যেহেতু সরকার কতিপয় সম্পত্তি পরিত্যক্ত সম্পত্তি হিসাবে ঘোষণাপূর্বক ‘ক’ এবং ‘খ’ তালিকাভুক্ত করিয়াছে এবং উক্ত তালিকাভুক্ত সম্পত্তি হইতে কতিপয় সম্পত্তি তালিকাভুক্তির আগে বা পরে বিভিন্ন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এর নিকট বিক্রয় করিয়াছে; এবংযেহেতু উল্লিখিত ‘ক’ এবং ‘খ’ তালিকাভুক্ত সম্পত্তি সরকারের নিকট হইতে বৈধভাবে ক্রয় করিয়া হস্তান্তরগ্রহীতা মালিকানা, স্বত্ব এবং স্বার্থ অর্জন করিয়াছেন এবং ভবিষ্যতে এই ধরনের হস্তান্তরের মাধ্যমে মালিকানা, স্বত্ব এবং স্বার্থ অর্জন করিতে পারেন কিন্তু উক্ত সম্পত্তি ‘ক’ এবং ‘খ’ তালিকা হইতে বাদ দিলে তাহাদের স্বত্ব এবং স্বার্থে জটিলতা তৈরি হইতে পারে এবং একইসঙ্গে তাহাদের স্বত্ব এবং স্বার্থে জটিলতা নিরসন করা প্রয়োজন এবং পূর্ববর্তী মালিকগণ বা তাহাদের পক্ষে কেহ এ বিষয়ে দাবি উত্থাপন করিতে পারে সেকারণে উক্ত তালিকাভুক্তি বৈধভাবে করা হইয়াছে বলিয়া গণ্য হয়; এবংযেহেতু উল্লিখিত সম্পত্তিতে হস্তান্তরগ্রহীতার ভোগ দখল ও স্বত্ব নিষ্কণ্টক করিবার জন্য পরিত্যক্ত বাড়ি (সম্পূরক বিধানাবলি) আইন, ২০২৩ (২০২৩ সনের ৬৪ নং আইন) সংশোধন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়; এবংযেহেতু সংসদ ভাঙ্গিয়া যাওয়া অবস্থায় রহিয়াছে এবং রাষ্ট্রপতির নিকট ইহা সন্তোষজনকভাবে প্রতীয়মান হইয়াছে যে, আশু ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় পরিস্থিতি বিদ্যমান রহিয়াছে;সেহেতু গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৯৩(১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি নিম্নরূপ অধ্যাদেশ প্রণয়ন ও জারি করিলেন:-
২। পরিত্যক্ত বাড়ি (সম্পূরক বিধানাবলি) আইন, ২০২৩ (২০২৩ সনের ৬৪ নং আইন), অতঃপর উক্ত আইন বলিয়া উল্লিখিত, এর ধারা ৫ এর পর নিম্নরূপ নূতন ধারা ৫ক সন্নিবেশিত হইবে, যথা:-“৫ক। পরিত্যক্ত সম্পত্তির ‘ক’ বা ‘খ’ তালিকাভুক্ত বাড়িসমূহের বৈধ মালিকানা নির্ধারণ।- পরিত্যক্ত সম্পত্তির ‘ক’ বা ‘খ’ তালিকার যে সকল বাড়ি সরকার কর্তৃক বিক্রয়মূল্যে হস্তান্তর করা হইয়াছে বা হইবে সেই সকল বাড়ির মালিকানা বা স্বত্ব হস্তান্তরগ্রহীতার নিকট বৈধভাবে হস্তান্তরিত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে এবং হস্তান্তরগ্রহীতাই উহার বৈধ মালিক হিসাবে গণ্য হইবেন এবং তিনি বা তাহার ওয়ারিশগণ যথাযথভাবে তাহার বা তাহার ওয়ারিশগণের নামে নামজারি করিতে পারিবেন।”।