যেহেতু নিম্নবর্ণিত উদ্দেশ্যসমূহ পূরণকল্পে ব্যাংক-কোম্পানী আইন, ১৯৯১ (১৯৯১ সনের ১৪ নং আইন) এর অধিকতর সংশোধন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল:-
২। ব্যাংক-কোম্পানী আইন, ১৯৯১ (১৯৯১ সনের ১৪ নং আইন), অতঃপর উক্ত আইন বলিয়া উল্লিখিত, এর ধারা ৩ এর-(ক) উপ-ধারা (২) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ উপ-ধারা (২) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:-“(২) এই আইনের কোন কিছুই আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন, ১৯৯৩ (১৯৯৩ সনের ২৭ নং আইন) এর অধীন লাইসেন্সপ্রাপ্ত কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না:তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত আইনের অধীন লাইসেন্সপ্রাপ্ত কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ধারা ৫ এর দফা (কককক), ধারা ১৭ এর উপ-ধারা (৬), উপ-ধারা (৭ক), ধারা ২৭ক, ধারা ২৭কক এবং ধারা ২৭খ এর বিধানাবলী প্রযোজ্য হইবে।”; এবং(খ) উপ-ধারা (৩) বিলুপ্ত হইবে।
৩। উক্ত আইনের ধারা ৫ এর-(ক) দফা (কক) এর পর নিম্নরূপ নূতন দফা (ককক), (কককক) ও (ককককক) সন্নিবেশিত হইবে, যথা:-“(ককক) “আর্থিক প্রতিবেদন” বা “বিবরণী” অর্থ ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং আইন, ২০১৫ (২০১৫ সনের ১৬ নং আইন) এর ধারা ২ এর উপ-ধারা (৩) এ সংজ্ঞায়িত আর্থিক বিবরণী;(কককক) “ইচ্ছাকৃত খেলাপী ঋণ গ্রহীতা” অর্থ এইরূপ কোন খেলাপী ঋণ গ্রহীতা ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানী যিনি বা যাহা-(১) নিজের, তাহার পরিবারের সদস্যের, স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানীর অনুকূলে কোন ব্যাংক-কোম্পানী বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান হইতে গৃহীত ঋণ, অগ্রিম, বিনিয়োগ বা অন্য কোন আর্থিক সুবিধা বা উহার অংশ বা উহার উপর আরোপিত সুদ বা মুনাফা তাহার সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও পরিশোধ করে না; বা(২) কোন ব্যাংক-কোম্পানী বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান হইতে জালিয়াতি, প্রতারণা বা মিথ্যা তথ্য প্রদানের মাধ্যমে নিজের, তাহার পরিবারের সদস্যের, স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানীর নামে ঋণ, অগ্রিম, বিনিয়োগ বা অন্য কোন আর্থিক সুবিধা গ্রহণ করে; বা(৩) কোন ব্যাংক-কোম্পানী বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান হইতে যে উদ্দেশ্যে ঋণ, অগ্রিম, বিনিয়োগ বা অন্য কোন আর্থিক সুবিধা গ্রহণ করিয়াছিলেন সেই উদ্দেশ্য ব্যতীত অন্য কোন উদ্দেশ্যে উক্ত ঋণ, অগ্রিম, বিনিয়োগ বা আর্থিক সুবিধা বা উহার অংশ ব্যবহার করিয়াছে; বা(৪) ঋণ বা অগ্রিম এর বিপরীতে প্রদত্ত জামানত ঋণ বা অগ্রিম প্রদানকারী কোন ব্যাংক-কোম্পানী বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লিখিত পূর্বানুমতি ব্যতিরেকে হস্তান্তর বা স্থানান্তর করিয়াছে:তবে শর্ত থাকে যে, এই সংজ্ঞার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, বাংলাদেশ ব্যাংক, সময় সময়, নির্দেশনা জারী করিতে পারিবে;(ককককক) “ঋণ” অর্থ অর্থ ঋণ আদালত আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ৮ নং আইন) এর ধারা ২ এর দফা (গ) এ সংজ্ঞায়িত ঋণ;”;(খ) দফা (ছ) এর পর নিম্নরূপ নূতন দফা (ছছ) সন্নিবেশিত হইবে, যথা:-“(ছছ) “নিয়ন্ত্রণাধীন প্রতিষ্ঠান” বা “নিয়ন্ত্রণাধীন কোম্পানী” অর্থ কোন ব্যক্তি, বা প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানীর এইরূপ কোন প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানী যাহাতে-(ক) উক্ত ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানী উল্লেখযোগ্য শেয়ার ধারণ করে বা অন্য কোন উপায়ে নিয়ন্ত্রণ করে; বা(খ) উক্ত ব্যক্তি বা তাহার পরিবারের সদস্য পরিচালক অথবা উক্ত প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানী পরিচালক অথবা উক্ত প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানীর কোন সাবসিডিয়ারী কোম্পানী পরিচালক হয়; বা(গ) উহার সহিত সম্পাদিত কোন চুক্তি বা অন্য কোন উপায়ে পরিচালক নিয়োগ বা অপসারণের অধিকার সংরক্ষণ করে অথবা উহার পরিচালনা বা ব্যবস্থাপনার উপর নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা সংরক্ষণ করে;”;(গ) দফা (ঝ) এর পর নিম্নরূপ নূতন দফা (ঝঝ) ও (ঝঝঝ) সন্নিবেশিত হইবে, যথা:-“(ঝঝ) “পরিবার” বা “পরিবারের সদস্য” অর্থ কোন ব্যক্তির স্ত্রী, স্বামী, পিতা, মাতা, পুত্র, কন্যা, ভাই, বোন এবং উক্ত ব্যক্তির উপর নির্ভরশীল কোন ব্যক্তি;(ঝঝঝ) “প্রতিনিধি পরিচালক” অর্থ কোম্পানী আইন, ১৯৯৪ (১৯৯৪ সনের ১৮ নং আইন) এর ধারা ৮৬ এর বিধান অনুযায়ী ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি;”;(ঘ) দফা (ট) এর পর নিম্নরূপ নূতন দফা (টট), (টটট) ও (টটটট) সন্নিবেশিত হইবে, যথা:-“(টট) “বীমা কোম্পানী” অর্থ বীমা আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ১৩ নং আইন) এর ধারা ২ এর দফা (২৫) এ সংজ্ঞায়িত বীমাকারী:(টটট) “ব্যক্তি” অর্থ যে কোন ব্যক্তি এবং কোন প্রতিষ্ঠান, কোন কোম্পানী, কোন অংশীদারি কারবার, ফার্ম বা অন্য যে কোন সংস্থাও ইহার অন্তর্ভুক্ত;(টটটট) “ব্যাংকিং গ্রুপ” অর্থ ব্যাংক-কোম্পানী এবং উহার এক বা একাধিক সাবসিডিয়ারী কোম্পানী যে নামেই অভিহিত হউক না কেন;”;(ঙ) দফা (থথথথথ) এর পর নিম্নরূপ নূতন দফা (থথথথথথ) সন্নিবেশিত হইবে, যথা:-“(থথথথথথ) “মানিলন্ডারিং” অর্থ মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ (২০১২ সনের ৫ নং আইন) এর ধারা ২ এর দফা (ফ) এ সংজ্ঞায়িত মানিলন্ডারিং;”; এবং(চ) দফা (দ) এর পর নিম্নরূপ নূতন দফা (দদ) সন্নিবেশিত হইবে, যথা:-“(দদ) “সন্ত্রাসী কার্যে অর্থায়ন সংক্রান্ত অপরাধ” অর্থ সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০০৯ (২০০৯ সনের ১৬ নং আইন) এর ধারা ৭ এ বর্ণিত সন্ত্রাসী কার্যে অর্থায়ন সংক্রান্ত অপরাধ;”।
৭। উক্ত আইনের ধারা ১৪ক এর-(ক) উপ-ধারা(১) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ উপ-ধারা(১) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:-“(১) কোন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, কোম্পানী বা একই পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ব্যাংকের শেয়ার কেন্দ্রীভূত করা যাইবে না এবং কোন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, কোম্পানী বা কোন পরিবারের সদস্যগণ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে, একক বা অন্যের সহিত যৌথভাবে বা উভয়ভাবে, কোন ব্যাংকের শতকরা ১০ (দশ) ভাগের বেশি শেয়ার ক্রয় করিবেন না।”; এবং(খ) উপ-ধারা (৬) এর পর উল্লিখিত ব্যাখ্যা বিলুপ্ত হইবে।
৮। উক্ত আইনের ধারা ১৪খ এর(ক) উপ-ধারা (১) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ উপ-ধারা(১) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:-“(১) বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বানুমোদন ব্যতীত, কোন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, কোম্পানী বা কোন পরিবারের সদস্যগণ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে, একক বা অন্যের সহিত যৌথভাবে বা উভয়ভাবে, কোন ব্যাংক-কোম্পানীর উল্লেখযোগ্য শেয়ারধারক হইতে পারিবে না।”; এবং(খ) উপ-ধারা(২) এর পর উল্লিখিত ব্যাখ্যার পরিবর্তে নিম্নরূপ ব্যাখ্যা প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:-“ব্যাখ্যা।- উল্লেখযোগ্য শেয়ারধারক’ বলিতে কোন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, কোম্পানী বা কোন পরিবারের সদস্যগণ কর্তৃক প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে, একক বা অন্যের সহিত যৌথভাবে বা উভয়ভাবে, কোন ব্যাংক-কোম্পানীর মালিকানা স্বত্বের শতকরা ৫ (পাঁচ) ভাগের অধিক শেয়ার ধারণকে বুঝাইবে।”।
৯। উক্ত আইনের ধারা ১৫ এর-(ক) উপান্তটীকা “নূতন পরিচালক নির্বাচন” এর পরিবর্তে “পরিচালক নির্বাচন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়োগ, ইত্যাদি” উপান্তটীকা প্রতিস্থাপিত হইবে;(খ) উপ-ধারা (৪) এ উল্লিখিত “নিযুক্তি” শব্দের পর “, পুনঃনিযুক্তি” কমা ও শব্দ এবং “নিযুক্ত” শব্দের পর “বা পুনঃনিযুক্ত” শব্দগুলি সন্নিবেশিত হইবে;(গ) উপ-ধারা (৯) ও (১০) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ উপ-ধারা (৯) ও (১০) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:-“(৯) আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইন অথবা কোন ব্যাংক-কোম্পানীর সংঘ/স্মারক বা সংঘবিধিতে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, অন্যূন ৩ (তিন) জন স্বতন্ত্র পরিচালকসহ কোন ব্যাংক-কোম্পানীতে সর্বোচ্চ ২০ (বিশ) জন পরিচালক থাকিবেন:তবে শর্ত থাকে যে, কোন ব্যাংক-কোম্পানীর পরিচালক সংখ্যা ২০ (বিশ) জনের নিম্নে হইলে স্বতন্ত্র পরিচালকের সংখ্যা অন্যূন ২ (দুই) জন হইবে:আরো শর্ত থাকে যে, স্বতন্ত্র পরিচালকের সর্বোচ্চ সংখ্যা, ফি এবং নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক, সময় সময়, নির্দেশনা জারী করিতে পারিবে।ব্যাখ্যা।- এই উপ-ধারায় “স্বতন্ত্র পরিচালক” বলিতে এইরূপ ব্যক্তিকে বুঝাইবে যিনি ব্যাংক-কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা ও শেয়ারধারক হইতে স্বাধীন এবং যিনি কেবল ব্যাংক-কোম্পানীর স্বার্থে স্বীয় মতামত প্রদান করিবেন এবং ব্যাংকের সহিত কিংবা ব্যাংক সংশ্লিষ্ট কোন ব্যক্তির সহিত যাহার অতীত, বর্তমান বা ভবিষ্যত কোন প্রকৃত স্বার্থ কিংবা দৃশ্যমান স্বার্থের বিষয় জড়িত নাই।(১০) আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইন অথবা কোন ব্যাংক-কোম্পানীর সংঘ/স্মারক বা সংঘবিধিতে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোন একক পরিবার হইতে ৩ (তিন) জনের অধিক সদস্য একই সময় কোন ব্যাংক-কোম্পানীর পরিচালক পদে অধিষ্ঠিত থাকিবে না।”; এবং(ঘ) উপ-ধারা (১২) এর পর উল্লিখিত ব্যাখ্যা বিলুপ্ত হইবে।
১০। উক্ত আইনের ধারা ১৫কক এর পরিবর্তে নিম্নরূপ ধারা ১৫কক প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:-“১৫কক। পরিচালক পদের মেয়াদ, ইত্যাদি।-(১) আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইন অথবা কোন ব্যাংক-কোম্পানীর সংঘ/স্মারক বা সংঘবিধিতে ভিন্নতর যাহা কিছুই থাকুক না কেন, ব্যাংক- কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৮ কার্যকর হইবার পর কোন ব্যক্তি কোন ব্যাংক-কোম্পানীর পরিচালক পদে একাদিক্রমে ১২ (বারো) বৎসরের অধিক অধিষ্ঠিত থাকিতে পারিবেন না।(২) কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর অধীন একাদিক্রমে ১২ (বারো) বৎসর কোন ব্যাংক-কোম্পানীর পরিচালক পদে অধিষ্ঠিত থাকিলে উক্ত মেয়াদ শেষ হইবার পর ৩ (তিন) বৎসর অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত তিনি উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর পরিচালক পদে পুনঃনিযুক্ত হইবার যোগ্য হইবেন না।ব্যাখ্যা।- এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, কোন ব্যক্তি পরিচালক পদে ৩ (তিন) বৎসরের চাইতে কম সময় অধিষ্ঠিত না থাকিলে একাদিক্রমে ১২ (বারো) বৎসর গণনার ক্ষেত্রে উক্ত সময়ও অন্তর্ভুক্ত হইবে।”।
১১। উক্ত আইনের ধারা ১৫কক এর পর নিম্নরূপ নূতন ধারা ১৫ককক সন্নিবেশিত হইবে, যথা:-“১৫ককক। বিকল্প পরিচালক নিয়োগ, মেয়াদ, ইত্যাদি। -(১) কোম্পানী আইনের ধারা ১০১ এর বিধান সাপেক্ষে, কোন ব্যাংক-কোম্পানীর কোন পরিচালকের কেবল বাংলাদেশ হইতে বিদেশে অন্যূন ৩ (তিন) মাস নিরবচ্ছিন্ন অবস্থানজনিত অনুপস্থিতির কারণে উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীতে কোন বিকল্প পরিচালক নিয়োগের প্রয়োজন হইলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক-কোম্পানীর পরিচালনা পর্ষদ উক্ত মূল পরিচালকের বিপরীতে বৎসরে সর্বোচ্চ ১ (এক) বার একাদিক্রমে ৩ (তিন) মাসের জন্য ১ (এক) জন বিকল্প পরিচালক নিযুক্ত করিতে পারিবে:তবে শর্ত থাকে যে, সরকার কর্তৃক মনোনীত বা নিযুক্ত কোন চেয়ারম্যান বা পরিচালক, যে নামেই অভিহিত হউক না কেন, এর ক্ষেত্রে এই বিধান প্রযোজ্য হইবে না।(২) বিকল্প পরিচালক নিযুক্তির ক্ষেত্রে পরিচালক নিযুক্তির যোগ্যতা ও উপযুক্ততা সংক্রান্ত বিধানাবলী প্রযোজ্য হইবে।(৩) বিকল্প পরিচালক নিয়োগ ও তাহার কার্যপরিধি নির্ধারণের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক, সময় সময়, নির্দেশনা জারী করিতে পারিবে।”।
১২। উক্ত আইনের ধারা ১৭ এর উপ-ধারা (৭) এর পর নিম্নরূপ নূতন উপ-ধারা (৭ক) সন্নিবেশিত হইবে, যথা:-“(৭ক) এই ধারার অধীন নোটিশপ্রাপ্ত কোন পরিচালক নোটিশের কার্যক্রম চলমান থাকাবস্থায় তাহার পদ হইতে পদত্যাগ করিলে উক্ত পদত্যাগ কার্যকর হইবে না।”।
১৩। উক্ত আইনের ধারা ২৩ এর-(ক) উপান্তটীকা “সাধারণ পরিচালক নিয়োগে বিধি-নিষেধ” এর পরিবর্তে “সাধারণ পরিচালক, ইত্যাদি নিয়োগে বাধা-নিষেধ” উপান্তটীকা প্রতিস্থাপিত হইবে;(খ) উপ-ধারা (১) এর-(অ) দফা (ক) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ দফা (ক) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:-“(ক) কোন ব্যক্তি কোন ব্যাংক-কোম্পানীর পরিচালক হইলে একই সময় তিনি অন্য কোন ব্যাংক-কোম্পানী, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বীমা কোম্পানী বা উক্তরূপ কোম্পানীসমূহের কোন সাবসিডিয়ারী কোম্পানীর বা বাংলাদেশ ব্যাংকের বিবেচনায় এইরূপ কোন কোম্পানী বা প্রতিষ্ঠান যাহা উক্ত ব্যাংক-কোম্পানী, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা বীমা কোম্পানীর উপর নিয়ন্ত্রণ, যৌথ নিয়ন্ত্রণ বা উল্লেখযোগ্য প্রভাব বিস্তার করে এইরূপ কোম্পানী বা প্রতিষ্ঠানের পরিচালক থাকিবেন না;”;(আ) দফা (ক) এর পর নিম্নরূপ নূতন দফা (কক), (ককক) এবং (কককক) সন্নিবেশিত হইবে, যথা:-“(কক) ধারা ১৫ এর উপ-ধারা (১০) এর বিধান সাপেক্ষে, কোন ব্যাংক-কোম্পানীর পরিচালনা পর্ষদে কোন একক পরিবারের সদস্যের অতিরিক্ত তাহার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বা নিয়ন্ত্রণাধীন অনধিক ২ (দুই) টি প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানীর পক্ষে প্রতিনিধি পরিচালক থাকিতে পারিবেন;(ককক) কোন ব্যাংক-কোম্পানীর পরিচালনা পর্ষদে কোন প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানীর পক্ষে ১ (এক) এর অধিক ব্যক্তি প্রতিনিধি পরিচালক নিযুক্ত হইতে পারিবেন না;(কককক) কোন ব্যাংক-কোম্পানীর পরিচালনা পর্ষদে কোন প্রাকৃতিক ব্যক্তিসত্তা বিশিষ্ট ব্যক্তি শেয়ারধারকের পক্ষে অপর কোন ব্যক্তি প্রতিনিধি পরিচালক হিসাবে নিযুক্ত হইতে পারিবেন না;”; এবং(গ) দফা (খ) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ দফা (খ) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা: -“(খ) কোন ব্যাংক-কোম্পানীর এইরূপ কোন পরিচালক থাকিবেন না, যিনি-(অ) উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর বহিঃহিসাব নিরীক্ষক, আইন উপদেষ্টা, উপদেষ্টা, পরামর্শক বা অন্য কোনভাবে লাভজনক পদের দায়িত্বে নিয়োজিত রহিয়াছেন;(আ) অন্য কোন ব্যাংক-কোম্পানী, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বীমা কোম্পানীর বা উক্তরূপ কোম্পানীসমূহের কোন সাবসিডিয়ারী কোম্পানীর বা বাংলাদেশ ব্যাংকের বিবেচনায় এইরূপ কোন কোম্পানী বা প্রতিষ্ঠান যাহা উক্ত ব্যাংক-কোম্পানী, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা বীমা কোম্পানীর উপর নিয়ন্ত্রণ, যৌথ নিয়ন্ত্রণ বা উল্লেখযোগ্য প্রভাব বিস্তার করে এইরূপ কোম্পানী বা প্রতিষ্ঠানের উপদেষ্টা, পরামর্শক বা অন্য কোনভাবে লাভজনক পদের দায়িত্বে নিয়োজিত রহিয়াছেন;(ই) এইরূপ কতিপয় কোম্পানীর পরিচালক যে কোম্পানীসমূহ একত্রে উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর শেয়ারহোল্ডারদের মোট শেয়ারের বিপরীতে মোট ভোটের ২০ (বিশ) শতাংশের অধিক ভোট প্রদানের অধিকারী হইয়াছেন;(ঈ) অপর কোন ব্যাংক-কোম্পানী, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বীমা কোম্পানী বা উক্তরূপ কোম্পানীসমূহের কোন সাবসিডিয়ারী কোম্পানীর পক্ষে পরিচালক হিসাবে নিযুক্ত হইয়াছেন বা বাংলাদেশ ব্যাংকের বিবেচনায় এইরূপ কোন কোম্পানী বা প্রতিষ্ঠান যাহা উক্ত ব্যাংক-কোম্পানী, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা বীমা কোম্পানীর উপর নিয়ন্ত্রণ, যৌথ নিয়ন্ত্রণ বা উল্লেখযোগ্য প্রভাব বিস্তার করে এইরূপ কোম্পানী বা প্রতিষ্ঠানের পক্ষে পরিচালক হিসাবে নিযুক্ত হইয়াছেন:তবে শর্ত থাকে যে, এই উপ-ধারার বিধান সরকার কর্তৃক নিযুক্ত বিশেষায়িত ব্যাংকের পরিচালকদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না:আরো শর্ত থাকে যে, রাষ্ট্র মালিকানাধীন এবং বিশেষ আইন দ্বারা সৃষ্ট ব্যাংক-কোম্পানী, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানীর পক্ষে পরিচালক হিসাবে কোন কর্মকর্তা নিযুক্তির ক্ষেত্রে এই উপ-দফার বিধান প্রযোজ্য হইবে না।”।
১৪। উক্ত আইনের ধারা ২৬ এর বিদ্যমান বিধান উপ-ধারা (১) হিসাবে সংখ্যায়িত হইবে এবং উক্তরূপ সংখ্যায়িত উপ-ধারা (১) এর-(ক) দফা (ঘ) বিলুপ্ত হইবে;(খ) দফা (ঙ)-(অ) এ উল্লিখিত “বাংলাদেশ ব্যাংক” শব্দগুলির পরিবর্তে “বাংলাদেশ ব্যাংকের” শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে; এবং(আ) এর উপ-দফা (ই) এ উল্লিখিত “সিকিউরিটিজ ও এক্সচেঞ্জ কমিশন” শব্দগুলির পরিবর্তে “বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন” শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে; এবং(গ) পর নিম্নরূপ নূতন উপ-ধারা (২), (৩) ও (৪) সংযোজিত হইবে, যথা:-“(২) যে উদ্দেশ্যেই সাবসিডিয়ারী কোম্পানী গঠিত হউক না কেন, কোন ব্যাংক-কোম্পানী বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক, সময় সময়, নির্ধারিত হার বা পরিমাণের অধিক উহার সাবসিডিয়ারী কোম্পানীসমূহের মূলধন হিসাবে বিনিয়োগ করিতে পারিবে না।(৩) ধারা ৪৪ এর অধীন পরিচালিত পরিদর্শন ও পরীক্ষায় বাংলাদেশ ব্যাংক যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, উপ-ধারা (১) এর অধীন গঠিত কোন ব্যাংক-কোম্পানীর কোন সাবসিডিয়ারী কোম্পানীর পরিচালনা পর্ষদের কোন সদস্য, ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কর্মকাণ্ড সংশ্লিষ্ট সাবসিডিয়ারী কোম্পানী বা ব্যাংক-কোম্পানী বা আমানতকারীর জন্য ক্ষতিকর, তাহা হইলে উক্ত সাবসিডিয়ারী কোম্পানী বা ব্যাংক-কোম্পানী বা আমানতকারীর স্বার্থে বা জনস্বার্থে তাহার বা তাহাদের বিরুদ্ধে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক স্বীয় বিবেচনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে বা সংশ্লিষ্ট ব্যাংক-কোম্পানীকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করিতে পারিবে বা উক্ত সাবিসিডিয়ারী কোম্পানীর নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অবহিত করিবে।(৪) উপ-ধারা (১) এ বর্ণিত উদ্দেশ্যে গঠিত কোন ব্যাংক-কোম্পানীর কোন সাবসিডিয়ারী কোম্পানী যদি উহার উপর আরোপিত কোন শর্ত ভঙ্গ করে বা ক্ষতিকর কোন কার্যক্রমে লিপ্ত হয়, তাহা হইলে উক্ত সাবসিডিয়ারী কোম্পানী বা ব্যাংক-কোম্পানী বা আমানতকারীর স্বার্থে বা জনস্বার্থে বাংলাদেশ ব্যাংক যে কোন সংশোধনমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করিবার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংক-কোম্পানীকে নির্দেশনা প্রদান করিবে।”।
১৫। উক্ত আইনের ধারা ২৬ক এর-(ক) উপ-ধারা (১) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ উপ-ধারা (১) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:-“(১) ধারা ২৬ এর বিধান সাপেক্ষে, কোন ব্যাংক-কোম্পানী অন্য কোন কোম্পানীর শেয়ার ধারণের ক্ষেত্রে নিম্নবর্ণিত পরিমাণের অধিক শেয়ার ধারণ করিবে না, যথা:-(ক) ধারণকৃত শেয়ার ক্রয়মূল্যে উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর পরিশোধিত মূলধন, শেয়ার প্রিমিয়াম, সংবিধিবদ্ধ সঞ্চিতি ও রিটেইন্ড আর্নিংস এর মোট পরিমাণের ৫ (পাঁচ) শতাংশ;(খ) বিনিয়োগকৃত কোম্পানীর পরিশোধিত মূলধনের ১০ (দশ) শতাংশ:তবে শর্ত থাকে যে, উপরোক্ত দফা (ক) ও (খ) এ শেয়ার ধারণের পরিমাণ উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর পরিশোধিত মূলধনের ১০ (দশ) শতাংশের বেশী হইতে পারিবে না:আরো শর্ত থাকে যে, প্রত্যেক ব্যাংক-কোম্পানী এইরূপভাবে উহার পুঁজিবাজার বিনিয়োগ কোষ পুনর্গঠন করিবে যাহাতে ধারণকৃত সকল প্রকার শেয়ার, মিউচুয়াল ফান্ড, উপ-ধারা(২ক) এ উল্লিখিত নিদর্শনপত্র ব্যতীত অন্যান্য পুঁজিবাজার নিদর্শনপত্রের মোট ক্রয়মূল্য এবং পুঁজিবাজার কার্যক্রমে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে নিয়োজিত নিজস্ব সাবসিডিয়ারী কোম্পানী বা কোম্পানীসমূহ, অন্য কোন কোম্পানী বা কোম্পানীসমূহে প্রদত্ত ঋণ সুবিধা এবং পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে গঠিত কোন প্রকার তহবিলে প্রদত্ত চাঁদার পরিমাণ সমষ্টিগতভাবে উহার পরিশোধিত মূলধন, শেয়ার প্রিমিয়াম, সংবিধিবদ্ধ সঞ্চিতি ও রিটেইন্ড আর্নিংস এর মোট পরিমাণের ২৫ (পঁচিশ) শতাংশের অধিক না হয় ৷”; এবং(খ) উপ-ধারা (২) এর পর নিম্নরূপ নূতন উপ-ধারা (২ক) সন্নিবেশিত হইবে, যথা:-“(২ক) কোন ব্যাংক-কোম্পানী কর্তৃক বন্ড, ডিবেঞ্চার বা ইসলামিক শরীয়াহ ভিত্তিক নিদর্শনপত্রে বিনিয়োগের সীমা নির্ধারণে বাংলাদেশ ব্যাংক, সময় সময়, নির্দেশনা জারী করিবে।”।
১৬। উক্ত আইনের ধারা ২৬গ এর-(ক) উপান্তটীকায় উল্লিখিত “ব্যক্তির” শব্দের পরিবর্তে “ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের” শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে; এবং(খ) উপ-ধারা (৬) এর পর উল্লিখিত ব্যাখ্যার পরিবর্তে নিম্নরূপ ব্যাখ্যা প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:-“ব্যাখ্যা।- এই ধারায় “ব্যাংক সংশ্লিষ্ট কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান” অর্থে বুঝাইবে-(ক) কোন ব্যাংক-কোম্পানীর পরিচালক, ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী, উল্লেখযোগ্য শেয়ারধারক বা তাহাদের পরিবারের সদস্য বা বাংলাদেশ ব্যাংকের বিবেচনায় এইরূপ কোন ব্যক্তি যিনি উক্ত ব্যাংকের উপর নিয়ন্ত্রণ, যৌথ নিয়ন্ত্রণ বা উল্লেখযোগ্য প্রভাব বিস্তার করে;(খ) এইরূপ কোন কোম্পানী যাহাতে দফা (ক) এ উল্লিখিত ব্যাংক সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির নিয়ন্ত্রণ, যৌথ নিয়ন্ত্রণ বা উল্লেখযোগ্য প্রভাব রহিয়াছে;(গ) কোন কোম্পানীতে কোন ব্যাংক-কোম্পানী উল্লেখযোগ্য পরিমাণ শেয়ার ধারণ করিলে উক্ত কোম্পানীর কোন উল্লেখযোগ্য শেয়ারধারক;(ঘ) বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক, সময় সময়, জারীকৃত বিধান অনুযায়ী এইরূপ কোন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানী যিনি বা যাহারা দফা (ক), (খ) ও (গ) এ বর্ণিত সম্পর্কের ন্যায় কোন ব্যাংক-কোম্পানীর সহিত সম্পর্কিত।”।
১৭। উক্ত আইনের ধারা ২৭ এর-(ক) উপ-ধারা (১)-(অ) এর দফা (খ) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ দফা (খ) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:-“(খ) ধারা ২৬গ এর উপ-ধারা (২) এর বিধান সাপেক্ষে, ইহার কোন পরিচালককে বা পরিচালকের পরিবারের সদস্যকে জামানতী ঋণ বা অগ্রিম ব্যতীত অন্য কোনরূপ ঋণ বা অগ্রিম মঞ্জুর করিবে না বা ইহার কোন পরিচালক বা পরিচালকের পরিবারের সদস্য কর্তৃক দায় গ্রহণের ভিত্তিতে জামানতী ঋণ বা অগ্রিম ব্যতীত ঋণ, অগ্রিম, গ্যারান্টি বা অন্য কোন আর্থিক সুবিধা প্রদান করিবে না;”;(আ) দফা (গ) এর উপ-দফা (আ) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ উপ-দফা (আ) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:-“(আ) এইরূপ কোন স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বা প্রাইভেট কোম্পানী যাহাতে উক্ত ব্যাংক-কোম্পানী বা উহার কোন পরিচালক বা পরিচালকের পরিবারের সদস্য উল্লেখযোগ্য শেয়ারধারক, পরিচালক, মালিক বা অংশীদার রহিয়াছেন অথবা যাহা উহার কোন পরিচালক বা পরিচালকের পরিবারের সদস্য কর্তৃক কোনভাবে নিয়ন্ত্রিত বা প্রভাবিত হয়;”;(খ) উপ-ধারা (২) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ উপ-ধারা(২) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:-“(২) উপ-ধারা (১) এর বিধান সাপেক্ষে, কোন ব্যাংক-কোম্পানী নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্রে, সংশ্লিষ্ট পরিচালক ব্যতীত অন্যান্য পরিচালকগণের সংখ্যাগরিষ্ঠের অনুমোদন ব্যতিরেকে, কোন ঋণ, অগ্রিম, গ্যারান্টি বা অন্য কোন আর্থিক সুবিধা প্রদান করিবে না-(ক) উহার কোন পরিচালক বা পরিচালকের পরিবারের কোন সদস্য; বা(খ) এইরূপ কোন ব্যক্তি, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, কোম্পানী যাহার সহিত বা যাহাতে উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর কোন পরিচালক বা পরিচালকের পরিবারের সদস্য উল্লেখযোগ্য শেয়ারধারক, অংশীদার, পরিচালক বা জামীনদাতা হিসাবে স্বার্থ সংশ্লিষ্ট রহিয়াছে বা যাহা উহার কোন পরিচালক বা পরিচালকের পরিবারের সদস্য কর্তৃক কোনভাবে নিয়ন্ত্রিত বা প্রভাবিত হয়।ব্যাখ্যা।-এই ধারায় “জামানত” বলিতে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক, সময় সময়, জারীকৃত নির্দেশনায় নির্ধারিত যোগ্য জামানতকে (Eligible Collateral) বুঝাইবে।”; এবং(গ) উপ-ধারা (৪) এর দফা (ক) এবং (খ) এ উল্লিখিত “উহার কোন পরিচালক” শব্দগুলির পর “বা পরিচালকের পরিবারের সদস্য” শব্দগুলি সন্নিবেশিত হইবে।
১৮। উক্ত আইনের ধারা ২৭ক এর পরিবর্তে নিম্নরূপ ধারা ২৭ক প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:-“২৭ক। দেনাদার কোম্পানী বা প্রতিষ্ঠানের পরিচালক বা পরিচালনা কর্তৃপক্ষের সদস্যের উপর বিধি-নিষেধ। আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, ঋণদাতা ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালক পর্ষদ বা, ক্ষেত্রমত, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ব্যতীত, কোন দেনাদার কোম্পানী বা প্রতিষ্ঠানের কোন পরিচালক বা পরিচালনা কর্তৃপক্ষের কোন সদস্যের পদত্যাগ কার্যকর হইবে না এবং কোন পরিচালক তাহার শেয়ার হস্তান্তর বা বিক্রয় করিতে পারিবেন না।”।
১৯। উক্ত আইনের ধারা ২৭কক এর উপ-ধারা (১), (২) ও (৩) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ উপ-ধারা (১), (২) ও (৩) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:-“(১) প্রত্যেক ব্যাংক-কোম্পানী বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান, Bangladesh Bank Order, 1972 (P.O No. 127 of 1972) এর article 43 ও 44 এর বিধান অনুসারে, সময় সময়, উহার খেলাপী ঋণ গ্রহীতাদের তালিকা বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রেরণ করিবে।(২) বাংলাদেশ ব্যাংক উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রাপ্ত তালিকা, Bangladesh Bank Order, 1972 (PO No. 127 of 1972) এর article 45 এর বিধান অনুসারে দেশের সকল ব্যাংক-কোম্পানী ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে প্রেরণ করিবে।(৩) কোন খেলাপী ঋণ গ্রহীতার অনুকূলে কোন ব্যাংক-কোম্পানী বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান কোনরূপ ঋণ সুবিধা প্রদান করিবে না:তবে শর্ত থাকে যে, ধারা ৫ এর দফ (গগ) এর বিধান অনুসারে পরস্পর স্বার্থ সংশ্লিষ্ট গ্রুপভুক্ত কোন খেলাপী ব্যক্তি বা ক্ষেত্রমত, প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানী যদি ইচ্ছাকৃত খেলাপী ঋণ গ্রহীতা না হয় অথবা বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট যদি ইহা প্রতীয়মান হয় যে, উক্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানী কর্তৃক ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হইবার ক্ষেত্রে যুক্তিসঙ্গত কারণ রহিয়াছে, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানী খেলাপী হইবার কারণে ঐ গ্রুপভুক্ত অন্য কোন প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানী খেলাপী বলিয়া গণ্য হইবে না, এবং এইরূপ প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানীকে বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বানুমোদন সাপেক্ষে তৎকর্তৃক জারীকৃত নির্দেশনা অনুযায়ী ঋণ সুবিধা প্রদান করা যাইবে।”।
২০। উক্ত আইনের ধারা ২৭কক এর পর নিম্নরূপ নূতন ধারা ২৭খ সন্নিবেশিত হইবে, যথা:-“২৭খ। ইচ্ছাকৃত খেলাপী ঋণ গ্রহীতার তালিকা, ইত্যাদি। (১) প্রত্যেক ব্যাংক-কোম্পানী বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান ইচ্ছাকৃত খেলাপী ঋণ গ্রহীতা তালিকাভুক্ত করিবে এবং Bangladesh Bank Order, 1972 (PO No. 127 of 1972) এর article 43 ও 44 এর বিধান অনুসারে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী উক্ত ইচ্ছাকৃত খেলাপী ঋণ গ্রহীতার তালিকা বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রেরণ করিবে।(২) বাংলাদেশ ব্যাংক উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রাপ্ত তালিকা, উপ-ধারা (৫) এর বিধান সাপেক্ষে Bangladesh Bank Order, 1972 (PO No. 127 of 1972) এর article 45 এর বিধান অনুসারে দেশের সকল ব্যাংক-কোম্পানী ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে প্রেরণ করিবে।(৩) ইচ্ছাকৃত খেলাপী ঋণ গ্রহীতা শনাক্তকরণ এবং চূড়ান্তকরণ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক, সময় সময়, নির্দেশনা জারী করিবে।(৪) ইচ্ছাকৃত খেলাপী ঋণ গ্রহীতার নাম চূড়ান্তকরণের পূর্বে সংশ্লিষ্ট ঋণ গ্রহীতাকে তাহার বক্তব্য উপস্থাপনের সুযোগ প্রদান করিতে হইবে, এবং অনুরূপ ঋণ গ্রহীতার নাম চুড়ান্তকরণের পর প্রত্যেক ব্যাংক-কোম্পানী ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান ৭ (সাত) কার্যদিবসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট ঋণ গ্রহীতাকে সেই মর্মে অবহিত করিবে।(৫) উপ-ধারা (৪) এর বিধান অনুযায়ী ইচ্ছাকৃত খেলাপী ঋণ গ্রহীতা হিসাবে চিহ্নিত হইবার ফলে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট আপীল করিতে পারিবে এবং এই বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে।(৬) বাংলাদেশ ব্যাংক সংশ্লিষ্ট সংস্থার নিকট ইচ্ছাকৃত খেলাপী ঋণ গ্রহীতার তালিকা প্রেরণ করিতে পারিবে এবং তাহাদের বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা, ট্রেড লাইসেন্স ইস্যুতে নিষেধাজ্ঞা এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন ও রেজিষ্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানীজ অ্যান্ড ফার্মস (RJSC) এর নিকট কোম্পানী নিবন্ধনে নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করিলে সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থা এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে।(৭) ইচ্ছাকৃত খেলাপী ঋণ গ্রহীতা হিসাবে তালিকাভুক্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান উক্ত তালিকা হইতে অব্যাহতি প্রাপ্তির পর বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নির্ধারিত সময়, যাহা ৫ (পাঁচ) বৎসরের অধিক হইবে না, অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত কোন ব্যাংক-কোম্পানী বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালক হইবার যোগ্য হইবেন না।(৮) কোন ব্যাংক-কোম্পানী বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ইচ্ছাকৃত খেলাপী ঋণ গ্রহীতা হিসাবে তালিকাভুক্ত হইলে, উপ-ধারা (৫) এর বিধান সাপেক্ষে, বাংলাদেশ ব্যাংক তাহার পরিচালক পদ শূন্য ঘোষণা করিতে পারিবে।(৯) উপ-ধারা (১) ও (২) এর অধীন কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ইচ্ছাকৃত খেলাপী ঋণ গ্রহীতা হিসাবে তালিকাভুক্ত হইলে, এবং উপ-ধারা (৫) এর অধীন উক্ত তালিকাভুক্তির বিরুদ্ধে আপীল করা না হইলে অথবা উপ-ধারা (৫) এর অধীন আপীল মঞ্জুর না হইলে, সংশ্লিষ্ট ব্যাংক-কোম্পানী বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান উক্ত ঋণ গ্রহীতাকে ২ (দুই) মাস সময় প্রদান করিয়া তাহার নিকট হইতে প্রাপ্য সম্পূর্ণ অর্থ ফেরত চাহিয়া নোটিশ প্রদান করিবে।(১০) এই আইনের অন্যান্য বিধান বা অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, উপ-ধারা (৯) এর বিধান অনুযায়ী নোটিশ প্রাপ্তির ২ (দুই) মাসের মধ্যে ইচ্ছাকৃত খেলাপী ঋণ গ্রহীতা তাহার নিকট প্রাপ্য টাকা পরিশোধ করিতে ব্যর্থ হইলে, সংশ্লিষ্ট ব্যাংক-কোম্পানী বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ক্ষেত্রমত, উহার পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদনক্রমে তাহার বিরুদ্ধে ফৌজদারী মোকদ্দমা দায়ের করিবে, এবং এইরূপ মোকদ্দমা সংশ্লিষ্ট ঋণ, অগ্রিম বা পাওনা আদায়ের ক্ষেত্রে অর্থ ঋণ আদালতের কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত করিবে না।(১১) যদি কোন ব্যাংক-কোম্পানী বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান এই ধারার বিধান লঙ্ঘন করে, অথবা যদি বাংলাদেশ ব্যাংক এইরূপ বিবেচনা করে যে, কোন ব্যাংক-কোম্পানী বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান জ্ঞাতসারে বা ইচ্ছাকৃতভাবে এই ধারার বিধান লঙ্ঘন করিয়াছে, তাহা হইলে উক্ত লঙ্ঘনের জন্য উক্ত ব্যাংক-কোম্পানী বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের উপর অন্যূন ৫০ (পঞ্চাশ) লক্ষ টাকা এবং অনধিক ১ (এক) কোটি টাকা জরিমানা আরোপিত হইবে, এবং যদি উক্ত লঙ্ঘন অব্যাহত থাকে, তাহা হইলে উক্ত লঙ্ঘনের প্রথম দিনের পর প্রত্যেক দিনের জন্য অতিরিক্ত অনূর্ধ্ব ১ (এক) লক্ষ টাকা জরিমানা আরোপিত হইবে।”।
২১। উক্ত আইনের ধারা ২৮ এর পরিবর্তে নিম্নরূপ ধারা ২৮ প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:-“২৮। সুদ বা মুনাফা মওকুফের উপর বাধা-নিষেধ।- (১) বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বানুমোদন ব্যতিরেকে, কোন ব্যাংক-কোম্পানী উহার নিকট হইতে নিম্নবর্ণিত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক গৃহীত ঋণ বা বিনিয়োগের উপর আরোপিত বা অনারোপিত সুদ বা মুনাফা মওকুফ করিবে না, -(ক) উহার কোন পরিচালক, এবং তাহার পরিবারের সদস্যগণ;(খ) এইরূপ কোন প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানী যাহাতে উক্ত ব্যাংক-কোম্পানী বা উহার কোন পরিচালক বা পরিচালকের পরিবারের সদস্য উল্লেখযোগ্য শেয়ারধারক, পরিচালক, জামিনদার, ম্যানেজিং এজেন্ট, মালিক বা অংশীদার রহিয়াছেন বা যাহা উক্ত ব্যাংক-কোম্পানী বা উহার কোন পরিচালক বা পরিচালকের পরিবারের সদস্য কর্তৃক কোনভাবে নিয়ন্ত্রিত বা প্রভাবিত হয়;(গ) এইরূপ কোন ব্যক্তি যাহার সহিত উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর কোন পরিচালক, অংশীদার বা জামিনদার হিসাবে স্বার্থ সংশ্লিষ্ট রহিয়াছে।(২) উপ-ধারা (১) এর বিধান লঙ্ঘনক্রমে কোনরূপ মওকুফ করা হইলে উহা অবৈধ হইবে, এবং অনুরূপ মওকুফের জন্য উহার যে সকল পরিচালক বা কর্মকর্তা দায়িত্বপ্রাপ্ত রহিয়াছিলেন তাহাদের প্রত্যেকে উক্ত লঙ্ঘনের জন্য দোষী বলিয়া গণ্য হইবেন এবং অনূর্ধ্ব ৩ (তিন) বৎসর কারাদণ্ডে বা অনূর্ধ্ব ৩ (তিন) লক্ষ টাকা অর্থ দণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন। ”।
২২। উক্ত আইনের ধারা ২৯ এর পর নিম্নরূপ নূতন ধারা ২৯ক সন্নিবেশিত হইবে, যথা:-“২৯ক। জামানত মূল্যায়নকারী প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানীর তালিকাভুক্তিকরণ।-(১) কোন ব্যাংক-কোম্পানীর ঋণ বা বিনিয়োগ গ্রহীতা কর্তৃক গৃহীত বা গৃহীতব্য ঋণ বা বিনিয়োগের বিপরীতে প্রদত্ত জামানত (collateral) কোন মূল্যায়নকারী প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানী কর্তৃক মূল্যায়নের ক্ষেত্রে এইরূপ প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানী বাংলাদেশ ব্যাংকের তালিকাভুক্ত হইতে হইবে।(২) উপ-ধারা (১) এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, বাংলাদেশ ব্যাংক, সময় সময়, প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারী করিতে পারিবে।”।
২৫। উক্ত আইনের ধারা ৩৯ এর উপ-ধারা (১) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ উপ-ধারা (১) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:-“(১) Bangladesh Chartered Accountants Order, 1973 (P.O. No. 2 of 1973) বা আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইন অনুসারে কোম্পানীর অডিটর হওয়ার যোগ্য যে কোন ব্যক্তি ব্যাংক-কোম্পানী নিরীক্ষণের জন্য যোগ্য বলিয়া বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক অনুমোদিত এবং তালিকাভুক্ত হইলে, ধারা ৩৮ এর অধীন প্রস্তুতকৃত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে ব্যাংক-কোম্পানীর লাভ ও ক্ষতির হিসাব ও আর্থিক প্রতিবেদন নিরীক্ষা করিতে পারিবে।”।
২৬। উক্ত আইনের ধারা ৪৪ এর পরিবর্তে নিম্নরূপ ধারা ৪৪ প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:-“৪৪। পরিদর্শন।-(১) কোম্পানী আইনে ভিন্নরূপ কোন বিধান থাকা সত্ত্বেও, বা আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, বা অন্য যে কোন আইনে নিবন্ধীকৃত হইয়া থাকুক না কেন, বাংলাদেশ ব্যাংক যে কোন সময় উহার এক বা একাধিক কর্মকর্তার দ্বারা বাংলাদেশে নিবন্ধনকৃত কোন ব্যাংক-কোম্পানী, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বা বাহিরে উহার সকল শাখা ও সাবসিডিয়ারীর খাতাপত্র ও হিসাব পরিদর্শন করিতে পারিবে এবং বাংলাদেশের বাহিরে নিবন্ধনকৃত কোন ব্যাংক-কোম্পানীর ক্ষেত্রে, বাংলাদেশে অবস্থিত উহার সকল শাখার খাতাপত্র এবং হিসাব পরিদর্শন করিতে পারিবে, এবং এইরূপ পরিদর্শন সমাপ্তির পর বাংলাদেশ ব্যাংক উক্ত পরিদর্শনের ভিত্তিতে প্রস্তুতকৃত প্রতিবেদনের একটি অনুলিপি উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীকে সরবরাহ করিবে।(২) আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইনে ভিন্নরূপ বিধান থাকা সত্ত্বেও, এবং উপ-ধারা (১) এর বিধান ক্ষুণ্ণ না করিয়া, বাংলাদেশ ব্যাংক যে কোন সময় উহার এক বা একাধিক কর্মকর্তা দ্বারা কোন ব্যাংক-কোম্পানী এবং উহার সকল শাখা ও সাবসিডিয়ারীর খাতাপত্র ও হিসাব এবং বাংলাদেশের বাহিরে নিবন্ধনকৃত কোন ব্যাংক-কোম্পানীর ক্ষেত্রে, বাংলাদেশে অবস্থিত উহার সকল শাখার খাতাপত্র ও হিসাব পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা করাইতে পারিবে এবং বাংলাদেশ ব্যাংক আবশ্যক বিবেচনা করিলে উক্ত পরীক্ষার ভিত্তিতে প্রস্তুতকৃত প্রতিবেদনের একটি অনুলিপি উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীকে সরবরাহ করিতে পারিবে।(৩) ধারা ২৬ এর অধীন গঠিত সাবসিডিয়ারী কোম্পানীর ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক উপ-ধারা (১) এর অধীন পরিদর্শনের ভিত্তিতে প্রস্তুতকৃত প্রতিবেদনের প্রযোজ্য অংশের একটি অনুলিপি পরিদর্শনকৃত প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থাকে সরবরাহ করিবে।(৪) উপ-ধারা (১) এর অধীন পরিদর্শনকার্য বা উপ-ধারা (২) এর অধীন পরীক্ষাকার্য পরিচালনাকারী ব্যক্তির চাহিদা মোতাবেক ও তৎকর্তৃক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক-কোম্পানীর এবং উহার শাখা ও সাবসিডিয়ারীর খাতাপত্র, হিসাব বা অন্যান্য দলিল দাখিল করা এবং উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর এবং উহার শাখা ও সাবসিডিয়ারী সম্পর্কে কোন বিবৃতি বা তথ্য প্রদান করা উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর এবং উহার শাখা ও সাবসিডিয়ারীর পরিচালক, কর্মকর্তা, কর্মচারী বা বহিরাগত নিরীক্ষকের দায়িত্ব হইবে।(৫) উপ-ধারা (১) এর অধীন পরিদর্শনকার্য বা উপ-ধারা (২) এর অধীন পরীক্ষাকার্য পরিচালনাকারী ব্যক্তি সংশ্লিষ্ট ব্যাংক-কোম্পানীর এবং উহার শাখা ও সাবসিডিয়ারীর যে কোন পরিচালক, কর্মকর্তা, কর্মচারী বা ইহার বহিরাগত নিরীক্ষককে শপথ পাঠ করাইয়া উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর এবং উহার শাখা ও সাবসিডিয়ারীর বিষয়াবলী সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করিতে পারিবেন।(৬) বাংলাদেশ ব্যাংক এই ধারার অধীন কোন পরিদর্শন বা পরীক্ষাকার্য সম্পন্ন করিবার পর উক্ত প্রতিবেদন বিবেচনান্তে যদি এইরূপ অভিমত পোষণ করে যে, উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর এবং উহার কোন শাখা ও সাবসিডিয়ারীর কার্যাবলী উহার আমানতকারীদের স্বার্থের পরিপন্থী পদ্ধতিতে পরিচালিত হইতেছে, তাহা হইলে বাংলাদেশ ব্যাংক, লিখিত আদেশ দ্বারা-(ক) উক্ত ব্যাংক-কোম্পানী কর্তৃক নূতন আমানত গ্রহণ নিষিদ্ধ করিতে পারিবে;(খ) ধারা ৬৪ এর উপ-ধারা (৪) এর অধীন উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর অবসায়নের উদ্দেশ্যে আবেদন দাখিল করিতে পারিবে;(গ) আমানতকারীদের স্বার্থ রক্ষার্থে বাংলাদেশ ব্যাংক যেইরূপ সঙ্গত বিবেচনা করিবে সেইরূপ আদেশ প্রদান বা কার্যক্রম গ্রহণ করিতে পারিবে।(৭) বাংলাদেশ ব্যাংক, সংশ্লিষ্ট ব্যাংক-কোম্পানী এবং উহার সাবসিডিয়ারী কোম্পানীকে যুক্তিসঙ্গত নোটিশ প্রদানের পর, তৎকর্তৃক প্রস্তুতকৃত প্রতিবেদন বা উহার অংশবিশেষ প্রকাশ করিতে পারিবে।(৮) আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোন আদালত, বা বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যতীত, অন্য কোন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক তলবকৃত কোন বিবরণ বা তথ্য এইরূপ গোপনীয় যে উহাদের হস্তান্তর বা প্রকাশের মাধ্যমে নিম্নবর্ণিত বিষয়ে তথ্য প্রকাশ হইয়া পড়িবে, যাহা ব্যাংক-কোম্পানী বা উহার আমানতকারীর স্বার্থের জন্য ক্ষতিকর, তাহা হইলে উক্ত ব্যাংক-কোম্পানী কোন আদালত বা বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নির্দেশিত না হওয়া পর্যন্ত উক্ত বিবরণ প্রদান করিতে বা তথ্য প্রকাশ করিতে বাধ্য থাকিবে না, যথা:-(ক) এইরূপ সংরক্ষিত তহবিল যা প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদনে প্রদর্শিত হয় নাই; বা(খ) আদায়যোগ্য নহে বা আদায়যোগ্যতা সম্পর্কে সন্দেহ রহিয়াছে এইরূপ ঋণ যাহা উহাতে প্রদর্শিত হয় নাই; বা(গ) ব্যাংক-কোম্পানীর দায়, সম্পদ, বিনিয়োগ বা ব্যবসা সংক্রান্ত এইরূপ বিবরণ যা প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদনে প্রদর্শিত হয় নাই; বা(ঘ) ব্যাংকার বহি সাক্ষ্য আইন, ২০২১ (২০২১ সনের ২৭ নং আইন) এ বর্ণিত উদ্দেশ্য ব্যতীত অন্য কোন উদ্দেশ্যে গ্রাহকের ঋণ সম্পর্কিত তথ্যাদি; বা(ঙ) ব্যাংকার বহি সাক্ষ্য আইন, ২০২১ (২০২১ সনের ২৭ নং আইন) এ বর্ণিত উদ্দেশ্য ব্যতীত অন্য কোন উদ্দেশ্যে গ্রাহকের আমানতের হিসাব বিবরণী।(৯) আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, বা অন্য যে কোন আইনে নিবন্ধীকৃত হইয়া থাকুক না কেন, জনস্বার্থে বা ব্যাংক খাতের স্থিতিশীলতার স্বার্থে ব্যাংক-কোম্পানী কর্তৃক প্রদত্ত ঋণ বা বিনিয়োগের অর্থের সদ্ব্যবহার যাচাইয়ের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক সংশ্লিষ্ট ঋণ বা বিনিয়োগ গ্রহীতার ব্যবসাক্ষেত্র সরেজমিন পরিদর্শন করিতে পারিবে।”।
১৯৯১ সনের ১৪ নং আইনে নূতন ধারা ৪৪ক ও ৪৪খ এর সন্নিবেশ
২৭। উক্ত আইনের ধারা ৪৪ এর পর নিম্নরূপ নূতন ধারা ৪৪ক ও ৪৪খ সন্নিবেশিত হইবে, যথা:-“৪৪ক। প্রতিষ্ঠান বা ফাউন্ডেশন পরিদর্শন।-আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, বা অন্য যে কোন আইনের অধীন নিবন্ধীকৃত হইয়া থাকুক না কেন, এই আইনের ধারা ৪৪ এবং ৪৫ এর অধীন ব্যাংক-কোম্পানী যেইভাবে পরিদর্শন করা হয় বা উহাকে যেইভাবে নির্দেশ প্রদান করা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংক সেইভাবে Societies Registration Act, 1860 (Act No. XXI of 1860) এর অধীন ব্যাংক-কোম্পানীর অর্থায়নে গঠিত বা পরিচালিত বা উভয়ই, প্রতিষ্ঠান বা ফাউন্ডেশন, যে নামেই অভিহিত হউক না কেন, ইত্যাদি পরিদর্শন করিতে, এবং ঐ সকল প্রতিষ্ঠান বা ফাউন্ডেশন, যে নামেই অভিহিত হউক না কেন, ইত্যাদিকে নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে, এবং বাংলাদেশ ব্যাংক উক্ত পরিদর্শনের ভিত্তিতে প্রস্তুতকৃত প্রতিবেদনের প্রযোজ্য অংশের একটি অনুলিপি পরিদর্শনকৃত প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থাকে সরবরাহ করিবে।৪৪খ। ব্যাংক কোম্পানীর সহিত লেনদেন রহিয়াছে এইরূপ ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানীর হিসাবপত্র, ইত্যাদি পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ ক্ষমতা।-বাংলাদেশ ব্যাংক যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, জনস্বার্থে বা ব্যাংক নীতির স্বার্থে বা ব্যাংক খাতের স্থিতিশীলতার লক্ষ্যে অন্য নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা বা সরকারের কোন সংস্থার অধীন কোন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানীর, যাহাদের ব্যাংক-কোম্পানীর সহিত কোন লেনদেন রহিয়াছে, তাহাদের হিসাবপত্র, আর্থিক লেনদেন বা অন্য যে কোন তথ্য সংগ্রহ বা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা প্রয়োজন, তাহা হইলে বাংলাদেশ ব্যাংক উল্লিখিত হিসাবপত্র, তথ্য, ইত্যাদি প্রদান করিবার জন্য সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা বা সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে অনুরোধ করিলে, সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা বা সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থা তাহা প্রদান করিবে।”।
২৮। উক্ত আইনের ধারা ৪৫ এর উপ-ধারা (৩) এর পর নিম্নরূপ নূতন উপ-ধারা (৪) সংযোজিত হইবে, যথা:“(৪) এই ধারার অধীন কোন ব্যাংক-কোম্পানীকে যেইভাবে নির্দেশ প্রদান করা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংক সেইভাবে Societies Registration Act, 1860 (Act No. XXI of 1860) এর অধীন ব্যাংক-কোম্পানীর অর্থায়নে গঠিত বা পরিচালিত বা উভয়ই, প্রতিষ্ঠান বা ফাউন্ডেশন, যে নামেই অভিহিত হউক না কেন, ইত্যাদিকে নির্দেশ প্রদান করিতে, এবং যথাযথ নির্দেশ জারী করিতে পারিবে।”।
২৯। উক্ত আইনের ধারা ৪৬ এর-(ক) উপ-ধারা (১) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ উপ-ধারা (১) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:-“(১) বাংলাদেশ ব্যাংক যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, কোন ব্যাংক-কোম্পানীর চেয়ারম্যান বা কোন পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী কর্তৃক কোন ব্যাংক-কোম্পানী বা উহার আমানতকারীদের জন্য ক্ষতিকর কার্যকলাপ বা স্বার্থ সংশ্লিষ্ট লেনদেনের মাধ্যমে ব্যাংক-কোম্পানীর তহবিলের অপব্যবহার বা মানিলন্ডারিং বা সন্ত্রাসী কার্যে অর্থায়ন সংক্রান্ত অপরাধ রোধকল্পে বা জনস্বার্থে উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর যথাযথ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করিবার লক্ষ্যে, উক্ত চেয়ারম্যান, পরিচালক বা প্রধান নির্বাহীকে, যে নামেই অভিহিত হউক না কেন, অপসারণ করা প্রয়োজন, তাহা হইলে বাংলাদেশ ব্যাংক, কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া, আদেশের মাধ্যমে, উক্ত চেয়ারম্যান, পরিচালক, প্রধান নির্বাহীকে তাহার পদ হইতে অপসারণ করিতে পারিবে।”;(খ) উপ-ধারা (৩) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ উপ-ধারা(৩) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:-“(৩) যদি কোন ব্যাংক-কোম্পানীর চেয়ারম্যান বা পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী উপ- ধারা (১) এর অধীন অপসারিত হন, তাহা হইলে তিনি উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর চেয়ারম্যান বা পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী পদে বহাল থাকিবেন না, এবং তিনি আদেশের তারিখ হইতে পরবর্তী ৩ (তিন) বৎসর উক্ত ব্যাংক-কোম্পানী বা অন্য কোন ব্যাংক-কোম্পানীর বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনায়, প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে, সংযুক্ত হইবেন না বা অংশগ্রহণ করিতে পারিবেন না।”(গ) উপ-ধারা (৬) এবং এর শর্তাংশ বিলুপ্ত হইবে।”; এবং(ঘ) উপ-ধারা (৬) এর পর নিম্নরূপ নূতন উপ-ধারা (৭) সংযোজিত হইবে, যথা:-“(৭) উপ-ধারা (১) এর অধীন অপসারিত চেয়ারম্যান বা পরিচালক বা প্রধান নির্বাহীর ক্ষতিকর কার্যকলাপের কারণে কোন ব্যাংক-কোম্পানীর আর্থিক ক্ষতি হইলে, তাহার নিকট ক্ষতিপূরণ বাবদ প্রাপ্য টাকা আদায়ের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক-কোম্পানী যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে, এবং এইক্ষেত্রে ধারা ৮৫ এর বিধানাবলী যতদূর সম্ভব প্রযোজ্য হইবে, এবং এইরূপ গৃহীত ব্যবস্থা সংশ্লিষ্ট ব্যাংক-কোম্পানী বাংলাদেশ ব্যাংককে অবহিত করিবে।”
৩২। উক্ত আইনের ধারা ৭৭ এর পর নিম্নরূপ নূতন ধারা ৭৭ক সন্নিবেশিত হইবে, যথা:-“৭৭ক। বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক ব্যাংক-কোম্পানীর দ্রুত সংশোধনমূলক ব্যবস্থা সম্পর্কিত বিধানাবলী।-(১) অন্য কোন আইন বা কোন চুক্তি বা কোন দলিল বা এই আইনের অন্য কোন বিধানে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোন ব্যাংক-কোম্পানীর বা উহার আমনতকারীগণের স্বার্থে বা জনস্বার্থে উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করিবার লক্ষ্যে উহার বিষয়ে আশু সংশোধনমূলক ব্যবস্থা গ্রহণে বাংলাদেশ ব্যাংক সংশ্লিষ্ট ব্যাংক-কোম্পানীর কার্যাবলী এবং উহার পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনার বিষয়ে নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে।(২) এই ধারার অধীন গৃহীত ব্যবস্থায় যদি কোন ব্যাংক-কোম্পানী পুনরুদ্ধার কর্ম পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ব্যর্থ হয় বা পুনরুদ্ধার কর্ম পরিকল্পনা অনুসরণ না করিয়া উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর চেয়ারম্যান, পরিচালক, প্রধান নির্বাহী বা ঊর্ধ্বতন ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট ব্যাংক-কোম্পানী বা উহার আমানতকারীদের জন্য ক্ষতিকর কার্যকলাপ অব্যাহত রাখে, তাহা হইলে বাংলাদেশ ব্যাংক, আমানত কারীদের স্বার্থে বা জনস্বার্থে উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর যথাযথ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করিবার লক্ষ্যে, ধারা ৭৭ এর বিধান সাপেক্ষে, অন্য কোন ব্যাংক-কোম্পানীর সহিত বাধ্যতামূলক একত্রিকরণ বা উহার পুনর্গঠন বিষয়ে যে কোন এক বা একাধিক বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে।”।
৩৩। উক্ত আইনের ধারা ১০৯ এর-(ক) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত “দুই” শব্দটির পরিবর্তে “৫ (পাঁচ)” সংখ্যা, বন্ধনী ও শব্দ এবং “বিশ” শব্দটির পরিবর্তে “৫০ (পঁঞ্চাশ)” সংখ্যা, বন্ধনী ও শব্দ প্রতিস্থাপিত হইবে;(খ) উপ-ধারা (১) এর পর নিম্নরূপ নূতন উপ-ধারা(১ক) সন্নিবেশিত হইবে, যথা:-“(১ক) যদি কোন সমিতি বা প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানী ধারা ৮ এর বিধান লঙ্ঘন করিয়া ইহার নামের অংশ হিসাবে “ব্যাংক” শব্দ অথবা ইহা হইতে উদ্ভূত অন্য কোন শব্দ ব্যবহার করিয়া থাকে যাহাতে উহাকে ব্যাংক-কোম্পানী হিসাবে বিবেচনা করিবার সম্ভাবনা থাকে, তাহা হইলে উক্ত সমিতি বা প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানী এবং উহার ব্যবস্থাপনার সহিত সংশ্লিষ্ট পরিচালকগণ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, যে নামেই অভিহিত হউক না কেন, উক্ত লঙ্ঘনের জন্য তাহাদের প্রত্যেকে অনধিক ৫০ (পঞ্চাশ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে বা অনধিক ৭ (সাত) বৎসর কারাদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং উক্ত লঙ্ঘন অব্যাহত থাকিলে প্রত্যেক দিনের জন্য অনধিক ১ (এক) লক্ষ টাকা জরিমানা আরোপিত হইবে।”।(গ) উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত “কারাদণ্ডে এবং অনধিক এক লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন” শব্দগুলির পরিবর্তে “কারাদণ্ডে অথবা অনধিক ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন” শব্দগুলি, সংখ্যা ও বন্ধনী প্রতিস্থাপিত হইবে;(ঘ) উপ-ধারা (৩) এ উল্লিখিত “এক” শব্দটির পরিবর্তে “৫ (পাঁচ)” সংখ্যা, বন্ধনী ও শব্দ এবং “দশ” শব্দটির পরিবর্তে “২০ (বিশ)” সংখ্যা, বন্ধনী ও শব্দ প্রতিস্থাপিত হইবে;(ঙ) উপ-ধারা (৪), (৫), (৬) ও (৭) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ উপ-ধারা (৪), (৫), (৬) ও (৭) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:-“(৪) যদি কোন ব্যক্তি ধারা ৪৪ এর উপ-ধারা (২) এর অধীন কোন বহি, হিসাব- নিকাশ, বা অন্য কোন দলিল দাখিল করিতে, অথবা কোন বিবরণ বা তথ্য সরবরাহ করিতে, অথবা ব্যাংক-কোম্পানীর ব্যবসা সংক্রান্ত বিষয়ে তদন্ত বা পরীক্ষার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তার কোন প্রশ্নের জবাব প্রদানে অসম্মত হন, তাহা হইলে উক্ত অসম্মতির জন্য তাহার উপর অন্যূন ২০ (বিশ) হাজার টাকা এবং অনধিক ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা জরিমানা আরোপিত হইবে, এবং যদি উক্ত অসম্মতি অব্যাহত থাকে, তাহা হইলে অনুরূপ অসম্মতির প্রথম দিনের পর প্রত্যেক দিনের জন্য অতিরিক্ত অন্যূন ১ (এক) হাজার টাকা জরিমানা আরোপিত হইবে।(৫) ধারা ৪৪ এর উপ-ধারা (৬) এর দফা (ক) এর অধীন প্রদত্ত কোন আদেশ লঙ্ঘন করিয়া কোন ব্যাংক-কোম্পানী কোন আমানত গ্রহণ করিলে, উহার যে সকল পরিচালক বা কর্মকর্তা অনুরূপ আমানত গ্রহণের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত রহিয়াছিলেন তাঁহাদের প্রত্যেকে উক্ত দফা (ক) এর অধীন প্রদত্ত আদেশ লঙ্ঘনের জন্য দোষী বলিয়া গণ্য হইবেন এবং তাঁহাদের উপর অনুরূপ আমানতের অনধিক দ্বিগুণ পরিমাণ জরিমানা আরোপিত হইবে।(৬) যদি কোন ব্যক্তি ধারা ৭৭ এর উপ-ধারা (৮) এর অধীন মঞ্জুরীকৃত কোন স্কীমের শর্ত বা কর্তব্য পালনে ব্যর্থ হন, তাহা হইলে তাহার উপর অন্যূন ২০ (বিশ) হাজার টাকা এবং অনধিক ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা জরিমানা আরোপিত হইবে এবং যদি এই ব্যর্থতা অব্যাহত থাকে, তাহা হইলে উক্ত ব্যর্থতার প্রথম দিনের পর প্রতিদিনের জন্য অতিরিক্ত অন্যূন ১ (এক) হাজার টাকা জরিমানা আরোপিত হইবে।(৭) যদি কোন ব্যক্তি এই আইনের অন্য কোন বিধান লঙ্ঘন করেন, বা তদধীন প্রদত্ত কোন আদেশ বা নির্দেশ বা আরোপিত কোন শর্ত বা প্রণীত কোন বিধি লঙ্ঘন করেন, তাহা হইলে তাহার উপর উক্ত লঙ্ঘনের জন্য অন্যূন ২০ (বিশ) হাজার টাকা এবং অনধিক ২ (দুই) লক্ষ টাকা জরিমানা আরোপিত হইবে, এবং যদি অনুরূপ লঙ্ঘন অব্যাহত থাকে, তাহা হইলে অনুরূপ লঙ্ঘনের প্রথম দিনের পর প্রতিদিনের জন্য অতিরিক্ত অন্যূন ১ (এক) হাজার টাকা জরিমানা আরোপিত হইবে।”;(চ) উপ-ধারা (৯) এ উল্লিখিত “উপ-ধারা(৩)” শব্দ, সংখ্যা ও বন্ধনীর পরিবর্তে “উপ-ধারা(২), (৩)” শব্দ, সংখ্যাগুলি, বন্ধনীগুলি ও কমা প্রতিস্থাপিত হইবে; এবং(ছ) উপ-ধারা (১১) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ উপ-ধারা (১১) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:-“(১১) যদি কোন ব্যাংক-কোম্পানী ধারা ১৩ এর উপ-ধারা (৭), ধারা ২৫ এর উপ-ধারা (৩), (৪) ও (৫), ধারা ২৬ক এর উপ-ধারা (৩), ধারা ২৯ এর উপ-ধারা (৩), এবং ধারা ৩৩ এর উপ-ধারা (৫) এ বর্ণিত ক্ষেত্র ব্যতীত অন্য কোন ধারার বিধান লঙ্ঘন করে বা তদধীন প্রদত্ত কোন আদেশ বা নির্দেশ বা আরোপিত কোন শর্ত বা প্রণীত কোন বিধি লঙ্ঘন করে, তাহা হইলে উক্ত লঙ্ঘনের জন্য উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর উপর অন্যূন ৩ (তিন) লক্ষ এবং অনধিক ৩০ (ত্রিশ) লক্ষ টাকা জরিমানা আরোপিত হইবে, এবং যদি অনুরূপ লঙ্ঘন অব্যাহত থাকে, তাহা হইলে অনুরূপ লঙ্ঘনের প্রথম দিনের পর প্রত্যেক দিনের জন্য অতিরিক্ত অন্যূন ৫ (পাঁচ) হাজার টাকা এবং অনধিক ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা জরিমানা আরোপিত হইবে।”।
৩৪। উক্ত আইনের ধারা ১১১ এর পর নিম্নরূপ নূতন ধারা ১১১ক সন্নিবেশিত হইবে, যথা:-“১১১ক। এই আইনের কতিপয় বিধান ও অন্যান্য আইনের প্রয়োগযোগ্যতা।-এই আইনের কোন ধারার অধীন কোন ব্যাংক-কোম্পানী বা ব্যক্তির উপর আরোপিত কোন জরিমানা বা শাস্তিমূলক ব্যবস্থা বা দণ্ড এই আইনের অন্য কোন ধারার অধীন অথবা বাংলাদেশে প্রচলিত অন্য কোন আইনের অধীন উক্ত ব্যাংক-কোম্পানী বা ব্যক্তির উপর আরোপযোগ্য বা আরোপিত হইয়াছে, এইরূপ কোন জরিমানা বা শাস্তিমূলক ব্যবস্থা বা দণ্ড আরোপকে সীমাবদ্ধ বা বারিত করিবে না।”।