Date of Publication: [ ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৪ ]

Preamble

যেহেতু দেশের তৈল, গ্যাস ও খনিজ সম্পদ খাতের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও দক্ষ পরিচালনা নিশ্চিতকল্পে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্থানীয়ভাবে প্রশিক্ষিত ও দক্ষ জনশক্তি সৃষ্টিসহ গবেষণা ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনার লক্ষ্যে একটি ইন্সটিটিউট প্রতিষ্ঠার জন্য বিধান প্রণয়ন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;সেহেতু এতদ্‌দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল:-

Sections/Articles

সংক্ষিপ্ত শিরোনামা ও প্রবর্তন

১৷ (১) এই আইন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ইন্সটিটিউট আইন, ২০০৪ নামে অভিহিত হইবে৷(২) সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, যেই তারিখ নির্ধারণ করিবে সেই তারিখে ইহা কার্যকর হইবে৷* এস, আর, ও নং ১৩৩-আইন/২০০৪, ১৭ মে, ২০০৪ খ্রিস্টাব্দ উক্ত আইন কার্যকর হইয়াছে।

সংজ্ঞা

২৷ বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থী কোন কিছু না থাকিলে, এই আইনে,-(ক) “ইন্সটিটিউট” অর্থ এই আইনের অধীন গঠিত বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ইন্সটিটিউট;(খ) “চেয়ারম্যান” অর্থ বোর্ডের চেয়ারম্যান;(গ) “পেট্রোবাংলা” অর্থ The Bangladesh Oil, Gas and Mineral Corporation Ordinance, 1985 (Ord. XXI of 1985) এর অধীন গঠিত বাংলাদেশ তৈল, গ্যাস ও খনিজ সম্পদ কর্পোরেশন;(ঘ) “প্রবিধান” অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত প্রবিধান;(ঙ) “বিধি” অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি;(চ) “বোর্ড” অর্থ ইন্সটিটিউটের গভর্নিং বোর্ড;(ছ) “মহাপরিচালক” অর্থ ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক; এবং(জ) “সদস্য” অর্থ বোর্ডের সদস্য৷

ইন্সটিটিউট প্রতিষ্ঠা

৩৷ (১) এই আইন কার্যকর হওয়ার পর, যথাশীঘ্র সম্ভব, এই আইনের বিধান অনুসারে “বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ইন্সটিটিউট” নামে একটি ইন্সটিটিউট প্রতিষ্ঠিত হইবে৷(২) ইন্সটিটিউট একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হইবে এবং উহার স্থায়ী ধারাবাহিকতা ও একটি সাধারণ সীলমোহর থাকিবে এবং এই আইনের বিধান সাপেক্ষে, উহার স্থাবর ও অস্থাবর উভয় প্রকার সম্পত্তি অর্জন করিবার, অধিকারে রাখিবার ও হস্তান্তর করিবার ক্ষমতা থাকিবে এবং উহা স্বীয় নামে মামলা দায়ের করিতে পারিবে বা উহার বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা যাইবে৷

ইন্সটিটিউটের কার্যালয়

৪৷ (১) ইন্সটিটিউটের প্রধান কার্যালয় ঢাকায় থাকিবে৷(২) বোর্ডের অনুমোদন সাপেক্ষে দেশের যে কোন অঞ্চলে উহার শাখা বা ক্যাম্পাস স্থাপন করা যাইবে৷

ইন্সটিটিউটের কার্যাবলী

৫৷ ইন্সটিটিউটের কার্যাবলী হইবে নিম্নরূপ, যথা:-(ক) তৈল, গ্যাস ও খনিজ সম্পদ খাতের সকল পেশাজীবী ও কর্মকর্তাকে উচ্চতর প্রশিক্ষণ, উক্ত খাতের গবেষণা ও উন্নয়ন এবং শিক্ষা বিষয়ক কর্মকাণ্ড পরিচালনা ও ক্রমান্বয়ে এই সকল কর্মকাণ্ডের মান আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উন্নীতকরণের উপযোগী স্থাপনাদি উন্নয়ন ও সুযোগ সৃষ্টি এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে উপাত্ত সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও প্রকাশ করা;(খ) গবেষণা এবং কন্সালটেন্সীর মাধ্যমে বিদ্যুত্, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ বিভাগ, পেট্রোবাংলা, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনসহ তৈল, গ্যাস ও খনিজ খাতে নিয়োজিত সরকারী সংস্থাকে সহায়তা প্রদান করা;(গ) তৈল, গ্যাস ও খনিজ অনুসন্ধান কাজের সাথে সংশ্লিষ্ট সমীক্ষা, পরীক্ষা, উপাত্ত প্রক্রিয়াকরণ, বিশ্লেষণ ইত্যাদি পরিচালনা এবং এতদ্‌সংক্রান্ত গবেষণা পরিচালনা করা;(ঘ) একই ধরণের কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত বিভিন্ন দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের সরকারী, বেসরকারী সংস্থা ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ স্থাপন এবং ইন্সটিটিউটের কর্মকাণ্ডের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা অর্জন ও স্বীকৃতি লাভের জন্য যৌথ কর্মসূচী গ্রহণ করা;(ঙ) আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে তৈল, গ্যাস ও খনিজ বিষয়ক একটি জাতীয় তথ্য ব্যাংক স্থাপন এবং ইন্সটিটিউটকে পেট্রোলিয়াম ও খনিজ সম্পদ সেক্টরের রেফারেন্স কেন্দ্র হিসাবে প্রতিষ্ঠা করা;(চ) ডিপ্লোমা ও সার্টিফিকেট প্রদান কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় কোর্স ডিজাইন, কারিকুলাম ও সিলেবাস প্রণয়ন করা;(ছ) জাতীয় তথ্য ব্যাংকে সংগৃহীত ও সংরক্ষিত বিভিন্ন উপাত্ত, প্রতিবেদন ও তথ্য প্রকাশ এবং বিক্রয় করা;(জ) ইন্সটিটিউট কর্তৃক প্রদত্ত সার্ভিস ও পরিচালিত যাবতীয় কর্মকাণ্ডের জন্য বোর্ড কর্তৃক ধার্যকৃত ও অনুমোদিত হারে “ফি” গ্রহণ করা;(ঝ) ইন্সটিটিউটের প্রশিক্ষণ, গবেষণা ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের জন্য প্রয়োজনীয় পরীক্ষাগার, ওয়ার্কশপ, ডরমিটরী ও অন্যান্য সুবিধাদি স্থাপন এবং রক্ষণাবেক্ষণ করা; এবং(ঞ) প্রাতিষ্ঠানিক উত্কর্ষ সাধনে বিশ্বের অন্যত্র পরিচালিত অনুরূপ ইন্সটিটিউটের সাথে যোগাযোগ ও সম্পর্ক স্থাপন করা৷

ইন্সটিটিউটের পরিচালনা

৬৷ ইন্সটিটিউটের পরিচালনা ও উহার প্রশাসন একটি গভর্নিং বোর্ডের উপর ন্যস্ত থাকিবে এবং ইন্সটিটিউট যে সকল ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্যসম্পাদন করিতে পারিবে গভর্নিং বোর্ডও সেই সকল ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্যসম্পাদন করিতে পারিবে৷

গভর্নিং বোর্ড

৭৷ নিম্নবর্ণিত সদস্যদের সমন্বয়ে গভর্নিং বোর্ড গঠিত হইবে, যথা:-
(ক) জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব-চেয়ারম্যান
(খ) পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান-সদস্য
(গ) বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান-সদস্য
(ঘ)  বাংলাদেশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তরের মহা-পরিচালক-সদস্য
(ঙ) জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ বিভাগের একজন যুগ্ম-সচিব-সদস্য
(চ) অর্থ বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন যুগ্ম-সচিব-সদস্য
(ছ)  সরকার কর্তৃক মনোনীত বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের পেট্রোলিয়াম এন্ড মিনারেল রিসোর্সেস ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট এর একজন অধ্যাপক-সদস্য
(জ) সরকার কর্তৃক মনোনীত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ব বিভাগের একজন অধ্যাপক-সদস্য
(ঝ) বাংলাদেশ জিওলজিক্যাল সোসাইটি কর্তৃক মনোনীত একজন প্রতিনিধি-সদস্য
(ঞ) ইন্সটিটিউট এর মহাপরিচালক-সদস্য-সচিব৷

বোর্ডের দায়িত্ব ও ক্ষমতা

৮৷ (১) বোর্ডের নিম্নরূপ দায়িত্ব ও ক্ষমতা থাকিবে, যথা:-(ক) এই আইন ও বিধি অনুযায়ী ইন্সটিটিউটের সার্বিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা;(খ) ইন্সটিটিউটের প্রশাসন এবং কার্যধারা পরিচালনা সংক্রান্ত প্রবিধান প্রণয়ন;(গ) ইন্সটিটিউটের হিসাব নিরীক্ষার জন্য বহিঃনিরীক্ষক নিয়োগ;(ঘ) ইন্সটিটিউটের অর্গানোগ্রাম অনুমোদন ও নিয়োগ বিধি অনুযায়ী স্থায়ী, অস্থায়ী বা খণ্ডকালীন জনবল নিয়োগ;(ঙ) ইন্সটিটিউটের বাজেট অনুমোদন;(চ) ইন্সটিটিউটে কর্মরত পেশাজীবী ও কর্মকর্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য দেশ-বিদেশে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ; এবং(ছ) এই আইন বা বিধিতে প্রদত্ত দায়িত্ব সম্পাদনের জন্য প্রয়োজনীয় অন্যান্য কার্যাবলী গ্রহণ৷(২) বোর্ড উহার যে কোন ক্ষমতা পূর্ণাঙ্গ বা আংশিকভাবে প্রয়োজনবোধে চেয়ারম্যান, সদস্য বা মহাপরিচালককে অর্পণ করিতে পারিবে৷

সদস্যদের মেয়াদ

৯৷ (১) ধারা ৭ এর দফা (ছ), (জ) এবং (ঝ) এর অধীন মনোনীত সদস্যগণের মেয়াদ হইবে তাহাদের নিয়োগের তারিখ হইতে ৩ বত্সর৷(২) ধারা ৭ এর দফা (ছ), (জ) এবং (ঝ) এর অধীন মনোনীত কোন সদস্যের পদ শূন্য হইলে অবশিষ্ট মেয়াদের জন্য উক্ত পদে অন্য কোন ব্যক্তিকে সদস্য হিসাবে নিয়োগ করা যাইবে৷

বোর্ডের সভা

১০৷ (১) চেয়ারম্যান কর্তৃক নির্ধারিত সময়ে এবং স্থানে মহাপরিচালক বোর্ডের নিয়মিত ও বিশেষ সভা আহ্বান করিতে পারিবেন৷(২) চেয়ারম্যানসহ অন্যুন ৬ (ছয়) জন সদস্যের উপস্থিতিতে সভার কোরাম হইবে৷(৩) চেয়ারম্যান বোর্ডের সভায় সভাপতিত্ব করিবেন, তবে তাঁহার অনুপস্থিতিতে অন্যান্য সদস্য কর্তৃক মনোনীত যে কোন সদস্য সভায় সভাপতিত্ব করিতে পারিবেন৷(৪) প্রত্যেক সদস্যের একটি মাত্র ভোট থাকিবে, তবে ভোটের সমতার ক্ষেত্রে সভাপতির দ্বিতীয় বা নির্ণায়ক ভোট প্রদানের ক্ষমতা থাকিবে৷(৫) প্রতি বত্সরে অন্যুন চারটি সভা অনুষ্ঠিত হইবে:তবে শর্ত থাকে যে, প্রতি তিন মাসে বোর্ডের অন্যুন একটি সভা অনুষ্ঠিত হইবে৷

বোর্ডের কার্যক্রমের বৈধতা

১১৷ শুধু কোন সদস্য পদ শূন্যতা বা বোর্ড গঠনে ত্রুটি থাকিবার কারণে বোর্ডের কোন কার্য বা কার্যধারা বা সিদ্ধান্ত অবৈধ হইবে না এবং তত্সম্পর্কে কোন প্রশ্নও উত্থাপন করা যাইবে না৷

মহাপরিচালক ও তাঁহার ক্ষমতা

১২৷ (১) ইন্সটিটিউটের একজন মহাপরিচালক থাকিবেন, যিনি সরকার কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত হইবেন এবং ইন্সটিটিউটের প্রধান নির্বাহী হইবেন৷(২) মহাপরিচালক-(ক) এই আইন ও বিধি অনুযায়ী ইন্সটিটিউটের সকল প্রশাসনিক ও অর্থ বিষয়ক কার্যাদি পরিচালনা করিবেন;(খ) ইন্সটিটিউটের উদ্দেশ্য ও কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ইহার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কার্যাবলী তদারকি ও তাহাদের দিকনির্দেশনা প্রদান করিবেন; এবং(গ) সরকার অথবা বোর্ড কর্তৃক অর্পিত অন্যান্য দায়িত্ব পালন করিবেন৷

প্রশিক্ষণ কর্মসূচী

১৩৷ তৈল, গ্যাস ও খনিজ বিষয়ে পেট্রোবাংলার অধীন সকল কোম্পানীসহ জ্বালানী খাতে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সরকারী ও আধা-সরকারী সংস্থার স্থানীয় প্রশিক্ষণ ও বৈদেশিক প্রশিক্ষণের প্রস্তুতিপর্ব ইন্সটিটিউটে অনুষ্ঠিত হইবে৷

বিশেষজ্ঞ নিয়োগ

১৪৷ (১) ইন্সটিটিউটের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে, বোর্ডের অনুমোদনক্রমে, দেশী বা বিদেশী বিশেষজ্ঞ নিয়োগ করা যাইবে৷(২) বিশেষজ্ঞগণের সম্মানী বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত হইবে৷

তহবিল

১৫৷ বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ইন্সটিটিউট তহবিল নামে ইন্সটিটিউটের একটি তহবিল থাকিবে, এবং উক্ত তহবিলে নিম্নরূপ উত্স হইতে প্রাপ্ত অর্থ জমা হইবে, যথা:-(ক) ইন্সটিটিউটের নিজস্ব আয়;(খ) সরকারের অনুদান;(গ) পেট্রোবাংলা কর্তৃক প্রডাকশন শেয়ারিং কন্ট্রাক্ট ফান্ড বা অন্য কোন উত্স হইতে প্রাপ্ত অনুদান;(ঘ) সরকার কর্তৃক প্রদত্ত ঋণ; এবং(ঙ) বিভিন্ন দেশীয় সংস্থা, ফাউন্ডেশন এবং অন্যান্য দেশীয় সূত্র হইতে সরকারের মাধ্যমে প্রাপ্ত অনুদান৷

বাজেট

১৬৷ মহাপরিচালক ইন্সটিটিউটের বার্ষিক বাজেট প্রাক্কলন করিয়া বোর্ডে পেশ করিবেন এবং ইন্সটিটিউটের তহবিলসহ অন্যান্য যাবতীয় বিষয়াদি বিবেচনা করিয়া বোর্ড বাজেট অনুমোদন করিবে৷

হিসাব ও নিরীক্ষা

১৭৷ (১) ইন্সটিটিউট যথাযথভাবে উহার হিসাব রক্ষণ করিবে এবং হিসাবের বার্ষিক বিবরণী প্রস্তুত করিবে৷(২) ইন্সটিটিউটের হিসাব নিরীক্ষার জন্য বোর্ডের অনুমোদন অনুযায়ী মহাপরিচালক, বাংলাদেশের মহা-হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক এর সহিত পরামর্শক্রমে, কোন চার্টার্ড একাউটেন্সী প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ করিতে পারিবেন৷(৩) নিরীক্ষাকারী প্রতিষ্ঠান বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত হারে ফি প্রাপ্য হইবেন এবং কোন অর্থ-বত্সর শেষ হওয়ার ৩ (তিন) মাসের মধ্যে, বোর্ড, নিরীক্ষা প্রতিবেদন সরকারের নিকট পেশ করিবে৷(৪) প্রত্যেক অর্থ-বত্সরের শেষে বাংলাদেশের মহা-হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক ঐ অর্থ-বত্সরের সকল লেন-দেন নিরীক্ষা করিবেন৷(৫) নিরীক্ষা দল সরকারের নিকট নিরীক্ষা প্রতিবেদন পেশ করিবে এবং তাহার একটি কপি ইন্সটিটিউটে প্রেরণ করিবে এবং উক্ত প্রতিবেদনে নিরীক্ষাকারী প্রতিষ্ঠান ইন্সটিটিউটের হিসাব সম্পর্কে সুস্পষ্ট মতামত প্রদান করিবে৷(৬) ইন্সটিটিউটের সার্বিক কর্মকাণ্ডের মূল্যায়ন নিরীক্ষার জন্য মহাপরিচালক Performance Audit এবং Evaluation Audit এর ব্যবস্থা করিবে৷

বোর্ড কর্তৃক প্রতিবেদন দাখিল

১৮৷ (১) প্রত্যেক বত্সর ৩০শে সেপ্টেম্বর এর মধ্যে বোর্ড ইন্সটিটিউটের কর্মকাণ্ডের বার্ষিক প্রতিবেদন সরকারের নিকট পেশ করিবে, তবে বিশেষ কারণে সরকার প্রতিবেদন পেশের সময় একমাস বর্ধিত করিতে পারিবে৷(২) সরকার, প্রয়োজনবোধে, যে কোন সময় ইন্সটিটিউট সংক্রান্ত যে কোন বিষয়ে নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে৷(৩) উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রতিবেদন তলব করা হইলে ইন্সটিটিউট নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সরকারের নিকট উহা প্রেরণ করিবে৷

বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা

১৯৷ এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে৷

প্রবিধান প্রণয়ন ক্ষমতা

২০৷ এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে ইন্সটিটিউট, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, প্রবিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে৷

বিলুপ্তি ও হেফাজত

২১৷ (১) ইন্সটিটিউট স্থাপনের সংগে সংগে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ইন্সটিটিউট উন্নয়ন প্রকল্প, অতঃপর উক্ত প্রকল্প বলিয়া উল্লিখিত, বিলুপ্ত হইবে৷(২) উক্তরূপ বিলুপ্ত হওয়ার সংগে সংগে উক্ত প্রকল্পের-(ক) সকল অধিকার, ক্ষমতা, কর্তৃত্ব ও সুযোগ-সুবিধা এবং সমস্ত স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ, নগদ অর্থ ও ব্যাংকের জমা, মঞ্জুরী ও তহবিল এবং তদ্‌সংশ্লিষ্ট বা উদ্ভুত অন্য সকল প্রকার অধিকার ও স্বার্থ এবং সমস্ত হিসাব বই, রেজিস্টার, রেকর্ড এবং তদ্‌সম্পর্কিত অন্য সকল প্রকার দলিলাদি ইন্সটিটিউটের নিকট হস্তান্তরিত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে;(খ) সকল প্রকার ঋণ, দায় ও দায়িত্ব সরকারের ভিন্নরূপ কোন নির্দেশ না থাকিলে ইন্সটিটিউটের ঋণ, দায় ও দায়িত্ব হিসাবে গণ্য হইবে; এবং(গ) কর্মকর্তা ও কর্মচারী ইন্সটিটিউটের কর্মকর্তা ও কর্মচারী ইন্সটিটিউটে বদলী হইবেন এবং তাঁহারা ইন্সটিটিউট কর্তৃক নিযুক্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারী বলিয়া গণ্য হইবেন এবং এইরূপ বদলীর পূর্বে তাঁহারা যে শর্তে চাকুরীতে নিয়োজিত ছিলেন ইন্সটিটিউট কর্তৃক নিয়োগ বিধিমালা প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত একই শর্তে ইন্সটিটিউটের চাকুরীতে নিয়োজিত চাকুরীতে থাকিবেন৷

Footnotes

Click here to see the original act on the Bangladesh Legal Database.