Preamble
যেহেতু কর সংক্রান্ত আইন প্রয়োগে নিয়োজিত পদাধিষ্ঠিত ব্যক্তি বা কর কর্মচারী কর্তৃক কৃত অপশাসন নিরূপণসহ উক্ত বিষয়ে তদন্ত পরিচালনা এবং তত্সম্পর্কে প্রতিকারমূলক বা সংশোধনমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে কর-ন্যায়পাল নিয়োগ এবং আনুষঙ্গিক বিষয়াদি সম্পর্কে বিধান করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল:-Sections/Articles
সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন
১৷ (১) এই আইন কর-ন্যায়পাল আইন, ২০০৫ নামে অভিহিত হইবে৷(২) সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, যেই তারিখ নির্ধারণ করিবে সেই তারিখে এই আইন বলবত্ হইবে৷সংজ্ঞা
২৷ বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থী কোন কিছু না থাকিলে, এই আইনে,-(ক) “অর্থমন্ত্রী” অর্থ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত মন্ত্রী;(খ) “অপশাসন” অর্থে নিম্নবর্ণিত কার্যাদি অন্তর্ভুক্ত হইবে-(১) কোন সিদ্ধান্ত, প্রক্রিয়া, সুপারিশ বা কার্য করা বা না করা, যাহা-(অ) সংশ্লিষ্ট আইন, বিধি বা প্রবিধানের পরিপন্থী;(আ) ন্যায়ভ্রষ্ট, স্বেচ্ছাচার, অযৌক্তিক বা অন্যায্য, পক্ষপাতযুক্ত বা বৈষম্যমূলক;(ই) অপ্রাসঙ্গিক ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত;(ঈ) অসত্ বা অসঙ্গত উদ্দেশ্যে সংগঠিত, যেমন- উত্কোচ, দালালি, পক্ষপাতিত্ব, স্বজনপ্রীতি বা প্রশাসনিক ক্ষমতার অপব্যবহার;(২) প্রশাসনিক দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে অবহেলা প্রদর্শন করা, বিলম্ব করা বা অযোগ্যতা, অদক্ষতা ও অক্ষমতার পরিচয় দেওয়া;(৩) নিম্নবর্ণিত বিষয়াদি নিষ্পত্তির উদ্দেশ্যে অহেতুক নোটিশ প্রদান বা শুনানী গ্রহণ প্রলম্বিতকরণ-(অ) আয় বা সম্পদ নিরূপণ;(আ) কর বা শুল্কের দায় নির্ধারণ;(ই) পণ্যের শ্রেণীবিন্যাস বা মূল্যায়ন;(ঈ) কর বা শুল্ক রেয়াত বা প্রত্যর্পণের দাবী নিষ্পত্তিকরণ;(উ) কর বা শুল্ক অব্যাহতির বিষয়াদি নির্ধারণ;(৪) কর বা শুল্ক রেয়াত বা প্রত্যর্পণের দাবী নিষ্পত্তিতে ইচ্ছাকৃত ভুল;(৫) উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ইতোমধ্যে নির্ধারিত কর বা শুল্ক প্রত্যর্পণের অর্থ পরিশোধে উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিলম্ব করা বা পরিশোধ না করা;(৬) যে সকল ক্ষেত্রে কর বা শুল্ক পরিশোধে ব্যর্থতার বিষয় রেকর্ড দৃষ্টে প্রতীয়মান হয় না সেই সকল ক্ষেত্রে কর বা শুল্ক আদায়ে জবরদস্তিমূলক পদ্ধতি অনুসরণ করা; এবং(৭) উপযুক্ত আপীল কর্তৃপক্ষ কর্তৃক যে কর কর্মচারীর মূল্যায়ন বা নিরূপণ আদেশ প্রতিহিংসাপরায়ন, খামখেয়ালিপূর্ণ, পক্ষপাতদুষ্ট বা স্পষ্টতঃ অবৈধ বলিয়া ঘোষিত হইয়াছে সেই কর কর্মচারীর বিরুদ্ধে শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ না করা;(গ) “উপদেষ্টা কমিটি” অর্থ ধারা ১৭ এর অধীন গঠিত উপদেষ্টা কমিটি;(ঘ) “কর্মকর্তা-কর্মচারী” অর্থ ধারা ১৬ এর অধীন নিযুক্ত কার্যালয়ের কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারী, এবং ধারা ১৭ এর অধীন নিযুক্ত পরামর্শক, বিশেষজ্ঞ, লিয়াজোঁ কর্মকর্তা ও অন্যান্য কর্মচারীও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;(ঙ) “কর কর্মচারী” অর্থ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কোন কর্মকর্তা ও কর্মচারী ও উহার আওতাধীন কোন কার্যালয়ে কর্মরত কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারী, এবং অন্য কোন পদাধিষ্ঠিত ব্যক্তিও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;(চ) “কর-ন্যায়পাল” অর্থ ধারা ৪ এর অধীন নিযুক্ত কর-ন্যায়পাল;(ছ) “কার্যালয়” অর্থ কর-ন্যায়পালের কার্যালয়;(জ) “চেয়ারম্যান” অর্থ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান;(ঝ) “জাতীয় রাজস্ব বোর্ড” বা “বোর্ড” অর্থ কর, লেভী, শুল্ক, সেস, ফিস এবং সরকার ঘোষিত অনুরূপ খাত হইতে রাজস্ব আদায়ের সহিত প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সম্পর্কিত বিষয়সমূহে সরকারের কার্য পরিচালনার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রশাসনিক ইউনিট, এবং উক্ত ইউনিটের সকল অধঃস্তন অধিদপ্তর, কার্যালয় ও সংস্থাসমূহও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;(ঞ) “নির্ধারিত” অর্থ বিধি দ্বারা নির্ধারিত;(ট) “পরিদর্শন টিম” অর্থ ধারা ১৭ এর অধীন গঠিত পরিদর্শন টিম;(ঠ) “সংশ্লিষ্ট আইন” অর্থ-(১) The Provisional Collection of Taxes Act, 1931 (Act XVI of 1931);(২) The Commercial Documents Evidence Act, 1939 (Act XXX of 1939);(৩) The Excises and Salt Act, 1944 (Act I of 1944);(৪) The Customs Act, 1969 (Act IV of 1969);(৫) The Income Tax Ordinance, 1984 (Ordinance XXXVI of 1984);(৬) দান-কর আইন, ১৯৯০ (১৯৯০ সনের ৪৪ নং আইন);(৭) ব্যাংক-কোম্পানী আইন, ১৯৯১ (১৯৯১ সনের ১৪ নং আইন);(৮) মূল্য সংযোজন কর আইন, ১৯৯১ (১৯৯১ সনের ২২ নং আইন);(৯) কোম্পানী আইন, ১৯৯৪ (১৯৯৪ সনের ১৮ নং আইন);(১০) ভ্রমণ কর আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ৫ নং আইন);(১১) সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, করারোপের সহিত সম্পর্কযুক্ত আইন বলিয়া যেইরূপ নির্ধারিত করিবে সেইরূপ, অন্যান্য আইন; এবং(১২) উপ-দফা (১) হইতে (১১) তে উল্লিখিত আইনসমূহের অধীন প্রণীত বা জারীকৃত বিধি, প্রবিধান বা প্রজ্ঞাপনসমূহ;(ড) “বিধি” অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি৷আইনের প্রাধান্য
৩৷ আপাততঃ বলবত্ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের বিধানাবলী কার্যকর থাকিবে৷কর-ন্যায়পাল নিয়োগ
৪৷ (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, একজন কর-ন্যায়পাল থাকিবেন৷(২) এই আইনের অন্যান্য বিধান সাপেক্ষে, কর-ন্যায়পাল রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিযুক্ত হইবেন৷কর-ন্যায়পালের কর্মের মেয়াদ
৫৷ (১) ধারা ৮ এর বিধান সাপেক্ষে, কর-ন্যায়পাল তাঁহার নিয়োগের তারিখ হইতে ৪ (চার) বত্সর মেয়াদের জন্য স্বীয় পদে অধিষ্ঠিত থাকিবেন৷(২) কর-ন্যায়পাল শুধুমাত্র একটি মেয়াদের জন্য নিযুক্ত হইবেন এবং তিনি পুনঃনিয়োগের যোগ্য হইবেন না৷কর-ন্যায়পালের কার্যালয়
৬৷ কর-ন্যায়পালের প্রধান কার্যালয় ঢাকায় থাকিবে; তবে কর-ন্যায়পাল, প্রয়োজনবোধে, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, দেশের যে কোন স্থানে উহার শাখা কার্যালয় স্থাপন করিতে পারিবেন৷কর-ন্যায়পালের যোগ্যতা, অযোগ্যতা, ইত্যাদি
৭৷ (১) প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ কর প্রশাসনে বা পেশায়, সাধারণ বা আর্থিক প্রশাসন, আইন বা বিচারে অন্যুন ২০ (বিশ) বত্সরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন কোন ব্যক্তি কর-ন্যায়পাল হইবার যোগ্য হইবেন৷(২) কোন ব্যক্তি কর-ন্যায়পাল হিসাবে নিযুক্ত হইবার বা বহাল থাকিবার যোগ্য হইবেন না, যদি তিনি-(ক) বাংলাদেশের নাগরিক না হন;(খ) কোন ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ঋণ খেলাপী হিসাবে ঘোষিত বা চিহ্নিত হন;(গ) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক খেলাপী করদাতা হিসাবে ঘোষিত বা চিহ্নিত হন;(ঘ) আদালত কর্তৃক দেউলিয়া ঘোষিত হইবার পর দেউলিয়াত্বের দায় হইতে অব্যাহতি লাভ না করেন;(ঙ) নৈতিক স্খলন বা দুর্নীতিজনিত কোন ফৌজদারী অপরাধের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হইয়া আদালত কর্তৃক কারাদণ্ডে দণ্ডিত হইয়া থাকেন;(চ) সরকারী চাকুরীতে নিয়োজিত থাকেন;(ছ) সরকারী চাকুরীতে নিয়োজিত থাকাকালে বিভাগীয় মামলায় গুরুদণ্ডে দণ্ডিত হন;(জ) দৈহিক বা মানসিক বৈকল্যের কারণে স্বীয় দায়িত্ব পালনে অক্ষম হন;(ঝ) কর-ন্যায়পালের আওতাভুক্ত কর্মে পেশাগত বা ব্যবসায়িক স্বার্থে নিয়োজিত বা সংশ্লিষ্ট থাকেন;(ঞ) কর-ন্যায়পাল নিযুক্ত হওয়ার পর পেশাগত বা ব্যবসায়িক স্বার্থে নিজ নামে বা অন্য কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কর প্রশাসন সম্পর্কিত কর্মকাণ্ডে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সংশ্লিষ্ট থাকেন;(ট) কর-ন্যায়পাল নিযুক্ত হওয়ার পর উক্ত পদের দায়িত্ব বহির্ভূত কোন লাভজনক কাজে সরাসরি নিয়োজিত থাকেন;(ঠ) ৬৭ (সাতষট্টি) বত্সরের বয়সসীমা অতিক্রম করিয়া থাকেন৷ব্যাখ্যা৷- এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে-(অ) “ব্যাংক” অর্থ ব্যাংক কোম্পানী আইন, ১৯৯১ (১৯৯১ সনের ১৪ নং আইন) এর ধারা ৫(ণ) তে সংজ্ঞায়িত ব্যাংক কোম্পানী;(আ) “আর্থিক প্রতিষ্ঠান” অর্থ আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন, ১৯৯৩ (১৯৯৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ধারা ২(খ) তে সংজ্ঞায়িত প্রতিষ্ঠান৷কর-ন্যায়পালের পদত্যাগ ও অপসারণ
৮৷ (১) কর-ন্যায়পাল রাষ্ট্রপতির উদ্দেশ্যে স্বীয় স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে তাঁহার পদ ত্যাগ করিতে পারিবেন:তবে শর্ত থাকে যে, উক্তরূপ পদত্যাগ সত্ত্বেও পদত্যাগপত্র আনুষ্ঠানিকভাবে গৃহীত না হওয়া পর্যন্ত, রাষ্ট্রপতি প্রয়োজনে পদত্যাগকারী কর-ন্যায়পালকে তাঁহার দায়িত্ব পালনের অনুরোধ করিতে পারিবেন৷(২) উপ-ধারা (৩) এর বিধান সাপেক্ষে, গুরুতর অসদাচরণের জন্য অথবা মানসিক বা শারীরিক অসামর্থের কারণে কর-ন্যায়পাল তাঁহার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনে অক্ষম হইলে, রাষ্ট্রপতি কর-ন্যায়পালকে তাঁহার পদ হইতে অপসারণ করিতে পারিবেন৷(৩) সুপ্রীম কোর্টের একজন বিচারক যেইরূপ পদ্ধতিতে অপসারিত হইতে পারেন সেইরূপ পদ্ধতি ব্যতীত কর-ন্যায়পালকে অপসারণ করা যাইবে না৷অস্থায়ী কর-ন্যায়পাল
৯৷ কোন সময় কর-ন্যায়পালের পদ শূন্য হইলে বা অনুপস্থিতি, অসুস্থতা বা অন্য কোন কারণে তিনি কার্যভার পালনে অক্ষম বলিয়া রাষ্ট্রপতির নিকট সন্তোষজনকভাবে প্রতীয়মান হইলে, ধারা ৪ এর অধীন একজন কর-ন্যায়পাল নিয়োগদান না করা পর্যন্ত বা, ক্ষেত্রমত, কর-ন্যায়পাল পুনরায় স্বীয় দায়িত্ব গ্রহণ না করা পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি কোন ব্যক্তিকে কর-ন্যায়পালরূপে কার্য করিবার জন্য এবং উক্ত পদের দায়িত্বভার পালনের জন্য নিয়োগদান করিতে পারিবেন৷কর-ন্যায়পালের অক্ষমতা
১০৷ কর্মাবসানের পর কর-ন্যায়পাল প্রজাতন্ত্রের কার্যে কোন লাভজনক পদে নিয়োগ লাভের যোগ্য হইবেন না৷কর-ন্যায়পালের পদমর্যাদা, পারিশ্রমিক, ইত্যাদি
১১৷ (১) কর-ন্যায়পালের পদমর্যাদা হইবে সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারকের পদমর্যাদার অনুরূপ৷(২) কর-ন্যায়পালের পারিশ্রমিক, ভাতা এবং অন্যান্য সুবিধাদি সরকার কর্তৃক নির্ধারিত হইবে৷(৩) কর-ন্যায়পালের কর্ম মেয়াদে উপ-ধারা (২) এর অধীন নির্ধারিত পারিশ্রমিক, ভাতা এবং অন্যান্য সুবিধাদির এমন তারতম্য করা যাইবে না, যাহা তাঁহার পক্ষে অসুবিধাজনক হইতে পারে৷প্রধান নির্বাহী
১২৷ (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, কর-ন্যায়পাল তাঁহার কার্যালয়ের প্রধান নির্বাহী হইবেন৷(২) উপ-ধারা (১) এর সামগ্রিকতার আওতায়, কর-ন্যায়পাল তাঁহার কার্যালয়ের অর্থ ব্যয় সম্পর্কে মুখ্য হিসাব কর্মকর্তা বলিয়া গণ্য হইবেন৷কর-ন্যায়পালের দায়িত্ব ও এখতিয়ার
১৩৷ (১) উপ-ধারা (২) এর বিধান সাপেক্ষে, কর-ন্যায়পাল কোন সংক্ষুব্ধ ব্যক্তির অভিযোগ, অথবা রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী, বা জাতীয় সংসদের রেফারেন্স, অথবা সুপ্রীম কোর্টের নির্দেশনাপ্রাপ্ত হইয়া অথবা স্বীয় বিবেচনাক্রমে বোর্ড বা কোন কর কর্মচারীর অপশাসনের অভিযোগ তদন্ত করিতে পারিবেন৷(২) নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্রসমূহে কর-ন্যায়পালের তদন্ত বা অনুসন্ধান করার কোন এখতিয়ার থাকিবে না, যথা:-(ক) উপ-ধারা (১) এর অধীন কোন অভিযোগ বা রেফারেন্স প্রাপ্তির তারিখে যদি উক্ত অভিযোগ বা রেফারেন্সে বর্ণিত বিষয়বস্তু যথাযথ এখতিয়ারসম্পন্ন কোন আদালত বা ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন বা, ক্ষেত্রমত, বোর্ডের বিবেচনাধীন থাকে, তাহা হইলে উক্ত অভিযোগ বা রেফারেন্স; এবং(খ) আয় নিরূপণ, কর বা শুল্কের দায় নির্ধারণ, পণ্যের শ্রেণীবিন্যাস বা মূল্যায়ন বিষয়ে সংশ্লিষ্ট আইনের অধীন কোন আপীল, রিভিউ বা রিভিশনের ব্যবস্থা থাকিলে উক্তরূপ আয় নিরূপন, কর বা শুল্কের দায় নির্ধারণ, পণ্যের শ্রেণীবিন্যাস, বা মূল্যায়নের ব্যাখ্যা সম্পর্কে কোন কর কর্মচারীর বিরুদ্ধে উত্থাপিত কোন অভিযোগ:তবে শর্ত থাকে যে, অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, আয় নিরূপন, কর বা শুল্কের দায় নির্ধারণ, পণ্যের শ্রেণীবিন্যাস বা মূল্যায়নের বিষয়ে কোন ব্যক্তি সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর অপশাসনের বিরুদ্ধে সরাসরি কর-ন্যায়পালের নিকট অভিযোগ দায়ের করিতে পারিবেন৷(৩) উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোন কর কর্মচারী কর্তৃক বা তাহার পক্ষে আনীত তাহার চাকুরী সংক্রান্ত বিষয়ে কোন অভিযোগ কর-ন্যায়পাল বিবেচনার জন্য গ্রহণ করিতে পারিবেন না৷(৪) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, বিশেষ করিয়া, ন্যায়ভ্রষ্টতা, স্বেচ্ছাচারিতা, পক্ষপাতিত্ব বা বৈষম্যের কারণ নিরূপণার্থে কর-ন্যায়পাল, সময় সময়, সমীক্ষা বা গবেষণা করিতে পারিবেন, এবং সমীক্ষা বা গবেষণালব্ধ ফলাফলের ভিত্তিতে উক্তরূপ ন্যায়ভ্রষ্টতা, স্বেচ্ছাচার, পক্ষপাতিত্ব বা বৈষম্য দূরীকরণের জন্য অর্থমন্ত্রীর নিকট প্রয়োজনীয় সুপারিশ করিতে পারিবেন৷দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে স্বাধীনতা
১৪৷ এই আইনের অন্যান্য বিধান সাপেক্ষে, কর-ন্যায়পাল এই আইনের অধীন দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে স্বাধীন থাকিবেন৷কর-ন্যায়পালের সাংগঠনিক কাঠামো, বাজেট, ইত্যাদি
১৫৷ (১) কর-ন্যায়পালের সাংগঠনিক কাঠামো ও বাজেট সরকার কর্তৃক নির্ধারিত হইবে৷(২) সরকার প্রতি বত্সর কর-ন্যায়পালের প্রয়োজনীয় ব্যয়ের জন্য যে বাজেট বরাদ্দ করিবে তাহা হইতে ব্যয় করার ক্ষেত্রে সরকারের পূর্বানুমোদন গ্রহণ করা কর-ন্যায়পালের জন্য আবশ্যক হইবে না৷(৩) কর-ন্যায়পাল তত্কর্তৃক ব্যয়িত সকল অর্থের হিসাব সংরক্ষণ করিবেন এবং উক্ত হিসাব Comptroller and Auditor General (Additional Functions) Act, 1974 (XXIV of 1974) এর আওতাধীন একটি সংবিধিবদ্ধ সরকারী কর্তৃপক্ষ (Statutory Authority) হিসাবে মহা হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের এখতিয়ারভুক্ত হইবে৷কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ, ইত্যাদি
১৬৷ (১) কর-ন্যায়পাল তাঁহার কার্যাবলী দক্ষতার সহিত সম্পাদনের নিমিত্তে প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ করিতে পারিবেন৷(২) কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়োগসহ চাকুরীর অন্যান্য শর্তাবলী বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে৷পরামর্শক, পরিদর্শন টিম, উপদেষ্টা কমিটি, ইত্যাদি নিয়োগ
১৭৷ (১) কর-ন্যায়পাল এই আইনের অধীন তাঁহার দায়িত্ব পালনে তাঁহাকে সহায়তা করার জন্য বা তাঁহার উপর অর্পিত দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের নিমিত্ত, সম্মানী বা পারিশ্রমিকসহ বা ব্যতীত-(ক) প্রয়োজনীয় সংখ্যক পরামর্শক, বিশেষজ্ঞ, লিয়াজোঁ কর্মকর্তা ও অন্য কোন কর্মচারী নিয়োগ করিতে পারিবেন;(খ) এক বা একাধিক উপদেষ্টা কমিটি গঠন করিতে পারিবেন;(গ) তাঁহার কর্মকর্তা-কর্মচারী বা সংশ্লিষ্ট অন্য কোন ব্যক্তি সমন্বয়ে এক বা একাধিক পরিদর্শন টিম গঠন করিতে পারিবেন;(২) কর-ন্যায়পাল উপ-ধারা (১) এর অধীন গঠিত পরিদর্শন টিম, উপদেষ্টা কমিটির সদস্য সংখ্যা ও উহার দায়িত্ব ও কর্মপরিধি নির্ধারণ করিতে পারিবেন৷(৩) পরিদর্শন টিম পরিদর্শন কার্য-সম্পাদনের পর এবং উপদেষ্টা কমিটি উহার উপর অর্পিত দায়িত্ব সম্পাদনের পর সুপারিশসহ উহার প্রতিবেদন কর-ন্যায়পালের নিকট তত্কর্তৃক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দাখিল করিবে৷(৪) কর-ন্যায়পাল পরিদর্শন টিম বা উপদেষ্টা কমিটির সদস্যগণকে বা তত্কর্তৃক নিয়োজিত কোন বিশেষজ্ঞ, পরামর্শক ও অন্য কোন কর্মচারীকে প্রদত্ত সেবার জন্য সম্মানী বা, ক্ষেত্রমত, পারিশ্রমিক প্রদান করিতে পারিবেন৷(৫) এই ধারার অধীন কোন উপদেষ্টা কমিটি গঠন করা হইলে কমিটি গঠনকারী আদেশে উহার দায়িত্ব, এখতিয়ার ও স্থানীয় অধিক্ষেত্র নির্ধারণ করিয়া দেওয়া যাইবে৷অভিযোগ দায়ের, তদন্তের পদ্ধতি ও সাক্ষ্য গ্রহণ
১৮৷ (১) এই আইনের অধীন কোন অভিযোগ লিখিত হইতে হইবে এবং সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি বা, তাঁহার মৃত্যুর ক্ষেত্রে, তাঁহার আইনানুগ প্রতিনিধি কর্তৃক স্বাক্ষরিত ও কর-ন্যায়পালের উদ্দেশ্যে সম্বোধিত হইতে হইবে, যাহা কর-ন্যায়পালের নিকট অথবা তাঁহার কার্যালয়ে ব্যক্তিগতভাবে অথবা অন্য কোন মাধ্যমে জমা দেওয়া যাইবে৷(২) কর-ন্যায়পাল কোন বেনামী বা ছদ্মনামযুক্ত অভিযোগপত্র গ্রহণ করিবেন না৷(৩) অভিযোগে বর্ণিত বিষয় সম্পর্কে অবহিত হইবার অনূর্ধ্ব ৬ (ছয়) মাসের মধ্যে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিকে অভিযোগ দায়ের করিতে হইবে:তবে শর্ত থাকে যে, উক্তরূপ সময়সীমা উত্তীর্ণ হইবার পর কোন অভিযোগ দায়ের হইলে, কর-ন্যায়পালের নিকট যদি প্রতীয়মান হয় যে, নির্ধারিত তারিখের মধ্যে অভিযোগ দায়ের না করার যথাযথ কারণ ছিল, তাহা হইলে তিনি উক্তরূপ অভিযোগ দায়েরের ভিত্তিতে তদন্ত কার্য শুরু করিতে পারিবেন৷(৪) কোন অভিযোগের ভিত্তিতে কর-ন্যায়পাল কোনরূপ তদন্ত পরিচালনার ইচ্ছাপোষণ করিলে তিনি অভিযুক্ত ব্যক্তিকে অভিযোগে বর্ণিত বিষয়ের জবাবদানের জন্য লিখিত নোটিশ প্রদান করিবেন এবং উক্ত নোটিশের একটি অনুলিপি অবগতির জন্য চেয়ারম্যানকে প্রদান করিবেন:তবে শর্ত থাকে যে, বোর্ডের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগের তদন্তের ক্ষেত্রে, অভিযোগের বিষয়ে জবাব প্রদানের জন্য চেয়ারম্যানকে লিখিত নোটিশ প্রদান করিবেন৷(৫) উপ-ধারা (৪) এর অধীন নোটিশ প্রাপ্তির ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে অভিযুক্ত ব্যক্তি বা, ক্ষেত্রমত, চেয়ারম্যান লিখিত জবাব প্রদান করিতে ব্যর্থ হইলে কর-ন্যায়পাল তদন্ত কার্য শুরু করিতে পারিবেন:তবে শর্ত থাকে যে, এই ধারার অধীন জবাব দাখিলের জন্য অভিযুক্ত ব্যক্তি যুক্তিসঙ্গত কারণে সময় বৃদ্ধির লিখিত অনুরোধ করিলে উহা বিবেচনাক্রমে কর-ন্যায়পাল অতিরিক্ত ৩০ (ত্রিশ) দিন সময় বৃদ্ধি করিতে পারিবেন এবং উক্ত সময় অতিক্রান্ত হইলে কর-ন্যায়পাল তদন্ত কার্য শুরু করিতে পারিবেন৷(৬) এই আইনের অন্যান্য বিধান সাপেক্ষে, সাধারণভাবে প্রতিটি তদন্ত গোপনে অনুষ্ঠিত হইবে; তবে কর-ন্যায়পাল, প্রয়োজনবোধে, প্রকাশ্যে তদন্ত পরিচালনা করিতে পারিবেন৷(৭) কর-ন্যায়পাল উপ-ধারা (৬) এর অধীন তদন্ত অনুষ্ঠানের পদ্ধতি নির্ধারণ করিবেন এবং তদন্ত অনুষ্ঠানের জন্য যেইরূপ অনুসন্ধানের প্রয়োজন মনে করিবেন সেইরূপ অনুসন্ধান করিতে পারিবেন৷(৮) তদন্তের প্রয়োজনে কোন ব্যক্তিকে উপস্থিতির জন্য কর-ন্যায়পাল কর্তৃক নোটিশ প্রদান করা হইলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি স্বয়ং অথবা তাহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রতিনিধির মাধ্যমে কর-ন্যায়পালের নিকট উপস্থিত হইতে পারিবেন৷(৯) কর-ন্যায়পাল কোন তদন্ত পরিচালনার প্রয়োজনে কোন ব্যক্তিকে কোন কার্যধারায় উপস্থিতি বা কোন তথ্য সরবরাহের জন্য নির্ধারিত যাতায়াত ভাতা ও আনুষঙ্গিক অন্যান্য ব্যয় বাবদ প্রয়োজনীয় খরচ প্রদান করিতে পারিবেন৷(১০) এই আইনের অধীন পরিচালিত কোন তদন্ত-(ক) বোর্ড কর্তৃক গৃহীত কোন ব্যবস্থাকে প্রভাবিত করিবে না; অথবা(খ) তদন্তাধীন কোন বিষয়ে বোর্ডের অধিকতর ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষমতা বা দায়িত্বকে ক্ষুণ্ন করিবে না৷(১১) এই আইনের অধীন কোন তদন্তের উদ্দেশ্যে, কর-ন্যায়পাল যে কোন কর কর্মচারীকে প্রাসঙ্গিক ও সহায়ক যে কোন তথ্য সরবরাহ বা যে কোন দলিল পেশ করার নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন এবং উক্তরূপে সরবরাহকৃত বা পেশকৃত সকল তথ্য বা দলিল গোপনীয় হিসাবে বিবেচিত হইবে৷(১২) যেইক্ষেত্রে কর-ন্যায়পাল তদন্ত পরিচালনা না করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন, সেইক্ষেত্রে তিনি অভিযোগকারীর নিকট তদন্ত পরিচালনা না করার কারণ সম্বলিত বক্তব্য প্রেরণ করিবেন এবং উহার একটি অনুলিপি অবগতির জন্য চেয়ারম্যানকে প্রদান করিবেন৷(১৩) কার্য পরিচালনার জন্য অন্তর্ভু্ক্ত করা হইয়াছে এমন ব্যবস্থায় অতিরিক্ত কার্য পরিচালনা পদ্ধতি বা ক্ষমতার প্রয়োজন হইলে কর-ন্যায়পাল উক্ত কার্য পরিচালনা পদ্ধতি বা ক্ষমতা প্রয়োগ করিতে পারিবেন৷সমন জারী
১৯৷ (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, কার্যালয়ের লিখিত সমন বা যোগাযোগ কোন পক্ষ বা ব্যক্তির উপর, অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে, নিম্নবর্ণিত এক বা একাধিক পদ্ধতিতে জারী করা হইলে উহা জারী হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে, যথা:-(ক) কোন কর্মকর্তা-কর্মচারী বা কর-ন্যায়পালের নামে কোন ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্তৃক নিযুক্ত কোন বিশেষ সমন জারীকারক বা এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত অন্য কোন ব্যক্তি কর্তৃক ব্যক্তিগতভাবে জারীকরণের মাধ্যমে;(খ) সংশ্লিষ্ট পক্ষ বা ব্যক্তির কর-ন্যায়পালের কার্যালয়ে সংরক্ষিত সর্বশেষ জ্ঞাত ঠিকানায় সাধারণ বা প্রাপ্তি স্বীকারপত্রসহ রেজিিষ্ট্র ডাকযোগে বা অন্য কোন পদ্ধতিতে প্রেরণের মাধ্যমে, সেইক্ষেত্রে উক্তরূপ প্রেরণের দশ দিন উত্তীর্ণ হইবার পর জারী হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে;(গ) কোন পুলিশ অফিসার বা কর্মকর্তা-কর্মচারী বা কার্যালয়ের প্রতিনিধি কর্তৃক সংশ্লিষ্ট পক্ষ বা ব্যক্তির সর্বশেষ জ্ঞাত ঠিকানা, বাসস্থান বা কর্মস্থলে সমন বা দলিল পৌঁছানোর মাধ্যমে, এবং যদি উক্ত ঠিকানা, ভবন বা স্থানে কাহাকেও পাওয়া না যায় তাহা হইলে উক্ত ঠিকানার প্রধান প্রবেশদ্বারে সমন বা অন্য দলিলের অনুলিপি লাগানোর মাধ্যমে; এবং(ঘ) কোন সংবাদপত্রে সমন বা দলিল প্রকাশকরণ ও উহার অনুলিপি সংশ্লিষ্ট পক্ষ বা ব্যক্তির নিকট রেজিষ্টার্ড ডাকযোগে প্রেরণের মাধ্যমে, সেইক্ষেত্রে সংবাদপত্র প্রকাশের তারিখের জারী কার্যকর হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে৷(২) জারী সংক্রান্ত বিষয়ে প্রমাণের দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট পক্ষের উপর বর্তাইবে; তিনি পর্যাপ্ত কারণসহ বিশ্বস্ততার সহিত প্রমাণ করিবেন যে, প্রকৃতপক্ষে সমন জারী সম্পর্কে তাহার আদৌ কোন জ্ঞান ছিল না এবং তিনি প্রকৃতই সরল বিশ্বাসে কাজ করিয়াছেন৷(৩) যখনই কার্যালয় হইতে কোন দলিল বা সমন ডাকযোগে প্রেরণ করা হইবে, তখন সংশ্লিষ্ট খাম বা প্যাকেটের গায়ে স্পষ্টরূপে লিখিত থাকিবে যে, উহা কার্যালয় হইতে প্রেরিত হইয়াছে৷কর-ন্যায়পালের সুপারিশ ও উহার বাস্তবায়ন
২০৷ (১) কর-ন্যায়পাল কোন বিষয়ে যথাযথ তদন্তের ভিত্তিতে যদি এই মর্মে অভিমত পোষণ করেন যে, উহাতে অপশাসন হইয়াছে বা অপশাসনের মাধ্যমে কোন কার্য সম্পাদিত হইয়াছে, তাহা হইলে তিনি তদন্ত সমাপ্তির ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে তাঁহার সুপারিশ বোর্ডকে লিখিতভাবে অবহিত করিবেন৷(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন সুপারিশ প্রাপ্তির ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে বোর্ড উক্ত সুপারিশ-(ক) যথাযথ বাস্তবায়ন করিবে এবং তত্সম্পর্কে কর-ন্যায়পালকে অবহিত করিবে; বা(খ) যথাযথ বাস্তবায়নে ব্যর্থ হইলে উহার কারণ কর-ন্যায়পালকে অবহিত করিবে৷(৩) যেইক্ষেত্রে কর-ন্যায়পাল কোন অভিযোগ, অথবা রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী বা জাতীয় সংসদ কর্তৃক প্রেরিত কোন রেফারেন্স, অথবা সুপ্রীম কোর্টের কোন নির্দেশনার প্রেক্ষিতে কোন বিষয় বিবেচনা করিয়াছেন বা তদন্ত পরিচালনা করিয়াছেন, সেইক্ষেত্রে কর-ন্যায়পাল উপ-ধারা (২) অনুসারে বোর্ডের নিকট হইতে প্রাপ্ত তথ্য সম্পর্কে অভিযোগকারী অথবা, ক্ষেত্রমত, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী, জাতীয় সংসদ বা সুপ্রীম কোর্টকে অবহিত করিবেন৷(৪) উপ-ধারা (২) এ নির্ধারিত মেয়াদের মধ্যে কর-ন্যায়পাল যদি বিষয়টি সম্পর্কে কোন তথ্য প্রাপ্ত না হন, তাহা হইলে তিনি উহা অর্থমন্ত্রীকে অবহিত করিতে পারিবেন এবং তিনি যেইরূপ উপযুক্ত মনে করিবেন সেইরূপ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন৷(৫) উপ-ধারা (৪) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোন তদন্তের পর যদি কর-ন্যায়পালের নিকট প্রতীয়মান হয় যে, অপশাসনের ফলে কোন সংক্ষুব্ধ ব্যক্তির প্রতি অবিচার করা হইয়াছে এবং উক্ত অবিচারের প্রতিকার করা হয় নাই বা হইবে না, তাহা হইলে তিনি, উপযুক্ত মনে করিলে, অর্থমন্ত্রীর নিকট বিষয়টির উপর একটি বিশেষ প্রতিবেদন উপস্থাপন করিতে পারিবেন৷(৬) যদি বোর্ড কর-ন্যায়পালের সুপারিশ বাস্তবায়ন না করে অথবা বাস্তবায়ন না করার কারণ কর-ন্যায়পালকে তাঁহার সন্তোষানুযায়ী জ্ঞাপন না করে, তাহা হইলে উক্ত অবাস্তবায়নের বিষয় সম্পর্কে ধারা ২১ এর বিধান অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাইবে৷সুপারিশ বাস্তবায়নে ব্যর্থতার ক্ষেত্রে করণীয়
২১৷ (১) কর-ন্যায়পালের কোন সুপারিশ বাস্তবায়নের দায়িত্ব-(ক) বোর্ডের উপর ন্যস্ত হইলে উক্তরূপ সুপারিশ বাস্তবায়নে ব্যর্থতার জন্য বোর্ড দায়ী থাকিবে;(খ) কোন কর কর্মচারীর উপর ন্যস্ত হইলে উক্তরূপ সুপারিশ বাস্তবায়নে ব্যর্থতার জন্য তিনি ব্যক্তিগতভাবে দায়ী থাকিবেন এবং এই ব্যর্থতার বিষয়টি তাহার ব্যক্তিগত নথির অন্তর্ভুক্ত হওয়াসহ উহা তাহার বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদনে উল্লিখিত হইবে:তবে শর্ত থাকে যে, এই দফার অধীন ব্যক্তিগতভাবে কোন কর কর্মচারীকে দায়ী করার পূর্বে তাহাকে প্রয়োজনীয় শুনানীর সুযোগ প্রদান করিতে হইবে৷(২) কর-ন্যায়পালের কোন সুপারিশ বাস্তবায়ন না হইলে তিনি বিষয়টি অর্থমন্ত্রীকে অবহিত করিতে পারিবেন এবং উক্তরূপে অবহিত হইলে, তিনি-(ক) উক্ত সুপারিশ বাস্তবায়নের জন্য বোর্ডকে নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন; অথবা(খ) যদি মনে করেন যে, কর-ন্যায়পালের সুপারিশ পুনর্বিবেচনার প্রয়োজন, তাহা হইলে বিষয়টি পুনর্বিবেচনার জন্য কর-ন্যায়পালের নিকট প্রেরণ করিতে পারিবেন; অথবা(গ) স্বীয় বিবেচনায় অন্য কোন যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন৷তদন্ত কার্যে কর-ন্যায়পালের বিশেষ ক্ষমতা
২২৷ (১) এই আইনের অধীন কোন অভিযোগ তদন্তের ক্ষেত্রে কর-ন্যায়পাল বা তত্কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তির নিম্নরূপ ক্ষমতা থাকিবে, যথা:-(ক) সাক্ষীর প্রতি সমনজারী ও তাহার উপস্থিতি নিশ্চিত করা;(খ) কোন দলিল উদঘাটন এবং উপস্থাপন করা;(গ) হলফনামার মাধ্যমে সাক্ষ্য গ্রহণ করা;(ঘ) সাক্ষীকে জিজ্ঞাসাবাদ এবং দলিল পরীক্ষা করার জন্য পরওয়ানা জারী করা; এবং(ঙ) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, নির্ধারিত অন্য কোন বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা৷(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন ক্ষমতা প্রয়োগের ক্ষেত্রে, কর-ন্যায়পাল (Code of Civil Procedure, 1908 (V of 1908) এর অধীন দেওয়ানী আদালতের ক্ষমতা প্রয়োগ করিতে পারিবেন৷(৩) কর-ন্যায়পাল তদন্তাধীন কোন বিষয়ের সহায়ক বা প্রাসঙ্গিক হইতে পারে, এইরূপ কোন বিষয়ে তথ্য সরবরাহ করিবার জন্য যে কোন ব্যক্তিকে নির্দেশ দিতে পারিবেন; এবং অনুরূপভাবে নির্দেশিত ব্যক্তি তাহার হেফাজতে রক্ষিত উক্তরূপ তথ্যাদি সরবরাহ করিতে বাধ্য থাকিবেন৷(৪) এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, বোর্ড বা কোন কর কর্মচারী কর-ন্যায়পালের কোন আদেশ পালনে ব্যর্থ হইলে এইরূপ আদেশ অমান্যকারী-(ক) বোর্ড হইলে তজ্জন্য বোর্ডের সদস্যগণ যৌথভাবে বা, ক্ষেত্রমত, ব্যক্তিগতভাবে দায়ী থাকিবেন; এবং(খ) কোন কর-কর্মচারী হইলে তিনি ব্যক্তিগতভাবে দায়ী থাকিবেন৷(৫) উপ-ধারা (৪) এর অধীন কর-ন্যায়পালের নির্দেশ পালনে ব্যর্থ ব্যক্তি বা কর কর্মচারীর বিরুদ্ধে কর-ন্যায়পাল শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর-কর্মচারীর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করিতে পারিবেন৷(৬) উপ-ধারা (১) এ বর্ণিত ক্ষমতাসমূহ এই আইনের বিধানাবলীর অধীন তদন্ত পরিচালনার সময় কর-ন্যায়পালের নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে লিখিতভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত যে কোন ব্যক্তি কর্তৃক প্রয়োগ করা যাইবে৷(৭) যে ক্ষেত্রে কর-ন্যায়পাল সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে, ধারা ১৩ এর উপ-ধারা (১) এ বর্ণিত অভিযোগ মিথ্যা, অসার ও হয়রানিমূলক, সেইক্ষেত্রে তিনি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বা সেই কর কর্মচারী যাহার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনীত হইয়াছে এর অনুকূলে যুক্তিসঙ্গত ক্ষতিপূরণ প্রদানের নির্দেশ দান করিতে পারিবেন; উক্ত ক্ষতিপূরণের অর্থ অভিযোগকারীর নিকট হইতে বকেয়া ভূমি রাজস্ব হিসাবে আদায়যোগ্য হইবে:তবে শর্ত থাকে যে, এই উপ-ধারার অধীন ক্ষতিপূরণের আদেশ সংক্ষুব্ধ ব্যক্তির দেওয়ানী ও ফৌজদারী প্রতিকার প্রার্থনায় বাধা হইবে না৷(৮) যদি কর-ন্যায়পালের যুক্তিসঙ্গতভাবে বিশ্বাস করিবার কারণ থাকে যে, কোন কর কর্মচারী এইরূপ আচরণ করিয়াছেন যাহার কারণে তাহার বিরুদ্ধে ফৌজদারী বা শৃঙ্খলামূলক কার্যক্রম গ্রহণ অত্যাবশ্যক, তাহা হইলে তিনি বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর-কর্মচারীর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রেরণ করিতে পারিবেন এবং কর-ন্যায়পালের সুপারিশ অনুযায়ী উক্ত কর্তৃপক্ষ উক্ত বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে৷(৯) কর-ন্যায়পাল এই আইনের উদ্দেশ্যে শপথপাঠ পরিচালনা এবং এই আইনের অধীন সকল কার্যধারায় সাক্ষ্য হিসাবে গ্রহণযোগ্য বিভিন্ন হলফনামা বা ঘোষণা সত্যায়নের জন্য কোন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ক্ষমতা প্রদান করিতে পারিবেন৷(১০) কর-ন্যায়পাল কর্তৃক গৃহীত যে কোন সিদ্ধান্ত বা সুপারিশ অথবা প্রদত্ত যে কোন আদেশ সংক্ষুব্ধ ব্যক্তির আবেদনক্রমে স্বীয় উদ্যোগে পুনর্বিবেচনা করিতে পারিবেন:তবে শর্ত থাকে যে, উক্তরূপ সিদ্ধান্ত, সুপারিশ বা আদেশ প্রদানের ৬০ (ষাট) দিন উত্তীর্ণ হইবার পর সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি কর্তৃক দাখিলকৃত কোন আবেদন পুনর্বিবেচনাযোগ্য হইবে না৷কর-ন্যায়পালের নিকট রেফারেন্স প্রেরণ
২৩৷ (১) এই আইনের অধীন তদন্ত পরিচালনা ও সুপারিশ প্রদানের জন্য রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী, জাতীয় সংসদ কর্তৃক প্রতিটি অভিযোগ বা অন্য কোন বিষয় রেফারেন্স আকারে কর-ন্যায়পালের নিকট প্রেরণ করিতে হইবে৷(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন কোন রেফারেন্স প্রেরিত হইলে কর-ন্যায়পাল উক্ত অভিযোগ বা বিষয়ে দ্রুত তদন্ত পরিচালনা করিবেন এবং যুক্তিসঙ্গত সময়ের মধ্যে তাঁহার সুপারিশ রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী, বা জাতীয় সংসদের নিকট প্রেরণ করিবেন৷প্রবেশ ও তল্লাশীর ক্ষমতা
২৪৷ (১) এই আইনের অধীন অপশাসনের অভিযোগ তদন্ত পরিচালনার উদ্দেশ্যে যদি কর-ন্যায়পাল বা তত্কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তার এইরূপ বিশ্বাস করিবার যুক্তিসঙ্গত কোন কারণ থাকে যে, কোন গৃহ, অঙ্গণ বা স্থানে কোন সামগ্রী, হিসাব-বহি বা দলিলপত্র পাওয়া যাইতে পারে, তাহা হইলে কর-ন্যায়পাল বা, ক্ষেত্রমত, উক্ত কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট অভিযুক্ত ব্যক্তির গৃহে, অঙ্গণ বা স্থানে, নিম্নবর্ণিত কার্যাদি সম্পন্নের নিমিত্ত, প্রবেশ করিতে পারিবেন-(ক) উক্ত গৃহ, অঙ্গণ বা স্থান তল্লাশীকরণসহ যে কোন সামগ্রী, হিসাব-বহি বা অন্যান্য দলিলপত্র পরীক্ষাকরণ;(খ) উক্ত হিসাব-বহি ও দলিলপত্র বা উহার অংশ বিশেষের উদ্ধৃতি বা অনুলিপি সংগ্রহকরণ;(গ) উক্ত সামগ্রী, হিসাব-বহি বা দলিলপত্র জব্দ বা অবরুদ্ধ (seal) করণ;(ঘ) উক্ত-সামগ্রী, হিসাব বহি বা অন্যান্য দলিলপত্রের তালিকা প্রস্তুতকরণ৷(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রবেশ, তল্লাশী, জব্দ, পরীক্ষার ক্ষেত্রে, Code of Criminal Procedure, 1898 (V of 1898) এর বিধানাবলী প্রযোজ্য হইবে৷কর-ন্যায়পালের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিকার
২৫৷ কর-ন্যায়পালের কোন সুপারিশ দ্বারা জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বা কোন ব্যক্তি সংক্ষুব্ধ হইলে, উক্ত বোর্ড বা ব্যক্তি সুপারিশ প্রদানের ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে অর্থমন্ত্রীর নিকট আবেদন করিতে পারিবেন এবং তিনি উক্ত আবেদনের উপর স্বীয় বিবেচনায় যথাযথ আদেশ প্রদান করিবে৷ক্ষমতা অর্পণ
২৬৷ (১) কর-ন্যায়পাল, প্রয়োজনবোধে এবং তত্কর্তৃক নির্ধারিত শর্ত সাপেক্ষে, এই আইনের অধীন তাঁহার উপর অর্পিত যে কোন ক্ষমতা বা দায়িত্ব, লিখিত আদেশ দ্বারা, কার্যালয়ের যে কোন কর্মকর্তা বা সংশ্লিষ্ট অন্য কোন ব্যক্তিকে অর্পণ করিতে পারিবেন৷(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা ব্যক্তি তাহার উপর অর্পিত কোন নির্দিষ্ট দায়িত্ব সম্পাদনের পর তত্সম্পর্কে সুপারিশসহ একটি প্রতিবেদন কর-ন্যায়পালের নিকট দাখিল করিবেন৷অন্যান্য সংস্থার কর্মচারীকে ক্ষমতা প্রদান
২৭৷ (১) কর-ন্যায়পাল সমীচীন মনে করিলে তিনি যে কোন সরকারী কর্মচারী বা কোন সংবিধিবদ্ধ সংস্থার কর্মচারীকে, তাহার নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের সম্মতিক্রমে, কর-ন্যায়পালের এখতিয়ারাধীন কোন বিষয়ে ধারা ২২ এর উপ-ধারা (১), (২) বা (৩) এর অধীন স্বীয় কার্য সম্পাদনের জন্য ক্ষমতা প্রদান করিতে পারিবেন, এবং উক্তরূপ ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মচারীর দায়িত্ব হইবে কর-ন্যায়পাল ও উক্ত কর্তৃপক্ষের পারস্পরিক সম্মত শর্তাধীনে উক্ত কার্য সম্পাদন করা৷(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি কর-ন্যায়পালের অন্যান্য কর্মচারীর অনুরূপ কর-ন্যায়পালের নিয়ন্ত্রণাধীন থাকিবেন, তবে তাঁহার বিরুদ্ধে কোন শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের প্রশ্ন দেখা দিলে সংশ্লিষ্ট তথ্যাদিসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিষয়টি উক্ত ব্যক্তির মূল নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করিতে হইবে৷ক্ষতিপূরণ বা অর্থ ফেরত প্রদানের নির্দেশ প্রদানের ক্ষমতা
২৮৷ (১) বোর্ড বা কোন কর-কর্মচারীর স্বেচ্ছাকৃত অপশাসনের কারণে কোন ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হইলে উক্ত ক্ষতির জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে ক্ষতিপূরণ প্রদান করিবার জন্য কর-ন্যায়পাল, কারণ দর্শানো নোটিশ জারীর ৭ (সাত) দিনের মধ্যে বা তত্কর্তৃক নির্ধারিত অন্য কোন সময়ের মধ্যে, বোর্ড বা উক্ত কর-কর্মচারীকে কারণ দর্শানোর জন্য নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন৷(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন কারণ দর্শানোর প্রেক্ষিতে কোন কর-কর্মচারী বা বোর্ড কর্তৃক কোন জবাব দাখিলকৃত হইলে, কর-ন্যায়পাল উক্ত জবাব বিবেচনান্তে বোর্ড বা উক্ত কর-কর্মচারীর শুনানী গ্রহণের পর যুক্তিসঙ্গত খরচ বাবদ অর্থ পরিশোধ বা ক্ষতিপূরণ প্রদানের নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন৷(৩) কোন কর-কর্মচারী বা তাহার পক্ষে অন্য কোন ব্যক্তি কর্তৃক উত্কোচ গ্রহণ বা অর্থ আত্মসাত্, বিশ্বাস ভঙ্গ বা প্রতারণা সংক্রান্ত ক্ষেত্রসমূহে কর-ন্যায়পাল উক্ত অর্থ সরকারের অনুকূলে জমা দেওয়ার নির্দেশ প্রদান অথবা তিনি যেইরূপ উপযুক্ত মনে করিবেন সেইরূপ অন্য কোন নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন৷(৪) উপ-ধারা (৩) এর অধীন কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রদত্ত কোন নির্দেশ উক্ত ব্যক্তিকে অন্য কোন আইনের অধীন কোন দায়-দায়িত্ব হইতে মুক্ত (absolve) করিবে না৷কর-ন্যায়পাল কর্তৃক অন্যান্য ব্যক্তি বা কর্তৃপক্ষের সহায়তা গ্রহণ
২৯৷ (১) এই আইনের অধীন কোন ক্ষমতা প্রয়োগ বা কার্য সম্পাদনের উদ্দেশ্যে কর-ন্যায়পাল যে কোন ব্যক্তি বা অন্য কোন সরকারী বা সংবিধিবদ্ধ কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানের জন্য অনুরোধ করিতে পারিবেন৷(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন কোন অনুরোধ করা হইলে উক্ত ব্যক্তি বা কর্তৃপক্ষ তাহাদের ক্ষমতা ও সাধ্যানুযায়ী প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করিবে৷হলফনামা দাখিলের জন্য নির্দেশদানের ক্ষমতা
৩০৷ (১) কর-ন্যায়পাল কোন অভিযোগকারীকে, অথবা কোন অভিযোগ বা তদন্ত বা রেফারেন্সের সহিত সম্পর্কিত বা সংশ্লিষ্ট কোন পক্ষকে, কর-ন্যায়পাল বা কোন কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্তৃক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে, তদুদ্দেশ্যে কোন উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের নিকট সত্যায়িত বা নোটারিকৃত হলফনামা দাখিলের নির্দেশদান করিতে পারিবেন৷(২) ধারা ২২ এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কর-ন্যায়পাল-(ক) অভিযোগকারী বা সাক্ষীগণকে তাহাদের সততা ও বিশ্বাসযোগ্যতা পরীক্ষার উদ্দেশ্যে মিথ্যা নিরূপণ পরীক্ষা গ্রহণের জন্যও নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন;(খ) বিষয়টি সম্পর্কে যুক্তিসঙ্গত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিতে পারিবেন, বিশেষ করিয়া, যখন কোন ব্যক্তি, যুক্তিসঙ্গত কোন কারণ ব্যতীত, উক্তরূপ পরীক্ষা গ্রহণ করিতে অস্বীকার করে৷বাত্সরিক প্রতিবেদন, ইত্যাদি
৩১৷ (১) প্রত্যেক খ্রীষ্টীয় পঞ্জিকা বত্সর সমাপ্ত হইবার তিন মাসের মধ্যে কর-ন্যায়পাল রাষ্ট্রপতির নিকট বাত্সরিক প্রতিবেদন পেশ করিবেন এবং রাষ্ট্রপতি উহা সংসদে উপস্থাপনের ব্যবস্থা করিবেন৷(২) অর্থমন্ত্রী কার্য সম্পাদন সংক্রান্ত সুনির্দ্দিষ্ট কোন বিষয়ে প্রতিবেদন প্রদানের জন্য কর-ন্যায়পালকে অনুরোধ করিলে বা কর-ন্যায়পাল কোন প্রতিবেদন প্রদান করা সমীচীন বলিয়া মনে করিলে, তিনি অর্থমন্ত্রীর নিকট উক্তরূপ প্রতিবেদন পেশ করিতে পারিবেন৷(৩) উপ-ধারা (১) এর অধীন কোন প্রতিবেদন পেশ করা হইলে, কর-ন্যায়পাল উক্ত প্রতিবেদন জনসমক্ষে প্রকাশের ব্যবস্থা করিবেন এবং যুক্তিসংগত মূল্যে উহা জনগণের প্রাপ্তিসাধ্য করিবেন৷(৪) কর-ন্যায়পাল, অর্থমন্ত্রীর সহিত পরামর্শক্রমে, তাঁহার কার্যালয় কর্তৃক কৃত যে কোন বিষয়ে সমীক্ষা, সিদ্ধান্ত, ফলাফল, সুপারিশ, ধীকল্প (idea) বা পরামর্শ জনসমক্ষে প্রকাশের ব্যবস্থা করিতে পারিবেন৷ব্যতিক্রমী সেবা বা বিশেষ সহায়তার জন্য পুরস্কার প্রদান
৩২৷ আপাততঃ বলবত্ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কার্য সম্পাদনের প্রয়োজনে কর-ন্যায়পালকে প্রদত্ত ব্যতিক্রমী সেবা বা বিশেষ সহায়তার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে কর-ন্যায়পাল, স্বীয় বিবেচনায়, পুরস্কৃত করিতে পারিবেন:তবে শর্ত থাকে যে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির অনুরোধে কর-ন্যায়পাল উক্ত ব্যক্তির পরিচয় গোপন রাখিবেন, এবং উক্ত ব্যক্তিকে হয়রানী, দুর্ব্যবহার বা অপদস্ত হওয়ার হাত হইতে রক্ষার উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করিবেন৷আদালত ইত্যাদির এখতিয়ার রহিত
৩৩৷ এই আইনের অধীন কৃত বা কৃত বলিয়া গণ্য কোন কার্য, গৃহীত কোন ব্যবস্থা, প্রদত্ত কোন আদেশ বা নির্দেশের বৈধতা সম্পর্কে কোন আদালতের নিকট প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না৷দায়মুক্তি
৩৪৷ এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধি বা প্রবিধানের অধীন দায়িত্ব পালন কালে সরল বিশ্বাসে কৃত বা বলিয়া বিবেচিত কোন কাজের ফলে কোন ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হইলে বা ক্ষতিগ্রস্ত হইবার সম্ভাবনা থাকিলে তদজন্য কর-ন্যায়পাল, কর-ন্যায়পালের প্রতিনিধি বা তাঁহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি, অথবা কর-ন্যায়পালের কর্মকর্তা ও কর্মচারীর বিরুদ্ধে দেওয়ানী বা ফৌজদারী মামলা বা অন্য কোন কার্যক্রম গ্রহণ করা যাইবে না৷বিকল্প পদ্ধতিতে বিরোধ নিষ্পত্তি
৩৫৷ এই আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোন অভিযোগ লিপিবদ্ধকরণ বা কোন পক্ষকে আনুষ্ঠানিক নোটিশ প্রদান ব্যতিরেকে কর-ন্যায়পাল বা তত্কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তা-কর্মচারীগণের সালিশ, আপোষ-মীমাংসা বা অন্য কোন বিকল্প পদ্ধতিতে কোন উদ্ভুত বিরোধ নিষ্পন্ন করার ক্ষমতা থাকিবে৷জনসেবক
৩৬৷ কর-ন্যায়পাল, কর্মকর্তা-কর্মচারী, পরামর্শক, বিশেষজ্ঞ, উপদেষ্টা কমিটির সদস্য এবং কর-ন্যায়পালের ক্ষমতা প্রয়োগের বা দায়িত্ব সম্পাদনের জন্য কর-ন্যায়পালের নিকট হইতে লিখিতভাবে ক্ষমতা বা দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি Penal Code (Act XLV of 1860) এর Section 21 এ বর্ণিত Public Servant বা জনসেবক বলিয়া গণ্য হইবে৷ব্যয় সংযুক্ত তহবিলের উপর দায়যুক্ত হইবে
৩৭৷ কর-ন্যায়পালকে দেয় পারিশ্রমিক এবং উপযুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারী, প্রতিনিধি ও গ্রহীতাকে দেয় পারিশ্রমিকসহ কার্যালয়ের প্রশাসনিক ব্যয়সমূহ সংযুক্ত তহবিলের উপর দায়যুক্ত ব্যয় হইবে৷বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা
৩৮৷ এই আইনের উদ্দেশ্যপূরণকল্পে, কর-ন্যায়পাল, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে ও সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবেন৷মূল পাঠ এবং ইংরেজীতে পাঠ
৩৯৷ এই আইনের মূল পাঠ বাংলাতে হইবে এবং ইংরেজীতে অনূদিত উহার একটি নির্ভরযোগ্য পাঠ থাকিবে এবং উক্ত ইংরেজী পাঠ সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, প্রকাশ করিবে:তবে শর্ত থাকে যে, বাংলা ও ইংরেজী পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে বাংলা পাঠ প্রাধান্য পাইবে৷Footnotes
Click here to see the original act on the Bangladesh Legal Database.