যেহেতু নিম্নবর্ণিত উদ্দেশ্যসমূহ পূরণকল্পে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন, ২০০৬ (২০০৬ সনের ২৪ নং আইন) এর অধিকতর সংশোধন সমীচীন ও প্রয়োজনীয়; এবংযেহেতু সংসদ ভাঙ্গিয়া যাওয়া অবস্থায় রহিয়াছে এবং রাষ্ট্রপতির নিকট ইহা সন্তোষজনকভাবে প্রতীয়মান হইয়াছে যে, আশু ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় পরিস্থিতি বিদ্যমান রহিয়াছে;সেহেতু গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৯৩(১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি নিম্নরূপ অধ্যাদেশ প্রণয়ন ও জারি করিলেন:-
১। (১) এই অধ্যাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ নামে অভিহিত হইবে।(২) সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, যে তারিখ নির্ধারণ করিবে সেই তারিখে ইহা কার্যকর হইবে।
৪। উক্ত আইনের ধারা ২ এর-(ক) দফা (৯) এ উল্লিখিত “নিয়মিত” শব্দের পরিবর্তে “নিগমিত (incorporated)” শব্দগুলি ও বন্ধনী প্রতিস্থাপিত হইবে;(খ) দফা (৯) এর পর নিম্নরূপ নূতন দফা (৯ক) ও (৯খ) সন্নিবেশিত হইবে; যথা:-“(৯ক) “ক্রয় কৌশল (procurement strategy)” অর্থ ক্রয় কাজে সর্বোত্তম অর্থমূল্য নিশ্চিত করিবার উদ্দেশ্যে কোনো ক্রয় প্রক্রিয়াকরণ এবং চুক্তি বাস্তবায়নে প্রকল্প ধারণা, কর্মপরিবেশ, অংশীজন এবং বাজার ও বিকল্প বিশ্লেষণ, টেকসইতা (sustainability), ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা, ইত্যাদির আলোকে গৃহীত কৌশল ও পদ্ধতি;(৯খ) “টেকসই সরকারি ক্রয় (sustainable public procurement)” অর্থ এমন একটি প্রক্রিয়া বা কৌশল যাহা টেকসই সরকারি ক্রয় চাহিদা, কারিগরি বিনির্দেশ এবং মানদণ্ডগুলিকে একীভূত করিবে এবং যাহা সম্পদের কার্যকারিতা, পণ্যের মান ও সেবার গুণগতমান বৃদ্ধি এবং ক্রয়ের ক্ষেত্রে সামগ্রিক ব্যয় সমন্বয় করিবার মাধ্যমে পরিবেশ রক্ষা, সামাজিক অগ্রগতি ও অর্থনৈতিক উন্নয়নকে সমর্থন করিবে;”;(গ) দফা (১৪) এর পর নিম্নরূপ নূতন দফা (১৪ক) সন্নিবেশিত হইবে; যথা:-“(১৪ক) “নিষ্পত্তি (disposal)” অর্থ বিক্রয়, নিলাম বা এতদসংক্রান্ত সরকারি নীতিমালায় বর্ণিত প্রক্রিয়ায় ক্রয়কারী কর্তৃক সরকারি সম্পত্তির অপনয়ন বা হস্তান্তর;”;(ঘ) দফা (২১) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ দফা (২১) প্রতিস্থাপিত হইবে; যথা:-“(২১) “ফ্রেমওয়ার্ক এগ্রিমেন্ট” অর্থ পণ্য, কার্য বা সেবার মূল্য এবং ক্ষেত্রমত, পরিমাণ বা অনুমিত পরিমাণ সম্পর্কিত শর্তাধীন কোনো পণ্য, সাধারণ কার্য, ভৌত সেবা বা বুদ্ধিবৃত্তিক ও পেশাগত সেবা ক্রয়ের জন্য এক বা একাধিক ক্রয়কারীর সহিত এক বা একাধিক দরপত্রদাতা বা পরামর্শকের সহিত একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সম্পাদিত এগ্রিমেন্ট;”;(ঙ) দফা (২১) এর পর নিম্নরূপ নূতন দফা (২১ক) সন্নিবেশিত হইবে, যথা:-“(২১ক) “বিপিপিএ” অর্থ বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটি আইন, ২০২৩ (২০২৩ সনের ৩২ নং আইন) এর ধারা ৪ এর অধীন প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটি (বিপিপিএ);”;(চ) দফা (২৩) এ “সংঘ” শব্দের পর “বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) ও” শব্দগুলি ও বন্ধনী সন্নিবেশিত হইবে;(ছ) দফা (৩৭) এর প্রান্তস্থিত “।” চিহ্নের পরিবর্তে “;” চিহ্ন প্রতিস্থাপিত হইবে এবং অতঃপর নিম্নরূপ নূতন দফা (৩৮) সংযোজিত হইবে, যথা:-“(৩৮) “সেবা প্রদানকারী” অর্থ এই আইনের অধীন ভৌত সেবা প্রদানের উদ্দেশ্যে ক্রয়কারীর সহিত চুক্তি সম্পাদনকারী ব্যক্তি।”।
৫। উক্ত আইনের ধারা ৩ এর উপ-ধারা (২) এর পর নিম্নরূপ নূতন উপ-ধারা (৩) সংযোজিত হইবে, যথা:-“(৩) ব্যতিক্রমী ক্ষেত্রে, বিদেশে অবস্থিত দূতাবাস, মিশন বা অনুরূপ দপ্তরসমূহে ক্রয়ের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দেশের সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত বিধি-বিধান বা আন্তর্জাতিকভাবে সুবিদিত কোনো সংস্থা কর্তৃক প্রকাশিত ক্রয় সংক্রান্ত বিধি-বিধান অনুসরণ করা যাইবে:তবে শর্ত থাকে যে, এইরূপ ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির পূর্বানুমোদন গ্রহণ করিতে হইবে।”।
৭। উক্ত আইনের ধারা ১২ এর-(ক) উপ-ধারা (১) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ উপ-ধারা (১) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:-“(১) ক্রয়কারী ক্রয় কার্য সম্পাদনের উদ্দেশ্যে প্রাক-যোগ্যতা, দরপত্র, কোটেশন বা প্রস্তাব আহ্বানের জন্য দলিল প্রস্তুত করিবার সময়, ক্রয়ের উদ্দেশ্যের আবশ্যকীয় উপাদানের পাশাপাশি টেকসই ক্রয়ের বিষয়টি বিবেচনায় রাখিয়া, অর্থের সর্বোত্তম উপযোগিতা নিশ্চিতকল্পে, বিপিপিএ কর্তৃক, সময় সময়, নির্ধারিত আদর্শ দলিল ব্যবহার করিবে।”;(খ) উপ-ধারা (২) এর পর নিম্নরূপ নূতন উপ-ধারা (৩) সংযোজিত হইবে, যথা:-“(৩) কোনো ক্রয়ের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ক্রয় পদ্ধতি এবং ক্রয়ের ধরনের আলোকে বিপিপিএ কর্তৃক আদর্শ দলিল প্রকাশিত না হইলে ক্রয়কারী উন্নয়ন সহযোগী বা আন্তর্জাতিকভাবে সুবিদিত কোনো সংস্থা কর্তৃক প্রকাশিত আদর্শ দলিল বিপিপিএ-এর পূর্বানুমোদনক্রমে, ব্যবহার করিতে পারিবে।”।
৮। উক্ত আইনের ধারা ১৪ এর-(ক) দফা (খ) এ উল্লিখিত “পণ্য ও কার্য” শব্দগুলির পরিবর্তে “পণ্য, কার্য, এবং ভৌত সেবা” শব্দগুলি ও কমাগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে;(খ) দফা (ঘ) এ উল্লিখিত “সেবা” শব্দের পরিবর্তে “বুদ্ধিবৃত্তিক ও পেশাগত সেবা” শব্দগুলি এবং “কি” শব্দের পরিবর্তে “কী” শব্দ প্রতিস্থাপিত হইবে।
৯। উক্ত আইনের ধারা ১৫ এর উপ-ধারা (১) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ উপ-ধারা (১) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:-“(১) ক্রয়কারী, দরপত্রদাতাগণের মধ্যে পক্ষপাতহীন ও উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার পরিবেশ সৃষ্টি করিবার উদ্দেশ্যে, ক্রয়ের জন্য নির্দিষ্টকৃত পণ্য, কার্য, এবং ভৌত সেবার কারিগরি বিনির্দেশ ও বর্ণনা প্রস্তুত করিবার সময় উহার প্রত্যাশিত কার্যসম্পাদন যোগ্যতার স্তর, বৈশিষ্ট্য, মান, এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে টেকসই ক্রয়ের উপাদান সম্পর্কে সঠিক ও পরিপূর্ণ বর্ণনা প্রদান করিবেন এবং সেইমত পণ্য, কার্য, এবং ভৌত সেবা ক্রয় নিশ্চিত করিবে; তবে উহা যেন সীমাবদ্ধকর না হয় উহার নিশ্চয়তা বিধান করিতে হইবে।”।
১০। উক্ত আইনের ধারা ১৬ এর পরিবর্তে নিম্নরূপ ধারা ১৬ প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:-“১৬। টেকসই ক্রয়ের ক্ষেত্রে বিচার্য বিষয়।- (১) সরকার টেকসই ক্রয়ের স্বার্থে যাবতীয় কার্যক্রম গ্রহণ করিবে।(২) কোনো ক্রয়কারী ক্রয় সংক্রান্ত দলিলে ক্রয়ের আর্থিক উদ্দেশ্যসাধন ব্যাহত করে বা পরিবেশগত বিরূপ প্রভাব ফেলে এমন বিষয়াদি এবং শ্রমিকদের মজুরি ও তৎসংশ্লিষ্ট সামাজিক সুযোগ-সুবিধা, পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা, শিশু শ্রম নিষিদ্ধকরণ, ইত্যাদি সংক্রান্ত কোনো বিধানের সহিত অসংগতিপূর্ণ কোনো শর্ত অন্তর্ভুক্ত করিতে পারিবে না।”।
১২। উক্ত আইনের ধারা ২১ এর উপ-ধারা (১) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ উপ-ধারা (১) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:-“(১) ক্রয়কারী নির্ধারিত ফরমে উহার নোটিশ বোর্ডে অথবা নিজস্ব ওয়েবসাইটে, যদি থাকে, চুক্তি সম্পাদন সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করিবে এবং নির্ধারিত মূল্যসীমার ঊর্ধ্বের চুক্তির ক্ষেত্রে কৃতকার্য দরপত্রদাতা বা পরামর্শকের মালিকানা-সংক্রান্ত তথ্যাদি (beneficial ownership)-সহ চুক্তি সম্পাদন সংক্রান্ত তথ্য বিপিপিএ-এর ওয়েবসাইট বা ওয়েব-পোর্টালে প্রকাশের জন্য প্রেরণ করিবে।”।
১৪। উক্ত আইনের ধারা ৩০ এর উপ-ধারা (৩) এ উল্লিখিত “পণ্য বা কার্য বুদ্ধিবৃত্তিক ও পেশাগত সেবা” শব্দগুলির পরিবর্তে “পণ্য, কার্য, ভৌতসেবা বা বুদ্ধিবৃত্তিক ও পেশাগত সেবা” শব্দগুলি ও কমাগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে।
১৬। উক্ত আইনের ধারা ৩২ এর-(ক) উপান্তটীকায় উল্লিখিত “পণ্য, কার্য” শব্দগুলি ও কমার পরিবর্তে “পণ্য, কার্য, ভৌত সেবা” শব্দগুলি ও কমাগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে;(খ) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত “সংশ্লিষ্ট সেবা,” শব্দগুলি ও কমা বিলুপ্ত হইবে;(গ) উপ-ধারা (১) এর-(অ) দফা (ক) এর উপ-দফা (অ) তে উল্লিখিত “সংশ্লিষ্ট সেবা,” শব্দগুলি ও কমা বিলুপ্ত হইবে;(আ) দফা (ক) এর উপ-দফা (ই) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ উপ-দফা (ই) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:-“(ই) বিধি দ্বারা নির্ধারিত মূল্যসীমা সাপেক্ষে, তালিকাভুক্ত সরবরাহকারী, ঠিকাদার, বা সেবা প্রদানকারীর মাধ্যমে পণ্য, কার্য, বা ভৌতসেবা ক্রয়ের ক্ষেত্রে:তবে শর্ত থাকে যে, দফা (অ) এবং (আ) এর ক্ষেত্রে কোন মূল্যসীমা প্রযোজ্য হইবে না এবং সম্ভাব্য সরবরাহকারী বা ঠিকাদার বা সেবা প্রদানকারীদেরকে দরপত্র দাখিলের জন্য আহ্বান জানাইতে হইবে এবং দফা (ই) এর অধীন অভ্যন্তরীণ কার্য ক্রয়ের ক্ষেত্রে দাপ্তরিক প্রাক্কলিত ব্যয় (official cost estimate) উল্লেখ করিতে হইবে এবং কোন দরপত্রদাতা কর্তৃক দাপ্তরিক প্রাক্কলিত মূল্য হইতে বিধি দ্বারা নির্ধারিত শতকরা হারের অধিক কম বা অধিক বেশি দর উদ্ধৃত করা হইলে উক্ত দরপত্র বাতিল বলিয়া গণ্য হইবে;”;(ই) দফা (খ) এর উপ-দফা (অ)-তে উল্লিখিত “সংশ্লিষ্ট সেবা,” শব্দগুলি ও কমা বিলুপ্ত হইবে;(ঈ) দফা (খ) এর উপ-দফা (ই)-তে উল্লিখিত “বা ঠিকাদারের” শব্দগুলির পরিবর্তে “, ঠিকাদার বা সেবা প্রদানকারীর” কমা ও শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে;(উ) দফা (গগ) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ দফা (গগ) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:-“(গগ) দফা (গ) এ উল্লিখিত দুই পর্যায়বিশিষ্ট দরপত্র পদ্ধতি প্রযোজ্য না হইলে, কারিগরি মূল্যায়নে কৃতকার্য দরদাতাগণের মধ্যে সর্বনিম্ন দরদাতার সহিত চুক্তি সম্পাদনের মাধ্যমে এক ধাপ দুই খাম দরপত্র পদ্ধতি প্রয়োগ করা যাইরে:তবে শর্ত থাকে যে, কোন ক্রয়ের ক্ষেত্রে দরপত্রদাতা কর্তৃক দাপ্তরিক প্রাক্কলিত মূল্য হইতে উল্লেখযোগ্যভাবে কম মূল্য (significantly low price) উদ্ধৃত করা হইলে বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে উক্ত নিম্নদর মূল্যায়ন করিতে হইবে;”;(ঊ) দফা (ঘ) এর উপ-দফা (অ)-তে উল্লিখিত “পণ্য” শব্দের পর “, সাধারণ কার্য” কমা ও শব্দগুলি সন্নিবেশিত হইবে;(ঋ) দফা (ঘ) এর উপ-দফা (ই) এর প্রান্তস্থিত এর “।” চিহ্নের পরিবর্তে “;” চিহ্ন প্রতিস্থাপিত হইবে এবং অতঃপর নিম্নরূপ নূতন দফা (ঙ) সংযোজিত হইবে, যথা:-“(ঙ) নির্ধারিত প্রক্রিয়ায় বিপরীত নিলাম (reverse auction) পদ্ধতি প্রয়োগ করা যাইবে।ব্যাখ্যা-দফা (ঙ) এর উদ্দেশ্যপূরণকল্পে, বিপরীত নিলাম একটি সংগ্রহ পদ্ধতি যেখানে একজন ক্রয়কারী একটি নির্দিষ্ট পণ্য বা পরিষেবার জন্য একটি দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে ক্রয় প্রক্রিয়া শুরু করিবে এবং এই নিলাম বিন্যাসে, সম্ভাব্য সরবরাহকারীরা তখন প্রকৃত সময়ে (real time) ক্রমান্বয়ে কম দামে দরপত্র জমা দিয়ে প্রতিযোগিতা করে।”।
১৭। উক্ত আইনের ধারা ৩৩ এর উপান্তটীকায় উল্লিখিত “কার্য,” শব্দ ও কমার পর “ভৌত সেবা,” শব্দগুলি ও কমা সন্নিবেশিত হইবে এবং “সংশ্লিষ্ট সেবা,” শব্দগুলি ও কমা বিলুপ্ত হইবে।
১৮। উক্ত আইনের ধারা ৩৪ এর-(ক) উপান্তটীকায় উল্লিখিত “কার্য,” শব্দ ও কমার পর “ভৌত সেবা,” শব্দগুলি ও কমা সন্নিবেশিত হইবে;(খ) উপ-ধারা (১)-এ উল্লিখিত “সংশ্লিষ্ট সেবা,” শব্দগুলি ও কমা বিলুপ্ত হইবে;(গ) উপ-ধারা (৪)-এ উল্লিখিত “সংশ্লিষ্ট সেবা,” শব্দগুলি ও কমা বিলুপ্ত হইবে;(ঘ) উপ-ধারা (৫) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ উপ-ধারা (৫) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:-“(৫) কারিগরি কারণে পণ্য, কার্য বা ভৌত সেবা সরবরাহের জন্য কেবল একজন দরপত্রদাতা থাকিলে বা নির্ধারিত শর্ত সাপেক্ষে, মূল সরবরাহকারী কর্তৃক পণ্যের অতিরিক্ত সরবরাহ বা মূল ঠিকাদার কর্তৃক অতিরিক্ত কার্য সম্পাদন বা মূল সেবা প্রদানকারী কর্তৃক অতিরিক্ত ভৌত সেবা সম্পাদন বা মূল সরবরাহকারী বা ঠিকাদারের মাধ্যমে বর্ধিত সেবা ক্রয় করিবার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি প্রয়োগ করা যাইবে।”।
১৯। উক্ত আইনের ধারা ৩৬ এর পরিবর্তে নিম্নরূপ ধারা ৩৬ প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:-“৩৬। ফ্রেমওয়ার্ক এগ্রিমেন্ট।-(১) নিয়মিত আবশ্যক সচরাচর ব্যবহৃত পণ্য বা সম্পাদিতব্য সাধারণ কার্য বা আবর্তক কোন ভৌত সেবা বা বুদ্ধিবৃত্তিক ও পেশাগত সেবা ক্রয়ের প্রয়োজনে, ক্রয়কারী এক বা একাধিক দরপত্রদাতা বা পরামর্শকের সহিত প্রতিযোগিতামূলক ক্রয় পদ্ধতি প্রয়োগ করিয়া ফ্রেমওয়ার্ক এগ্রিমেন্ট সম্পাদন করিতে পারিবে এবং বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে ক্রয়চুক্তি সম্পাদনের মাধ্যমে ক্রয়কার্য নির্বাহ করিবে।(২) কোন ক্রয়কারী, অন্য কোন ক্রয়কারী কর্তৃক উপ-ধারা (১) এ বর্ণিত উপায়ে ইতোমধ্যে সম্পাদিত ফ্রেমওয়ার্ক এগ্রিমেন্টের আওতায় একই ধরনের পণ্য, সাধারণ কার্য, ভৌত সেবা বা বুদ্ধিবৃত্তিক ও পেশাগত সেবা ক্রয়ের প্রয়োজন হইলে, উক্ত সম্পাদিত এগ্রিমেন্টের আওতায় ক্রয় সম্পাদনের উদ্যোগ গ্রহণ করিতে পারিবে।(৩) ক্রয়কারী ফ্রেমওয়ার্ক এগ্রিমেন্টের আওতায় কোন পণ্য, সাধারণ কার্য, ভৌত সেবা বা বুদ্ধিবৃত্তিক ও পেশাগত সেবা ক্রয়ের ক্ষেত্রে সরকার কর্তৃক, সময় সময়, জারীকৃত নির্দেশাবলী ও আদর্শ দলিল, প্রয়োজনীয় অভিযোজন সহকারে, ব্যবহার করিবে।”।
২০। উক্ত আইনের ধারা ৩৯ এর উপ-ধারা (২) এর প্রান্তস্থিত “।” চিহ্নের পরিবর্তে “:” চিহ্ন প্রতিস্থাপিত হইবে এবং অতঃপর নিম্নরূপ শর্তাংশ সংযোজিত হইবে, যথা:-“তবে শর্ত থাকে যে, এই ধারার অধীন সরকারের নিজস্ব অর্থে তথ্যপ্রযুক্তিগত সেবা (IT services) ক্রয়ের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক প্রস্তাব আহ্বান করা অপরিহার্য হইলে, দেশীয় পরামর্শক প্রতিষ্ঠানকে যৌথ উদ্যোগের (joint venture) অংশীদার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করিতে হইবে।”।
২১। উক্ত আইনের ধারা ৪০ এর উপ-ধারা (৫)-এ উল্লিখিত “বিজ্ঞাপন” শব্দের পর “উপ-ধারা (২) এ বর্ণিত ব্যবস্থার অতিরিক্ত হিসেবে” শব্দগুলি এবং “প্রকাশনায়, শব্দ ও কমার পর “বা ওয়েবসাইটে” শব্দগুলি সন্নিবেশিত হইবে।
২৬। উক্ত আইনের ধারা ৫৬ এর উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত “ন্যূনতম ৪ (চার) ও সর্বোচ্চ ৭ (সাত) জন আবেদনকারীকে” শব্দগুলি, সংখ্যাগুলি এবং বন্ধনীগুলির পরিবর্তে “বিধি দ্বারা বর্ণিত পন্থায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক” শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে।
২৮। উক্ত আইনের ধারা ৬৫ এর উপ-ধারা (১) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ উপ-ধারা (১) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:-“(১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, এই আইনের অধীন ই-জিপি পোর্টালে প্রক্রিয়াযোগ্য সকল সরকারি ক্রয় ইলেকট্রনিক পরিচালন পদ্ধতিতে সম্পন্ন করিতে হইবে এবং ব্যতিক্রমী ক্ষেত্রে, ইলেকট্রনিক পরিচালন পদ্ধতিতে কোন ক্রয়কারী ক্রয় প্রক্রিয়াকরণে অসমর্থ হইলে বিপিপিএ-এর পূর্বানুমোদন গ্রহণ করিতে হইবে:তবে শর্ত থাকে যে, সকল ক্রয় পরিকল্পনা আবশ্যিকভাবে ই-জিপি পোর্টালে প্রকাশ করতে হইবে।”।