যেহেতু নিম্নবর্ণিত উদ্দেশ্যসমূহ পূরণকল্পে, আইনগত সহায়তা প্রদান আইন, ২০০০ (২০০০ সনের ৬ নং আইন) এর অধিকতর সংশোধন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়; এবংযেহেতু সংসদ ভাঙ্গিয়া যাওয়া অবস্থায় রহিয়াছে এবং রাষ্ট্রপতির নিকট ইহা সন্তোষজনকভাবে প্রতীয়মান হইয়াছে যে, আশু ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় পরিস্থিতি বিদ্যমান রহিয়াছে;সেহেতু গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৯৩(১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি নিম্নরূপ অধ্যাদেশ প্রণয়ন ও জারি করিলেন:-
১। (১) এই অধ্যাদেশ আইনগত সহায়তা প্রদান (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ নামে অভিহিত হইবে।(২) সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, যে তারিখ ও এলাকা নির্ধারণ করিবে, সেই তারিখ হইতে সেই এলাকার জন্য এই অধ্যাদেশের নিম্নবর্ণিত ধারার বিধান কার্যকর হইবে, যথা:-(ক) এই অধ্যাদেশের ধারা ১১ এ উল্লেখিত আইনগত সহায়তা প্রদান আইন, ২০০০ এ সন্নিবেশিত ধারা ২১খ ও ২১গ এর বিধান; এবং(খ) এই অধ্যাদেশের ধারা ১২ এ উল্লেখিত আইনগত সহায়তা প্রদান আইন, ২০০০ এ সংযোজিত তফসিলের বিধান।(৩) উপ-ধারা (২) এ উল্লেখিত ধারা ব্যতীত এই অধ্যাদেশের অন্যান্য ধারার বিধান অবিলম্বে কার্যকর হইবে।
২। আইনগত সহায়তা প্রদান আইন, ২০০০ (২০০০ সনের ৬ নং আইন), অতঃপর উক্ত আইন বলিয়া উল্লিখিত, এর ধারা ২ এর পরিবর্তে নিম্নরূপ ধারা ২ প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:-“২। সংজ্ঞা।- বিষয় বা প্রসংগের পরিপন্থী কোন কিছু না থাকিলে, এই আইনে,-(ক) “আইনগত সহায়তা” অর্থ-(অ) আর্থিকভাবে অসচ্ছল, সহায়-সম্বলহীন এবং নানাবিধ আর্থ-সামাজিক কারণে বিচারপ্রাপ্তিতে অসমর্থ বিচারপ্রার্থীকে-(১) কোন আদালতে দায়েরযোগ্য, দায়েরকৃত বা বিচারাধীন মামলায় আইনি পরামর্শ ও সহায়তা প্রদান;(২) Code of Civil Procedure, 1908 (Act No. V of 1908) এবং প্রচলিত অন্যান্য আইনের বিধান অনুসারে মধ্যস্থতার মাধ্যমে কোন বিরোধ বা মামলা নিষ্পত্তির উদ্দেশ্যে নিযুক্ত মধ্যস্থতাকারী বা এই আইনের অধীন নিযুক্ত স্পেশাল মেডিয়েটরকে সম্মানি প্রদান;(৩) মামলার আনুষঙ্গিক খরচ প্রদানসহ অন্য যে কোন সহায়তা প্রদান;(আ) যে কোন আবেদনকারীকে আইনি তথ্য ও পরামর্শসেবা প্রদান;(ই) মামলাপূর্ব যেকোন বিরোধ মধ্যস্থতার মাধ্যমে নিষ্পত্তি;(ঈ) যেকোন আদালত বা ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক প্রেরিত মামলা মধ্যস্থতার মাধ্যমে নিষ্পত্তি;(খ) “আদালত” অর্থ বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের উভয় বিভাগসহ বাংলাদেশের যেকোন আদালত;(গ) “আবেদন” বা ‘দরখাস্ত’ অর্থ আইনগত সহায়তা প্রাপ্তির কোন আবেদন বা দরখাস্ত;(ঘ) “চেয়ারম্যান” অর্থ বোর্ডের চেয়ারম্যান;(ঙ) “চীফ লিগ্যাল এইড অফিসার”, “লিগ্যাল এইড অফিসার” অর্থ ধারা ২১ক এর অধীন নিয়োগকৃত চীফ লিগ্যাল এইড অফিসার ও লিগ্যাল এইড অফিসার;(চ) “জেলা কমিটি” অর্থ এই আইনের অধীন গঠিত জেলা কমিটি;(ছ) “নির্বাহী পরিচালক” অর্থ সংস্থার নির্বাহী পরিচালক;(জ) “প্রবিধান” অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত প্রবিধান;(ঝ) “বিচারপ্রার্থী” অর্থ কোন আদালতে দায়েরযোগ্য বা দায়েরকৃত দেওয়ানী, পারিবারিক বা ফৌজদারী বা অন্য কোন মামলার সম্ভাব্য বা প্রকৃত বাদী, বিবাদী, ফরিয়াদী বা আসামী;(ঞ) “বিধি” অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি;(ট) “বিশেষ কমিটি” অর্থ এই আইনের অধীন গঠিত বিশেষ কমিটি;(ঠ) “বোর্ড” অর্থ ধারা ৬ এর অধীন গঠিত জাতীয় পরিচালনা বোর্ড;(ড) “মধ্যস্থতা” অর্থ এমন একটি আইনি প্রক্রিয়া যাহা এই আইনের অধীন নিয়োজিত চীফ লিগ্যাল এইড অফিসার, লিগ্যাল এইড অফিসার বা স্পেশাল মেডিয়েটর কর্তৃক বিবদমান পক্ষগণের মধ্যকার দ্বন্দ্ব নিরসনে পক্ষদের বা তাহাদের প্রতিনিধিদের শারীরিক বা ভার্চুয়াল উপস্থিতিতে পারস্পরিক সমঝোতার মাধ্যমে বিরোধ নিষ্পত্তিতে সহায়তা করা, যাহা মামলাপূর্ব মধ্যস্থতা (Pre-case Mediation) এবং আদালত বা ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক প্রেরিত মামলা দায়ের-পরবর্তী মধ্যস্থতা (Post-case Mediation)-কে অন্তর্ভুক্ত করিবে;(ঢ) “মধ্যস্থতাকারী” অর্থ চীফ লিগ্যাল এইড অফিসার, লিগ্যাল এইড অফিসার বা, ক্ষেত্রমত, স্পেশাল মেডিয়েটর;(ণ) “মধ্যস্থতা-চুক্তি (Mediation Agreement)” অর্থ মধ্যস্থতার মাধ্যমে পক্ষগণ কর্তৃক সম্পাদিত এবং চীফ লিগ্যাল এইড অফিসার কর্তৃক প্রত্যায়িত চুক্তিপত্র;(ত) “সদস্য” অর্থ বোর্ড বা, ক্ষেত্রমত, সুপ্রীম কোর্ট কমিটি, জেলা কমিটি, বিশেষ কমিটি, উপজেলা কমিটি বা ইউনিয়ন কমিটির কোন সদস্য;(থ) “সংস্থা” অর্থ এই আইনের অধীন প্রতিষ্ঠিত জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা;(দ) “সুপ্রীম কোর্ট কমিটি” অর্থ এই আইনের অধীন গঠিত সুপ্রীম কোর্ট কমিটি;(ধ) “স্পেশাল মেডিয়েটর” অর্থ ধারা ১৫ক এর উপ-ধারা (১) এর অধীন তালিকাভুক্ত স্পেশাল মেডিয়েটর।”।
৩। উক্ত আইনের ধারা ৬ এর পরিবর্তে নিম্নরূপ ধারা ৬ প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:-“৬। জাতীয় পরিচালনা বোর্ড।- (১) জাতীয় পরিচালনা বোর্ড নিম্নবর্ণিত সদস্য সমন্বয়ে গঠিত হইবে, যথা:-(ক) আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী/উপদেষ্টা, যিনি বোর্ডের চেয়ারম্যানও হইবেন;(খ) জাতীয় সংসদের স্পিকার মনোনীত ২ (দুই) জন সংসদ-সদস্য, যাহাদের একজন সরকারদলীয় এবং অপরজন বিরোধীদলীয় হইবেন;(গ) বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল;(ঘ) সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়;(ঙ) সচিব, আইন ও বিচার বিভাগ;(চ) সচিব, অর্থ বিভাগ;(ছ) সচিব, জননিরাপত্তা বিভাগ;(জ) সচিব, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়;(ঝ) সচিব, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়;(ঞ) রেজিস্ট্রার জেনারেল, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট;(ট) মহা-পুলিশ পরিদর্শক;(ঠ) মহা-কারা পরিদর্শক;(ড) ভাইস-চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ বার কাউন্সিল;(ঢ) সভাপতি, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবী সমিতি;(ণ) চেয়ারম্যান, জাতীয় মহিলা সংস্থা;(ত) সরকার কর্তৃক মনোনীত আইন ও অধিকার সম্পর্কিত বেসরকারি সংস্থার ৩ (তিন) জন প্রতিনিধি;(থ) সরকার কর্তৃক নারী সংস্থা হইতে মনোনীত ৩ (তিন) জন প্রতিনিধি; এবং(দ) নির্বাহী পরিচালক, জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা, যিনি ইহার সদস্য-সচিবও হইবেন।(২) উপ-ধারা (১) এর দফা (ত) ও (থ) এ উল্লিখিত সদস্যগণের প্রত্যেকে স্ব স্ব মনোনয়ন প্রাপ্তির তারিখ হইতে ২ (দুই) বৎসর মেয়াদে স্বীয় পদে বহাল থাকিবেন:তবে শর্ত থাকে যে, উপযুক্ত কারণ উদ্ভব হইলে সরকার উপ-ধারা (১) এর দফা (ত) ও (থ) এ উল্লিখিত সদস্যগণের যে কাহারো মনোনয়ন মেয়াদপূর্তির পূর্বেই বাতিল করিতে পারিবে:আরও শর্ত থাকে যে, উপ-ধারা (১) এর দফা (ত) ও (থ) এ উল্লিখিত সদস্যগণ সরকার বরাবর পদত্যাগপত্র প্রেরণপূর্বক স্বীয় পদ হইতে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করিতে পারিবেন।”।
৪। উক্ত আইনের ধারা ৭ এর দফা (ছ) এর প্রান্তস্থিত “।” দাঁড়ি চিহ্নের পরিবর্তে “;” সেমিকোলন চিহ্ন প্রতিস্থাপিত হইবে এবং অতঃপর নিম্নরূপ নূতন দফা (ছছ) ও (ছছছ) সন্নিবেশিত হইবে, যথা:-“(ছছ) এই আইনের অধীন নিযুক্ত চীফ লিগ্যাল এইড অফিসার, লিগ্যাল এইড অফিসার এবং স্পেশাল মেডিয়েটরগণের কার্যাবলি নিয়ন্ত্রণ ও তত্ত্বাবধান করা;(ছছছ) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, যেকোন সরকারি অথবা বেসরকারি সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের সহিত চুক্তি, সমঝোতা-স্মারক, ইত্যাদি সম্পাদন ও যেকোন ধরনের সহায়তা গ্রহণ করা;”।
৭। উক্ত আইনের ধারা ১৫ এর-(ক) উপ-ধারা (১) এর প্রান্তস্থিত “।” দাঁড়ি চিহ্নের পরিবর্তে “:” কোলন চিহ্ন প্রতিস্থাপিত হইবে এবং অতঃপর নিম্নরূপ নূতন শর্তাংশ সন্নিবেশিত হইবে, যথা:-“তবে শর্ত থাকে যে, এইরূপ তালিকায় অন্তর্ভুক্তির জন্য বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্টে আইনজীবী হিসাবে তালিকাভুক্ত অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজগণের ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতার শর্ত শিথিলযোগ্য।”;(খ) উপ-ধারা (৪) এর পর নিম্নরূপ নূতন উপ-ধারা (৫) সন্নিবেশিত হইবে, যথা:-“(৫) উপ-ধারা (৪) এর অধীন নিযুক্ত আইনজীবীকে প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হারে সম্মানি বা ফি প্রদান করা হইবে।”।
৮। উক্ত আইনের ধারা ১৫ এর পর নিম্নরূপ নূতন ধারা ১৫ক সন্নিবেশিত হইবে, যথা:-“১৫ক। স্পেশাল মেডিয়েটরগণের (Special Mediators) তালিকা।- (১) এই আইনের অধীনে স্পেশাল মেডিয়েটর হিসাবে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সংস্থা, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ এবং মধ্যস্থতা বিষয়ে অভিজ্ঞ ও বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত আইনজীবীগণের মধ্য হইতে স্পেশাল মেডিয়েটরগণের একটি তালিকা প্রস্তুত করিবে।(২) সংস্থা, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, উক্ত তালিকা হইতে প্রত্যেক লিগ্যাল এইড অফিসে মধ্যস্থতা কার্যক্রমের চাহিদা ও প্রয়োজনীয়তা বিবেচনায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক স্পেশাল মেডিয়েটর নিয়োগ প্রদান করিবে।(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন নিযুক্ত স্পেশাল মেডিয়েটরগণ বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে দায়িত্ব পালন করিবে।(৪) উপ-ধারা (২) এর অধীন নিযুক্ত স্পেশাল মেডিয়েটরকে প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে সম্মানি বা ফি প্রদান করা হইবে।”।
২০০০ সনের ৬ নং আইনে ধারা ২১খ, ২১গ, ২১ঘ ও ২১ঙ এর সন্নিবেশ
১১। ২০০০ সনের ৬ নং আইনে ধারা ২১খ, ২১গ, ২১ঘ ও ২১ঙ এর সন্নিবেশ।- উক্ত আইনের ধারা ২১ক এর পর নিম্নরূপ নূতন ধারা ২১খ, ২১গ, ২১ঘ ও ২১৬ সন্নিবেশিত হইবে, যথা:-“২১খ। কতিপয় ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক মামলাপূর্ব মধ্যস্থতা (Pre-case Mediation) প্রক্রিয়ার উদ্যোগ গ্রহণ।- (১) আপাতত বলবৎ অন্য কোন আইনে ভিন্নতর যাহা কিছুই থাকুক না কেন, মামলাপূর্ব মধ্যস্থতা বিষয়ে এই আইনের বিধানাবলি কার্যকর হইবে।(২) এই আইনের তফসিলে বর্ণিত বিরোধ নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে, সংক্ষুব্ধ পক্ষকে আবশ্যিকভাবে উক্ত বিরোধ প্রথমে লিগ্যাল এইড অফিসে মধ্যস্থতার মাধ্যমে নিষ্পত্তির উদ্দেশ্যে আবেদন করিতে হইবে, এবং মধ্যস্থতা প্রক্রিয়া ব্যর্থ হইলে বিরোধের কোন পক্ষ প্রয়োজনে উপযুক্ত আদালতে মামলা দায়ের করিতে পারিবে।(৩) উপ-ধারা (২) অনুসারে মামলা দায়েরের ক্ষেত্রে মামলা দায়েরকারীকে বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে প্রস্তুতকৃত প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট আদালতে বাধ্যতামূলকভাবে দাখিল করিতে হইবে।(৪) উপ-ধারা (২) অনুসারে মামলা দায়েরের ক্ষেত্রে মামলাপূর্ব মধ্যস্থতা প্রক্রিয়ায় ব্যয়িত সময় তামাদির মেয়াদ গণনার ক্ষেত্রে বাদ যাইবে।(৫) এই আইনের অধীন মধ্যস্থতা কার্যক্রম গ্রহণের ক্ষেত্রে চীফ লিগ্যাল এইড অফিসার, লিগ্যাল এইড অফিসার বা ক্ষেত্রমত, স্পেশাল মেডিয়েটর এর অধিক্ষেত্র সমগ্র জেলা ব্যাপী নির্ধারিত হইবে।২১গ। মধ্যস্থতা-চুক্তির কার্যকারিতা।-(১) পক্ষগণের সহি/স্বাক্ষর ও মধ্যস্থতাকারীর স্বাক্ষরক্রমে সম্পাদিত এবং চীফ লিগ্যাল এইড অফিসার কর্তৃক প্রত্যায়িত প্রতিটি মধ্যস্থতা চুক্তি চূড়ান্ত, বলবৎযোগ্য এবং পক্ষগণের উপর বাধ্যকর হইবে।(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন চুক্তি আদালতের ডিক্রি অথবা ক্ষেত্রমত, চূড়ান্ত আদেশ হিসাবে গণ্য হইবে এবং এখতিয়ারসম্পন্ন আদালতের মাধ্যমে উক্ত ডিক্রি বা আদেশ জারি করা যাইবে।২১ঘ। অন্যান্য সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের সহায়তা।- এই আইনের অধীন মামলাপূর্ব মধ্যস্থতা কার্যক্রম চলমান অবস্থায় বিশেষ কোন ব্যবস্থা গ্রহণের কারণ উদ্ভূত হইলে লিগ্যাল এইড অফিস প্রয়োজনীয় আদেশ বা নির্দেশ দিতে পারিবে এবং উক্ত আদেশ বা নির্দেশ বাস্তবায়নে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, সংবিধিবদ্ধ সরকারি সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করিবে।২১ঙ। সরল বিশ্বাসে কৃত কার্য রক্ষণ।- এই আইন, বিধি বা প্রবিধানের অধীন সরল বিশ্বাসে (in Good Faith) কৃত কোন কাজের ফলে কোন ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হইলে বা তাহার ক্ষতিগ্রস্ত হইবার সম্ভাবনা থাকিলে তজ্জন্য বোর্ড, চেয়ারম্যান, সদস্য, নির্বাহী পরিচালক বা সংস্থার অন্য কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারী, চীফ লিগ্যাল এইড অফিসার, লিগ্যাল এইড অফিসার বা স্পেশাল মেডিয়েটর এর বিরুদ্ধে কোন দেওয়ানী বা ফৌজদারী মামলা বা অন্য কোন প্রকার আইনগত কার্যধারা রুজু করিতে পরিবেন না।”।