২। গ্রামীণ ব্যাংক আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ৫৬ নং আইন), অতঃপর উক্ত আইন বলিয়া উল্লিখিত, এর ধারা ২ এর-(ক) দফা (১) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ দফা (১) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:-“(১) “ঋণ” অর্থ এইরূপ কোনো ব্যক্তির পক্ষে ব্যাংক কর্তৃক প্রদত্ত নিশ্চয়তা বা দায়মুক্তি যিনি ব্যাংকের সদস্য হইবার সময় ভূমিহীন বা বিত্তহীন ব্যক্তি বলিয়া গণ্য হন, অথবা এইরূপ ভূমিহীন বা বিত্তহীন ব্যক্তির পক্ষে ব্যাংক কর্তৃক গৃহীত কোনো দায়ও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;”;(খ) দফা (৫) বিলুপ্ত হইবে;(গ) দফা (১২) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ দফা (১২) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:-“(১২) “ভূমিহীন বা বিত্তহীন ব্যক্তি” অর্থ এইরূপ কোনো ব্যক্তি-(ক) যিনি বা যাহার পরিবার ৫০ (পঞ্চাশ) শতাংশের কম চাষযোগ্য জমির মালিক অথবা যিনি বা যাহার পরিবার এইরূপ স্থাবর ও অস্থাবর উভয় প্রকার সম্পত্তির মালিক যাহার মূল্য তিনি যে ইউনিয়নে সাধারণত বসবাস করেন সেই ইউনিয়নের বর্তমান বাজারদর অনুযায়ী ১ (এক) একর চাষযোগ্য জমির মূল্যের অধিক নহে; অথবা(খ) যিনি বা যাহার পরিবার এইরূপ এলাকায় বসবাস করেন, যাহা পূর্বে ইউনিয়ন পরিষদের অন্তর্ভুক্ত থাকিলেও পরবর্তীতে উহা পৌরসভা বা সিটি কর্পোরেশনের অন্তর্ভুক্ত বলিয়া ঘোষিত হইয়াছে এবং উক্তরূপ ঘোষণার পূর্বে যাহার সম্পত্তির পরিমাণ উপ-দফা (ক)-তে বর্ণিত সম্পত্তি-সীমা হইতে কম ছিল এবং ঘোষণার পরে উক্ত এলাকায় নূতন করিয়া কোনো জমির মালিক তিনি হন নাই; অথবা(গ) যিনি বা যাহার পরিবার কোনো পৌরসভা বা সিটি কর্পোরেশন এলাকায় অন্যূন ৩ (তিন) বৎসর সময় যাবৎ বসবাস করিয়া আসিতেছেন, কিন্তু উক্ত পৌরসভা বা সিটি কর্পোরেশন এলাকায় যাহাদের মালিকানায় কোনো জমি নাই এবং যাহার বার্ষিক আয়ের পরিমাণ আয়কর আইন, ২০২৩ (২০২৩ সনের ১২ নং আইন) এ সংজ্ঞায়িত এবং, সময় সময়, নির্ধারিত করমুক্ত সীমার অধিক নহে।”।
৩। উক্ত আইনের ধারা ৪ এর উপ-ধারা (১) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ উপ-ধারা (১) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:-“(১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, Grameen Bank Ordinance, 1983 (Ordinance No. XLVI of 1983) এর মাধ্যমে স্থাপিত গ্রামীণ ব্যাংক, যাহা গ্রামীণ ব্যাংক প্রকল্প হইতে উদ্ভূত, এমনভাবে বহাল থাকিবে যেন উহা এই আইনের অধীন স্থাপিত হইয়াছে।ব্যাখ্যা।- এই উপ-ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে “গ্রামীণ ব্যাংক প্রকল্প” অর্থ ১৯৭৬ সনে চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারি থানার জোবরা গ্রামে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের গ্রামীণ অর্থনীতি কর্মসূচি (Rural Economics Programme) এর আওতায় গৃহীত গ্রামীণ ব্যাংক প্রকল্প, যাহা পরবর্তীতে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক অনুমোদিত হয় এবং উহাতে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক ও অন্যান্য বাণিজ্যিক ব্যাংক অংশগ্রহণ করে।”।
৪। উক্ত আইনের ধারা ৭ এর-(ক) উপ-ধারা (১) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ উপ-ধারা (১) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:-“(১) ব্যাংকের পরিশোধিত শেয়ার মূলধন হইবে ৩০০ (তিনশত) কোটি টাকা যাহা নিম্নবর্ণিত হারে পরিশোধিত হইবে, যথা:-(ক) ১০%, সরকার বা তৎকর্তৃক পরিচালিত বা নিয়ন্ত্রিত এইরূপ কোনো সংস্থা বা সংগঠন একক, যৌথ বা সম্মিলিতভাবে; এবং(খ) ৯০%, ব্যাংকের ঋণ গ্রহীতা (শেয়ার হোল্ডার)।”;(খ) উপ-ধারা (১) এর পর নিম্নরূপ নূতন উপ-ধারা (১ক) সন্নিবেশিত হইবে, যথা:-“(১ক) ব্যাংকের ঋণ গ্রহীতা (শেয়ার হোল্ডার) ক্রমান্বয়ে পরিশোধিত মূলধন বৃদ্ধির মাধ্যমে উপ-ধারা (১) এর দফা (খ) এ উল্লিখিত অনুপাত অর্জন করিতে পারিবেন।”; এবং(গ) উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত “সরকার” শব্দের পরিবর্তে “বাংলাদেশ ব্যাংক” শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে।
৫। উক্ত আইনের ধারা ৯ এর পরিবর্তে নিম্নরূপ ধারা ৯ প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:-“৯। বোর্ড।- (১) নিম্নবর্ণিত পরিচালক সমন্বয়ে বোর্ড গঠিত হইবে, যথা:-(ক) আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ কর্তৃক মনোনীত উহার ১ (এক) জন প্রতিনিধি;(খ) বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে ঋণ গ্রহীতা (শেয়ার হোল্ডার) কর্তৃক নির্বাচিত ৯ (নয়) জন ব্যক্তি, যাহারা “নির্বাচিত পরিচালক” বলিয়া গণ্য হইবেন; এবং(গ) নির্বাচিত পরিচালকগণ কর্তৃক মনোনীত নিম্নবর্ণিত ৩ (তিন) শ্রেণির ব্যক্তি, যাহারা “মনোনীত পরিচালক” বলিয়া গণ্য হইবেন, যথা:-(অ) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক, যিনি গ্রামীণ অর্থনীতি বা নারীর ক্ষমতায়ন বিষয়ে বিশেষজ্ঞ অথবা উক্ত বিষয়ে গবেষণাকার্যে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন হইবেন;(আ) একজন নারী চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট, যিনি the Institute of Chartered Accountants of Bangladesh কর্তৃক নিবন্ধিত; এবং(ই) নারী-অধিকার বিষয়ে বিশেষজ্ঞ পর্যায়ে গবেষণাকার্ষে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন কোনো নারী গবেষক অথবা নারী-অধিকার প্রতিষ্ঠায় অবদানের জন্য স্বীকৃতিপ্রাপ্ত কোনো নারী নেত্রী অথবা নারী-অধিকার বিষয়ে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন কোনো নারী আইনজীবী।(২) নির্বাচিত পরিচালকগণ নির্বাচিত হইবার অব্যবহিত পর সভায় মিলিত হইয়া উপ-ধারা (১) এর দফা (গ) এ উল্লিখিত পরিচালকগণের মনোনয়ন সম্পন্ন করিবেন।(৩) উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদাধিকারবলে বোর্ডের পরিচালক হইবেন, তবে তাহার কোনো ভোটাধিকার থাকিবে না।”।
৬। উক্ত আইনের ধারা ১০ এর পরিবর্তে নিম্নরূপ ধারা ১০ প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:-“১০। চেয়ারম্যান।- (১) বোর্ডের একজন চেয়ারম্যান থাকিবেন যিনি মনোনীত পরিচালকগণের মধ্য হইতে বোর্ড কর্তৃক নির্বাচিত হইবেন।(২) চেয়ারম্যানের পদ শূন্য হইলে কিংবা অনুপস্থিতি, অসুস্থতা বা অন্য কোনো কারণে চেয়ারম্যান তাহার দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হইলে বোর্ড, মনোনীত পরিচালকগণের মধ্য হইতে অন্য কোনো পরিচালককে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের জন্য ক্ষমতা প্রদান করিতে পারিবে, অথবা, এইরূপ মনোনীত পরিচালকের অবর্তমানে, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ব্যতীত, অন্য কোনো পরিচালককে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের জন্য ক্ষমতা প্রদান করিতে পারিবে।”।
৭। উক্ত আইনের ধারা ১১ এর পরিবর্তে নিম্নরূপ ধারা ১১ প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:-“১১। পরিচালকগণের কার্যকাল।- (১) নির্বাচিত পরিচালক এবং মনোনীত পরিচালকগণের কার্যকাল প্রতি মেয়াদে সর্বোচ্চ ৩ (তিন) বৎসর হইবে:তবে শর্ত থাকে যে, পরবর্তী নির্বাচিত পরিচালক বা মনোনীত পরিচালকগণ দায়িত্ব গ্রহণের পূর্ব পর্যন্ত তাহারা স্বীয় পদে বহাল থাকিবেন।(২) সরকার কর্তৃক মনোনীত পরিচালক সরকারের সন্তুষ্টি অনুযায়ী প্রতি মেয়াদে সর্বোচ্চ ৩ (তিন) বৎসর বহাল থাকিবেন।(৩) উপ-ধারা (১) ও (২) এর অধীন উল্লিখিত কোনো পরিচালক একাদিক্রমে ২ (দুই) মেয়াদের অধিক পরিচালক পদে অধিষ্ঠিত থাকিতে পারিবেন না এবং কোনো পরিচালক একাদিক্রমে ২ (দুই) মেয়াদে পরিচালক পদে অধিষ্ঠিত থাকিলে দ্বিতীয় মেয়াদ শেষ হইবার তারিখ হইতে পরবর্তী ৩ (তিন) বৎসর অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত উক্ত ব্যাংকের পরিচালক পদে পুনঃনির্বাচিত বা পুনঃমনোনীত হইবার যোগ্য হইবেন না।”।
৮। উক্ত আইনের ধারা ১৪ এর-(ক) উপ-ধারা (২) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ উপ-ধারা (২) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:-“(২) ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগের জন্য প্রার্থী বাছাইয়ের উদ্দেশ্যে বোর্ড অন্যূন ৩ (তিন) জন এবং অনধিক ৫ (পাঁচ) জন সদস্য সমন্বয়ে একটি বাছাই কমিটি গঠন করিবে।”;(খ) উপ-ধারা (৪) এর প্রান্তস্থিত দাঁড়ি “।” চিহ্নের পরিবর্তে কোলন “:” চিহ্ন প্রতিস্থাপিত হইবে এবং অতঃপর নিম্নরূপ শর্তাংশ সন্নিবেশিত হইবে, যথা:-“তবে শর্ত থাকে যে, বোর্ডের বিবেচনায় ব্যাংকের কার্যক্রম পরিচালনার স্বার্থে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের চাকরিকাল বোর্ড কর্তৃক সর্বোচ্চ ৬৫ (পঁয়ষটি) বৎসর বয়স পর্যন্ত বর্ধিত করা যাইবে।”;(গ) উপ-ধারা (৫) এর প্রান্তস্থিত দাঁড়ি “।” চিহ্নের পরিবর্তে কোলন “:” চিহ্ন প্রতিস্থাপিত হইবে এবং অতঃপর নিম্নরূপ শর্তাংশ সংযোজিত হইবে, যথা:-“তবে শর্ত থাকে যে, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ৩ (তিন) মাসের মধ্যে কার্যভার গ্রহণ না করিলে অথবা পুনরায় স্বীয় দায়িত্ব পালনে সমর্থ না হইলে বোর্ড নির্ধারিত পদ্ধতিতে উক্ত শূন্যতা পূরণ করিতে পারিবে।”।
৯। উক্ত আইনের ধারা ১৬ এর পরিবর্তে নিম্নরূপ ধারা ১৬ প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:-“১৬। পদত্যাগ।- (১) চেয়ারম্যান বা ব্যবস্থাপনা পরিচালক অথবা নির্বাচিত পরিচালক বা মনোনীত পরিচালক বোর্ডের নিকট লিখিত পত্রযোগে পদত্যাগ করিতে পারিবেন:তবে শর্ত থাকে যে, চেয়ারম্যান বা ব্যবস্থাপনা পরিচালক অথবা নির্বাচিত বা মনোনীত কোনো পরিচালক কর্তৃক দাখিলকৃত পদত্যাগপত্র বোর্ড কর্তৃক গৃহীত না হওয়া পর্যন্ত উক্ত পদত্যাগ কার্যকর হইবে না।(২) সরকার কর্তৃক মনোনীত পরিচালক সরকারের নিকট লিখিত পত্রযোগে পদত্যাগ করিতে পারিবেন:তবে শর্ত থাকে যে, সরকার কর্তৃক মনোনীত পরিচালকের পদত্যাগপত্র সরকার কর্তৃক অনুমোদনপূর্বক বোর্ডের নিকট প্রেরণ করিলে উহা বোর্ড কর্তৃক গৃহীত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে।”।
১০। উক্ত আইনের ধারা ১৭ এর-(ক) উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত “চেয়ারম্যান এবং অপর ৩ (তিন)” শব্দগুলি, সংখ্যা ও বন্ধনীর পরিবর্তে “৪ (চার)” সংখ্যা, বন্ধনী ও শব্দ প্রতিস্থাপিত হইবে;(খ) উপ-ধারা (৩) বিলুপ্ত হইবে; এবং(গ) উপ-ধারা (৬) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ উপ-ধারা (৬) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:-“(৬) যদি কোনো কারণে চেয়ারম্যান বোর্ডের সভায় উপস্থিত হইতে অসমর্থ হন, তাহা হইলে উপস্থিত পরিচালকগণ সভাপতিত্ব করিবার জন্য ব্যবস্থাপনা পরিচালক ব্যতীত অন্যান্য পরিচালকের মধ্য হইতে একজনকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করিতে পারিবেন।”।
১৩। উক্ত আইনের ধারা ২৩ এর উপ-ধারা (১) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ উপ-ধারা (১) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:-“(১) এই আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং আইন, ২০১৫ (২০১৫ সনের ১৬ নং আইন) এর ধারা ৪০ এর বিধান অনুযায়ী প্রণীত ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং স্ট্যান্ডার্ডস এবং অডিটিং স্ট্যান্ডার্ডস অনুসরণে গ্রামীণ ব্যাংক উক্ত আইনের অধীন প্রতিষ্ঠিত ফাইনান্সিয়াল কাউন্সিলের তালিকাভুক্ত নিরীক্ষক দ্বারা ব্যাংকের হিসাব নিরীক্ষা করিবে।ব্যাখ্যা।- এই আইনের অধীন স্থাপিত গ্রামীণ ব্যাংক ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং আইন, ২০১৫ এর ধারা ২ এর দফা (৮) এ সংজ্ঞায়িত “জনস্বার্থ সংস্থা” হিসাবে বিবেচিত হইবে।”।