এবং উহার নামে উহা মামলা দায়ের করিতে পারিবে বা উহার বিরম্্নদ্ধে মামলা দায়ের করা যাইবে৷
৫৷ (১) সংস্থার পরিচালনা ও প্রশাসন একটি পরিচালনা বোর্ডের উপর ন্যস্ত থাকিবে এবং সংস্থা যে সকল ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্য সম্পাদন করিতে পারিবে পরিচালনা বোর্ডও সেই সকল ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্য সম্পাদন করিতে পারিবে।(২) সংস্থা উহার কার্যাবলী সম্পাদনের ক্ষেত্রে সরকার কর্তৃক প্রদত্ত নীতি অনুসরণ করিবে।
2[৬। (১) জাতীয় পরিচালনা বোর্ড নিম্নবর্ণিত সদস্য সমন্বয়ে গঠিত হইবে, যথা:-(ক) আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী/উপদেষ্টা, যিনি বোর্ডের চেয়ারম্যানও হইবেন;(খ) জাতীয় সংসদের স্পিকার মনোনীত ২ (দুই) জন সংসদ-সদস্য, যাহাদের একজন সরকারদলীয় এবং অপরজন বিরোধীদলীয় হইবেন;(গ) বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল;(ঘ) সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়;(ঙ) সচিব, আইন ও বিচার বিভাগ;(চ) সচিব, অর্থ বিভাগ;(ছ) সচিব, জননিরাপত্তা বিভাগ;(জ) সচিব, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়;(ঝ) সচিব, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়;(ঞ) রেজিস্ট্রার জেনারেল, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট;(ট) মহা-পুলিশ পরিদর্শক;(ঠ) মহা-কারা পরিদর্শক;(ড) ভাইস-চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ বার কাউন্সিল;(ঢ) সভাপতি, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবী সমিতি;(ণ) চেয়ারম্যান, জাতীয় মহিলা সংস্থা;(ত) সরকার কর্তৃক মনোনীত আইন ও অধিকার সম্পর্কিত বেসরকারি সংস্থার ৩ (তিন) জন প্রতিনিধি;(থ) সরকার কর্তৃক নারী সংস্থা হইতে মনোনীত ৩ (তিন) জন প্রতিনিধি; এবং(দ) নির্বাহী পরিচালক, জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা, যিনি ইহার সদস্য-সচিবও হইবেন।(২) উপ-ধারা (১) এর দফা (ত) ও (থ) এ উল্লিখিত সদস্যগণের প্রত্যেকে স্ব স্ব মনোনয়ন প্রাপ্তির তারিখ হইতে ২ (দুই) বৎসর মেয়াদে স্বীয় পদে বহাল থাকিবেন:তবে শর্ত থাকে যে, উপযুক্ত কারণ উদ্ভব হইলে সরকার উপ-ধারা (১) এর দফা (ত) ও (থ) এ উল্লিখিত সদস্যগণের যে কাহারো মনোনয়ন মেয়াদপূর্তির পূর্বেই বাতিল করিতে পারিবে:আরও শর্ত থাকে যে, উপ-ধারা (১) এর দফা (ত) ও (থ) এ উল্লিখিত সদস্যগণ সরকার বরাবর পদত্যাগপত্র প্রেরণপূর্বক স্বীয় পদ হইতে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করিতে পারিবেন।]
৭৷ সংস্থার দায়িত্ব ও কার্যাবলী হইবে নিম্নরূপ, যথা:-(ক) আর্থিকভাবে অসচ্ছল, সহায়-সম্বলহীন এবং নানাবিধ আর্থ-সামাজিক কারণে বিচার প্রাপ্তিতে অসমর্থ বিচারপ্রার্থীগণের আইনগত সহায়তা পাওয়ার যোগ্যতা নিরূপণ ও উহা প্রদান সম্পর্কিত বিষয়ে নীতিমালা প্রণয়ন করা;3[(খ) আইনগত সহায়তা প্রদান কর্মসূচির বিস্তার, মানোন্নয়ন ও বিকাশে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করা;](গ) আইনগত সহায়তা প্রদানের লতেগ্য শিতগা ও গবেষণামূলক কার্যক্রম গ্রহণ ও পরিচালনা করা;4[(গগ) আইনগত সহায়তা প্রদান নিশ্চিতকল্পে সংস্থার কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা;(গগগ) আইনগত সহায়তা প্রদান নিশ্চিতকল্পে সুপ্রীম কোর্ট কমিটি, জেলা কমিটি, বিশেষ কমিটি, উপজেলা কমিটি বা ইউনিয়ন কমিটির সদস্যদের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা;](ঘ) আইনগত সহায়তা সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করার লতেগ্য রেডিও, টেলিভিশন, সংবাদপত্র ও অন্যান্য মিডিয়ার মাধ্যমে ব্যাপক প্রচার করা;5[(ঙ) জেলা কমিটি বা বিশেষ কমিটি কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত আবেদন বা দরখাস্ত বিবেচনা করা;(চ) সুপ্রীম কোর্ট কমিটি, জেলা কমিটি এবং বিশেষ কমিটির কার্যাবলী তদারকি ও নিয়ন্ত্রণ এবং উহাদের কার্যাবলী সরেজমিনে পরিদর্শন করা;(ছ) আইনগত অধিকার ও দায়িত্ব সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করিবার লক্ষ্যে নিম্নবর্ণিত ব্যবস্থা গ্রহণ করা, যথা:—(অ) আইনগত শিক্ষা বিস্তারের পদক্ষেপ গ্রহণ করা;(আ) আইনগত তথ্য সহজলভ্য করা;(ই) আইনগত মৌলিক ধারণালব্দ জনগোষ্ঠীর হার বৃদ্ধির উদ্যোগ গ্রহণ করা;(ঈ) ন্যায় বিচারে সহজ অভিগম্যতা নিশ্চিত করা;(উ) সভা, সেমিনার ও কর্মশালার আয়োজনসহ আইনগত সহায়তার তথ্য সম্বলিত বুকলেট, পুস্তিকা, ইত্যাদি প্রকাশ করা 6[;]7[(ছছ) এই আইনের অধীন নিযুক্ত চীফ লিগ্যাল এইড অফিসার, লিগ্যাল এইড অফিসার এবং স্পেশাল মেডিয়েটরগণের কার্যাবলি নিয়ন্ত্রণ ও তত্ত্বাবধান করা;(ছছছ) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, যেকোন সরকারি অথবা বেসরকারি সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের সহিত চুক্তি, সমঝোতা-স্মারক, ইত্যাদি সম্পাদন ও যেকোন ধরনের সহায়তা গ্রহণ করা;](জ) উপরি-উক্ত দায়িত্ব ও কর্তব্যসমূহ সম্পাদনের জন্য প্রয়োজনীয় যে কোন কাজ করা ।
৮৷ (১) এই ধারার অন্যান্য বিধানাবলী সাপেতেগ, বোর্ড উহার সভার কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে৷(২) বোর্ডের সভা উহার চেয়ারম্যান কর্তৃক নির্ধারিত স্থান ও সময়ে অনুষ্ঠিত হইবে:তবে শর্ত থাকে যে, প্রতি তিন মাসে বোর্ডের কমপতেগ একটি সভা অনুষ্ঠিত হইবে৷(৩) চেয়ারম্যান বোর্ডের সকল সভায় সভাপতিত্ব করিবেন এবং তাহার অনুপস্থিতিতে তত্কর্তৃক নির্দেশিত কোন সদস্য বা এইরূপ কোন নির্দেশ না থাকিলে সভায় উপস্থিত সদস্যগণের দ্বারা নির্বাচিত অন্য কোন সদস্য সভায় সভাপতিত্ব করিবেন৷(৪) বোর্ডের সভার কোরামের জন্য উহার মোট সদস্য সংখ্যার অন্যুন এক-তৃতীয়াংশ সদস্যের উপস্থিতির প্রয়োজন হইবে, তবে মূলতবী সভার তেগত্রে কোন কোরামের প্রয়োজন হইবে না৷(৫) বোর্ডের প্রত্যেক সদস্যের একটি করিয়া ভোট থাকিবে এবং ভোটের সমতার তেগত্রে সভায় সভাপতিত্বকারী সদস্যের দ্বিতীয় বা নির্ণায়ক ভোট প্রদানের তগমতা থাকিবে৷(৬) শুধুমাত্র কোন সদস্য পদে শূন্যতা বা বোর্ড গঠনে ত্রম্্নটি থাকার কারণে বোর্ডের কোন কার্য বা কার্যধারা অবৈধ হইবে না এবং তত্সম্পর্কে কোন প্রশ্নও উত্থাপন করা যাইবে না৷
8[৮ক। (১) বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টে সুপ্রীম কোর্ট কমিটি নামে একটি কমিটি থাকিবে এবং উহা নিম্নবর্ণিত সদস্য সমন্বয়ে গঠিত হইবে, যথা: —(ক) 9[বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি] কর্তৃক মনোনীত হাইকোর্ট বিভাগের একজন বিচারপতি, যিনি ইহার চেয়ারম্যানও হইবেন;10[(কক) বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি কর্তৃক মনোনীত হাইকোর্ট বিভাগের একজন রেজিস্ট্রার;](খ) সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক এবং উক্ত সমিতি কর্তৃক মনোনীত সমিতির অন্য একজন সদস্য;(গ) প্রধান বিচারপতি কর্তৃক মনোনীত সুপ্রীম কোর্টে আইন পেশায় নিয়োজিত মানবাধিকার ও সমাজকল্যাণ কার্যক্রম পরিচালনাকারী দুইজন আইনজীবী, যাহাদের মধ্যে একজন মহিলা থাকিবেন;(ঘ) বোর্ড কর্তৃক মনোনীত জাতীয়ভাবে প্রতিষ্ঠিত আইন ও মানবাধিকার ইস্যুতে কার্যক্রম পরিচালনাকারী বেসরকারি সংস্থার দুইজন প্রতিনিধি;(ঙ) বাংলাদেশের অ্যাটর্নি-জেনারেল কর্তৃক মনোনীত একজন অন্যূন ডেপুটি অ্যাটর্নি-জেনারেল;(চ) বোর্ডের চেয়ারম্যান কর্তৃক মনোনীত সংস্থার অন্যূন উপ-পরিচালক পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা;11[(ছ) লিগ্যাল এইড অফিসার, সুপ্রীম কোর্ট, যিনি ইহার সদস্য-সচিবও হইবেন;](২) উপ-ধারা (১) এর দফা (গ) এবং (ঘ) এর অধীন মনোনীত সদস্যগণ তাহাদের মনোনয়নের তারিখ হইতে দুই বৎসর মেয়াদে স্বীয় পদে বহাল থাকিবেন।
৮খ। (১) সুপ্রীম কোর্ট কমিটির দায়িত্ব ও কার্যাবলী হইবে নিম্নরূপ, যথা:-(ক) সংস্থা কর্তৃক নিরূপিত যোগ্যতা ও প্রণীত নীতিমালা অনুসারে আর্থিকভাবে অসচ্ছল, সহায়-সম্বলহীন এবং নানাবিধ আর্থ-সামাজিক কারণে বিচার প্রাপ্তিতে অসমর্থ বিচারপ্রার্থীগণের আবেদন বা দরখাস্ত বিবেচনাক্রমে আইনগত সহায়তা প্রদান করা;(খ) মঞ্জুরকৃত আবেদন বা দরখাস্তের ক্ষেত্রে আবেদনকারী বা দরখাস্তকারীকে প্রদত্ত আইনগত সহায়তার ধরণ ও শর্ত নির্ধারণ করা;(গ) সুপ্রীম কোর্টে আইনগত সহায়তা কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পরিকল্পনা ও প্রকল্প গ্রহণ করা;(ঘ) সুপ্রীম কোর্টে আইনগত সহায়তা কার্যক্রম সম্পর্কে জনগণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা;(ঙ) বোর্ড কর্তৃক অর্পিত অন্যান্য দায়িত্ব পালন করা;(চ) উপরি-উক্ত দায়িত্ব ও কার্যাবলী সম্পাদনের জন্য প্রয়োজনীয় যে কোন কাজ করা।(২) সুপ্রীম কোর্ট কমিটি কর্তৃক পরিচালিত আইনগত সহায়তা কর্মসূচির সামগ্রিক দায়িত্ব কমিটির চেয়ারম্যানের উপর ন্যস্ত থাকিবে।(৩) সুপ্রীম কোর্ট কমিটির পক্ষে কমিটির চেয়ারম্যান প্রয়োজনে কমিটির সকল ক্ষমতা প্রয়োগ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিতে পারিবেন এবং কোন ক্ষেত্রে এইরূপ ক্ষমতা প্রয়োগ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হইলে উহা কমিটির পরবর্তী সভায় অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করিতে হইবে।
৮গ। (১) এই ধারার অন্যান্য বিধানাবলী সাপেক্ষে, সুপ্রীম কোর্ট কমিটি উহার সভার কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে।(২) সুপ্রীম কোর্ট কমিটির সভা উহার চেয়ারম্যান কর্তৃক নির্ধারিত স্থান ও সময়ে অনুষ্ঠিত হইবে:তবে শর্ত থাকে যে, প্রতি দুইমাস অন্তর অন্তর কমপক্ষে একটি সভা অনুষ্ঠিত হইবে।(৩) সুপ্রীম কোর্ট কমিটির চেয়ারম্যান উক্ত কমিটির সকল সভায় সভাপতিত্ব করিবেন।(৪) সুপ্রীম কোর্ট কমিটির সভার কোরামের জন্য উহার মোট সদস্য সংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ সদস্যের উপস্থিতির প্রয়োজন হইবে, তবে মূলতবী সভার ক্ষেত্রে কোন কোরামের প্রয়োজন হইবে না।(৫) শুধুমাত্র কোন সদস্য পদের শূন্যতা বা কমিটি গঠনে ক্রটি থাকার কারণে কমিটির কোন কার্য বা কার্যধারা অবৈধ হইবে না এবং তৎসম্পর্কে কোন প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না।]
৯৷ (১) প্রত্যেক জেলায় সংস্থার একটি জেলা কমিটি থাকিবে এবং উহা উপ-ধারা (২) এর বিধান সাপেতেগ নিম্নবর্ণিত সদস্য সমন্বয়ে গঠিত হইবে, যথা:-(ক) জেলা ও দায়রা জজ, যিনি ইহার চেয়ারম্যানও হইবেন;12[(কক) চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা তৎকর্তৃক মনোনীত অন্যূন অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা;]13[(খ) জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট বা তত্কর্তৃক মনোনীত অন্যুন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা;]14[(গ) জেলা পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট বা তত্কর্তৃক মনোনীত অন্যুন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট পদমর্যদার একজন কর্মকর্তা;]15[(গগ) সংশ্লিষ্ট জেলার সিভিল সার্জন বা তৎকর্তৃক মনোনীত একজন ডেপুটি সিভিল সার্জন;](ঘ) জেলার জেল সুপারিনটেনডেন্ট;(ঙ) জেলা সমাজকল্যাণ বিষয়ক কর্মকর্তা, যদি থাকে;16[(চ) জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা, যদি থাকে;(চচ) জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা, যদি থাকে;(চচচ) জেলা তথ্য কর্মকর্তা;](ছ) জাতীয় মহিলা সংস্থার জেলা কমিটির চেয়ারম্যান বা তত্কর্তৃক মনোনীত কমিটির একজন প্রতিনিধি;17[(ছছ) সরকার কর্তৃক মনোনীত সংশ্লিষ্ট জেলার পৌরসভার একজন মেয়র, একজন উপজেলা চেয়ারম্যান এবং একজন গণ্যমান্য ব্যক্তি;](জ) জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি;(ঝ) জেলার সরকারী উকিল;(ঞ) জেলার পাবলিক প্রসিকিউটর;18[(ঞঞ) মহানগর দায়রা আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর;](ট) জেলার বেসরকারী কারাগার পরিদর্শক, যদি থাকে, তাহাদের মধ্য হইতে সরকার কর্তৃক মনোনীত একজন বেসরকারী কারাগার পরিদর্শক;19[(টট) পার্বত্য জেলার ক্ষেত্রে, সংশ্লিষ্ট পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কর্তৃক মনোনীত উক্ত জেলা পরিষদের দুইজন সদস্য, যাহাদের মধ্যে একজন মহিলা থাকিবেন;](ঠ) জেলা কমিটির চেয়ারম্যান কর্তৃক মনোনীত জেলার বেসরকারী স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, যদি থাকে, এর একজন প্রতিনিধি;20[(ড) জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক;]21[(ঢ) 22[চীফ লিগ্যাল এইড অফিসার], যিনি ইহার সদস্য-সচিবও হইবেন।](২) যেইসব জেলায় মেট্রোপলিটন শহর রহিয়াছে সেইসব জেলার জেলা কমিটিতে 23[মহানগর দায়রা জজ,] চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট এবং মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারও সদস্য থাকিবেন৷24[(২ক) যদি কোন জেলায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল থাকে, তাহা হইলে উক্ত ট্রাইব্যুনালের বিচারক ও বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর জেলা কমিটির সদস্য হইবেন:তবে শর্ত থাকে যে, কোন জেলায় একাধিক নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল থাকিলে উক্ত ট্রাইব্যুনালসমূহে কর্মরত বিচারকগণের মধ্যে যিনি জ্যেষ্ঠ এবং নিয়োগপ্রাপ্ত বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটরগণের মধ্যে যিনি জ্যেষ্ঠ, সদস্য হইবেন৷]25[(২খ) যে সকল জেলায় সিটি কর্পোরেশন রহিয়াছে সেই সকল জেলায় জেলা কমিটিতে সংশ্লিষ্ট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র কর্তৃক মনোনীত দুইজন কাউন্সিলর, যাহাদের মধ্যে একজন মহিলা থাকিবেন।]26[(৩) উপ-ধারা (১) এর দফা (ছ), (ট) ও (ঠ) এর অধীন মনোনীত সদস্যগণ এবং দফা (ছছ) এর অধীন মনোনীত গণ্যমান্য ব্যক্তি তাহাদের মনোনয়নের তারিখ হইতে দুই বৎসর মেয়াদে স্বীয় পদে বহাল থাকিবেনঃতবে শর্ত থাকে যে, উক্ত মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্বেই মনোনয়নকারী কর্তৃপক্ষ কোন কারণ না দর্শাইয়া উক্তরূপ কোন সদস্যকে তাহার পদ হইতে অপসারণ করিতে পারিবেঃআরো শর্ত থাকে যে, উক্তরূপ কোন সদস্য সরকারের উদ্দেশ্যে স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে স্বীয় পদ ত্যাগ করিতে পারিবেন।]
১০৷ 27[(১)] জেলা কমিটির দায়িত্ব ও কার্যাবলী হইবে নিম্নরূপ, যথা:-(ক) সংস্থা কর্তৃক নিরূপিত যোগ্যতা ও প্রণীত নীতিমালা অনুসারে আর্থিকভাবে অসচ্ছল, সহায়-সম্বলহীন এবং নানাবিধ আর্থ-সামাজিক কারণে বিচার প্রাপ্তিতে অসমর্থ বিচারপ্রার্থীগণের আবেদন বা দরখাস্ত্ম বিবেচনাক্রমে যতদূর সম্ভব আইনগত সহায়তা প্রদান করা;(খ) মঞ্জুরকৃত আবেদন বা দরখাস্ত্মের তেগত্রে, আবেদনকারী বা দরখাস্তকারীকে প্রদত্ত আইনগত সহায়তার ধরন ও শর্ত নির্ধারণ করা;(গ) জেলা পর্যায়ে আইনগত সহায়তা কর্মসূচী বাস্ত্মবায়নের লতেগ্য পরিকল্পনা ও প্রকল্প গ্রহণ করা;(ঘ) আইনগত সহায়তা সম্পর্কে জনগণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে জেলা পর্যায়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা;28(ঘঘ) উপজেলা এবং ইউনিয়ন কমিটি কর্তৃক প্রেরিত দরখাস্ত্ম বা সুপারিশ বিবেচনাক্রমে আইনগত সহায়তা প্রদান করা; বোর্ড কর্তৃক অর্পিত অন্যান্য দায়িত্ব পালন করা;(চ) উপরি-উক্ত দায়িত্ব ও কার্যাবলী সম্পাদনের জন্য প্রয়োজনীয় যে কোন কাজ করা৷29[(২) জেলা কমিটির পক্ষে কমিটির চেয়ারম্যান প্রয়োজনে কমিটির সকল ক্ষমতা প্রয়োগ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিতে পারিবেন এবং কোন ক্ষেত্রে এইরূপ ক্ষমতা প্রয়োগ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হইলে উহা কমিটির পরবর্তী সভায় অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করিতে হইবে।]
১১৷ (১) এই ধারার অন্যান্য বিধানাবলী সাপেতেগ, জেলা কমিটি উহার সভার কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে৷(২) জেলা কমিটির সভা উহার চেয়ারম্যান কর্তৃক নির্ধারিত স্থান ও সময়ে অনুষ্ঠিত হইবে:তবে শর্ত থাকে যে, প্রতিমাসে জেলা কমিটির কমপতেগ একটি সভা অনুষ্ঠিত হইবে৷(৩) জেলা কমিটির চেয়ারম্যান উক্ত কমিটির সকল সভায় সভাপতিত্ব করিবেন৷(৪) জেলা কমিটির সভার কোরামের জন্য উহার মোট সদস্য সংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ সদস্যের উপস্থিতির প্রয়োজন হইবে, তবে মূলতবী সভার তেগত্রে কোন কোরামের প্রয়োজন হইবে না৷(৫) শুধুমাত্র কোন সদস্য পদের শূন্যতা বা কমিটি গঠনে ত্রুটি থাকার কারণে কমিটির কোন কার্য বা কার্যধারা অবৈধ হইবে না এবং তত্সম্পর্কে কোন প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না৷
১২৷ (১) সংস্থা, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে এবং সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, প্রতিটি উপজেলায় সংস্থার উপজেলা কমিটি এবং প্রতিটি ইউনিয়নে সংস্থার ইউনিয়ন কমিটি গঠন করিতে পারিবে৷(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রত্যেক উপজেলা কমিটি ও ইউনিয়ন কমিটি একজন চেয়ারম্যান ও চৌদ্দজন সদস্য সমন্বয়ে গঠিত হইবে এবং চেয়ারম্যান ও সদস্যদের যোগ্যতা, অপসরাণ, পদত্যাগ ইত্যাদি প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে৷(৩) উপ-ধারা (১) এর অধীন গঠিত সংস্থার উপজেলা কমিটি ও ইউনিয়ন কমিটির দায়িত্ব, কার্যাবলী এবং সভার কার্য পদ্ধতি প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে৷
30[১২ক। (১) এই আইনের অন্যান্য বিধানে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, সংস্থা, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে এবং সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, শ্রম আদালত ও দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে অবস্থিত বিভিন্ন আদালতের চৌকির জন্য পৃথক পৃথকভাবে এক বা একাধিক বিশেষ কমিটি গঠন করিতে পারিবে।(২) একজন চেয়ারম্যান ও চৌদ্দজন সদস্য সমন্বয়ে বিশেষ কমিটি গঠিত হইবে এবং চেয়ারম্যান ও সদস্যদের মনোনয়ন, মনোনয়নের যোগ্যতা, অপসারণ, পদত্যাগ ইত্যাদি প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে।(৩) বিশেষ কমিটির দায়িত্ব, কার্যাবলী এবং সভার কার্য পদ্ধতি প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে।]
১৩৷ (১) বোর্ডের একটি তহবিল থাকিবে এবং উহাতে নিম্নলিখিত অর্থ জমা হইবে, যথা:-(ক) সরকার কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান;(খ) স্থানীয় কর্তৃপতগ, অন্য কোন প্রতিষ্ঠান, কোম্পানী বা ব্যক্তি কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান;(গ) কোন বিদেশী সংস্থা কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান;(ঘ) বোর্ড কর্তৃক অন্য যে কোন উত্স হইতে প্রাপ্ত অর্থ৷(২) এই তহবিলের অর্থ বোর্ডের নামে তত্কর্তৃক অনুমোদিত কোন তফসিলি ব্যাংকে জমা রাখা হইবে৷31(৩) বোর্ডের সদস্য, সচিব, আইন ও বিচার বিভাগ এবং সদস্য-সচিব এর যৌথ স্বাক্ষরে এই তহবিলের অর্থ উত্তোলন করা যাইবে। এই তহবিল হইতে, প্রয়োজন অনুসারে, জেলা কমিটিকে অর্থ বরাদ্দ করা হইবে৷(৫) এই তহবিল হইতে, বোর্ডের প্রয়োজনীয় যাবতীয় ব্যয় নির্বাহ করা হইবে৷(৬) বোর্ড উহার তহবিল সরকার কর্তৃক অনুমোদিত কোন খাতে বিনিয়োগ করিতে পারিবে৷
32[১৩ক। (১) সুপ্রীম কোর্ট কমিটির একটি তহবিল থাকিবে এবং উহাতে বোর্ড কর্তৃর্ক বরাদ্দকৃত অর্থ, কোন ব্যক্তি বা সংস্থা কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান এবং অন্য কোন উৎস হইতে প্রাপ্ত অর্থ জমা হইবে।(২) সুপ্রীম কোর্ট কমিটির তহবিলের অর্থ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের কোন শাখায় জমা রাখা হইবে এবং সুপ্রীম কোর্ট কমিটির সদস্য-সচিব ও কমিটির চেয়ারম্যান কর্তৃক মনোনীত অপর একজন সদস্যের যৌথ স্বাক্ষরে এই তহবিলের অর্থ উত্তোলন করা যাইবে।(৩) এই তহবিল হইতে মঞ্জুরীকৃত আবেদন বা দরখাস্ত অনুযায়ী আর্থিকভাবে অসচ্ছল, সহায়-সম্বলহীন এবং নানাবিধ আর্থ-সামাজিক কারণে বিচার প্রাপ্তিতে অসমর্থ বিচারপ্রার্থীগণকে আইনগত সহায়তা প্রদান করা হইবে এবং সুপ্রীম কোর্ট কমিটির প্রয়োজনীয় ব্যয় নির্বাহ করা হইবে।]
১৪৷ (১) প্রতিটি জেলা কমিটির একটি তহবিল থাকিবে এবং উহাতে বোর্ড কর্তৃক বরাদ্দকৃত অর্থ কোন ব্যক্তি বা সংস্থা কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান এবং অন্য কোন উত্স হইতে প্রাপ্ত অর্থ জমা হইবে৷(২) জেলা কমিটির তহবিলের অর্থ জেলাস্থ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের কোন শাখায় জমা রাখা হইবে এবং জেলা কমিটির চেয়ারম্যান ও সদস্য-সচিব এর যৌথ স্বাতগরে এই তহবিলের অর্থ উত্তোলন করা যাইবে৷(৩) এই তহবিল হইতে মঞ্জুরীকৃত আবেদন বা দরখাস্ত্ম অনুযায়ী আর্থিকভাবে অসচ্ছল, সহায়-সম্বলহীন এবং নানাবিধ আর্থ-সামাজিক কারণে বিচার প্রাপ্তিতে অসমর্থ বিচারপ্রার্থীগণকে আইনগত সহায়তা প্রদান করা হইবে এবং জেলা কমিটির প্রয়োজনীয় ব্যয় নির্বাহ করা হইবে৷
33[১৪ক। (১) প্রতিটি বিশেষ কমিটির একটি তহবিল থাকিবে এবং উহাতে বোর্ড কর্তৃক বরাদ্দকৃত অর্থ কোন ব্যক্তি বা সংস্থা কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান এবং অন্য কোন উৎস হইতে প্রাপ্ত অর্থ জমা হইবে।(২) বিশেষ কমিটির তহবিলের অর্থ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের কোন শাখায় জমা রাখা হইবে এবং প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত সদস্যদের যৌথ স্বাক্ষরে এই তহবিলের অর্থ উত্তোলন করা যাইবে।(৩) এই তহবিল হইতে মঞ্জুরীকৃত আবেদন বা দরখাস্ত অনুযায়ী আর্থিকভাবে অসচ্ছল, সহায়-সম্বলহীন এবং নানাবিধ আর্থ-সামাজিক কারণে বিচার প্রাপ্তিতে অসমর্থ বিচারপ্রার্থীগণকে আইনগত সহায়তা প্রদান করা হইবে এবং বিশেষ কমিটির প্রয়োজনীয় ব্যয় নির্বাহ করা হইবে।]
১৫৷ (১) 34[সুপ্রীমকোর্ট কমিটি] এই আইনের আওতায় প্রদত্ত আইনগত সহায়তার অধীনে বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্টে দায়েরযোগ্য বা দায়েরকৃত মামলার পরামর্শ প্রদান ও মামলা পরিচালনার জন্য সুপ্রীমকোর্টের মামলা পরিচালনায় অন্যুন 35[৫ (পাঁচ)] বত্সরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন আইনজীবীগণের মধ্য হইতে একটি তালিকা প্রণয়ন করিবে 36[;]37[তবে শর্ত থাকে যে, এইরূপ তালিকায় অন্তর্ভুক্তির জন্য বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্টে আইনজীবী হিসাবে তালিকাভুক্ত অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজগণের ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতার শর্ত শিথিলযোগ্য।](২) প্রত্যেক জেলা কমিটি এই আইনের আওতায় প্রদত্ত আইনগত সহায়তার অধীনে জেলার কোন আদালতে দায়েরযোগ্য বা দায়েরকৃত মামলার পরামর্শ প্রদান ও মামলা পরিচালনার জন্য জেলা আদালতে মামলা পরিচালনায় অন্যুন ৫ (পাঁচ) বত্সরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন আইনজীবীগণের মধ্য হইতে একটি তালিকা প্রণয়ন করিবে৷38[(২ক) বিশেষ কমিটি এই আইনের আওতায় প্রদত্ত আইনগত সহায়তার অধীনে শ্রম আদালত বা চৌকি আদালতে দায়েরযোগ্য বা দায়েরকৃত মামলার পরামর্শ প্রদান ও মামলা পরিচালার জন্য সংশ্লিষ্ট শ্রম আদালত বা চৌকি আদালতে মামলা পরিচালনায় অন্যূন ৫ (পাঁচ) বৎসরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন আইনজীবীগণের মধ্য হইতে একটি তালিকা প্রণয়ন করিবে।](৩) এই ধারার অধীন প্রণীত প্রত্যেক তালিকায় অন্যুন 39[এক-তৃতীয়াংশ] মহিলা আইনজীবী, যদি উপযুক্ত পাওয়া যায়, রাখা হইবে৷(৪) কোন বিচারপ্রার্থীর আবেদন বা দরখাস্ত বিবেচনাক্রমে যদি কোন ক্ষেত্রে, আইনগত সহায়তা প্রদানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়, তাহা হইলে 40[সুপ্রীম কোর্ট কমিটি বা, ক্ষেত্রমত, জেলা কমিটি বা বিশেষ কমিটি] উক্ত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত কোন আইনজীবীকে এতদুদ্দেশ্যে নিযুক্ত করিবে:তবে শর্ত থাকে যে, এইরূপ নিযুক্তির ক্ষেত্রে বিচারপ্রার্থীর পছন্দ, যতদূর সম্ভব, বিবেচনা করা হইবে।41[(৫) উপ-ধারা (৪) এর অধীন নিযুক্ত আইনজীবীকে প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হারে সম্মানি বা ফি প্রদান করা হইবে।]
42[১৫ক। (১) এই আইনের অধীনে স্পেশাল মেডিয়েটর হিসাবে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সংস্থা, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ এবং মধ্যস্থতা বিষয়ে অভিজ্ঞ ও বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত আইনজীবীগণের মধ্য হইতে স্পেশাল মেডিয়েটরগণের একটি তালিকা প্রস্তুত করিবে।(২) সংস্থা, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, উক্ত তালিকা হইতে প্রত্যেক লিগ্যাল এইড অফিসে মধ্যস্থতা কার্যক্রমের চাহিদা ও প্রয়োজনীয়তা বিবেচনায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক স্পেশাল মেডিয়েটর নিয়োগ প্রদান করিবে।(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন নিযুক্ত স্পেশাল মেডিয়েটরগণ বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে দায়িত্ব পালন করিবে।(৪) উপ-ধারা (২) এর অধীন নিযুক্ত স্পেশাল মেডিয়েটরকে প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে সম্মানি বা ফি প্রদান করা হইবে।]
১৬৷ (১) এই আইনের অধীন আইনগত সহায়তার জন্য সকল আবেদন 43[সুপ্রীম কোর্ট কমিটি, জেলা কমিটি বা বিশেষ কমিটির] নিকট পেশ করিতে হইবে৷(২) এই আইনের অধীন কোন আবেদন বা দরখাস্ত জেলা কমিটি 44[বা বিশেষ কমিটি] কর্তৃক অগ্রাহ্য হইলে উহা মঞ্জুরীর জন্য সংতগুব্ধ বিচারপ্রার্থী উক্তরূপ সিদ্ধান্তর তারিখ হইতে ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে বোর্ডের নিকট আপীল পেশ করিতে পারিবেন এবং এই ব্যাপারে বোর্ডের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হইবে৷
১৭৷ সংস্থা প্রতি বত্সর সরকার কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে নির্দিষ্টকৃত সময়ের মধ্যে পরবর্তী অর্থ বত্সরের বার্ষিক বাজেট বিবরণী সরকারের নিকট পেশ করিবে এবং উহাতে উক্ত অর্থ বত্সরে সরকারের নিকট হইতে সংস্থার কি পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন উহার উল্লেখ থাকিবে৷
১৮৷ (১)45[বোর্ড, সুপ্রীম কোর্ট কমিটি, জেলা কমিটি এবং বিশেষ কমিটি] উহাদের আয়-ব্যয়ের হিসাববহি প্রচলিত আইন অনুসরণক্রমে যথাযথভাবে সংরতগণ করিবে৷(২) বাংলাদেশের মহা-হিসাব নিরীতগক ও নিয়ন্ত্রক, অতঃপর মহা-হিসাব নিরীতগক নামে অভিহিত, প্রতি বত্সর সংস্থার হিসাব নিরীতগা করিবেন এবং নিরীতগা রিপোর্টের একটি করিয়া অনুলিপি সরকার ও সংস্থার নিকট পেশ করিবেন৷(৩) উপ-ধারা (২) মোতাবেক হিসাব নিরীতগার উদ্দেশ্যে মহা-হিসাব নিরীতগক কিংবা তাহার নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে তগমতাপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি সংস্থার সকল রেকর্ড দলিল-দস্ত্মাবেজ নগদ বা ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, জামানত ভাণ্ডার এবং অন্যবিধ সম্পত্তি পরীতগা করিয়া দেখিতে পারিবেন এবং যে কোন সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করিতে পারিবেন৷
২০৷ (১) সরকার সংস্থার নিকট হইতে যে কোন সময় উহার যে কোন বিষয়ের উপর প্রতিবেদন এবং বিবরণী আহবান করিতে পারিবে এবং সংস্থা উহা সরকারের নিকট সরবরাহ করিতে বাধ্য থাকিবে৷46[(২) প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত সময়, পদ্ধতি ও ফরমে সুপ্রীম কোর্ট কমিটি, জেলা কমিটি এবং বিশেষ কমিটি উহার সম্পাদিত কার্যাবলীর খতিয়ান সম্বলিত প্রতিবেদন সংস্থার নিকট প্রেরণ করিবে।]
২১৷ (১) সংস্থার একজন 48[নির্বাহী পরিচালক] থাকিবেন এবং তিনি সরকার কর্তৃক নিযুক্ত হইবেন৷(২) 49[নির্বাহী পরিচালক], সংস্থার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য দায়ী থাকিবেন এবং বোর্ডের নির্দেশ মোতাবেক সংস্থার কার্য সম্পাদন করিবেন।(৩) সংস্থা, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ করিতে পারিবে।(৪) উপ-ধারা (১) এর অধীন 50[নির্বাহী পরিচালক] নিয়োগ না হওয়া অবধি আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের মধ্য হইতে চেয়ারম্যান কর্তৃক মনোনীত কোন কর্মকর্তা 51[নির্বাহী পরিচালক]রূপে কাজ করিবেন৷(৫) উপ-ধারা (৩) এর অধীন কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ না হওয়া অবধি আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় উহার বিদ্যমান কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্য হইতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মকর্তা ও কর্মচারী দ্বারা উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত কার্য সম্পাদনে 52[নির্বাহী পরিচালক]কে সহায়তা প্রদান করিবে।
54[২১ক। 55[(১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিসের সদস্যদের মধ্য হইতে, প্রয়োজনীয় সংখ্যক চীফ লিগ্যাল এইড অফিসার এবং লিগ্যাল এইড অফিসার নিয়োগ ও পদায়ন করিবে এবং তাহাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য সংস্থা, সময় সময়, আদেশ দ্বারা নির্ধারণ করিবে।]56[(১ক) উপ-ধারা (১) এর অধীন চীফ লিগ্যাল এইড অফিসার পদায়ন না হওয়া পর্যন্ত সংস্থা আদেশ দ্বারা লিগ্যাল এইড অফিসারকে, ক্ষেত্রমত, চীফ লিগ্যাল এইড অফিসারের দায়িত্ব প্রদান করিতে পারিবে।]57[(২) চীফ লিগ্যাল এইড অফিসার বা লিগ্যাল এইড অফিসার আইনগত সহায়তা প্রার্থীকে, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, আইনি পরামর্শ প্রদান করিতে পারিবে, মামলাপূর্ব মধ্যস্থতার (Pre-case Mediation) উদ্যোগ গ্রহণ করিতে পারিবে এবং প্রচলিত আইনের অধীন আপসযোগ্য যে কোন বিষয় কোন আদালত বা ট্রাইব্যুনাল মামলা দায়ের-পরবর্তী মধ্যস্থতা (Post-case Mediation) কার্যক্রমের জন্য প্রেরণ করিলে উহা নিষ্পত্তির ক্ষমতা সংশ্লিষ্ট অফিসারের থাকিবে।]]
60[২১গ। (১) পক্ষগণের সহি/স্বাক্ষর ও মধ্যস্থতাকারীর স্বাক্ষরক্রমে সম্পাদিত এবং চীফ লিগ্যাল এইড অফিসার কর্তৃক প্রত্যায়িত প্রতিটি মধ্যস্থতা চুক্তি চূড়ান্ত, বলবৎযোগ্য এবং পক্ষগণের উপর বাধ্যকর হইবে।(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন চুক্তি আদালতের ডিক্রি অথবা ক্ষেত্রমত, চূড়ান্ত আদেশ হিসাবে গণ্য হইবে এবং এখতিয়ারসম্পন্ন আদালতের মাধ্যমে উক্ত ডিক্রি বা আদেশ জারি করা যাইবে।
২১ঘ। এই আইনের অধীন মামলাপূর্ব মধ্যস্থতা কার্যক্রম চলমান অবস্থায় বিশেষ কোন ব্যবস্থা গ্রহণের কারণ উদ্ভূত হইলে লিগ্যাল এইড অফিস প্রয়োজনীয় আদেশ বা নির্দেশ দিতে পারিবে এবং উক্ত আদেশ বা নির্দেশ বাস্তবায়নে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, সংবিধিবদ্ধ সরকারি সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করিবে।
২১ঙ। এই আইন, বিধি বা প্রবিধানের অধীন সরল বিশ্বাসে (in Good Faith) কৃত কোন কাজের ফলে কোন ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হইলে বা তাহার ক্ষতিগ্রস্ত হইবার সম্ভাবনা থাকিলে তজ্জন্য বোর্ড, চেয়ারম্যান, সদস্য, নির্বাহী পরিচালক বা সংস্থার অন্য কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারী, চীফ লিগ্যাল এইড অফিসার, লিগ্যাল এইড অফিসার বা স্পেশাল মেডিয়েটর এর বিরুদ্ধে কোন দেওয়ানী বা ফৌজদারী মামলা বা অন্য কোন প্রকার আইনগত কার্যধারা রুজু করিতে পরিবেন না। ]
২৫৷ এই আইন প্রবর্তনের পর সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের ইংরেজীতে অনুদিত একটি নির্ভরযোগ্য পাঠ প্রকাশ করিবে, যাহা এই আইনের অনুমোদিত ইংরেজী পাঠ (Authentic English Text) নামে অভিহিত হইবে:তবে শর্ত থাকে যে, এই আইন ও উক্ত ইংরেজী পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে এই আইন প্রাধান্য পাইবে৷
২৬৷ (১) সংস্থা প্রতিষ্ঠার সংগে সংগে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ৫ই চৈত্র, ১৪০৩ বাং মোতাবেক ১৯শে মার্চ, ১৯৯৭ ইং তারিখে এস, আর, ও নম্বর ৭৪-আইন/১৯৯৭ এর মাধ্যমে জারীকৃত রিজলিউশন, অতঃপর উক্ত রিজলিউশন বলিয়া উল্লিখিত, বাতিল হইয়া যাইবে৷(২) উক্ত রিজলিউশন বাতিল হইবার সংগে সংগে উক্ত রিজলিউশনের অধীন-(ক) গঠিত জাতীয় আইনগত সহায়তা কমিটি এবং জেলা কমিটিগুলি বিলুপ্ত হইবে;(খ) বিলুপ্ত জাতীয় আইনগত সহায়তা কমিটি ও জেলা কমিটির সকল সম্পদ এবং নগদ ও ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ যথাক্রমে সংস্থা ও এই আইনের অধীন গঠিত জেলা কমিটির সম্পদ ও অর্থ হইবে;(গ) বিলুপ্ত জাতীয় আইনগত সহায়তা কমিটি এবং জেলা কমিটি কর্তৃক আইনগত সহায়তা প্রদানের উদ্দেশ্যে প্রদত্ত অর্থ যথাক্রমে বোর্ড বা, ক্ষেত্রমত, এই আইনের অধীন গঠিত জেলা কমিটি কর্তৃক প্রদত্ত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে৷
“৫ (পাঁচ)” সংখ্যা, শব্দ এবং বন্ধনী “৭ (সাত)” সংখ্যা, শব্দ বন্ধনীর এবং পরিবর্তে আইনগত সহায়তা প্রদান (সংশোধন) আইন, ২০০৬ (২০০৬ সনের ২৬ নং আইন) এর ৬ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত
উপ-ধারা (২ক) আইনগত সহায়তা প্রদান (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ৬২ নং আইন) এর ১১ (খ) ধারাবলে সন্নিবেশিত।
39
‘‘এক-তৃতীয়াংশ’’ শব্দগুলি ও চিহ্ন ‘‘একজন’’ শব্দটির পরিবর্তে আইনগত সহায়তা প্রদান (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ৬২ নং আইন) এর ১১ (গ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
40
‘‘সুপ্রীম কোর্ট কমিটি বা, ক্ষেত্রমত, জেলা কমিটি বা বিশেষ কমিটি ’’ শব্দগুলি ও কমাগুলি ‘‘বোর্ড বা, ক্ষেত্রমত, জেলা কমিটি’’ শব্দগুলি ও কমাগুলির পরিবর্তে আইনগত সহায়তা প্রদান (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ৬২ নং আইন) এর ১১ (ঘ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
‘‘সুপ্রীম কোর্ট কমিটি, জেলা কমিটি বা বিশেষ কমিটির’’ শব্দগুলি ও কমা ‘‘বোর্ড বা, ক্ষেত্রমত, জেলা কমিটির’’ শব্দগুলি ও কমাগুলির পরিবর্তে আইনগত সহায়তা প্রদান (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ৬২ নং আইন) এর ১২ (ক) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
44
‘‘বা বিশেষ কমিটি’’ শব্দগুলি ‘‘জেলা কমিটি’’ শব্দগুলির পর আইনগত সহায়তা প্রদান (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ৬২ নং আইন) এর ১২ (খ) ধারাবলে সন্নিবেশিত।
45
‘‘বোর্ড, সুপ্রীম কোর্ট কমিটি, জেলা কমিটি এবং বিশেষ কমিটি’’ শব্দগুলি ও কমা ‘‘বোর্ড এবং জেলা কমিটি’’ শব্দগুলির পরিবর্তে আইনগত সহায়তা প্রদান (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ৬২ নং আইন) এর ১৩ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
46
উপ-ধারা (২) আইনগত সহায়তা প্রদান (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ৬২ নং আইন) এর ১৪ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।