যেহেতু নিম্নবর্ণিত উদ্দেশ্যসমূহ পূরণকল্পে, বাংলাদেশ সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব আইন, ২০১৫ (২০১৫ সনের ১৮ নং আইন) এর সংশোধন সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল :—
২। বাংলাদেশ সরকারি-বেসরকারি আশীদারিত্ব আইন, ২০১৫ (২০১৫ সনের ১৮ নং আইন), অতঃপর উক্ত আইন বলিয়া উল্লিখিত, এর ধারা ৪ এর উপ-ধারা (৩) এ “ও স্বাধীন” শব্দগুলি বিলুপ্ত হইবে।
৩। উক্ত আইনের ধারা ৮ এর উপ-ধারা (২) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ উপ-ধারা (২) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা :-“(২) বোর্ড অব গভর্নরসের সভা চেয়ারপারসন বা চেয়ারপারসনের অনুপস্থিতিতে ভাইস-চেয়ারপারসন কর্তৃক নির্ধারিত তারিখ, সময় ও স্থানে অনুষ্ঠিত হইবে এবং বৎসরে অন্যূন দুইটি সভা অনুষ্ঠিত হইবে; তবে প্রকল্পের গুরুত্ব বিবেচনায় চেয়ারপারসনের অনুমোদন সাপেক্ষে পিপিপি সংশ্লিষ্ট যে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যাইবে।“।
৪। উক্ত আইনের ধারা ৯ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (ক) ও (খ) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ দফা (ক) ও (খ) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা :-“(ক) পিপিপি সম্পর্কিত নীতিমালা, প্রবিধি, নির্দেশনা, গাইডলাইন ও কার্যপ্রণালী প্রণয়ন, অনুমোদন ও সরকারি গেজেট প্রকাশ;(খ) পিপিপি প্রকল্পে সরকারি আর্থিক অংশগ্রহণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত প্রদান;”।
৫। উক্ত আইনের ধারা ১০ এর-(ক) উপ-ধারা (২) এর পর নিম্নরূপ নূতন উপ-ধারা (২ক) সন্নিবেশিত হইবে, যথা :-“(২ক) পিপিপি কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কর্তৃপক্ষের সকল কর্মকাণ্ডের জন্য সরাসরি বোর্ড অব গভর্নরসের নিকট দায়ী থাকিবেন।”;(খ) উপ-ধারা (৪) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ উপ-ধারা (৪) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা :-“(৪) পিপিপি কর্তৃপক্ষের একজন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা থাকিবে—(ক) যিনি সরকার কর্তৃক নিযুক্ত হইবেন; এবং(খ) যাহার চাকরির শর্তাদি, পদমর্যাদা এবং অন্যান্য বিষয়াদি সরকার কর্তৃক স্থিরীকৃত হইবে।”; এবং(গ) উপ-ধারা (৭) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ উপ-ধারা (৭) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা :-“(৭) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পিপিপি কর্তৃপক্ষের সকল কর্মকাণ্ডের জন্য চেয়ারম্যানের মাধ্যমে বোর্ড অব গভর্নরসের নিকট দায়ী থাকিবেন।”।
১০। উক্ত আইনের ধারা ৩৭ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (ঙ) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ দফা (ঙ) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা :-“(ঙ) কোনো প্রতিষ্ঠান হইতে প্রাপ্ত সার্ভিস চার্জ, প্রকল্প উন্নয়ন ফি ও নির্ধারিত সাকসেস ফি; এবং”।