১১। উক্ত আইনের ধারা ৩৬ এর-(ক) উপ-ধারা (১) এর সারণির-(অ) ক্রমিক নং ১৬ এর বিপরীতে (২) নং কলামের এন্ট্রিতে উল্লিখিত ‘‘উপ-ধারা (২) এর দফা (ঘ)’’ শব্দগুলি, বন্ধনীগুলি, সংখ্যা ও বর্ণের পরিবর্তে ‘‘অথবা উপ-ধারা (২) এর দফা (গ)’’ শব্দগুলি, বন্ধনীগুলি, সংখ্যা ও বর্ণ প্রতিস্থাপিত হইবে;(আ) ক্রমিক নং ২৮ এর বিপরীতে (২) নং কলামের এন্ট্রিতে উল্লিখিত ‘‘ধারা ১০’’ শব্দ ও সংখ্যার পরিবর্তে ‘‘ধারা ৯’’ শব্দ ও সংখ্যা প্রতিস্থাপিত হইবে; এবং(খ) উপ-ধারা (৪) এ উল্লিখিত ‘‘ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে’’ শব্দগুলির পরিবর্তে ‘‘এখতিয়ারসম্পন্ন আদালতে’’ শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে।
১৩। উক্ত আইনের ধারা ৪৪ এর পরিবর্তে নিম্নরূপ ধারা ৪৪ প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:-‘‘৪৪। অপরাধের বিচার, ইত্যাদি।- **(**১) এই আইনের অধীন মাদকদ্রব্য অপরাধসমূহ অপরাধের গুরুত্ব অনুযায়ী এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত কর্তৃক বিচার্য হইবে।(২) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সংশ্লিষ্ট দায়রা জজ, মহানগর দায়রা জজ, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট, উহার এখতিয়ারাধীন এলাকার জন্য, কেবল মাদকদ্রব্য অপরাধ বিচারের নিমিত্ত, প্রয়োজনে, এক বা একাধিক এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত নির্দিষ্ট করিবেন।’’।
১৬। উক্ত আইনের ধারা ৪৮ এর পরিবর্তে নিম্নরূপ ধারা ৪৮ প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:-‘‘৪৮। বিচারের বিশেষ পদ্ধতি।- এই আইনের অধীন মাদকদ্রব্য অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা ৫ (পাঁচ) বৎসরের অধিক কারাদণ্ড না হইলে, সংশ্লিষ্ট মামলার বিচার সংক্ষিপ্ত পদ্ধতিতে নিষ্পন্ন হইবে এবং এইরূপ ক্ষেত্রে ফৌজদারি কার্যবিধির অধ্যায় ২২ এর বিধানাবলি, যতদূর সম্ভব, অনুসরণ করিতে হইবে।’’।
১৮। উক্ত আইনের ধারা ৫০ এর পরিবর্তে নিম্নরূপ ধারা ৫০ প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:-‘‘৫০। বিচারাধীন মাদকদ্রব্য অপরাধের সহিত জড়িত অন্য অপরাধের বিচার।- এই আইনের অন্য কোনো বিধান অথবা অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এখতিয়ারসম্পন্ন আদালতে বিচারাধীন কোনো মামলার মাদকদ্রব্য অপরাধের সহিত অন্য কোনো অপরাধ যদি এমনভাবে জড়িত থাকে যে, ন্যায়বিচারের স্বার্থে উক্ত অন্য অপরাধের বিচার বিচারাধীন মাদকদ্রব্য অপরাধের সহিত একই সঙ্গে হওয়া উচিত, তাহা হইলে উক্ত অন্য অপরাধটি বিচারাধীন মাদকদ্রব্য অপরাধের সহিত, যতদূর সম্ভব, এখতিয়ারসম্পন্ন আদালতে একই সঙ্গে বিচার্য হইবে।’’।
২২। উক্ত আইনের ধারা ৫৫ এর পরিবর্তে নিম্নরূপ ধারা ৫৫ প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা :-‘‘৫৫। মাদকদ্রব্য অপরাধ সংঘটনে আইনানুগ অনুমান(**presumption**)**।** - যদি কোনো ব্যক্তির নিকট অথবা তাহার দখলকৃত বা নিয়ন্ত্রণাধীন কোনো স্থানে কোনো মাদকদ্রব্য সেবন, অন্য কোনোভাবে মাদকদ্রব্য ব্যবহার বা প্রয়োগ অথবা মাদকদ্রব্য প্রস্তুতে ব্যবহারযোগ্য সরঞ্জাম, যন্ত্রপাতি অথবা মাদকদ্রব্য প্রস্তুতের জন্য প্রয়োজনীয় বস্তু বা উপাদান পাওয়া যায়, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তি, ভিন্নতর প্রমাণ করিতে ব্যর্থ হইলে, এই আইন লঙ্ঘন করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে।’’।