Date of Publication: [ ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ]

Preamble

যেহেতু রাসায়নিক পরিমাপবিজ্ঞান বিষয়ে রেফারেন্স ল্যাবরেটরি হিসাবে কার্যক্রম পরিচালনা, গবেষণা, সেবা এবং এতৎসংশ্লিষ্ট সকল কার্যক্রম গ্রহণের লক্ষ্যে একটি ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়; সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল :¾

Sections/Articles

সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন

১।  (১) এই আইন বাংলাদেশ রেফারেন্স ইনস্টিটিউট ফর কেমিক্যাল মেজারমেন্টস্ আইন, ২০২০ নামে অভিহিত হইবে। (২)  ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।

সংজ্ঞা

২।  বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থি কোনো কিছু না থাকিলে, এই আইনে¾ (১)    ‘ইনস্টিটিউট’ অর্থ এই আইনের ধারা ৪ এর অধীন প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ রেফারেন্স ইনস্টিটিউট ফর কেমিক্যাল মেজারমেন্টস্ (BRiCM); (২)    ‘কর্মচারী’ অর্থ ইনস্টিটিউটের কর্মচারী এবং বিজ্ঞানীও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে; (৩)   ‘ট্রেসেবিলিটি’ অর্থ কোনো পরিমাপ ফলাফলের মান অবিচ্ছিন্ন তুলনা শিকলের (unbroken chain) মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মান এককের (International System of Units-SI Unit) সহিত সম্পর্কিতকরণ;   (৪)    ‘তহবিল’ অর্থ এই আইনের ধারা ১৭ এর অধীন গঠিত তহবিল; (৫)    ‘প্রবিধান’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত প্রবিধান; (৬)   ‘পর্ষদ’ অর্থ এই আইনের ধারা ৮ এর অধীন গঠিত পরিচালনা পর্ষদ; (৭)    ‘বিজ্ঞানী’ অর্থ ইনস্টিটিউটে সায়েন্টিফিক অফিসার ও তদূর্ধ্ব পদে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মচারী; (৮)   ‘বিধি’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি; (৯)    ‘মহাপরিচালক’ অর্থ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক; এবং (১০)   ‘সভাপতি’ অর্থ পর্ষদের সভাপতি।

আইনের প্রাধান্য

৩। আপাতত বলবৎ এতদ্‌সংক্রান্ত অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের বিধানাবলি প্রাধান্য পাইবে।

ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা

৪।  (১) এই আইন কার্যকর হইবার সঙ্গে সঙ্গে, এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, বাংলাদেশ রেফারেন্স ইনস্টিটিউট ফর কেমিক্যাল মেজারমেন্টস্ (BRiCM) নামে একটি ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠিত হইবে। (২) ইনস্টিটিউট একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হইবে এবং ইহার স্থায়ী ধারাবাহিকতা ও একটি সাধারণ সিলমোহর থাকিবে এবং এই আইনের বিধানাবলি সাপেক্ষে, ইহার স্থাবর ও অস্থাবর উভয় প্রকার সম্পত্তি অর্জন করিবার, অধিকারে রাখিবার ও হস্তান্তর করিবার ক্ষমতা থাকিবে এবং ইহা স্বীয় নামে মামলা দায়ের করিতে পারিবে এবং উক্ত নামে ইহার বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা যাইবে।

ইনস্টিটিউটের কার্যালয়

৫।  (১) ইনস্টিটিউটের প্রধান কার্যালয় ঢাকায় থাকিবে।  (২) ইনস্টিটিউট, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, দেশের যে কোনো স্থানে ইহার শাখা কার্যালয় স্থাপন করিতে পারিবে।

ইনস্টিটিউটের কার্যাবলি

৬। ইনস্টিটিউটের কার্যাবলি হইবে নিম্নরূপ, যথা :¾ (ক)   পরিমাপ ও রেফারেন্স পরিমাপ সেবা প্রদান; (খ)    প্রফিসিয়েন্সি টেস্টিং ও ইন্টার-ল্যাবরেটরি কমপ্যারিজন সেবা প্রদান; (গ)    রাসায়নিক পরিমাপ পদ্ধতির উন্নয়ন, ভ্যালিডেশন ও হস্তান্তর; (ঘ)    রাসায়নিক পরিমাপবিজ্ঞান সংক্রান্ত সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক সংস্থাসহ অন্যান্য আঞ্চলিক সংস্থা এবং সমধর্মী দেশীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের সহিত যোগাযোগ রক্ষা এবং উক্ত প্রতিষ্ঠানসমূহের সংশ্লিষ্ট বিষয়ের কারিগরি কমিটিসমূহে অংশগ্রহণের মাধ্যমে দেশে ট্রেসেবিলিটি প্রতিষ্ঠাকরণে সহায়তা প্রদান; (ঙ)    দফা (ঘ) এর বিধান অনুযায়ী ট্রেসেবিলিটি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে International Bureau of Weights and Measures (Bureau International des Poids et Mesures-BIPM), Asia Pacific Metrology Programme (APMP) এবং সমধর্মী দেশীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে, সময় সময়, গঠিত কারিগরি কমিটিসমূহে অংশগ্রহণ;  (চ)   প্রফিসিয়েন্সি টেস্টিং, ইন্টার-ল্যাবরেটরি কমপ্যারিজন ও ক্যালিব্রেশন সেবা প্রদান দ্বারা দেশের পরীক্ষাগারসমূহের পরীক্ষণসেবা আন্তর্জাতিক মানে উন্নীতকরণ এবং International Committee for Weights and Measures (CIPM) কর্তৃক প্রচলিত ও BIPM এ সংরক্ষিত আন্তর্জাতিক এককের সহিত তুলনাযোগ্য ও গ্রহণযোগ্য করিতে সহায়তা প্রদান; (ছ)    মেট্রোলজিক্যাল ট্রেসেবিলিটি সমেত রাসায়নিক, প্রসাধনী, ঔষধ, খাদ্য, পানীয়, জলবায়ু ও পরিবেশ, ক্লিনিক্যাল, অনুজৈবিক, গ্যাস, পেট্রোলিয়াম, পলিমার, ন্যানো ম্যাটেরিয়াল ইত্যাদি বিভিন্ন জৈব, অজৈব পদার্থে পরিমাপ সংক্রান্ত জাতীয় রেফারেন্স ম্যাটেরিয়ালস্ সংগ্রহ, উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিতরণ বা বিক্রয়; (জ)   বস্তুতে রাসায়নিক, জৈব, অজৈব অনুজৈবিক ইত্যাদি পদার্থের রেফারেন্স ভ্যালু প্রদান; (ঝ)   ইন্সট্রুমেন্টেশন ও ক্যালিব্রেশন সেবা প্রদান; (ঞ)  রেফারেন্স পরিমাপভিত্তিক বায়োইকুইভ্যালেন্স বা জৈবসমতা পরীক্ষণ এবং ক্রিয়াশীল মৌল উপাদান তথা অ্যাকটিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রেডিয়েন্টস্ (API) নিরূপণ সেবা প্রদান; (ট)    ম্যাট্রিক্স ম্যাচ্‌ড রেফারেন্স ম্যাটেরিয়ালস্ প্রচলনের লক্ষ্যে জৈব ও অজৈব রেফারেন্স স্পেসিমেন ব্যাংক স্থাপন; (ঠ)    রেফারেন্স পরিমাপভিত্তিক ‘রাসায়নিক বিষক্রিয়া ও ঝুঁকি নিরূপণ ব্যবস্থাপনা’ প্রচলন; (ড)   রাসায়নিক পরিমাপ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন নিয়ন্ত্রক সংস্থা, যেমন: বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউট, ড্রাগ এডমিনিস্ট্রেশন, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, পরিবেশ অধিদপ্তর ইত্যাদি সমজাতীয় সংস্থার টেকনিক্যাল সাপোর্ট অর্গানাইজেশন (টিএসও) হিসাবে সমন্বয়ের মাধ্যমে সেবা প্রদান; (ঢ)    সরকারের অনুমোদনক্রমে চুক্তিভিত্তিক গবেষণা তথা কন্ট্রাক্ট রিসার্চ পরিচালনা; (ণ)    রাসায়নিক পরিমাপবিজ্ঞান, গবেষণাগারের মান ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি,  অ্যাক্রেডিটেশন ও ইন্সট্রুমেন্টেশন ইত্যাদি বিষয়ে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ এবং এতৎসংক্রান্ত প্রশিক্ষণ ও পরামর্শক সেবা প্রদান; (ত)   রাসায়নিক পরিমাপবিজ্ঞান সংশ্লিষ্ট মৌলিক ও প্রায়োগিক গবেষণা কার্যক্রম গ্রহণ, পরিচালনা, গবেষণালব্ধ ফলাফলের প্রয়োগ ও সংশ্লিষ্ট সকল কার্যক্রমের ব্যবস্থাপনা, সমন্বয় ও নিয়ন্ত্রণ এবং এতৎসংক্রান্ত বিষয়ে নীতি নির্ধারণে সরকারকে সহায়তা প্রদান; (থ)    রাসায়নিক পরিমাপবিজ্ঞান সংক্রান্ত শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা ও উচ্চতর ডিগ্রিতে গবেষণা সহায়তা প্রদান; (দ)    বৈদেশিক প্রশিক্ষণার্থীদের প্রশিক্ষণ প্রদান বিষয়ক কার্যক্রম পরিচালনা করা; (ধ)    পরিমাপবিজ্ঞান সংক্রান্ত বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার Guideline, যেমন : International Union of Pure and Applied Chemistry (IUPAC), International Organization for Standardization (ISO), BIPM, APMP ও Association of Officials of Analytical Chemist (AOAC) ইত্যাদি অনুযায়ী নির্দেশিকা প্রণয়ন ও প্রকাশ করা; (ন)    ইনস্টিটিউটের অধীন গবেষণা কার্যে ফেলোশিপ প্রবর্তন ও প্রদান; এবং (প)   এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকার কর্তৃক নির্দেশিত যে কোনো দায়িত্ব ও কার্যাবলি সম্পাদন।

পরিচালনা ও প্রশাসন

৭।  ইনস্টিটিউটের পরিচালনা ও প্রশাসন একটি পরিচালনা পর্ষদের উপর ন্যস্ত থাকিবে এবং ইনস্টিটিউট যে সকল ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্য সম্পাদন করিতে পারিবে পরিচালনা পর্ষদও সেই সকল ক্ষমতা প্রয়োগ এবং কার্য সম্পাদন করিতে পারিবে।

পরিচালনা পর্ষদ

৮। (১) ইনস্টিটিউটের একটি পরিচালনা পর্ষদ থাকিবে এবং নিম্নবর্ণিত সদস্য সমন্বয়ে ইনস্টিটিউটের পরিচালনা পর্ষদ গঠিত হইবে, যথা :¾ (ক)   সচিব, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, যিনি পর্ষদের সভাপতিও হইবেন; (খ)    চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ; (গ)    বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত অন্যূন যুগ্মসচিব পদমর্যাদার ১ (এক) জন প্রতিনিধি; (ঘ)    শিল্প মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত অন্যূন যুগ্মসচিব পদমর্যাদার ১ (এক) জন প্রতিনিধি; (ঙ)    স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ কর্তৃক মনোনীত অন্যূন যুগ্মসচিব পদমর্যাদার ১ (এক) জন প্রতিনিধি; (চ)    মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ কর্তৃক মনোনীত অন্যূন যুগ্মসচিব পদমর্যাদার ১ (এক) জন প্রতিনিধি; (ছ)    খাদ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত অন্যূন যুগ্মসচিব পদমর্যাদার ১ (এক) জন প্রতিনিধি; (জ)   বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল কর্তৃক মনোনীত ১ (এক) জন উপযুক্ত প্রতিনিধি; (ঝ)   বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন কর্তৃক মনোনীত ১ (এক) জন উপযুক্ত প্রতিনিধি; (ঞ)  বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন কর্তৃক মনোনীত ১ (এক) জন উপযুক্ত প্রতিনিধি; (ট)    সরকার কর্তৃক মনোনীত বিশ্ববিদ্যালয়ের কেমিক্যাল মেট্রোলজি বিষয়ের ১ (এক) জন উপযুক্ত প্রতিনিধি; (ঠ)    সরকার কর্তৃক মনোনীত শিল্প প্রতিষ্ঠানের ১ (এক) জন প্রতিনিধি; এবং (ড)   ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক, যিনি পর্ষদের সদস্য-সচিবও হইবেন। (২) উপ-ধারা (১) এর দফা (ট) ও (ঠ) এর অধীন মনোনীত সদস্যগণ তাহাদের মনোনয়নের তারিখ হইতে পরবর্তী ৩ (তিন) বৎসর মেয়াদের জন্য স্বীয় পদে বহাল থাকিবেন: তবে শর্ত থাকে যে, সরকার, প্রয়োজনবোধে উক্ত মেয়াদ সমাপ্ত হইবার পূর্বে, যে কোনো সময়, কোনো কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে, উক্তরূপ মনোনীত কোনো সদস্যকে তাহার পদ হইতে অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবে। (৩) উপধারা (১) এর দফা (ট) ও (ঠ) এর অধীন কোনো মনোনীত সদস্য, যে কোনো সময়, সরকারের উদ্দেশ্যে স্বীয় স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে পদত্যাগ করিতে পারিবেন।

পর্ষদের সভা

৯।  (১) এই ধারার অন্যান্য বিধানাবলি সাপেক্ষে, পর্ষদ ইহার সভার কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে। (২) প্রতি বৎসর পর্ষদের অন্যূন ৩ (তিন) টি সভা অনুষ্ঠিত হইবে এবং সভাপতি কর্তৃক নির্ধারিত তারিখ, সময় ও স্থানে সভা অনুষ্ঠিত হইবে। (৩) পর্ষদের সভার কোরামের জন্য ইহার মোট সদস্য সংখ্যার অন্যূন এক-তৃতীয়াংশ সদস্যের উপস্থিতির প্রয়োজন হইবে, তবে মূলতবি সভার ক্ষেত্রে কোনো কোরামের প্রয়োজন হইবে না। (৪) সভাপতি পর্ষদের সকল সভায় সভাপতিত্ব করিবেন, তবে তাহার অনুপস্থিতিতে তৎকর্তৃক মনোনীত কোনো সদস্য সভায় সভাপতিত্ব করিবেন। (৫) সভায় উপস্থিত প্রত্যেক সদস্যের একটি করিয়া ভোট থাকিবে এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটের ভিত্তিতে সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হইবে, তবে প্রদত্ত ভোটের সমতার ক্ষেত্রে সভার সভাপতির একটি দ্বিতীয় বা নির্ণায়ক ভোট প্রদানের ক্ষমতা থাকিবে। (৬) পর্ষদের কোনো সদস্যপদে শূন্যতা বা পর্ষদ গঠনে ত্রুটি থাকিবার কারণে পর্ষদের কোনো কার্য বা কার্যধারা অবৈধ হইবে না এবং তৎসম্পর্কে কোনো প্রশ্নও উত্থাপন করা যাইবে না।

মহাপরিচালক

১০। (১) ইনস্টিটিউটের  ১ (এক) জন মহাপরিচালক থাকিবেন। (২) মহাপরিচালক সরকার কর্তৃক সংশ্লিষ্ট বিষয়ে দেশের খ্যাতনামা বিজ্ঞানী ও গবেষকদের মধ্য হইতে নিযুক্ত হইবেন এবং তাহার চাকরির মেয়াদ ও শর্তাবলি সরকার কর্তৃক নির্ধারিত হইবে। (৩) মহাপরিচালক ইনস্টিটিউটের সার্বক্ষণিক মুখ্য নির্বাহী হইবেন এবং তিনি¾ (ক)   ইনস্টিটিউটের প্রবিধান অনুযায়ী কর্মচারী নিয়োগ, পদোন্নতি, সাধারণ আচরণ ও শৃঙ্খলা সংক্রান্ত কার্যাবলি সম্পাদন করিবেন; (খ)    পর্ষদ কর্তৃক প্রদত্ত ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্য সম্পাদন করিবেন; (গ)    পর্ষদের যাবতীয় সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য দায়ী থাকিবেন; (ঘ)    ইনস্টিটিউটের প্রশাসন পরিচালনা করিবেন; এবং (ঙ)    পর্ষদের নির্দেশনা অনুসারে ইনস্টিটিউটের অন্যান্য কার্য সম্পাদন করিবেন। (৪) মহাপরিচালকের পদ শূন্য হইলে বা অনুপস্থিতি, অসুস্থতা, বা অন্য কোনো কারণে তিনি দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হইলে, শূন্য পদে নবনিযুক্ত মহাপরিচালক কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত বা তিনি পুনরায় স্বীয় দায়িত্ব পালনে সমর্থ না হওয়া পর্যন্ত সরকার কর্তৃক নিযুক্ত কোনো ব্যক্তি মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করিবেন।

কর্মচারী নিয়োগ

১১। (১) সরকার  কর্তৃক অনুমোদিত সাংগঠনিক কাঠামো সাপেক্ষে, ইনস্টিটিউট ইহার কার্যাবলি সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের নিমিত্ত প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মচারী নিয়োগ করিতে পারিবে। (২) ইনস্টিটিউটের কর্মচারীগণের নিয়োগ ও চাকরির শর্তাবলি প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে। (৩) ইনস্টিটিউট, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, ইহার বিজ্ঞানী ও কর্মচারীগণকে বিশেষ প্রণোদনা ও ভাতা প্রদান করিতে পারিবে।

কমিটি

১২। ইনস্টিটিউট, সময় সময়, লিখিত আদেশ দ্বারা, ইহার কার্যে সহায়তা প্রদানের জন্য এক বা একাধিক সদস্য বা ইহার যে কোনো কর্মচারী বা এক বা একাধিক বিশেষজ্ঞ সমন্বয়ে প্রয়োজনীয় সংখ্যক কমিটি গঠন করিতে পারিবে এবং উক্ত আদেশে এইরূপ কমিটির দায়িত্ব, মেয়াদ, সম্মানি, কার্যপরিধি ও অন্যান্য শর্তও নির্ধারণ করিতে পারিবে।

চুক্তিভিত্তিক বিশেষজ্ঞ নিয়োগ

১৩। ইনস্টিটিউট, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত বিশেষ প্রয়োজনে বা, ক্ষেত্রমত, গবেষণা এবং বিশেষায়িত পণ্য বা সেবা উদ্ভাবনের প্রয়োজনে দেশের বা দেশের বাহিরের প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিশেষজ্ঞকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ করিতে পারিবে এবং তাহাদের সম্মানি ও অন্যান্য সুবিধা পর্ষদ কর্তৃক নির্ধারিত হইবে।

জাতীয়, আঞ্চলিক, আন্তর্জাতিক এবং বিদেশি সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান ইত্যাদির সহিত যোগাযোগ, সমন্বয়, চুক্তি ও সহযোগিতা, ইত্যাদি

১৪।(১) ইনস্টিটিউট, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, ইহার কার্যাবলি সুচারু ও ফলপ্রসূভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে রাসায়নিক পরিমাপবিজ্ঞান বিষয়ে যে কোনো সমধর্মী জাতীয়, আঞ্চলিক, আন্তর্জাতিক এবং বিদেশি সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান বা এজেন্সির সহিত যোগাযোগ রক্ষা ও সমন্বয় সাধন করিতে পারিবে, উহাদের সহিত সহযোগিতা চুক্তি সম্পাদন করিতে পারিবে এবং ক্ষেত্রমত, দেশের প্রতিনিধিত্ব করিতে পারিবে। (২) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত কার্যাবলি সম্পাদন এবং ক্ষমতা প্রয়োগের উদ্দেশ্যে, ইনস্টিটিউট, প্রয়োজনবোধে, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, যে কোনো জাতীয় বা আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের পরামর্শ ও সহযোগিতা গ্রহণ করিতে পারিবে ও উক্ত প্রতিষ্ঠানকে পরামর্শ ও সহযোগিতা প্রদান করিতে পারিবে। (৩) ইনস্টিটিউট, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, আন্তর্জাতিক সংস্থার সদস্য হিসাবে চাঁদা প্রদান করিতে পারিবে।

বৈদেশিক প্রশিক্ষণ ও উচ্চশিক্ষা

১৫।(১) ইনস্টিটিউট বিজ্ঞানী ও গবেষকদের জন্য সরকারি বিধি-বিধান অনুসরণপূর্বক, প্রয়োজনীয় বৈদেশিক প্রশিক্ষণ ও উচ্চশিক্ষা প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে। (২) কোনো বিজ্ঞানী বা গবেষক আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত কোনো আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রশিক্ষণ বা গবেষণার জন্য মনোনীত হইলে এবং উক্ত ক্ষেত্রে আর্থিক সহায়তার প্রয়োজন হইলে ইনস্টিটিউট, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, উক্তরূপ আর্থিক সহায়তার সমুদয় বা অংশবিশেষ প্রদান করিতে পারিবে। (৩) উপ-ধারা (১) এর উদ্দেশ্যে পূরণকল্পে, ইনস্টিটিউট, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, বিজ্ঞান গবেষণায় অগ্রসর রাষ্ট্র এবং অগ্রণী প্রতিষ্ঠানসমূহের সহিত প্রশিক্ষণ সহায়তা প্রদান সম্পর্কিত চুক্তি স্বাক্ষরসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করিতে পারিবে।

ফি, ইত্যাদি

১৬।ইনস্টিটিউট কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে রাসায়নিক পরিমাপবিজ্ঞান বিষয়ক পরামর্শ ও সেবা প্রদান করিবার জন্য পর্ষদ কর্তৃক নির্ধারিত হারে ফি আদায় করিতে পারিবে।

তহবিল

১৭। (১) ইনস্টিটিউটের একটি তহবিল থাকিবে এবং ইহাতে নিম্নবর্ণিত উৎস হইতে অর্থ জমা হইবে, যথা :¾ (ক)   সরকার কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান; (খ)    সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, কোনো বিদেশি সরকার, আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান, সংস্থা বা ব্যাংক হইতে গৃহীত ঋণ বা প্রাপ্ত অনুদান; (গ)    ইনস্টিটিউটের নিজস্ব উৎস হইতে আয়; (ঘ)    ইনস্টিটিউট কর্তৃক প্রদত্ত সেবা প্রদানের মাধ্যমে আয়; এবং (ঙ)    ইনস্টিটিউটের অর্থ বিনিয়োগের মাধ্যমে অর্জিত অর্থ এবং উহার সম্পত্তি হইতে অর্জিত অর্থ। (২) তহবিলের সকল অর্থ কোনো তপশিলি ব্যাংকে ইনস্টিটিউটের নামে জমা রাখিতে হইবে এবং বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে তহবিল পরিচালিত হইবে। ব্যাখ্যা।¾ এই আইনে ‘তপশিলি ব্যাংক’ বলিতে Bangladesh Bank Order, 1972 (P.O. 127 of 1972) এর Article 2 (J) তে সংজ্ঞায়িত Scheduled Bank কে বুঝাইবে। (৩) তহবিলের অর্থ হইতে সরকারের নিয়মনীতি ও বিধি-বিধান অনুসরণক্রমে ইনস্টিটিউটের প্রয়োজনীয় ব্যয় নির্বাহ করা যাইবে। (৪) তহবিলের অর্থ হইতে সরকার কর্তৃক অনুমোদিত কোনো খাতে বিনিয়োগ করা যাইবে।

বাজেট

১৮।ইনস্টিটিউট প্রতি বৎসর সরকার কর্তৃক নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পরবর্তী অর্থ বৎসরের জন্য ইহার বার্ষিক বাজেট প্রস্তুতপূর্বক সরকারের নিকট পেশ করিবে।

হিসাবরক্ষণ ও নিরীক্ষা

১৯। (১) সরকারি বিধি-বিধান অনুসরণপূর্বক ইনস্টিটিউট যথাযথভাবে ইহার হিসাবরক্ষণ করিবে এবং হিসাবের বার্ষিক বিবরণী প্রস্তুত করিবে। (২) বাংলাদেশের মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, অতঃপর মহা হিসাব-নিরীক্ষক হিসাবে অভিহিত, প্রতি বৎসর ইনস্টিটিউটের হিসাব নিরীক্ষা করিবেন এবং নিরীক্ষা প্রতিবেদনের একটি করিয়া অনুলিপি সরকার ও ইনস্টিটিউটের নিকট প্রেরণ করিবেন। (৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন হিসাব নিরীক্ষার উদ্দেশ্যে মহা হিসাব-নিরীক্ষক বা তাহার নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি ইনস্টিটিউটের এতৎসংক্রান্ত সকল রেকর্ড, দলিল দস্তাবেজ, নগদ বা ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, জামানত, ভান্ডার এবং অন্যবিধ সম্পত্তি পরীক্ষা করিয়া দেখিতে পারিবেন এবং পর্ষদের যেকোনো সদস্য বা ইনস্টিটিউটের  যেকোনো কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করিতে পারিবেন।

প্রতিবেদন

২০। (১) প্রতি অর্থ বৎসর সমাপ্ত হইবার পরবর্তী ৩ (তিন) মাসের মধ্যে ইনস্টিটিউট উক্ত অর্থ বৎসরের সম্পাদিত কার্যাবলির বিবরণ সংবলিত একটি বার্ষিক প্রতিবেদন সরকারের নিকট পেশ করিবে। (২) সরকার, প্রয়োজনবোধে, ইনস্টিটিউটের নিকট হইতে যেকোনো সময় ইনস্টিটিউটের   যেকোনো বিষয়ের উপর প্রতিবেদন ও বিবরণী যাচনা করিতে পারিবে এবং ইনস্টিটিউট উহা সরকারের নিকট সরবরাহ করিতে বাধ্য থাকিবে। (৩) সরকার যেকোনো সময় ইনস্টিটিউটের কর্মকাণ্ড বা যেকোনো প্রকার অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত অনুষ্ঠানের নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে।

ক্ষমতা অর্পণ

২১।(১) পর্ষদ, বিশেষ বা সাধারণ আদেশ দ্বারা, নির্ধারিত শর্তাধীনে মহাপরিচালক, কোনো সদস্য বা কোনো কর্মচারীকে ইহার যেকোনো ক্ষমতা অর্পণ করিতে পারিবে। (২) মহাপরিচালক, প্রয়োজনবোধে এবং তৎকর্তৃক নির্ধারিত শর্তসাপেক্ষে, উপ-ধারা (১) এর অধীন তাহার উপর অর্পিত ক্ষমতা ব্যতীত, এই আইনের অধীন তাহার উপর অর্পিত যেকোনো ক্ষমতা বা দায়িত্ব, লিখিত আদেশ দ্বারা, কোনো কর্মচারীকে অর্পণ করিতে পারিবেন।

বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা

২২। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে।

প্রবিধান প্রণয়নের ক্ষমতা

২৩।ইনস্টিটিউট, এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইন বা বিধির সহিত অসামঞ্জস্যপূর্ণ নহে, এইরূপ প্রবিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে।

ঋণ গ্রহণের ক্ষমতা

২৪।ইনস্টিটিউট, এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, প্রয়োজনে কোনো বাণিজ্যিক ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা দেশি বা বিদেশি অন্য কোনো উৎস হইতে ঋণ গ্রহণ করিতে পারিবে এবং উক্ত ঋণ পরিশোধের জন্য দায়ী থাকিবে।

জনসেবক

২৫। ইনস্টিটিউটের সকল কর্মচারী এই আইনের অধীন দায়িত্ব পালনকালে Penal Code, 1860 (Act No. XLV of 1860) এর section 21 এ জনসেবক (public servant) অভিব্যক্তিটি যেই অর্থে ব্যবহৃত হইয়াছে সেই অর্থে জনসেবক (public servant) বলিয়া গণ্য হইবেন।

আবিষ্কার, উদ্ভাবন, ইত্যাদি

২৬। ইনস্টিটিউটের দায়িত্ব পালনের সময় ইহার বৈজ্ঞানিক গবেষণায় কর্মরত কোনো বিজ্ঞানী ও কর্মচারীর আবিষ্কার বা উদ্ভাবন এবং আবিষ্কৃত কোনো উপাদান, পদ্ধতি, প্রক্রিয়া (Process), যন্ত্রপাতি বা সরঞ্জামের যেকোনো প্রকারের উন্নয়ন সম্পর্কিত সকল অধিকার বা মেধাস্বত্ব বা গবেষণালব্ধ ফলাফল ইনস্টিটিউটের সম্পত্তি হিসাবে গণ্য হইবে।

রহিতকরণ ও হেফাজত

২৭।(১) এই আইন কার্যকর হইবার সঙ্গে সঙ্গে, বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের অধীন ‘এস্টাবলিশমেন্ট অব ডেজিগনেটেড রেফারেন্স ইনস্টিটিউট ফর কেমিক্যাল মেজারমেন্টস্’ শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমে সৃষ্ট ‘ডেজিগনেটেড রেফারেন্স ইনস্টিটিউট ফর কেমিক্যাল মেজারমেন্টস্’, অতঃপর বিলুপ্ত ইনস্টিটিউট বলিয়া উল্লিখিত, বিলুপ্ত হইবে। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন বিলুপ্ত হওয়া সত্ত্বেও বিলুপ্ত ইনস্টিটিউট কর্তৃক কৃত কোনো কার্য বা গৃহীত ব্যবস্থা, ইস্যুকৃত আদেশ বা বিজ্ঞপ্তি, প্রদত্ত সিদ্ধান্ত, সম্পাদিত দলিল বা চুক্তিপত্র বা চলমান কোনো কার্য এই আইনের অধীন কৃত, গৃহীত, ইস্যুকৃত, প্রদত্ত, সম্পাদিত বা চলমান বলিয়া গণ্য হইবে। (৩) এই আইন প্রবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বিলুপ্ত ইনস্টিটিউটের এবং ‘ডেভেলপমেন্ট অব আইএসও ১৭০২৫ অ্যাক্রিডেটেড ইনস্ট্রুমেন্টেশন ক্যালিব্রেশন সার্ভিস ল্যাবরেটরি ফর কেমিক্যাল মেজারমেন্টস্’, ‘Support to BCSIR Instrumentation & Calibration Service Laboratory ICSL for Chemical Metrology under Better Quality Infrastructure-BEST Program’, ‘এস্টাবলিশমেন্ট অব ডেজিগনেটেড রেফারেন্স ইনস্টিটিউট ফর কেমিক্যাল মেজারমেন্টস্’ এবং ‘কেমিক্যাল মেট্রোলজি অবকাঠামো সমৃদ্ধকরণ’ শীর্ষক প্রকল্পসমূহের সকল অধিকার, ক্ষমতা, কর্তৃত্ব ও সুযোগ-সুবিধা, যাবতীয় স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ, যন্ত্রপাতি, নগদ অর্থ, ব্যাংকের স্থিতি, মঞ্জুরি ও তহবিল, তৎসংশ্লিষ্ট বা উদ্ভূত অন্য সকল প্রকার অধিকার ও স্বার্থ এবং সকল হিসাব বহি, রেজিস্টার, রেকর্ড ও তৎসম্পর্কিত অন্য সকল প্রকার দলিল ইনস্টিটিউটের নিকট হস্তান্তরিত ও ন্যস্ত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে এবং সকল প্রকার ঋণ, দায় ও দায়িত্ব এবং উহার দ্বারা, উহার পক্ষে বা উহার সহিত সম্পাদিত সকল চুক্তি সরকারের ভিন্নরূপ কোনো নির্দেশ না থাকিলে, ইনস্টিটিউটের ঋণ, দায় ও দায়িত্ব এবং উহার দ্বারা, উহার পক্ষে বা উহার সহিত সম্পাদিত সকল চুক্তি হিসাবে গণ্য হইবে। (৪) বিলুপ্ত ইনস্টিটিউটে রাজস্বপদে ইতোমধ্যে নিয়োগকৃত কর্মচারী এই আইনের অধীন গঠিত ইনস্টিটিউটের কর্মচারী বলিয়া গণ্য হইবেন। (৫) বিলুপ্ত ইনস্টিটিউটে কর্মরত বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের কোনো কর্মচারী ইচ্ছাপোষণ করিলে এবং ইনস্টিটিউট প্রয়োজন মনে করিলে, ইনস্টিটিউটে কর্মরত থাকিতে পারিবেন এবং বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের জ্যেষ্ঠতা ও ধারাবাহিকতা বজায় রাখিয়া এই আইন প্রবর্তনের তারিখ হইতে ইনস্টিটিউটের নিয়মিত কর্মচারী বলিয়া গণ্য হইবেন এবং উক্তক্ষেত্রে ইনস্টিটিউট কর্তৃক প্রণীত চাকরি প্রবিধান তাহার জন্য প্রযোজ্য হইবে। (৬) উপ-ধারা (৫) এর অধীন কোনো কর্মচারী ইনস্টিটিউটে নিয়োজিত থাকিতে ইচ্ছাপোষণ না করিলে তিনি, এই আইন কার্যকর হইবার ৩ (তিন) মাসের মধ্যে, লিখিতভাবে মহাপরিচালকের নিকট এতদসংক্রান্ত অভিপ্রায় ব্যক্ত করিতে পারিবেন।

ইংরেজিতে অনূদিত পাঠ প্রকাশ

২৮।(১) এই আইন কার্যকর হইবার পর সরকার, সরকারি গেজেট প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের ইংরেজিতে অনূদিত একটি নির্ভরযোগ্য পাঠ (Authentic English Text) প্রকাশ করিবে। (২) এই আইনের বাংলা ও ইংরেজি পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে বাংলা পাঠ প্রাধান্য পাইবে।

Footnotes

Click here to see the original act on the Bangladesh Legal Database.