Date of Publication: [ ১৩ নভেম্বর, ২০২৩ ]

Preamble

যেহেতু সরকারি ও বেসরকারি শিল্প খাতের ব্যবস্থাপনার দক্ষতা উন্নয়নে প্রয়োজনীয় শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ এবং পরামর্শ সেবা ও গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য একটি ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়; সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল:-

Sections/Articles

সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন

১।   (১) এই আইন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট আইন, ২০২৩ নামে অভিহিত হইবে। (২) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।

সংজ্ঞা

২।  বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থি কোনো কিছু না থাকিলে, এই আইনে- (১)‘ইনস্টিটিউট’ অর্থ ধারা ৩ এর অধীন প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট (বি আই এম); (২) ‘অ্যাকাডেমিক কমিটি’ অর্থ ধারা ৯ এর অধীন গঠিত অ্যাকাডেমিক কমিটি; (৩) ‘কর্মচারী’ অর্থ ইনস্টিটিউটের কোনো কর্মচারী এবং ইহার শিক্ষকগণও অন্তর্ভুক্ত হইবে; (৪) ‘চেয়ারম্যান’ অর্থ পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান; (৫) ‘তহবিল’ অর্থ ইনস্টিটিউটের তহবিল; (৬) ‘পরিচালনা পর্ষদ’ অর্থ ধারা ৬ এর অধীন গঠিত পরিচালনা পর্ষদ; (৭) ‘প্রবিধান’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত প্রবিধান; (৮) ‘বিধি’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি; (৯) ‘মহাপরিচালক’ অর্থ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক; এবং (১০) ‘সদস্য’ অর্থ পরিচালনা পর্ষদের কোনো সদস্য।

ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা

৩।  (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, Government Educational and Training Institutions Ordinance, 1961 (E.P.Ordinance No. XXVI of 1961) এর অধীন পরিচালিত বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট (Bangladesh Institute of Management) এর কার্যক্রম, এই আইনের বিধান সাপেক্ষে, উক্ত নামে এমনভাবে অব্যাহত থাকিবে যেন উক্ত ইনস্টিটিউট এই আইনের অধীন প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে। (২) ইনস্টিটিউট একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হইবে এবং উহার স্থায়ী ধারাবাহিকতা ও একটি সাধারণ সিলমোহর থাকিবে এবং এই আইনের বিধানাবলি সাপেক্ষে, উহার স্থাবর ও অস্থাবর উভয় প্রকার সম্পত্তি অর্জন করিবার, অধিকারে রাখিবার ও হস্তান্তর করিবার ক্ষমতা থাকিবে এবং উহা স্বীয় নামে মামলা দায়ের করিতে পারিবে এবং উক্ত নামে উহার বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা যাইবে।

ইনস্টিটিউটের কার্যালয়

৪।   (১) ইনস্টিটিউটের প্রধান কার্যালয় থাকিবে ঢাকায়। (২) ইনস্টিটিউট, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, বাংলাদেশের যে কোনো স্থানে উহার আঞ্চলিক বা শাখা কার্যালয় স্থাপন করিতে পারিবে।

পরিচালনা ও প্রশাসন

৫। ইনস্টিটিউটের পরিচালনা ও প্রশাসন একটি পরিচালনা পর্ষদের উপর ন্যস্ত থাকিবে এবং ইনস্টিটিউট যে সকল ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্য সম্পাদন করিতে পারিবে, পরিচালনা পর্ষদও সেই সকল ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্যসম্পাদন করিতে পারিবে।

পরিচালনা পর্ষদ

৬।  এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে ইনস্টিটিউটের একটি পরিচালনা পর্ষদ থাকিবে এবং পরিচালনা পর্ষদ নিম্নরূপ সদস্য সমন্বয়ে গঠিত হইবে, যথা:̶ (ক) সচিব, শিল্প মন্ত্রণালয়, যিনি উহার চেয়ারম্যানও হইবেন; (খ) নির্বাহী চেয়ারম্যান, জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ; (গ) শিল্প মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত উহার অন্যূন অতিরিক্ত সচিব পদমর্যাদার একজন কর্মচারী; (ঘ) মহাপরিচালক, বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস); (ঙ) চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন; (চ) চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল কর্পোরেশন; (ছ) চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন; জ) মহাপরিচালক, বাংলাদেশ শিল্প কারিগরি সহায়তা কেন্দ্র; (ঝ) শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত উহার অন্যূন যুগ্মসচিব পদমর্যাদার একজন কর্মচারী; (ঞ) অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ কর্তৃক মনোনীত উহার অন্যূন যুগ্মসচিব পদমর্যাদার একজন কর্মচারী; (ট) বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত উহার অন্যূন যুগ্মসচিব পদমর্যাদার একজন কর্মচারী; (ঠ) সভাপতি, ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ; (ড) পরিচালক, ইনস্টিটিউট অব বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশন (আইবিএ), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; (ঢ) ডীন, যন্ত্রকৌশল অনুষদ, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট); (ণ) মহাপরিচালক, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট, যিনি উহার সদস্য-সচিবও হইবেন।

পরিচালনা পর্ষদের সভা

৭।  (১) এই ধারার অন্যান্য বিধান সাপেক্ষে, পরিচালনা পর্ষদ উহার সভার কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে। (২) চেয়ারম্যান কর্তৃক নির্ধারিত তারিখ, সময় ও স্থানে পরিচালনা পর্ষদের সভা অনুষ্ঠিত হইবে। (৩) চেয়ারম্যান পরিচালনা পর্ষদের সকল সভায় সভাপতিত্ব করিবেন, তবে তাহার অনুপস্থিতিতে তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো সদস্য সভায় সভাপতিত্ব করিতে পারিবেন। (৪) পরিচালনা পর্ষদের সভার কোরামের জন্য উহার মোট সদস্য সংখ্যার অন্যূন এক তৃতীয়াংশ সদস্যের উপস্থিতির প্রয়োজন হইবে, তবে মুলতবি সভার ক্ষেত্রে কোনো কোরামের প্রয়োজন হইবে না। (৫) পরিচালনা পর্ষদের সভায় উপস্থিত প্রত্যেক সদস্যের একটি করিয়া ভোটাধিকার থাকিবে এবং সভায় উপস্থিত সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের ভোটের ভিত্তিতে সভার সিদ্ধান্ত গৃহীত হইবে, তবে প্রদত্ত ভোটের সমতার ক্ষেত্রে সভায় সভাপতিত্বকারীর দ্বিতীয় বা নির্ণায়ক ভোট প্রদানের অধিকার থাকিবে। (৬) প্রত্যেক অর্থ-বৎসরে পরিচালনা পর্ষদের অন্যূন ৪ (চার) টি সভা অনুষ্ঠিত হইবে। (৭) কেবল কোনো সদস্যপদে শূন্যতা বা পরিচালনা পর্ষদ গঠনে ত্রুটি থাকিবার কারণে পরিচালনা পর্ষদের কোনো কার্য বা কার্যধারা অবৈধ হইবে না এবং তৎসম্পর্কে কোনো প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না।

ইনস্টিটিউটের কার্যাবলি

৮।  এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, ইনস্টিটিউটের কার্যাবলি হইবে নিম্নরূপ, যথা:- (ক) সরকারি ও বেসরকারি শিল্প খাতের ব্যবস্থাপনার দক্ষতা উন্নয়নে প্রয়োজনীয় শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ এবং পরামর্শ সেবা ও গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করা; (খ) জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়, ইনস্টিটিউট ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সহিত ব্যবস্থাপনার দক্ষতা উন্নয়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণ, গবেষণা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক যৌথ কর্মসূচি গ্রহণ করা; (গ) শিল্প, ব্যবসা ও বাণিজ্য ক্ষেত্রে চাহিদাসম্পন্ন স্নাতকোত্তর শিক্ষা, ডিপ্লোমা ও সার্টিফিকেট কোর্স পরিচালনা করা; এবং (ঘ) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার কর্তৃক, সময় সময়, প্রদত্ত নির্দেশনা অনুযায়ী অন্যান্য দায়িত্ব পালন করা।

অ্যাকাডেমিক কমিটি, ইত্যাদি

৯।   (১) ইনস্টিটিউটের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম, প্রশিক্ষণ কোর্স এবং পরামর্শ সেবা ও গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে নিম্নবর্ণিত সদস্য সমন্বয়ে একটি অ্যাকাডেমিক কমিটি গঠিত হইবে, যথা:- (ক) মহাপরিচালক বা তৎকর্তৃক মনোনীত কোনো কর্মচারী, যিনি উহার সভাপতিও হইবেন; (খ) শিল্প মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত উহার একজন উপসচিব বা সিনিয়র সহকারী সচিব পর্যায়ের কর্মচারী; (গ) সভাপতি, ঢাকা চেম্বার অব কমার্স; (ঘ) শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত কোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্য অনুষদের একজন অধ্যাপক; (ঙ) বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস) কর্তৃক মনোনীত উহার একজন ঊর্ধ্বতন গবেষণা কর্মচারী; (চ) বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশন কর্তৃক মনোনীত উহার পরিচালক পদমর্যাদার একজন কর্মচারী; (ছ) বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কর্তৃক মনোনীত উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের যন্ত্রকৌশল বিভাগের একজন সহযোগী অধ্যাপক; এবং (জ) মহাপরিচালক কর্তৃক মনোনীত দুইজন কর্মচারী, যাহাদের মধ্যে একজন কমিটির সদস্য-সচিবও হইবেন। (২) অ্যাকাডেমিক কমিটি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষজ্ঞগণকে উক্ত কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করিতে পারিবে। (৩) অ্যাকাডেমিক কমিটি প্রতি ২ (দুই) মাসে অন্তত একবার উহার সভায় মিলিত হইবে। (৪) ইনস্টিটিউট, দায়িত্ব পালনে উহাকে সহায়তা প্রদানের উদ্দেশ্যে, প্রয়োজনে, এক বা একাধিক অন্যান্য কমিটি গঠন করিতে পারিবে।

অ্যাকাডেমিক কমিটির কার্যাবলি

১০।   অ্যাকাডেমিক কমিটির কার্যাবলি হইবে নিম্নরূপ, যথা:- (ক) ইনস্টিটিউট কর্তৃক পরিচালিত অ্যাকাডেমিক প্রশিক্ষণ, গবেষণা ও পরামর্শ সেবা বিষয়ক কার্যক্রম নির্ধারণ এবং অনুমোদনের জন্য পরিচালনা পর্ষদে উপস্থাপন; এবং (খ) ইনস্টিটিউটের অ্যাকাডেমিক প্রশিক্ষণ, গবেষণা ও পরামর্শ সেবা বিষয়ক কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ এবং উক্ত কার্যক্রম উন্নয়নের লক্ষ্যে সুপারিশ প্রস্তুতপূর্বক অনুমোদনের জন্য পরিচালনা পর্ষদে উপস্থাপন।

মহাপরিচালক

১১।   (১) ইনস্টিটিউটের একজন মহাপরিচালক থাকিবেন, যিনি সরকার কর্তৃক, শিল্প বিষয়ক বিশেষ জ্ঞানসম্পন্ন, সরকারের অতিরিক্ত সচিবগণের মধ্য হইতে নিযুক্ত হইবেন। (২) মহাপরিচালক ইনস্টিটিউটের সার্বক্ষণিক প্রধান নির্বাহী হইবেন, এবং তিনি- (ক) পরিচালনা পর্ষদ কর্তৃক প্রদত্ত ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্য সম্পাদন করিবেন; (খ) ইনস্টিটিউটের প্রশাসন পরিচালনা করিবেন; (গ) পরিচালনা পর্ষদের নির্দেশ মোতাবেক অন্যান্য কার্য সম্পাদন করিবেন; এবং (ঘ) সরকার কর্তৃক, সময় সময়, অর্পিত দায়িত্ব পালন করিবেন। (৩) মহাপরিচালকের পদ শূন্য হইলে কিংবা অনুপস্থিতি, অসুস্থতা বা অন্য কোনো কারণে তিনি দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হইলে, শূন্য পদে নবনিযুক্ত মহাপরিচালক কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত বা তিনি পুনরায় স্বীয় দায়িত্ব পালনে সমর্থ না হওয়া পর্যন্ত, সরকার কর্তৃক নিযুক্ত বা মনোনীত কোনো ব্যক্তি মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করিবেন।

কর্মচারী নিয়োগ

১২।  (১) ইনস্টিটিউট, উহার কার্যাবলি সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের উদ্দেশ্যে, সরকার কর্তৃক অনুমোদিত সাংগঠনিক কাঠামো অনুযায়ী, প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মচারী নিয়োগ করিতে পারিবে। (২) কর্মচারীদের নিয়োগ এবং চাকরির শর্তাবলি প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে।

ইনস্টিটিউটের তহবিল

১৩।  (১) ইনস্টিটিউটের একটি তহবিল থাকিবে এবং উহাতে নিম্নবর্ণিত উৎস হইতে প্রাপ্ত অর্থ জমা হইবে, যথা:̶ (ক) সরকার কর্তৃক প্রদত্ত মঞ্জুরি ও অনুদান; (খ) সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে কোনো বিদেশি সরকার বা আন্তর্জাতিক সংস্থা হইতে প্রাপ্ত অনুদান বা ঋণ; (গ) কোনো স্থানীয় কর্তৃপক্ষ, প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান; (ঘ) কোর্স ফি’সহ সকল প্রকার ফি, চার্জ, ইত্যাদি বাবদ প্রাপ্ত অর্থ; (ঙ) ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ হইতে প্রাপ্ত মুনাফা; (চ) সরকার কর্তৃক অনুমোদিত কোনো উৎস হইতে গৃহীত ঋণ; এবং (ছ) সরকার কর্তৃক অনুমোদিত বিনিয়োগ হইতে প্রাপ্ত মুনাফা বা অন্য কোনো উৎস হইতে প্রাপ্ত অর্থ। (২) তহবিলের অর্থ পরিচালনা পর্ষদ কর্তৃক অনুমোদিত কোনো তফসিলি ব্যাংকে ইনস্টিটিউটের নামে জমা রাখিতে হইবে এবং বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে তহবিল পরিচালনা করিতে হইবে। (৩) সরকারের প্রচলিত নিয়ম-নীতি বা বিধি-বিধান অনুসরণক্রমে ইনস্টিটিউটের কার্যাবলি সম্পাদন এবং মহাপরিচালক ও কর্মচারীদের বেতন, ভাতা ও সম্মানীসহ আনুষঙ্গিক সকল ব্যয় তহবিল হইতে নির্বাহ হইবে। ব্যাখ্যা।- এই ধারায় উল্লিখিত ‘তফসিলি ব্যাংক’ বলিতে ‘Bangladesh Bank Orders, 1972 (President’s Order No. 127 of 1972) এর Article 2 (j)-তে সংজ্ঞায়িত Scheduled Bank-কে বুঝাইবে।

বাজেট

১৪।  ইনস্টিটিউট প্রতি বৎসর, সরকার কর্তৃক নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে, উহার সম্ভাব্য আয়-ব্যয়সহ পরবর্তী অর্থ-বৎসরের বার্ষিক বাজেট বিবরণী সরকারের নিকট পেশ করিবে এবং উহাতে উক্ত বৎসরে সরকারের নিকট হইতে ইনস্টিটিউটের কী পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন হইবে তাহার উল্লেখ থাকিবে।

হিসাবরক্ষণ ও নিরীক্ষা

১৫।  (১) ইনস্টিটিউট উহার আয়-ব্যয়ের যথাযথ হিসাব রক্ষণ করিবে এবং হিসাবের বার্ষিক বিবরণী প্রস্তুত করিবে। (২) বাংলাদেশের মহাহিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, অতঃপর মহাহিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক বলিয়া অভিহিত, প্রত্যেক বৎসর ইনস্টিটিউটের হিসাব নিরীক্ষা করিবেন এবং বিদ্যমান আইনের বিধান মোতাবেক নিরীক্ষা রিপোর্ট দাখিল করিবেন। (৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন হিসাব নিরীক্ষা ছাড়াও Bangladesh Chartered Accountants Order, 1973 (President’s Order No. 2 of 1973) এর Article 2(1)(b)-তে সংজ্ঞায়িত Chartered Accountant দ্বারা ইনস্টিটিউটের হিসাব নিরীক্ষা করা যাইবে এবং এতদুদ্দেশ্যে ইনস্টিটিউট এক বা একাধিক Chartered Accountant নিয়োগ করিতে পারিবে। (৪) উপ-ধারা (৩)এর অধীন নিয়োগকৃত Chartered Accountant এতদুদ্দেশ্যে ইনস্টিটিউট কর্তৃক নির্ধারিত হারে পারিশ্রমিক প্রাপ্য হইবেন। (৫) উপ-ধারা (২) ও (৩) এর অধীন হিসাব নিরীক্ষার উদ্দেশ্যে মহাহিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক কিংবা তাহার নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতা প্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি অথবা, ক্ষেত্রমত, Chartered Accountant ইনস্টিটিউটের সকল রেকর্ড, দলিল-দস্তাবেজ, নগদ বা ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, জামানত, ভান্ডার, তহবিল এবং অন্যবিধ সম্পত্তি পরীক্ষা করিয়া দেখিতে পারিবেন এবং চেয়ারম্যান, কোনো সদস্য, মহাপরিচালক এবং যে কোনো কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করিতে পারিবেন।

প্রতিবেদন

১৬।   (১) ইনস্টিটিউট, প্রত্যেক অর্থ বৎসর সমাপ্ত হইবার পরবর্তী ৪ (চার) মাসের মধ্যে, উক্ত অর্থ-বৎসরে তৎকর্তৃক সম্পাদিত কার্যাবলির বিবরণ সংবলিত একটি বার্ষিক প্রতিবেদন সরকারের নিকট পেশ করিবে। (২) উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, সরকার, প্রয়োজনে, যে কোনো সময়, ইনস্টিটিউটের নিকট হইতে, উহার যে কোনো বিষয়ের উপর প্রতিবেদন বা বিবরণী যাচনা করিতে পারিবে এবং ইনস্টিটিউট উহা সরকারের নিকট সরবরাহ করিতে বাধ্য থাকিবে।

ক্ষমতার্পণ

১৭।  মহাপরিচালক, প্রয়োজনে, তৎকর্তৃক নির্ধারিত শর্ত সাপেক্ষে, এই আইনের অধীন তাহার উপর অর্পিত যে কোনো ক্ষমতা বা দায়িত্ব, লিখিত আদেশ দ্বারা কোনো কর্মচারীকে অর্পণ করিতে পারিবেন।

জনসেবক

১৮।  কর্মচারীগণ Penal Code, 1860 (Act No. XLV of 1860) এর section 21 এ ‘public servant (জনসেবক)’ অভিব্যক্তিটি যে অর্থে ব্যবহৃত হইয়াছে সেই অর্থে ‘Public Servant (জনসেবক)’ বলিয়া গণ্য হইবেন।

বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা

১৯।   এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে।

প্রবিধান প্রণয়নের ক্ষমতা

২০।  ইনস্টিটিউট এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইন বা বিধির সহিত অসামঞ্জস্যপূর্ণ নহে, এইরূপ প্রবিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে।

রহিতকরণ ও হেফাজত

২১।   (১) এই আইন কার্যকর হইবার সংগে সংগে Government Educational and Training Institutions Ordinance, 1961 (E.P.Ordinance No. XXVI of 1961) এর অধীন পরিচালিত বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠা সংক্রান্ত আদেশ বা প্রজ্ঞাপন বা অন্য কোনো ইনস্ট্রুমেন্ট, যে নামেই অভিহিত হউক, এতদ্দ্বারা রহিত হইবে। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন রহিতকরণ সত্ত্বেও E.P.Ordinance No. XXVI of 1961এর অধীন পরিচালিত বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট এর- (ক) বোর্ড অব গভর্নরস্ কর্তৃক কৃত সকল কাজ-কর্ম বা গৃহীত ব্যবস্থা এই আইনের অধীন কৃত বা গৃহীত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে; (খ) কৃত কোনো কাজ, গৃহীত কোনো ব্যবস্থা, প্রদত্ত কোনো নোটিশ অথবা প্রস্তুতকৃত বাজেট প্রাক্কলন, স্কিম বা প্রকল্প এই আইনের অধীন কৃত, গৃহীত, প্রদত্ত বা প্রস্তুতকৃত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে; (গ) সকল সম্পদ, অধিকার, ক্ষমতা, কর্তৃত্ব, সুবিধা, স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি, নগদ বা ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ ও জামানত, দাবি, হিসাব বহি, রেজিস্টার, রেকর্ড এবং অন্যান্য দলিল ইনস্টিটিউটের সম্পদ, অধিকার, ক্ষমতা, কর্তৃত্ব, সুবিধা, স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি, নগদ বা ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ ও জামানত, দাবি, হিসাব বহি, রেজিস্টার, রেকর্ড এবং দলিল হিসাবে গণ্য হইবে; (ঘ) সকল ঋণ ও দায়-দায়িত্ব এবং উহার দ্বারা বা উহার পক্ষে বা উহার সহিত সম্পাদিত সকল চুক্তি ইনস্টিটিউটের ঋণ ও দায়-দায়িত্ব এবং ইনস্টিটিউটের দ্বারা বা উহার পক্ষে বা উহার সহিত সম্পাদিত চুক্তি বলিয়া গণ্য হইবে; (ঙ) বিরুদ্ধে বা তৎকর্তৃক দায়েরকৃত কোনো মামলা, গৃহীত কার্যধারা বা সূচিত কোনো কার্যক্রম অনিষ্পন্ন থাকিলে, উহা এমনভাবে নিষ্পন্ন হইবে যেন উহা এই আইনের অধীনে ইনস্টিটিউটের বিরুদ্ধে বা তৎকর্তৃক দায়েরকৃত, গৃহীত বা সূচিত হইয়াছে; (চ) ক্ষেত্রে প্রযোজ্য সকল বিধিমালা, প্রবিধানমালা, আদেশ, নির্দেশ, নীতিমালা বা অন্য কোনো ইনস্ট্রুমেন্ট, এই আইনের সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে, এই আইনের অধীন নূতনভাবে প্রণীত বা জারি না হওয়া পর্যন্ত অথবা বিলুপ্ত না করা পর্যন্ত, প্রয়োজনীয় অভিযোজনসহ, পূর্বের ন্যায় চলমান, অব্যাহত ও কার্যকর থাকিবে; (ছ) বোর্ড অব গভর্নরস্‌ বা কোনো কমিটি, যদি থাকে, এর কার্যক্রম, উহার মেয়াদ অবসানের পূর্বে বিলুপ্ত না হইলে অথবা এই আইনের অধীনে বোর্ড বা কমিটি গঠিত না হওয়া পর্যন্ত অব্যাহত থাকিবে; এবং (জ) কর্মচারীগণ এই আইন প্রবর্তনের অব্যবহিত পূর্বে যে শর্তাধীনে চাকরিতে নিয়োজিত ছিলেন, এই আইনের বিধান অনুযায়ী পরিবর্তিত না হওয়া পর্যন্ত, সেই একই শর্তে ইনস্টিটিউটের চাকরিতে নিয়োজিত থাকিবেন এবং পূর্বের নিয়মে বেতন, ভাতা ও অন্যান্য সুবিধাদি প্রাপ্ত হইবেন।

ইংরেজিতে অনূদিত পাঠ প্রকাশ

২২।  (১) এই আইন কার্যকর হইবার পর সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের মূল বাংলা পাঠের ইংরেজিতে অনূদিত একটি নির্ভরযোগ্য পাঠ (Authentic English Text) প্রকাশ করিতে পারিবে। (২) এই আইনের বাংলা ও ইংরেজি পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে বাংলা পাঠ প্রাধান্য পাইবে।

Footnotes

Click here to see the original act on the Bangladesh Legal Database.